পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩

স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে বাঁচানোর উপায়

স্বামী-স্ত্রী যে কেউ পরকীয়ায় জড়িত হ’তে পারে। পরিবারের কর্তা হিসাবে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর যথাযথ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে রক্ষা করা যায়। এক্ষেত্রে স্বামী নিম্নের কাজগুলো করতে পারেন।-

১. ইসলামী অনুশাসন বাস্তবায়ন করা : স্যাটেলাইটের এই যুগে বিভিন্ন অপসংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার কারণে অনেক সময় নিজ স্বামীর প্রতি স্ত্রীদের অনিহা জন্ম নেয় এবং অন্য পুরুষের প্রতি তারা আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এজন্য তাকে পরিপূর্ণ ইসলামী অনুশাসন শিক্ষা দেওয়া যরূরী। যেমন- গায়র মাহরামের সাথে দেখা না করা, অশ্লীল বাদ্য-বাজনা থেকে দূরে থাকা, বেপর্দা ও অর্ধ নগ্ন পোষাক থেকে দূরে রাখা ইত্যাদি। মু‘আয (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে দশটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন। (তন্মধ্যে একটি হ’ল) وَلاَ تَرْفَعْ عَنْهُمْ عَصَاكَ أَدَباً ‘তাদের থেকে তোমার শিষ্টাচারের লাঠিকে উঠিয়ে নিও না’।[1]

২. স্ত্রীর প্রতি উপদেশ দেওয়া ও উত্তম কথা বলা : হাসিমুখে থাকা ও উত্তম কথা বলা ছাদাক্বা।[2] স্বামী তার স্ত্রীকে যে পর্যাপ্ত ভালবাসে এটা অন্তরের পাশাপাশি মুখেও প্রকাশ করতে হবে। এজন্য হাসিমুখে থাকা ও তার সাথে উত্তম কথা বলা বিশেষভাবে যরূরী। ফলে স্ত্রী স্বামীর কোন বিষয়ে দুর্বল দিক থাকলেও হাসিখুশি রাখার কারণে ভুলে যাবেন এবং পরকীয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَإِذَا شَهِدَ أَمْرًا فَلْيَتَكَلَّمْ بِخَيْرٍ أَوْ لِيَسْكُتْ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ فَإِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ وَإِنَّ أَعْوَجَ شَىْءٍ فِى الضِّلَعِ أَعْلاَهُ إِنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهُ كَسَرْتَهُ وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ اسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا. ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যখন কোন বিষয় প্রত্যক্ষ করবে তখন যেন উত্তম কথা বলে অথবা চুপ থাকে। আর নারীদের প্রতি সদুপদেশ প্রদান করে। কেননা পাঁজরের একটি হাড় দিয়ে নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সর্বাধিক বাঁকা হ’ল তার উপরের অংশ। তুমি তাকে সোজা করতে গেলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর তাকে স্বীয় অবস্থায় রাখলে তা সদা বাঁকা থেকে যাবে। সুতরাং নারীদের প্রতি সদুপদেশ দান কর’।[3]

৩. স্ত্রীকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া : বর্তমান ব্যস্ততা ও প্রতিযোগিতার যুগে অধিকাংশ পুরুষ নিজের চাকুরী, ক্যারিয়ার বা ব্যবসা নিয়ে এত ব্যস্ত থাকেন যে স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারকে একটু সময় দেয়ার মতো সুযোগ থাকে না। স্ত্রী-সন্তানদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা, সুখ-দুঃখ নিয়ে কথা বলা এবং স্ত্রীর সাথে সময় কাটানোর ফুসরত হয় না। ফলে স্ত্রী সারা দিনের একাকীত্ব ঘোচানোর জন্য বন্ধু, পরিচিত আত্মীয় অথবা পুরনো সহপাঠীর সাথে যোগযোগ শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে একদিন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) স্ত্রীদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিতেন। আসওয়াদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী করীম (ছাঃ) ঘরে থাকা অবস্থায় কী করতেন? তিনি বললেন,‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏‏ ‘ঘরের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতেন। অর্থাৎ পরিবারবর্গের সহায়তা করতেন। আর ছালাতের সময় হ’লে ছালাতের জন্য বের হয়ে যেতেন’।[4]

