সফর থেকে ফেরার পথে কিছু আদব
সফর
হ’ল কষ্টের স্থান। যেখানে খাবারের কষ্ট, থাকার কষ্ট, বিশ্রামের কষ্ট
সর্বোপরি পরিবার থেকে দূরে থাকার কষ্ট রয়েছে। তাই সফরের কাজ শেষ হ’লে
তাড়াতাড়ি ফিরে আসা উত্তম। নবী করীম (ছাঃ) বলেন,السَّفْرُ قِطْعَةٌ
مِّنَ الْعَذَابِ، يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ وَنَوْمَهُ،
فَإِذَا قَضَى نَهْمَتَهُ فَلْيُعَجِّلْ إِلَى أَهْلِهِ، ‘সফর
আযাবের অংশ বিশেষ। তা তোমাদের যথাসময়ে পানাহার ও নিদ্রায় ব্যঘাত ঘটায়।
কাজেই সকলেই যেন নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে অবিলম্বে আপনজনের কাছে ফিরে যায়’।[1]
দীর্ঘ
সফর থেকে ফিরে রাত্রে বাড়ীতে প্রবেশ করতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন। তিনি
নিজেও রাত্রে বাড়ীতে প্রবেশ করতেন না। আনাস (রাঃ) বলেন, ‘নবী করীম (ছাঃ) রাত্রে কখনো পরিবারের নিকটে প্রবেশ করতেন না। তিনি প্রভাতে কিংবা বিকাল ছাড়া পরিবারের নিকট প্রবেশ করতেন না’।[2] জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন,إِذَا أَطَالَ أَحَدُكُمْ الْغَيْبَةَ فَلاَ يَطْرُقْ أَهْلَه لَيْلاً ‘তোমাদের কেউ দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটিয়ে রাতে আকস্মিকভাবে যেন তার ঘরে প্রবেশ না করে’।[3]
এর কারণ সম্পর্কে ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, যাতে করে কোন কিছু তাকে স্বীয়
পরিবার সম্পর্কে সন্দিহান করে না তোলে অথবা তাদের অপ্রীতিকর কিছু চোখে না
পড়ে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যাতে সহধর্মিণীগণ অবিন্যস্ত চুল বিন্যস্ত করতে
পারে এবং গুপ্তাঙ্গের লোম পরিস্কার করার অবকাশ পায়।[4]
জাবীর বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন,نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَطَالَ الرَّجُلُ الْغَيْبَةَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ طُرُوقًا-
‘যখন কোন ব্যক্তি দীর্ঘ সফরের পর বাড়ী ফিরে তখন রাতে অপ্রত্যাশিত
আগন্তুকের ন্যায় পরিবারের নিকট উপস্থিত হ’তে রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) নিষেধ
করেছেন’।[5]
কা’ব বিন মালিক (রাঃ) বলেন, كَانَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ بَدَأَ بِالْمَسْجِدِ فَصَلَّى فِيهِ. ‘নবী করীম (ছাঃ) সফর হ’তে ফিরে এসে প্রথমে মসজিদে প্রবেশ করে ছালাত আদায় করতেন’।[6]
সফরকারীকে অভ্যর্থনার জন্য আগত ব্যক্তিকে সম্মান করবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,لَمَّا
قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ اسْتَقْبَلَتْهُ
أُغَيْلِمَةُ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَحَمَلَ وَاحِدًا بَيْنَ
يَدَيْهِ وَآخَرَ خَلْفَهُ- ‘নবী করীম (ছাঃ) মক্কায় এলে আব্দুল
মুত্তালিব গোত্রীয় কয়েকজন তরুণ তাঁকে স্বাগত জানায়। তিনি একজনকে তাঁর
সাওয়ারীর সামনে ও অন্যজনকে পিছনে তুলে নেন’।[7] আব্দুল্লাহ বিন জা‘ফর (রাঃ)
বলেন, নবী করীম (ছাঃ) কোন সফর থেকে ফিরে আসলে তাঁকে অভ্যর্থনার জন্য
