পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।
২. বিবাহ পরবর্তী কর্তব্য :
বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর কিছু করণীয় রয়েছে। যার কিছু অন্য মানুষের জন্য এবং কিছু স্বামী-স্ত্রীর জন্য। এগুলি নিম্নে আলোচনা করা হ’ল।-
ক. বিবাহ শেষে দো‘আ পাঠ :
বিবাহ সুসম্পন্ন হওয়ার পর উপস্থিত সকলে বর-কনের কল্যাণের জন্য এই দো‘আ পাঠ
করবে- بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِىْ
خَيْرٍ ‘আল্লাহ তোমার জন্য বরকত দিন, তোমার প্রতি বরকত নাযিল করুন এবং
তোমাদের উভয়কে কল্যাণে মিলিত করুন’।[1]
খ. বাসর ঘর ও কনে সাজানো : বিয়ের পর বর-কনেকে একত্রে থাকার জন্য বাসর ঘরের ব্যবস্থা করা ও কনেকে সাজিয়ে সুন্দর করে বরের সামনে উপস্থিত করা সুন্নাত।[2] উম্মু সুলাইম (রাঃ) ছাফিয়া (রাঃ)-কে রাসূলের জন্য সাজিয়ে দেন।[3]
আয়েশা
(রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন আমাকে বিবাহ করেন, তখন আমার বয়স ছিল ছয়
বছর। তারপর আমরা মদীনায় এলাম এবং বনু হারিছ গোত্রে অবস্থান করলাম। সেখানে
আমি জ্বরে আক্রান্ত হ’লাম। এতে আমার চুল পড়ে গেল। পরে যখন আমার মাথার
সামনের চুল জমে উঠল, সে সময় আমি একদিন আমার বান্ধবীদের সাথে দোলনায় খেলা
করছিলাম। তখন আমার মাতা উম্মে রূমান আমাকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকলেন। আমি তাঁর
কাছে এলাম। আমি তার উদ্দেশ্য বুঝতে পারিনি। তিনি আমার হাত ধরে ঘরের দরজায়
এসে আমাকে দাঁড় করালেন। তখন আমি হাঁপাচ্ছিলাম। শেষে আমার শ্বাস-প্রশ্বাস
কিছুটা স্বাভাবিক হ’ল। এরপর তিনি কিছু পানি নিলেন এবং তা দিয়ে আমার
মুখমন্ডল ও মাথা মাসেহ করে দিলেন। তারপর আমাকে ঘরের ভিতর প্রবেশ করালেন।
সেখানে কয়েকজন আনছার মহিলা ছিলেন। তাঁরা বললেন, কল্যাণময়, বরকতময় এবং
সৌভাগ্যমন্ডিত হোক। আমাকে তাদের কাছে দিয়ে দিলেন। তাঁরা আমার অবস্থান ঠিক
করে দিলেন, তখন ছিল দ্বিপ্রহরের পূর্ব মুহূর্ত। হঠাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ)-কে
দেখে আমি হকচকিয়ে গেলাম। তাঁরা আমাকে তাঁর কাছে তুলে দিলেন। সে সময় আমি
ছিলাম নয় বছরের বালিকা।[4]
গ. বিবাহের ঘোষণা দেওয়া :
বিবাহ হচ্ছে একটি প্রকাশ্য সামাজিক অনুষ্ঠান। তাই বিয়ের অনুষ্ঠান সকলকে
জানিয়ে দেওয়া উচিত। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা বিবাহের অনুষ্ঠানের ব্যাপক
প্রচার কর’।[5] এজন্য বিবাহের সময় ইসলামে দফ বা একমুখা ঢোল বাজানোকে জায়েয
বলা হয়েছে। রুবাই বিনত মুআবিবয ইবনু আফরা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত। তিনি বলেন,
আমার বাসর রাতের পরের দিন নবী করীম (ছাঃ) এলেন এবং আমার বিছানার ওপর বসলেন,
যেমন বর্তমানে তুমি আমার বিছানার ওপর বসে আছ। সে সময় আমাদের ছোট মেয়েরা দফ
বাজাচ্ছিল এবং বদরের যুদ্ধে শাহাদাতপ্রাপ্ত আমাদের বাপ-চাচাদের শোকগাঁথা
গাচ্ছিল’।[6]
ঘ. বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে সদয় ব্যবহার করা :
বাসর
রাতে নববধূর নিকটে প্রবেশ করে তার সাথে সদয় ও সম্প্রীতিপূর্ণ ব্যবহার করতে
হবে। আসমা বিনতু ইয়াযীদ বিন সাকান বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্য
আয়েশাকে তেল মাখিয়ে দিলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে আসলাম। তারপর
তাকে খোলা অবস্থায় দেখার জন্য আহবান করলাম। তিনি এসে আয়েশার পাশে বসলেন।
তারপর দুধের একটি বাটি নিয়ে আসা হ’ল। তিনি পান করে আয়েশার দিকে দিলেন।
