সৃজনশীল প্রশ্নের ভিত্তিতে এদেশে লেখাপড়া শুরু হয় ২০০৮ সাল থেকে এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। শুরুতে নাম ছিল কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন। এ নামেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের প্রস্তাব অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করে ‘সৃজনশীল প্রশ্ন’ নামকরণ করা হয়। তবে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের সকল বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ এতে থেকে যায়, শুধু নামটাই যা পরিবর্তন।
বৃটিশ শিক্ষাবিদ বেঞ্জামিন ব্লুম বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে মানুষের চিন্তন দক্ষতার ছয়টি স্তরের কথা বলেছিলেন। যথা : জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়ন। ব্লুমের বিভাজনে পরবর্তীতে আরেকটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যথা : স্মরণ করা, বুঝতে পারা, প্রয়োগ করা, বিশ্লেষণ করা. মূল্যায়ন করা ও সৃষ্টি করা। বাংলাদেশে শেষের তিনটিকে উচ্চতর দক্ষতা নাম দিয়ে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের চারটি ভাগ করা হয়। এজন্য দেশব্যাপী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। বর্তমানে যে মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে এবং অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে পাঠদান করা হচ্ছে তাও এই কাঠামোবদ্ধ বা সৃজনশীল প্রশ্নকে ঘিরে। আমরা প্রথমে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির আলোচনা করব, তারপর অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি ও শেষে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
সৃজনশীল প্রশ্ন কী?
এটি এমন এক ধরনের প্রশ্ন, যা দ্বারা শিক্ষার্থীর চিন্তন দক্ষতার সকল স্তর পরিমাপ করা যায়। এ প্রশ্নের প্রথমেই থাকে একটি উদ্দীপক। উদ্দীপকটি পাঠ্য বইয়ের এক কিংবা একাধিক বিষয়/রচনাকে ইঙ্গিত করে তৈরি করা হয়। এটি কোন দৃশ্যকল্প, চিত্র, ডায়াগ্রাম ইত্যাদি হ’তে পারে। উদ্দীপক মূলত প্রশ্ন বইয়ের কোথা থেকে করা হয়েছে এবং কী উত্তর লিখতে হবে তা স্মরণ করিয়ে দেয়। সৃজনশীল প্রশ্নে ‘ক ও খ’ প্রশ্ন পাঠ্য বই থেকে করা হয় এবং ‘গ ও ঘ’ প্রশ্ন উদ্দীপকের সাথে যুক্ত করে করা হয়। এমনভাবে করতে হয় যাতে পরীক্ষার্থী উদ্দীপকের কথা ব্যবহার না করে শুধু পাঠ্য বইয়ের ভিত্তিতে উত্তর দিতে না পারে। উদ্দীপকে বর্ণিত নতুন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী বই থেকে অর্জিত বিদ্যা ব্যবহার করে প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার মাধ্যমে নিজের সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটায়। এজন্যই সৃজনশীল প্রশ্নে উদ্দীপকের দরকার হয়। উদ্দীপকের অধীনে বাংলা গণিত ইত্যাদি বিষয় হিসাবে ৩টি থেকে ৪টি প্রশ্ন করা হয়। ৩টি হ’লে প্রথমটি অনুধাবন, দ্বিতীয়টি প্রয়োগ ও তৃতীয়টি উচ্চতর দক্ষতামূলক। আর ৪টি হ’লে প্রথমটি হবে জ্ঞানমূলক, দ্বিতীয়টি অনুধাবন, তৃতীয়টি প্রয়োগ এবং চতুর্থটি উচ্চতর দক্ষতামূলক।
জ্ঞান কী, জ্ঞানমূলক প্রশ্নের বৈশিষ্ট্য কী, এরূপ প্রশ্নের উত্তর কীরূপ?