৪. স্ত্রীকে মূল্যায়ন করা : অনেক স্বামী তার কর্মক্ষেত্রে তার অধীনস্থ লোকদের সাথে ভালো আচরণ করেন, তাদের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনেন, চাওয়া-পাওয়াকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করেন। কিন্তু নিজ স্ত্রীকে মূল্যায়ন করেন না। এমনকি পরিচিতদের ক্ষেত্রে বিয়ের আগে যে পুরুষ ভাল আচরণ করত, বিয়ের পর স্বামী হিসাবে পূর্বের মত আচরণ করে না বা তাকে সেভাবে মর্যাদা দেয় না। আর এই কারণে তথাকথিত প্রেমের বিয়ে অনেক ক্ষেত্রে টিকে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্ত্রীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করতেন। যেমন অহী নাযিলের পর খাদীজা (রাঃ)-এর সাথে এবং হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় উম্মে সালামা (রাঃ)-এর সাথে পরামর্শ করেন ও তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেন।[5]

৫. স্ত্রীকে সালাম দেওয়া : স্বামীর প্রতি স্ত্রীর আস্থা-ভালবাসা কমে গেলেই সাধারণত স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত হয়। আর সালাম পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা বৃদ্ধি করে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,أَولَا أدلكم على شَيْء إِذا فعلتموه تحاببتم؟ أفشوا السَّلَام بَيْنكُم، ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন কথা বলে দেব, যা সম্পন্ন করলে তোমাদের পারস্পরিক ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে। (তা হ’ল) তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের প্রচলন করবে’।[6] রাসূল (ছাঃ) আনাস (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেন,يَا بُنَىَّ إِذَا دَخَلْتَ عَلَى أَهْلِكَ فَسَلِّمْ يَكُوْنُ بَرَكَةً عَلَيْكَ وَعَلَى أَهْلِ بَيْتِكَ، ‘হে বৎস! তুমি যখন তোমার পরিবার-পরিজনের নিকটে যাবে, তখন সালাম দিবে। তাতে

তোমার ও তোমার পরিবার-পরিজনের কল্যাণ হবে’।[7]

৬. স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা প্রকাশ করা : স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালবাসা আল্লাহ প্রদত্ত নে‘মত। আপনার আচার-আচরণ, কথা-বার্তা সব কিছুতেই যেন ভালবাসা প্রকাশ পায়। অনেকে আছেন অন্তরে স্ত্রীকে অনেক ভালবাসলেও মুখে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন। ফলে স্ত্রী মনে করেন তার স্বামী তাকে যথাযথভাবে ভালবাসেন না। ফলে তিনি পরকীয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন।

৭. স্ত্রীকে সন্দেহ না করে খোলামেলা কথা বলা ও খোশগল্প করা : পরকীয়া থেকে স্ত্রীকে বাচাঁতে হ’লে স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব হ’ল, স্ত্রীর সাথে খোশগল্প করবে ও কোন বিষয়ে সন্দেহ দেখা দিলে খোলামেলা কথা বলবে। স্বামী যদি বুঝতে পারেন যে, তার স্ত্রী কোন ছেলে বন্ধু বা প্রতিবেশীর প্রতি দুর্বল সেক্ষেত্রে এটা চেপে না রেখে স্ত্রীর সাথে খোলামেলা কথা বলতে হবে। রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) এত ব্যস্ত থাকার পরেও তার স্ত্রীদের সাথে খোশগল্প করতেন ও প্রয়োজনীয় কথা বলতেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন,أَنَّ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا صَلَّى {سُنَّةَ الْفَجْرِ} فَإِنْ كُنْتُ مُسْتَيْقِظَةً حَدَّثَنِى وَإِلاَّ اضْطَجَعَ حَتَّى يُؤْذَنَ بِالصَّلاَةِ. ‘নবী করীম (ছাঃ) যখন (ফজরের সুন্নাত) ছালাত আদায় করতেন, তখন আমি জাগ্রত হ’লে তিনি আমার সাথে কথা বলতেন। অন্যথা তিনি শয্যাগ্রহণ করতেন এবং ফজরের ছালাতের জন্য মুওয়াযযিন না ডাকা পর্যন্ত শুয়ে থাকতেন’।[8]

