উত্তর :
উপরের কথাগুলি কোন হাদীছ নয়। এগুলির রচয়িতা হলেন ‘মাওলিদুন্নবী’ বইয়ের
লেখক মদীনার একজন শাফেঈ মুফতী ইমাম জা‘ফর আল-বারযানজী (মৃঃ ১১৭৭ হিঃ/১৭৬৪
খৃঃ)। উক্ত বইয়ে তিনি মা আমেনার প্রসবকালে আসিয়া, মারিয়াম প্রমুখের আগমন
ইত্যাদি যেসব কথা লিখেছেন, এগুলি ভিত্তিহীন কল্পকথা মাত্র। ইরাকের এরবল
প্রদেশের গবর্ণর আবু সাঈদ মুযাফফরুদ্দীন কুকুবুরী কর্তক সর্বপ্রথম ৬০৪ হিঃ
মতান্তরে ৬২৫ হিজরী সনে মীলাদের প্রচলন হয়। আলেমদের মধ্যে তাকে এর ব্যাপারে
সাহায্য করেন আবুল খাত্ত্বাব ওমর বিন দেহিইয়া। তিনি মীলাদের পক্ষে
আততানভীর ফী মাওলিদিস সিরাজিল মুনীর’ নামে একটি বই লিখে গভর্ণরকে উপহার দেন
এবং বিনিময়ে এক হাযার স্বর্ণমুদ্রা বখশিষ পান। মীলাদ আবিষ্কারের প্রায়
একশ’ বছর পরে ‘ক্বিয়াম’ আবিষ্কার হয় (দ্রঃ মীলাদ প্রসঙ্গ ৬-৮)।
রাসূলের জীবদ্দশাতেই ইসলাম পূর্ণতা লাভ করেছে। তাঁর মৃত্যুর পরে ধর্মের
নামে যা কিছুই চালু করা হউক, সবই বিদ‘আত। যার পরিণাম জাহান্নাম (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪০; নাসাঈ হা/১৫৭৯)।