উত্তর : খানাপিনার দাওয়াতে মুমিন ও মুত্তাকীরা অগ্রাধিকার পাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে বন্ধু বানাবে না এবং তোমার খাদ্য আল্লাহ্ভীরু লোক ছাড়া যেন অন্য কেউ না খায় (আবুদাঊদ হা/৪৮৩২; মিশকাত হা/৫০১৮; ছহীহুত তারগীব হা/৩০৩৬)। অত্র হাদীছে মুত্তাক্বী ব্যক্তিকে খাবার খাওয়ানোর কথা বললেও বাহ্যিকভাবে বুঝা যায় যে, যিনি খাবার খাওয়াবেন তাকেও মুত্তাক্বী হওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কারণ মুত্তাক্বী ব্যক্তির বন্ধুত্ব মুত্তাক্বী ছাড়া অন্য কারো সাথে হ’তে পারে না। তবে এই নীতি অভাবীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা মুসলিম হোক, অমুসলিম হোক, অভাবীদেরকে সর্বদা অগ্রাধিকার দিতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা আল্লাহর ভালোবাসায় অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে’ (দাহর ৭৬/৮)। এ আয়াতটি প্রমাণ করে যে, কাফের- মুশরিক বন্দীদের খাবার খাওয়ানোকেও আল্লাহ প্রশংসা করেছেন। সুতরাং অমুসলিমরা অভাবী হ’লে প্রয়োজনে তাদেরকে খাওয়ানো অগ্রাধিকার পেতে পারে (মিরক্বাত ৮/৩১৪১; তোহফাতুল আহওয়াযী ৭/৬৪; আওনুল মা‘বূদ ১৩/১২৩)

প্রশ্নকারী : সানিকুল আলম, মুর্শিদাবাদ, ভারত।







বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (৮/৮৮) : প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহার পর একই সূরা পাঠে কোন বাধা আছে কি? - -মুহিউদ্দীন, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (১২/৫২) : জনৈক আলেম বলেন, আরসি, কোকাকোলা, সেভেনআপ ইত্যাদি পানীয় হারাম। কারণ এগুলো মদ জাতীয় বস্ত্ত। কিন্তু এর নামকরণ হয়েছে ভিন্ন। উক্ত বক্তব্য কি ঠিক?
প্রশ্ন (২৯/৪২৯) : অনেকে বলেন, অপবিত্র অবস্থায় কুমড়ার বড়ি তৈরী করলে বড়ি টক হয়ে যায়। এ কথার কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (৪০/১৬০) : ‘ইজতেমা’ অর্থ কি? রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর তাবলীগী ইজতেমা এবং ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব ইজতেমা’র মধ্যে পার্থক্য কি? - -আব্দুল্লাহ আল-মামূন, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৮/২০৮) : রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে দু’জন পারসিক দূত আসলে তিনি তাদের চাছা দাড়ি ও লম্বা গোফ দেখে অপসন্দ করেন। তখন তারা বলে যে, তাদের প্রভু কিসরার নির্দেশে তারা এমনটি করেছেন। একথা শুনে রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার প্রভু আমাকে দাড়ি লম্বা করতে ও গোঁফ ছাটতে বলেছেন। এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - -ইসমাঈল হোসাইন, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১/৪১) : মিশকাতের ৯২৪, ৯২৬ ও ৯২৮ নং হাদীছে বর্ণিত হয়েছে ‘উম্মতের দরূদ ও সালাম রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট পৌছে’। ৯২৫নং হাদীছে বর্ধিতভাবে এসেছে ‘নিশ্চয় আল্লাহ আমার নিকট আমার রূহ ফেরত দেন যাতে আমি সালামের জবাব দিতে পারি’। সারাবিশ্বে প্রতিনিয়ত দরূদ ও সালাম পাঠ হচ্ছে। এমতাবস্থায় নবী (ছাঃ)-এর জীবিত থাকাই স্বাভাবিক। এক্ষণে হাদীছদ্বয়ের ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৩/৩৭৩) : ১৪ বা ২১শে ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন দিবস পালন করা হয়। আমি এই দিনগুলো পালন না করলেও এই দিনে ফুল বিক্রয় করি। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩১/২৭১) : অসুস্থ বা মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার সন্তানেরা ক্বাযা ছিয়াম আদায় করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১৮/৫৮) : পাগড়ী পরা কি সবার জন্যই সুন্নাত? অনেকে চিল্লা দিয়ে পাগড়ী পরা শুরু করে। এ সম্পর্কে শরী‘আতের বিধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২২/৩০২) : আমি জনৈক হিন্দুর নিকট থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। কিন্তু ঐ ব্যক্তিকে বা তার কোন ওয়ারিছকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৭/৪৫৭) : অনেকের ধারণা ছিয়াম অবস্থায় রক্ত বের হলে ছিয়াম নষ্ট হয় বা দুর্বল হয়ে যায়। উক্ত ধারণা কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৭/৩১৭) : সাহারীর আযান দেওয়া জায়েয কি? উক্ত আযানে হাইয়া আলাছ ছালাহ এবং ...ফালাহ বলা যাবে কি?
আরও
আরও
.