আমাদের (ছোটদের) নিয়ে যাওয়া হ’ত। আমাদের মধ্যে যে সবার আগে তাঁর নিকট
পৌঁছত, তিনি তাকে তাঁর বাহনের সামনে বসাতেন। একদা আমাকে সবার আগে পেয়ে তিনি
তাঁর বাহনের সামনের আসনে বসালেন, অতঃপর হাসান বা হুসাইন (রাঃ)-কে পৌঁছানো
হ’ল। তিনি তাকে পিছনের আসনে বসালেন। আর আমরা অরোহী অবস্থায় মদীনায় প্রবেশ
করলাম’।[8]
সফর
থেকে ফেরার পথে সফরকারী ব্যক্তি বাড়িতে অবস্থানকারী পরিবার-পরিজন,
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্য কিছু হাদিয়া নিয়ে আসবে। কেননা রাসূল
(ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া দাও, তোমাদের মধ্যে ভালবাসা বৃদ্ধি
পাবে’।[9] এছাড়া বাড়ীতে এসে সামর্থ্য অনুযায়ী খাবারের ব্যবস্থা করবে। জাবের (রাঃ) বলেন,أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَدِمَ الْمَدِيْنَةَ نَحَرَ جَزُوْرًا أَوْ بَقَرَةً، ‘নবী করীম (ছাঃ) (তাবূক সফর হ’তে) মদীনায় ফিরে এসে একটি উট অথবা গরু যবেহ করলেন’।[10]
আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সফর থেকে ফিরে এসে সফরের দো‘আটি পড়তেন। সাথে সাথে নিমেণর দো‘আটিও যুক্ত করতেন,اٰيِبُوْنَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ- উচ্চারণ: আ-য়িবূনা তা-য়িবূনা ‘আ-বিদূনা লিরাবিবনা হা-মিদূন’ অর্থ- ‘আমরা প্রত্যাবর্তন করলাম তাওবাকারী, ইবাদতকারী এবং আমাদের মহান রবের প্রশংসকারী রূপে’।[11]
আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) যখন কোন যুদ্ধ, হজ্জ বা ‘ওমরাহ হ’তে ফিরে আসতেন, তখন প্রতিটি উঁচু স্থানে তিনবার করে তাকবীর দিতেন। অতঃপর বলতেন,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ، آيِبُوْنَ تَائِبُوْنَ عَابِدُوْنَ سَاجِدُوْنَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ، صَدَقَ اللهُ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ-
উচ্চারণ: লা- ইলা-হা
ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হাম্দু
ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর, আ-য়িবূনা তা-য়িবূনা ‘আ-বিদূনা
‘সাজিদূনা লিরবিবনা হামিদূনা, ছাদাক্বাল্লাহু ওয়া‘দাহু ওয়া নাছারা ‘আবদাহু
ওয়া হাযামাল আহযা-বা ওয়াহ্দাহু’। অর্থ- ‘আল্লাহ
ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব
তাঁরই, তাঁরই প্রশংসা। তিনি সব জিনিসের উপরই ক্ষমতাবান। আমরা প্রত্যাবর্তন
করছি তওবাকারী, ইবাদতকারী, সিজদাকারী এবং আমাদের রবের প্রশংসাকারী রূপে।
আল্লাহ তাঁর ওয়াদাকে সত্যে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য
করেছেন এবং শক্রর সমন্বিত শক্তিকে পরাজিত করেছেন’।[12]
গৃহে প্রবেশের সময় দো‘আ পাঠ করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ فَذَكَرَ اللهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ لاَ مَبِيتَ لَكُمْ وَلاَ عَشَاءَ. وَإِذَا دَخَلَ فَلَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ دُخُولِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ. وَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ وَالْعَشَاءَ.
