ভূমিকা :

জুওয়াইরিয়া (রাঃ) ছিলেন বনু মুছতালিক-এর সরদারের কন্যা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ইবাদতগুযার ও আত্মসম্মানবোধে উজ্জীবিত এক সম্ভ্রান্ত মহিলা। তিনি তাঁর বংশের জন্য খোশনসীবের কারণ ছিলেন। তাঁর জন্যই তাঁর বংশের যুদ্ধবন্দীরা মুক্তি লাভ করেছিল। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় লাভের পর তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ করে চলেছেন জীবনের পরতে পরতে। যখনই তিনি সময় পেয়েছেন নফল ইবাদতে সে সময় ব্যয় করার নিরন্তর চেষ্টা করেছেন। রাসূলপত্নী উম্মুল মুমিনীন জুওয়াইরিয়া (রাঃ)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী আমরা এখানে আলোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।

নাম ও বংশ পরিচিতি :

তাঁর নাম জুওয়াইরিয়া, পিতার নাম আল-হারিছ।[1] তাঁর পূর্ব নাম ছিল ‘বাররাহ’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সে নাম পরিবর্তন করে জুওয়াইরিয়া রাখেন।[2] তিনি খুযা‘আহ গোত্রের বনু মুছতালিকের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন। তাঁর পূর্ণ বংশ পরিচয় হচ্ছে জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারিছ ইবনে আবী যিরার ইবনে হাবীব ইবনে আয়েয ইবনে মালিক ইবনে জুয়াইমা ইবনিল মুছতালিক।[3]

জন্ম ও শৈশব :

জুওয়াইরিয়া (রাঃ)-এর সঠিক জন্ম তারিখ ও সাল জানা যায় না। তবে ৫৬ হিজরী সালে ৬৫ বছর বয়সে তিনি ইন্তিকাল করেন।[4] সে হিসাবে তাঁর জন্ম ৬২৩ খৃষ্টাব্দে বলে ধরে নেয়া যায়। মুরাইসী‘ এলাকার বনু মুছতালিক গোত্রে তাঁর শৈশব কেটেছে। কিন্তু তাঁর শৈশবকাল সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না।

প্রথম বিবাহ :

জুওয়াইরিয়া (রাঃ)-এর চাচাত ভাই মুসাফা‘ ইবনু ছাফওয়ান ইবনে আবিশ শুফারের সাথে তাঁর প্রথম বিবাহ সম্পন্ন হয়। বনু মুছতালিকের যুদ্ধে তিনি নিহত হন।[5]

রাসূলের সাথে বিবাহপূর্ব ঘটনা :

যয়নাব বিনতু জাহাশকে বিবাহের পরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বহু বড় বড় ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়েন। হিজরী ৫ম বছরের অধিকাংশ সময় কেটে যায় এসব ঘটনায় ব্যস্ত থেকে। শাওয়ালের শেষ দিকে এবং যুলকা‘দাহ মাসের প্রথমে খন্দকের যু্দ্ধ সংঘটিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তিন হাযার মুসলিম সৈন্য নিয়ে খন্দকের অপর প্রান্তে থেকে ইহুদী ও মুশরিকদের সম্মিলিত বাহিনীর ১০ হাযার সৈন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। বনু কিনানাহ, তাহামাহ অধিবাসী, গাত্বফান গোত্র ও নজদবাসীও ঐ দলে শামিল ছিল। এ সম্মিলিত বাহিনী চতুর্দিক থেকে মুসলমানদের আক্রমণ করে। মদীনার ইহুদীরা চুক্তি ভঙ্গ করে। যেসব মুনাফিক কেবল গনীমত লাভের আশায় যুদ্ধে যোগদান করেছিল, তারা সম্ভাব্য আক্রমণের তীব্রতা অনুমান করে দলত্যাগ করে বাড়ী ফিরে যায়। ২৭ দিন মুসলিম বাহিনী মুশরিকদের দ্বারা অবরুদ্ধ থাকে। অতঃপর আল্লাহ মুসলমানদের সাহায্য করেন। তারা বিজয়ী বেশে বাড়ী এসে অস্ত্র খুলে রাখার পূর্বেই নির্দেশ আসে ইহুদী বনু কুরাইযা গোত্র আক্রমণের। যুলকা‘দার শেষে ও যুলহিজ্জার প্রথমে ২৫ দিন মুসলিম বাহিনী ঐ গোত্র অবরোধ করে রাখেন। এরপর বনু লিহয়ান, যী কারদ, প্রভৃতি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। অতঃপর মুসলমানরা মদীনায় ফিরে আসার পরে এক মাসও অতিক্রান্ত হয়নি, এমতাবস্থায় খবর আসল যে, খুযা‘আহ গোত্রের একটি কবীলা বনু মুছতালিক আল-হারিছ ইবনু আবী যিরারের নেতৃত্বে যুদ্ধের জন্য তৈরী হচ্ছে।[6] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ খবরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বুরাইদা আল-আসলামীকে প্রেরণ করলেন। তিনি এসে সংবাদ দিলেন যে, বনু মুছতালিক অস্ত্র-শস্ত্র ক্রয় করে রাসূলের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য প্রস্ত্তত হয়েছে এবং তাদের অগ্রবর্তী বাহিনী সামনে অগ্রসর হয়েছে।[7]

