মানুষের
পানাহারের প্রয়োজন যেমন আছে তেমনি তার পেশাব-পায়খানা বা প্রাকৃতিক প্রয়োজন
সারারও যরূরত রয়েছে। এক্ষেত্রে মুমিন অবশ্যই কিছু আদব-কায়েদা বা শিষ্টাচার
মেনে চলবে। কেননা সে অন্য জাতি-ধর্মের মানুষের মত যেখানে-সেখানে এ প্রয়োজন
মিটাতে পারে না। আবার ইসলামের নির্দেশনার বাইরেও এসব কাজ সম্পাদন করতে
পারে না। বরং এসব ক্ষেত্রে ইসলামে যেসব আদব বা শিষ্টাচার রয়েছে, তা মেনে
চলা প্রত্যেক মুমিনের জন্য কর্তব্য। নিম্নে এ সম্পর্কিত শিষ্টাচার সমূহ
উল্লেখ করা হ’ল।-
১. প্রাকৃতিক প্রয়োজন শীঘ্রই সম্পন্ন করা : পেশাব-পায়খানার বেগ অনুভূত হ’লেই তা দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। কেননা এতে দ্বীনী ও শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। এমনকি রাসূল (ছাঃ) এ অবস্থায় ছালাত আদায় করতেও নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন,لاَ صَلاَةَ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ وَلاَ وَهُوَ يُدَافِعُهُ الأَخْبَثَانِ- ‘খাদ্য উপস্থিত হ’লে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’।[1] তবে এমতাবস্থায় ছালাত আদায় করলে তা বাতিল হবে না।
২. লোকচক্ষুর অন্তরালে পেশাব-পায়খানা করা : পেশাব-পায়খানা
খোলা স্থানে করা হ’লে দূরে যেতে হবে, যাতে লোক থেকে আড়াল হয়। মুগীরাহ বিন
শু‘বা (রাঃ) বলেন, كَانَ إِذَا ذَهَبَ الْمَذْهَبَ أَبْعَدَ ‘নবী করীম
(ছাঃ) প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে দূরবর্তী স্থানে যেতেন’।[2] এ হাদীছে দূরে
যাওয়ার উদ্দেশ্য হ’ল, মানুষ থেকে আড়াল করা, যাতে তাদের সামনে লজ্জাস্থান
প্রকাশিত হয়ে না পড়ে। সুতরাং চারিদিকে ঘেরা স্থান হ’লে দূরে যাওয়ার প্রয়োজন
পড়ে না।[3]
৩. যমীনের নিকটবর্তী হওয়ার পূর্বে কাপড় না খোলা : প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করার ক্ষেত্রে যদি খোলা স্থানে হয়, তাহ’লে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকার জন্য যমীনের নিকটবর্তী হওয়ার পূর্বে কাপড় উঠাতে নিষেধ করা হয়েছে।[4] আনাস (রাঃ) বলেন,كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ لَمْ يَرْفَعْ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنْ الْأَرْضِ- ‘নবী করীম (ছাঃ) যখন মলত্যাগ করার প্রয়োজন মনে করতেন, তখন তিনি মাটির কাছাকাছি না হওয়া পর্যন্ত কাপড় তুলতেন না’।[5] এ হাদীছের ব্যাখ্যায় ইমাম তীবী বলেন, খোলা ময়দান এবং ঘরের ভিতরে উভয় ক্ষেত্রে যরূরী প্রয়োজন ব্যতীত যমীনের নিকটবর্তী না হয়ে কাপড় খোলা বৈধ নয়। তবে হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, সকলের ঐক্যমতে নির্জন স্থানে কাপড় খোলাতে কোন সমস্যা নেই।[6]
৪. তিনটি স্থানে পেশাব-পায়খানা করা থেকে বিরত থাকা : পেশাব-পায়খানা
নির্দিষ্ট স্থানে করতে হবে। যরূরী প্রয়োজনে অন্যত্র করতে হ’লে মানুষের
চলাচলের রাস্তা, ছায়াযুক্ত স্থান ও পানি নেওয়ার স্থানে প্রাকৃতিক প্রয়োজন
সারা থেকে বিরত থাকতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,اتَّقُوا الْمَلَاعِنَ
الثَّلَاثَ: الْبَرَازَ فِي الْمَوَارِدِ، وَالظِّلِّ، وَقَارِعَةِ
الطَّرِقِ- ‘তোমরা তিনটি অভিশপ্ত জিনিস থেকে দূরে থাক- ব্যবহার্য পানি বা
পানির উৎসে, ছায়াদার বৃক্ষতলে ও লোক চলাচলের পথে (পেশাব-পায়খানা করা
থেকে)’।[7] অন্যত্র তিনি বলেন,اتَّقُوا اللاَّعِنَيْنِ. قَالُوْا وَمَا
اللاَّعِنَانِ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ الَّذِىْ يَتَخَلَّى فِىْ طَرِيْقِ
النَّاسِ أَوْ ظِلِّهِمْ ‘তোমরা দু’টি অভিশপ্ত কাজ থেকে দূরে থাকবে।
ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, অভিশপ্ত কাজ দু’টি কি হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)?