জ্ঞা+অনট=জ্ঞান শব্দের অর্থ চেতনা বা স্মৃতিতে কোন কিছু ধারণ করা এবং প্রয়োজন মুহূর্তে তা হুবহু প্রকাশ করা। জ্ঞান বই পড়ে, চোখে দেখে, কানে শুনে এবং অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়। অবশ্য পরীক্ষায় আগত জ্ঞানমূলক প্রশ্ন একান্তই পাঠ্য বই নির্ভর হওয়ার কথা।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর একটাই। যতজন তার উত্তর করবে ততজনের একই উত্তর হবে। এটি এক শব্দে কিংবা এক বাক্যে লিখতে হয়।
এ প্রশ্নের উত্তর সঠিক হ’লে পরীক্ষার্থী এক নম্বর পাবে। কোন ভগ্নাংশ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নে নেই। কারণ দক্ষতার স্তরগুলোর মধ্যে কোন ভাগবাঁটোয়ারা নেই। এ প্রশ্নের উত্তরে বানান ভুল হ’লে কিংবা তথ্যগত ভুল থাকলে কোন নম্বর মিলবে না। উদ্দীপকের অধীনে দ্বিতীয় বা ‘খ’ প্রশ্ন অনুধাবনমূলক এবং তার মান ২।
অনুধাবন কী, প্রশ্নের প্রকৃতি কীরূপ, লেখার কৌশল কী এবং নম্বর কীভাবে দিতে হবে?
অনুধাবন অর্থ বুঝতে পারা। পাঠ্য বইয়ের বিষয় পড়ার মাধ্যমে নিজে কিংবা শিক্ষকের সাহায্যে সঠিকভাবে বুঝতে পারার নাম অনুধাবন। সঠিক অনুধাবন জ্ঞানকে অবলম্বন করে অর্জিত হয়। কাজেই প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট জ্ঞান না থাকলে সঠিক অনুধাবন হবে না।
অনুধাবন প্রশ্নের উত্তর বইয়ে থাকতে হবে; তবে শিক্ষার্থী নিজের ভাষায় তা লিখবে। হুবহু বইয়ের ভাষা তুলে দিলে তা হবে জ্ঞানমূলক।
এ প্রশ্নের প্রকৃতি এই যে, এর শেষে ‘কাকে বলে, ‘কেন, কীভাবে, কী বুঝ, উদাহরণ দাও, বুঝিয়ে লেখ, ব্যাখ্যা কর ইত্যাদি শব্দ থাকে। যেমন- তাওহীদে বিশ্বাস করতে হবে কেন? ব্যাকরণ শেখার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে লেখ।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বাক্যের মধ্যে লিখতে হয়। কম-বেশি হ’লে দোষ নেই। তবে সঠিকভাবে অনুধাবন ফুটিয়ে তুলতে হবে। উত্তর প্যারা করেও লেখা যাবে, আবার প্যারা না করলেও অসুবিধা নেই। উত্তর সঠিক হ’লে শিক্ষার্থী ২-এ ২ পাবে। উত্তর জ্ঞান স্তরে হ’লে ১ পাবে এবং ভুল হ’লে ০ পাবে।
উদ্দীপকের অধীনে তৃতীয় বা ‘গ’ প্রশ্ন প্রয়োগমূলক এবং তার মান ৩।
প্রয়োগ কী, এ প্রশ্নের শেষে কী ধরনের শব্দ থাকে, লেখার নিয়ম কী এবং কীভাবে নম্বর দিতে হয়?
