দেখতে
দেখতে করোনাকালের ছয় মাস চলে গেল। মৃত্যুর মিছিলে ইতিমধ্যে যোগদান করেছে
পাঁচ লক্ষাধিক বনু আদম। আক্রান্ত হয়েছে এক কোটিরও বেশী। আক্রান্তের হার এক
দেশে কমছে তো অন্য দেশে বাড়ছে। প্রথমে কিছুটা কম প্রাদুর্ভাব থাকা দক্ষিণ
এশিয়ায় হঠাৎ করেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেছে। কোথায় এর শেষ কেউ জানে না।
চারিদিকে বাড়ছে হতাশার অমানিশা। অনিশ্চয়তায় ডুবে গেছে ভবিষ্যতের সকল ভাবনা।
সবাই অধীর অপেক্ষায় রয়েছে যাবতীয় শংকা আর উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে কবে ফিরবে
সুদিন। পৃথিবী আবার কবে ফিরবে তাঁর আপন চেহারায়।
করোনার এই মহাবিপদকাল আমাদের চোখ খুলে দেখিয়ে দিয়েছে পৃথিবীর অমোঘ বাস্তবতা। মানবতার এই চরম দুঃসময় মানুষের ভেতরটা একদম নগ্ন করে প্রকাশ করে দিয়েছে। বিপদে পড়লে যে কেউ কারো নয়, তার চাক্ষুষ প্রমাণ আমরা নিত্যই দেখছি করোনার এই দুর্যোগকালে। আতঙ্কের মধ্যে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, স্বামী-স্ত্রী, পিতামাতা-সন্তান সব সম্পর্কগুলো মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে। মানুষ অমানুষ হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে প্রতিনিয়ত জনসাধারণকে মানবিক আচরণ বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অবশ্য এর বিপরীতে এমন অনেক দৃষ্টান্ত মিলছে যেখানে মানবিক দায়বদ্ধতা নিয়ে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা মানুষের মনে আস্থা ও প্রশান্তির অনাবিল সুবাতাস যুগিয়েছে। মানবসভ্যতা বোধহয় আরও বহুদিন ইনশাআল্লাহ টিকে থাকবে কেবল এই মহানুভব মানুষগুলোর জন্যই। এভাবে কখনও মানবতার মর্মন্তুদ পরাজয়, কখনও মহত্তম বিজয়ের দোলাচলে যাপিত হচ্ছে আমাদের করোনাকালের নিত্যদিন।
করোনাকালে আমাদেরকে সবচেয়ে ভাবিত করেছে মানবতার পরাজয়ের সকরুণ দৃশ্যগুলো। শিক্ষা-দীক্ষা, সমাজ-সভ্যতা, আধুনিকতা কোন কিছুই আমাদের ভেতরকার পাশবিকতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারছে না। মানুষ যে বিপদের সময় তার সর্বাধিক প্রিয় মানুষগুলোকেও এভাবে অবহেলায়, অনাদরে ছুঁড়ে ফেলতে পারে, তা করোনা না এলে হয়ত জানা হ’ত না। যে দৃশ্যগুলো কেবল কঠিন কিয়ামত দিবসের কথা ভেবে আমরা কল্পনা করতাম, তা আজকের পৃথিবী জুড়ে চাক্ষুষ বাস্তবতা। সুবহানালাহ! কিয়ামত দিবস সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এসেছে, ‘সেদিন মানুষ পলায়ন করবে নিজের ভাইয়ের কাছ থেকে, নিজের মাতা-পিতার কাছ থেকে, স্ত্রী ও সন্তান থেকে। সেদিন প্রত্যেকেরই এমন গুরুতর বিপদ থাকবে যা নিয়ে সে ব্যতিব্যস্ত থাকবে’ (আবাসা ৩৪-৩৭)। সে এতটাই দুশ্চিন্তামগ্ন থাকবে যে, নিজের সবচেয়ে নিকটতম আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব থেকেও অমুখাপেক্ষী ও বেপরোয়া হয়ে যাবে। কেউ কারো প্রতি ভ্রূক্ষেপ করার মত অবস্থায় থাকবে না। যে মানুষ আখেরাতের তুলনায় অতীব তুচ্ছ বিপদে এভাবে পরম আত্মজনকে ছেড়ে যেতে পারে, কিয়ামতের ভয়াবহ বিপদকালে তার অবস্থা কী হ’তে পারে তা বলাই বাহুল্য। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দৃশ্যপটের বাস্তবতা আমরা তাই প্রতিনিয়তই অনুভব করছি। সৌভাগ্যক্রমে আমরা অদ্যাবধি এই দৃশ্যগুলোর অংশ নই। কেউ এর অংশ হোক তা পরম শত্রুর জন্যও কাম্য নয়।
