১০ম হিজরী সনে রাসূল (ছাঃ)-এর বিদায় হজ্জ অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষাধিক ছাহাবী উপস্থিত ছিলেন। যে কোন আদর্শিক নেতার জীবনের সর্বশেষ কর্মী সম্মেলনে দেওয়া ভাষণ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) কেবল নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন শেষনবী ও বিশ্বনবী। অধিকন্তু তাঁর দৃঢ় আশংকা ছিল যে, এটাই তাঁর জীবনের সর্বশেষ হজ্জ ও সর্বশেষ বিশ্ব সম্মেলন। সেকারণ বিদায় হজ্জের ভাষণ ছিল ক্বিয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির জন্য স্থায়ী দিক নির্দেশক। উল্লেখ্য যে, আগের বছর মক্কার পুণ্যভূমিতে হজ্জের সময় মুশরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় (তওবা ৯/২৮)। ফলে মুশরিকমুক্ত পরিবেশে তিনি এই হজ্জ করেন এবং এই হজ্জ অনুষ্ঠানের আমীর ও প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি নিজে। এই হজ্জে আরাফাতের ময়দানে ও মিনায় তিনদিনে বিভিন্ন সময় ৩১টি বিষয়ে তিনি উম্মতকে সতর্ক করেন (সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৭০১ পৃ.)। আমরা তার মধ্য থেকে মৌলিক কিছু বিষয় তুলে ধরব। যা কেবল মুসলিম উম্মাহর জন্য নয়, বরং বিশ্ব মানবতার জন্য হেদায়াতের চিরন্তন আলোকবর্তিকা স্বরূপ। 

আরাফার দিনের ভাষণে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

(১) ‘হে জনগণ! আল্লাহর কসম, আমি জানি না আজকের পরে আর কোনদিন তোমাদের সঙ্গে এই স্থানে মিলিত হ’তে পারব কি-না। অতএব আল্লাহ রহম করুন ঐ ব্যক্তির উপরে যে ব্যক্তি আজকে আমার কথা শুনবে ও তা স্মরণ রাখবে। কেননা অনেক জ্ঞানের বাহক নিজে জ্ঞানী নয় (সে অন্যের নিকট জ্ঞান বহন করে নিয়ে যায়) এবং অনেক জ্ঞানের বাহক তার চাইতে অধিকতর জ্ঞানীর নিকটে জ্ঞান বহন করে নিয়ে যায়। (২) জেনে রেখ, নিশ্চয়ই তোমাদের মাল-সম্পদ ও তোমাদের রক্ত তোমাদের পরস্পরের উপরে হারাম, যেমন আজকের এই দিন, এই মাস, এই শহর তোমাদের জন্য হারাম’ (অর্থাৎ এর সম্মান বিনষ্ট করা হারাম)। (৩) জেনে রেখ, তিনটি বিষয়ে মুমিনের অন্তর খিয়ানত করে না : (ক) আল্লাহর উদ্দেশ্যে এখলাছের সাথে কাজ করা। (খ) শাসকদের জন্য কল্যাণ কামনা করা এবং (গ) মুসলমানদের জামা‘আতকে অাঁকড়ে ধরা। কেননা তাদের দো‘আ তাদেরকে পিছন থেকে (শয়তানের প্রতারণা হ’তে) রক্ষা করে’ (দারেমী হা/২২৭, সনদ ছহীহ)

এদিন সূর্য ঢলে যাওয়ার পর তিনি বলেন, (৪) ‘শুনে রাখ, জাহেলী যুগের সকল কিছু আমার পায়ের তলে পিষ্ট হ’ল। জাহেলী যুগের সকল রক্তের দাবী পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের রক্ত সমূহের প্রথম যে রক্তের দাবী আমি পরিত্যাগ করছি, তা হ’ল রাবী‘আহ ইবনুল হারেছ বিন আব্দুল মুত্ত্বালিব-এর শিশু পুত্রের রক্ত। যে তখন বনু সা‘দ (অন্য বর্ণনায় বনু লাইছ।- ইবনু হিশাম ২/৬০৪) গোত্রে দুগ্ধ পান করছিল, আর হোযাইল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করেছিল’। (৫) ‘জাহেলী যুগের সকল সূদ পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের সূদ সমূহের প্রথম যে সূদ আমি শেষ করে দিচ্ছি সেটি হ’ল (আমার চাচা) আববাস বিন আব্দুল মুত্ত্বালিবের পাওনা সূদ। যার সবটুকুই বাতিল করা হ’ল। (৬) ‘তোমরা নারীদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদেরকে হালাল করেছ। তাদের উপরে তোমাদের প্রাপ্য হক হ’ল এই যে, তারা তোমাদের বিছানা এমন কাউকে মাড়াতে দেবে না, যাদেরকে তোমরা অপসন্দ কর। যদি তারা সেটা করে, তবে তোমরা তাদের প্রহার করবে যা গুরুতর হবে না। আর তোমাদের উপরে তাদের প্রাপ্য হক হ’ল উত্তমরূপে খাদ্য ও পরিধেয় প্রদান করা’। (৭) ‘আর জেনে রাখ, আমি তোমাদের মাঝে ছেড়ে যাচ্ছি এমন এক বস্ত্ত, যা মযবূতভাবে ধারণ করলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। সেটি হ’ল আল্লাহর কিতাব’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ও তাঁর নবীর সুন্নাহ’ (মুওয়াত্ত্বা হা/৩৩৩৮)। 