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ খবর পেয়ে যায়েদ বিন হারিছাকে মদীনার দেখা-শুনার জন্য ভারপ্রাপ্ত গভর্নর নিযুক্ত করে ৪র্থ মতান্তরে ৫ম হিজরীর ২রা শা‘বান সোমবার ৭০০ জন মুজাহিদ নিয়ে বনু মুছতালিককে প্রতিহত করতে বের হন। মদীনা থেকে ৯ মাইল দূরে বনু মুছতালিকের ‘মুরাইসী’ নামক কুয়ার কাছে পৌঁছে রাসূলুল্লাহ অবস্থান নেন। সেখানে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্য একটি চামড়ার তাবু টানানো হয়। এ সফরে তাঁর সাথে আয়েশা ও উম্মু সালমা (রাঃ) ছিলেন। মুজাহিদগণ কুয়ার নিকটে সমবেত হ’লেন, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্ত্তত হ’লেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদেরকে সারিবদ্ধ করলেন। মুহাজিরদের পতাকা আবু বকর (রাঃ) বা আম্মার ইবনু ইয়াসার-এর নিকট এবং আনছারদের পতাকা সা‘দ ইবনু উবাদাহর নিকট অর্পণ করলেন। বনু মুছতালিকের পতাকাবাহী ছিল ছাফওয়ান ইবনু যীশ শুফরাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ওমর (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলেন, একথা প্রচারের জন্য যে, ‘তোমরা বল, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তাহ’লে তোমাদের জান-মাল নিরাপদে থাকবে’। ওমর (রাঃ) ঘোষণা করলে বনু মুছতালিকের লোকেরা এই স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানাল। ফলে যুদ্ধ শুরু হ’ল। এ যুদ্ধে একজন মুজাহিদ শহীদ হন। পক্ষান্তরে বনু মুছতালিকের ১০জন নিহত হয় এবং বাকী সবাই বন্দী হয়।[8] এই বন্দীদের মধ্যে জুওয়াইরিয়া (রাঃ)ও ছিলেন।[9]

রাসূলের সাথে বিবাহ :

বনু মুছতালিক যুদ্ধে প্রাপ্ত গনীমতের মালের এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহ ও রাসূলের জন্য পৃথক করার পর অবশিষ্ট সম্পদ নবী করীম (ছাঃ) যোদ্ধাদের মধ্যে বণ্টন করলেন। অশ্বারোহীকে দু’ভাগ এবং পদাতিককে একভাগ করে দিলেন। জুওয়াইরিয়া বিনতু হারিছ পড়লেন ছাবিত ইবনু কায়েস আশ-শাম্মাস আল-আনছারীর ভাগে। গোত্র প্রধানের মেয়ে হওয়ার কারণে দাসী হয়ে থাকা তাঁর জন্য অসম্ভব ছিল। তিনি এটা মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই তিনি ছাবিত ইবনু কায়েসের সাথে ৯ উকিয়া স্বর্ণের বিনিময়ে মুক্ত হওয়ার চুক্তি করেন। অতঃপর তিনি সাহায্যের জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর খিদমতে উপস্থিত হন। তিনি রাসূলের দরবারে এসে বলেন,

