উত্তর : কাউকে ‘জাহান্নামী’ বলা বা এই ধরনের ভাষায় গালি দেওয়া জায়েয নয়। কারণ এটা তার উপর কুফরীর অপবাদ দেওয়ার নামান্তর, যা হারাম (উছায়মীন, মাজমূফাতাওয়া ৫/৭৯; বিন বায, মাজমূফাতাওয়া ৫/৩৬৫, ১৩/৪২২)। এই অপবাদের দু’টি ক্ষতিকর দিক রয়েছে- (১) অপবাদটি অপবাদদাতার দিকে ফিরে আসবে (২) অপবাদটি অপবাদ দানকারীর জন্য আবশ্যক হয়ে যাবে। বনু ইস্রাঈলের জনৈক ব্যক্তি আরেক গুনাহগার ব্যক্তিকে ‘তুমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না’ বা ‘তুমি জাহান্নামী’ বলে গালি দেয়। ফলে আল্লাহ তা‘আলা গালিদাতা সৎব্যক্তিকে জাহান্নামে দেন এবং ঐ গুনাহগার ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন (মুসলিম হা/২৬২১; আবুদাউদ হা/৪৯০১; মিশকাত হা/২৩৩৪, ২৩৪৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যদি কেউ কাউকে কাফের বলে, আর সে যদি কাফের না হয়, তাহ’লে কথাটি তার উপরেই ফিরে আসবে’ (বুখারী হা/৬০৪৫; মিশকাত হা/৪৮১৬)

এক্ষণে যে ব্যক্তি কাউকে জাহান্নামী বলে গালি দিয়েছে তাকে তওবা করতে হবে এবং উক্ত ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ও তার জন্য কল্যাণের দো‘আ করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) তার দো‘আয় বলতেন, ‘আল্ল-হুম্মা ইন্নামা আনা বাশারুন ফাআইয়ুমা রাজুলিম মিনাল মুসলিমীনা সাবাবতুহূ আও লাআনতুহূ আও জালাত্তুহূ ফাজআলহা লাহূ যাকা-তাঁও ওয়া রহমাহ। অর্থ : ‘আমি তো মানুষ মাত্র। তাই আমি কোন মুমিনকে কষ্ট দিয়েছি, গালি দিয়েছি, অভিশাপ দিয়েছি বা  বেত মেরেছি- আমার এ কাজকে তুমি তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন রহমত, পাপমুক্তি ও তোমার নৈকট্য লাভের উপায় বানিয়ে দাও’ (মুসলিম হা/২৬০১; মিশকাত হা/২২২৪)

প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকনন্দনগাছিরাজশাহী।







বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (২৫/২৫) : জনৈক আলেম বলেন, আকীকার গোশত সাত দিনের বেশী রাখা যাবে না। এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩২/১৫২) প্রতি হাযারে একজন জান্নাতে যাবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটির ব্যাখ্যা জানতে চাই। - -মুনীর হোসাইন, কাযীরহাট, বরিশাল।
প্রশ্ন (৮/১২৮) : কুর্দীদের পরিচয় ও আক্বীদা-বিশ্বাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। - -অহীদুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩০/৩৫০) : ইক্বামতের কোন পর্যায়ে মুছল্লীরা দাঁড়াবে? আমাদের এলাকায় ‘হাইয়া আলাছ ছালাহ’ বলার পর সবাই দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করে। এটা সঠিক কি?
প্রশ্ন (৩৯/১৯৯) : যে বিবাহ অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, গান-বাজনা ও শরী‘আত বিরোধী কার্যকলাপ হয়, সেই দাওয়াতে অংশগ্রহণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৬/১৬) : দুধ বা কোন খাবারে বিড়াল মুখ দিলে উক্ত খাবার খাওয়া যাবে কি? - -তাওহীদ, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (২২/২৬২) : আমি জানি একজন ব্যক্তি সকল ধরনের শিরক-বিদ‘আতের সাথে জড়িত এবং ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু। তাকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচানো যাবে কি? আর যদি রক্ত দেয়ার পরে আবার শিরক করে এতে কি আমার পাপ হবে? - -রাজীবুল ইসলাম, বদরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (৮/১২৮) : জনৈক দানশীল ধার্মিক ব্যক্তি কিছু স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার পর মারা গেছেন। বর্তমানে সেগুলিতে নাচ-গানসহ বিভিন্ন অনৈসলামিক কর্মকান্ড হয়ে থাকে। এক্ষণে এসব পাপের ভার কি কেবল বর্তমান পরিচালকদের না উক্ত প্রতিষ্ঠাতার আমলনামাতেও যুক্ত হবে?
প্রশ্ন (৭/১৬৭) : কোন মেয়ের নাম যুনায়রাহ রাখা যাবে কী? - -আকলীমা খাতূনকাকনহাট, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৬/৩৬) : আমি ৫ ওয়াক্ত ছালাত পড়ি। আমাদের ১২ বছরের সংসারে ৪টি সন্তান রয়েছে। আমার স্বামী ছালাতে অভ্যস্ত নয়। আমার সাথে উনি সবসময় জঘন্যতম দুর্ব্যবহার করেন। আর বাড়ীর বাইরে থাকাকালীন সবধরনের পাপাচার ও কুকর্মের সাথে জড়িত থাকেন। উনি আমাকে বিভিন্ন সময়ে পৃথকভাবে বহুবার তালাক দেন ও ফিরিয়ে নেন। আমাদের সংসার কি টিকে আছে? এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৯/১৯৯) : আমি কিছু টাকা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে চাচ্ছি এই মর্মে যে, উক্ত ব্যাংক ও একটি মাদরাসার মধ্যে চুক্তি হবে যে, উক্ত অর্থের বার্ষিক লভ্যাংশ মাদ্রাসার শ্রেষ্ঠ ছাত্রকে স্কলারশীপ হিসাবে দেওয়া হবে। এভাবে আমার মৃত্যুর পরও উক্ত অর্থ দিয়ে স্কলারশীপ প্রদান চলমান থাকবে। এক্ষণে বিষয়টি শরী‘আত সম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/৩৭৭) : জনৈক ব্যক্তি একজন বৌদ্ধ ধর্মের লোকের সাথে ব্যবসা করেন। অনেক সময় তাদের নিকটে থাকতে হয় এবং খেতে হয়। এভাবে থাকা-খাওয়া ও সম্পর্ক রাখা যাবে কি? - -ফরীদ, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
আরও
আরও
.