পৃথিবীতে তিন ধরনের জ্ঞানের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। যথা- (১) জন্মগত জ্ঞান, (২) অহীর জ্ঞান, (৩) দুনিয়াবী জ্ঞান।
(১) জন্মগত জ্ঞান : এই জ্ঞান আললাহ তা‘আলা মানুষের জন্মের সাথে সাথে তার মধ্যে দিয়ে দেন। যেমন- একজন শিশু ব্যথা পেলে বা ক্ষুধা পেলে কান্না করা, মায়ের দুধ কিভাবে খেতে হবে তার জ্ঞান, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কোন্টি দিয়ে কি কাজ করতে হবে তার জ্ঞান। এগুলো কোন শিশুকে শেখানো লাগে না। সে জন্ম থেকেই এই জ্ঞান রাখে।
(২) অহীর জ্ঞান : এই জ্ঞান আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নির্বাচিত বান্দাদের দিয়ে থাকেন। সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মাধ্যমে এই জ্ঞানের আগমন সমাপ্ত হয়। অর্থাৎ এই জ্ঞান আর কারো নিকটে আসবে না। এই জ্ঞান নবী-রাসূল ছাড়া আর কেউ লাভ করার ক্ষমতা রাখে না। এই জ্ঞানের গভীরতা এত বেশী যে, এই জ্ঞানের মমার্থ মানুষের পক্ষে নির্ণয় সম্ভব নয়। যেমন- ছালাতের নিয়ম-কানূন, হজ্জের নিয়ম-পদ্ধতি এইগুলো এভাবে আমরা কেন করি তার প্রকৃত জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকটেই রয়েছে। তাই অহীর জ্ঞান হ’ল জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তর।
(৩) দুনিয়াবী জ্ঞান : পৃথিবীতে যে জ্ঞান ছড়িয়ে আছে বা মানুষের মধ্য হ’তে যে জ্ঞানের উদ্ভব হয় তা হচ্ছে দুনায়াবী জ্ঞান। এখানে কিছু প্রশ্ন তৈরী হয়। এই জ্ঞানের উৎস কি? মানুষের মধ্যে এই জ্ঞান কোত্থেকে আসল? এই বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের সূরা বাক্বারার ৩০-৩৩ নং আয়াতের প্রতি দৃকপাত করতে হবে। যেখানে আল্লাহ বলেছেন,
وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ، وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ، قَالُوا سُبْحَانَكَ لَا عِلْمَ لَنَا إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ، قَالَ يَاآدَمُ أَنْبِئْهُمْ بِأَسْمَائِهِمْ فَلَمَّا أَنْبَأَهُمْ بِأَسْمَائِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنْتُمْ تَكْتُمُونَ-
‘আর (স্মরণ কর) যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করব। তখন তারা বলল, আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যারা সেখানে কেবল অশান্তি সৃষ্টি করবে ও রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরাই সর্বদা আপনার গুণগান করছি ও আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না। অনন্তর আল্লাহ আদমকে সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দিলেন। অতঃপর সেগুলিকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করলেন ও বললেন, তোমরা আমাকে এগুলির নাম বল, যদি তোমরা (তোমাদের কথায়) সত্যবাদী হও। তারা (বিস্মিত হয়ে) বলল, সকল পবিত্রতা আপনার জন্য। আমাদের কোন জ্ঞান নেই, যতটুকু আপনি আমাদের শিখিয়েছেন ততটুকু ব্যতীত। নিশ্চয়ই আপনি মহা বিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়। আল্লাহ বললেন, হে আদম! তুমি এদেরকে এসবের নামগুলি বলে দাও। অতঃপর যখন আদম তাদেরকে ঐ সবের নাম বলে দিলেন, তখন আল্লাহ ফেরেশতাদের বললেন, আমি কি তোমাদের বলিনি যে, আসমান ও যমীনের সকল গোপন বিষয়ে আমি সর্বাধিক অবগত এবং তোমরা যেসব বিষয় প্রকাশ কর ও যেসব বিষয় গোপন কর, সকল বিষয়ে আমি সম্যক অবহিত?’ (বাক্বারাহ ২/৩০-৩৩)।
