পর্ব ১। পর্ব ২

পরকীয়া থেকে বাচাঁর উপায় :

ইসলাম মানব জাতির পরিপূর্ণ জীবন বিধান। সকল সমস্যার সুন্দর সমাধান রয়েছে ইসলামে। তাই পরিবার বিধ্বংসী পরকীয়া থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ইসলামে রয়েছে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা। নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে একজন মুসলিম নিজেকে পরকীয়া থেকে বাঁচাতে পারেন।-

১. আল্লাহকে ভয় করা : প্রকৃত আল্লাহভীতি মানুষকে সকল প্রকার পাপাচার থেকে বিরত রাখতে পারে। আবূ যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে বললেন,اتَّقِ اللهَ حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ، ‘তুমি যখন যেভাবে থাকবে, আল্লাহকে ভয় করবে। কোন পাপ কাজ হয়ে গেলে সাথে সাথেই ভালো কাজ করবে। কারণ ভালো কাজ পাপকে মুছে দিবে। আর মানুষের সাথে সদাচরণ করবে’।[1] এক্ষেত্রে পরকীয়ার দুনিয়াবী শাস্তির পাশাপাশি পরকালীন শাস্তির কথা স্মরণে রাখতে হবে এবং সৎপথে অবিচল থাকার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। অতএব মুমিন পুরুষ-নারীদের উচিত কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন যাপন করা।

২. অশ্লীল বিনোদন পরিহার করা : পরকীয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অশ্লীল নাটক, সিনেমা, গান-বাজনা, টিভি, ইন্টারনেট, বিজ্ঞাপন, কুরুচিপূর্ণ সাহিত্য, কবিতা, উপন্যাস ও অসৎসঙ্গ তথা যৌন উত্তেজক সব মাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ যৌন উত্তেজক এসব বিষয়গুলো মানুষের কু-প্রবৃত্তি ও কামনা-বাসনাকে বাড়িয়ে দেয়।

৩. বিবাহের পূর্বে পরস্পর দেখাদেখি করা : বিয়ের পূর্বে পাত্র-পাত্রী শরী‘আত সম্মত উপায়ে পরস্পরকে দেখবে। এতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে মহববত সৃষ্টি হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলল, আমি আনছারদের এক মেয়েকে বিবাহ করতে ইচ্ছুক। তিনি বললেন, ‘তুমি তাকে প্রথমে দেখে নাও। কারণ আনছার মহিলাদের চোখে দোষ থাকে’।[2] তিনি আরো বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ কোন পাত্রীকে প্রস্তাব দিবে সম্ভব হ’লে সে যেন পাত্রীকে দেখে নেয়। যা বিবাহের জন্য সহায়ক হবে’।[3] অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পাত্রী দর্শনে পরস্পরে মহববত সৃষ্টি হয়’।[4] তিনি আরো বলেন,إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا إِذَا كَانَ إِنَّمَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا لِخِطْبَتِهِ وَإِنْ كَانَتْ لاَ تَعْلَمُ، ‘তোমাদের কেউ কোন নারীর প্রতি বিয়ের প্রস্তাব প্রদানের পর তাকে দেখলে কোন গুনাহ হবে না, যদিও তার অজান্তেই দেখে’।[5]

৪. ছেলে-মেয়ের সম্মতিতে বিয়ের ব্যবস্থা করা : বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর সম্মতি থাকা যরূরী। আর পরকীয়া থেকে সমাজকে বাঁচাতে হ’লে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী একে অপরকে দেখার ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে বিয়ের পরে তাদের মধ্যে মহববত পয়দা হবে। অনেক পরিবার এক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ের মতামতকে গুরুত্ব দেয় না বা তাদের মতামত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করে না। অথচ এটা ইসলাম বিরোধী। মহান আল্লাহ বলেন,يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَرِثُوا النِّسَاءَ كَرْهًا ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য বৈধ নয় যে, তোমরা বলপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হবে’ (নিসা ৪/১৯)। নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,لاَ تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ. قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ أَنْ تَسْكُتَ. ‘কোন বিধবা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিতে পারবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! কেমন করে তার অনুমতি নেয়া হবে। তিনি বললেন, চুপ থাকাটাই হচ্ছে তার অনুমতি।[6] এমনকি মেয়েকে অভিভাবক তার সম্মতি ছাড়া বিবাহ দিলে মেয়ে বিবাহ নাকচ করতে পারে। খানসা বিনতু খিযাম (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তার পিতা তাকে বিয়ে দিলেন, এতে তিনি সস্মত ছিলেন না। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে অভিযোগ করলে তিনি ঐ বিয়ে নাকচ করে দেন।[7]

