পর্ব ১ । পর্ব ২ ।  পর্ব ৩ । 

ভূমিকা :

আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতিকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং মানুষের কর্তব্য হ’ল ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য হাছিলের চেষ্টা করা। আর ছালাত আল্লাহর নৈকট্য লাভের সবচেয়ে বড় মাধ্যম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ছালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ‘ কর’ (বাক্বারাহ ২/৪৩)। অর্থাৎ জামা‘আতে ছালাত আদায় কর। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা বলেন, বান্দা যে সকল ইবাদত পালনের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করে তন্মধ্যে ফরয ইবাদত আমার নিকট অধিক প্রিয়’।[1] তিনি আরও বলেন, ‘ক্বিয়ামত দিবসে বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব হবে ছালাতের। ছালাতের হিসাব সঠিক হ’লে সকল ইবাদত সঠিক হবে, আর ছালাত বিনষ্ট হ’লে সব ইবাদত বিনষ্ট হবে’।[2] তিনি আরো বলেন, ‘ছালাত তিন ভাগে বিভক্ত। পবিত্রতা এক-তৃতীয়াংশ। রুকূ এক-তৃতীয়াংশ এবং সিজদা এক-তৃতীয়াংশ। যে যথাযথভাবে ছালাত আদায় করবে তার ছালাত কবুল হবে এবং তার অন্য সকল আমলও কবুল হবে। আর যার ছালাত প্রত্যাখ্যান করা হবে, তার সকল আমলই প্রত্যাখ্যাত হবে’।[3]

ফরয ছালাত জামা‘আতের সাথে মসজিদে আদায় করা ওয়াজিব। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা এসেছে। এমনকি যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর সম্মুখে থাকা অবস্থায়ও জামা‘আতে ছালাত আদায় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে (নিসা ৪/১০২)। হাদীছে জামা‘আতে ছালাত আদায় না করা অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া, গাফেল হওয়া ও মুনাফিকদের আলামত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[4] তাছাড়া জামা‘আতে ছালাত আদায় না করলে বহু ছওয়াব থেকে বঞ্চিত হ’তে হবে।[5] রাসূল (ছাঃ) অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায়ও জামা‘আতে হাযির হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতেন[6] অতএব ফরয ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করা প্রত্যেক সুস্থ মুসলিম পুরুষের উপর ওয়াজিব। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হ’ল।-

জামা‘আতে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব

পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের অনেক গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। আলোচনার সুবিধার্থে এখানে প্রথমে কুরআনের আলোকে অতঃপর হাদীছের আলোকে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব উল্লিখিত হ’ল।-

কুরআনের আলোকে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব :

ইসলামের কোন বিধান ও যেকোন ইবাদত বিধিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যম হ’ল অহী। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি কোন বিধান জারী করতে চাইলে জিব্রীল (আঃ)-এর মাধ্যমে মুহাম্মাদ? (ছাঃ)-এর নিকট অহী প্রেরণ করতেন। কিন্তু ছালাত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার নির্দেশ কোন ফেরেশতার মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং তাঁর প্রিয় হাবীবকে কাছে ডেকে উপহার স্বরূপ এই ইবাদত প্রদান করেছেন। তিনি উম্মতে মুহাম্মাদীর কল্যাণে পঞ্চাশ ওয়াক্ত ছালাতকে কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত করে দিয়েছেন। আর বলেছেন, যারা এই পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত যথাযথভাবে আদায় করবে তারা পঞ্চাশ ওয়াক্ত ছালাত আদায়ের ছওয়াব পেয়ে যাবে।[7] এই ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করার গুরুত্ব ও মর্যাদা অত্যধিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একাকী ছালাত আদায়ের চেয়ে জামা‘আতের সাথে আদায় করলে ২৫/২৭ গুণ ছওয়াব বেশী পাওয়া যায়। অতঃপর যে ব্যক্তি এ ছালাত নির্জনভূমিতে (জামা‘আতের সাথে) আদায় করবে এবং রুকূ-সিজদা পরিপূর্ণভাবে করবে, তার ছালাতের মর্যাদা পঞ্চাশ গুণ বৃদ্ধি করা হবে।[8]

