পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব  

মসজিদে গমনের আদবসমূহ :

ইতিপূর্বে আমরা মসজিদে গমনের অনেক ফযীলত উল্লেখ করেছি। উক্ত ফযীলতগুলো লাভের জন্য মসজিদে গমনের আদব যথাযথভাবে পালন করা আবশ্যক। নিমেণ কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে মসজিদে গমনের ককিপয় আদব উল্লেখ করা হ’ল-

(১) বিশুদ্ধ নিয়ত করা : আমল কবুল হওয়ার জন্য বিশুদ্ধ নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম। এটা ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত।[1] সুতরাং মসজিদে গমন করা ও ছালাত আদায় করার জন্য নিয়তের বিশুদ্ধতা যরূরী। তাই ছালাতে বের হওয়ার আগে মনে মনে এই নিয়ত করতে হবে যে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, ছওয়াব হাছিলের প্রত্যাশায় মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হচিছ। আবু হুরাইরা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, من أتي المسجد لشيء فهو حظه ‘যে ব্যক্তি মসজিদে কোন কিছু অর্জনের জন্য আসে, তখন সে সেটারই অংশীদার হয়’।[2] 

(২) পবিত্র হয়ে ঘর থেকে বের হওয়া : মসজিদে গমনের অন্যতম আদব হ’ল বাড়ী থেকে পবিত্র হয়ে তথা ওযূ করে মসজিদে যাওয়া। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কেউ যদি অতি উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (ছালাত আদায়ের জন্য) কোন মসজিদে উপস্থিত হয়, তাহ’লে মসজিদে যেতে সে যতবার পদক্ষেপ ফেলবে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একটি নেকী লিখে দেন, তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং একটি করে পাপ মোচন করে দেন। (রাবী মাসউদ রাঃ বলেন) আমরা মনে করি যার মুনাফেকী সর্বজনবিদিত এমন মুনাফেক ছাড়া কেউই জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ছেড়ে দেয় না। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় এমন ব্যক্তি জামা‘আতে উপস্থিত হ’ত, যাকে দু’জন মানুষের কাঁধে ভর দিয়ে এসে ছালাতের কাতারে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হ’ত’।[3]

(৩) ময়লা বা দুর্গন্ধ থেকে দূরে থাকা : মসজিদ পবিত্র স্থান। তাই যে ব্যক্তি মসজিদে আসবে সে অবশ্যই পবিত্র হয়ে আসবে। জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

مَن أكَلَ ثُومًا أوْ بَصَلًا، فَلْيَعْتَزِلْنا، أوْ قالَ: فَلْيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنا، ولْيَقْعُدْ في بَيْتِهِ- 

‘যে ব্যক্তি রসুন বা পিঁয়াজ খায় সে যেন আমাদের হ’তে দূরে থাকে অথবা বললেন, সে যেন আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে। আর নিজ ঘরে বসে থাকে’।[4] অন্য হাদীছে এসেছে, 

مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ الْمُنْتِنَةِ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ الإِنْسُ-

‘যে ব্যক্তি (কাচা) এই দুর্গন্ধময় গাছের (পেঁয়াজ বা রসুনের) কিছু খাবে সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়। কারণ ফেরেশতাগণ কষ্ট পান ঐসব জিনিসে, যেসব জিনিসে মানুষ কষ্ট পায়’।[5] পিঁয়াজ-রসুন খাওয়া নিষেধ নয় এবং রান্না করা পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে আসাও নিষেধ নয়।[6] বর্তমানে যারা মাদকদ্রব্য সেবন করেন ও বিড়ি-সিগারেট পান করেন তাদের মুখ থেকেও দুর্গন্ধ বের হয়। সুতরাং অন্যকে কষ্ট দানকারী এসব হারাম থেকে বিরত থাকা অতীব যরূরী।

(৪) সুন্দর পোষাক পরিধান করা : মসজিদে গমনের অন্যতম আদব হ’ল, সাধ্যমত সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পোষাক পরিধান করা। মহান আল্লাহ বলেন,يَا بَنِيْ آدَمَ خُذُوا زِيْنَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلَا تُسْرِفُوْا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِيْنَ، ‘হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেক ছালাতের সময় সুন্দর পোষাক পরিধান কর। তোমরা খাও ও পান কর। কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালবাসেন না’ (আ‘রাফ ৭/৩১)

