ভূমিকা : ঈদের তাকবীরের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়ে থাকে। অনেকেই বিষয়টিতে চরম বাড়াবvাড় করেন। ‘বারো তাকবীর প্রদানের কোন ছহীহ হাদীছ নেই’ বলে মিথ্যাচার করেন। এমনকি বারো তাকবীরের হাদীছের উপর আমল করার কারণে মসজিদ হ’তে বের করে দেওয়া, অপমান-অপদস্ত করা এবং মারধর করাও তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আলোচ্য নিবন্ধে ঈদের তাকবীর সমূহের পক্ষে উপস্থাপিত দলীল সমূহ পর্যালোচনা করা হ’ল।-

বারো তাকবীর সম্পর্কে কতিপয় ছহীহ হাদীছ :

(১) আয়েশা (রাঃ) বলেন, كَانَ يُكَبِّرُ فِي الْعِيدَيْنِ فِي الْأُولَى سَبْعًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ، وَفِي الْآخِرَةِ خَمْسًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ،  ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহাতে প্রথম রাক‘আতে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন (রুকূর তাকবীর ব্যতীত)’।[1]  

(২) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আছ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, التَّكْبِيْرُ فِي الْفِطْرِ سَبْعٌ فِي الْأُولَى، وَخَمْسٌ فِي الْآخِرَةِ، ‘ঈদুল ফিৎরের প্রথম রাক‘আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর রয়েছে’।[2]

(৩) ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,فِي تَكْبِيْرِ الْعِيدَيْنِ : فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى سَبْعًا ، وَفِي الثَّانِيَةِ خَمْسَ تَكْبِيْرَاتٍ، ‘ঈদায়নের প্রথম রাক‘আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে পাচ তাকবীর রয়েছে’।[3]

(৪) আম্মার বর্ণনা করেছেন যে, كَبَّرَ فِي الْعِيدِ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى سَبْعًا ثُمَّ قَرَأَ، وَكَبَّرَ فِي الثَّانِيَةِ خَمْسًا ‘ইবনে আববাস (রাঃ) ঈদের ছালাতের প্রথম রাক‘আতে সাত তাকবীর দিতেন অতঃপর ক্বিরাআত পাঠ করতেন। এরপর দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন’।[4] এছাড়াও বারো তাকবীরের পক্ষে আরো অনেক হাদীছ রয়েছে।[5]

ছয় তাকবীরের পক্ষে পেশকৃত হাদীছগুলির পর্যালোচনা

মারফূ‘ হাদীছসমূহ :

দলীল-১ :

নবী করীম (ছাঃ)-এর জনৈক ছাহাবী বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে নিয়ে ঈদের ছালাত পড়লেন এবং তিনি চারটি করে তাকবীর দিলেন। ছালাত সমাপ্ত করে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন যে, তোমরা ভুলে যাবে না যে, জানাযার তাকবীরের মত। এই বলে তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি গুটিয়ে বাকী চার আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন।[6]

তাহক্বীক্ব : হাদীছটি যঈফ। ওয়াযীন বিন আত্বা (রহঃ) দুর্বল হিফযের অধিকারী। ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেছেন, ‘ওয়াযীন বিন আত্বা... বাজে হিফযের অধিকারী।[7]  ইবনে সা‘দ (রহঃ) বলেছেন, ‘তিনি হাদীছে যঈফ ছিলেন’।[8]

অপর রাবী ওয়াযীন-এর উস্তাদ আবূ আব্দুর রহমান ক্বাসেম বিন আব্দুর রহমান আশ-শামী সম্পর্কে ইবনুত তুরকুমানী হানাফী (রহঃ) বলেছেন, ‘ক্বাসেম সম্পর্কে আহমাদ ইবনে হাম্বল বলেছেন, তিনি আলী বিন যায়দ হ’তে আশ্চর্যজনক হাদীছ বর্ণনা করতেন’।[9] হাফেয আলাঈ (রহঃ) বলেছেন, ক্বাসেম বিন আব্দুর রহমান বিতর্কিত রাবী।[10]