এখানে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব সম্পর্কে কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করা হ’ল।-

(১) মহান আল্লাহ বলেন, وَأَقِيْمُوا الصَّلاَةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوْا مَعَ الرَّاكِعِيْنَ- ‘তোমরা ছালাত কায়েম কর ও যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর’ (বাক্বারাহ ২/৪৩)। এখানে আল্লাহ তা‘আলা রুকূ দ্বারা ছালাত বুঝিয়েছেন। কারণ রুকূ ছালাতের অন্যতম প্রধান রুকন। ‘রুকূকারীদের সাথে’ এ কথা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দিয়েছেন যে, রুকূ একাকী হবে না। বরং রুকূকারীদের সাথে হ’তে হবে। আর এটি জামা‘আতে ছালাত আদায় ব্যতীত সম্ভব নয়। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদী রুকূকারীদের সাথে রুকূ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, তোমরা মুমিনদের উত্তম ও সৎকর্মে তাদের সঙ্গী হয়ে যাও। তার মধ্যে বিশেষ ও পূর্ণাঙ্গ হ’ল ছালাত’।[9]

(২) তিনি আরো বলেন,

وَإِذَا كُنْتَ فِيْهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوْا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوْا فَلْيَكُوْنُوْا مِنْ وَرَائِكُمْ، وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوْا فَلْيُصَلُّوْا مَعَكَ-

‘আর যখন তুমি (কোন অভিযানে) তাদের সাথে থাকবে এবং জামা‘আতে ইমামতি করবে, তখন তোমার সাথে তাদের একদল দাঁড়াবে এবং অন্যদল অস্ত্র ধারণ করবে। অতঃপর ছালাত শেষে তারা যেন তোমার পিছন থেকে সরে যায় এবং যারা ছালাত পড়েনি তারা চলে আসে ও তোমার সাথে ছালাত আদায় করে’ (নিসা ৪/১০২)। আবু ছাওর ও ইবনুল মুনযির (রহঃ) বলেন, অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে ভয়ের (যুদ্ধচলাকালীন) ছালাতকে জামা‘আতের সাথে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে কোন ছাড় দেওয়া হয়নি। তাহ’লে স্বাভাবিক অবস্থায় জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।[10]

ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, এ আয়াত দ্বারা বিভিন্নভাবে দলীল গ্রহণ করা যায়। প্রথমতঃ আল্লাহ তাদেরকে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। অতঃপর দ্বিতীয় দলকে পুনরায় নির্দেশ দিয়ে বললেন, ‘আর যারা ছালাত পড়েনি তারা যেন চলে আসে ও তোমার সাথে ছালাত আদায় করে’ (নিসা ৪/১০২)। এতে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় ফরযে আইন হওয়ার দলীল রয়েছে। কারণ প্রথম দলের জামা‘আতে ছালাত আদায়কে দ্বিতীয় দলের জন্য যথেষ্ট মনে করা হয়নি। আর যদি জামা‘আতে ছালাত আদায় সুন্নাত হ’ত, তাহ’লে ভয়ের সময় জামা‘আতে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হ’ত না। আবার এটি ফরযে কিফায়া হ’লে প্রথম দলের জামা‘আতে ছালাত আদায়কে যথেষ্ট মনে করা হ’ত। অতএব জামা‘আতে ছালাত আদায় ফরযে আইন।[11]

(৩) আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُوْمُوْا لِلَّهِ قَانِتِيْنَ-

‘তোমরা ছালাত সমূহ ও মধ্যবর্তী ছালাতের ব্যাপারে যত্নবান হও এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দন্ডায়মান হও’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)। ছালাতের হেফাযত করা অর্থ যথাসময়ে সঠিকভাবে ছালাত আদায় করা। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা পরস্পরকে যথাসময়ে ছালাতসমূহ হেফাযত করতে এবং তা সময় মতো আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।[12] খন্দকের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছিলেন, ওরা আমাদেরকে মধ্যবর্তী ছালাত- আছরের ছালাত থেকে বিরত রেখেছে। আল্লাহ ওদের অন্তর ও ঘরগুলিকে আগুন দিয়ে পূর্ণ করুন’।[13]