৫. বিয়েতে সমতা রক্ষা করা : বিয়েতে বর ও কনের মধ্যে সমতা বা সাদৃশ্য রাখার দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বয়স, সম্পদ, দ্বীনদারী, বংশমর্যাদা ও আর্থিক দিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমতা হ’লে দাম্পত্য জীবন সুন্দর হয়। আর দাম্পত্য জীবন সুখের হ’লে পরকীয়া থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, تَخَيَّرُوْا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوْا إِلَيْهِمْ. ‘তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ কর এবং সমতা (কুফূ) বিবেচনায় বিবাহ কর, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো’।[8]

৬. বিয়ের পর মানিয়ে নেওয়া : দু’টি ভিন্ন পরিবারের দু’জন ছেলে-মেয়ের মধ্যে বিবাহের পর দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত সাথী হয়তো অনেকই পান না। ফলে তারা অধৈর্য হয়ে যান, আবার বিভিন্ন চাপে বিবাহ বিচিছন্নও করতে পারেন না। অথচ ইসলাম এক্ষেত্রে মানিয়ে নেওয়া ও ছাড় দেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,فَإِنْ كَرِهْتُمُوْهُنَّ فَعَسَى أَنْ تَكْرَهُوْا شَيْئًا وَيَجْعَلَ اللهُ فِيهِ خَيْرًا كَثِيْرًا، ‘যদি তোমরা তাদের অপসন্দ কর, (তবে হ’তে পারে) তোমরা এমন বস্ত্তকে অপসন্দ করছ, যার মধ্যে আল্লাহ প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন’ (নিসা ৪/১৯)। তাই স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য হবে দুনিয়ার অল্প সময় ও আখেরাতের দীর্ঘস্থায়ী নে‘মতের দিকে লক্ষ্য রেখে যেকোন বিষয়ে ছাড় দিয়ে মানিয়ে নেওয়া। এতে পরকীয়া থেকে বাঁচা যাবে।

৭. পরিবারে ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা থাকা : পরিপূর্ণ ইসলামী পরিবেশ ও ইসলামী শিক্ষা পরকীয়ার মত পরিবার বিধ্বংসী পাপ থেকে নারী-পুরষকে রক্ষা করতে পারে। ইসলামী শিক্ষা, পর্দা প্রথা, দৃষ্টি নিমণগামী রাখার নির্দেশ, বিনা প্রয়োজনে মাহরাম থেকে দূরে থাকার বাস্তবধর্মী আমলগুলোই মানুষকে পরকীয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

৮. পরস্পরকে ক্ষমা করা, ছোট-খাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি উপেক্ষা করা ও সংশোধন করে দেওয়া : ছোট ছোট বিষয়ে মনোমালিন্য, ঝগড়া-বিবাদ থেকেই পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাসের জন্ম হয়। ফলে একটু সুখের আশায় মানুষ পরকীয়ার দিকে পা বাড়ায়। এজন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোট-খাটো ভুল-ক্রটিগুলো ক্ষমা করে পরস্পরকে সংশোধন করে দিতে হবে।

৯. গায়র মাহরাম থেকে দূরে থাকা: মাহরাম নয়, এমন পরপুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও যোগাযোগ না রাখা। কেননা চারিত্রিক নির্মলতা ও মানসিক পবিত্রতা রক্ষায় এটি খুবই যরূরী। শয়তান মানুষের শিরা-উপশিরায় চলাচল করে।[9] কোন গায়র মাহরাম মহিলার সাথে একাকী অবস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অশ্লীল কাজে লিপ্ত করা শয়তানেরই কাজ। এজন্যই শরী‘আত উক্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ، ‘কোন পুরুষ একজন মহিলার সাথে নির্জনে মিলিত হ’লে তাদের তৃতীয় সঙ্গী হয় শয়তান’।[10] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,لاَ يَدْخُلَنَّ رَجُلٌ بَعْدَ يَوْمِى هَذَا عَلَى مُغِيْبَةٍ إِلاَّ وَمَعَهُ رَجُلٌ أَوِ اثْنَانِ ‘আমার আজকের এই দিনের পর থেকে কোন পুরুষ একজন বা দু’জন পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত কোন স্বামী থেকে দূরে থাকা মহিলার সাথে নির্জনে দেখা করতে পারবে না’।[11]