সুতরাং উভয়ই বিতর্কিত, যঈফ রাবী। পক্ষান্তরে এ হাদীছে চার চার তাকবীরের কথা রয়েছে। অথচ হানাফীরা তিন তিন তাকবীর প্রদান করেন। সুতরাং এই হাদীছটি ছয় তাকবীরের পক্ষে দলীল হ’তে পারে না।

দলীল-২ :

মাকহূল বলেছেন, আমাকে আবূ হুরায়রার সাথী আবূ আয়েশা বলেছেন, হযরত সাঈদ বিন আছ হযরত আবূ মূসা আশ‘আরী এবং হুযায়ফাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদুল ফিৎর এবং ঈদুল আযহার ছালাতে কত তাকবীর বলতেন? আবূ মূসা আশ‘আরী বলেছেন, চার চার তাকবীর বলতেন। যেভাবে জানাযার ছালাতে বলতেন। হুযায়ফা বললেন, ঠিক বলেছে। আবূ মূসা বললেন, যখন আমি বছরার হাকিম ছিলাম তখন এভাবে তাকবীর বলা হ’ত। আবূ আয়েশা বলেন যে, আমি সাঈদ বিন আছ-এর কাছে (প্রশ্ন করার সময়ে স্বয়ং) হাযির ছিলাম।[11]

জবাব : হাদীছটির সনদ যঈফ। কারণ এর রাবী আবূ আয়েশাহ হ’লেন অজ্ঞাত। তাকে ওবায়দুল্লাহ মুবারকুপুরী[12] শায়খ আলবানী[13] এবং শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ যঈফ বলেছেন।[14]

এর আরেকজন রাবী আব্দুর রহমান বিন ছাওবান বিন ছাবেত সম্পর্কে ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, ‘আব্দুর রহমান বিন ছাবেত বিন ছাওবান.....সত্যবাদী, ভুল করতেন। তাকে কাদারিয়া হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আর তার শেষ বয়সে স্মৃতি পরির্বতন হয়ে গিয়েছিল’।[15]

আল্লামা আব্দুল হাঈ লাক্ষ্ণৌবী (রহঃ) বলেছেন, ‘এতে আব্দুর রহমান বিন ছাওবান নামক রাবী রয়েছেন। তিনি বিতর্কিত রাবী’।[16] এ হাদীছেও মোট আট বার তাকবীরের কথা রয়েছে। এটিও প্রচলিত ছয় তাকবীরের পক্ষে দলীল হ’তে পারে না।

মাওকূফ হাদীছসমূহ :

দলীল-১ :

ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) বসা ছিলেন। হুযায়ফা (রাঃ) ও আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) তার কাছে উপস্থিত ছিলেন। তাদের দু’জনকে সাঈদ ইবনুল আছ (রাঃ) ঈদুল ফিৎর এবং ঈদুল আযহার তাকবীর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, তাকে জিজ্ঞেস করুন। আর উনি বললেন, তাকে জিজ্ঞেস করুন। অবশেষে হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, তাকে জিজ্ঞেস করুন। এই বলে তিনি আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-কে দেখিয়ে দিলেন। অতঃপর তিনি আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন। ইবনে মাসঊদ (রাঃ) তখন তাকে বললেন, চার তাকবীর দিবে। এরপর ক্বিরাআত পাঠ করবে। আবার তাকবীর বলে রুকূ করবে, এরপর দ্বিতীয় রাক‘আতের জন্য দাঁড়াবে এবং ক্বিরাআত পাঠ করবে। ক্বিরাআতের পর চার তাকবীর প্রদান করবে।[17]

তাহক্বীক্ব : আবূ ইসহাক্ব আস-সাবীঈ (রহঃ) তাদলীস করেছেন।[18] সুতরাং বর্ণনাটি যঈফ। এছাড়াও এ হাদীছে আট তাকবীরের কথা বলা হয়েছে।  

দলীল-২ :

‘জানাযার ছালাতের মত দু’ঈদে চার তাকবীর হবে’।[19]

তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ। সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) এখানে তাদলীস করেছেন।[20]

দলীল-৩ :

আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) আমাদেরকে দু’ঈদের তাকবীর শেখাতেন, মোট নয় তাকবীর। প্রথম রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে চার তাকবীর। উভয় রাক‘আতের ক্বিরাআত একাধারে পড়তে হবে।[21]

তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ। ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেছেন, ‘তিনি শক্তিশালী রাবী নন। তার শেষ বয়সে মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে গিয়েছিল’।[22] ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেছেন, ‘হুশাইম এই হাদীছটি মুজালিদ হ’তে শ্রবণ করেননি’।[23] (৩) ইমাম বুখারী (রহঃ) তাকে যঈফ রাবীদের মাঝে উল্লেখ করেছেন।[24] ইমাম নাসাঈ (রহঃ) তাকে যঈফ বলেছেন।[25] ইমাম ইবনে হিববান (রহঃ) তার সমালোচনা করেছেন।[26] (৪) ইমাম দারাকুৎনী (রহঃ) বলেছেন, মুজালিদ বিন সাঈদ কূফী (হাদীছ বর্ণনায়) শক্তিশালী ছিলেন না।[27] (৫) ইবনুল জাওযী (রহঃ)[28] প্রমাণ করেছেন যে, তিনি যঈফ রাবী। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) তার সমালোচিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।[29] ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) ‘মুজালিদের দ্বারা দলীল পেশ করা যাবে না’ বলেছেন।[30]

দলীল-৪ :

 عَنْ كُرْدُوْسٍ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ : لَمَّا كَانَ لَيْلَةَ الْعِيْدِ، أَرْسَلَ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ، وَأَبِيْ مَسْعُوْدٍ، وَحُذَيْفَةَ، وَالْأَشْعَرِيِّ، فَقَالَ لَهُمْ:  إِنَّ الْعِيدَ غَدًا فَكَيْفَ التَّكْبِيرُ؟ فَقَالَ عَبْدُ الله:  يَقُومُ فَيُكَبِّرُ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ، وَيَقْرَأُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ، وَسُورَةٍ مِنَ الْمُفَصَّلِ، لَيْسَ مِنْ طِوَالِهَا وَلَا مِنْ قِصَارِهَا، ثُمَّ يَرْكَعُ، ثُمَّ يَقُوْمُ فَيَقْرَأُ، فَإِذَا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ، كَبَّرَ أَرْبَعَ تَكْبِيْرَاتٍ، ثُمَّ يَرْكَعُ بِالرَّابِعَةِ

কুরদূস ইবনে আববাস হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন ঈদের রাত্রি আগমন করল, তখন ওয়ালীদ ইবনে উক্ববাহ ঈদের রাতে ইবনে মাসঊদ (রাঃ), আবূ মাসঊদ (রাঃ), হুযায়ফা (রাঃ) এবং আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ)-এর কাছে লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন যে, আগামীকাল তো ঈদ। তাকবীর কিভাবে দিতে হবে? হযরত ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বললেন, (মুছাল্লী) ছালাতে দাঁড়িয়ে চার তাকবীর দিবে। পরে সূরা ফাতেহা এবং মুফাছছাল সূরা হ’তে এমন একটি সূরা পাঠ করবে যা বড়ও নয়, ছোটও নয়। এরপর রুকূ করবে। পরে (রাক‘আত শেষ করে) পুনরায় দাঁড়াবে এবং ক্বিরাআত পাঠ করবে। ক্বিরাআত পাঠ শেষ হ’লে চারটি তাকবীর দিবে। এবং চতুর্থ তাকবীর বলে রুকূতে যাবে।[31]

তাহক্বীক্ব : হাদীছটির সনদ যঈফ। আশ‘আছ বিন সাওয়ার (রহঃ) যঈফ রাবী। তাঁর সম্পর্কে মনীষীগণ সমালোচনা করেছেন।

ইমাম নাসাঈ (রহঃ)[32], শায়েখ আলবানী (রহঃ)[33] ইমাম ইবনুল ক্বায়সারানী (রহঃ)[34], শায়খ হুসাইন সালীম আসাদ[35], ইমাম ইবনে রজব (রহঃ)[36], আল্লামা শাওকানী (রহঃ)[37], আল্লামা আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (রহঃ)[38], ইমাম সুয়ূত্বী (রহঃ)[39], ইমাম ইবনে হাযম (রহঃ)[40], ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ)[41], ইমাম ইবনে মাঈন (রহঃ)[42], ইমাম ইজলী (রহঃ), ইমাম দারাকুৎনী (রহঃ)[43], স্ব স্ব গ্রন্থে তাকে যঈফ, সমালোচিত ইত্যাদি বলেছেন।

ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,فِيهِ أَشْعَثُ بْنُ سَوَّارٍ وَقَدْ ضَعَّفَهُ الْأَكْثَرُونَ وَوَثَّقَهُ بَعْضُهُم ‘এর সনদে আশ‘আছ বিন সাওয়ার রয়েছেন। তাকে অধিকাংশ বিদ্বানগণ যঈফ বলেছেন এবং কেউ কেউ তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন’।[44]

তাঁর উস্তাদ কুরদূস সম্পর্কে শায়খ আলবানী ‘মাজহূলুল হাল’ (অবস্থা অজ্ঞাত) বলেছেন।[45]

দলীল-৫ :

عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يُكَبِّرُ فِي الْعِيدَيْنِ تِسْعًا تِسْعَا:  أَرْبَعًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ، ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ، وَفِي الثَّانِيَةِ يَقْرَأُ فَإِذَا فَرَغَ كَبَّرَ أَرْبَعًا، ثُمَّ رَكَعَ

আলক্বামা ও আসওয়াদ বিন ইয়াযীদ হ’তে বর্ণিত যে, ইবনে মাসঊদ (রাঃ) দু’ঈদে নয়টি তাকবীর দিতেন। প্রথম রাক‘আতে ক্বিরাআতের পূর্বে চার তাকবীর বলতেন। অতঃপর তাকবীর বলে রুকূতে যেতেন। দ্বিতীয় রাক‘আতে আগে ক্বিরাআত পড়তেন।  ক্বিরাআত শেষ হ’লে চার তাকবীর বলে

রুকূ করতেন।[46]

তাহক্বীক্ব : অত্র সনদের মধ্যে সুফিয়ান ছাওরী এবং আবূ ইসহাক্ব তাদলীস করেছেন।[47]

মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব-এর অনুরূপ অন্য একটি বর্ণনার[48] সনদে আব্দুল মালেক বিন উমাইর ও কুরদূস রয়েছেন। কুরদূস সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আব্দুল মালেককে হাফেয ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ)[49] ও আলবানী (রহঃ)[50]  মুদাল্লিস  রাবী  বলেছেন।  এছাড়া  তার মস্তিষ্ক বিকৃতিও ঘটেছিল।[51]

সুতরাং এটাও যঈফ হাদীছ।

দলীল-৬ :

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ الله، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَا : تِسْعُ تَكْبِيْرَاتٍ، وَيُوَالِي بَيْنَ الْقِرَاءَتَيْنِ-

জাবের বিন আব্দুল্লাহ ও সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব উভয়ই বলেছেন, ‘তাকবীর হবে মোট নয়টি। আর উভয় রাক‘আতের ক্বিরাআত হবে লাগাতার’।[52]

তাহক্বীক্ব : এখানে দু’জন মুদাল্লিস রাবী আছেন। একজন ক্বাতাদা।[53] অপরজন হ’লেন সাঈদ বিন আবী আরূবাহ। ইমামগণ তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেছেন, সাঈদ বিন আবী আরূবাহ আনাস (রাঃ)-কে দেখেছেন। তিনি ক্বাতাদা থেকে অধিক হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তার মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। নাসাঈ ও অন্যরা তাকে তাদলীসের সাথে উল্লেখ করেছেন।[54] সুতরাং এটাও যঈফ হাদীছ।

দলীল-৭ :  

ইসমাঈল বিন আবিল ওয়ালিদ খালেদ আল-হাযযা হ’তে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ বিন হারেছ হ’তে, তিনি বলেছেন, ‘ইবনে আববাস (রাঃ) বছরাতে ঈদের ছালাতে নয়টি তাকবীর দিয়েছিলেন। আর তিনি উভয় রাক‘আতে লাগাতার ক্বিরাআত পড়েছিলেন। ঐ ছালাতে আমি তার সাথে ছিলাম। মুগীরা বিন শু‘বাও অনুরূপ করেছিলেন। সে ছালাতেও আমি উপস্থিত ছিলাম। ইসমাঈল বলেন, আমি খালেদকে জিজ্ঞেস করলাম, ইবনে আববাস (রাঃ) কিরূপ করেছিলেন? তখন তিনি আমাদের সামনে ব্যাখ্যা করলেন’।[55]

