পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।

দাড়ির ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর আমল :

রাসূল (ছাঃ)-এর মুখভরা ও লম্বা দাড়ি ছিল। তিনি মাঝে-মধ্যে দাড়ি আঁচড়াতেন। وَكَانَ كَثِيرَ شَعْرِ اللِّحْيَة ‘তিনি অধিক ঘন দাড়ির অধিকারী ছিলেন।[1] অন্য বর্ণনায় এসেছে, عَظِيمَ اللِّحْيَةِ ‘তিনি লম্বা দাড়ির অধিকারী ছিলেন।[2] একটি বর্ণনায় এসেছে, كَثُّ اللِّحْيَةِ ‘ঘন দাড়ি ছিল।[3] আলী (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর ছিফাত বর্ণনা করে বলেন, বেশী খাটোও ছিলেন না, বেশী লম্বাও ছিলেন না, মাথা ও দাড়ি ছিল দীর্ঘ।[4]

রাসূল (ছাঃ)-এর দাড়ি এত ঘন ও লম্বা ছিল যে, তিনি তার দাড়ি খেলাল করতেন। হাসসান ইবনু বিলাল (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ)-কে দেখলাম তিনি ওযূ করার সময় দাড়ি খিলাল করলেন। আমি তাঁকে বললাম, আপনি দাড়ি খিলাল করছেন? তিনি বললেন, রাসূল (ছাঃ) কে আমি দাড়ি খিলাল করতে দেখেছি। সূতরাং আমি তা থেকে বিরত থাকব কেন?[5] ওছমান (রাঃ) বলেন, كَانَ يُخَلِّلُ لِحْيَتَهُ ‘রাসূল (ছাঃ) দাড়ি খিলাল করতেন।[6] রাসূল (ছাঃ)-এর দাড়ির দৈর্ঘ্য এত বেশী ছিল যে, তিনি যখন তেলাওয়াত করতেন তখন ছাহাবায়ে কেরাম পিছন থেকে তার দাড়ি নড়ার কারণে তেলাওয়াতের বিষয়টি বুঝতে পারতেন। আবু মা‘মার (রহঃ) বলেন, আমরা খাববাব (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি যোহর ও আছরের ছালাতে ক্বিরাআত পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কি করে বুঝতে পারতেন? তিনি বললেন, بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ ‘তাঁর দাঁড়ির নড়াচড়া দেখে।[7]

ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,قَدْ مَلأَتْ لِحْيَتُهُ مِنْ هَذِهِ إِلَى هَذِهِ حَتَّى كَادَتْ تَمْلأُ نَحْرَهُ، ‘তার দাড়ি এই থেকে এই পর্যন্ত ছিল। প্রায় তার বুক ভরে যেত’।[8] অন্য বর্ণনায়وكانت لحيته قد ملات من هاهنا إلى هاهنا وأمر يديه على عارضيه ‘তাঁর দাড়ি এখান থেকে ঐ পর্যন্ত ভরে গিয়েছিল। তিনি দুই হাত দ্বারা দুই গালের উপর হাত ফিরালেন’।[9] উপরোক্ত বর্ণনাগুলো থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, রাসূল (ছাঃ)-এর লম্বা দাড়ি ছিল। তিনি দাড়ি কাট-ছাঁট করতেন না। তবে তিনি দাড়িকে পরিপাটি রাখার জন্য আচড়াতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, كان يكثر دهن رأسه ويسرح لحيته بالماء ‘তিনি অধিকহারে মাথায় তেল ব্যবহার করতেন এবং পানি দিয়ে দাড়ি পরিপাটি করতেন’।[10] তিনি তার দাড়িকে চিরুনী দিয়েও পরিপাটি করতেন।[11]

দাড়ির ব্যাপারে খোলাফায়ে রাশেদীনের আমল :

দাড়ি রাখা এমন একটি প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত যে, রাসূল (ছাঃ)-এর সকল ছাহাবী তা রাখতেন। কোন একজন ছাহাবী দাড়ি মুন্ডন করেছেন মর্মে কোন ঘটনা বর্ণিত হয়নি। বরং ইহূদী, নাছারা, মুশরিক ও অগ্নিপূজকদের দাড়ি মুন্ডন করা দেখে তিনি এর চরম বিরোধিতা করেছেন এবং তাদের সাথে সাদৃশ্য পোষণ করতে নিষেধ করেছেন। সাথে সাথে দাড়ি রাখার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেজন্য সকল ছাহাবী দাড়ি রাখতেন।

