১. কঙ্গো : এটা বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশ। এ দেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ শুধুমাত্র অনাহারে মারা যায়। ৪০ শতাংশ মানুষ আধপেটা খেয়ে বাঁচে। গৃহযুদ্ধের পর দেশের অর্থনীতি একেবারে জরাজীর্ণ। ভ্রূক্ষেপ নেই সরকার ও প্রশাসনের। দেশে কর্মসংস্থানের কোন বালাই নেই। মধ্য আফ্রিকার এ দেশে রাস্তায় রাস্তায় মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় ছোটাছুটি করে। জিডিপি পার ক্যাপিটা ৩৪৮ মার্কিন ডলার।
২. লাইবেরিয়া : পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে অর্থনীতি একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যেটুকু ছিল তা ইবোলা মহামারী হানা দেওয়ার পর নিঃশেষ হয়ে গেছে। একজন লাইবেরিয়ান সদ্যজাত শিশু ৩৫০০ মার্কিন ডলার ঋণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। জিডিপি পার ক্যাপিটা ৪৫৬ মার্কিন ডলার।
৩. জিম্বাবুয়ে : একেবারে দেউলিয়া দেশ। রাষ্ট্রনেতা রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। সম্পদে পরিপূর্ণ দেশ হ’লেও জিম্বাবুয়ে দেউলিয়া দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনীতির হাল এতটাই খারাপ যে, ১ মার্কিন ডলারের মূল্য জিম্বাবুয়েতে দাঁড়িয়েছে ৩৬২ টাকা। জিডিপি পার ক্যাপিটা ৪৮৭ মার্কিন ডলার।
৪. বুরুন্ডি : পূর্ব আফ্রিকার এই দেশের অর্থনীতির একেবারে বেহাল দশা। জিডিপি পার ক্যাপিটা ৬১৫ মার্কিন ডলার।
৫. ইরিত্রিয়া : গৃহযুদ্ধের পর বেহাল দশা এই দেশেও। প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে আফ্রিকার এই দেশ বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। জিডিপি পার ক্যাপিটা মার্কিন ডলার ৭৩৫।