‘যখন কোন ব্যক্তি তার গৃহে প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে ও খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করে (বিসমিল্লাহ বলে), তখন শয়তান (তার অনুসারীদেরকে) বলে, এই ঘরে তোমাদের জন্য রাত্রি যাপনের কোন সুযোগ নেই এবং খাদ্যও নেই। আর যখন সে আল্লাহর নাম উল্লেখ না করে (বিসমিল্লাহ না বলে) প্রবেশ করে তখন শয়তান বলে, তোমরা রাত্রি যাপনের সুযোগ পেলে। আর যখন খাদ্য গ্রহণকালে আল্লাহর নাম উল্লেখ না করে (বিসমিল্লাহ না বলে), তখন শয়তান বলে, তোমরা রাত্রি যাপন ও খাদ্য গ্রহণ উভয়টির সুযোগ পেলে’।[13] অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন কেউ নিজ ঘরে প্রবেশ করবে তখন সে যেন বলে,
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا-
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খায়রাল মাওলিজি ওয়া খায়রাল মাখরাজি, বিসমিল্লা-হি ওয়ালাজনা ওয়া আলাল্লা-হি রাবিবনা তাওয়াক্কালনা। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আগমন ও নির্গমনের মঙ্গল চাই। আল্লাহর নামেই আমরা প্রবেশ করি ও বের হই। আমাদের প্রভু আল্লাহর উপর ভরসা করলাম’।[14] অতঃপর সে তার পরিবারের লোকদের সালাম দিবে।
উল্লেখ্য যে, শুধু সফর থেকে ফেরার পর নয় বরং দিবে সময় ঘরে প্রবেশকালে এ দো‘আ পাঠ করবে।
সফর বা ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্তকতা :
সফরের ক্ষেত্রে নিমেণাক্ত বিষয়গুলোর ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।
আজকাল মহিলারা মাহরাম ছাড়া একাকী সফর করছেন, ফলে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ، وَلاَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ إِلاَّ وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ‘মহিলারা মাহরাম (যার সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ) ব্যতীত সফর করবে না। মাহরাম ব্যতীত কোন পুরুষ কোন মহিলার নিকট গমন করতে পারবে না’।[15] মহিলাগণ মাহরাম ছাড়া একাকী ভ্রমণের কারণে শরী‘আতের বিভিন্ন বিধান লংঘিত হয়। যেমন নারী-পুরুষ একাকী হওয়া। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,لايخلون رجل بامرأة إلا كان الشيطان ثالثهما ‘কোন স্ত্রীলোকের সাথে কোন পুরুষ একাকী থাকলে সেখানে তৃতীয় জন থাকে শয়তান’।[16]
অনেকে
বেপর্দা অবস্থায় সফরে গমন করে। বিশেষ করে মুসলিম মহিলা কোন কোন সফরের সময়
বিধর্মী মহিলাদের সাথে তাল মিলানোর জন্য বেপর্দা হয়ে যায়। যা ফরয তরক এবং
ইসলাম বিরোধী কাজ (নূর ২৪/৩১)। এমনকি গায়ের মাহরাম থেকে কিছু চাইতে হ’লেও পর্দার ভিতর থেকে চাইতে বলা হয়েছে (আহযাব ৩৩/৫৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ‘মহিলারা হচ্ছে আবরণীয় বস্ত্ত। সে বাইরে বের হ’লে শয়তান তাকে বেপর্দা হ’তে প্ররোচিত করে’।[17]
বর্তমানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় সফর উপলক্ষে ব্যাপক অপচয় হয়ে থাকে। যা করা কোন মুসলমানের পক্ষে উচিত নয়। কারণ আল্লাহ অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলেছেন (ইসরা ১৭/২৭)।
গযবে ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির এলাকায় যথাসম্ভব প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একান্ত প্রবেশ করতে হ’লে কান্নারত অবস্থায় প্রবেশ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