(৮) ‘তোমরা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। তখন তোমরা কি বলবে? লোকেরা বলল, আমরা সাক্ষ্য দিব যে, আপনি সবকিছু পৌঁছে দিয়েছেন, (রিসালাতের আমানত) আদায় করেছেন এবং উপদেশ দিয়েছেন’। অতঃপর তিনি শাহাদাত অঙ্গুলি আসমানের দিকে উঁচু করে অতঃপর সমবেত জনমন্ডলীর দিকে নীচু করে বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক’ (তিনবার) (মুসলিম হা/১২১৮)

তিনি বলেন, (৯) মুসলিম সেই, যার যবান ও হাত থেকে অন্যেরা নিরাপদ থাকে। আর মুজাহিদ সেই, যে আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সর্বাত্মকভাবে নিয়োজিত করে এবং মুহাজির সেই, যে সকল প্রকার অন্যায় ও পাপকর্ম সমূহ পরিত্যাগ করে’ (আহমাদ হা/২৪০০৪; ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪৮৬২; ছহীহাহ হা/৫৪৯)। (১০) ‘মনে রেখ! আমি তোমাদের সকলের আগেই হাউয কাউছারে পৌঁছে যাব। আর আমি অন্য সকল উম্মতের মধ্যে তোমাদের আধিক্য নিয়ে গর্ব করব। অতএব তোমরা আমার চেহারাকে কালিমালিপ্ত কর না। (১১) মনে রেখ! আমি অনেককে সেদিন মুক্ত করব এবং অনেকে সেদিন আমার থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। তখন আমি বলব, ‘হে আমার প্রতিপালক! এরা তো আমার সাথী। তিনি বলবেন, তুমি জান না তোমার পরে এরা (ইসলামের মধ্যে) কত বিদ‘আত সৃষ্টি করেছিল’ (ইবনু মাজাহ হা/৩০৫৭)। তখন রাসূল (ছাঃ) বলবেন, ‘দূর হও দূর হও! যে ব্যক্তি আমার পরে আমার দ্বীনকে পরিবর্তন করেছ’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৫৫৭১)। (১২) তিনি বলেন, হে জনগণ! নিশ্চয়ই প্রত্যেক পরিবারের উপর প্রতি বছর একটি করে কুরবানী ও ‘আতীরাহ’ (আতীরাহ পরে রহিত করা হয়)। (১৩) ‘মনে রেখ, অপরাধের শাস্তি অপরাধী ব্যতীত অন্যের উপরে বর্তাবে না। পিতার অপরাধের শাস্তি পুত্রের উপর এবং পুত্রের অপরাধের শাস্তি পিতার উপর বর্তাবে না’। (১৪) ‘জেনে রেখ, শয়তান তোমাদের এই শহরে পূজা পাওয়া থেকে (অর্থাৎ তোমাদের কাফের হওয়া থেকে) চিরদিনের মত নিরাশ হয়ে গেছে। তবে যেসব কাজগুলিকে তোমরা তুচ্ছ মনে কর, সেসব কাজে তার আনুগত্য করা হবে, আর তাতেই সে খুশী থাকবে’ (তিরমিযী হা/২১৫৯; ইবনু মাজাহ হা/৩০৫৫, হাদীছ ছহীহ; মিরক্বাত শারহ মিশকাত হা/২৬৭০)। আরাফার দিনকে ‘হজ্জে আকবার’ বলা হয় এবং শুধু ওমরাকে ‘হজ্জে আছগার’ বলা হয়। তবে প্রসিদ্ধ মতে আরাফা ও জুম‘আর দিন একত্রিত হওয়াকে ‘হজ্জে আকবার’ বলা হয় (মিরক্বাত হা/২৬৭০-এর আলোচনা)। এর জন্য ৭০টি হজ্জের সমান নেকী পাওয়া যায় বলে যে হাদীছ প্রচলিত আছে, তা ভিত্তিহীন ও জাল (যঈফাহ হা/২০৭, ১১৯৩, ৩১৪৪)। যেমন মিথ্যা, প্রতারণা, আপোষে ঝগড়া-মারামারি ইত্যাদি। যা পরবর্তীদের মধ্যে ঘটেছিল (মির‘আত)। জাবের (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, ‘কিন্তু শয়তানী প্ররোচনা বাকী থাকবে’ (মুসলিম হা/২৮১২)। (১৫) একই রাবী কর্তৃক অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘মনে রেখ! এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। অতএব কোন মুসলমানের জন্য তার ভাই-এর কোন বস্ত্ত হালাল নয় কেবল অতটুকু ব্যতীত যতটুকু সে তাকে খুশী মনে দেয়। আর তোমরা যুলুম করো না...(ইরওয়া হা/১৪৫৯)