৮. শারঈ পর্দা বজায় রাখা : পর্দাহীনতা পরকীয়ার অন্যতম কারণ। আবার অনেক স্বামী আছেন, যারা বিয়ের পর কারণে অকারণে স্ত্রীকে নিজের বন্ধু-বান্ধব, চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, খালাতো ও ফুফাতো ভাইদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে দেন। এর ফলে অনেক সময় নিজের অজান্তে তার স্ত্রী তার পরিচিত বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,ثَلاَثَةٌ قَدْ حَرَّمَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى عَلَيْهِمُ الْجَنَّةَ: مُدْمِنُ الْخَمْرِ وَالْعَاقُّ وَالدَّيُّوثُ الَّذِى يُقِرُّ فِى أَهْلِهِ الْخُبْثَ، ‘তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন। লাগাতার শরাব পানকারী, মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান এবং দাইয়ূছ, যে নিজ পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতার সুযোগ দেয়’।[9]

৯. স্ত্রীর সামনে পরিপাটি হয়ে থাকা : স্ত্রীর সামনে নিজেকে সুন্দর পরিপাটি করে রাখাও স্ত্রীকে অন্য পুরুষের আকর্ষণ থেকে বিরত রাখতে পারে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, إِنَّيْ أُحِبُّ أَنْ أتَزَيَّنَ لِامْرَأَتِيْ، كَمَا أُحِبُّ أنْ تَتَزَيَّنَ لِيْ، ‘আমি আমার স্ত্রীর জন্য সুসজ্জিত হ’তে ঐরূপ পসন্দ করি যেভাবে আমার জন্য তার সুসজ্জিত হওয়া পসন্দ করি’।[10]

১০. স্ত্রীর দোষ-ক্রুটি ক্ষমা করা : মানুষ হিসাবে সকলের ছোট-খাট ভুল হ’তে পারে। স্বামী হিসাবে স্ত্রীর প্রতিটি কাজে ভুল ধরলে সে বিরক্ত হয়ে বিকল্প তালাশ করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,إِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلْعٍ وَإِنَّكَ إِنْ تُرِدْ إِقَامَةَ الضِّلْعِ تَكْسِرْهَا فَدَارِهَا تَعِشْ بِهَا، ‘নিশ্চয়ই মহিলাদের সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড্ডি থেকে। যদি তুমি পাঁজরের হাড্ডিকে সোজা করতে চাও তাহ’লে তাকে ভেঙ্গে ফেলবে। সুতরাং তার সাথে উত্তম আচরণ কর ও তার সাথে বসবাস কর’।[11]

১১. স্ত্রীর আচার-আচরণের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা : স্বামী পরিবারের প্রধান হিসাবে পরিবারের সব বিষয়ের প্রতি নযর রাখবেন। বিশেষ করে স্ত্রীর ভাল-মন্দ আচরণ, কোন বিষয়ে সন্দেহ হ’লে তাকে উত্তম উপদেশের মাধ্যমে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। বিদায় হজ্জের দিন রাসূল (ছাঃ) বলেন,اسْتَوْصُوْا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّمَا هُنَّ عِنْدَكُمْ عَوَانٌ. لَيْسَ تَمْلِكُوْنَ مِنْهُنَّ شَيْئًا غَيْرَ ذَلِكَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِيْنَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ، ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে উত্তম নছীহত প্রদান কর। কেননা তারা তোমাদের কাছে বন্দী। উত্তম আচরণ ছাড়া তাদের উপর তোমাদের কোন অধিকার নেই। তবে যদি তারা প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হয় (তাহ’লে ভিন্ন কথা)’।[12]