তাহক্বীক্ব : মুহতারাম আব্দুল মতীন দেওবন্দী ছাহেব স্বয়ং লিখেছেন, ‘অবশ্য হযরত আবু হুরায়রা ও ইবনে আববাস (রাঃ)-এর আমলরূপে ১২ তাকবীরের বর্ণনাও সহীহ সনদে বিভিন্ন হাদীসগ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে’।[56] এ হাদীছেও ছয় তাকবীরের কথা নেই।

এক্ষণে একই ছাহাবী হ’তে দু’ধরনের আমল পাওয়া গেলে কোনটা গ্রহণ করতে হবে? ইবনে আববাসের উভয় আমলের সাথে নবীর আমলের মিল আছে ১২ তাকবীরের ক্ষেত্রে। সুতরাং ১২ তাকবীরের আমলটিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

দলীল-৮ :

عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيْرِيْنَ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُ كَانَ يُكَبِّرُ فِي الْعِيدِ تِسْعًا،

মুহাম্মাদ বিন সীরীন হ’তে বর্ণিত। তিনি আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ঈদে নয়টি তাকবীর দিতেন।[57]

তাহক্বীক্ব : এখানেও ছয় তাকবীরের কথা নেই। এটা দিয়ে ছয় তাকবীরের প্রমাণ হয় না। এখানেও আশ‘আছ নামক যঈফ রাবী রয়েছেন।

দলীল-৯ :

ইউসুফ বিন মাহাক (يُوسُف بْن مَاهَك) আমার নিকটে বর্ণনা করেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ) প্রত্যেক রাক‘আতে চার তাকবীরই বলতেন, এর বেশী বলতেন না। এভাবে উভয়ই রাক‘আতে তিনি তাকবীর বলতেন। আমরা তার থেকে এটা শুনেছি।[58]

তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) তাদলীস করেছেন।[59]

দলীল-১০ :

ইবরাহীম নাখঈ (রহঃ) এই মর্মে ছাহাবীদের নিকটে লিখে পাঠান যে, আপনারা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবী। আপনাদের দ্বিমত পরবর্তীদের উপর প্রভাব ফেলবে। আর আপনাদের ঐকমত্যের ফলে অন্যরাও একমত থাকবে। সুতরাং ভেবে চিন্তে আপনারা একটি বিষয়ে একমত হৌন। এ কথায় তিনি যেন তাদের জাগিয়ে তুললেন। তারা বললেন, হ্যাঁ। আপনি ঠিকই বলেছেন, হে আমীরুল মুমিনীন! তবে এ বিষয়ে আপনি আপনার মতামত বলুন। তিনি বললেন, আপনারাই বরং আমাকে পরামর্শ দিন। কারণ, আমি তো আপনাদের মতই একজন মানুষ। পরে তারা মতবিনিময় করে এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছলেন যে, যেভাবে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার চার তাকবীর হয়ে থাকে, তেমনি জানাযার ছালাতেও চার তাকবীর হবে।[60]

তাহক্বীক্ব : প্রথমত : এখানে হাম্মাদ নামক একজন মুদাল্লিস রাবী আছেন।[61] দ্বিতীয়ত : ইবরাহীম নাখঈর সাথে কোন ছাহাবীর সাক্ষাৎ প্রমাণিত হয়নি। সমকালীন হওয়া আর সাক্ষাৎ হওয়া এক নয়।

মাক্বতূ বর্ণনাসমূহ :

দলীল-১ :

عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، وَمَسْرُوْقٍ أَنَّهُمَا كَانَا يُكَبِّرَانِ فِي الْعِيدِ تِسْعَ تَكْبِيْرَاتٍ

ইবরাহীম নাখঈ হ’তে বর্ণিত যে, তিনি আসওয়াদ ও মাসরূক সম্পর্কে বলেছেন, উভয়ই ঈদের ছালাতে মোট নয়টি তাকবীর বলতেন।[62]

