বাইরে থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই যে, এটি একটি হাসপাতাল। সব শ্রেণীর মানুষ শারীরিক সমস্যা নিয়ে এখানে হাযির হয় চিকিৎসকদের কাছে। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটির নাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। ১০ টাকায় সব চিকিৎসা, বিশেষ এই খেতাব নিয়ে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে এ সেবাকেন্দ্রের।
ঢাকা সেনানিবাসের এমইএস এলাকায় আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের পাশেই অবস্থিত। হোটেল র্যাডিসন ব্লু গার্ডেনের ঠিক বিপরীত দিকে চোখে পড়বে চমৎকার দৃষ্টিনন্দন ভবনটি। কাচ দিয়ে ঘেরা এ চিকিৎসাকেন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। ২০১২ সালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ শয্যা ও ১২টি কেবিনের ১২ তলাবিশিষ্ট এ হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ও চিকিৎসা সরঞ্জামে সুসজ্জিত এ হাসপাতালে কম খরচে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর মনোরম পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন আড়াই হাযারের বেশী রোগী দেখা হয়। ১০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়। যরূরী বিভাগ থেকে শুরু করে হাসপাতালটিতে মেডিসিন, অর্থোপেডিকস, গাইনী, চর্ম, নাক-কান-গলা, চক্ষু ও ডেন্টাল বিভাগ চালু আছে।
এখানে সেবা পেতে চাইলে মাত্র ১০ টাকার টিকিট এবং ভর্তি হ’তে ১৫ টাকার টিকিট কাটতে হয়। অন্যদিকে টেস্ট বা অন্যান্য সেবা ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আল্ট্রাসনোগ্রাম ১১০ টাকা, অ্যাবডোমিনাল এনজিও গ্রাম ১ হাযার ৫০০, ব্রেইন সিটি স্ক্যান ২ হাযার, এমআরআই ৩ হাযার, ব্লাড কালচারে ২০০ টাকা। সব টেস্টের জন্যই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
এখানে ব্যাংকিং সেবা, ক্যাফেটেরিয়া, ফার্মেসীর ব্যবস্থা রাখা আছে। ৩০০ টাকায় সিটি করপোরেশন ও ২০০ টাকায় পৌরসভার মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেওয়া যায়। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর, বাড্ডা, উত্তরা, টঙ্গী বা গাযীপুর এলাকা থেকে এখানে আসা বেশ সহজ। অন্যান্য এলাকা থেকে আসতে চাইলে হোটেল র্যাডিসনের সামনে নামতে হবে।