উত্তর : পিতা-মাতার সাথে সর্বাবস্থায় সুসম্পর্ক রাখাই ইসলামের নির্দেশ। আল্লাহর পরই পিতা-মাতার হক আদায় করা যরূরী। এমনকি পিতা-মাতা কাফের হ’লেও তাদের সম্মান ও আনুগত্য করতে হবে; যদি না তারা শিরক, কুফরী বা অন্যায়ের আদেশ দেন (আনকাবূত ২৯/৮)। সুতরাং তারা দুনিয়াবী যত কষ্টই দেন না কেন তা ছোট করে দেখতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সাধ্যমত বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। কোন অবস্থায় তাদেরকে পরিত্যাগ করা যাবে না। কারণ পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি’ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৮৩০; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৫০৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, পিতা হ’লেন জান্নাতের মধ্যম দরজা। এক্ষণে তুমি তোমার পিতা-মাতাকে হেফাযত কর অথবা পরিত্যাগ কর’ (ইবনু মাজাহ হা/২০৮৯; মিশকাত হা/৪৯২৮; ছহীহাহ হা/৯১৪)। জান্নাত পেতে গেলে সর্বাবস্থায় পিতা-মাতার সাথে নম্র ভাষায় কথা বলতে হবে ও তাদের ভরণপোষণ করতে হবে (ইসরা ১৭/৩০; লোকমান ৩১/১৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার পিতামাতার উভয়কে কিংবা কোন একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল কিন্তু জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না; তার নাক ধূলায় ধূসরিত হৌক! একথা তিনি তিনবার বলেন’ (মুসলিম হা/২৫৫১; মিশকাত হা/৪৯১২)। ইবনু ওমর (রাঃ) জনৈক কবীরা গুনাহগারকে বলেন, আল্লাহর কসম! তুমি মায়ের সাথে নম্র ভাষায় কথা বললে এবং তার ভরণপোষণ করলে তুমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে, যদি কবীরা গুনাহসমূহ থেকে বিরত থাক’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৮, সনদ ছহীহ)।
প্রশ্নকারী : শায়লা*, টাঙ্গাইল।
[*আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]