আবুবকর (রাঃ)-এর দাড়ি : আয়েশা (রাঃ) বলেন, আবুবকর (রাঃ) হালকা-পাতলা গড়নের ও সাদা রঙের মানুষ ছিলেন। তার দাড়িও ছিল হালকা-পাতলা। বরং তার মুখমন্ডলের দুই পার্শ্বের দাড়ি ছিল অতি পাতলা।[12] তবে তিনি এই পাতলা দাড়িতেও মেহেদী ব্যবহার করতেন। যেমন আনাস (রাঃ) বলেন, أنَّ أبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقِ خَضَبَ لِحْيَتَهُ بِالحِنَّاءِ والكَتَمِ- ‘আবুবকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ) তার দাড়িকে মেহেদী ও কাতাম ঘাস দ্বারা রঞ্জিত করতেন’।[13]

ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর দাড়ি :

ওমর (রাঃ)-এর গায়ের রং উজ্জ্বল গৌরবর্ণ, টাক মাথা, গন্ডদেশ গোশতহীন, ঘন দাড়ি এবং শরীর দীর্ঘাকৃতির ছিল। হাযার মানুষের মধ্যেও তাঁকেই সবার চেয়ে লম্বা দেখা যেত। আবু রাজা’ আল-আতারেদী (রহঃ) বলেন,كَانَ عُمَرُ طَوِيلاً جَسِيماً أصْلَعَ شَدِيدَ الحُمْرَةِ كَثِير السَبَلةِ ‘ওমর (রাঃ) লম্বা, স্বাস্থ্যবান, উজ্জ্বল গৌরবর্ণ ও প্রচুর দাড়ির অধিকারী ছিলেন’।[14] তিনি তাঁর লম্বা দাড়িতে কাতাম ঘাস দ্বারা মেহেদী লাগাতেন। আনাস (রাঃ) বলেন,وَاخْتَضَبَ عُمَرُ بِالْحِنَّاءِ بَحْتًا، ‘ওমর (রাঃ) কেবল মেহেদী দ্বারা দাড়ি রঞ্জিত করতেন’।[15]

ওছমান বিন আফফান (রাঃ)-এর দাড়ি : ওছমান (রাঃ) ছিলেন মধ্যমাকৃতির সুঠাম দেহের মানুষ। তার ছিল মেদহীন দেহ, ঘন দাড়ি, উজ্জ্বল ফর্সা, ঘন কেশ, বুক ও কোমর চওড়া, কান পর্যন্ত ঝোলানো যুলফি, পায়ের নলা মোটা, পশম ভরা লম্বা বাহু, মুখে বসন্তের দাগ, মেহেদি রঙের দাড়ি এবং স্বর্ণখচিত দাঁত। তাঁর দাড়ির বর্ণনায় আব্দুল্লাহ বিন শাদ্দাদ বলেন, طَوِيلَ اللِّحْيَةِ، حَسَنَ الوَجْهِ ‘তিনি সুন্দর চেহারা ও লম্বা দাড়ির অধিকারী ছিলেন’।[16] হাদীছে এসেছে,كَانَ عُثْمَانُ، إِذَا وَقَفَ عَلَى قَبْرٍ بَكَى حَتَّى يَبُلَّ لِحْيَتَهُ، ‘ওছমান (রাঃ) যখন কোন কবরের সামনে দাঁড়াতেন তখন খুবই কাঁদতেন এমনকি তাঁর দাড়ি ভিজে যেত।[17]

আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)-এর দাড়ি : আলী (রাঃ)-এর লম্বা ও ঘন দাড়ি ছিল। তিনি মাঝে-মধ্যে খেযাব লাগাতেন। আবার কখনো খেযাব পরিহার করতেন।[18] তার দাড়ির বর্ণনা দিয়ে তাবেঈ শা‘বী (রহঃ) বলেন, مَا رَأيْتُ رَجُلاً قَطُّ أعْرَضَ لِحْيَةً مِنْ عَلِيٍّ ، قَدْ مَلأَتْ مَا بَيْنَ مَنْكِبَيْهِ بَيْضَاء ‘আমি আলী (রাঃ) অপেক্ষা লম্বা দাড়ি অন্য কারো দেখিনি। তার সাদা দাড়িতে দুই কাঁধের মধ্য তথা বুক ভরে যেত’।[19]

অন্যান্য ছাহাবীর দাড়ির ব্যাপারে ওছমান বিন ওবায়দুল্লাহ বিন রাফে‘ বলেন যে, তিনি আবু সাঈদ খুদরী, জাবের, ইবনু ওমর, সালামা বিন আকওয়া‘, আবু উসায়েদ বাদরী, রাফে‘ বিন খাদীজ ও আনাস বিন মালেক (রাঃ)-কে দেখেছেন যে, يَأخُذُونَ مِنَ الشَّوَارِبِ كَأخْذِ الحَلْقِ ويَعْفُونَ اللِّحَى، ‘তাঁরা প্রায় মুন্ডন করার মত গোঁফ ছোট করতেন ও দাড়ি নিজ অবস্থায় রেখে দিতেন’।[20]