কিন্তু আয়েশা লজ্জিত হয়ে মাথা নিচু করলেন। আসমা বলেন, আমি তাকে ধমকের সুরে
বললাম, তুমি নবী করীম (ছাঃ)-এর হাত থেকে গ্রহণ কর। আসমা বললেন, সে নিয়ে
কিছুটা পান করল। তখন নবী করীম (ছাঃ) তাকে বললেন, আমি কি তোমার বান্ধবীকে
দিব? আসমা বললেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! বরং তা আপনি নিন এবং
পান করে আপনার হাত থেকে আমাকে দিন। তিনি নিয়ে পান করে আমাকে দিলেন। তিনি
বলেন, আমি বসে পাত্রটি আমার জানুর উপরে রাখলাম। এরপর আমি পাত্রটি ঘুরাতে
লাগলাম ও ঠোট দ্বারা স্পর্শ করতে লাগলাম যেন নবী করীম (ছাঃ)-এর পান করার
স্পর্শ পাই। অতঃপর নবী করীম (ছাঃ) আমার সাথে উপস্থিত মহিলাদের লক্ষ্য করে
বললেন, তাদেরকে দাও। তারা বললেন, আমরা তা (পান করার) ইচ্ছা করি না। তখন নবী
করীম (ছাঃ) বললেন, ‘তারা ক্ষুধা ও মিথ্যা জমা করে না’।[7]
ঙ. স্ত্রীর মাথার অগ্রভাগে হাত রেখে দো‘আ করা :
বাসর রাতে বা তার পূর্বে স্বামী স্ত্রীর মাথার সম্মুখভাগে হাত রেখে বরকতের
দো‘আ করবে। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোন মহিলাকে বিবাহ করবে
অথবা চাকর ক্রয় করবে, সে যেন তার কপালে হাত রেখে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে অতঃপর
বলে,اَللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا
عَلَيْهِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ
‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট তার মঙ্গল ও যে মঙ্গলের উপর তাকে সৃষ্টি
করেছেন তা প্রার্থনা করছি। আর তার অমঙ্গল ও যে অমঙ্গলের উপর তাকে সৃষ্টি
করেছেন তা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি’।[8]
চ. স্বামী-স্ত্রী একত্রে ছালাত আদায় করা :
বাসর রাতে স্বামী স্বীয় নববধূকে নিয়ে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে। এটা
মুস্তাহাব। শাকীক (রাঃ) বলেন, আবু হারীয নামক এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি একজন
যুবতী কুমারী মহিলাকে বিবাহ করেছি। আর আমি ভয় করছি যে, সে আমাকে অসন্তুষ্ট
করবে। তারপর আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ বলেন, নিশ্চয়ই বন্ধুত্ব-ভালবাসা
আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং রাগ-অসন্তুষ্টি শয়তানের পক্ষ থেকে। শয়তান ইচ্ছা করছে
যে, আল্লাহ তোমাদের জন্য যা বৈধ করেছেন তাতে সে তোমাদের নিকট ঘৃণা সৃষ্টি
করবে। সুতরাং সে (তোমার স্ত্রী) যখন তোমার কাছে আসবে তখন তাকে জামা‘আত
সহকারে তোমার পিছনে দু’রাক‘আত ছালাত পড়তে নির্দেশ দিবে।[9]
আব্দুল্লাহ
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, স্ত্রী স্বামীর কাছে গেলে স্বামী দাঁড়িয়ে যাবে এবং
স্ত্রী তার পিছনে দাঁড়াবে। অতঃপর তারা একসঙ্গে দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করবে
এবং বলবে, اَللّهُمَّ بَارِكْ لِىْ فِىْ أَهْلِىْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِىَّ،
اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ بِخَيْرٍ و فَرِّقْ بَيْنَنَا
إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ- ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে
বরকত দিন এবং আমার ভিতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। হে আল্লাহ! আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযিক দিন আর আমার থেকে তাদেরকেও রিযিক দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্রে রাখুন। আর আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলে কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটান’।[10]