(৪) নারী হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ মারিয়াম (আঃ)-কে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন,

يَا مَرْيَمُ اقْنُتِيْ لِرَبِّكِ وَاسْجُدِيْ وَارْكَعِيْ مَعَ الرَّاكِعِيْنَ-

‘হে মারিয়াম! তোমার প্রতিপালকের ইবাদতে রত হও এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ-সিজদা কর’ (আলে ইমরান ৩/৪৩)। অর্থাৎ মসজিদে জামা‘আতের ইক্বতিদা কর। যদিও তাদের সাথে মিশে ছালাত আদায় করবে না (কুরতুবী)। শাওকানী (রহঃ) বলেন, ‘তার রুকূ হবে তাদের রুকূর সাথে’ এটি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নারীদের জন্য জামা‘আতে ছালাত আদায় করা শরী‘আত সম্মত।[14] তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) বলেন, لاَ تَمْنَعُوْا إمَاءَ اللهِ مَسَاجِدَ اللهِ وَلْيَخْرُجْنَ إذَا خَرَجْنَ تَفِلاَتٍ- ‘তোমরা আল্লাহর বান্দিদেরকে মসজিদে যেতে বাধা দিও না। আর যখন তারা বাইরে বের হবে তখন অবশ্যই সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে’।[15]

(৫) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, وَلَا يَأْتُونَ الصَّلاَةَ إِلَّا وَهُمْ كُسَالَى- ‘আর তারা ছালাতে আসে অলস অবস্থায়’ (তওবাহ ৯/৫৪)। ছালাতে অলসতার সাথে আসাকে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে। আর যারা জামা‘আতে ছালাতে হাযির হয় না, তাদের কি অবস্থা হবে? আর ‘আল্লাহ কেবল মুত্তাক্বীদের আমলই কবুল করে থাকেন’ (মায়েদাহ ৫/২৭)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, তারা জামা‘আত পেলে ছালাত আদায় করে আর একাকী থাকলে ছালাত ত্যাগ করে। তারা ছালাতের ছওয়াব প্রত্যাশা করে না এবং তা ত্যাগ করাতে শাস্তির ভয় পায় না।[16] ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমরা সকলে জামা‘আতে উপস্থিত হ’তাম। কেবল চিহ্নিত মুনাফিকরা ছালাতের জামা‘আত হ’তে দূরে থাকত।[17] এ আছার প্রমাণ করে যে, জামা‘আতে ছালাত আদায় থেকে দূরে থাকা মুনাফিকদের আলামত।

হাদীছের আলোকে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব :

জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ব্যাপারে হাদীছে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি হাদীছ উল্লেখ করা হ’ল।-

عَنِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَى الْمَسْجِدَ، فَرَأَى فِى الْقَوْمِ رِقَّةً فَقَالَ إِنِّى لأَهُمُّ أَنْ أَجْعَلَ لِلنَّاسِ إِمَاماً ثُمَّ أَخْرُجُ فَلاَ أَقْدِرُ عَلَى إِنْسَانٍ يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلاَةِ فِى بَيْتَهِ إِلاَّ أَحْرَقْتُهُ عَلَيْهِ. فَقَالَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ: يَا رَسُولَ اللهِ! إِنَّ بَيْنِى وَبَيْنَ الْمَسْجِدِ نَخْلاً وَشَجَراً وَلاَ أَقْدِرُ عَلَى قَائِدٍ كُلَّ سَاعَةٍ أَيَسَعُنِى أَنْ أُصَلِّىَ فِى بَيْتِى؟ قَالَ : أَتَسْمَعُ الإِقَامَةَ؟ قَالَ : نَعَم .قَالَ:  فَأْتِهَا-