শুরাহ্বীল বিন মুসলিম আল-খাওলানী বলেন, رَأيْتُ خَمْسَةَ نَفَرٍ قَدْ صَحِبُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُصُّونَ شَوَارِبَهُمْ، ويَعْفُونَ لِحَاهُمْ ويُصَفِّرُونَهَا، أبُو أمَامَةَ البَاهِلِيّ، وعَبْدُ اللهِ بْنُ بُسْر المَازِنِيّ، وعُتْبَةُ بْنُ عَبْد السُّلمِيّ، والمِقْدَامُ بْنُ مَعْدِي كَرِب الكِندِيّ، وَالحَجّاجُ بْنُ عَامِرٍ الثَمَاليّ، ‘আমি পাঁচ জনের একদল ছাহাবীকে দেখেছি যাদের প্রত্যেকে গোঁফ মুন্ডনের মত ছোট করতেন ও দাড়িকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে দিতেন এবং মেহেদী দ্বারা হলুদ রং করতেন। তারা হ’লেন, আবু উমামাহ আল-বাহেলী, আব্দুল্লাহ বিন বুসর আল-মাযেনী, ওৎবা বিন আবদ্ আস-সুলামী, মিকদাদ বিন মা‘দিকারিব আল-কিন্দী ও হাজ্জাজ বিন আমের আছ-ছামালী।[21] এই ধরনের আমলের কথা ইবনু ওমর ও আবু হুরায়রাসহ প্রখ্যাত সকল ছাহাবীর ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে।[22] আর অন্যান্য ছাহাবীর ব্যাপারে এর বিপরীত বর্ণনা না থাকায় ধরে নেওয়া যায় যে, সকল ছাহাবী দাড়ি রাখতেন ও গোঁফ ছোট করতেন।

দাড়ি রাখা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে বিদ্বানগণের অভিমত :

দাড়ি পুরুষদের সৌন্দর্যের প্রতীক ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য যা নারী ও পুরুষদের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করে। দাড়ি মুন্ডন করা জায়েয এমন ধারণা কোন ছাহাবীর মধ্যে ছিল না। তাঁরা প্রত্যেকে দাড়িকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে দিতেন। সেজন্য দেখা যায় পরবর্তীতে সকল বিদ্বান দাড়ি রাখাকে ওয়াজিব ও মুন্ডন করাকে হারাম বলেছেন। ইসলামের পঞ্চম খলীফা ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) বলতেন,إن حلق اللحية مثلة، وإن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن المثلة، ‘দাড়ি মুন্ডন করা অঙ্গহানি করার শামিল। আর রাসূল (ছাঃ) অঙ্গহানি করতে নিষেধ করেছেন।[23] অন্যত্র এসেছে, ওমর বিন আব্দুল আযীয তার গভর্নরের নিকটে এক পত্রে লিখেন,فَإِيَّاكَ وَالْمُثْلَةَ: جَزُّ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ، فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْمُثْلَةِ، ‘তুমি অবশ্যই দাড়ি মুন্ডনের মাধ্যমে অঙ্গহানি করা থেকে বিরত থাকবে। চুল ও দাড়ি রেখে দিবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) অঙ্গহানি থেকে নিষেধ করেছেন’।[24]

ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,وكان من عادة الفرس قص اللحية فنهى الشرع عن ذلك، ‘পারসিকদের অভ্যাস ছিল দাড়ি মুন্ডন করা, যা থেকে শরী‘আত নিষেধ করেছে’।[25]

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, وَيَحْرُمُ حَلْقُ اللِّحْيَةِ ‘দাড়ি মুন্ডন করা হারাম’।[26] তিনি অন্যত্র বলেন, ويُحرم حلق اللحية للأحاديث الصحيحة ولم يُبحه أحد، ‘দাড়ি রাখার ব্যাপারে বিশুদ্ধ হাদীছ বর্ণিত হওয়ায় তা মুন্ডন করা হারাম। আর এটিকে কেউ বৈধ বলেননি’।[27] তিনি আরো বলেন,فَأَمَّا حَلْقُهَا فَمِثْلُ حَلْقِ الْمَرْأَةِ رَأْسَهَا وَأَشَدُّ؛ لِأَنَّهُ مِنَ الْمُثْلَةِ الْمَنْهِيِّ عَنْهَا وَهِيَ مُحَرَّمَةٌ، ‘দাড়ি মুন্ডন করা নারীদের মাথা মুন্ডন করার মত। বরং তার থেকেও মারাত্মক। কারণ এটি অঙ্গহানির শামিল, যা নিষেধ এবং হারাম’।[28]

ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, لاَ يَجُوزُ حَلْقُهَا ولا قَصُّهُا ولاَ نَتْفُهُا، ‘দাড়ি মুন্ডানো, উঠানো বা কর্তন করা কোনটাই জায়েয নয়’।[29]

ইমাম ইবনু হাযম (রহঃ) বলেন, واتَّفَقُوا أنَّ حَلْقَ جَمِيعِ اللِّحْيَةِ مُثْلَةٌ لاَ تَجُوزُ، ‘পুরো দাড়ি মুন্ডন করা অঙ্গহানি, যা নাজায়েয হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমত রয়েছে’।[30] অন্যত্র তিনি বলেন, الْإِجْمَاعَ أَنَّ قَصَّ الشَّارِبِ وَإِعْفَاءَ اللِّحْيَةِ فَرْضٌ ‘গোঁফ ছোট করা ও দাড়ি লম্বা করা ফরয হওয়ার ব্যাপারে ইজমা‘ রয়েছে।[31] ইমাম মারদাভী (রহঃ) দাড়ি রাখার হাদীছগুলো উল্লেখ করার পর বলেন,وَهَذِهِ الصِّيغَةُ تَقْتَضِي عِنْدَ أَصْحَابِنَا التَّحْرِيمَ، ‘আমাদের সাথীদের নিকট দাড়ি কাটার ব্যাপারে বর্ণিত শব্দগুলো তা হারাম হওয়ার দাবী রাখে’।[32]

মালেকী বিদ্বান ইবনুল কাত্তান বলেন,واتفقوا أن حلق [جميع] اللحية مثلة لا تجوز، ‘পুরো দাড়ি মুন্ডন করা অঙ্গহানির শামিল, যা নাজায়েয হওয়ার ব্যাপারে ঐক্য রয়েছে।[33]

মালেকী বিদ্বান ইবনু আব্দিল বার্র বলেন,وَيَحْرُمُ حَلْقُ اللِّحْيَةِ ولا يفعله إلا المخنثون من الرجال، ‘দাড়ি মুন্ডন করা হারাম। আর এটা কেবল পুরুষ হিজড়ারা করে থাকে’।[34]

হানাফী বিদ্বান ইবনুল আবেদীন বলেন, অনারব অগ্নীপূজকদের ন্যায় দাড়ি মুন্ডন করা হারাম।[35]

হানাফী বিদ্বান ইবনুল হুমাম (রহঃ) বলেন,وَأَمَّا الْأَخْذُ مِنْهَا وَهِيَ دُوْنَ ذَلِكَ كَمَا يَفْعَلُهُ بَعْضُ الْمَغَارِبَةِ وَمُخَنَّثَةُ الرِّجَالِ فَلَمْ يُبِحْهُ أَحَدٌ، ‘এক মুষ্ঠির নীচে দাড়ির কিছু অংশ কাটা যেমন কিছু পশ্চিমা ও পুরুষ হিজড়ারা করে থাকে তা কেউ বৈধ বলেননি’।[36]

হানাফী ফিক্বাহ ‘আদ-দুর্রুল মুখতার’ গ্রন্থে বলা হয়েছে,يحرم على الرجل قطع لحيته ‘পুরুষের জন্য তার দাড়ি কর্তন করা হারাম’।[37]

হিদায়া গ্রন্থ প্রণেতা হানাফী বিদ্বান মারগিনানী বলেন, حلق شعر الرأس في حق المرأة مُثلَة كحلق اللحية في حق الرجل ‘নারীদের ক্ষেত্রে মাথার চুল মুন্ডন করা অঙ্গহানি, যেমন পুরুষদের দাড়ি মুন্ডন করা অঙ্গহানি’।[38]

আল্লামা কান্ধালভী বলেন,ولا يرتاب مرتابٌ في أن التشبه الكامل بالنساء يحصل بحلق اللحية ‘দাড়ি মুন্ডনের মধ্যে যে নারীদের সাথে পুরোপুরি সাদৃশ্য রয়েছে এতে কোন সন্দেহ পোষণকারীও সন্দেহ করবে না’।[39]

আল্লামা সিন্ধী বলেন, মহাসত্যবাদী রাসূল (ছাঃ) সংবাদ দিয়েছেন যে, أن حلق اللحى من عادات المشركين، فيجب على المسلمين الذين آمنوا بالله ورسوله صلى الله عليه وسلم وصدَّقُوه المخالفة لهم وعدمُ التشبه بهم، فإنه ورد في ذلك وعيد شديدٌ عنه صلى الله عليه وسلم بلفظ : من تشبه بقوم فهو منهم" ‘দাড়ি মুন্ডন করা মুশরিকদের অভ্যাস। সুতরাং যে সকল মুসলিম আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি ঈমান রাখে এবং তাকে সত্য নবী হিসাবে বিশ্বাস করে তাদের জন্য আবশ্যক হ’ল তাদের বিরোধিতা করা ও তাদের সাথে সাদৃশ্য পোষণ না করা। কেননা এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) থেকে কঠোর হুঁশিয়ারী এসেছে। তিনি বলেন, ‘যে তাদের সাথে সাদৃশ্য পোষণ করল সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত’।[40]