তিনি বললেন, মানুষের যাতায়াতের পথে অথবা (বিশ্রাম নেওয়ার) ছায়া বিশিষ্ট
জায়গায় পেশাব-পায়খানা করা’।[8]
৫. পেশাব-পায়খানারত অবস্থায় যিকর ও তাসবীহ না করা :
পেশাব-পায়খানারত অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত, যিকর ও তাসবীহ পাঠ করা যাবে না।
কেননা এটা অপবিত্রতা হ’তে পবিত্র হওয়ার একটি মুহূর্ত। আর আল্লাহর নাম
উচ্চারণ করা, যিকর, তাসবীহ ও তেলাওয়াত পবিত্রাবস্থায় হওয়া বাঞ্ছনীয়।
মল-মূত্র ত্যাগ করা অবস্থায় এসব কাজ করলে তাতে এই কাজগুলোকে হীন করা হয়।
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন,مَرَّ رَجُلٌ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَبُوْلُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَلَمْ
يَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পেশাব করছিলেন। এমন সময় এক
ব্যক্তি তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু তিনি তার
সালামের জবাব দিলেন না’।[9]
অন্য বর্ণনায়
এসেছে, জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর
নিকট দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি তখন পেশাবরত ছিলেন। সে তাঁকে সালাম দিল।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বললেন,إِذَا رَأَيْتَنِي عَلَى مِثْلِ هَذِهِ
الْحَالَةِ، فَلَا تُسَلِّمْ عَلَيَّ، فَإِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ ذَلِكَ لَمْ
أَرُدَّ عَلَيْكَ، ‘তুমি আমাকে এ অবস্থায় দেখতে পেলে আমাকে সালাম দিবে না।
কারণ তুমি তা করলে আমি তোমার সালামের উত্তর দিতে পারব না’।[10]
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পেশাব-পায়খানারত অবস্থায় সালাম দিতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করা অবস্থায় আল্লাহর যিকর, আযানের উত্তর দেওয়া, হাঁচির জবাব দেওয়া, কুরআন তেলাওয়াত করা এবং অন্যান্য তাসবীহ-তাহলীল করা বৈধ নয়।
উল্লেখ্য, পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায় কেউ সালাম দিলে প্রয়োজন সেরে উত্তর দেওয়া উচিত। এ মর্মে হাদীছে এসেছে, আল-মুহাজির ইবনু কুনফুয (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,
أَنَّهُ أَتَى النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَبُولُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ حَتَّى تَوَضَّأَ ثُمَّ اعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ إِنِّى كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ عَلَى طُهْرٍ. أَوْ قَالَ عَلَى طَهَارَةٍ.
