উত্তর : ইমাম তিরমিযী, আবুদাঊদ
প্রমুখ মুহাদ্দিছগণ স্ব স্ব গ্রন্থে যে সমস্ত যঈফ হাদীছ উল্লেখ করেছেন এবং
যঈফ বলে অভিহিত করেছেন সেগুলো মূলতঃ জনসাধারণকে যঈফ হাদীছ হতে সতর্ক করার
জন্য। এরপরও যারা সেগুলোর প্রতি আমল করবে তারাই দায়ী হবে। তবে কিছু হাদীছ
যঈফ হওয়ার পরও তারা সেগুলো সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। কারণ উক্ত
হাদীছগুলোর সমর্থনে অন্যত্র ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
শর্ত সাপেক্ষে যঈফ হাদীছের প্রতি আমল করা যাবে মর্মে পূর্ববর্তী কতিপয় বিদ্বান শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু ছাহাবী, তাবেঈ ও মুহাদ্দিছগণ যে সমস্ত মূলনীতি এবং শর্ত আরোপ করেছেন তাতে কোন ক্ষেত্রেই যঈফ হাদীছ গ্রহণযোগ্য নয়। যেমন ইমাম বুখারী, মুসলিম, ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন, ইবনুল আরাবী মালেকী, ইবনু হাযম, ইবনু তায়মিয়াহ প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় মুহাদ্দিছগণ সকল ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছ বর্জন করেছেন (ক্বাওয়াইদুত তাহদীছ, পৃঃ ১১৩ )। শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই যঈফ হাদীছ অতিরিক্ত ধারণার ফায়েদা দেয় মাত্র। তবে এ বিষয়ে সকলে একমত যে, তার উপর আমল করা বৈধ নয়। সুতরাং যে ব্যক্তি বলে, ফযীলত সংক্রান্ত যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে, তাকে অবশ্যই দলীল পেশ করতে হবে। কিন্তু তাতো অসম্ভব’ (তামামুল মিন্নাহ, পৃঃ ৩৪)। অতএব যঈফ হাদীছ কোন ক্ষেত্রেই আমলযোগ্য নয়।