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إذَا صَلّى أحَدُكم فليَلبَس ثَوبَيهِ فإنَّ اللهَ أحَقُّ مَنْ تُزُيِّنَ لهُ ‘তোমাদের কেউ যখন ছালাতে দাঁড়াবে সে যেন (সুন্দর) পোষাক পরিধান করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর থেকে সজ্জিত করার হকদার’।[7] 

(৫) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দো‘আ পাঠ করা : মসজিদে যাওয়ার সময় অথবা যে কোন সময় ঘর থেকে বের হ’লেই দো‘আ পাঠ করে বের হবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় বলবে, بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লা-হি ওয়া লা হাওলা ওলা-লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ।অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি), তাঁর উপরে ভরসা করছি। আল্লাহ ব্যতীত কোন ক্ষমতা নেই, কোন শক্তি নেই’। তাকে বলা হবে এটা তোমার জন্য যথেষ্ট হয়ে গেছে, তোমাকে বাঁচানো হয়েছে, তোমাকে সুপথ দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। তখন শয়তান তার কাছ থেকে দূরে চলে যায়। এক শয়তান অপর শয়তানকে বলে, তুমি ঐ ব্যক্তির সাথে কি করতে পার? যাকে সুপথ দেখানো হয়েছে এবং সব রকমের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা হয়েছে’।[8]

উম্মু সালামা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) যখন ঘর থেকে বের হ’তেন তখন বলতেন, 

بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نَزِلَّ أَوْ نَضِلَّ أَوْ نَظْلِمَ أَوْ نُظْلَمَ أَوْ نَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيْنَا

উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লা-হি আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা আন আযিল্লা আও উযাল্লা আও আযলিমা আও উযলামা আও আজহালা আও ইউজহালা ‘আলাইনা।

অর্থ: ‘(বের হচ্ছি) আল্লাহর নামে, আল্লাহর উপর আমি ভরসা করলাম। হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পদস্খলন হ’তে কিংবা পথভ্রষ্টতা হ’তে কিংবা যুলুম করা হ’তে কিংবা অত্যাচারিত হওয়া হ’তে কিংবা অজ্ঞতাবশত কারো প্রতি মন্দ আচরণ হ’তে বা আমাদের প্রতি কারো অজ্ঞতা প্রসূত আচরণ হ’তে’।[9]

(৬) পথে আঙ্গুল না মটকানো : কা‘ব ইবনু উজরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إذا توضأ أحدكم فأحسن وضوءه ثم خرج عامدا إلى المسجد فلا يشبكن يديه فإنه في صلاة، ‘তোমাদের কেউ উত্তমরূপে ওযূ করে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হ’লে সে যেন তার দু’হাতের আঙ্গুল না মটকায়। কেননা সে তখন ছালাতের মধ্যেই থাকে (অর্থাৎ ঐ অবস্থায় তাকে ছালাত আদায়কারী হিসাবেই গণ্য করা হবে)।[10] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ তার গৃহে ওযূ করে, অতঃপর মসজিদে আসে সে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত ছালাতের মধ্যেই থাকে। সুতরাং তুমি এরূপ করবে না। আর তিনি তার আঙ্গুলসমূহ জড়ালেন’।[11] 

(৭) মসজিদে যাওয়ার সময় দো‘আ পাঠ করা : বাড়ী থেকে বের হয়ে মসজিদে যাওয়া পর্যন্ত দো‘আ পাঠ করতে থাকা। এ সময়ে নিম্নোক্ত দো‘আটি প্রনিধানযোগ্য।

اللهمَّ اجعلْ في قلبي نورًا، وفي لساني نورًا، وفي بصري نورًا، وفي سمعي نورًا، وعنْ يميني نورًا، وعنْ يساري نورًا، ومنْ فوقي نورًا، ومنْ تحتي نورًا، ومنْ أمامي نورًا، ومنْ خلفي نورًا، واجعلْ لي في نفسي نورًا، وأَعْظِمْ لي نورًا 