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা এবং ফেরেশতাদের কথোপকথনে এটা সুস্পষ্ট যে, দুনিয়ার সকল বস্ত্তর জ্ঞান আদম (আঃ)-কে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর শুরু হ’তে শেষ পর্যন্ত যতগুলো বস্ত্তর উদ্ভব হবে এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরে যত বস্ত্ত রয়েছে তার সকল জ্ঞান আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে দান করেছিলেন। যেহেতু ভবিষ্যতের খবর ফেরেশতারা জানে না। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন বস্ত্ত সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞেস করা হ’লে তারা তা জানে না বলে। কারণ ঐ বস্ত্তগুলো ঐ মুহূর্তে পৃথিবীতে মওজূদ ছিল না। কিন্তু আদম (আঃ)-কে সবকিছুর জ্ঞান দান করার কারণে তিনি বস্ত্তগুলো সম্পর্কে বলে দিয়েছিলেন।
অর্থাৎ দুনিয়াবী জ্ঞানের মূল উৎস হ’ল আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা। আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা অনুযায়ী তা বিভিন্ন মানুষ হ’তে ধীরে ধীরে প্রকাশিত হ’তে হ’তে আজ পৃথিবী এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। এই জ্ঞানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সূক্ষ্ম জ্ঞান হ’ল বিজ্ঞান।
অক্সফোর্ড ডিকশনারী অনুসারে বিজ্ঞানের সংজ্ঞা হ’ল : The intellectual and practical activity encompassing the systematic study of the structure and behaviour of the physical and natural world through observation and experiment. অর্থাৎ বুদ্ধিবৃত্তিক ও ব্যবহারিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষার মাধ্যমে শারীরিক এবং প্রাকৃতিক বিশ্বের গঠন ও আচরণের পদ্ধতিগত অধ্যয়নকে বিজ্ঞান বলে। আর এই বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানের সর্বাধিক অধিকারী হ’ল ইহুদী-নাছারারা, যা আমরা বর্তমানে পৃথিবীতে দেখতে পাচ্ছি। আল্লাহ বলেন,وَاذْكُرْ عِبَادَنَا إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ أُولِي الْأَيْدِي وَالْأَبْصَارِ، ‘স্মরণ কর আমাদের বান্দা ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকূবের কথা। যারা ছিল শক্তিশালী ও চক্ষুষ্মান’ (ছোয়াদ ৩৮/৪৫)।
ইব্রাহীম (আঃ)-এর পুত্র ইসহাক (আঃ) ও তাঁর পুত্র ইয়াকূব (আঃ)। আর ইয়াকূব (আঃ)-এর বংশধর হ’ল এই ইহুদী-নাছারারা। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে সূক্ষ্ম জ্ঞান দান করেছেন। আর সূক্ষ্ম জ্ঞান বলতে বিজ্ঞানের জ্ঞানকেই বুঝায়।
বিজ্ঞানের কাজ হ’ল আল্লাহ তা‘আলা মানুষ, মহাবিশ্ব, পৃথিবী ও পৃথিবীর অভ্যন্তরের বস্ত্তসমূহ যে নীতিমালায় পরিচালনা করেন তা গবেষণার মাধ্যমে মানুষের নিকট প্রকাশ করা। এটা হ’ল মুসলিমের বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা। যেমন- সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী ঘুরছে, একবার ঘুরে আসতে কত সময় লাগে, এর মাধ্যমে কিভাবে ঋতু পরিবর্তন হয়, মানুষের শরীরে রক্ত কিভাবে সঞ্চালন হয়, রক্ত কিভাবে উৎপন্ন হয় ইত্যাদির জন্য আল্লাহ তা‘আলা একটি নীতিমালা দিয়ে দিয়েছেন। বিজ্ঞানের কল্যাণে এই তথ্য আমরা জানতে পারছি। বিজ্ঞান যখন কোন নীতি গবেষণার সাহায্যে প্রমাণ করে তখন তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘সূত্র’।[1]