আল্লামা তুরবেশতী (রহঃ) বলেন, قصُّ اللحية كان من صنع الأعاجم وهو اليوم شعار كثير من المشركين كالإفرنج والهنود ومَنْ لا خَلاق له في الدين من الفِرَقِ الكافرةِ، طَهَّرَ الله حَوْزَةَ الدين منهم، ‘দাড়ি মুন্ডন করা অনারবদের কাজ, যা বর্তমানে আফ্রিকা ও হিন্দুস্তানের বহু মুশরিকদের ও বেদ্বীন কাফির মতবাদের ধর্মীয় শে‘আরে পরিণত হয়েছে। আল্লাহ তাদের থেকে দ্বীনের সীমারেখাকে পবিত্র রাখুন’।[41]

ইমাম শাফেঈ (রহঃ) তাঁর প্রখ্যাত গ্রন্থ ‘আল-উম্মে’ উল্লেখ করেছেন যে, দাড়ি শেভ করা হারাম। শাফেঈ মাযহাবের আলেম আযরাঈ বলেন, সঠিক কথা হচ্ছে কোন কারণ ছাড়া সম্পূর্ণ দাড়ি মুন্ডন করা হারাম’।[42]

শাফেঈ বিদ্বান হুলায়মী বলেন, لا يحل لأحد أن يحلق لحيته ولا حاجبيه، ‘কারো জন্য তার দাড়ি ও ভ্রু মুন্ডন করা হালাল নয়’।[43]

মুহাদ্দিছ শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী (রহঃ) বলেন, فَلَا بُد من إعفائها، وقصها سنة الْمَجُوس، وَفِيه تَغْيِير خلق الله، ‘দাড়ি ছেড়ে দেওয়া আবশ্যক। আর দাড়ি মুন্ডানো অগ্নীপূজকদের আদর্শ। আর এতে সৃষ্টির পরিবর্তন রয়েছে’।[44]

আবুল হাসান আদাবী (রহঃ) বলেন,وَيَحْرُمُ إزَالَةُ شَعْرِ الْعَنْفَقَةِ كَمَا يَحْرُمُ إزَالَةُ شَعْرِ اللِّحْيَةِ ‘নিমদাড়ির চুল দূর করা হারাম যেমন দাড়ির চুল কর্তন করা হারাম’।[45]

আল্লামা শানক্বীতী (রহঃ) নিম্নের আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহর বাণী, হারূণ বলল, হে আমার সহোদর ভাই! আমার দাড়ি ও মাথার চুল ধরে টেনো না’ (তোয়াহা ২০/৯৪)। আয়াতের সাথে নিম্নের আয়াত- ‘এরাই হ’ল ঐসব মানুষ যাদেরকে আল্লাহ হেদায়াত দান করেছেন। অতএব তুমি তাদের পথ অনুসরণ কর’ (আন‘আম ৬/৯০) মিলালে প্রমাণিত হয় যে, تَدُلُّ عَلَى لُزُومِ إِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ، فَهِيَ دَلِيلٌ قُرْآنِيٌّ عَلَى إِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ وَعَدَمِ حَلْقِهَا ‘দাড়িকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া আবশ্যক। দাড়িকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া সম্পর্কে ও মুন্ডন করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে এটি কুরআনী দলীল’।[46]

সঊদী আরবের গ্রান্ড মুফতী শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আযীয বিন বায (রহঃ) বলেন,إِنَّ تربية اللحية وتوفيرها وإرخاءها فرض لا يجوزُ تركه. ‘দাড়িকে সুবিন্যস্ত করা, পরিপূর্ণ রাখা ও তা ছেড়ে দেয়া ফরয। এই ফরযের প্রতি অবহেলা করা জায়েয নয়’।[47]

শায়খ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল উছায়মীন (রহঃ) বলেন, ‘দাড়ি রাখা ওয়াজিব, উহা মুন্ডন করা হারাম বা কাবীরা গুনাহ’।[48]