(১) ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ) মসজিদে আগমন করে মুছল্লীদের স্বল্পতা দেখে বললেন, আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি লোকদের জন্য কাউকে ইমাম নিযুক্ত করে বেরিয়ে যাই। অতঃপর যে জামা‘আতে ছালাত আদায় না করে বাড়ীতে অবস্থান করছে তাকে জ্বালিয়ে দেই। তখন ইবনু উম্মে মাকতূম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমার বাড়ী ও মসজিদের মধ্যে খেজুর ও বিভিন্ন বৃক্ষের বাগান রয়েছে। আর সবসময় আমি এমন কাউকেও পাই না যে আমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসবে। আমাকে কি বাড়িতে ছালাত আদায়ের সুযোগ দেওয়া যায়? তিনি বললেন, তুমি কি ইক্বামত শুনতে পাও? সে বলল, হ্যাঁ। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তাহ’লে ছালাতে এসো’।[18] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ইবনু উম্মে মাকতূম বাড়িতে ছালাত আদায়ের অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। অতঃপর সে যখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল তখন রাসূল (ছাঃ) ডেকে বললেন, তুমি কি আযান শুনতে পাও? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহ’লে ছালাতে এসো’।[19] অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বললেন, তুমি যখন আযান শুনবে তখন আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে মসজিদে আসবে’।[20]

অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! মদীনার পথ বিভিন্ন ক্ষতিকর সাপ ও হিংস্র প্রাণীতে ভরপুর এবং আমি অন্ধ...। তখন তিনি বললেন, তুমি যদি আযান শুনতে পাও, তবে তোমার জন্য (বাড়িতে ছালাত আদায়ের) কোন সুযোগ নেই। অন্যত্র এসেছে, তিনি বললেন, ‘আমি তোমার জন্য বাড়িতে ছালাত আদায়ের কোন অনুমতি পাচ্ছি না’।[21] ইবনুল মুনযির বলেন, ‘যেখানে একজন অন্ধ ব্যক্তির জন্য জামা‘আতে ছালাত পরিত্যাগ করার অনুমতি নেই, সেখানে একজন সুস্থ ব্যক্তির অনুমতি না থাকার বিষয়টি আরো সুস্পষ্ট’।[22] ইবনু কুদামাহ (রহঃ) বলেন, যেখানে অন্ধ ব্যক্তিকে বাড়িতে ছালাত আদায়ের অনুমতি দেওয়া হ’ল না, যার কোন পথ দেখানোর লোক নেই। তাহ’লে অন্যদের বিষয়টি অতীব গুরুতর’।[23]

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: إِنَّ أَثْقَلَ صَلاَةٍ عَلَى الْمُنَافِقِينَ صَلاَةُ الْعِشَاءِ وَصَلاَةُ الْفَجْر،ِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيْهِمَا لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا، وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيُصَلِّىَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِى بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْهَدُوْنَ الصَّلاَةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ بِالنَّارِ-

(২) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, এশা ও ফজরের ছালাত আদায় করা মুনাফিকদের জন্য সর্বাপেক্ষা কঠিন। তারা যদি জানত এ দুই ছালাতের মধ্যে কি (ছওয়াব) আছে, তাহ’লে তারা এ দুই ছালাতের জামা‘আতে হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও হাযির হ’ত। আমার মন চায়, আমি ছালাতের নির্দেশ দেই এবং ইক্বামত দেওয়া হবে। অতঃপর একজনকে নির্দেশ দেই যে লোকদের ইমামতি করবে। আর আমি কিছু লোককে নিয়ে জ্বালানী কাঠের বোঝাসহ বের হয়ে তাদের কাছে যাই, যারা ছালাতে (জামা‘আতে) উপস্থিত হয় না এবং তাদের ঘর-বাড়ীগুলি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেই’।[24] অপর বর্ণনায় এসেছে, একদা রাসূল (ছাঃ) ফজরের ছালাত সমাপ্ত করে বললেন, অমুক উপস্থিত? তারা বললেন, না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, অমুক উপস্থিত? তারা বললেন, না। তখন তিনি বললেন, ‘ফজর ও এশার ছালাতে হাযির হওয়াটাই মুনাফিকদের উপর সবচাইতে ভারী কাজ’।[25]

عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : لَيَنْتَهِيَنَّ رِجَالٌ عَنْ تَرْكِ الْجَمَاعَةِ أَوْ لأُحَرِّقَنَّ بُيُوْتَهُمْ-

(৩) উসামাহ বিন যায়েদ হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘লোকেরা অবশ্যই জামা‘আতে ছালাত আদায় ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকবে, অন্যথা আমি তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিব’।[26]