لاَ تَدْخُلُوْا عَلَى هَؤُلاَءِ الْمُعَذَّبِيْنَ إِلاَّ أَنْ تَكُونُوْا بَاكِيْنَ، فَإِنْ لَمْ تَكُونُوْا بَاكِيْنَ فَلاَ تَدْخُلُوْا عَلَيْهِمْ، لاَ يُصِيبُكُمْ مَا أَصَابَهُمْ
‘গযবপ্রাপ্ত
সম্প্রদায়ের এলাকায় ক্রন্দনরত অবস্থা ব্যতীত প্রবেশ করবে না। কান্না না
আসলে প্রবেশ করো না, যেন তাদের উপর যা আপতিত হয়েছিল তা তোমাদের প্রতি আপতিত
না হয়’।[18]
ছওয়াবের উদ্দেশ্যে কেবল তিনটি মসজিদে সফর করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,لاَ
تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ الْمَسْجِدِ
الْحَرَامِ، وَمَسْجِدِ الرَّسُولِ صلى الله عليه وسلم وَمَسْجِدِ
الأَقْصَى ‘মসজিদুল হারাম, মসজিদুর রাসূল (মসজিদে নববী) এবং মসজিদুল আকসা তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে না’।[19]
সফরের কারণে যে সকল হুকুমের পরিবর্তন হয় :
সফরের কারণে ইসলামী শরী‘আতে কিছু বিধান পরিবর্তন হয়। যেমন-
‘ক্বছর’ আরবী শব্দ। এর অর্থ-সংক্ষিপ্ত করা, কমানো ইতাদি। পারিভাষিক অর্থে চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাত দু’রাক‘আত করে পড়াকে ক্বছর বলে। অর্থাৎ যোহর, আছর ও এশার ছালাত ৪ রাক‘আতের পরিবর্তে ২ রাক‘আত আদায় করা। ফজর ও মাগরিবের ছালাতে কছর নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَقْصُرُواْ مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَن يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُواْ إِنَّ الْكَافِرِينَ كَانُواْ لَكُمْ عَدُوّاً مُّبِيناً-
‘যখন তোমরা সফর কর, তখন তোমাদের ছালাতে ক্বছর করায় কোন দোষ নেই। যদি তোমরা আশংকা কর যে, কাফেররা তোমাদেরকে উত্যক্ত করবে। নিশ্চয়ই কাফেররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (নিসা/১০১)। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন,
صَحِبْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ لاَ يَزِيدُ فِي السَّفَرِ عَلَى رَكْعَتَيْنِ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ كَذَلِكَ- رضى الله عنهم
‘আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, তিনি সফরে দু’রাক‘আতের অধিক ছালাত আদায় করতেন না। আবূ বকর, ওমর ও ওছমান (রাঃ)-এরও এই রীতি ছিল।[20]
আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের নবী করীম
(ছাঃ)-এর যবানীতে মুক্বীম অবস্থায় চার রাক‘আত, সফরকালে দু’রাক‘আত এবং ভয়ের
সময় এক রাক‘আত ছালাত ফরয করেছেন’।[21]
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন,كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَجْمَعُ
بَيْنَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ فِي السَّفَرِ ‘নবী করীম (ছাঃ)
সফরকালে মাগরিব ও এশার ছালাত একত্রে আদায় করতেন’।[22] ইবনু আববাস (রাঃ)
সূত্রে অন্য বর্ণনায় এসেছে, সফরে দ্রুত চলার সময় আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) যোহর ও
আছরের ছালাত একত্রে আদায় করতেন আর মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করতেন’।[23]
আদায়ের