উল্লেখ্য যে, আরাফাতের দিন শুক্রবার সন্ধ্যার প্রাক্কালে ইসলামের পূর্ণাঙ্গতার সনদ হিসাবে সূরা মায়েদাহ ৩ আয়াত নাযিল হয়।

কুরবানীর দিনের ভাষণ :    

এদিন সূর্য ঢলার পর ‘আযবা’ উটনীর পিঠে বসে কংকর নিক্ষেপ শেষে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, (১৬) হে জনগণ! ‘কালচক্র আপন নিয়মে আবর্তিত হয়, যেদিন থেকে আসমান ও যমীন সৃষ্টি হয়েছে। বছর বারো মাসে হয়। তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। তিনটি পরপর, যুলক্বা‘দাহ, যুলহিজ্জাহ ও মুহাররম এবং রজবে মুযার’। অতঃপর তিনি বলেন, (১৭) ‘সত্বর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে। অতঃপর তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। সাবধান! আমার পরে তোমরা পুনরায় ‘পথভ্রষ্ট’ হয়ে ফিরে যেয়ো না এবং একে অপরের গর্দান মেরো না’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘সাবধান! আমার পরে তোমরা পুনরায় ‘কাফের’ হয়ে ফিরে যেয়ো না এবং একে অপরের গর্দান মেরো না’ (মুসলিম হা/১৬৭৯)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, এটি ছিল উম্মতের জন্য তাঁর অছিয়ত স্বরূপ (বুখারী হা/১৭৩৯)। এই ‘কাফের’ অর্থ কর্মগত কাফের অর্থাৎ অবাধ্য। আক্বীদাগত কাফের নয়, যা মুসলমানকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশের উপর ঈমান আনবে ও কিছু অংশে কুফরী করবে’? রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেক্বী এবং তার সাথে যুদ্ধ করা  কুফরী’ (বুখারী হা/৪৮)। ‘হে জনগণ! আমি কি তোমাদের নিকট পৌঁছে দিয়েছি (দু’বার)? লোকেরা বলল, হ্যাঁ। রাসূল (ছাঃ) বললেন, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক! আর তোমাদের উপস্থিতগণ যেন অনুপস্থিতগণকে কথাগুলি পৌঁছে দেয়। কেননা উপস্থিত শ্রোতাদের অনেকের চাইতে অনুপস্থিত যাদের নিকট এগুলি পৌঁছানো হবে, তাদের মধ্যে অধিক জ্ঞানী ব্যক্তি থাকতে পারে’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/২৬৫৯)

(১৮) ‘হে জনগণ! শুনে রাখ আমার পরে কোন নবী নেই এবং তোমাদের পরে কোন উম্মত নেই। অতএব (১৯) ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় কর। পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় কর। রামাযান মাসের ছিয়াম পালন কর। তোমাদের মালের যাকাত দাও। তোমাদের আমীরের আনুগত্য কর। তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ কর’ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৭৫৩৫; তিরমিযী হা/৬১৬)

আইয়ামে তাশরীক্বের ১ম দিনের ভাষণ :  

অতঃপর জামরায় কংকর নিক্ষেপের পর ফিরে এসে তিনি বলেন, (২০) ‘যদি তোমাদের উপর নাক-কান কাটা কৃষ্ণকায় গোলামও আমীর নিযুক্ত হন, যিনি তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী পরিচালিত করেন, তোমরা তাঁর কথা শোন ও মান্য কর’ (মুসলিম হা/১২৯৮)

আইয়ামে তাশরীক্বের ২য় দিনের ভাষণ :