‘একদা তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট গিয়ে
তাঁকে সালাম দিলেন। তখন নবী করীম (ছাঃ) পেশাব করছিলেন। সেজন্য অযূ না করা
পর্যন্ত তিনি তার জবাব দিলেন না। অতঃপর (পেশাব শেষে অযূ করে) তিনি তার নিকট
ওযর পেশ করে বললেন, পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহর নাম স্মরণ করা আমি অপসন্দ করি’।[11] অন্য বর্ণনায় এসেছে, নবী করীম (ছাঃ) ওযূ না করে সালামের উত্তর দিলেন না।[12]
৬. ক্বিবলার দিকে ফিরে পেশাব-পায়খানা না করা : ক্বিবলার
দিকে ফিরে পেশাব-পায়খানা করা উচিত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,إِذَا
أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ وَلَا
تَسْتَدْبِرُوهَا وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا- ‘তোমরা পায়খানা বা
পেশাব করতে ক্বিবলামুখী হবে না, বরং তোমরা (উত্তর অঞ্চলের অধিবাসীরা)
পূর্বদিকে কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ ফিরাবে’। আবূ আইয়ূব আনছারী (রাঃ) বলেন,
আমরা যখন সিরিয়ায় এলাম তখন পায়খানাগুলো ক্বিবলামুখী বানানো পেলাম। আমরা
কিছুটা ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহ তা‘আলার নিকট তওবা-ইস্তিগফার করতাম।[13]
রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) আরো বলেন, ‘তোমাদের কেউ পেশাব-পায়খানা করতে বসলে কখনো যেন সে
ক্বিবলার দিকে মুখ করে এবং সেদিকে পিছন দিয়েও না বসে’।[14]
৭. বদ্ধ পানিতে পেশাব না করা : প্রবাহিত
পানি ব্যতীত পুকুর, লেক, হাউজ ইত্যাদির মত বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ।
রাসূল (ছাঃ) বলেন,لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ
الَّذِيْ لَا يَجْرِيْ ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيْهِ- ‘তোমাদের কেউ যেন স্থির-
যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে কখনো পেশাব না করে। অতঃপর সে আবার তাতে গোসল
করবে’।[15] অর্থাৎ বাধ্যগত অবস্থা ব্যতিরেকে বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ। আর পেশাব করলে সাথে সাথেই সেই পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে।[16] এ বিধান অল্প পানির ক্ষেত্রে হারাম এবং অধিক পানির ক্ষেত্রে মাকরূহ।[17]
৮. স্বাভাবিক অবস্থায় বসে পেশাব করা : কোন
ওযর না থাকলে বসেই পেশাব করতে হবে। এটাই হচ্ছে পেশাব করার স্বাভাবিক আদব।
আয়েশা (রাঃ) বলেন,مَنْ حَدَّثَكُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَالَ قَائِمًا فَلَا تُصَدِّقُوْهُ مَا كَانَ يَبُوْلُ
إِلَّا جَالِسًا- ‘যে ব্যক্তি তোমাদের বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাঁড়িয়ে
পেশাব করেছেন, তোমরা তার কথা বিশ্বাস করবে না। (কেননা) তিনি বসেই পেশাব
করতেন’।[18]
যদি কোথাও বসে পেশাব করার
ক্ষেত্রে শরীর বা কাপড় অপবিত্র হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অথবা বসার মত পরিবেশ না
থাকে তাহ’লে সেখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করা যায়। হুযায়ফাহ (রাঃ) বলেন,كُنْتُ
مَعَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَانْتَهَى إِلَى سُبَاطَةِ قَوْمٍ،
فَبَالَ قَائِمًا فَتَنَحَّيْتُ فَقَالَ ادْنُهْ. فَدَنَوْتُ حَتَّى قُمْتُ
عِنْدَ عَقِبَيْهِ فَتَوَضَّأَ فَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ- ‘আমি (কোন এক
সফরে) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি কোন এক সম্প্রদায়ের
ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গায় এসে পেঁŠছলেন। অতঃপর সেখানে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব
করলেন, ‘আমি তখন দূরে সরে গেলাম। তিনি বললেন, কাছে এসো। আমি তার নিকটে
গেলাম এমনকি একেবারে তার পিছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি ওযূ করলেন। অতঃপর তাঁর
উভয় মোযার উপর মাসাহ করলেন’।[19]
৯. পেশাবের ছিঁটা থেকে সাবধান থাকা : নরম
মাটিতে পেশাব করা, যাতে পেশাবের ছিঁটা কাপড়ে বা শরীরে না লাগে। অনেক সময়
শক্ত মাটিতে পেশাব করলে তার ছিটা এসে শরীরে বা কাপড়ে লাগে। ফলে কাপড় ও শরীর
অপবিত্র হয়ে যায়। এ অবস্থায় ছালাত আদায় করা হ’লে তা কবুল হবে না। রাসূল
(ছাঃ) বলেন,اِسْتَنْزِهُوْا مِنَ الْبَوْلِ، فَإِنَّ عَامَّةَ عَذَابِ
الْقَبْرِ مِنْهُ- ‘তোমরা পেশাব থেকে সতর্কতা অবলম্বন কর। কেননা অধিকাংশ
কবরের আযাব এর কারণেই হয়ে থাকে’।[20]
১০. পেশাব-পায়খানার সময় কথা না বলা : পেশাব-পায়খানায় বসে কথা বলা সমীচীন নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন,لَا يَقْعُدِ الرَّجُلَانِ عَلَى الْغَائِطِ يَتَحَدَّثَانِ يَرَى كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَوْرَةَ صَاحِبِهِ فَإِنَّ اللهَ يَمْقُتُ عَلَى ذَلِكَ- ‘দুই ব্যক্তি যেন একই সঙ্গে পেশাব-পায়খানার জন্য না বসে এবং একে অপরের লজ্জাস্থানের দিকে তাকিয়ে পরস্পরে কথাবার্তা বলতে না থাকে। কারণ এরূপ কাজে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন’।[21] তবে যরূরী প্রয়োজনে কথা বলা যেতে পারে।
১১. আল্লাহর নাম সম্বলিত কোন কিছু নিয়ে পেশাব-পায়খানায় প্রবেশ না করা : আল্লাহর নাম সম্বলিত কোন কিছু বা কুরআনের আয়াত সম্বলিত কোন কিছু নিয়ে পেশাব-পায়খানায় প্রবেশ করা উচিত নয়। আল্লাহ বলেন,وَمَنْ يُعَظِّمْ حُرُمَاتِ اللهِ فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ عِنْدَ رَبِّهِ، ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকৃত হারাম সমূহকে সম্মান করবে, সেটি তার প্রতিপালকের নিকট তার জন্য উত্তম হবে’ (হজ্জ ২২/৩০)। তিনি আরো বলেন,وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوْبِ، ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ সমূহকে সম্মান করে, নিশ্চয়ই সেটি হৃদয় নিঃসৃত আল্লাহভীতির প্রকাশ’ (হজ্জ ২২/৩২)।
১২. গর্তে পেশাব-পায়খানা না করা : গর্তে
পেশাব-পায়খানা করতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন। তাই এ ধরনের কাজ থেকে বিরত
থাকা যরূরী। আব্দুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) বলেন,أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى
الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُبَالَ فِى الْجُحْرِ. قَالَ قَالُوا
لِقَتَادَةَ مَا يُكْرَهُ مِنَ الْبَوْلِ فِى الْجُحْرِ قَالَ كَانَ
يُقَالُ إِنَّهَا مَسَاكِنُ الْجِنِّ. ‘আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) গর্তে পেশাব
করতে নিষেধ করেছেন। লোকজন কাতাদাকে জিজ্ঞেস করল, গর্তে পেশাব করা কেন
অপসন্দনীয়? তিনি বললেন, বলা হয়, এতে জিনেরা বসবাস করে’।[22]
১৩. গোসলখানায় পেশাব-পায়খানা না করা : গোসলখানায়
পেশাব করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা এতে মনে শয়তানী ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হয়।
রাসূল (ছাঃ) বলেন,لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ، فَإِنَّ
عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ، ‘তোমাদের কেউ যেন তার গোসলখানায় পেশাব না
করে। কেননা তা থেকেই যাবতীয় সন্দেহের উদ্রেক হয়’।[23]
১৪. অসুস্থ বা অন্য কোন বাধ্যগত কারণে পাত্রে পেশাব করা :
অসুস্থ বা অন্য কোন বাধ্যগত কারণে পাত্রে পেশাব করা যায়। উমায়মা বিনতু
রুকায়কা (রাঃ) বলেন,كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
قَدَحٌ مِنْ عَيْدَانٍ يَبُوْلُ فِيْهِ وَيَضَعُهُ تَحْتَ السَّرِيْرِ،
‘নবী করীম (ছাঃ)-এর একটি কাঠের পেয়ালা ছিল। তিনি তাতে (রাত্রে) পেশাব করতেন
এবং তা খাটের নিচে রেখে দিতেন’।[24]
১৫. পেশাব-পায়খানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বাম পা ও বের হওয়ার সময় ডান পা আগে রাখা : পেশাব-পায়খানায় প্রবেশের সময় বাম পা ও বের হওয়ার সময় ডান পা আগে রাখা উত্তম।[25]
১৬. পেশাব-পায়খানায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় দো‘আ পড়া : শৌচাগারে
প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় দো‘আ পড়া সুন্নাত। আনাস (রাঃ) বলেন,كَانَ
النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ قَالَ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ ‘নবী করীম
(ছাঃ) যখন শৌচাগারে যেতেন তখন বলতেন, হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে পুরুষ ও স্ত্রী জিন শয়তানের ক্ষতি হ’তে আশ্রয় চাচ্ছি’।[26]
আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন পায়খানা থেকে বের হ’তেন, তখন বলতেন,
غُفْرَانَكَ ‘গুফরানাকা’ অর্থ- হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই।[27]
রাসূল
(ছাঃ) বলেন,إِنَّ هَذِهِ الْحُشُوشَ مُحْتَضَرَةٌ، فَإِذَا دَخَلَ
أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْخُبُثِ
وَالخَبَائِثِ ‘(পায়খানায়) এসব শয়তান উপস্থিত হয়। অতএব তোমাদের কেউ
(পায়খানায়) প্রবেশকালে যেন বলে, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পুরুষ ও স্ত্রী
জিন শয়তানের ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি’।[28]
১৭. পায়খানা থেকে বের হওয়ার পর হাত ধৌত করা :
পায়খানা থেকে বের হয়ে হাত ধৌত করা উত্তম। বিশেষত বাম হাত মাটি বা সাবান
দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করতে হবে, যাতে কোন রোগজীবাণু হাতে লেগে না থাকে। আবূ