ক্ষেত্রে সুবিধা অনুযায়ী আছরকে যোহরের সাথে অথবা যোহরকে আছরের সাথে আদায়
করা যাবে। অনুরূপভাবে মাগরিবকে এশার সাথে অথবা এশাকে মাগরিবের সাথে আদায়
করবে’।[24] মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) তাবূকের যুদ্ধ
চলাকালে যোহরের সময় সূর্য ঢলে গেলে যোহর ও আছরের ছালাত দেরী করতেন এবং
আছরের ছালাতের জন্য মনযিলে নামতেন (যোহর ও আছরের ছালাত এক সাথে আদায়
করতেন)। মাগরিবের ছালাতের সময়ও তিনি এরূপ করতেন। সূর্য তাঁর ফিরে আসার আগে
ডুবে গেলে তিনি মাগরিব ও এশার ছালাত একত্রে আদায় করতেন। আর সূর্যাস্ত
যাওয়ার আগে চলে এলে তিনি মাগরিবের ছালাত দেরী করতেন। এশার ছালাতের জন্য
নামতেন, তখন দু’ছালাতকে একত্রে আদায় করতেন।[25]
ইমাম
ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, জমা করে ছালাত আদায় কখনো প্রথম ওয়াক্তে সাথে
হ’তে পারে। যেমন আরাফার দিনের ছালাত (যেখানে আছরের ছালাতকে যোহরের ওয়াক্তে
যোহরের পরে আদায় করা হয়)। আবার কখনো দ্বিতীয় ওয়াক্তের সাথে হ’তে পারে। যেমন
মুযদালিফার ছালাত (যেখানে মাগরিবের ছালাতকে বিলম্ব করে এশার ছালাতের সময়
আদায় করা হয়)। কখনো দুই ওয়াক্তের মাঝখানেও আদায় করা যায়। এসব পদ্ধতিই
জায়েয।[26]
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রহঃ)
বলেন, কেউ যদি সূর্য হেলে যাওয়ার আগে সফর শুরু করে তাহ’লে যোহরকে দেরী করে
আছরের সময় আদায় করবে। আর সূর্য হেলে যাওয়ার পরে সফর শুরু করলে যোহরের সময়
আছরকে এগিয়ে যোহরের সাথে আদায় করবে। অনুরূপভাবে মাগরিব ও এশা ছালাত আদায়
করবে।[27]
দুই ওয়াক্ত ছালাত জমা করা শুধু সফরের জন্য খাছ নয়। বিভিন্ন কারণে মুকীম অবস্থায় একত্রে ক্বছর ছাড়া জমা করা।[28] যেমন বৃষ্টি বর্ষণের কারণে।[29] নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে প্রসিদ্ধ ছিল যে, তিনি বৃষ্টির সময় দুই ওয়াক্ত ছালাত জমা করতেন,[30] শীতের অন্ধকার রাতে প্রচন্ড বাতাস থাকলে,[31] অসুস্থের কারণে বা বিভিন্ন অসুবিধার কারণে। যেমন- যার অনবরত ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যা বা মহুমুত্রের রোগী, মহিলাদের মুস্তাহাযার সমস্যা, যে পবিত্রতা অর্জনে অক্ষম, যে নিজের উপর, সম্পদের উপর বা ইয্যতের বিষয়ে ভয় করে, কর্মব্যস্ত ভাই-বোনেরা মাঝে-মধ্যে বিশেষ কারণবশত ছালাত জমা করতে পারেন।[32]
সফর অবস্থায় ফরয ছালাতে ক্বছর করা ও ফরযের আগের ও পরের সুন্নাত ছালাত আদায় না করা।[33] ওমর (রাঃ) বলেন,صَحِبْتُ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أَرَهُ يُسَبِّحُ فِي السَّفَرِ،
وَقَالَ اللهُ جَلَّ ذِكْرُهُ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُولِ اللهِ
أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ- ‘আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর সঙ্গে থেকেছি, সফরে
তাঁকে নফল ছালাত আদায় করতে দেখিনি। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য
আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ’ (আহযাব ৩৩/২১)।[34] আবূ বকর (রাঃ) ও ওছমান (রাঃ)-এরও এ রীতি ছিল।[35] তবে রাসূল (ছাঃ) বিতর ও ফজর ছালাতের দু’রাক‘আত সুন্নাত মুকীম ও মুসাফির উভয় অবস্থাই আদায় করতেন।[36]