يا رسول الله أنا جويرية بنت الحارث بن أبي ضرار سيد قومه، وقد أصابني من البلاء ما لم يخف عليك فوقعت في السهم لثابت بن قيس بن الشماس أو لإبن عم له، فكاتبته على نفسي فجئتك أستعينك على كتابتي.

‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারিছ ইবনে আবী যিরার যিনি তার কওমের সর্দার। আমার প্রতি যে বিপদ আপতিত হয়েছে, তা আপনার কাছে গোপনীয় নয়। আমি ছাবিত ইবনু কায়েস ইবনে শাম্মাস বা তার চাচাত ভাইয়ের অংশে পড়েছি। আমি তার সাথে অর্থের বিনিময়ে মুক্তির চুক্তি করেছি। তাই আমার চুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য আপনার নিকট এসেছি’। 

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আমি কি তোমার জন্য এর চেয়ে উত্তম কিছু করব না? জুওয়াইরিয়া বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেটা কি? তিনি বললেন, আমি তোমার পক্ষ থেকে তোমার চুক্তির অর্থ পরিশোধ করে দেব এবং তোমাকে বিবাহ করব। জুওয়াইরিয়া বললেন, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করলেন। এ খবর শুনে ছাহাবায়ে কেরাম বনু মুছতালিকের ১০০ জন বন্দীর সবাইকে মুক্ত করে দিলেন।[10] আয়েশা (রাঃ) বলেন, فما أعلم امرأة كانت أعظم بركة على قومها منها- ‘আমি জানি না তাঁর বংশের জন্য তাঁর চেয়ে অধিক কল্যাণময়ী কোন মহিলা ছিল কি-না’।[11] বনু মুছতালিকের যুদ্ধবন্দী মুক্তিই ছিল তাঁর বিবাহের মোহর।[12]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, জুওয়াইরিয়া (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলেন, ان أزواجك يفخرن علي يقلن لم يزوجك رسول الله صلى الله عليه وسلم إنما أنت ملك يمين، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ألم أعظم صداقك ألم أعتق أربعين رقبة من قومك- ‘নিশ্চয়ই আপনার স্ত্রীগণ আমার উপর গর্ব করে। তারা বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তোমাকে বিবাহ করেননি, বরং ডান হাতের (বিজিত) সম্পদ। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আমি কি তোমাকে সবচেয়ে অধিক মোহর প্রদান করিনি? আমি কি তোমার কওমের ৪০ জন দাসকে মুক্ত করিনি’? [13]

জুওয়াইরিয়া (রাঃ)-কে তাঁর পিতার ফিরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা:

জুওয়াইরিয়া (রাঃ)-এর পিতা হারেছ নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে এসে বললেন, আমার মেয়ে বন্দী হয়ে এসেছে। কিন্তু সে অন্যান্য মহিলার মত দাসী হ’তে পারে না। কেননা আমি ঐ কওমের সম্মানিত ব্যক্তিদের অন্যতম। সুতরাং আপনি তাকে ছেড়ে দিন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আমরা যদি তাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার প্রদান করি তাহ’লে সেটা কি উত্তম হয় না? তখন হারিছ বললেন, হ্যাঁ, আর আমি তার মুক্তিপন প্রদান করছি। অতঃপর তিনি জুওয়াইরিয়া (রাঃ)-এর নিকটে এসে বললেন, ঐ লোকটি তোমাকে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দিয়েছে। সুতরাং তুমি আমাদেরকে লাঞ্ছিত কর না। জুওয়াইরিয়া (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কেই এখতিয়ার করছি। তখন হারিছ বললেন, আল্লাহর কসম! তুমি আমাদেরকে অপমানিত করলে।[14] উল্লেখ্য যে, পরবর্তীতে তাঁর পিতা আল-হারিছ ইসলাম গ্রহণ করেন।[15]