১০. পরিপূর্ণ পর্দা করা : পরকীয়া থেকে বাচাঁর অন্যতম উপায় হ’ল পরিপূর্ণ পর্দা মেনে চলা। বেপর্দা হয়ে চলাচলের কারণে একে অন্যের সাথে দেখা হয়, কথা হয়, নিজেদের মধ্যে অবৈধ ভাব বিনিময় হয়, স্বামী-স্ত্রীর দুর্বল দিক নিয়ে কথা হয় এবং পরবর্তীতে পরকীয়ার দিকে ধাবিত হয়। মুসলিম মহিলাদের উপর পর্দা ফরয করে মহান আল্লাহ বলেন,يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِيْنَ يُدْنِيْنَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللهُ غَفُوْرًا رَحِيْمًا، ‘হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুমিনা স্ত্রীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের বড় চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। বস্ত্ততঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (আহযাব ৩৩/৫৯)

১১. প্রয়োজন ছাড়া গায়র মাহরামের সাথে সাক্ষাৎ না করা : স্বামীর বা নিজের নিকটাত্মীয় তথা দেবর, ভাসুর, চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো ও খালাতো ভাই, ভগ্নিপতি (দুলাভাই) বেয়াই প্রভৃতি ব্যক্তিদেরকে নিজ ঘরে প্রবেশের সুযোগ না দেয়া। বিনা প্রয়োজনে তাদের সাথে যোগাযোগ বা দেখা-সাক্ষাৎ না করা। একান্ত প্রয়োজন হ’লে পূর্ণ পর্দার সঙ্গে সামনে না এসে আড়াল থেকে কথা বলা। সামনাসামনি হ’লে দৃষ্টি নিমণগামী রাখা। আল্লাহ বলেন,قُلْ لِلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ، ‘তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতর। নিশ্চয়ই তারা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবহিত’ (নূর ২৪/৩০)। মহানবী (ছাঃ) বলেন, زِنَا الْعَيْنِ النَّظَرُ ‘চোখের যিনা দৃষ্টিপাত করা’।[12]

পরকীয়া থেকে বাঁচতে পুরুষদের ন্যায় মহিলারাও বেগানা পুরুষের পানে কুমতলবে তাকাবে না। আল্লাহ বলেন,وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ‘আর তুমি মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাযত করে। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তবে যেটুকু বাহ্যিকভাবে প্রকাশ পায় সেটুকু ব্যতীত’ (&নূর ২৪/৩১)

১২. হঠাৎ দৃষ্টি চলে গেলে ফিরিয়ে নেওয়া : পরকীয়া থেকে বাঁচতে চোখের হিফাযতের কোন বিকল্প নেই। এজন্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও কারো দিকে দৃষ্টি চলে গেলে সাথে সাথে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে হবে। রাসূলুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির চক্ষু জাহান্নাম দর্শন করবে না। ১. যে চক্ষু আল্লাহর পথে পাহারা দিয়ে রাত্রি যাপন করে, ২. যে চক্ষু আল্লাহর ভয়ে কাঁদে এবং ৩. যে চক্ষু আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্ত্ত দর্শন করা থেকে বিরত থাকে’।[13]

অনিচ্ছা সত্ত্বেও কারো প্রতি নযর চলে গেলে সাথে সাথে নযর ফিরিয়ে নিতে হবে। আর অনিচ্ছাকৃত নযরের জন্য ব্যক্তি পাপী হবে না। বুরায়দাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে বললেন,يَا عَلِىُّ لاَ تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ لَكَ الأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الآخِرَةُ، ‘হে ‘আলী! (কোন নারীর প্রতি) আকস্মিক একবার দৃষ্টিপাতের পর আবার দৃষ্টিপাত করো না। তোমার জন্য প্রথম দৃষ্টি (অনিচ্ছাকৃত) জায়েয, পরবর্তী দৃষ্টি জায়েয নয়’।[14] জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে (কোন নারীর প্রতি) আকস্মিক দৃষ্টি নিক্ষেপ হওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়ার আদেশ দিলেন।[15]