আব্দুল মুহসিন আল-আববাদ বলেন, এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, জামা‘আতে ছালাত আদায় করা আবশ্যক।[27] উছায়মীন (রহঃ) বলেন, এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, জামা‘আতে ছালাত আদায় ওয়াজিব। কেননা নবী (ছাঃ) কেবল ওয়াজিব ত্যাগকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান করতে উদ্যত হয়েছিলেন।[28] হাকেম ও ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, হাদীছের প্রকাশ্য ভাষা ইঙ্গিত করে যে, জামা‘আতে ছালাত আদায় ফরয। কারণ তা সুন্নাত হ’লে এর ত্যাগকারীকে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হ’ত না। আবার ফরযে কিফায়া হ’লে রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর কিছু ছাহাবীদের জামা‘আতে ছালাত আদায় যথেষ্ট হ’ত।[29]

অপর বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ وَدْعِهِمُ الْجَمَاعَاتِ أَوْ لَيَخْتِمَنَّ اللهُ عَلَى قُلُوْبِهِمْ ثُمَّ لَيَكُوْنُنَّ مِنَ الْغَافِلِيْنَ- ‘লোকেরা অবশ্যই জামা‘আতে ছালাত আদায় ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকবে, অন্যথা আল্লাহ তা‘আলা তাদের অন্তরসমূহে মোহর মেরে দিবেন। ফলে তারা গাফেলদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে’।[30]

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يُجِبْهُ فَلاَ صَلاَةَ لَهُ إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ-

(৪) ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আযান শুনতে পেয়েও বিনা ওযরে মসজিদে আসে না তার ছালাত সিদ্ধ হবে না’। রাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘ওযর’ হচ্ছে ভয় ও অসুস্থতা।[31] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন,مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَارِغًا صَحِيْحًا فَلَمْ يُجِبْ فَلاَ صَلاَةَ لَهُ– ‘যে ব্যক্তি সুস্থ ও অবসরে থাকা সত্ত্বেও আযান শুনে জামা‘আতে আসল না তার ছালাত সিদ্ধ হবে না’।[32] এই হাদীছ স্পষ্ট করে দেয় যে, সুস্থ ব্যক্তির ছালাত বাড়িতে সিদ্ধ হবে না। যদিও কেউ বাড়িতে একাকী ছালাত আদায় করলে ছালাতের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। তবে ওয়াজিব ত্যাগ করার কারণে গুনাহগার হবে।[33]

عَنْ أَبِى الدَّرْدَاءِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ : مَا مِنْ ثَلاَثَةٍ فِىْ قَرْيَةٍ وَلاَ بَدْوٍ لاَ تُقَامُ فِيْهِمُ الصَّلاَةُ إِلاَّ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَعَلَيْكَ بِالْجَمَاعَةِ فَإِنَّمَا يَأْكُلُ الذِّئْبُ الْقَاصِيَةَ-

(৫) আবুদ্দারদা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন তিন ব্যক্তি তারা (জনবহুল) গ্রামে থাকুক অথবা জনবিরল অঞ্চলে থাকুক, তাদের মধ্যে ছালাতের জামা‘আত কায়েম করা হয় না, নিশ্চয়ই তাদের উপর শয়তান প্রভাব বিস্তার করে। সুতরাং অবশ্যই তুমি জামা‘আতে ছালাত কায়েম করবে। কেননা নেকড়ে বাঘ সেই ছাগল-ভেড়াকেই খায় যে দল ছেড়ে একা থাকে’। সায়েব বলেন, জামা‘আত দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল- জামা‘আতে ছালাত আদায় করা’।[34] অন্য বর্ণনায় এসেছে উম্মুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, একদা আবুদ্দারদা (রাঃ) ভীষণ রাগান্বিত অবস্থায় আমার নিকট আসলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আবুদ্দারদা! কিসে তোমাকে রাগান্বিত করেছে? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উম্মতের মধ্যে জামা‘আতে ছালাত আদায় ব্যতীত তাঁর তরীকার অধিক গুরুত্বপূর্ণ কিছুই দেখছি না’।[35] অর্থাৎ তিনি এজন্য রাগান্বিত ছিলেন যে, লোকেরা এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সঠিকভাবে পালন করছে না।

عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّ اللهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِى بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّى هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِى بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ، وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُورَ ثُمَّ يَعْمِدُ إِلَى مَسْجِدٍ مِنْ هَذِهِ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ كَتَبَ اللهُ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوهَا حَسَنَةً وَيَرْفَعُهُ بِهَا دَرَجَةً وَيَحُطُّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلاَّ مُنَافِقٌ مَعْلُومُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُؤْتَى بِهِ يُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يُقَامَ فِى الصَّفِّ-

(৬) আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি পসন্দ করে যে, আগামীকাল আল্লাহর সাথে মুসলিম হিসাবে মিলিত হবে, সে যেন অবশ্যই এই ছালাতসমূহের যথাযথভাবে হেফাযত করে সেখানে গিয়ে, যেখান হ’তে আযান দেওয়া হয়। মহান আল্লাহ তাঁর নবী (ছাঃ)-এর জন্য তা ফরয ও হেদায়াতের বাহন হিসাবে নির্ধারিত করেছেন। কেননা এই ছালাতসমূহ হেদায়াতের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তোমরা যদি পশ্চাৎগামীদের ন্যায় মসজিদ পরিত্যাগ করে তোমাদের নিজ গৃহে ছালাত  আদায় কর, তাহ’লে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত পরিত্যাগকারী হিসাবে পরিগণিত হবে। আর যদি তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত পরিহার কর, তবে অবশ্যই তোমরা পথভ্রষ্ট হবে। আর যে মুসলিমই উত্তমরূপে ওযূ করে, তারপর সে ছালাতের জন্য পায়ে হেঁটে যায়, আল্লাহ তার প্রতি পদক্ষেপে একটি পুণ্য লেখেন, তার জন্য তার মর্যাদার একটি ধাপ উন্নত করে দেন। আর তা দ্বারা তার একটি পাপ মুছে দেন। আমরা তো দেখেছি যে, প্রকাশ্য মুনাফিকরা ব্যতীত জামা‘আতে কেউই অনুপস্থিত থাকত না। আমরা আরো দেখেছি যে, দুর্বল ও অক্ষম ব্যক্তি দু’জনের উপর ভর করে মসজিদে এসে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের জন্য কাতারবদ্ধ হ’ত’।[36] অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে হেদায়াতের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। আযান হয় এমন মসজিদে ছালাত আদায় করা হিদায়াতের অন্তর্ভুক্ত’।[37] ইবনু মাসঊদ (রাঃ) মসজিদে জামা‘আত থেকে দূরে অবস্থানকারীদেরকে পথভ্রষ্ট বলে অভিহিত করেছেন।

জামা‘আতে ছালাত আদায় এত গুরুত্বপূর্ণ যে, ফেরেশতারা জামা‘আতে অংশগ্রহণ করেন। কোন ব্যক্তি একাকী ছালাত আদায় করলেও তার জামা‘আতে দু’জন ফেরেশতা শরীক হন। আবার আযান ও ইক্বামত হ’লে অসংখ্য ফেরেশতা অংশগ্রহণ করেন। যেখানে ফেরেশতাগণ জামা‘আতে অংশগ্রহণ করেন সেখানে মুসলমানদের জন্য জামা‘আতে ছালাত আদায় ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ।

[চলবে]