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসা-নী নূরান, ওয়া ফী বাছারী নূরান, ওয়া ফী সাম‘ঈ নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়াসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওক্বী নূরান ওয়া মিন তাহতী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খালফী নূরান, ওয়াজ‘আল লি ফী নাফসী নূরান, ওয়া ‘আ‘যিম লি নূরান।

অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার ডান দিক থেকে নূর দান করুন, আমার বাম দিক থেকে নূর দান করুন, আমার উপর থেকে নূর দান করুন, আমার নীচ থেকে নূর দান করুন, আমার সামনে থেকে নূর দান করুন, আমার পিছন থেকে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন।[12]

(৮) ধীরস্থিরতার সাথে মসজিদে গমন করা : অনেকে রাক‘আত পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করেন, আবার কেউ কেউ দৌড়িয়ে মসজিদে আসেন। এটা মসজিদের আদব নয়। বরং স্বাভাবিক গতিতে আসাই মসজিদের আদব, যদিও জামা‘আত শেষ হয়ে যায়। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

إِذا سَمِعْتُمُ الإقامَةَ، فامْشُوا إلى الصَّلاةِ وعلَيْكُم بالسَّكِينَةِ والوَقارِ، ولا تُسْرِعُوْا، فَما أدْرَكْتُمْ فَصَلُّوْا، وما فاتَكُمْ فأتِمُّوا-

‘যখন তোমরা ইক্বামত শুনতে পাবে, তখন ছালাতের দিকে চলে আসবে, তোমাদের উচিত স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়া করবে না। ইমামের সাথে যতটুকু পাও তা আদায় করবে, আর যা ছুটে যায় তা পূর্ণ করবে’।[13] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

إِذا أُقِيمَتِ الصَّلاةُ، فلا تَأْتُوها تَسْعَوْنَ، وأْتُوها تَمْشُونَ، عَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ، فَما أدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا، وما فاتَكُمْ فأتِمُّوْا،

‘যখন ছালাত শুরু হয়, তখন দৌড়িয়ে ছালাতে আসবে না, বরং হেঁটে ছালাতে আসবে। ছালাতে ধীর-স্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামা‘আতের সাথে ছালাত যতটুকু পাও আদায় কর, আর যা ছুটে গেছে, পরে তা পূর্ণ করে নাও’।[14] 

(৯) আগে আগে ছালাতে আসা : আগে আগে মসজিদে এসে ছালাতের জন্য অপেক্ষা করাই মসজিদের আদব। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,ولو يَعْلَمُونَ ما في التَّهْجِيرِ لاسْتَبَقُوا إلَيْهِ، ‘যদি তারা জানত যে আগে আসার ছওয়াব কী? তবে অবশ্যই তারা তাতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হ’ত’।[15] জুম‘আর ছালাতে আগে আসার গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

مَنِ اغْتَسَلَ يَومَ الجُمُعَةِ غُسْلَ الجَنابَةِ ثُمَّ راحَ، فَكَأنَّما قَرَّبَ بَدَنَةً، ومَن راحَ في السّاعَةِ الثّانِيَةِ، فَكَأنَّما قَرَّبَ بَقَرَةً، ومَن راحَ في السّاعَةِ الثّالِثَةِ، فَكَأنَّما قَرَّبَ كَبْشًا أقْرَنَ، ومَن راحَ في السّاعَةِ الرّابِعَةِ، فَكَأنَّما قَرَّبَ دَجاجَةً، ومَن راحَ في السّاعَةِ الخامِسَةِ، فَكَأنَّما قَرَّبَ بَيْضَةً، فَإِذا خَرَجَ الإمامُ حَضَرَتِ المَلائِكَةُ يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ،

‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন ফরয গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং ছালাতের জন্য (মসজিদে) আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল (তথা আল্লাহর রাস্তায় ছাদাক্বা করল)। পরে ইমাম যখন খুৎবা দেয়ার জন্য বের হন তখন ফেরেশতাগণ যিকর (খুৎবা) শোনার জন্য উপস্থিত হয়ে থাকেন’।[16] আওস ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, 

من غسَّل يومَ الجمعةِ واغتسل، ثم بكَّر وابتكر، ومشى ولم يركبْ، ودنا من الإمام، واستمع، وأنصت، ولم يَلْغُ، كان له بكلِّ خطوةٍ يخطوها من بيتِه إلى المسجدِ، عملُ سَنَةٍ، أجرُ صيامِها وقيامِها،

‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন গোসল করবে এবং করানোর ব্যবস্থা করবে, সকাল সকাল প্রস্ত্তত হবে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যাবে ও ইমামের খুৎবা শুনবে ও চুপ থাকবে, অনর্থক কিছু করবে না, তার জন্য তার বাড়ী থেকে মসজিদ পর্যন্ত প্রত্যেক কদমে এক বছরের আমলের নেকী হবে। অর্থাৎ এক বছর দিনে ছিয়াম পালন এবং রাতে তাহাজ্জুদ পড়ার নেকী হবে’।[17] সুতরাং উক্ত ছওয়াব পাওয়ার জন্য অবশ্যই আগে আগে মসজিদে গমন করতে হবে।

(১০) ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা : রাসূল (ছাঃ) প্রত্যেক ভাল কাজের শুরু ডান দিক দিয়ে করতেন। এমনিভাবে মসজিদে প্রবেশের সময়ও ডান পা দিয়ে প্রবেশ করতেন। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) নিজের সমস্ত কাজ ডানদিক হ’তে আরম্ভ করা পসন্দ করতেন। তাহারাত অর্জন, মাথা আচঁড়ানো এবং জুতা পরার সময়ও’।[18] এ হাদীছের শিরোনামে ইমাম বুখারী (রহঃ) এভাবে বলেছেন, باب التيمن في دخول المسجد وغيره ‘মসজিদে প্রবেশ ও অন্যান্য কাজ ডান দিক হ’তে শুরু করা অধ্যায়’। ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) (মসজিদে) প্রবেশের সময় ডান পা দিয়ে শুরু করতেন এবং বের হবার সময় প্রথম বাম পা দিয়ে শুরু করতেন।[19] 

(১১) মসজিদে প্রবেশের দো‘আ পাঠ করা : রাসূল (ছাঃ) মসজিদে প্রবেশের সময় বেশ কয়েকটি দো‘আ পাঠ করতেন। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন তখন বলতেন,

أَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ-

‘আমি মহান আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তান হ’তে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যিনি সর্বদা রাজত্বের এবং মর্যাদাপূর্ণ চেহারার অধিকারী’।[20] 

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে তখন সে যেন বলে, اَللّهُمَّ افْتَحْ لِيْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দাও’।[21] 

ফাতেমা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন, তখন বলতেন,بسم الله والسلام على رسول الله اللهم اغْفِرْلِىْ ذُنُوْبِىْ وَافْتَحْ لِىْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ- ‘আল্লাহর নামে (প্রবেশ) এবং আল্লাহর রাসূলকে সালাম। হে আল্লাহ! আমার পাপসমূহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন’।[22]

(১২) সালাম দিয়ে প্রবেশ করা : যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন তিনি সালাম প্রদানের মাধ্যমে প্রবেশ করবেন। কেউ সালাম দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলে ছালাতরত ব্যক্তি মুখে সালামের উত্তর না দিয়ে নিজ আঙ্গুল, হাত বা মাথা দিয়ে ইশারা করে সালামের জবাব দিতে পারেন। ছুহাইব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ إِشَارَةً ‏.‏ قَالَ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ قَالَ إِشَارَةً بِأُصْبُعِهِ

‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থায় আমি তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন আমি তাঁকে সালাম দেই। অতঃপর তিনি ইশারা করে আমাকে উত্তর দেন’।[23] তিরমিযীতে অতিরিক্ত হিসাবে বলা হয়েছে, তিনি আঙ্গুলের ইশারা দ্বারা সালামের জবাব দিলেন।[24]

(১৩) প্রথম কাতারে ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করা : ছালাতে প্রথম কাতারে বসা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, لو يعلمُ النّاسُ ما في النِّداءِ والصَّفِّ الأوَّلِ ثمَّ لم يجِدوا إلّا أن يستَهِموا عليهِ لاستَهموا، ‘যদি মানুষ জানত আযান ও প্রথম কাতারে কী আছে, তারপর লটারী ব্যতীত তা নির্ধারণ করা সম্ভব না হ’ত, তবে তারা তা অর্জনের জন্য লটারী করত’।[25] অন্যদিকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পুরুষদের জন্য প্রথম কাতারকে এবং নারীদের জন্য শেষের কাতারকে উত্তম বলেছেন।[26] আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন,