তাহক্বীক্ব : ইবরাহীম নাখা‘ঈ তাদলীস করেছেন।[63] আর নয় তাকবীরের বর্ণনা দ্বারা ছয় তাকবীরের পক্ষে দলীল পেশ করা মারাত্মক ভুল।

দলীল-২ :

 عَنِ الْحَسَنِ، وَمُحَمَّدٍ أَنَّهُمَا كَانَا يُكَبِّرَانِ تِسْعَ تَكْبِيْرَاتٍ،

হাসান (বছরী) ও মুহাম্মাদ (বিন সীরীন) উভয় হ’তে বর্ণিত যে, ‘তারা দু’জনই নয় তাকবীর বলতেন’।[64]

তাহক্বীক্ব : অত্র সনদের রাবী হিশাম বিন হাস্সান (রহঃ)-কে ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) মুদাল্লিস রাবী বলেছেন।[65]

দলীল-৩ :

শা‘বী ও মুসাইয়িব বলেন, উভয় ঈদের ছালাতে তাকবীর হবে নয়টি। প্রথম রাক‘আতে ৫টি ও ২য় রাক‘আতে চারটি। উভয় রাক‘আতের মাঝে (অতিরিক্ত) তাকবীর হবে না।[66]

তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ। আবূ কুদাইনার নামটি নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। আবূ কুদাইনা কোথাও আবূ কুরাইনা আবার কোথাও আবূ কুরাইবাহ বা আবূ লুদাইনা রয়েছে। এই রাবীর পরিচয় ও নাম অজ্ঞাত রয়েছে।

দলীল-৪ :

 عَنْ أَبِيْ قِلَابَةَ، قَالَ : التَّكْبِيْرُ فِي الْعِيدَيْنِ تِسْعٌ تِسْعٌ-

আবূ ক্বিলাবা হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘দু’ঈদে তাকবীর হবে নয়টি’।[67]

তাহক্বীক্ব : (১) এটা তাবেঈর বক্তব্য। যা স্বতন্ত্রভাবে কোন দলীল নয়। (২) তাছাড়াও এর দ্বারা ছয় তাকবীর প্রমাণিত হয় না।

দলীল-৫ :

জা‘ফর ছাদেক্বের বাবা ইমাম বাকের উভয় ঈদের তাকবীর সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ)-এর মত অনুসারে ফৎওয়া প্রদান করতেন।[68]

তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ। আব্দুল মতীন ছাহেব ‘সনদ দুর্বল’ লিখেছেন।[69] শারীক আল-ক্বাযী তাদলীস করেছেন।[70] এর সনদে জাবের জু‘ফী রয়েছেন যিনি দুর্বল ও ব্যাপক সমালোচিত রাবী। ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) তাকে সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী বলেছেন।[71]

দলীল-৬ :

عَنْ إِبْرَاهِيمَ : أَنَّ أَصْحَابَ عَبْدِ اللهِ، كَانُوا يُكَبِّرُونَ فِي الْعِيْدِ تِسْعَ تَكْبِيْرَاتٍ-

ইবরাহীম নাখঈ হ’তে বর্ণিত যে, ‘আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদের সাথীগণ ঈদের মধ্যে নয়টি তাকবীর প্রদান করতেন’।[72]

তাহক্বীক্ব : আ‘মাশ (রহঃ) এখানে তাদলীস করেছেন। তিনি মুদাল্লিস রাবী।[73] আর নয় তাকবীরের হাদীছ ছয় তাকবীরের পক্ষে দলীল হওয়ার কোন যুক্তি নেই।

উপসংহার : পরিশেষে এ কথা প্রমাণিত যে, ছহীহ হাদীছ মতে ঈদায়নের তাকবীর সংখ্যা বারো। ছয় তাকবীর শব্দে কোন হাদীছ নেই। নয় বা অন্যান্য সংখ্যার যে হাদীছগুলোকে মাযহাবী ভাইয়েরা দলীল হিসাবে পেশ করেছেন তা নিতান্তই যঈফ বা জাল। আল্লাহ আমাদেরকে ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী বারো তাকবীরে ঈদায়নের ছালাত আদায় করার তাওফীক দান করুন।- আমীন!!