১২. স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা পূরণ করা : দাম্পত্য জীবনের প্রধান দায়িত্ব হ’ল- স্বামী-স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা পূরণ করা। এটা স্বামীর নিকটে স্ত্রীর হক। তাই এ বিষয়ে যত্নবান হওয়া যরূরী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নফল ইবাদতের চেয়েও এ হক্বকে গুরুত্ব দিয়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আছ (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে রাসূল (ছাঃ) বলেন,فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، ‘তোমার উপর তোমার শরীরের হক রয়েছে, তোমার উপর তোমার চোখের হক রয়েছে এবং তোমার উপর তোমার স্ত্রীরও হক রয়েছে’।[13] আবুদ্দারদা (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে রাসূল (ছাঃ) বলেন,إِنَّ لِنَفْسِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِرَبِّكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِضَيْفِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لأَهْلِكَ عَلَيْكَ حَقًّا فَأَعْطِ كُلَّ ذِىْ حَقٍّ حَقَّه، ‘তোমার উপর তোমার দেহের হক আছে, তোমার রবের হক আছে, মেহমানের হক আছে এবং তোমার পরিবারের হক আছে। অতএব প্রত্যেক হকদারকে তার প্রাপ্য হক প্রদান কর’।[14]

১৩. নিজ বাড়ী ছাড়া অন্যত্র রাত্রি যাপন করতে না দেওয়া : বিনা প্রয়োজনে একজন স্ত্রী স্বামীর বাড়ী ছাড়া অন্য স্থানে রাত্রি যাপন করবে না। তালাকের পর ইদ্দত পালনকালেও স্ত্রীকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া যাবে না। আল্লাহ বলেন,لاَ تُخْرِجُوْهُنَّ مِنْ بُيُوْتِهِنَّ وَلاَ يَخْرُجْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِيْنَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ، ‘তোমরা তাদেরকে তোমাদের বাড়ী-ঘর থেকে বের করে দিও না এবং তারাও বের হবে না। যদি না তারা কোন স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়’ (তালাক্ব ৬৫/১)। হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ্ আল-কুশায়রী (রহঃ) তাঁর পিতা হ’তে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! স্ত্রীগণ আমাদের ওপর কি অধিকার রাখে? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি যখন খাও, তখন তাকেও খাওয়াও; তুমি পরলে তাকেও পরিধান করাও, (প্রয়োজনে মারতে হ’লে) মুখমন্ডলে আঘাত করো না, তাকে গালি দিও না, (প্রয়োজনে তাকে ঘরে বিছানা পৃথক করতে পার), কিন্তু বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র একাকিনী অবস্থায় রাখবে না’।[15]

১৪. স্ত্রী অসুস্থ হ’লে সেবা করা : অনেক স্বামী মনে করেন তারা অসুস্থ হ’লে স্ত্রীরা তাদের সেবা করবে কিন্তু স্ত্রী অসুস্থ হ’লেও যে স্বামীকে তার সেবা করতে হবে এটা ভুলে যান। অথচ ইসলামের নির্দেশ হ’ল স্ত্রী অসুস্থ হ’লে তাকে সেবা করা। এমনকি রাসূল (ছাঃ) ইসলামের প্রথম জিহাদ বদর যুদ্ধেও ওছমান (রাঃ)-এর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় যুদ্ধ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন।[16]