[চলবে]


[1]. মাহমূদ শাকির, আত-তারীখুল ইসলামী, ১ম ও ২য় খন্ড (বৈরুত : আল-মাকতাবুল ইসলামী, ১৯৯১ খ্রীঃ/১৪১১ হিঃ), পৃঃ ৩৬০।

[2]. ছহীহ মুসলিম, হা/২১৪০।

[3]. মুহাম্মাদ ইবনু সা‘দ, আত-ত্বাবাকাতুল কুবরা, তাহক্বীক্ব : মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের আত্বা, ৮ম খন্ড (বৈরুত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১ম প্রকাশ, ১৯৯০খ্রীঃ/১৪১০হিঃ), পৃঃ ৯২।

[4]. আল-হাকিম নাইসাপুরী, আল-মুস্তাদরাক আলাছ ছাহীহাইন. তাহক্বীক্ব : মুছতফা আব্দুল কাদের আত্বা, ৪র্থ খন্ড (বৈরুত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১ম প্রকাশ, ১৯৯০খ্রীঃ/১৪১১হিঃ), পৃঃ ২৮-২৯।

[5]. হাফেয শামসুদ্দীন আয-যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড (বৈরুত : মুআসসাসাতুর রিসালাহ, ৩য় প্রকাশ, ১৪০৫হিঃ/১৯৮৫ খ্রীঃ), পৃঃ ২৬২; আত-ত্বাবাকাতুল কুবরা, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৯২।

[6]. ড. আয়েশা আব্দুর রহমান বিনতুশ শাত্বী, তারাজিমু সাইয়্যেদাতি বায়তিন নবুওয়াত (বৈরুত : দারুর রাইয়্যান লিত তুরাছ, তা.বি.), পৃঃ ৩৫৬-৫৭।

[7]. আবু বকর আহমাদ ইবনুল হুসাইন আল-বায়হাক্বী, দালাইলুন নবুওয়াত, তাহক্বীক্ব : ড. আব্দুল মু‘তী কালা‘জী, ৪র্থ খন্ড (বৈরুত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৯৮৫খ্রীঃ/১৪০৫হিঃ), পৃঃ ৪৭।

[8]. দালাইলুন নবুওয়াত, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৪৪-৪৭।  

[9]. তারাজিমু সাইয়্যেদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩৫৭।

[10]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড, পৃঃ ২৬৫।

[11]. ঐ, পৃঃ ২৬৩।

[12]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড, পৃঃ ২৬২; মুস্তাদরাক, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ২৮; আত-ত্বাবাকাত, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৯২-৯৩।

[13]. মুস্তাদরাক, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ২৭।

[14]. আত-ত্বাবাকাত, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৯৩; সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড, পৃঃ ২৬৩, সনদ ছহীহ; হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী, তাহযীবুত তাহযীব, ১২শ খন্ড (বৈরুত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১ম প্রকাশ, ১৯৯৪খ্রীঃ/ ১৪১৫হিঃ), পৃঃ ৩৫৮।

[15]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড, পৃঃ ২৬৪।






হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
উম্মুল মুমিনীন ছাফিয়া (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
শেরে পাঞ্জাব, ফাতিহে কাদিয়ান মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ) (৪র্থ কিস্তি) - ড. নূরুল ইসলাম
সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
খুবায়েব বিন আদী (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
যয়নাব বিনতু খুযাইমা (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
হোসাইন বিন আলী (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
ঈমানী তেজোদীপ্ত নির্যাতিত ছাহাবী খাববাব বিন আল-আরাত (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
উম্মু হাবীবা বিনতু আবী সুফিয়ান (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আস‘আদ বিন যুরারাহ (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
হাসান বিন আলী (রাঃ) (২য় কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আরও
আরও
.