প্রত্নতাত্ত্বিকগণ ধারণা করেন যে, হাযার হাযার বছর আগে মিশর হ’তে বিজ্ঞান গবেষণার যাত্রা শুরু হয়।[2] তবে আধুনিক বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রা শুরু হয় ১৬শ’ শতাব্দীর শুরুতে।[3] অর্থাৎ যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর আগমন ঘটেছে ও কুরআন নাযিল হয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি, আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা ঘটেছে কুরআন নাযিল হওয়ার পরে। আবার বিষয়টা এমন নয় যে, কুরআন হ’তে বিজ্ঞানের তথ্যাদি সংগ্রহ করে বিজ্ঞান আজ এত উন্নত হয়েছে।
কুরআন নাযিল হওয়ার পূর্বে যেসকল কিতাব নাযিল হয়েছে, তাতে বৈজ্ঞানিক সূক্ষ্ম তথ্যগুলো কি পরিমাণ ছিল তা জানা যায় না। কারণ কিতাবগুলো বিলুপ্ত হয়েছে এবং বাকীগুলো বিকৃত হয়েছে। বর্তমানে যে বাইবেল রয়েছে তাতে অনেক বৈজ্ঞানিক ভুল রয়েছে এবং এই বাইবেলে বৈজ্ঞানিক সূক্ষ্ম কোন তথ্য পাওয়া যায় না। হয়তোবা আল্লাহ তা‘আলা বিজ্ঞানের সূক্ষ্ম তথ্যগুলো কুরআনে দেওয়ার মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে পৃথিবীর বিভিন্ন মানুষের মধ্য হ’তে এই জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে পৃথিবীবাসীকে এই মেসেজ দিচ্ছেন যে, তোমরা গবেষণা করে, কোটি ডলার খরচ করে, যুগের পর যুগ সময় দিয়ে যে বৈজ্ঞানিক তথ্য বের করছ তা তোমাদের আবিষ্কারের পূর্বেই এবং যখন বিজ্ঞান গবেষণার কিছুই ছিল না পৃথিবীতে তখনই আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে সে তথ্য দিয়ে রেখেছেন। অতএব তোমরা বিশ্বাস স্থাপন কর কুরআনের উপর, যিনি কুরআন নাযিল করেছেন তাঁর এবং যার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে তার উপর।
এখন প্রশ্ন হ’ল, একজন অমুসলিম বিজ্ঞানের বিস্ময়কর তথ্য কুরআনে দেখার মাধ্যমে আল্লাহর উপরে, তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর উপরে এবং আল-কুরআনের উপরে ঈমান আনবে, কিন্তু মুসলিম কেন কুরআনে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর তথ্য সম্পর্কে জানবে? আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর যখন ইব্রাহীম বলেছিল, হে আমার প্রভু! আমাকে দেখান কিভাবে আপনি মৃতকে জীবিত করেন। তিনি বললেন, তুমি কি বিশ্বাস কর না? সে বলল, করি। তবে কেবল আমার হৃদয়ের পরিতৃপ্তির জন্য। তখন তিনি বললেন, বেশ তাহ’লে তুমি চারটা পাখি ধর। অতঃপর সেগুলিকে তোমার পোষ মানাও। তারপর (সেগুলি যবহ করে) দেহের একেকটি টুকরা একেকটি পাহাড়ের উপর রেখে এসো। তারপর সেগুলোকে ডাক। দেখবে তোমার নিকটে দৌড়ে চলে আসবে। জেনে রেখ, আল্লাহ মহা পরাক্রান্ত ও প্রজ্ঞাময়’ (বাক্বারাহ ২/২৬০)।