১৫. একাধিক স্ত্রী থাকলে ইনছাফ করা : ইসলাম একজন সামর্থ্যবান পুরুষকে চারটি পর্যন্ত বিবাহের অনুমতি দিয়েছে (নিসা ৪/৩)। কারো একাধিক স্ত্রী থাকলে সকলের প্রতি ইনছাফ করতে হবে। অর্থাৎ সকলের প্রতি সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্যথা অবহেলিত স্ত্রী পরকীয়ার মত জঘন্য সম্পর্কের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। আল্লাহ পুরুষদের প্রতি স্ত্রীদের মধ্যে সমতা বিধানের নির্দেশ দিয়ে বলেন,وَلَنْ تَسْتَطِيْعُوْا أَنْ تَعْدِلُوْا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلاَ تَمِيْلُوْا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ وَإِنْ تُصْلِحُوْا وَتَتَّقُوْا فَإِنَّ اللهَ كَانَ غَفُوْرًا رَحِيْمًا- ‘তোমরা যতই আগ্রহ পোষণ কর না কেন তোমরা কখনো স্ত্রীদের প্রতি সম ব্যবহার করতে পারবে না। তবে তোমরা কোন একজনের দিকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড় না ও অপরকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখ না। যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর ও সাবধান হও তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (নিসা ৪/১২৯)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন,مَنْ كَانَ لَهُ امْرَأَتَانِ يَمِيْلُل إِحْدَاهُمَا عَلَى الأُخْرَى جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَحَدُ شِقَّيْهِ مَائِلٌ- ‘যার দু’জন স্ত্রী আছে, আর সে তাদের একজনের চেয়ে অপরজনের প্রতি অধিক ঝুঁকে পড়ে, সে ক্বিয়ামতের দিন তার (দেহের) এক পার্শ্ব পতিত অবস্থায় আগমন করবে’।[17] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,إِذَا كَانَ عِنْدَ الرَّجُ لِامْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ سَاقِطٌ، ‘যে ব্যক্তির দু’জন স্ত্রী আছে সে যদি তাদের মধ্যে সমতা না রাখে তবে ক্বিয়ামতের দিন সে তার দেহের এক পার্শ্ব পতিত (বিকলাঙ্গ) অবস্থায় আগমন করবে’।[18]

স্বামীকে পরকীয়া থেকে বাঁচানোর উপায়

একজন আদর্শ স্ত্রী তার স্বামীকে যথাসাধ্য পাপ থেকে বিরত রাখবেন। নিজের অধিকার যথাযথ রক্ষা ও নিজের স্বামীকে পরকীয়া থেকে বাচাঁনোর জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করবেন। সেক্ষেত্রে স্ত্রী নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারেন।-

১. স্বামীর রাগের সময় ধৈর্যধারণ করা : স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার মধ্যে অনেক সময় স্বামী রাগের মাথায় স্ত্রীকে মারধর করেন। এমনকি তালাকের মত ঘটনাও ঘটে যায়। এমতাবস্থায় স্ত্রী যদি ধৈর্যধারণ করেন এবং নিজের দোষ থাকলে স্বীকার করেন তাহ’লে অনেক সময় স্বামীকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করা যায়। সেই সাথে অন্য মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া থেকে বাচাঁনো যায়। নবী করীম (ছাঃ) বলেন,وَنِسَاؤُكُمْ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ الْوَدُودُ الْعَؤُودُ عَلَى زَوْجِهَا، الَّتِي إِذَا غَضِبَ جَاءَتْ حَتَّى تَضَعَ يَدَهَا فِي يَدِهِ، ثُمَّ تَقُولُ: لَا أَذُوْقُ غَمْضًا حَتَّى تَرْضَى، ‘তোমাদের জান্নাতী স্ত্রীরা হ’ল যে অধিক প্রেমময়ী, সন্তানদানকারিণী, ভুল করে বার বার স্বামীর নিকট আত্মসমর্পণকারিণী, যার স্বামী রাগ করলে সে তার নিকট এসে তার হাতে হাত রেখে বলে, আপনি রাযী না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাব না’।[19]