১৩. দূরবর্তীর সফরে সাথে মাহরাম থাকা : পরকীয়া থেকে বাঁচতে দূরের সফর হ’লে অবশ্যই স্বামী অথবা মাহরাম সাথে থাকতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِى مَحْرَمٍ، وَلاَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ إِلاَّ وَمَعَهَا مَحْرَمٌ، ‘মহিলারা মাহরাম (যার সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ) ব্যতীত অন্য কারো সাথে সফর করবে না। মাহরাম কাছে নেই এমতাবস্থায় কোন পুরুষ কোন মহিলার নিকট গমন করতে পারবে না’।[16] তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ ও পরকালে বিশ^াস রাখে এমন কোন মহিলার জন্য বৈধ নয় যে, সে তার পিতা, পুত্র, স্বামী, ভাই অথবা কোন মাহরাম পুরুষ ছাড়া তিন দিন বা তার বেশী দূরত্বে সফর করে’।[17] অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ ثَالِثُهُمَا، ‘কোন মহিলার সাথে কোন পুরুষ নির্জনে একত্রিত হ’লে তাদের সাথে তৃতীয়জন হয় শয়তান’।[18] মহিলারা একাকী সফরের কারণে অনেক সময় শ্লীলতাহানির শিকার হয়। চলন্ত বাসে বা গাড়ীতে ধর্ষণের শিকার হয়। বখাটের ইভটিজিং-এর শিকার এবং শারীরিক ও মানসিক যৌনতার শিকার হয়।

১৪. ঝগড়া-বিবাধ থেকে দূরে থাকা : ঝগড়া-বিবাদ থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। একজন অন্যজনকে পর ভাবতে থাকে। আর শয়তান এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরকীয়ার দিকে ধাবিত করে। শয়তানের কাজ হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বাধিয়ে দেওয়া। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ইবলীস (শয়তান) সমুদ্রের পানির উপর তার সিংহাসন স্থাপন করে। অতঃপর মানুষের মধ্যে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করার জন্য সেখান থেকে তার বাহিনী চারদিকে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে সে শয়তানই তার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত যে শয়তান মানুষকে সবচেয়ে বেশী ফিতনায় নিপতিত করতে পারে। তাদের মধ্যে একজন ফিরে এসে বলে, আমি এরূপ এরূপ ফিতনা মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছি। তখন ইবলীস বলে, তুমি কিছুই করনি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অতঃপর এদের অপর একজন এসে বলে, আমি মানব সন্তানকে ছেড়ে দেইনি, এমনকি দম্পতির মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করে দিয়েছি। শয়তান এ কথা শুনে তাকে নিকটে বসায় আর বলে, তুমিই উত্তম কাজ করেছ। বর্ণনাকারী আ‘মাশ বলেন, আমার মনে হয় জাবের (রাঃ) এটাও বলেছেন যে, ‘অতঃপর ইবলীস তার সাথে আলিঙ্গন করে’।[19]

১৫. বিবাহ বৈধ এমন কারো দেহে স্পর্শ না করা : পরকীয়ার একটি ধাপ হ’ল, পর নারী-পুরুষ একে অপরকে স্পর্শ করা। ইসলাম এটাকে হারাম করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,لأَنْ يُطْعَنَ في رَأْسِ أَحَدِكُمْ بِمِخْيَطٍ مِنْ حَدِيدٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمَسَّ امْرَأَةً لاَ تَحِلُّ لَهُ، ‘নিশ্চয়ই তোমাদের কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে অনেক শ্রেয়, যে তার জন্য হালাল নয়’।[20] নিঃসন্দেহে এটা হাতের যিনা। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,الْعَيْنَانِ تَزْنِيَانِ وَالْيَدَانِ تَزْنِيَانِ وَالرِّجْلاَنِ تَزْنِيَانِ وَالْفَرْجُ يَزْنِى، ‘দু’চোখ যিনা করে, দু’হাত যিনা করে, দু’পা যিনা করে এবং লজ্জাস্থানও যিনা করে’।[21] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে অধিক পবিত্র মনের মানুষ আর কে আছে? অথচ তিনি বলেছেন, إِنِّى لاَ أُصَافِحُ النِّسَاءَ ‘আমি নারীদের সাথে মুছাফাহা করি না’।[22]