[1]. ইবনু মাজাহ হা/১২৭৭-৭৯; তিরমিযী হা/৫৩৬; মিশকাত হা/১৪৪১।  হাদীছ ছহীহ।

[2]. আবূদাঊদ হা/১১৫১; আহমাদ হা/৬৬৮৮, শু‘আইব আরনাঊত্ব হাসান বলেছেন, মুসনাদে আহমাদ ১১/২৮৩; তিরমিযী হা/৫৩৬।

[3]. শারহু মা‘আনিল আছার হা/৭২৬৮; তারীখে বাগদাদ হা/৩৪৯৩। ছহীহ।  

[4]. ত্বাবারানী হা/১০৭০৮; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭০১,  ৫৭২৪; শারহু মা‘আনিল আছার হা/৭২৮১, সনদ ছহীহ; বায়হাক্বী,   আস-সুনানুল কুবরা হা/৬১৮১।       

[5]. বায়হাক্বী হা/৬১৭৭; কাশফুল আসতার হা/৬৫৫; মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/৪৮৯৫; সুনানে দারাকুত্বনী হা/১৭২৭; ইমাম মুহাম্মাদ, মুওয়াত্ত্বা মুহাম্মাদ হা/২৩৭; বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা হা/৬১৭৯; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭২১; বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা হা/৬১৮০; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭১৮; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭২০।      

[6]. শারহু ম‘াআনিল আছার হা/৭২৭৩; মাওলানা আব্দুল মতীন, দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬০, ৩৬১; মুফতী গোলামুর রহমান, সলাতুন নবী পৃঃ ৩৩৫।       

[7]. তাক্বরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৭৪০৮।        

[8]. আত-ত্বাবাক্বাতুল কুবরা, রাবী নং ৩৯০৬।         

[9]. আল-জাওহারুন নাক্বী ৬/১৪।          

[10]. জামে‘উত তাহছীল, রাবী নং ৬২৫।           

[11]. আবূদাঊদ হা/১১৫৩; দলিলসহ নামায পৃঃ ৩৬১, ৩৬২; সলাতুন নবী  হা/২৯১, পৃঃ ৩৩৪।             

[12]. মির‘আতুল মাফাতীহ ৫/৫৭।              

[13]. মিশকাত হা/১৪৪৩।              

[14]. আনওয়ারুছ ছহীফাহ, যঈফ আবূদাঊদ হা/১১৫৩, পৃঃ ৫১।

[15]. তাক্বরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৩৮২০।                

[16]. আত-তা‘লীকুল মুমাজ্জাদ ১/৬১৬।                 

[17]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/৩৬৮৭; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬২, ৩৬৩।  

[18]. ইবনে হাজার, ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৯১।   

[19]. ত্বাবারানী, আল-মু‘জামুল কাবীর হা/৯৫২২; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬৩।    

[20]. ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৫১।    

[21]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৬৯৭; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬৪।    

[22]. তাক্বরীবুত তাহযীব, জীবনী নং ৬৪৭৮।     

[23]. আল-ইলাল ওয়া মা‘রিফাতুর রিজাল, আব্দুল্লাহর বর্ণনা, ক্রমিক-২১৭২।

[24]. আয-যু‘আফাউছ ছগীর, জীবনী নং ৩৮৪।          

[25]. আয-যু‘আফাউল মাতরূকীন, জীবনী নং ৫৫২          

[26]. আল-মাজরূহীন, জীবনী নং ১০৩৯।          

[27]. আয-যু‘আফউল মাতরূকীন, জীবনী নং ৫৩১; সুনানে দারাকুৎনী হা/৪৩৫০।           

[28]. আয-যু‘আফাউল মাতরূকীন, জীবনী নং ২৮৫১।           

[29]. তিরমিযী হা/১১৭২, হা/৬৪৮, ১১১৯ ইত্যাদি।           

[30]. ঐ, হা/১৬৪৫০।            

[31]. ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৬০৫; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬৫, ৩৬৬।        