আয়েশা (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর ফজরের সুন্নাত সম্পর্কে বলেন,وَلَمْ يَكُنْ
يَدَعُهُمَا أَبَدًا- ‘এ দু’রাক‘আত তিনি কখনো পরিত্যাগ করতেন না’।[37] ইবনু
ওমর (রাঃ) বলেন,كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي
السَّفَرِ عَلَى رَاحِلَتِهِ، حَيْثُ تَوَجَّهَتْ بِهِ، يُومِئُ إِيمَاءً،
صَلاَةَ اللَّيْلِ إِلاَّ الْفَرَائِضَ، وَيُوتِرُ عَلَى رَاحِلَتِهِ ‘নবী
করীম (ছাঃ) সফরে ফরয ছালাত ব্যতীত তাঁর সওয়ারী হ’তেই ইঙ্গিতে রাতের ছালাত
আদায় করতেন সওয়ারী যে দিকেই ফিরুক না কেন। আর তিনি বাহনের উপরেই বিতর আদায়
করতেন’।[38]
তবে সাধারণ নফল ছালাতগুলোর ক্ষেত্রে মুক্বীম ও মুসাফিরের জন্য একই হুকুম। যেমন- তাহিয়াতুল মসজিদ, তাহিয়াতুল ওযূ ছালাত, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণের ছালাত, কাবা ঘর তাওয়াফের পর ছালাত, ছালাতুয যোহা ইত্যাদি।
শুরাইহ
ইবনু হানী (রহঃ) বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে আসলাম মোযার উপর মাসাহ
করার মাসআলাহ জিজ্ঞেস করতে। তিনি বললেন, আবূ তালিবের পূত্র (আলী (রাঃ)-এর
কাছে গিয়ে এ মাসআলা জিজ্ঞেস কর। কারণ সে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে সফর করত।
অতঃপর আমরা তাঁকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন,جَعَلَ رَسُولُ اللهِ صلى
الله عليه وسلم ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ لِلْمُسَافِرِ
وَيَوْمًا وَلَيْلَةً لِلْمُقِيْمِ- ‘রাসূল (ছাঃ) সফরকারীর জন্য তিন দিন
তিন রাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবং মুক্বীম বা বাড়ীতে অবস্থানকারীদের জন্য
এক দিন এক রাত।[39]
সফরে ফরয ছিয়াম ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيْضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِيْنَ يُطِيْقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِيْنٍ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا
فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُوْمُوْا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ-
‘অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পীড়িত হবে অথবা সফরে থাকবে, সে যেন এটি অন্য সময় পালন করে নেয়। আর যাদের জন্য এটি খুব কষ্টকর হবে, তারা যেন এর পরিবর্তে একজন করে মিসকীনকে খাদ্য দান করে। যদি কেউ স্বেচ্ছায় বেশী দেয়, তবে সেটা তার জন্য উত্তম হবে। আর যদি তোমরা ছিয়াম রাখ, তবে সেটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা বুঝ’ (বাকারাহ ২/১৮৪)।
আবু ইসমাঈল
আস-সাকসাকী থেকে বর্ণিত আবূ বুরাদাহকে বলতে শুনেছি, তিনি ও ইয়াযীদ বিন আবূ
কাবশা (রাঃ) সফরে ছিলেন। আর ইয়াযীদ (রাঃ) মুসাফির অবস্থায় ছিয়াম রাখতেন।
আবু বুরাদাহ (রাঃ) তাঁকে বললেন, আমি আবূ মূসা (আশ‘আরী) (রাঃ)-কে একাধিকবার
বলতে শুনেছি যে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ
كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيْمًا صَحِيْحًا- ‘যখন বান্দা
পীড়িত হয় কিংবা সফরে থাকে, তখন তাঁর জন্য তা-ই লেখা হয়, যা সে সুস্থ
অবস্থায় আমল করত’।[40] সফররত অবস্থায় ছিয়াম না রাখা ব্যক্তির ইচ্ছার উপর
ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন, ছাহাবীগণ রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে সফরে
যেতেন। তাদের কেউ ছিয়াম রাখতেন আবার কেউ রাখতেন না। উভয় দলের কেউ পরস্পরের
বিরুদ্ধে আপত্তি উঠাতেন না।[41]
সফরের সাথে সংশ্লিষ্ট আরেকটি বিষয় হ’ল- বাহনে ছালাত আদায় করার সুযোগ। এ অবস্থায় ইশারায় রুকূ‘ ও সিজদা করবে। রুকূ থেকে সিজদায় মাথা একটু বেশী ঝুকাবে।[42] চাই সেটা বিমানে হোক, গাড়ীতে হোক, নৌকা-জাহাযে হোক বা কোন সাওয়ারীর উপরে হোক না কেন। ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
يُصَلِّي فِي السَّفَرِ عَلَى رَاحِلَتِهِ، حَيْثُ تَوَجَّهَتْ بِهِ، يُومِئُ إِيمَاءً، صَلاَةَ اللَّيْلِ إِلاَّ الْفَرَائِضَ، وَيُوتِرُ عَلَى رَاحِلَتِهِ-
‘নবী করীম (ছাঃ) সফরে ফরয ছালাত ব্যতীত তাঁর সওয়ারীতেই
ইশারায় রাতের ছালাত আদায় করতেন সওয়ারী যে দিকেই ফিরুক না কেন। আর তিনি
বাহনের উপরেই বিতর আদায় করতেন’।[43] অন্য বর্ণনায় আছে, ইবনু ওমর (রাঃ) এই
আয়াত পাঠ করলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহ তা‘আলারই। অতএব তোমরা যেদিকেই মুখ
ফিরাও সেদিকেই আল্লাহর চেহারা’ (বাক্বারা ১/১১৫)। ইবনু ওমর বলেন, এ প্রসঙ্গেই উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়।[44]
তবে
তাকবীরে তাহরীমার সময় ক্বিবলামুখী হওয়া মুস্তাহাব। আনাস বিন মালিক (রাঃ)
বলেন, রাসূল (ছাঃ) সফরে নফল ছালাত আদায়ের ইচ্ছা করলে স্বীয় উষ্ট্রীকে
কিবলামুখী করে নিয়ে তাকবীর বলতেন। অতঃপর সাওয়ারীর মুখ যেদিকেই হ’ত সেদিকে
ফিরেই ছালাত আদায় করতেন।[45]
ফরয ছালাত আদায়ের জন্য ক্বিবলামুখী হওয়া শর্ত। জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন,يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ، فَإِذَا أَرَادَ الْفَرِيضَةَ نَزَلَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ ‘নবী করীম (ছাঃ) নিজের সওয়ারীর উপর (নফল) ছালাত আদায় করতেন- সওয়ারী তাঁকে নিয়ে যেদিকেই মুখ করত না কেন। কিন্তু যখন ফরয ছালাত আদায়ের ইচ্ছা করতেন, তখন নেমে পড়তেন এবং ক্বিবলামুখী হ’তেন’।[46] জাবির (রাঃ) বলেন,
بَعَثَنِيْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ حَاجَةٍ قَالَ فَجِئْتُ وَهُوَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ وَالسُّجُودُ أَخْفَضُ مِنَ الرُّكُوعِ،
‘রাসূল
(ছাঃ) আমাকে কোন কাজে পাঠালেন। আমি ফিরে এসে দেখি তিনি সাওয়ারীর উপর পূর্ব
দিকে মুখ করে ছালাত আদায় করছেন এবং তাঁর রুকূর চেয়ে সিজদাতে (মাথা) অধিক
নত ছিল’।[47]
মুসাফিরের
জন্য জুম‘আর ছালাত আদায় করা যরূরী নয়। ওমর (রাঃ) এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন
যে, যদি জুম‘আর দিন না হ’ত তাহ’লে সফরের জন্য বের হ’তাম। তখন ওমর (রাঃ)
বলেন, اخرج فإن الجمعة لا تحبس عن سفر ‘তুমি সফরের জন্য বের হও। কেনান
জুম‘আ তোমাকে সফর থেকে বিরত রাখতে পারে না।[48] ছাহাবী আবু ওবায়দা (রাঃ) জুম‘আর দিন জুম‘আর ছালাতের অপেক্ষা না করেই সফরে বের হয়ে যান।[49] অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন,ليس على مسافر جمعة ‘মুসাফিরের জন্য জুম‘আ ওয়াজিব নয়’।[50]