প্রয়োগ অর্থ পাঠ্য বই থেকে অর্জিত বিদ্যা নতুন ক্ষেত্রে/পরিস্থিতিতে আরোপ করা। এ ক্ষেত্রে জানা আবশ্যক যে, প্রশ্নমালায় উদ্ধৃত প্রত্যেকটি উদ্দীপক একেকটি নতুন ক্ষেত্র। তাই উদ্দীপক এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে পঠিত বিষয়ের উপর তা আলোকপাত করে এবং সে আলোয় আলোকিত হয়ে শিক্ষার্থী প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারে। বইয়ের পঠিত বিষয় উদ্দীপকে বর্ণিত নতুন ক্ষেত্রের সাথে মিলিয়ে দেওয়াই অর্জিত বিদ্যা নতুন ক্ষেত্রে ব্যবহার। উদ্দীপক শব্দের মধ্যেও আলোকপাতের অর্থ লুকিয়ে রয়েছে। উদ্দীপক = উৎ (উপসর্গ)- দীপ (ধাতু)+ণক (প্রত্যয়)। উৎ উপসর্গ উৎক্ষেপণ অর্থে এসেছে। দীপ অর্থ আলো, বাতি। ণক/অক প্রত্যয় কর্ম সম্পাদন অর্থ দিয়ে থাকে। অতএব উদ্দীপক তাই, যা কোন কিছুর উপর আলোকপাত করে। আসলেও উদ্দীপক শিক্ষার্থীর জন্য পঠিত বিষয়ের উপর আলোকের কাজ করে। যার ভিত্তিতে সে পঠিত বিষয় স্মরণ করে লিখতে পারে। তাকে মুখস্থ করতে হয় না। এখানেই মূলতঃ সৃজনশীল প্রশ্নের সার্থকতা।
প্রয়োগমূলক প্রশ্নের শেষে সাধারণত ‘ব্যাখ্যা কর’, ‘চিহ্নিত কর’, ‘মিল দেখাও’, ‘সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর’, ‘পার্থক্য নির্ণয় কর’, ‘বৈপরীত্য দেখাও’ ‘সমাধান কর’ ইত্যাদি শব্দ/বাক্যাংশ থাকে।
প্রয়োগমূলক প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে প্রথমে উদ্দীপকের ভিত্তিতে রচিত ‘গ’ প্রশ্নের বাক্যকে বিবৃতিমূলক বাক্যে রূপান্তর করে তাকে উত্তরের প্রথম বাক্য গণ্য করে লেখা শুরু করবে। বইয়ের পাঠ্যাংশের সাথে মিল করতে যে দু-একটি বাক্য না লিখলে নয় তা লিখেই পাঠ্য বইয়ের যে অংশের ভিত্তিতে উদ্দীপক রচিত সেখানে চলে যেতে হবে। তারপর উদ্দীপকের সাথে মিল রেখে বইয়ের কথা নিজের অনুধাবন অনুসারে লিখতে থাকবে। এভাবে বইয়ের কথা নিজের ভাষায় উদ্দীপকের চাহিত বিষয়ের সঙ্গে মিল করে ফুটিয়ে তোলাই সৃজনশীলতা।
সাধারণত বইয়ের বিষয়টি উত্তরে ফুটিয়ে তুলতে ৫ থেকে ৮ বাক্য এবং পুরো উত্তর ১২/১৩ বাক্যে লিখতে হয়। মনে রাখতে হবে, ‘গ’ প্রশ্নের উত্তর লিখতে অনেক পরীক্ষার্থী শুধু উদ্দীপক ইনিয়ে বিনিয়ে বড় করে লেখে কিংবা উদ্দীপক পুরো তুলে দিয়ে বইয়ের কথা দু-তিন বাক্যে লিখে উত্তর শেষ করে উদ্দীপকের সাথে পাঠ্য বিষয়ের কোন যোগ দেখায় না। কেউ বা আবার উদ্দীপকের কথা বেশী পরিমাণে লিখে বইয়ের কথা দু-এক বাক্য লিখে আবার উদ্দীপকের সাথে তার মিল দেখিয়ে উত্তর শেষ করে। উদ্দীপক নয় বরং বইয়ের তথ্য বেশী পরিমাণে প্রদান করতে হবে এবং বইয়ের তথ্য উদ্দীপকের নতুন ক্ষেত্রে ব্যবহার দেখিয়ে প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষার্থী প্রয়োগ সঠিক ভাবে করতে পারলে ৩-এ ৩ পাবে। উত্তর অনুধাবন স্তরে পৌঁছলে ২ পাবে, আর জ্ঞান স্তরে থাকলে ১ পাবে এবং ভুল হ’লে ০ পাবে।
উদ্দীপকের অধীনে চতুর্থ বা ‘ঘ’ প্রশ্নটি হ’ল উচ্চতর দক্ষতামূলক এবং তার মান ৪।
উচ্চতর দক্ষতা কী, প্রশ্নের শেষে কোন ধরনের শব্দ থাকে, উত্তর লেখার নিয়ম কী এবং কীভাবে নম্বর দিতে হবে?