ছ. সহবাস সম্পর্কিত কিছু করণীয় : সহবাসকালে কিছু করণীয় রয়েছে, যা পালন করা প্রত্যেক নারী-পুরুষের জন্য কর্তব্য।
(১) সহবাসকালে দো‘আ পাঠ করা :
সহবাসের সময় রাসূল (ছাঃ) নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করতে বলেছেন,بِسْمِ اللهِ
اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا
رَزَقْتَنَا- উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ শায়তা-না ও
জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা’। অর্থ: ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে
আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তানের প্রভাব থেকে দূরে রাখুন এবং আমাদের যে সন্তান দান
করবেন তাদেরকে শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচিয়ে রাখুন’।[11] এ দো‘আ পাঠ করার পরে সহবাস করলে আল্লাহ যদি ঐ স্বামী-স্ত্রীকে কোন সন্তান দান করেন, তাহ’লে শয়তান সন্তানের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।[12]
সহবাসের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর সম্মুখভাগে যে দিক দিয়ে ইচ্ছা সহবাস করতে পারে। আল্লাহ বলেন,نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوْا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ ‘তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত স্বরূপ। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা আগমন কর’ (বাক্বারাহ ২/২২৩)।
উম্মু
সালামা (রাঃ) বলেন, মুহাজিরগণ মদীনায় এসে আনছার মহিলাদের বিবাহ করলেন।
মুহাজির মহিলারা চিৎ হয়ে শয়ন করত। কিন্তু আনছার মহিলারা চিৎ হয়ে শয়ন করত
না। একদা এক মুহাজির ব্যক্তি তার আনছার স্ত্রীকে এরূপ করার ইচ্ছা করলে সে
রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস না করে তা করতে অস্বীকৃতি জানাল। উম্মু সালামা
(রাঃ) বলেন, সে মহিলা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট আসল, কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞেস করতে
লজ্জাবোধ করল। তাই উম্মু সালামা (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন।
অতঃপরنِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوْا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ
‘তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত স্বরূপ। অতএব তোমরা তোমাদের
শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা আগমন কর’ (বাক্বারাহ ২/২২৩) আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। রাসূল (ছাঃ) বললেন, না, শুধুমাত্র একই রাস্তায় সহবাস করা যাবে’।[13]
অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন,ائْتِهَا مُقْبِلَةً، وَمُدْبِرَةً إِذَا كَانَ
ذَلِكَ فِي الْفَرْجِ- ‘তার নিকটে আস, সম্মুখ ও পিছন উভয় দিক দিয়ে, যদি তা
লজ্জাস্থান হয়’।[14] তিনি আরো বলেন,أَقْبِلْ وَأَدْبِرْ وَاتَّقِ الدُّبُرَ وَالْحِيْضَةَ. ‘সামনে কর, পিছনে কর এবং পায়ুপথ ও ঋতুস্রাব থেকে বেঁচে থাক’।[15]