أنَّ رَسولَ اللهِ ﷺ رَأى في أصْحابِهِ تَأَخُّرًا فقالَ لهمْ: تَقَدَّمُوا فَأْتَمُّوا بي، ولْيَأْتَمَّ بكُمْ مَن بَعْدَكُمْ، لا يَزالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُونَ حتّى يُؤَخِّرَهُمُ اللهُ. وفي رواية: رَأى رَسولُ اللهِ ﷺ قَوْمًا في مُؤَخَّرِ المَسْجِدِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ-

‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কোন একদল লোককে মসজিদের পিছনে অবস্থান করতে দেখে বললেন, তোমরা এগিয়ে আস এবং আমার অনুকরণ কর। আর তোমাদের পরে যারা আছে তারা তোমাদের অনুকরণ করবে। কোন গোষ্ঠী পিনে অবস্থান করতে থাকলে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে পিছনেই রেখে দিবেন’।[27]

আজকাল আমাদের সমাজে এ আমলটির প্রতি অবহেলা লক্ষ্য করা যায়। সবাই মসজিদের পিছনের কাতারে দাঁড়াতে পসন্দ করে, জোর করেও অনেককে সামানের কাতারে আনা যায় না। এ সকল লোকেদের জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর হুঁশিয়ারী রয়েছে। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,لا يزالُ قومٌ يتأخَّروْن عن الصفِّ الأوَّلِ حتى يُؤخِّرهمُ اللهُ في النّارِ، ‘কোন সম্প্রদায় যখন প্রথম কাতারে প্রবেশ করা থেকে বিলম্ব করবে তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বের করতে বিলম্ব করবেন’।[28]

(১৪) মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে না যাওয়া : মসজিদে যিনি আগে আসবেন তিনিই সামনে বসবেন, যদিও তিনি মান-সম্মান ও সম্পদের দিক থেকে দুর্বল হন। কিন্তু আমাদের সমাজে অনেকে দুনিয়ার মান-সম্মানের অধিকারী হ’লেও মসজিদে আসেন সবার পরে কিন্তু তিনি সবাইকে ডিঙ্গিয়ে সামনে চলে যান, এটা মসজিদের আদবের বিপরীত।

(১৫) দু‘রাক‘আত ছালাত আদায় করে বসা : মসজিদে প্রবেশের পর আদব হ’ল, দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে বসা। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, إذا دخل أحدُكم المسجِدَ، فلا يجلِسْ حتى يركَعَ ركعتينِ. ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করা পর্যন্ত না বসে’।[29]

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেছেন, إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার আগে দু‘রাক‘আত ছালাত আদায় করে নেয়’।[30]

(১৬) ইক্বামত হয়ে গেলে ফরয ছালাত ব্যতীত অন্য ছালাত আদায় না করা : আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,إذا أُقِيمَتْ الصلاةُ فلا صلاةَ إلا المكتُوبةُ، ‘ছালাতের ইক্বামত দেওয়া হ’লে উক্ত ফরয ছালাত ছাড়া অন্য কোন ছালাত নেই’।[31] অন্যত্র এসেছে, إذا أُقيمَت الصلاةُ فلا صلاةَ إلا المكتوبةُ قيل يا رسولَ اللهِ ولا ركعتَي الفجرِ قال ولا ركعتَي الفجرِ- ‘যখন ছালাতের ইক্বামত দেওয়া হয় তখন ফরয ছালাত ব্যতীত অন্য কোন ছালাত নেই। একজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল ফজরের দুই রাক‘আত সুন্নাতও না? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ফজরের দুই রাক‘আত সুন্নাতও না’।[32]

(১৭) অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকা : মসজিদে অবস্থানকালে অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। কারণ মানুষ যতক্ষণ মসজিদে থাকে ততক্ষণ ছালাতের মধ্যেই থাকে। সাহল বিন সা‘দ আস-সা‘দী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,لاَ يَزَالُ الْعَبْدُ فِى صَلاَةٍ مَا كَانَ فِى الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ، ‘বান্দা যতক্ষণ মসজিদে ছালাতের জন্য অপেক্ষমান থাকে, ততক্ষণ সে ছালাতের মধ্যে বলে গণ্য হয়’।[33]