২. নিজেকে স্বামীর জন্য আকর্ষণীয় করে রাখা : একজন আদর্শ স্ত্রীর অন্যতম দায়িত্ব হ’ল নিজের সকল ভালবাসা স্বামীর জন্য উজাড় করে দেওয়া। তার জন্য নিজেকে আকর্ষণীয় করে রাখা। এর মাধ্যমেই একজন পুরুষকে পরকীয়া থেকেও বাচাঁনো যায়। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন,أَلاَ أُخْبِرُكَ بِخَيْرِمَا يَكْنِزُ الْمَرْءُ الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ إِذَا نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ وَإِذَا أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ وَإِذَاغَابَ عَنْهَا حَفِظَتْهُ، ‘আমি কি তোমাকে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ সম্পর্কে অবহিত করব না? তা হ’ল, নেককার স্ত্রী। সে (স্বামী) তার (স্ত্রীর) দিকে তাকালে স্ত্রী তাকে আনন্দ দেয়, তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা মেনে নেয় এবং সে যখন তার থেকে অনুপস্থিত থাকে, তখন সে তার সতীত্বের হেফাযত করে’।[20] অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন,خَيْرُ النِّسَاءِ تَسُرُّكَ إِذَا أَبْصَرْتَ وَتُطِيْعُكَ إِذَا أَمَرْتَ وَتَحْفَظُ غَيْبَتَكَ فِيْ نَفْسِهَا وَمَالِكَ، ‘উত্তম স্ত্রী সে, যার দিকে তুমি তাকালে তোমাকে আনন্দিত করে, তুমি নির্দেশ দিলে তা পালন করে, তোমার অনুপস্থিতিতে তার নিজেকে ও তোমার সম্পদ হেফাযত করে’।[21]

ঘরের বাইরে নারীদের সুগদ্ধি ব্যবহার করার অনুমতি না থাকলেও নিজেদের ঘরে স্বামীর জন্য কসমেটিক ব্যবহার করতে পারবেন এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবেন। যার গন্ধ গায়র মাহরাম পাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, পুরুষের জন্য সুগন্ধি যাতে রং নেই এবং নারীর জন্য রং যাতে সুগন্ধি নেই। রাবী সাঈদ বিন আবু ‘আরূবাহ বলেন, আমি মনে করি যে, এর দ্বারা তারা অর্থ নিতেন, যখন নারী বাইরে যাবে। কিন্তু যখন সে তার স্বামীর কাছে থাকবে, তখন যা খুশী সুগন্ধি ব্যবহার করবে’।[22]

৩. স্বামীর সঙ্গে থাকা : স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের পোষাক স্বরূপ (বাক্বারাহ ২/১৮৭)। বিশেষ কারণ ছাড়া স্বামীর সাথেই স্ত্রী থাকবে এটাই রীতি (বাক্বারাহ ২/৩৫)। পরকীয়া থেকে স্বামীকে বাচাঁতে হ’লে একজন স্ত্রীর প্রধান দায়িত্ব হ’ল স্বামীর সাথে থাকা। কারণ বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য হ’ল নিজের ইয্যত-সম্ভ্রম হেফাযত করা এবং গোনাহের কাজ থেকে নিজেকে রক্ষা করা।

৪. স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া : স্বামীকে পরকীয়া থেকে বাচাঁনোর অন্যতম উপায় হ’ল তার জৈবিক চাহিদা পূরণ করা। ইসলাম এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا الْمَلَائِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ، ‘কোন লোক যদি নিজ স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে আর সে অস্বীকার করে এবং সে ব্যক্তি স্ত্রীর উপর রাগান্বিত হয়ে রাত্রি যাপন করে, তাহ’লে ফেরেশতাগণ এমন স্ত্রীর উপর সকাল পর্যন্ত লা‘নত করতে থাকে’।[23]