উক্ত আয়াতে সুস্পষ্ট উত্তর রয়েছে। ইব্রাহীম (আঃ) যেভাবে আল্লাহর নিদর্শন দেখে অন্তরে প্রশান্তি পেয়েছেন, ঠিক তেমনি এই যুগেও আমরা আল-কুরআনের বিভিন্ন নিদর্শন যা বিজ্ঞানের সাথে সংশ্লিষ্ট তার প্রমাণ দেখার মাধ্যমে আমাদের ঈমান বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের অন্তর প্রশান্ত হবে।
আল-কুরআনের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, একটি আয়াত অনেক ধরনের তথ্য বহন করে। যেমন- وَإِنْ كُنْتُمْ فِي رَيْبٍ مِمَّا نَزَّلْنَا عَلَى عَبْدِنَا فَأْتُوا بِسُورَةٍ مِنْ مِثْلِهِ وَادْعُوا شُهَدَاءَكُمْ مِنْ دُونِ اللهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا وَلَنْ تَفْعَلُوا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ- ‘আর যদি তোমরা তাতে সন্দেহে পতিত হও, যা আমরা আমাদের বান্দার উপর নাযিল করেছি, তাহ’লে অনুরূপ একটি সূরা তোমরা রচনা করে নিয়ে এসো। আর (একাজে) আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের যত সহযোগী আছে সবাইকে ডাকো, যদি তোমরা (তোমাদের দাবীতে) সত্যবাদী হও। কিন্তু যদি তোমরা তা না পারো, আর কখনোই তা পারবে না, তাহ’লে তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো, যার ইন্ধন হ’ল মানুষ ও পাথর। যা প্রস্ত্তত করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য’ (বাক্বারাহ ২/২৩-২৪)।
উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে, জাহান্নামের জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। এর একটি ব্যাখ্যা হচ্ছে যারা পৃথিবীতে আল্লাহকে বাদ দিয়ে পাথরের তৈরী মূর্তির উপাসনা করে, তাদেরকেও ঐ পাথরের তৈরী মূর্তি দিয়ে জাহান্নামের আগুন প্রজ্জ্বলিত করে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। আর উক্ত আয়াতের যদি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করা হয়, তবে বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে মানুষ ও পাথর উৎকৃষ্ট জ্বালানী। যখন মানুষ ও পাথরকে আগুনে পুড়তে দেওয়া হয় শুরুতে এরা জ্বালানী হিসাবে কাজ করে না, কিন্তু যখন তাপে তাদের ভিতরের রাসায়নিক বন্ধন ভেঙ্গে যায়, তখন তারা নিজেরাই জ্বালানী হিসাবে কাজ করে এবং আগুন আরোও দাউ দাউ করে জ্বলে। যেমন চুনাপাথর বা ক্যালসাইট বা ক্যালসিয়াম কার্বনেট ৫৫০ সে. গ্রে. তাপমাত্রায় বিয়োজিত হয়ে ক্যালসিয়াম অক্সাইড এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড হয়ে যায়। এই ক্যালসিয়াম অক্সাইড ২৫৭০ সে. গ্রে. তাপমাত্রায় গলে যায় এবং তা পরবর্তীতে বাতাসের অক্সিজেনের সাথে মিশে তাপমাত্রা আরোও বৃদ্ধি করতে থাকে।[4] আমরা হিন্দুদের মৃতদেহ পোড়ানোর সময়ও এর প্রমাণ দেখতে পাই।
এরূপ আল-কুরআনের বহু আয়াতে বিজ্ঞানের নিদর্শন লুকিয়ে রয়েছে, যা আমরা ধাপে ধাপে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ।
[ক্রমশঃ]
[1]. তপন হাসান চেীধুরী, উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্র, ১ম অধ্যায় দ্রষ্টব্য।
[2]. David C.Lindberg,Science before the Greeks.
[3]. Lawrence M. Solan, "Introduction". Scientific Revolution: A Very Short Introduction.
[4]. গবেষণা বিভাগ বোর্ড, আল-কুরআনে বিজ্ঞান (ঢাকা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ), পৃ. ৩৮।