আগেই বলা হয়েছে, উচ্চতর দক্ষতা বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়নের একত্রিত নাম। কাজেই উচ্চতর দক্ষতা বুঝতে হ’লে বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়নকে আলাদা করে বুঝতে হবে।
বিশ্লেষণঃ কোন সমগ্র বা পূর্ণকে অংশে অংশে বিভক্ত করে দেখানোকে বিশ্লেষণ বলে। যেমন- ‘একটি ফুল বিশ্লেষণ কর’-প্রশ্ন করা হ’লে যদি শিক্ষার্থী ফুলের পাঁচটি অংশ যথা- বৃন্ত, বৃতি, পাঁপড়ি, পুংকেশর ও স্ত্রীকেশর উদ্ধৃত করতে পারে তাহ’লে বিশ্লেষণের উত্তর হবে।
সংশ্লেষণ : সংশ্লেষণ বিশ্লেষণের বিপরীত। অর্থাৎ কোন কিছুর অংশগুলোকে একত্রিত করে তার পূর্ণরূপ প্রদানকে সংশ্লেষণ বলে। যেমন- বৃন্ত, বৃতি, পাঁপড়ি, পুংকেশর ও স্ত্রীকেশরের একত্রিত রূপ ফুল।
মূল্যায়ন : মূল্যায়ন অর্থ কোন কিছুর মূল্য বা মান স্থির করা। কোন কিছুর প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ ইত্যাদি বিচার করে তার মান নির্ধারণ করা। যেমন- সঠিক-বেঠিক, যথার্থ-অযথার্থ, ভাল-মন্দ ইত্যাদি মন্তব্যের মাধ্যমে নিজের যে মতামত বা সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় তাই মূল্যায়ন।
শিক্ষকগণ যখন উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন তখন প্রশ্ন ভাল করে পড়েন, বোঝেন, সঠিক উত্তর কী হবে তা জানতে চেষ্টা করেন; তারপর শিক্ষার্থীর উত্তর কতখানি তার জানা উত্তরের সাথে মিলেছে বা যথার্থ হয়েছে তা হিসাব করে নম্বর দেন। যদি পুরোপুরি মেলে তবে পূর্ণ নম্বর দেন; অর্ধেক মিললে ৪-৬ দেন এবং না মিললে ০ দেন। এটাই মূল্যায়ন। আবার শিক্ষকের বিষয়জ্ঞান, প্রকাশক্ষমতা, কণ্ঠস্বরের উচ্চতা, শ্রেণীকক্ষ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, শিক্ষার্থীদের সংগে আচরণ, চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা, সহযোগিতার মনোভাব ইত্যাদি দেখে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক কতটা ভাল তা নির্ণয় করে। এটাও মূল্যায়ন। এভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মূল্যায়ন চলমান রয়েছে।
উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্নে সাধারণত সংশ্লেষণ চাওয়া হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন চাওয়া হয়। প্রশ্নের শেষে সাধারণত ‘বিশ্লেষণ কর’, ‘মূল্যায়ন কর’, ‘যথার্থতা নির্ণয় কর’ ‘বিচার কর’, ‘আলোচনা কর’ ‘কেমন/কীরূপ হয়েছে’ ইত্যাদি শব্দ থাকে।
প্রশ্নকর্তাকে হুঁশিয়ার থাকতে হয়- যাতে ‘গ’ ও ‘ঘ’ প্রশ্নে প্রাবরণ (over lapping) না হয়। ‘গ’ প্রশ্নের উত্তর যা, ‘ঘ’ প্রশ্নের উত্তরও যদি তাই কিংবা তার কাছাকাছি হয় তাহ’লে প্রশ্নে অবশ্যই প্রাবরণ (over lapping) হয়েছে বলে বুঝতে হবে।