[32]. হা/৪৯৭৬          

[33]. ইরওয়া হা/১০১৬, ১৭৩০, ২২৭৪; ছহীহাহ হা/৩২৯৭।      

[34]. তাযকিরাতুল হুফ্ফায হা/৯২৬; যাখীরাতুল হুফ্ফায হা/১৩৩১, ২৩৪৩।

[35]. সুনানে দারেমী হা/৫৮, ২৭৯, ২৮৮, ৩৩৯, ২৯৮৩; মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/৫৬৩।

[36]. ফাৎহুল বারী ৪/২৬৩।           

[37]. নায়লুল আওত্বার ৪/১৮০, ৪/৩৮০।           

[38]. তুহফাতুল আহওয়াযী ৩/৫৭৮।           

[39]. জামে‘উল আহাদীছ হা/৬৩৭৯।            

[40]. আল-মুহাল্লা ৮/৩৮৪।             

[41]. বাদায়ে‘উল ফাওয়ায়েদ ৩/২২২।             

[42]. তারীখে ইবনে মাঈন, দূরীর বর্ণনা, জীবনী নং ৩২৩০।              

[43]. আয-যু‘আফাউল মাতরূকীন, জীবনী নং ১১৩।              

[44]. আল-মাজমূ‘ শারহুল মুহাযযাব।              

[45]. ইরওয়া হা/২৬৮৯।               

[46]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/৫৬৮৬; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬৬, ৩৬৭।  

[47]. ইবনে হাজার, ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৫১, ৯১।   

[48]. হা/৯৫১৩।                 

[49]. ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ৮৪; আত-তাক্বরীব, জীবনী নং ৪২০০; আল-ফাৎহুল মুবীন পৃঃ ১৩০।                 

[50]. ইরওয়া হা/৯৪৬।                 

[51]. ইরওয়া হা/৯৪৬।                 

[52]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭০৭; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬৭।

[53]. ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৯২।                 

[54]. ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ৫০।                  

[55]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/৫৬৮৯; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬৭, ৩৬৮।                  

[56]. দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৭৫।                 

[57]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭১১; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬৮।

[58]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/৫৬৭৬; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৬৮।                

[59]. ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৮৩।                  

[60]. ত্বাহাবী, শারহু মা‘আনিল আছার হা/২৮৪৬; দলিলসহ নামাযের  মাসায়েল পৃঃ ৩৬৯।                    

[61]. ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৪৫।                   

[62]. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫৭১০; দলিলসহ নামাযের  মাসায়েল বর্ধিত সংস্করণ পৃঃ ৩৭০।                    

[63]. ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৩৫।                    

[64]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭১৬; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৭১।                     

[65]. ত্বাবাক্বতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ১১০; বিস্তারিত জানতে দেখুন : আল-ফাতহুল মুবীন পৃঃ ১২৯।                      

[66]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭২৫; দলিলসহ নামাযের  মাসায়েল পৃঃ ৩৭১।                       

[67]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭১৩; দলিলসহ নামাযের  মাসায়েল পৃঃ ৩৭১।                        

[68]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭১৪; দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৭১।

[69]. দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৩৭১।                          

[70]. ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন ক্রমিক ৫৬।                           

[71]. তিরমিযী, আল-ইলালুল কাবীর পৃঃ ৭৩৯।                 

[72]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৫৭১২।

[73]. ইবনে হাজার, ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৫৫।





শোকর (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
আল্লাহর উপর ভরসা (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
জুম‘আর কতিপয় বিধান - মুহাম্মাদ আকমাল হুসাইন
মুমিন কিভাবে দিন অতিবাহিত করবে - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
মীরাছ বণ্টন : শারঈ দৃষ্টিকোণ - ড. শিহাবুদ্দীন আহমাদ, শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, রাজশাহী
রোহিঙ্গারা বাঁচতে চায় - লিলবর আল-বারাদী - যশপুর, তানোর, রাজশাহী
ইখলাছ (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
গাদ্দাফী, সাম্রাজ্যবাদ ও লিবিয়ার রক্তাক্ত জনগণ - ফাহমীদুর রহমান
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ : একটি পর্যালোচনা - কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী
বিশ্ব ভালবাসা দিবস - আত-তাহরীক ডেস্ক
ইবাদতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা (৬ষ্ঠ কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আল-কুরআনের আলোকে জাহান্নামের বিবরণ (২য় কিস্তি) - বযলুর রশীদ
আরও
আরও
.