(২১) ‘হে জনগণ! নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা মাত্র একজন। তোমাদের পিতাও মাত্র একজন। মনে রেখ! আরবের জন্য অনারবের উপর, অনারবের জন্য আরবের উপর, লালের জন্য কালোর উপর এবং কালোর জন্য লালের উপর কোনরূপ প্রাধান্য নেই আল্লাহভীরুতা ব্যতীত’..(ছহীহাহ হা/২৭০০)। (২২) এদিন তিনি ‘দাজ্জাল’-এর আগমন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি উম্মতের উদ্দেশ্যে বলেন, (২৩) ‘হে জনগণ! আমি তোমাদের নিকট এমন বস্ত্ত রেখে যাচ্ছি, যা মযবূতভাবে ধারণ করলে তোমরা কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাহ’ (হাকেম হা/৩১৮, হাদীছ ছহীহ)। 

গুরুত্ব ও তাৎপর্য :

(১) শিরকী জাহেলিয়াতের সাথে তাওহীদের চিরদিনের মত বিচ্ছেদ ঘোষণা করা। (২) পরস্পরের জান-মাল ও ইয্যত পরস্পরের জন্য হারাম ঘোষণা করা। (৩) সূদী প্রথাকে চিরতরে হারাম করার মাধ্যমে পুঁজিবাদকে পদদলিত করা। (৪) নারী ও পুরুষের পারস্পরিক হক ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখা। (৫) বিদ‘আতী মুসলমানদের হাউয কাওছারের পানি পান হ’তে বঞ্চিত করা। (৬) প্রত্যেক পরিবারের উপর প্রতি বছর একটি করে কুরবানী সুন্নত হওয়া। (৭) একজনের পাপভার অন্যে বহন না করা। (৮) কারু প্রতি যুলুম না করা এবং কেউ খুশীমনে না দিলে তার মাল গ্রহণ না করা। (৯) সকল মুসলমান ভাই ভাই। মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকী ও তার সাথে যুদ্ধ করা কুফরী। এর মাধ্যমে মুসলিম সমাজের পরিচর্যার মূলনীতি ঘোষণা করা হয়েছে। (১০) শাসক বা আমীরের প্রতি অটুট আনুগত্য বজায় রাখা। (১১) সকল মানুষের পিতা একজন। অতএব কারুর উপরে কারু কোন প্রাধান্য নেই আল্লাহভীরুতা ব্যতীত। এর মাধ্যমে অমুসলিমদের সাথে মুসলিমদের কল্যাণ কর্মে সহযোগিতার ভিত্তি বর্ণিত হয়েছে। (১২) মুসলমান কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না, যতদিন তারা আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাহকে মযবুতভাবে আঁকড়ে থাকবে। এর মাধ্যমে ইসলামী আইনের মূল উৎস হিসাবে মাত্র দু’টি বর্ণিত হয়েছে, তৃতীয় কোন কিছুকে নয়। এ দু’টিই হ’ল স্থায়ী সমাধান ও শান্তির উৎস। (১৩) কুরআন ও সুন্নাহর বাণী সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া অপরিহার্য কর্তব্য। 

উপরে বর্ণিত প্রতিটি বিষয়ই সমাজ জীবনে চিরন্তন কল্যাণের দিশারী। আল্লাহ আমাদেরকে এগুলি মেনে চলার তাওফীক দান করুন- আমীন! (স.স.)

বর্ষশেষের নিবেদন : ২১তম বর্ষ শেষে ২২তম বর্ষের প্রাক্কালে এবং আমাদের সকল পাঠক-পাঠিকা, লেখক-লেখিকা, এজেন্ট ও গ্রাহক এবং দেশী ও প্রবাসী সকল শুভানুধ্যায়ীকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ শুদ্ধ চেতনার অধিকারী দ্বীনদার ভাই-বোনদের হৃদয় সমূহকে এ মহান আন্দোলন-এর প্রতি রুজূ করে দিন- আমীন! [সম্পাদক]






মানুষ না মনুষ্যত্ব - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
শাসন ও অনুশাসন - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
হানাহানি কাম্য নয় - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
গিনিপিগ - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
ভেসে গেল স্বপ্নসাধ! - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২০ বছর পর - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
বিশ্বায়ন ও আত্মনিয়ন্ত্রণ - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
মানুষকে ভালবাসুন! - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
সালাফীবাদ নয় সালাফী পথ - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
চরিত্রবান মানুষ কাম্য - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
পিওর ও পপুলার - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
নির্বাচনী দ্বন্দ্ব নিরসনে আমাদের প্রস্তাব - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আরও
আরও
.