এখানেও উত্তর লেখার সময় সাধারণত উদ্দীপকের ভিত্তিতে রচিত প্রশ্নবোধক বাক্যকে বিবৃতিমূলক বাক্যে রূপান্তরিত করে উত্তর আরম্ভ করতে হবে। তারপর পাঠ্য বইয়ের যে অংশের ভিত্তিতে উদ্দীপক রচিত তার সঙ্গে উত্তর সংযুক্ত করতে ২/১টা বাক্য লিখে পাঠ্য বইয়ের মধ্যে যেতে হবে। অতঃপর পাঠ্য বইয়ের বিষয়বস্ত্ত অবলম্বনে উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে বিশ্লেষণ কিংবা মূল্যায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও উদ্দীপকের কথা কম এবং বইয়ের কথা বেশি হ’তে হবে। লেখার একেবারে শেষে পরীক্ষার্থীর নিজের মতামত বা সিদ্ধান্ত অবশ্যই থাকতে হবে।
এ প্রশ্নের উত্তর ৮/১০ বাক্য থেকে ১৪/১৫ বাক্যে শেষ করতে হবে। ‘গ’ এর মত ‘ঘ’ প্রশ্নেও অনেকে উদ্দীপক দিয়ে উত্তর তৈরির মাঝে ঘুরপাক খায়। বইয়ের বিষয়ের উপর তারা কমই আলোকপাত করে। আগেই বলা হয়েছে এটি সৃজনশীলতার মধ্যে পড়ে না।
‘ঘ’ প্রশ্নের উত্তর যথাযথ হ’লে পরীক্ষার্থী পূর্ণ নম্বর পাবে। নচেৎ স্তর অনুপাতে ৩, ২ অথবা ১ পাবে। উত্তর ভুল লিখলে সে ০ পাবে। অনেক শিক্ষক আবার ‘গ’ প্রশ্ন তিন প্যারায় ও ‘ঘ’ প্রশ্ন চার প্যারায় না লিখলে নম্বর দিতে চান না। ফলে শিক্ষার্থীরা মনে করে, প্যারার মধ্যেই বোধ হয় চিন্তন দক্ষতার স্তরগুলো লুকিয়ে থাকে। আসলে এ ধারণার কোন সত্যতা নেই। পরীক্ষার্থী প্রয়োজন মাফিক এক বা একাধিক প্যারায় লিখতে পারবে, আবার সে ইচ্ছে করলে কোন প্যারা নাও করতে পারে। অনেক পরীক্ষক আবার দীর্ঘ লেখা না হ’লে নম্বর দিতে চান না। আসলে প্যারা কিংবা দৈর্ঘ্য নয় বরং দক্ষতার স্তর ফুটিয়ে তোলার মধ্যে নম্বর নিহিত। গুণগত মানের লেখা অল্প ও প্যারা বিহীন হ’লেও পরীক্ষার্থী পূর্ণ নম্বর পাবে। মনে রাখতে হবে, সৃজনশীল প্রশ্নে ভগ্নাংশ নম্বর দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রেও কিন্তু পরীক্ষককে বিষয়জ্ঞানী হওয়ার সাথে সাথে উত্তরের উক্ত স্তর মাপার যোগ্যতা থাকতে হবে। তাকে কেন নম্বর স্তর অনুযায়ী কম দেওয়া হ’ল তা বুঝিয়ে দিতে হবে। আন্দাজ-অনুমানে নম্বর দেওয়ার সুযোগ এখানেও নেই।
‘ইসলাম শিক্ষা’ বিষয় হ’তে সৃজনশীল প্রশ্নের একটি উদাহরণ দেওয়া হ’ল :-
ক দেখতে-শুনতে একজন ভালো মুসলিম। কিন্তু সে ক্ষতির মানসে ইসলামের শত্রুপক্ষের সঙ্গে গোপনে সখ্যতা গড়ে তোলে। বিষয়টি তাকে বলা হ’লে সে অবলীলায় তা অস্বীকার করে। তাকে বিশ্বস্ত ভেবে অনেকে তার নিকট অর্থ-কড়ি গচ্ছিত রেখে প্রতারিত হয়।
ক) ইসলামের সকল শিক্ষার ভিত্তিমূলে কী রয়েছে?