(২) নিষিদ্ধ স্থানে সহবাস না করা : স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন,لاَ يَنْظُرُ اللهُ إِلَى رَجُلٍ يَأْتِي امْرأَتَهُ فِيْ دُبُرِهَا- ‘আল্লাহ ঐ ব্যক্তির দিকে তাকাবেন না যে তার স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করে’।[16] তিনি আরো বলেন,إِنَّ اللهَ لاَ يَسْتَحْيِى مِنَ الْحَقِّ. ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، لاَ تَأْتُوا النِّسَاءَ فِى أَدْبَارِهِنَّ. ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ হকের ব্যাপারে লজ্জাবোধ করেন না। কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তোমরা মহিলাদের পায়ুপথে সহবাস কর না’।[17]
মহিলাদের
পায়ুপথ ব্যবহার করাকে হারাম করা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِتْيَانُ
النِّسَاءِ فِىْ أَدْبَارِهِنَّ حَرَامٌ ‘নারীদের পিছন দিয়ে সহবাস করা
হরাম’।[18] অন্যত্র তিনি বলেন,إنَّ اللهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَأْتُوا
النِّسَاءَ فِيْ أَدْبَارِهِنَّ- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন
তোমাদের স্ত্রীদের পায়ুপথ ব্যবহার করতে’।[19]
(৩) নিষিদ্ধ সময়ে সহবাস না করা : ঋতু অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করা হারাম। আল্লাহ বলেন,وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيْضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيْضِ وَلاَ تَقْرَبُوْهُنَّ حَتَّى يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوْهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللهُ إِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ- ‘আর লোকেরা তোমাকে প্রশ্ন করছে মহিলাদের ঋতুস্রাব সম্পর্কে। তুমি বল, ওটা হ’ল কষ্টদায়ক বস্ত্ত। অতএব ঋতুকালে স্ত্রীসঙ্গ হ’তে বিরত থাক। পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা ভালভাবে পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নিকট গমন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালবাসেন ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন’ (বাক্বারাহ ২/২২২)।
রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন,مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِىْ دُبُرِهَا أَوْ
كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُوْلُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى
مُحَمَّدٍ- ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে কিংবা তার পায়ুপথে সঙ্গম
করে অথবা গণকের কাছে যায় এবং তার কথা বিশ্বাস করে, সে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর
প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করল’।[20]
উল্লেখ্য,
ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস ব্যতীত সবকিছু বৈধ। রাসূল (ছাঃ)
বলেন,جَامِعُوْهُنَّ فِى الْبُيُوْتِ وَاصْنَعُوْا كُلَّ شَىْءٍ غَيْرَ
النِّكَاحِ- ‘তোমরা তাদের সাথে (তাদের হায়েয অবস্থায়) একই ঘরে অবস্থান ও
অন্যান্য কাজ করতে পার শুধু সহবাস ছাড়া’।[21]
আয়েশা
(রাঃ) বলেন, আমাদের কেউ হায়েয অবস্থায় থাকলে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) তার সাথে
মিশামিশি করতে চাইলে তাকে হায়েযে শক্তভাবে ইযার পরার নির্দেশ দিতেন। তারপর
তার সাথে মিশামিশি করতেন’।[22] অন্য বর্ণনায় আছে,أَنَّ النَّبِىَّ صلى
الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ مِنَ الْحَائِضِ شَيْئًا أَلْقَى عَلَى
فَرْجِهَا ثَوْبًا. ‘নবী করীম (ছাঃ) তাঁর ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে কিছু করতে
