উত্তর : এ স্থানে সাকতা করার বিধান সম্বলিত হাদীছটি যঈফ (দ্রঃ ইরওয়াউল গালীল হা/৫০৫, যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৭৭-৭৮০)। সুতরাং তা আমলযোগ্য নয়। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, والجمهور لا يستحبون ان يسكت الامام ليقرأ الماموم- ‘জমহূর বিদ্বানগণ এটা মুস্তাহাব মনে করেন না যে, ইমাম চুপ থাকুন, যাতে মুক্তাদী ক্বিরাআত পড়তে পারে’ (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমু‘আ ফাতাওয়া ২২/৩৩৯)। শায়খ আলবানী বলেন, ‘উপরোক্ত কথার মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠের পরে ইমামের চুপ থাকার এবং সেই সময় মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পাঠের কোন দলীল নেই। যেমন পরবর্তীকালে কেউ কেউ বলে থাকেন’ (আলবানী, মিশকাত হা/৮১৮-এর টীকা-৪)

এক্ষণে সূরা ফাতিহা কখন পাঠ করতে হবে সে বিষয়ে ছহীহ হাদীছের ফায়ছালাই চূড়ান্ত। যেমন (১) ওবাদাহ বিন ছামেত (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন ফজরের ছালাত শেষে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করলেন, সম্ভবতঃ তোমরা তোমাদের ইমামের পিছনে কিছু পাঠ করে থাক? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন لاَ تَفْعَلُوْا إِلاَّ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَإِنَّهُ لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِهَا ‘তোমরা এরূপ করো না কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা ব্যতীত। কেননা এটি পাঠ না করলে ছালাত সিদ্ধ হয় না’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৮৫৪ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ)। (২) জেহরী ছালাতে মুক্তাদী কখন কিভাবে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে, এরূপ এক প্রশ্নের জবাবে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, اقْرَأْ بِهَا فِىْ نَفْسِكَ ‘তুমি এটা মনে মনে পড়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৩ ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ১২)। রাবী ও ছাহাবীর এধরনের স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়ার পরে অন্য কারু বক্তব্য তালাশ করা মুমিনের কর্তব্য নয় (বিস্তারিত দ্রঃ আত-তাহরীক ৭ম বর্ষ জুলাই ২০০৪, প্রশ্ন নং ৪০/৪০০)।






প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : জনৈক আলেম বলেন, সূরা আহযাবের ৬ ও সূরা কাওছারের ৩ আয়াত দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, রাসূল (ছাঃ) আমাদের রূহানী পিতা। বিষয়টি জানতে চাই।
প্রশ্ন (৭/৭) : আমি তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করার চেষ্টা করি। অনেক সময় জাগতে না পারায় ছুটে যায়। এমতাবস্থায় কিভাবে বিতর পড়তে হবে?
প্রশ্ন (১৩/৯৩) : আমি এমন কাজের সাথে জড়িত যে, আমি অধিকাংশ ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করতে পারি না। একাকী পড়তে হয়। আমার ছালাত গ্রহণযোগ্য হবে কি?
প্রশ্ন (২/৪০২) : যদি কেউ জেনে-শুনে পাপ কাজে লিপ্ত হয় এবং পরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তাহ’লে তার পাপ ক্ষমা হবে কি? ক্ষমা চাওয়ার পদ্ধতি কী? শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায় কী?
প্রশ্ন (১০/১৩০) : কাদিয়ানীদের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে কি? কেউ তাদের সাথে সম্পর্ক রাখলে তার পরিণাম কি হবে?
প্রশ্ন (৬/৮৬) : তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা যাবে না। কিন্তু অনেকে বাগের হাটের ‘ষাট গম্বুজ’ মসজিদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জের ‘সোনা মসজিদ’ সহ অনেক মসজিদ দেখতে যান। এটা কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৪০/২৪০) : ‘মসজিদে নববী’ নামে কোন মসজিদের নাম রাখা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৪/৩৪৪) : পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের কবরস্থানে যাওয়া সম্ভব না হ’লে একা একা যেকোন স্থান হ’তে হাত তুলে দো‘আ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২১/৩৪১) : হজ্জ ফরয হওয়া ব্যক্তি কেবল ওমরাহ পালন করলে তার হজ্জের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে কি? - -ওমর ফারূককালাই, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (৯/২০৯) : চার রাক‘আত বিশিষ্ট সুন্নাত ছালাতের প্রতি রাক‘আতেই কি অন্য সূরা মিলাতে হবে? না প্রথম দু’রাক‘আতে মিলালেই যথেষ্ট হবে?
প্রশ্ন (৩/২৮৩) : অনেকে পবিত্র কুরআনের কসম করে থাকে। এটা কি শরী‘আত সম্মত? কার নামে কসম করতে হবে?
প্রশ্ন (২১/৩০১) : রুকুর পরে বুকে হাত বাঁধার বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.