তিনি আরো বলেন, حلق اللحية مُحَرَّم لأنه معصية لرسول الله صلى الله عليه وسلم ، فإن النبي صلى الله عليه وسلم قال : أعفوا اللحى وحفوا الشوارب ولأنه خروج عن هدي المرسلين إلى هدي المجوس والمشركين، ‘দাড়ি মুন্ডন করা হারাম। কেননা এটি রাসূল (ছাঃ)-এর অবাধ্যতা। কারণ তিনি বলেন, দাড়ি ছেড়ে দাও ও গোঁফ ছোট কর। তাছাড়া এটি করা রাসূলগণের আদর্শ থেকে বেরিয়ে অগ্নিপূজক ও মুশরিকদের আদর্শে চলে যাওয়ার শামিল’।[49]

তিনি আরো বলেন, الذي نرى أن حلق اللحية محرم لأنه معصية لرسول الله صلى الله عليه وسلم ومن عصى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقد عصى الله ولأنه مشابهة للمشركين والمجوس وقد صح عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه أمر بمخالفة المشركين والمجوس و (قال: من تشبه بقوم فهو منهم) فلا يجوز للإنسان أن يحلق لحيته بل الواجب عليه توفيرها وإرخاؤها وإعفاؤها كما جاءت في ذلك السنة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم ‘আমরা মনে করি, দাড়ি মুন্ডন করা নিষিদ্ধ। কেননা এটি রাসূল (ছাঃ)-এর অবাধ্যতা। আর যে রাসূল (ছাঃ)-এর অবাধ্যতা করল সে মূলত: আল্লাহরই অবাধ্যতা করল। তাছাড়া এটি মুশরিক ও অগ্নিপূজকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আর রাসূল (ছাঃ) মুশরিক ও অগ্নিপূজকদের বিরোধিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোন কওমের সাথে সাদৃশ্য পোষণ করল সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং মানুষের জন্য দাড়ি মুন্ডন করা জায়েয নয়। বরং আবশ্যক হচ্ছে দাড়িকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া, লম্বা করা ও ক্ষমা করে দেওয়া যেমন রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছে এসেছে’।[50]

সঊদী আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের ফৎওয়া বোর্ড; (‘ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা’) দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং মুন্ডন করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন।[51]

সঊদী আরবের অন্যতম গ্রান্ড মুফতী শায়খ ছালেহ আল-ফাওযান বলেন, فالأمر بإعفاء اللحى يقتضي وجوب إعفائها ‘রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক দাড়ি ছাড়ার নির্দেশ তা নিজ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিব হওয়ার দলীল বহন করে’।[52] তিনি আরো বলেন,أنَّ الأحَادِيثَ الصَّحِيحَة، يَعْنِي فِي اللِّحْيَةِ، تَدُلُّ عَلَى حُرْمَةِ حَلْقِ اللِّحْيَةِ. ‘দাড়ি রাখার ব্যাপারে বর্ণিত ছহীহ হাদীছগুলো প্রমাণ করে যে, দাড়ি মুন্ডন করা হারাম’।[53] তিনি এ বিষয়ে সমালোচনা মূলক স্বতন্ত্র দু’টি গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তিনি কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা বিরোধীদের যুক্তির জওয়াব প্রদান করেন।

শায়খ নাছীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) দাড়ি রাখা ওয়াজিব ও মুন্ডন করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।[54] তিনি বলেন,مما سبق من النصوص يمكن للمسلم الذي لم تفسد فطرته أن يأخذ منها أدلة كثيرة قاطعة على وجوب إعفاء اللحية وحرمة حلقها: ‘পূর্বে উল্লিখিত দলীল গুলোর মাধ্যমে একজন মুসলিমের জন্য সম্ভব যে তার ফিৎরাতকে নষ্ট করেনি, সে এখান থেকে দাড়ি রাখা ওয়াজিব ও মুন্ডন করা হারাম হওয়ার উপর বহু অকাট্য দলীল খুuঁজ পাবে।[55]

ইবনু জাবরীন (রহঃ) বলেন, حلق اللحية حرام، لأنها شعار الإسلام، وقد ورد الأمر بتركها، ‘দাড়ি মুন্ডন করা হারাম। কেননা এটি ইসলামের শে‘আর বা নিদর্শন। আর দাড়ি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ এসেছে।[56]

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম শায়খুল আকবর আলী মাহফূয বলেন,وقد اتفقت المذاهب الأربعة على وجوب توفير اللحية وحرمة حلقها، ‘দাড়ি ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিব ও মুন্ডন করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে চার মাযহাবের ঐক্যমত রয়েছে’।[57]

অতএব দাড়ি মুন্ডন করা পাপ। এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। অবশ্য দাড়ি মুন্ডন করা ও কেটে ছোট করার পাপ এক সমান নয়। যদিও উভয়টিই পাপের কাজ।[58]