পরিশেষে বলা যায় যে, মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে দেশ-বিদেশে সফর করে থাকে। সফরের আদবগুলি পালন করলে এ সফর তার জন্য ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের অসীলা হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সফর অবস্থায় উল্লিখিত আদবগুলি মেনে চলার তাওফীক দান করুন-আমীন!
[1]. বুখারী হা/১৮০৪, ৩০০১,৫৪২৯; ইবনু মাজাহ হা/২৮৮২।
[2]. বুখারী হা/১৮০০; মুসলিম হা/১৯২৮।
[3]. বুখারী হা/৫২৪৪; আহমাদ হা/১৫২৬৫।
[4]. বুখারী হা/৫২৪৭; মুসলিম হা/৪৮৫৮, ই.ফা হা/৪৮১১।
[5]. মুসলিম হা/৪৮৬১, ই.ফা হা/৪৮১৪।
[6]. বুখারী হা/৪৪৩; ‘ছালাত’ অধ্যায় ‘সফর হ’তে ফিরে আসার পর ছালাত আদায়’ অনুচ্ছেদ।
[7]. বুখারী হা/১৭৯৮।
[8]. মুসলিম হা/২৪২৮; আবু দাউদ হা/২৫৬৬; ইবনে মাজাহ হা/৩৭৭৩।
[9]. বায়হাকী, সুনানুল কুবরা ৬/১৬৯; শু‘আবুল ঈমান হা/৮৯৭৬; আদাবুল মুফরাদ হা/৫৯৪; ইরওয়াউল গালীল হা/১৬০১।
[10]. বুখারী হা/ ৩০৮৯; আবু দাউদ হা/৩৭৪৭।
[11]. মুসলিম হা/১৩৪২; আবু দাউদ হা/২৫৯৯; আহমাদ হা/৬৩৭৪; ইবনু হিববান হা/২৬৯৬; মিশকাত হা/২৪২০।
[12]. বুখারী ১৭৯৭, ৬৩৮৫; মুসলিম হা/১৩৪৪; আবু দাউদ হা/২৭৭০।
[13]. মুসলিম হা/২০১৮ ‘খাদ্য’ অধ্যায়; মিশকাত হা/৪১৬১।
[14]. আবু দাউদ হা/৫০৯৬; ছহীহাহ হা/২২৫; মিশকাত হা/২৪৪৪।
[15]. বুখারী হা/১৮৬২; মুসলিম হা/১৩৪১ ‘হজ্জ অধ্যায়’।
[16]. তিরমিযি হা/১১৭১; আহমাদ হা/১১৪।
[17]. তিরমিজি হা/১১৭৩; মিশকাত হা/৩১০৯।
[18]. বুখারী হা/৪৩৩, ৪৭০২; মুসলিম হা/২৯৮; আহমাদ হা/৫২৫।
[19]. বুখারী হা/১১৮৯; আবু দাউদ হা/২০৩৩।
[20]. বুখারী হা/১১০২।
[21]. মুসলিম হা/৬৮৭; নাসাঈ হা/১৫৩২; আহমাদ হা/২২৯৩; মিশকাত হা/১৩৪৯।
[22]. বুখারী হা/১১০৮, ১১১০।
[23]. বুখারী হা/১১০৭; বুলুগুল মারাম হা/৪৩৯; মিশকাত হা/১৩৩৯।
[24]. বুখারী হা/১১০৯, ১১১১, ১১১২; মুসলিম হা/৭০৪; নাসাঈ হা/৫৮৬,৫৮৭, ৫৮৯; আহামাদ হা/১৩৮০১।
[25]. আবূ দাউদ হা/১২০৮; তিরমিযী হা/৫৫৩; ইরওয়া হা/৫৭৮; মিশকাত হা/১৩৪৪।
[26]. মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৪/৫৬ পৃঃ।
[27]. যাদুল মা‘আদ ১/৪৫৯-৪৬০।
[28]. আবু দাউদ হা/১২১০, ১২১১, ১২১৪; নাসাঈ হা/৬০২; তিরমিযী হা/১৮৭।
[29]. বুখারী হা/৫৪৩, ৫৬২, ১১৭৪।
[30]. ইরওয়াউল গালীল ৩/৪০ পৃঃ।
[31]. মুগনী ৩/১৩৪ পৃঃ।
[32]. ফিকহুস সুন্নাহ ১/২২০; নায়লুল আওত্বার ৪/১৩৬-৪০।
[33]. যাদুল মা‘আদ ১/৪৫৬।
[34]. বুখারী হা/১১০১।
[35]. বুখারী হা/১১০২; আবু দাউদ হা/১২২৩; মুসলিম হা/৬৮৯।
[36]. যাদুল মা‘আদ ১/৪৫৬।
[37]. বুখারী হা/১১৫৯।
[38]. বুখারী হা/১০০০।
[39]. মুসলিম হা/৫২৬ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায় ‘মোযার উপর মাসাহ করার সময়সীমা’ অনুচ্ছেদ, ই.ফা হা/৫৩০; ই.সে হা/৫৪৬।
[40]. বুখারী হা/২৯৯৬।
[41]. বুখারী হা/১৯৪৭; মুসলিম হা/১১১৬; মিশকাত হা/২০২০।
[42]. যাদুল মা‘আদ ১/৪৫৮।
[43]. বুখারী হা/১০০০; মুসলিম হা/৭০০; মিশকাত হা/১৩৪০।
[44]. জামে আত-তিরমিযী হা/২৯৫৮।
[45]. আবু দাউদ হা/১২২৮।
[46]. বুখারী হা/৪০০, ১০৯৪, ১০৯৯, ৪১৪০।
[47]. আবূ দাউদ হা/১২২৭; তিরমিযী হা/৩৫১।
[48]. ফিকহুস সুন্নাহ ১/২১৭।
[49]. ফিকহুস সুন্নাহ ১/২১৭।
[50]. তাবরানী, আল-আওসাত্ব হা/৮২২; রিয়াযুছ ছালেহীন হা/৪৭১; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪০৫।