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ ছালাত আদায় করে যতক্ষণ মুছল্লায় বসে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য নিমণরূপ দো‘আ করতে থাকে, اللَّهمَّ اغفِرْ له اللَّهمَّ ارحَمْه ‘হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দিন, হে আল্লাহ! তার প্রতি দয়া করুন’।[34]

(১৮) ছালাত শেষ হওয়ার সাথে সাথে মসজিদ থেকে বের না হওয়া : ছালাত শেষ হবার সাথে সাথে মসজিদ থেকে বের না হয়ে ছালাতের পরে বিভিন্ন তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা সুন্নাত। অনুরূপভাবে ফরয ছালাতের পরপরই সুন্নাতের জন্য না উঠে ছালাতের পরের যিকরগুলো পাঠ করা।

(১৯) ক্বিবলামুখী হয়ে বসা : মসজিদের আরেকটি আদব হ’ল ক্বিবলামুখী হয়ে বসা। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,إِنَّ لِكلِّ شيءٍ سَيِّدًا، وإِنَّ سَيِّدَ المَجالِسِ قُبالَةَ القبلةِ، ‘প্রতিটি বস্ত্তর একজন সরদার রয়েছে। আর মজলিস সমূহের সরদার হ’ল, ক্বিবলাকে সামনে রেখে বসা’।[35] 

(২০) বাম পা দিয়ে বের হওয়া : ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করার ন্যায় বাম পা দিয়ে মসজিদ থেকে বের হওয়াও মসজিদের অন্যতম আদব।

(২১) মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দো‘আ পাঠ করা : আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদ থেকে বের হবে, তখন যেন বলে, اَللّهُمَّ إنِّيْ أسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ- ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি’।[36] ফাতেমা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন মসজিদ থেকে বের হ’তেন তখন বলতেন, بسم الله والسلام على رسول الله اللهم اغْفِرْلِىْ ذُنُوْبِىْ وَافْتَحْ لِىْ أَبْوَابَ فَضْلِكَ- ‘আল্লাহর নামে (প্রস্থান করছি) এবং আল্লাহর রাসূলের প্রতি সালাম। হে আমার প্রতিপালক! আমার পাপসমূহ ক্ষমা করে দাও এবং তোমার অনুগ্রহের দরজাসমূহ আমার জন্য খুলে দাও’।[37]

 [চলবে]

মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ

সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, খিলগাঁও, ঢাকা।

[1]. বুখারী হা/১; মুসলিম হা/১৯০৭; মিশকাত হা/১।

[2]. আবূদাঊদ হা/৪৭২, সূয়তী, আল-জামি‘উছ ছাগীর হা/৮২৬৪।

[3]. মুসলিম (হা.একা) হা/১৩৭৪; ইবনু মাজাহ হা/৬৩৮।

[4]. বুখারী হা/৮৫৫।

[5]. বুখারী হা/৮৪৫; মুসলিম হা/৫৬৪; ইবনু মাজাহ হা/৩৩৬৫; মিশকাত হা/৭০৭।

[6]. আবূদাঊদ হা/৩৮২৭; ছহীহাহ হা/৩১০; মিশকাত হা/৭৩৬।

[7]. ত্বাবারাণী, মু‘জামুল আওসাত হা/৯৩৬৮; ছহীহাহ হা/১৩৯৬।

[8]. আবূদাঊদ হা/৫০৯৫; তিরমিযী হা/৩৪২৬; মিশকাত হা/২৪৪৩।

[9]. তিরমিযী হা/৩৪২৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৮৮৪।

[10]. আবূদাঊদ হা/৫৬২; তিরমিযী হা/৩৮৬।

[11]. ছহীহ ইবনে খুযাইমা হা/৪৩৮; হাকেম হা/৭৪৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৪৫; ছহীহ তারগীব হা/২৯৩।