হুরায়রা (রাঃ) বলেন,أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
قَضَى حَاجَتَهُ، ثُمَّ اسْتَنْجَى مِنْ تَوْرٍ، ثُمَّ دَلَكَ يَدَهُ
بِالْأَرْضِ. ‘নবী করীম (ছাঃ) পায়খানা করার পর বদনার পানি দিয়ে শৌচকার্য
সম্পন্ন করতেন, অতঃপর তাঁর হাত মাটিতে ঘষতেন’।[29]
১৮. পেশাব-পায়খানায় গমনকালে এদিক-সেদিক না তাকানো :
প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য খোলা ময়দানে বা দূরের পায়খানায় গমনকালে
এদিক-সেদিকে না তাকানো উচিত। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,اتَّبَعْتُ النَّبِىَّ
صلى الله عليه وسلم وَخَرَجَ لِحَاجَتِهِ، فَكَانَ لاَ يَلْتَفِتُ، ‘যখন
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হ’তেন তখন আমি তাঁর অনুসরণ
করতাম। তাঁর অভ্যাস ছিল যে, এ সময় তিনি এদিক-সেদিক তাকাতেন না’।[30]
১৯. ইস্তেঞ্জার সময় ডান হাত ব্যবহার না করা : বাধ্যগত
অবস্থা ব্যতীত শৌচকার্যে ডান হাত ব্যবহার করা যাবে না। বরং বাম হাত
ব্যবহার করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,لاَ يُمْسِكَنَّ أَحَدُكُمْ ذَكَرَهُ
بِيَمِينِهِ وَهُوَ يَبُولُ وَلاَ يَتَمَسَّحْ مِنَ الْخَلاَءِ بِيَمِينِهِ
وَلاَ يَتَنَفَّسْ فِى الإِنَاءِ- ‘তোমাদের কেউ যেন পেশাব করার সময় তার
পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে না ধরে এবং পায়খানার পর ডান হাত দিয়ে যেন ইস্তিঞ্জা
(কুলুখ ব্যবহার) না করে এবং (পানি পান করার সময়) পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস
না ফেলে’।[31] তিনি আরো বলেন,إِذَا اسْتَطَابَ أَحَدُكُمْ، فَلَا
يَسْتَطِبْ بِيَمِينِهِ، لِيَسْتَنْجِ بِشِمَالِهِ ‘তোমাদের কেউ যেন তার
ডান হাতে শৌচকার্য না করে, বরং সে যেন তার বাম হাতে শৌচকার্য করে’।[32]
হাফছাহ
(রাঃ) বলেন,أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ
يَجْعَلُ يَمِينَهُ لأَكْلِهِ وَشُرْبِهِ، وَوُضُوئِهِ وَثِيَابِهِ،
وَأَخْذِهِ وَعَطَائِهِ، وَيَجْعَلُ شِمَالَهُ لِمَا سِوَى ذَلِكَ ‘নবী
করীম (ছাঃ) স্বীয় ডান হাত পানাহার, ওযূ, কাপড় পরিধান এবং (কোন কিছু)
আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার করতেন। আর এসব ব্যতীত অন্যান্য কাজে বাম হাত
ব্যবহার করতেন’।[33]
২০. কুলুপের ক্ষেত্রে হাড্ডি ও গোবর ব্যবহার না করা : হাড় ও গোবর দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এগুলো জিনদের খাদ্য।[34] সালমান (রাঃ) বলেন যে, তাকে বলা হ’ল,
لَقَدْ عَلَّمَكُمْ نَبِيُّكُمْ كُلَّ شَيْءٍ حَتَّى الْخِرَاءَةَ، قَالَ: أَجَلْ لَقَدْ نَهَانَا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ، وَأَنْ لَا نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ، وَأَنْ لَا يَسْتَنْجِيَ أَحَدُنَا بِأَقَلَّ مِنْ ثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ عَظْمٍ-
‘তোমাদের নবী তোমাদেরকে
সবকিছুই শিক্ষা দিয়েছেন, এমনকি পায়খানা করার নিয়মও। সালমান (রাঃ) বললেন,
হ্যঁা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে ক্বিবলামুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করতে,