আমরা দেখেছি করোনায় আক্রান্ত শিশু সন্তানকে রংপুর মেডিকেল থেকে ঢাকায় ট্রান্সফারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মেডিকেল থেকে স্ট্রেচারে এ্যাম্বুলেন্সে তুলতে হবে, এটুকুর জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সন্দেহভাজন মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর দায়ে একজন হাফেযকে মারধর করেছে স্থানীয় জনগণ। সিরাজগঞ্জের সন্দেহভাজন করোনা উপসর্গের রোগী বহনের দায়ে নৌকায় দেয়া হয়েছে আগুন আর মাঝিকে পিটুনি।
জামালপুরে জনৈক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে নিজ যেলায় লাশ নিয়ে এলে এলাকাবাসী দাফনে বাধা দেয়। পরে ঢাকা থেকে একটি বেসরকারী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক দল এসে সেই ব্যক্তির কবর খোঁড়ে এবং জানাযা পড়ায়। এখানেই শেষ নয়, সেই ব্যক্তির দাফনের পর তার স্ত্রী ও সন্তানকে গ্রামবাসী তালা দিয়ে আটকে রাখে। কোন আত্মীয়-স্বজনকে তার বাড়ির ত্রিসীমানায় আসতে দেয়নি। মৃত ব্যক্তির বাড়িতে খাবার দেয়ার নিয়ম প্রতিবেশীদের। সেই সুযোগও দেয়া হয়নি। অনাহারী সেই পরিবারটি প্রতিবেশী কয়েকজনকে বাজার করে দেয়ার অনুরোধ করলে, তখন তাদেরকেও হুমকি দেয়া হয়ে যে, কেউ বাজার করে দিলে তাদেরকেও ঘরে তালা মেরে দেয়া হবে। অবশেষে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এর সুরাহা হয় বটে; কিন্তু পরিবারটিকে একঘরেই করে রাখা হয়। তাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও গ্রামবাসী তা বিশ্বাস করেনি। পরিবারের কর্মক্ষম মানুষটির মৃত্যুবরণে তাদের শোকাহত হওয়ারও অধিকার ছিল না। মানুষ তাদের সান্ত্বনা দেয়া তো দূরের কথা, কেউ তাদের সাথে কথাও বলেনি। এই পরিবারটি জানে না মানুষ কি আগে থেকে এরকম অমানবিকই ছিল, নাকি এখন করোনার কারণে হয়েছে।
ফেনীর সোনাগাজীতে অবতারণা হয় আরো বীভৎস দৃশ্যের। জনৈক সাহাবুদ্দীন (৫৫) চট্টগ্রাম থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে গ্রামে ফিরেন। কয়েকদিন পর হাসপাতালে নমুনা দিয়ে দুপুরে বাড়ী ফেরার পর পরিবারের লোকজন তাকে একটি ঘরে একা রেখে বাহির থেকে দরজায় ছিটিকিনি লাগিয়ে রাখে। দেয়া হয়নি দুপুরের খাবার। বিকেলে তার শ্বাসকষ্ট ও কাশি বেড়ে যায়। এসময় তিনি চিৎকার করে খাবার চাইলেও কেউ দেয়নি। পানি চেয়েও পায়নি। বাড়িতে ছিল তার স্ত্রী, তিন কন্যা, তিন জামাতা ও ছোট ছেলে। ছেলেটি বাবার সাহায্যে এগিয়ে যেতে চাইলে বোনেরা বাধা দেয়। এভাবে ঘরবন্দী অবস্থায় চিৎকার করতে করতে রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। অবশেষে ছোট ছেলের চিৎকার শুনে রাত একটার দিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান এগিয়ে আসেন এবং দাফনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দাফনের জন্য স্থানীয় মসজিদের খাটিয়া দিতে অস্বীকার করা হয়। এমনকি কবর খোঁড়ার জন্য কোদালও দেয়নি কেউ।