খ) নিফাক কেন শির্ক ও কুফর থেকেও জঘন্য?
গ) ক এর আক্বীদা চিহ্নিত/ব্যাখ্যা কর।
ঘ) ক এর জাগতিক ও পারলৌকিক পরিণতি বিশ্লেষণ কর।
বাস্তবতা হ’ল, সৃজনশীল প্রশ্ন দু-একদিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই আয়ত্ব করতে পারে না। নিয়মিত চর্চা করতে থাকলে প্রশ্ন করার ও লেখার দক্ষতা এক সময় আয়ত্ব হয়ে যায়। এটি আয়ত্ব হ’লে শিক্ষার্থীকে কখনই নোট-গাইডের দ্বারস্থ হ’তে হয় না। শিক্ষকদের উচিত, সৃজনশীল প্রশ্নের নানাদিক ভালোভাবে আয়ত্ব করা এবং বছরের শুরুতে সকল শ্রেণীতে, বিশেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে তা শীক্ষার্থীদের ব্যাপকভাবে বুঝানো। শিক্ষকদের আরও উচিত, এ বিষয়ে মাঝে মাঝেই নিজেদের মধ্যে ইনহাউস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশল শিখিয়ে দেওয়া। একবার ভাল রকম আয়ত্ব করতে পারলে শিক্ষার্থীরা বই পড়ে মজা পাবে এবং পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে পারবে। তাদের চিন্তাশীলতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। অবাক করা ব্যাপার এই যে, সৃজনশীল প্রশ্ন প্রবর্তনের আগের পদ্ধতিতে যারা লেখাপড়া করেছেন তারা শিক্ষকতা না করলেও তখন অন্যকে তদনুযায়ী শিখাতে পারতেন। কিন্তু তারাই এখন লেখাপড়ায় সুপন্ডিত হয়েও সৃজনশীল প্রশ্ন ঠিকমত বুঝতে ও বুঝাতে পারছেন না। তারা নিজেদের ছেলেমেয়েদেরও নিজেরা আর পড়াতে পারছেন না। এটা কি সৃজনশীল পদ্ধতির দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা, নাকি আমাদের অযোগ্যতা? এই পদ্ধতি প্রবর্তনের সময় বলা হয়েছিল-এ পদ্ধতি খুব সহজ এবং শিক্ষার্থীরা মুখস্থ করার দায় থেকে বাঁচবে। তাদের আর প্রাইভেট পড়তে হবে না এবং নোট-গাইডও লাগবে না। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণই বিপরীত। অবস্থা কেন এমন হ’ল তৃণমূল থেকে তার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিকার করতে হবে।
অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাদান পদ্ধতি :
অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাদান পদ্ধতির অর্থ শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের শিখন কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করানোর মাধ্যমে শিক্ষাদান করা; যাতে শিক্ষণ-শিখন অধিকতর কার্যকরী ও ফলপ্রসূ হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সক্রিয় করতে গিয়ে পাঠভিত্তিক আলোচনা এবং একক কাজ, জোড়ায় কাজ, দলগত কাজ, বাড়ির কাজ ইত্যাদি প্রদান ও তা আদায়ে মূখ্য ভূমিকা পালন করবেন। তিনি শ্রেণীকক্ষে যাওয়ার আগে তার ডায়েরিতে সংক্ষেপে পাঠপরিকল্পনা করে নিবেন। তাতে শ্রেণী, বিষয়, অধ্যায়/পাঠ, শিখনফল, শিখন পদ্ধতি, উপকরণ, মূল্যায়ন ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকবে। তিনি শ্রেণীকক্ষে ঢুকে শিখন পরিবেশ নিশ্চিত করবেন এবং পাঠ শিরোনাম ব্লাকবোর্ডে লিখবেন। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস হ’লে পর্দায় দেখাবেন।