চাইলে স্ত্রীর লজ্জাস্থানের উপর কাপড় রেখে তারপর করতেন’।[23]
স্ত্রী হায়েয থেকে পবিত্র হ’লে তার সাথে সহবাস করা বৈধ। আল্লাহ বলেন,فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوْهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللهُ إِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ- ‘অতঃপর যখন তারা ভালভাবে পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নিকট গমন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালবাসেন ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন’ (বাক্বারাহ ২/২২২)।
ঋতুকালে
স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে কাফফারা দিতে হবে। নবী করীম (ছাঃ) এমন ব্যক্তি
সম্পর্কে বলেন,الَّذِيْ يَأْتِيْ امْرَأَتَهُ وَهِىَ حَائِضٌ قَالَ
يَتَصَدَّقُ بِدِيْنَارٍ أَوْ نِصْفِ دِيْنَارٍ- ‘যে ব্যক্তি ঋতুবতী
স্ত্রীর সাথে সহবাস করে, সে যেন এক অথবা অর্ধ দীনার ছাদাকা করে’।[24]
উল্লেখ্য যে, ১ ভরি সমান ১১.৬৬ গ্রাম। হাদীছে বর্ণিত এক দীনার সমান ৪.২৫ গ্রাম স্বর্ণ। আর অর্ধ দীনার সমান ২.১২৫ গ্রাম স্বর্ণ।
(৪) সহবাসের পর ওযূ করা :
সহবাসের পরে ঘুমাতে ও পানাহার করতে চাইলে কিংবা পুনরায় মিলিত হ’তে চাইলে
মাঝে ওযূ করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,ثَلاَثَةٌ لاَ تَقْرَبُهُمُ
الْمَلاَئِكَةُ جِيْفَةُ الْكَافِرِ وَالْمُتَضَمِّخُ بِالْخَلُوْقِ
وَالْجُنُبُ إِلاَّ أَنْ يَتَوَضَّأ-َ ‘তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না;
কাফের ব্যক্তির লাশ, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র ব্যক্তি যতক্ষণ না সে
ওযূ করে’।[25]
আয়েশা (রাঃ) বলেন, كَانَ
النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَهْوَ جُنُبٌ،
غَسَلَ فَرْجَهُ، وَتَوَضَّأَ لِلصَّلاَةِ. ‘নবী করীম (ছাঃ) যখন অপবিত্র
অবস্থায় ঘুমাতে ইচ্ছা করতেন তখন তিনি লজ্জাস্থান ধুয়ে ছালাতের ওযূর ন্যায়
ওযূ করতেন’।[26]
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর বলেন,
ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন, যদি রাতে কোন
সময় তাঁর গোসল ফরয হয় (তখন কী করতে হবে?) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁকে বললেন,
ওযূ করবে, লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবে তারপর ঘুমাবে।[27] অন্যত্র তিনি
বলেন,نَعَمْ لِيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَنَمْ حَتَّى يَغْتَسِلَ إِذَا شَاءَ
‘হ্যাঁ সে যেন ওযূ করে। অতঃপর সে যেন ঘুমায় এবং যখন চাইবে গোসল করবে’।[28] তিনি আরো বলেন, نَعَمْ وَيَتَوَضَّأُ إِنْ شَاءَ ‘হ্যাঁ, যদি সে চায় ওযূ করবে’।[29]
উপরোক্ত হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, সহবাসের পরে ওযূ করা আবশ্যিক
নয় বরং সুন্নাত। যেমন আয়েশা (রাঃ) বলেন,كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه
وسلم يَنَامُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَمَسَّ مَاءً. ‘রাসূলুল্লাহ
কোনরূপ পানি স্পর্শ না করেই নাপাক অবস্থায় ঘুমাতেন’।[30]
উল্লেখ্য,
ওযূর পরিবর্তে তায়াম্মুম করাও যায়। আয়েশা (রাঃ) বলেন,كَانَ رَسُولُ اللهِ
صلى الله عليه وسلم إِذَا أَجْنَبَ فَأَرَادَ أَنْ يَنَامَ تَوَضَّأَ أو
تَيَمَّمَ- ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন অপবিত্র হ’তেন এবং ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন
তখন ওযূ করতেন বা তায়াম্মুম করতেন’।[31]
(৫) ঘুমের পূর্বে অপবিত্রতার গোসল করা উত্তম : নিম্নোক্ত
হাদীছ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জানাবাতের পরে গোসল করা উত্তম। আব্দুল্লাহ
বিন কায়েস বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী করীম (ছাঃ) অপবিত্র
অবস্থায় কিরূপ করতেন? তিনি কি ঘুমের পূর্বে গোসল করতেন, না গোসলের পূর্বে
ঘুমাতেন? আয়েশা (রাঃ) বলেন,كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ رُبَّمَا
اغْتَسَلَ فَنَامَ وَرُبَّمَا تَوَضَّأَ فَنَامَ. قُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ
الَّذِى جَعَلَ فِى الأَمْرِ سَعَةً. ‘তিনি উভয়টি করতেন। কখনো গোসল করে
ঘুমাতেন, আবার কখনো ওযূ করে ঘুমাতেন। আমি বললাম, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র
আল্লাহর যিনি কর্মে প্রশস্ততা দান করেছেন’।[32]
অন্য
হাদীছে এসেছে,أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَافَ
ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى نِسَائِهِ يَغْتَسِلُ عِنْدَ هَذِهِ وَعِنْدَ هَذِهِ
فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَلاَ تَجْعَلُهُ غُسْلاً وَاحِدًا؟ قَالَ:
هَذَا أَزْكَى وَأَطْهَرُ وَأَطْيَبُ.‘একদা নবী করীম (ছাঃ) তাঁর স্ত্রীদের
সাথে সহবাস করলেন। তিনি এর কাছে গোসল করলেন এবং ওর কাছেও গোসল করলেন। রাবী
বলেন, আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি তাকে একটি গোসলে পরিণত
করতে পারলেন না? তিনি বললেন, এটা অধিকতর পরিচ্ছন্ন, অতি উত্তম ও সর্বাধিক
পবিত্রতা’।[33]
(৬) স্বামী-স্ত্রী এক সাথে গোসল করা :
স্বামী-স্ত্রীর একস্থানে একত্রে গোসল করা বৈধ। আয়েশা (রাঃ) বলেন,كُنْتُ
أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ
بَيْنِىْ وَبَيْنَهُ وَاحِدٍ فَيُبَادِرُنِىْ حَتَّى أَقُولَ دَعْ لِىْ
دَعْ لِىْ. قَالَتْ وَهُمَا جُنُبَانِ. ‘আমি ও আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) উভয়েই
একই পাত্র থেকে গোসল করতে ছিলাম। এমনকি আমি বলতাম আমার জন্য রাখেন, আমার
জন্য রাখেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, উভয় অপবিত্র অবস্থায় ছিলেন’।[34]
বাসর পরবর্তী সকালে করণীয় :
ওয়ালীমা করা :
বাসর পরবর্তী সকালে বরের অন্যতম কর্তব্য হ’ল ওয়ালীমা করা। এটা সুন্নাত।
আলী (রাঃ) যখন ফাতিমা (রাঃ)-কে বিবাহের পয়গাম পাঠালেন, তখন রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বললেন, ‘অবশ্যই নববধূর জন্য ওয়ালীমা হ’তে হবে’।[35] ওয়ালীমার মাধ্যমে
বিবাহের কথা সকলের মাঝে প্রচার হয়। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন,مَا
أَوْلَمَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى شَىْءٍ مِنْ نِسَائِهِ، مَا
أَوْلَمَ عَلَى زَيْنَبَ أَوْلَمَ بِشَاةٍ- ‘রাসূল (ছাঃ) স্বীয় স্ত্রী
যয়নাবের বিবাহে যেভাবে ওয়ালীমা করেছিলেন, এরূপ ওয়ালীমা তিনি পরবর্তী কোন
স্ত্রীর বিবাহে করেননি। তাতে তিনি একটি বকরী দিয়ে ওয়ালীমা করেছেন’।[36]
আনাস
(রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যেদিন যয়নাব (রাঃ)-এর সাথে বাসর রাত উদযাপন
করলেন, সেদিন ওয়ালীমার ব্যবস্থা করলেন এবং মুসলিমদেরকে তৃপ্তি সহকারে রুটি ও
গোশত খাওয়ালেন। অতঃপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে গেলেন এবং তাদের প্রতি
সালাম করে তাদের জন্য দো‘আ করলেন। আর তারাও তাঁকে সালাম করলেন এবং তাঁর