তিনি আরও বলেছেন, إِنِّيْ لاَ أَمُسُّ أَيْدِيَ النِّسَاءِ ‘আমি নারীদের হাত স্পর্শ করি না’।[23] মা আয়েশা (রাঃ) বলেছেন,لاَ وَاللهِ مَا مَسَّتْ يَدُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدَ امْرَأَةٍ قَطُّ، غَيْرَ أَنَّهُ بَايَعَهُنَّ بِالْكَلاَمِ، ‘আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাত কখনই কোন বেগানা নারীর হাত স্পর্শ করেনি। তিনি মৌখিক বাক্যের মাধ্যমে তাদের বায়‘আত নিতেন’।[24]

১৬. আকর্ষণীয় কণ্ঠে কথা না বলা : পরপুরুষের সাথে নারীর প্রগল্ভতার সাথে কিংবা আকর্ষণীয় কণ্ঠে কথোপকথন করাও ব্যভিচারের পথসমূহের অন্যতম ছিদ্রপথ। পরকীয়া থেকে বাচঁতে হ’লে প্রয়োজনীয় কথা বলার ক্ষেত্রে মহিলাদের মোহনীয় কন্ঠ পরিহার করতে হবে, যাতে দুর্বল হৃদয়ের মানুষগুলো আকৃষ্ট না হয়। এ বিষয়ে সাবধান করে আল্লাহ বলেন,يَانِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِيْ فِيْ قَلْبِهِ مَرَضٌ، ‘হে নবীপত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও। যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে কথা বলো না। তাহ’লে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয়ে পড়বে’ (আহযাব ৩৩/৩২)। মহান আল্লাহ নারীদের কণ্ঠকে কোমল করে সৃষ্টি করেছেন। তাদের মিষ্টি কথায় কোন কোন পুরুষের মনে যৌনানুভূতি জাগ্রত হ’তে পারে। তাই পরপুরুষের সাথে মোলায়েম কণ্ঠ পরিহার করে কেবল যরূরী কথা বলবে।

১৭. পরিবারের সাথে থাকা : আজকাল বিভিন্ন কারণে নারী-পুরুষ আলাদা থাকে। ফলে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও কু-প্রবৃত্তির তাড়নায় তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে যাদের স্বামী দূরে অবস্থান করে তাদের সাথে পরপুরুষ একাকী হবে না। সন্তানদের সঙ্গে রাখবে। সন্তান না থাকলে মা, বোন, ভাগ্নী-ভাতিজী, ননদ, শাশুড়ী, পিতা, আপন ভাই কিংবা নিকটাত্মীয় নারীদের সঙ্গে থাকবে। স্বামী-স্ত্রী কোন কারণে একত্রে থাকা সম্ভব না হ’লে নিয়মিত নফল ছিয়াম পালন, কুরআন তেলাওয়াত, সীরাতুর রাসূল, ছাহাবী চরিত ও ইসলামী বই-পুস্তক বেশী বেশী পাঠ করা এবং পারিবারিক ও অন্যান্য কাজকর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করা।

১৮. মাহরাম ব্যতীত নারী-পুরুষ একত্রিত না হওয়া : পরকীয়ার আরেকটি মাধ্যম হ’ল গায়র মাহরাম নারী-পুরুষ একত্রিত হওয়া। চাকুরী, শিক্ষা-দীক্ষা ইত্যাদি কারণে দূরে কোথাও যাতায়াতকালে গায়র মাহরাম নারী পুরুষ একসাথে চলাফেরা করে, পরস্পর কথা-বার্তা বলে থাকে। ইসলাম এটাকে হারাম করেছে। জাবীর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,لاَ تَلِجُوا عَلَى الْمُغِيبَاتِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِى مِنْ أَحَدِكُمْ مَجْرَى الدَّمِ. قُلْنَا وَمِنْكَ قَالَ وَمِنِّى وَلَكِنَّ اللهَ أَعَانَنِى عَلَيْهِ فَأَسْلَمُ. ‘যাদের স্বামী অনুপস্থিত, সে সকল মহিলাদের নিকট তোমরা যেও না। কেননা শয়তান তোমাদের প্রত্যেকের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করে। আমরা বললাম, আপনার মধ্যেও কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমার মধ্যেও। কিন্তু আমাকে আল্লাহ সাহায্য করেছেন, তাই আমি নিরাপদ’।[25]