এবারে সময় বিভাজনের মাধ্যমে ৪৫/৫০ মিনিটের ক্লাসে উপকরণের সাহায্যে প্রথমে পাঠ্য বই থেকে পড়ার বিষয় ৫/৬ মিনিট আলোচনা করবেন। তারপর শিক্ষার্থীদের একক কাজ হিসাবে ২/৩টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন অথবা ১টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন লিখতে দিবেন। শিক্ষার্থীরা ৪/৫ মিনিটে উত্তর লিখবে। তারপর শিক্ষক নিজের তৈরী প্রশ্নের উত্তর মাল্টিমিডিয়ায় অথবা একটি চার্টে দেখাবেন। শিক্ষার্থীরা নিজেদের উত্তর তার সাথে মিলাবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নিবে। পরে আরেকটি উপকরণের সাহায্যে ৬/৭ মিনিট পাঠ্য বই থেকে আলোচনা করতে হবে। তারপর জোড়ায় কাজ হিসাবে ১টি অনুধাবন কিংবা প্রয়োগমূলক প্রশ্ন লিখতে দিবেন। শিক্ষার্থীরা ৭/৮ মিনিটে উত্তর লিখবে এবং উপস্থাপন করবে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস হ’লে এ সময় শিক্ষক তার তৈরী নমুনা উত্তর দেখাবেন। আবার একটি উপকরণের সাহায্য নিয়ে শিক্ষক ৭/৮ মিনিট পাঠ্য বই থেকে আলোচনা করবেন।
আলোচনান্তে তিনি প্রয়োগ কিংবা উচ্চতর দক্ষতার ভিত্তিতে একটি দলগত কাজ করতে দিবেন। সাধারণত একটি দলে সর্বোচ্চ ৬ জন শিক্ষার্থী থাকে- ১জন দলনেতা, ১জন লেখক, ১জন উপস্থাপক ও ৩জন সক্রিয় সদস্য। তারা মগয খাঁটিয়ে ৫/৬ মিনিটে উত্তর প্রস্ত্তত করবে এবং দলগুলো ২/৩ মিনিট করে তা উপস্থাপন করবে। এ সময় শিক্ষক ঘুরে ঘুরে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিবেন। কাজ শেষে অবশিষ্ট সময় শিক্ষক কিছু ছোট ছোট প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন। এবার তিনি একটি বাড়ির কাজ দিবেন। বাড়ির কাজটি হবে সাধারণত সৃজনশীল প্রশ্নের ভিত্তিতে। অর্থাৎ একটি উদ্দীপকের অধীনে ক, খ, গ ও ঘ প্রশ্ন থাকবে। বাড়ির কাজ সৃজনশীল প্রশ্নে হ’লে শিক্ষার্থীরা বেশি বেশি তা অনুশীলন করতে পারবে এবং শিক্ষকরাও তা বারবার মূল্যায়ন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। নিজেদের ত্রুটি-বিচ্যুতি তারা দূর করতে পারবে। অনেক প্রশ্নের মধ্যে অবশ্যই যেমন কিছু উন্নত মানের প্রশ্ন পাওয়া যাবে তেমনি অনেক উত্তরের মধ্যেও বহু মানসম্মত উত্তর পাওয়া যাবে। আর এভাবেই তো মানুষ উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠে।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাস : মাল্টিমিডিয়া ক্লাস অর্থ বহু মাধ্যম যোগে পরিচালিত শ্রেণীকার্যক্রম। মাল্টিমিডিয়া হ’তে হ’লে তিনটি জিনিস লাগে। ১.বর্ণ (লেখা) ২. চিত্র/ছবি ৩. শব্দ। এরূপ ক্লাসে বর্ণ বা লেখা (Text), চিত্র (Graphics) ও শব্দ (sound) যোগে পাওয়ার পয়েন্টে সলাইড তৈরি করে উপস্থাপন করতে হয়। একটি শ্রেণিপাঠে সাধারণত ১০ থেকে ২০টা সলাইডই যথেষ্ট। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিতে হ’লে শ্রেণীকক্ষে বিদ্যুৎ, ১টি ল্যাপটপ, ১টি প্রজেক্টর ও একটি সাদা স্ক্রীন অথবা দেয়াল থাকা আবশ্যক।