[12]. বুখারী হা/৬৩১৬; মুসলিম হা/৭৬৩; ছহীহুল জামে‘ হা/১২৫৯।

[13]. বুখারী হা/৬৩৬; মুসলিম হা/৬০৪; আহমাদ হা/২২৭১২।

[14]. বুখারী হা/৯০৮।

[15]. বুখারী হা/৬১৫; মুসলিম হা/৪৩৭; ইবনে হিববান হা/২১৫৩।

[16]. বুখারী হা/৮৮১; মুসলিম হা/৮৫০; আবূদাঊদ হা/৩৫১; তিরমিযী হা/৪৯৯; আহমাদ হা/৯৯৩৩।

[17]. আবূদাঊদ হা/৩৪৫; তিরমিযী হা/৪৯৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪০৫।

[18]. বুখারী হা/৪২৬।

[19]. বুখারী হা/৪২৬ এর শিরোনাম দ্রঃ।

[20]. আবূদাঊদ হা/৪৬৬, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৭৪৯।

[21]. মুসলিম, মিশকাত হা/৭০৩, ‘মসজিদ ও ছালাতের অন্যান্য স্থান সমূহ’ অনুচ্ছেদ।

[22]. আলবানী, ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৭৭১; তিরমিযী হা/৩১৪।

[23]. আবূদাঊদ হা/৯২৫।

[24]. তিরমিযী হা/৩৬৭।

[25]. বুখারী হা/৬১৫; মুসলিম হা/৪৩৭; নাসাঈ হা/৫৪০।

[26]. মুসলিম হা/৪৪০; তিরমিযী হা/২২৪; নাসাঈ হা/৮২০; ইবনু মাজাহ হা/১০০০।

[27]. মুসলিম হা/৪৩৮।

[28]. আবূদাঊদ হা/৬৭৯; ছহীহ তারগীব হা/৫১০; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৬৯৯; ইবনু মাজাহ হা/৮০৫।

[29]. ইবনু মাজাহ হা/১০১২; ছহীহ ইবনে হিববান হা/২৪৯৫।

[30]. বুখারী হা/৪৪৪; মুসলিম হা/৭১৪; মিশকাত হা/৭০৪।

[31]. মুসলিম হা/৭১০; আবূদাঊদ হা/১২৬৬; নাসাঈ হা/৮৬৪।

[32]. বায়হাক্বী হা/৮৭২৮; ফাতহুল বারী ২/১৭৪; নায়লুল আওত্বার ৩/১০৩।

[33]. বুখারী হা/১৭৬; মুসলিম হা/৬৩৯।

[34]. নাসাঈ হা/৭৩৩; ছহীহ ইবনে হিববান হা/১৭৫৩।

[35]. ছহীহাহ হা/২৬৪৫; তাবারানী, মু‘জামুল আওসাত ৩/২৫; ছহীহ তারগীব হা/৩০৮৫।

[36]. মুসলিম, মিশকাত হা/৭০৩ ‘মসজিদ ও ছালাতের অন্যান্য স্থান সমূহ’ অনুচ্ছেদ।

[37]. আলবানী, ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৭৭১; তিরমিযী হা/৩১৪।






বিষয়সমূহ: মসজিদ
হেদায়াত - যহূর বিন ওছমান, দিনাজপুর
এক নযরে হজ্জ
আল-কুরআনের আলোকে জাহান্নামের বিবরণ - বযলুর রশীদ
সীমালংঘন - রফীক আহমাদ - বিরামপুর, দিনাজপুর
আক্বীদা ও আহকামে হাদীছের প্রামাণ্যতা (৭ম কিস্তি) - মীযানুর রহমান মাদানী
দ্বীনের পথে ত্যাগ স্বীকার (৫ম কিস্তি) - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
মাসিক আত-তাহরীক : ফেলে আসা দিনগুলি - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
পিতা-মাতার উপর সন্তানের অধিকার - মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম
মানব সৃষ্টি : ইসলাম ও বিজ্ঞানের আলোকে - লিলবর আল-বারাদী - যশপুর, তানোর, রাজশাহী
লাইলাতুল মি‘রাজ রজনীতে করণীয় ও বর্জনীয় - আত-তাহরীক ডেস্ক
কুরআন ও হাদীছের আলোকে ‘সোনামণি’র ৫টি নীতিবাক্য - ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম
মহামনীষীদের পিছনে মায়েদের ভূমিকা (৬ষ্ঠ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
আরও
আরও
.