৫. অল্পেতুষ্ট থাকা : স্বামীর সামর্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের উচিত অল্পেতুষ্ট থাকা এবং স্বামীকে সৎপথে থাকার উপদেশ দেওয়া। এতে স্বামী স্ত্রীর প্রতি সন্তষ্ট থাকবে ও পরকীয়া থেকে বিরত থাকবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,عَلَيْكُمْ بِالْأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَعْذَبُ أَفْوَاهًا وَأَنْتَقُ أَرْحَامًا وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ ‘তোমরা কুমারী নারী বিয়ে কর, কেননা কুমারী রমণীর মুখের মধুময়তা বেশী, অধিক গর্ভধারণযোগ্য এবং অল্পেতুষ্টির অধিকারী।[24] ছাওবান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! যদি আমরা জানতাম কোন সম্পদ উত্তম, তাহ’লে তা জমা করে রাখতাম। তখন তিনি বললেন, তোমাদের কারো শ্রেষ্ঠ সম্পদ হ’ল আল্লাহর যিকিরকারী জিহবা, কৃতজ্ঞ অন্তর ও মুমিনা স্ত্রী; যে তার (স্বামীর) ঈমানের (দ্বীনের) ব্যাপারে সহযোগিতা করে’।[25]

৬. গৃহে নিজের কাজ নিজে করা : একান্ত যরূরী প্রয়োজন ছাড়া নিজের কাজ নিজে করাই উত্তম। এতে সংসার, ছেলে-মেয়ে যেমন সুন্দরভাবে লালিত-পালিত হবে তেমনি স্বামীকে বেশী সময় দেয়া যাবে ও পরনারী থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। কারণ অনেক সময় স্ত্রী কাজের প্রয়োজনে বাইরে গেলে আর ঘরে কাজের মেয়ে আসলে স্বামী তার সাথেও পরকীয়ায় লিপ্ত হ’তে পারেন। নবী করীম (ছাঃ)-এর স্ত্রীরা ও মেয়েরা নিজের কাজ নিজেরাই করতেন। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ফাতেমা (রাঃ) চাক্কি ঘুরাতে গিয়ে তার হাতে ব্যথা অনুভব করলেন। তখন নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে বন্দি এসেছিল। তাই তিনি বন্দি হ’তে একজন খাদেমের জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে গেলেন। কিন্তু তাকে পেলেন না। তিনি আয়েশা (রাঃ)-এর সাথে দেখা করে তাকে ব্যাপারটি অবহিত করলেন। অতঃপর যখন নবী করীম (ছাঃ) আগমন করলেন তখন আয়েশা (রাঃ) তাঁর নিকট ফাতেমা (রাঃ)-এর আগমনের বিষয়টি অবহিত করলেন।

অতঃপর নবী করীম (ছাঃ) আমাদের নিকট আসলেন। এমন সময় আমরা আমাদের শয্যাগ্রহণ করেছিলাম। আমরা উঠতে লাগলাম। রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘তোমরা তোমাদের যথাস্থানে থাকো। অতঃপর তিনি আমাদের দু’জনের মাঝে বসলেন। এমনকি আমি তার পা মুবারকের শীতলতা আমার সীনার মধ্যে অনুভব করলাম। অতঃপর তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের এমন বিষয় শিখিয়ে দিব না, যা তোমাদের প্রার্থিত বস্তর চেয়ে উত্তম? যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করবে তখন ৩৪ বার আল্লাহু আকবার, ৩৩ বার সুবহা-নাল্ল-হ’ এবং ৩৩ বার আলহামদুলিল্লা-হ’ পড়ে নিবে। এটি তোমাদের জন্যে খাদেমের চেয়ে উত্তম হবে’।[26]

পরিশেষে বলব, পরকীয়া থেকে বাঁচতে পরিবারে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে হবে এবং যথার্থ আল্লাহভীরু হ’তে হবে। আল্লাহ সবাইকে এই জঘন্য পাপ থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দিন-আমীন!