জন্য দো‘আ করলেন। রাসূল (ছাঃ) তাঁর বাসর রাতের সকালে এরূপ করতেন’।[37]
ওয়ালীমা কয় দিন করা যাবে :
বাসর
পরিবর্তী তিন দিন ওয়ালীমা করা যায়। আনাস (রাঃ) বলেন,تَزَوَّجَ النَّبِيُّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا،
وَجَعَلَ الْوَلِيمَةَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، ‘নবী করীম (ছাঃ) ছাফিয়া
(রাঃ)-কে বিবাহ করলেন এবং তার মুক্তিপণ তার মোহর নির্ধারণ করলেন, তিন দিন
ওয়ালীমা খাওয়ালেন’।[38]
ওয়ালীমা সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় :
(১) সমাজে ওয়ালীমার নামে বড় লোকদের মিলন মেলা বসে, যেখানে বরের বা
অভিভাবকদের লক্ষ্য থাকে উপহারের দিকে। ঐসব অনুষ্ঠান থেকে দরিদ্র লোকজন
বঞ্চিত হয়। অথচ ওয়ালীমার দাওয়াতে উপহার আদান-প্রদান রাসূলের সুন্নাত নয়,
বরং সুন্নাত হ’ল সৎ ব্যক্তিগণকে দাওয়াত দেওয়া। তারা দাওয়াত গ্রহণ করে
ওয়ালীমাতে আসবেন ও নবদম্পতির মঙ্গলের জন্য দো‘আ করবেন। বেছে বেছে কেবল বড়
লোকদের ওয়ালীমায় দাওয়াত দেওয়া হলে ঐ খাদ্যকে রাসূল (ছাঃ) নিকৃষ্ট
বলেন,شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيْمَةِ يُدْعَى لَهَا الأَغْنِيَاءُ،
وَيُتْرَكُ الْفُقَرَاءُ، وَمَنْ تَرَكَ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللهَ
وَرَسُوْلَهُ- ‘খাদ্যের মধ্যে নিকৃষ্ট খাবার ঐ ওয়ালীমার খাবার যাতে শুধু
ধনীদেরকে দাওয়াত দেয়া হয় এবং দরিদ্রদেরকে ত্যাগ করা হয়। আর ওয়ালীমার দাওয়াত
যে কবুল করল না, সে আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরোধিতা করল’।[39]
(২)
ওয়ালীমার দাওয়াত দিলে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দাওয়াত কবুল করা ওয়াজিব।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,إِذَا دُعِىَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْوَلِيْمَةِ
فَلْيَأْتِهَا- ‘তোমাদের কাউকে ওয়ালীমার দাওয়াত করা হ’লে সে যেন তাতে
অংশগ্রহণ করে’।[40]
(৩) ওয়ালীমা অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য লোকেরা সাহায্য করতে পারে। আনাস (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর স্ত্রী
ছাফিয়া (রাঃ)-এর ঘটনা সম্পর্কে বলেন, যখন রাসূল রাস্তায় ছিলেন উম্মে সুলাইম ছাফিয়াকে তাঁর জন্য প্রস্ত্তত করলেন অর্থাৎ সাজালেন এবং তাঁকে রাতে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। নবী করীম (ছাঃ) বাসর ঘরেই সকাল করলেন। এরপর তিনি বললেন, যার কাছে যে খাবার আছে সে যেন তা নিয়ে আসে। অপর বর্ণনায় আছে, যার কাছে অতরিক্ত খাবার আছে সে যেন তা আমাদের নিকটে নিয়ে আসে। আনাস (রাঃ) বলেন, তিনি একটি দস্তরখান বিছালেন। তখন কেউ পণির নিলে আসল, কেউ খেজুর নিয়ে আসল, আবার কেউ ঘি নিয়ে আসল। সব দিয়ে তারা হাইস (খাদ্য বিশেষ) তৈরী করলেন। তারা (আমন্ত্রিত লোকেরা) হাইস খেতে লাগলেন এবং তাদের পাশের বৃষ্টির পানি হাউজ থেকে পান করতে লাগলেন। আর এটাই ছিল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ওয়ালীমা।[41] এ হাদীছ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, ওয়ালীমা অনুষ্ঠানের জন্য কেউ সহযোগিতা করতে পারে। তবে ওয়ালীমা অনুষ্ঠানে মানুষকে দাওয়াত দিয়ে সেখানে আমন্ত্রিত মেহমানদের নিকট থেকে উপহার-উপঢৌকন, টাকা-পয়সা গ্রহণ করা সমীচীন নয়।
চলবে]
[1]. আবুদাউদ হা/২১৩০; তিরমিযী হা/১০৯১; ইবনু মাজাহ হা/১৯০৫, মিশকাত হা/২৩৩২।