গাজীপুরের এক মাকে তার নিজ সন্তানরা করোনা আক্রান্ত সন্দেহে গাড়িতে করে এনে টাঙ্গাইলের শফিপুরের জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে এবং সেই মায়ের করোনা টেস্ট নেগেটিভ এসেছিল। অন্যদিকে এক পিতা-মাতা তাদের চৌদ্দ বছরের সন্তানকে কিছু টাকা, পানি আর পাউরুটি দিয়ে রাতের আঁধারে বাঁশঝাড়ে ফেলে পালায় চট্টগ্রামের লোহাগড়ায়। ফজরের পর এক বৃদ্ধাকে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরানো অবস্থায় দেখতে পেলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। দুনিয়াতে পিতা-মাতাই মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। তারাই যদি সন্তানকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে, তবে পরিস্থিতি কতটা অমানবিক পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে তা কল্পনা করা যায়? অনুরূপভাবে বগুড়ায় ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে করোনা সন্দেহে তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের করে দেয় বৃষ্টিভেজা রাতে। বৃদ্ধের ছেলে-মেয়েরা নীরবে সে দৃশ্য দেখলেও তাদের অন্তরে মায়া হয়নি। পরে পুলিশ তাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে।
এছাড়া এই হাসপাতাল সেই হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এমন রোগীর সংখ্যা অগণিত। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে ভাড়াটিয়ারা বাড়িতে ঢুকতে দিতে চাইছেন না বা বাড়ি ছাড়ার জন্য নোটিশ দিয়েছেন এমন উদাহরণের তো কোন অভাব নেই। এমনকি এক স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়িতে সারারাত ঢিল ছুঁড়ে তার পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা চালিয়েছিল তার প্রতিবেশীরা। হাসপাতালে বাবার লাশ রেখে ছেলেরা পালিয়েছে, রাতের গভীরে নাম-পরিচয়হীন লাশ রাস্তায় পড়ে থাকছে, জানাযা-দাফনের জন্য পরিবারের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না, এমন খবর পাওয়া গেছে হরহামেশাই। এছাড়া খবরের বাইরেও রয়েছে এমন বহু খবর। এপ্রিলের পত্রিকাগুলো তো সরগরম ছিল ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরদের চাউল/ত্রাণসামগ্রী চুরির ধারাবাহিক প্রতিবেদনে।
মানবতার এমনতরো করুণ বিপর্যয়দৃশ্য দেখার পাশাপাশি আমরা দেখেছি নিজের জীবন বিপন্ন করে ডাক্তার, পুলিশসহ বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল ও সাধারণ মানুষ কীভাবে মানুষের কল্যাণে এগিয়ে এসেছে। আমাদের চোখ অশ্রুসজল হয়েছে যখন দেখেছি শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপযেলার অশীতিপর বৃদ্ধ ভিক্ষুক নাজীমুদ্দীন নিজের বাড়ি বানানোর জন্য জমানো দশ হাযার টাকা করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র মানুষের সেবায় দান করেছেন। আমাদের উজ্জীবিত করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খোরশেদ ও তার বাহিনী কর্তৃক শতাধিক লাশ দাফনের কাহিনী, যে লাশগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনরা পর্যন্ত দাফন করতে রাজি হয়নি করোনার ভয়ে। দেশের প্রতিটি প্রান্তে গোচরে-অগোচরে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং হৃদয়বান ব্যক্তিরা সাধ্যমত অভাবী মানুষের দুয়ারে খাদ্য ও অন্যান্য সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছে। মানুষ মানুষের জন্য-এই মহানব্রতকে অক্ষুণ্ণ রেখে এবং আলাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এভাবে বহু মানুষ যাবতীয় বিপদাপদকে তুচ্ছ করে সমাজসেবার ময়দানে তৎপর ছিলেন মাশাআলাহ। আমরা তাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা। আলাহ তাদের এই মহান খেদমত কবুল করুন। আমীন!