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন কখনো কোন মেয়ের সাথে নির্জনে সাক্ষাৎ না করে যতক্ষণ না ঐ মেয়ের কোন মাহরাম তার সাথে থাকে। কারণ সে সময় তৃতীয় জন থাকে শয়তান’।[26] অন্যত্র তিনি বলেন, ‘কোন পুরুষ যেন মহিলার সাথে একান্তে সাক্ষাৎ না করে যতক্ষণ না তার সাথে তার মাহরাম থাকে এবং কোন মহিলা যেন সফর না করে যতক্ষণ না তার কোন মাহরাম তার সাথে থাকে’।[27]

১৯. স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের আমানত রক্ষা করা: স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কের ব্যাপারে সাবধান থাকবে ও নিজের সতীত্ব হেফাযতের মাধ্যমে আমানত রক্ষা করবে। তারা কোনভাবেই খেয়ানত করবে না। তাই সে কোন পরপুরুষের দিকে দৃষ্টিপাত করবে না। সে পরপুরুষের সাথে সম্মোহনী কথা বলবে না এবং অবাধ মেলামেশায় লিপ্ত হবে না। সে স্বামী বা অভিভাককে ধোঁকা দিয়ে পরপুরুষের সাথে সাক্ষাত করবে না। বস্ত্তত এসব কাজ তার দ্বীন-ধর্ম ও ইয্যত-আব্রুকে কদর্য করে দেয়। সুতরাং স্বীয় চোখের দৃষ্টি অবনমিত করা, গলার আওয়াজ নীচু করা এবং স্বীয় যবান ও হাতকে অন্যায়, অশ্লীলতা ও কদর্যতা থেকে হেফাযত করা অপরিহার্য। আল্লাহ বলেন, فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ بِمَاحَفِظَ اللهُ ‘অতএব সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা হয় অনুগত এবং আল্লাহ যা হেফাযত করেছেন, আড়ালেও (সেই গুপ্তাঙ্গের) হেফাযত করে’ (নিসা ৪/৩৪)

২০. উদ্ভূত সমস্যা নিয়ে পরস্পরে আলোচনা করা ও সমাধানের চেষ্টা করা : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হ’লে, অবিশ্বাস সৃষ্টি হ’লে, কারো প্রতি সন্দেহ হ’লে পরস্পর খোলামেলা আলোচনা করা ও সমাধানের চেষ্টা করা। প্রয়োজনে উভয় পক্ষের পরিবারের সদস্যদের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে।

আল্লাহ বলেন,وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِنْ أَهْلِهَا إِنْ يُرِيدَا إِصْلَاحًا يُوَفِّقِ اللهُ بَيْنَهُمَا إِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا، ‘আর যদি তোমরা (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের আশংকা কর, তাহ’লে স্বামীর পরিবার থেকে একজন ও স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত কর। যদি তারা উভয়ে মীমাংসা চায়, তাহ’লে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে (সম্প্রীতির) তাওফীক দান করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও তোমাদের সবকিছু অবগত’ (নিসা ৪/৩৫)। এক্ষেত্রে পারিবারিক বৈঠকের বিকল্প নেই। পরিবারের সকল সদস্য যদি সপ্তাহে নির্দিষ্ট একদিন তাদের পরিবার নিয়ে আলোচনা করেন তাহ’লে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।

[ক্রমশঃ]

-মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ

 গ্রাম-তুলাগাঁও নোয়াপাড়া, দেবিদ্বার, কুমিল্লা।


[1]. তিরমিযী হা/১৯৮৭; ছহীহুত তারগীব হা/২৬৫৫; মিশকাত হা/৫০৮৩।

[2]. মুসলিম হা/১৪২৪; মিশকাত হা/৩০৯৮।

[3]. আবুদাঊদ হা/২০৮২; মিশকাত হা/৩১০৬; ছহীহাহ হা/৯৯।

[4]. ইবনু মাজাহ হা/১৮৬৫; মিশকাত হা/৩১০৭; ছহীহাহ হা/৯৬।

[5]. মুসনাদে আহমাদ হা/২৩৬৫০; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭।

[6]. বুখারী হা/৫১৩৬; মুসলিম হা/১৪১৯; মিশকাত হা/৩২০৪।

[7]. বুখারী হা/৫১৩৮; আবূ দাঊদ হা/২১০১; নাসাঈ হা/৩২৬৮।

[8]. ইবনু মাজাহ হা/১৯৬৮; ছহীহাহ হা/১০৬৭।

[9]. আবু দাউদ হা/৪৭১৯; ছহীহুল জামে‘ হা/১৬৫৮।

[10]. তিরমিযী হা/১১৭১; মিশকাত হা/৩১১৮।

[11]. মুসলিম হা/২১৭৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৬৮১।

[12]. বুখারী হা/৬২৪৩; মুসলিম হা/২৬৫৭; মিশকাত হা/৮৬।

[13]. ত্ববরানী কাবীর, হা/১০০৩।

[14]. তিরমিযী হা/২৭৭৭; আবূ দাঊদ হা/২১৪৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৯৫৩।

[15]. মুসলিম হা/২১৫৯; তিরমিযী হা/২৭৭৬; আবূ দাঊদ হা/২১৪৮।

[16]. বুখারী হা/১৮৬২; মুসলিম হা/১৩৪১।

[17]. মুসলিম, আবু দাউদ হা/১৭২৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৬৫০।

[18]. তিরমিযী হা/১১৭১; মুসনাদে আহমাদ হা/১১৪।

[19]. মুসলিম হা/২৮১৩; ছহীহাহ হা/৩২৬১; ছহীহুত তারগীব হা/২০১৭; আহমাদ হা/১৪৩৭৭।

[20]. ছহীহুত তারগীব হা/১৯১০; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২২৬।

[21]. আহমাদ হা/৩৯১২; ছহীহুল জামে‘ হা/৪১২৬।

[22]. আহমাদ হা/২৭৫৩; ছহীহাহ হা/২৫০৯।

[23]. তাবারাণী কাবীর, ২৪/৩৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/৭১৭৭।

[24]. বুখারী হা/৫২৮৮; মুসলিম হা/১৮৬৬।

[25]. তিরমিযী হা/১১৭২; মুসনাদ আহমাদ হা/১৪৩২৪।

[26]. তিরমিযী হা/২১৬৫; ছহীহুল জামে‘ হা/২৫৬৪।

[27]. বুখারী হা/১৮৬২, ৩০০৬, ৩০৬১, ৫২৩৩; মুসলিম হা/৩৪১।






বিষয়সমূহ: পাপ
অল্পে তুষ্টি (২য় কিস্তি) - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পাঠের গুরুত্ব ও ফযীলত (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ
পরকালে পাল্লা ভারী ও হালকাকারী আমল সমূহ - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
কুরআন-হাদীছের আলোকে ভুল - রফীক আহমাদ - বিরামপুর, দিনাজপুর
যাকাত ও ছাদাক্বা - আত-তাহরীক ডেস্ক
আল্লাহর প্রতি ঈমানের স্বরূপ (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম মাদানী
মানব সৃষ্টি : ইসলাম ও বিজ্ঞানের আলোকে - লিলবর আল-বারাদী - যশপুর, তানোর, রাজশাহী
আশূরায়ে মুহাররম - আত-তাহরীক ডেস্ক
হেদায়াত লাভের উপায় - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
সংগঠনের প্রচার ও প্রসারে তাবলীগী ইজতেমার ভূমিকা - ড. এ এস এম আযীযুল্লাহ
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের উপায় - শামসুল আলম
আকাঙ্ক্ষা : গুরুত্ব ও ফযীলত (পূর্ব প্রকাশিতের পর) - রফীক আহমাদ - বিরামপুর, দিনাজপুর
আরও
আরও
.