অনেক মানুষ দাড়ি মুন্ডন করাটাকে খুবই ছোট ও তুচ্ছ ব্যাপার মনে করে। কিন্তু এটা মুন্ডন করা কোন কোন সময় বড় গুনাহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হ’তে পারে। কেননা এটা প্রকাশ্যে পাপের কাজে লিপ্ত হওয়ার শামিল। আর প্রকাশ্যে এভাবে অন্যায়ে লিপ্ত হয়ে তওবা না করলে হ’তে পারে দাড়ি মুন্ডনকারী আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাবে না। কেননা নবী করীম (ছাঃ) বলেন, كُلُّ أُمَّتِى مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِينَ، ‘আমার সকল উম্মতকে মাফ করা হবে, তবে (পাপ) প্রকাশকারী ব্যতীত’।[59] দাড়ি মুন্ডন ও ছোট করা আর প্রকাশ্য পাপ (বিস্তারিত : মুহাম্মাদ বিন খলীফা, আল-লিহইয়াতু বায়নাল আখযে ওয়াল ই‘ফায়ে বই দ্রষ্টব্য) [ক্রমশঃ]

মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম

নিয়ামতপুর, নওগাঁ।

[1]. মুসলিম হা/২৩৪৪; মিশকাত হা/৫৭৭৯

[2]. আহমাদ হা/৯৪৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৮২০

[3]. বুখারী হা/৩৩৪৪; মিশকাত হা/৫৮৯৪

[4]. আহমাদ হা/৭৪৬; মিশকাত হা/৫৭৯০, সনদ ছহীহ

[5]. তিরমিযী হা/২৯, সনদ ছহীহ

[6]. তিরমিযী হা/৩১; মিশকাত হা/৪০৯, সনদ ছহীহ

[7]. বুখারী হা/৭৪৬; আবূদাউদ হা/৮০১; ইবনু মাজাহ হা/৮২৬

[8]. মুসানাদে আহমাদ হা/৩৪১০; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১৪০১৯; ইবনু শাববাহ, তারীখুল মাদীনাহ, হায়ছামী বলেন, রাবীগণ ছহীহ

[9]. ইবনু আসাকির, তারীখে দিমাশক ৩/২৭৮

[10]. ছহীহাহ হা/৭২০, সনদ হাসান

[11]. মিশকাত হা/৪৪৪৮; ছহীহাহ হা/৫০১

[12]. তারীখুত তাবারী ৩/৪২৪; তাজুল আরূস ১৮/৩৮৫

[13]. বুখারী হা/৩৯১৯; মিশকাত হা/৪৪৭৮

[14]. ইবনু আসাকির, তারীখে দিমাশক ৪৪/১৭

[15]. মুসলিম হা/২৩৪১; মিশকাত হা/৪৪৭৮

[16]. হাকেম হা/৪৫৩২; ছহীহুত তারগীব হা/২০৮৪,৩৩০০

[17]. তিরমিযী হা/২৩০৮; মিশকাত হা/১৩২; ছহীহুত তারগীব হা/৩৫৫০

[18]. যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ৩/৬২৩; তারীখুল খামীস ২/২৭৫

[19]. ত্বাবারাণী কাবীর হা/১৫৭; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১৪৫৯০

[20]. ত্বাবারাণী কাবীর হা/৬৬৮; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৮৮৪৭, সনদ ছহীহ

[21]. শু‘আবুল ঈমান হা/৬০৩২; ইবনু আসাকির, তারীখে দিমাশক হা/৮৭৫৪

[22]. শু‘আবুল ঈমান হা/৬০৩১

[23]. ইবনু আসাকির, তারীখে দিমাশক ১৯/৫৩৩; আলবানী, আদাবুয যিফাফ ২১১ পৃ.

[24]. ইবনু আসাকির, তারীখে দিমাশ্ক হা/৫২০৭; আব্দুল জাববার খাওলানী, তারীখুত দারিয়া ৮৫ পৃ.

[25]. শারহু মুসলিম ৩/১৪৯

[26]. আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৩০২; আল-ইখতিয়ারাত ৩৮৮ পৃ.

[27]. আশরাফ বিন ইবরাহীম কাত্বকাত্ব, আল-কুরআনুল মুবীন ১/৪৬৫

[28]. শারহুল উমদাহ ১/২৩৬

[29]. আল-মুফহাম ৩/১৩৯

[30]. ইবনু হাযম, মারাতিবুল ইজমা‘ ১/১৫৭

[31]. মারদাভী, আল-ফুরূ‘ ১/১৫১

[32]. মারদাভী, আল-ফুরূ‘ ১/১৫২

[33]. আল-ইকনা‘ ফী মাসায়িলিল ইজমা‘ ২/২৯৯

[34]. আত-তাহমীদ ২৪/১৪২-১৪৭; আবু আব্দির রহমান, ই‘ফাউল লিহইয়া ১২ পৃ:, ‘তাহরীমু হালকিল লিহইয়া’ বই