[1]. মুসনাদে আহমাদ হা/২১৫৭০; ছহীহুত তারগীব হা/২৩৯৪; মিশকাত হা/৬১।

[2]. বুখারী হা/২৯৮৯; তিরমিযী হা/১৯৭০; মিশকাত হা/১৮৯৬, ১৯১০।

[3]. মুসলিম (হা. এ) হা/১৪৬৮; (ই.ফা) ৩৫০৮।

[4]. বুখারী হা/৬৭৬; তিরমিযী হা/৩৮০৭।

[5]. বুখারী হা/৪৯৫৩, ২৭৩২।

[6]. মুসলিম হা/৯৩; তিরমিযী হা/২৬৮৮; আবু দাউদ হা/৫১৯৩; মিশকাত হা/৪৬৩১।

[7]. তিরমিযী হা/২৬৯৮; ছহীহুত তারগীব হা/১৬০৮; ইরওয়া হা/২০৪১।

[8]. বুখারী হা/১১৬১।

[9]. আহমাদ, নাসাঈ; মিশকাত হা/৩৬৫৫।

[10]. তাফসীরে কুরতুবী ৫/৯৭; তাফসীরে ত্ববারী, ৪/৫৩২।

[11]. আহমাদ হা/২০১০৫; ছহীহুল জামে‘ হা/১৯৪৪।

[12]. তিরমিযী হা/১১৬৩; ইবনু মাজাহ হা/১৮৫১; ছহীহুল জামে‘ششش হা/৭৮৮০।

[13]. বুখারী হা/১৯৭৫; মিশকাত হা/২০৫৪।

[14]. বুখারী হা/৬১৩৯; তিরমিযী হা/২৪১৩।

[15]. আবূ দাঊদ হা/২১৪২; ইবনু মাজাহ হা/১৮৫০; আহমাদ হা/২০০১৩; ইরওয়া হা/২০৩৩; ছহীহুত তারগীব হা/১৯২৯।

[16]. বুখারী হা/৩১৩০, ৩৬৯৮।

[17]. আবূদাউদ হা/২১৩৩; নাসাঈ হা/৩৯৪২; ইবনে মাজাহ হা/১৯৬৯।

[18]. তিরমিযী হা/১১৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৬১; মিশকাত হা/৩২৩৬।

[19]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৮৩৫৮; ছহীহাহ হা/২৮৭।

[20]. আবু দাউদ হা/১৬৬৪; ছহীহুল জামে‘ হা/১৬৪৩।

[21]. ছহীহুল জামে‘ হা/৩২৯৯।

[22]. আবুদাঊদ হা/৪০৪৮; তিরমিযী হা/২৭৮৭; নাসাঈ হা/৫১১৭; মিশকাত হা/৪৩৫৪।

[23]. বুখারী হা/৩২৩৭; মুসলিম হা/১৪৩৬।

[24]. ইবনু মাজাহ হা/১৮৬১; ছহীহাহ হা/৬২৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০৫৩।

[25]. তিরমিযী হা/৩০৯৪; ছহীহুত তারগীব হা/১৪৯৯; ইবনু মাজাহ হা/১৮৫৬।

[26]. মুসলিম হা/২৭২৭।






বিষয়সমূহ: পাপ
পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব (পূর্ব প্রকাশিতের পর) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ : একটি পর্যালোচনা - কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী
ক্বলব : মানব দেহের রাজধানী - খাইরুল ইসলাম বিন ইলইয়াস
আকাশের দরজাগুলো কখন ও কেন খোলা হয়? (৩য় কিস্তি) - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
ভয়াবহ দূষণ, বিপর্যস্ত জীবন! - মুহাম্মাদ আব্দুছ ছবূর মিয়া, ঝিনাইদহ
নজরুলের কারাজীবন ও বাংলা সাহিত্যে জাতীয় চেতনার উন্মেষ - অধ্যাপক এনায়েত আলী বিশ্বাস
জুম‘আর পূর্বে সুন্নাতে রাতেবা : একটি পর্যালোচনা (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
একটি ঐতিহাসিক রায়ের ইতিবৃত্ত - রেযাউল করীম
জান্নাত লাভের কতিপয় উপায় (প্রথম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
নববী চিকিৎসা পদ্ধতি (৩য় কিস্তি) - কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী
মুসলিম শিশুর জন্ম পরবর্তী করণীয় - মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদ
দান-ছাদাক্বার আদব সমূহ - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আরও
আরও
.