[2]. বুখারী, ইবনু মাজাহ হা/১৮৭৬; ইরওয়া হা/১৮৩১।
[3]. বুখারী হা/৩৭১; মুসলিম হা/১৩৬৫; নাসাঈ হা/৩৩৮০।
[4]. বুখারী হা/৩৮৯৪, ৩৮৯৬; মুসলিম হা/১৪২২; নাসাঈ হা/৩২৫৫-৫৮; আবূদাউদ হা/২১২১, ৪৯৩৩, ৪৯৩৫; ইরওয়া হা/১৮৩১।
[5]. ইবনু হিববান, ত্বাবারানী, ইরওয়া হা/১৯৯৩।
[6]. বুখারী হা/৫১৪৭ ‘বিয়ে ও ওয়ালীমায় দফ বাজানো’ অনুচ্ছেদ।
[7]. মুসনাদ আহমাদ হা/২৭৬৩২; আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ১৯।
[8]. আবুদাউদ হা/২১৬০; ইবনু মাজাহ হা/২২৫২; মিশকাত হা/২৪৪৬, সনদ হাসান।
[9]. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ; আলবানী, আদাবুয যিফাফ, মাসআলা নং ৩।
[10]. তাবারানী, মু‘জামুল কাবীর, হা/৮৯০০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৭৫৪৭; সিলসিলাতুল আছার আছ-ছহীহাহ হা/৩৬১; আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ২৪।
[11]. বুখারী হা/১৪১, ৩২৭১, ৫১৬৫; মুসলিম হা/১৪৩৪; আহমাদ হা/১৯০৮, বুলূগুল মারাম হা/১০২০।
[12]. বুখারী হা/১৪১, ৩২৭১; মুসলিম হা/১৪৩৪; মিশকাত হা/২৪১৬।
[13]. আহমাদ, ইরওয়া ৭/৬১; আদাবুয যিফাফ পৃঃ ৩০।
[14]. ত্বাবারাণী, কাবীর, ইরওয়া ৭/৬২; আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ২৭।
[15]. তিরমিযী হা/২৯৮০; মিশকাত হা/৩১৯১, সনদ হাসান।
[16]. ইবনু মাজাহ হা/৬৩৯; মিশকাত হা/৩৫৮৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৩৭৮ আলোচনা দ্রঃ; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৮০২।
[17]. ইবনু মাজাহ হা/১৯২৪; মিশকাত হা/৩১৯২; ছহীহাহ হা/৩৩৭৭।
[18]. নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, ছহীহাহ হা/৮৭৩; ছহীহুল জামে‘ হা/১২৬।
[19]. ছহীহুল জামে‘ হা/১৯২১।
[20]. ইবনু মাজাহ হা/৬৩৯; তিরমিযী হা/১৩৫; মিশকাত হা/৫৫১, হাদীছ ছহীহ।
[21]. আবুদাউদ হা/২৫৮, ২১৬৫, সনদ ছহীহ।
[22]. বুখারী হা/৩০২; মুসলিম হা/২৯৩।
[23]. আবুদাউদ হা/২৭২; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৬৬৩।
[24]. আবুদাঊদ হা/২৬৪; মুসনাদে আহমাদ হা/২১২১; সনদ ছহীহ।
[25]. আবুদাউদ হা/৪১৮০; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৭৩, সনদ হাসান।
[26]. বুখারী হা/২৮৮।
[27]. বুখারী হা/২৯০; মুসলিম হা/৩০৬; মিশকাত হা/৪৫২।
[28]. মুসলিম হা/৩০৬; আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ৪২।
[29]. ইবনু হিববান হা/১২১৬; আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ৪২।
[30]. আবূদাঊদ হা/২৮৮; তিরমিযী হা/১১৮ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়; ইবনু মাজাহ হা/৫৮৪ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়, সনদ ছহীহ।
[31]. বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা, হা/৯৬৮; আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ৪৫।
[32]. মুসলিম হা/৩০৭, ‘অপবিত্র ব্যক্তির ঘুমানো জায়েয’ অনুচ্ছেদ; আবুদাউদ হা/১২৯১; তিরমিযী হা/৪৪৯।
[33]. আবূদাঊদ হা/২১৯; মিশকাত হা/৪৭০, সনদ হাসান।
[34]. মুসলিম হা/৩২১; মিশকাত হা/৪৪০।
[35]. আহমাদ; আদাবুয যিফাফ, মাসআলা নং ২৪।
[36]. বুখারী হা/৫১৬৮, মুসলিম হা/২৫৬৯, মিশকাত হা/৩২১১।
[37]. বুখারী হা/৫১৫৪।
[38]. মুসনাদ আবু ইয়া‘লা, আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ৭৪।
[39]. বুখারী হা/৫১৭৭, মুসলিম হা/১৪৩২।
[40]. বুখারী হা/৫১৭৩, মুসলিম হা/১৪২৯।
[41]. বুখারী হা/৩৭১; মুসলিম হা/১৩৬৫; নাসাঈ হা/৩৩৮০।