[35]. রাদ্দুল মুহতার ৭/৪৭৫

[36]. ফাৎহুল কাদীর ৪/৩১০; আদ-দুর্রুল মুখতার ২/৪১৮

[37]. আদ-দুর্রুল মুখতার ৬/৪০৭

[38]. আল-হিদায়াহ শারহুল বিদায়াহ ১/১৫২

[39]. শাওকানী, নায়লুল আওতার ১/১২৩; আলী হাসান আল-হালাবী, হুকমুদ্দীন ফিল লিহইয়াতে ওয়াত-তাদখীন ২৪ পৃ.

[40]. আবুদাউদ হা/৪০৪৩; আলী হাসান হালাবী, হুকমুদ্দীন ফিল লিহইয়াতে ওয়াত-তাদখীন ২৩ পৃ.; বিস্তারিত, রিসালাতু ফী হুকমে ই‘ফাইল-লিহইয়া পুস্তিকা দ্রষ্টব্য

[41]. আব্দুল হক দেহলভী, লুম‘আতু-তানক্বীহ শারহু মিশকাতিল মাছাবীহ ২/৬৭; সিন্ধী, ইফাহুল লুহা হাশিয়াতু ইহফাউল লিহা ৩পৃ.; হালাবী, হুকমুদ্দীন ফিল লিহইয়াতে ওয়াত তাদখীন ২৩ পৃ.

[42]. আব্দুল হামীদ শারওয়ানী, হাওয়াশী শারওয়ানী ৯/৩৭৬

[43]. হালাবী, হুকমুদ্দীন ফিল লিহইয়াতে ওয়াত তাদখীন ২৯ পৃ.

[44]. হজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ ১/১৮২, ১/৩০৯, ১/৩৮৬

[45]. হাশিয়াতুল আদাবী ২/৪৪৬

[46]. তাফসীরে আযওয়াউল বায়ান ৪/৯২

[47]. মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩/৩৬৩

[48]. ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ৭/২; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২৫; শারহু রিয়াযিছ ছালেহীন ১১৪ পৃ.

[49]. মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২৫

[50]. ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ৭/২

[51]. ফৎওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/১৫২, ৫/১৫৮

[52]. আল-ই‘লাম বেনাকদি কিতাবিল হালাল ওয়াল হারাম ১৮-১৯ পৃ. আল-বায়ান লিআখতায়ে বা‘যিল কিতাব ১/৩০১

[53]. আল-বায়ান লিআখতাই বা‘যিল কুতুব ৩০৬ পৃ.

[54]. তামামুল মিন্নাহ ৭৯-৮৩ পৃ.

[55]. তামামুল মিন্নাহ ৮২ পৃ.

[56]. ফাতাওয়া ইবনু জাবরীন ১০/১২

[57]. আল-ইবদা‘ ফি মুযার্রিল ইবতিদা‘ ৪০৯ পৃ.

[58]. আব্দুল মুহসিন আল-আববাদ, শারহু আবীদাউদ ১/৩৬১, ১০/২৫৫

[59]. বুখারী হা/৬০৬৯; মিশকাত হা/৪৮৩০







বিষয়সমূহ: সুন্নাত
শিশুদের চরিত্র গঠনে ‘সোনামণি’ সংগঠনের ভূমিকা - ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
মানবাধিকার ও ইসলাম (৫র্থ কিস্তি) - শামসুল আলম
ইবাদতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা (৫ম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
বিজ্ঞান ও ধর্মের কি একে অপরকে প্রয়োজন? - প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আরীফুল ইসলাম - টাঙ্গাইল
আল্লাহর সতর্কবাণী - রফীক আহমাদ - বিরামপুর, দিনাজপুর
শান্তির ধর্ম ইসলাম - মুহাম্মাদ রশীদ, উনাইযা ইসলামিক সেন্টার, সঊদী আরব।
হজ্জ : ফযীলত ও উপকারিতা - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
ঈদে মীলাদুন্নবী - আত-তাহরীক ডেস্ক
মসজিদের আদব - হাফীযুর রহমান, নারায়ণপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর
সমাজ সংস্কারে ফরায়েযী আন্দোলনের ভূমিকা - এডভোকেট জারজিস আহমাদ
ছিয়ামের ফাযায়েল ও মাসায়েল - আত-তাহরীক ডেস্ক
আহলেহাদীছ জামা‘আতের বিরুদ্ধে কতিপয় মিথ্যা অপবাদ পর্যালোচনা - তানযীলুর রহমান - শিক্ষক, বাউটিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রাজশাহী
আরও
আরও
.