করোনার এই বিপর্যয়কাল আর কতদিন দীর্ঘায়িত হবে তা আমরা জানি না। হয়তবা মুক্তির দিন সন্নিকটে কিংবা দূরে। তবে মানবতার জয়-পরাজয়ের যে চাক্ষুষ দৃশ্য আমাদের সামনে প্রতিভাত হয়েছে তা নিশ্চয়ই বর্তমান প্রজন্মের হৃদয়কন্দরে গভীর চিন্তার খোরাক যোগাবে। এই প্রজন্ম যুদ্ধ দেখেনি, সামষ্টিক কোন সংগ্রামের দৃশ্য দেখেনি, কিন্তু দেখেছে করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত বিশ্ব। এ এমন এক ক্রান্তিকাল, যুগান্তরের ইতিহাসে যার কোন তুলনা নেই। দৃশ্যমান কোন শত্রু ছাড়াই যে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি প্রান্ত এভাবে অজানা আতংকে স্থবির ও নিস্তব্ধ হ’তে পারে, তার কোন উদাহরণ আমাদের জানা নেই। একটি বিশ্বযুদ্ধও বোধহয় এতটা প্রলয়ংকরী হ’তে পারত না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য উন্নতির এই যুগে এই অচিন্তনীয় ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে, মানবজাতি প্রকৃতই কতটা অসহায়, কতটা পরমুখাপেক্ষী। কেবল স্বাস্থ্যব্যবস্থাই নয়, গোটা বিশ্বব্যবস্থাই যেন ওলট-পালট হয়ে গেছে সামান্য অদৃশ্য অণুজীব মোকাবিলার ব্যর্থতায়। জাতিসংঘের মহাসচিব আফসোস করে বলেছেন, ‘এটা একেবারে সত্য যে এখন বিশ্বে নেতৃত্বের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশ্ব নেতৃত্বে আরও বেশী বিভত্তি দেখা দিয়েছে, যা চরম উদ্বেগের বিষয়’। এই ব্যর্থতা নিশ্চয়ই বিশ্ব মানবসমাজকে আপন সীমাবদ্ধতাকে নতুনভাবে উপলব্ধি করার সুযোগ দেবে। সীমালংঘনের পর সীমালংঘন করে যারা নিত্যই তৃপ্তির ঢেকুর তুলছিল, তারা তাদের পরিণতির কথা নিশ্চয়ই ভাববে। যারা অর্থ-বিত্ত ও আর ক্ষমতার মিথ্যা মোহে জীবনপাত করে চলেছিল, তারা জীবনের উল্টো পিঠ থেকে নিশ্চয়ই শিক্ষা নেবে। অন্যায়-অবিচার ছিল যাদের দৈনন্দিন বিনোদনের অংশ, এই রুঢ় অভিঘাত তাদের মাঝে নতুন জীবনবোধের উন্মেষ ঘটাবে। আর এই মহৎ উপলব্ধি থেকেই হয়ত জন্ম নেবে মানবতাবোধের নয়া সবক। যে সবক মানুষকে মানুষের প্রতি অধিকতর সহমর্মী করে তুলবে। অর্থহীন হিংসা-হানাহানির পথ ছেড়ে অর্থপূর্ণ মানবিক জীবনের পথে পরিচালিত করবে। আর এই পথ ধরেই তারা একদিন মহান স্রষ্টার প্রতি আত্মসমর্পণের চিরন্তন বার্তাকে প্রাণ উজাড় করে স্বাগত জানিয়ে ধন্য হবে। এটাই হোক আমাদের সর্বাঙ্গীন কামনা। আল্লাহ রববুল ‘আলামীন আমাদেরকে করোনাকালে মানবতার এই সবক নতুনভাবে গ্রহণ করার তাওফীক দান করুন। যাবতীয় অমানবিকতা ও পাপ-পঙ্কিলতার গহীন অন্ধকার থেকে সত্য ও সুন্দরের আলোকময় পথে পরিচালিত করুন। আমীন!