উত্তর : রাসূল
(ছাঃ) বা কোন ছাহাবী থেকে ইমাম আবু হানীফার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী নেই।
বরং উক্ত বিষয়ে বর্ণিত হাদীছ দ্বারা প্রখ্যাত ছাহাবী সালমান ফারেসী ও তাঁর
জাতিকে বুঝানো হয়েছে। হাদীছটির অনুবাদ হ’ল- আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমরা
নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে বসেছিলাম। এসময় তাঁর উপর সূরা জুম‘আ অবতীর্ণ হ’ল,
যার একটি আয়াত হ’ল- ‘এবং তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনও তাদের সঙ্গে
মিলিত হয়নি’ (৬২/৩)। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারা কারা?
তিনবার জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও তিনি কোন উত্তর দিলেন না। আমাদের মাঝে সালমান
ফারেসী উপস্থিত ছিলেন। রাসূল (ছাঃ) সালমানের উপর হাত রেখে বললেন, ঈমান
ছুরাইয়া নক্ষত্রপুঞ্জের নিকট থাকলেও কিছু লোক বা তাদের এক ব্যক্তি তা
অবশ্যই পেয়ে যাবে’ (বুখারী হা/৪৮৯৭)। মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, যদি
দ্বীন ছুরাইয়া নক্ষত্রপুঞ্জের নিকটেও থাকত, তবুও পারস্যের একজন ব্যক্তি তা
নিয়ে আসত বা পারস্যের সন্তানদের কেউ তা পেয়ে যেত’ (মুসলিম হা/২৫৪৬)। ছহীহ ইবনে হিববানের বর্ণনায় আরো স্পষ্টভাবে এসেছে যে, রাসূল (ছাঃ) এসময় সালমানের উরুতে হাত মেরে বললেন, এই ব্যক্তি ও তার জাতি (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৭১২৩)।
তবে রাদ্দুল মুহতারে ইমাম সুয়ূতী (রহঃ)-এর একটি উক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে এ মর্মে যে, তিনি বলেন, এ হাদীছ দ্বারা ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর ব্যাপারে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে (রাদ্দুল মুহতার ১/৫৩; বঙ্গানুবাদ তাফসীর মা‘আরেফুল কুরআন ১২৬৩ পৃঃ, মুহাম্মাদ ৩৮ আয়াতের ব্যাখ্যা), যার কোন ভিত্তি নেই।