ডান হাতে শৌচকার্য করতে, শৌচকার্যে আমাদের কারো তিনটি ঢিলার কম ব্যবহার
করতে এবং গোবর অথবা হাড্ডি দ্বারা শৌচকার্য করতে নিষেধ করেছেন’।[35]
২১. বেজোড় সংখ্যক ঢিলা ব্যবহার করা : ঢিলা
দিয়ে ইস্তেঞ্জা করার ক্ষেত্রে বেজোড় সংখ্যক ঢিলা ব্যবহার করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,مَنْ تَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْثِرْ وَمَنِ
اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ، ‘যে ব্যক্তি ওযূ করে সে যেন নাকে পানি দিয়ে নাক
পরিষ্কার করে। আর যে শৌচকার্য করে সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢিলা ব্যবহার করে’।[36]
২২. ঢিলা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনটির কম ব্যবহার না করা : পানি না পাওয়া গেলে বা পানি ব্যবহারে কোন সমস্যা থাকলে ঢিলা দিয়ে শৌচকার্য সম্পন্ন করতে হয়। এক্ষেত্রে কমপক্ষে তিনটি ঢিলা ব্যবহার করতে হবে।[37]
২৩. ইস্তেঞ্জায় সম্মানিত জিনিস ব্যবহার না করা : পবিত্র কুরআন, হাদীছ বা তাফসীরের ছিন্নপত্র বা এ ধরনের কিছু শৌচকার্যে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এগুলি সম্মানীয়, যা হীন কাজে ব্যবহার করা সমীচীন নয়।
২৪. ইস্তেঞ্জায় পবিত্র পানি ব্যবহার করা : ইস্তেঞ্জায়
পবিত্র পানি ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ যে পানির স্বাদ, গন্ধ বা রঙ
পরিবর্তন হয়ে গেছে এমন পানি ইস্তিঞ্জায় ব্যবহার করা যাবে না। ইস্তিঞ্জায়
পানি ও ঢিলা একত্রে ব্যবহার করা সুন্নাত নয়। কেননা এমর্মে বর্ণিত হাদীছ
ছহীহ নয়।[38]
২৫. বায়ু নির্গত হওয়ার কারণে ইস্তেঞ্জা করা সমীচীন নয় : কেবল বায়ু নির্গত হওয়ার জন্য শৌচকার্য করার দরকার নেই। কেউ যদি এটাকে ছওয়াবের কারণ মনে করে তাহ’লে তা বিদ‘আত হবে।
পরিশেষে বলব, প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের আবশ্যিক কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রেও ইসলামী আদব বা শিষ্টাচার মেনে চলা যরূরী। এর মাধ্যমে ইহকালে যথাযথ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা অর্জিত হবে এবং পরকালীন জীবনে অশেষ ছওয়াব ও নাজাত লাভ করা যাবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী আদব বা শিষ্টাচার মেনে চলার তাওফীক দান করুন-আমীন!
[1]. বুখারী, মুসলিম হা/১২৭৪; আবূদাউদ হা/৮৯; মিশকাত হা/১০৫৭।
[2]. আবূদাউদ হা/১; নাসাঈ হা/১৭ ‘পায়খানা-পেশাব করতে দূরে যাওয়া’ অনুচ্ছেদ; ছহীহাহ হা/১১৫৯; মিশকাত হা/২২৫৮।
[3]. ওবায়দুল্লাহ মুবারাকপুরী, মির‘আতুল মাফাতীহ, ২/৫৬ পৃঃ।
[4]. ঐ, ২/৫৬ পৃঃ।
[5]. আবূদাউদ হা/১১ ‘মলত্যাগ বা পেশাবের সময় গোপনীয়তা (পর্দা) অবলম্বন করা’ অনুচ্ছেদ; তিরমিযী হা/১৪; ছহীহাহ হা/১০৭১; মিশকাত হা/৩৪৬।
[6]. মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী, মিরকাতুল মাফাতীহ, ১/৩৮০ পৃঃ।
[7]. ইবনু মাজাহ হা/৩২৮, ‘যাতায়াতের রাস্তায় পেশাব-পায়খানা করা নিষেধ’ অনুচ্ছেদ; ইরওয়া হা/৬২; মিশকাত হা/৩৫৫; ছহীহুল জামে‘ হা/১১২, সনদ হাসান।