[1]. বুখারী হা/৬৫০২; মিশকাত হা/২২৬৬

[2]. ত্বাবারাণী, মু‘জামূল আওসাত্ব হা/১৮৫৯, ছহীহাহ হা/১৩৫৮।

[3]. বাযযার হা/৯২৭৩; ছহীহাহ হা/২৫৩৭।

[4]. মুসলিম হা/৮৬৫: মিশকাত হা/১৩৭০

[5]. আবুদাউদ হা/৫৬০; ছহীহ তারগীব হা/৪১৩

[6]. বুখারী হা/৬৮৭; মিশকাত হা/১১৪৭

[7]. বুখারী হা/৩৪৯, ৩৩৪২; মুসলিম হা/১৬২, ১৬৩; মিশকাত হা/৫৮৬২-৫৮৬৪

[8]. আবুদাউদ হা/৫৬০; ছহীহ তারগীব হা/৪১৩; ফাৎহুল বারী ২/১৩৪, সনদ ছহীহ

[9]. তাফসীরে ইবনু কাছীর ১/২৪৫-২৪৬

[10]. কিতাবুল আওসাত্ব ৪/১৩৫; আওনুল মা‘বূদ ২/১৮১

[11]. ইবনুল ক্বাইয়িম, আছ-ছালাত ওয়া হুকমু তারিকুহা ১/১৩৭-১৩৮

[12]. ইবনু কাছীর ১/৬৪৫

[13]. বুখারী হা/২৯৩১; মুসলিম হা/৬২৭; মিশকাত হা/৬৩৩

[14]. ফৎহুল কাদীর ১/৩৮৮

[15]. বুখারী হা/৯০০; মুসলিম হা/৪৪২

[16]. কুরতুবী ৮/১৬৩

[17]. মুসলিম হা/৬৫৪; আবুদাউদ হা/৫৫০

[18]. ছহীহ তারগীব হা/৪২৯; আহমাদ হা/১৫৫৩০; ইবনু খুযায়মাহ হা/১৪৭৯, সনদ হাসান ছহীহ

[19]. মুসলিম হা/৬৫৩; নাসাঈ হা/৮৫০; মিশকাত হা/১০৫৪

[20]. দারাকুৎনী হা/১৯০২; ছহীহাহ হা/১৩৫৪

[21]. হাকেম হা/৯০৩; আবুদাউদ হা/৫৫২,৫৫৩; মিশকাত হা/১০৭৮

[22]. আল-আওসাত্ব ৪/১৩৪

[23]. মুগনী ২/৩

[24]. বুখারী হা/৬৫৭; মুসলিম হা/৬৫১; মিশকাত হা/৬২৮, ৬২৯

[25]. আবুদাউদ হা/৫৫৪; ছহীহ তারগীব হা/৪১১; মিশকাত হা/১০৬৬

[26]. ইবনু মাজাহ হা/৭৯৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪৮২/১; ছহীহ তারগীব হা/৪৩৩, সনদ ছহীহ

[27]. শারহু সুনানে আবুদাউদ ৩/৪৪২

[28]. শারহু রিয়াযুছ ছালেহীন ৫/৭৩

[29]. ফাৎহুল বারী ২/১২৬

[30]. মুসলিম হা/৮৬৫; ইবনু মাজাহ হা/৭৯৪; নাসাঈ হা/১৩৭০; মিশকাত হা/১৩৭০

[31]. ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩: ছহীহ তারগীব হা/৪২৬; মিশকাত হা/১০৭৭

[32]. হাকেম হা/৮৯৯; ছহীহ তারগীব হা/৪৩৪

[33]. শারহু সুনানে আবুদাউদ ৩/৪৪২

[34]. আবুদাউদ হা/৫৪৭; ছহীহ তারগীব হা/৪২৭; মিশকাত হা/১০৬৭

[35]. বুখারী হা/৬৫০; আহমাদ হা/২৭৫৪০; মিশকাত হা/১০৭৯

[36]. মুসলিম হা/৬৫৪; মিশকাত হা/১০৭২

[37]. মুসলিম হা/৬৫৪; আবুদাউদ হা/৫৫০





ইবাদতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা (৪র্থ কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
তাক্বলীদের বিরুদ্ধে ৮১টি দলীল (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
চিন্তার ইবাদত (৫ম কিস্তি) - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
ইসলামী বাড়ীর বৈশিষ্ট্য - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় - ডা. মুহাম্মাদ এনামুল হক
ঈদে মীলাদুন্নবী - আত-তাহরীক ডেস্ক
দাওয়াত ও সংগঠন - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
প্রাক-মাদ্রাসা যুগে ইসলামী শিক্ষা (শেষ কিস্তি) - আসাদুল্লাহ আল-গালিব (শিক্ষার্থী, ইংরেজী বিভাগ, ২য় বর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
অছিয়ত নামা - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আমানত - মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান
কুরবানীর মাসায়েল
মাদ্রাসার পাঠ্যবই সমূহের অন্তরালে (৫ম কিস্তি) - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আরও
আরও
.