[8]. মুসলিম, ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়, ‘চলাচলের পথে ও ছায়ায় পেশাব পায়খানা করা নিষেধ’ অনুচ্ছেদ; আবূদাউদ হা/২৫, ‘নবী করীম (ছাঃ) যেসব জায়গায় পেশাব করতে নিষেধ করেছেন’ অনুচ্ছেদ।
[9]. নাসাঈ হা/৩৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৫৩, হাসান ছহীহ।
[10]. ইবনু মাজাহ হা/৩৫২, ‘পেশাবরত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া প্রসঙ্গে’ অনুচ্ছেদ; ছহীহাহ হা/১৯৭।
[11]. আবূদাঊদ হা/১৭ ‘পেশাবরত অবস্থায় সালামের জবাব দেয়া’ অনুচ্ছেদ; মিশকাত হা/৪৬৭; ছহীহাহ হা/৮৩৪।
[12]. নাসাঈ হা/৩৮ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়, ‘ওযূর পর সালামের জবাব দেয়া’ অনুচ্ছেদ; ইবনু মাজাহ হা/৩৫০ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়, ‘পেশাবরত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া’ অনুচ্ছেদ।
[13]. বুখারী হা/৩৯৪; মুসলিম হা/৬৩২; মিশকাত হা/৩৩৪।
[14]. মুসলিম হা/৫০৩; ছহীহাহ হা/১৩০১।
[15]. বুখারী হা/২৩৯ ‘আবদ্ধ পানিতে পেশাব করা’ অনুচ্ছেদ; মুসলিম হা/৬৮২; মিশকাত হা/৪৭৪।
[16]. মির‘আত ২/১৬৯ পৃঃ।
[17]. সুবুলুস সালাম ১/২৭ পৃঃ।
[18]. নাসাঈ হা/২৯; ইবনু মাজাহ হা/৩০৭; ছহীহাহ হা/২০১।
[19]. মুসলিম হা/৫১২ ‘মোযার উপর মাসাহ করা’ অনুচ্ছেদ।
[20]. দারাকুতনী হা/৪০৪; বুলূগুল মারাম হা/১০২; ইরওয়া হা/২৮০, সনদ ছহীহ।
[21]. আবূদাউদ হা/১৫; ছহীহাহ হা/৩১২০; তারাজু‘আত হা/১৪১৯।
[22]. আবূদাউদ হা/২৯, ‘গর্তে পেশাব করা নিষেধ প্রসঙ্গে’ অনুচ্ছেদ, সনদ ছহীহ।
[23]. বুখারী হা/৪৮৪২; ইবনু মাজাহ হা/৩০৪, ‘গোসলখানায় পেশাব করা মাকরূহ’ অনুচ্ছেদ; তিরমিযী হা/২১; নাসাঈ হা/৩৬, আবূদাঊদ হা/২৭।
[24]. নাসাঈ হা/৩২, ‘পাত্রে প্রস্রাব করা’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ আবূদাঊদ হা/১৯, হাসান ছহীহ।
[25]. ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১/২৯ পৃঃ।
[26]. বুখারী হা/১৪২; মুসলিম হা/৮৫৭; মিশকাত হা/৩৩৭।
[27]. আবূদাঊদ হা/৩০; ইরওয়া হা/৫২; মিশকাত হা/৩৫৯।
[28]. আবূদাঊদ হা/৬; ইবনু মাজাহ হা/২৯৬; ছহীহাহ হা/১০৭০।
[29]. আবূদাঊদ হা/৪৫; ইবনু মাজাহ হা/৩৫৮ ‘যে ব্যক্তি শৌচ করার পর মাটিতে হাত ঘষলো’ অনুচ্ছেদ; নাসাঈ হা/৫০; মিশকাত হা/৩৬০, হাদীছ হাসান।
[30]. বুখারী হা/১৫৫ ‘ওযূ’ অধ্যায়।
[31]. মুসলিম হা/২৬৭(৬৩), ‘ডান হাত দিয়ে ইস্তেঞ্জা করা নিষেধ’ অনুচ্ছেদ; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৭৮১।
[32]. বুখারী হা/১৫৫, ৩৮৬০; আবূদাঊদ হা/৮; নাসাঈ হা/৪০; ইবনু মাজাহ হা/৩১২।
[33]. আহমাদ, ছহীহুল জামে হা/৪৯১২।
[34]. বুখারী হা/১৫৫; তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩৫০।
[35]. মুসলিম, ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়, ‘পবিত্রতা অর্জন করা’ অনুচ্ছেদ; আবূদাঊদ হা/৭; তিরমিযী হা/১৬।
[36]. বুখারী হা/১৬১-১৬২; মুসলিম হা/২৩৭;মিশকাত হা/৩৪১।
[37]. মুসলিম, ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়, ‘পবিত্রতা অর্জন করা’ অনুচ্ছেদ; আবূদাউদ হা/৭; তিরমিযী হা/১৬।
[38]. তামামুল মিন্নাহ পৃঃ ৬৫।