ICT ট্রেনিং-এর মাধ্যমে শিক্ষকদের এ বিষয়ে দক্ষ করার চেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে অব্যাহত রয়েছে। এই ক্লাস নেওয়ার সময় সলাইডে প্রদর্শিত স্বাগতম, পরিচিতি, শিখনফল ইত্যাদি যা থাকে শ্রেণীকক্ষে তা দেখানো যাবে না। বরং পাঠ ঘোষণা থেকে বাড়ির কাজ পর্যন্ত দেখাতে হবে।
অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির পাঠদানের সকল প্রক্রিয়াই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসে প্রযোজ্য। এখানেও শিক্ষক সময় বিভাজন করে পাঠ্য বই ধরে আলোচনা করবেন। প্রয়োজনীয় চিত্র ও ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে পর্দায় দেখাবেন। পর্দায় একক, জোড়ায় ও দলগত কাজের প্রশ্ন তুলে ধরবেন। প্রশ্নের নমুনা উত্তর সলাইডে করে রাখবেন এবং প্রতিটি কাজ শেষে শিক্ষার্থীদের উত্তর নিজের নমুনা উত্তরের সাথে মিলিয়ে নেওয়ার জন্য দেখাবেন, আগেভাগে দেখাবেন না। জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার ভিত্তিতে সকল প্রশ্ন করবেন। সবশেষে মূল্যায়নের প্রশ্ন মৌখিক ভাবে করা যাবে। বাড়ির কাজ সৃজনশীল প্রশ্ন হিসাবে একটি স্লাইডে তুলে ধরতে হবে। পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষক তা জমা নিবেন এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও নির্দেশনাসহ নম্বর প্রদান করে তাদের নিকট ফেরৎ দিবেন। এতে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখায় পারদর্শী হয়ে উঠবে।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের অসুবিধা : ধারণা করা হয় যে, মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস নিলেই শিক্ষার্থীদের জানার গতি ও শক্তি দুইই বাড়বে এবং তারা আধুনিক প্রযুক্তিতে অভ্যস্থ ও দক্ষ হয়ে উঠবে। শেষের কথাটি ঠিক হ’লেও প্রথম কথাটি সর্বাংশে ঠিক হচ্ছে না। তার কিছু কারণ এখানে তুলে ধরা হ’ল :
১. স্থায়ী ক্লাসরুম না থাকলে প্রজেক্টর, ল্যাপটপ ও পর্দা ফিট করতে ক্লাসের অনেকখানি সময় নষ্ট হয়ে যায়।
২. অনেকে শুধু মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করেন; পাঠ্য বই খুব একটা হাতে নেন না। এতে শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বই বিমুখ হয়ে পড়ছে। অথচ তাদের জানা ও পরীক্ষায় ভালো করা নির্ভর করে পাঠ্য বইয়ের উপর। আসলে পড়াতে হবে বই এবং মাল্টিমিডিয়া হবে তার একটি বড় উপকরণ।
৩. অনেকে শিখনফল ঠিক না করে মাল্টিমিডিয়ার সলাইডে পাঠ সংশ্লিষ্ট কিছু ছবি/ভিডিও তুলে ধরেন। সেখানে ছবি প্রদর্শনী বেশি হয়। শিক্ষকের উপস্থাপন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একক, জোড়ায় কিংবা দলগত কাজ তেমন একটা থাকে না। ফলে শিক্ষণ-শিখন ফলপ্রসূ হয় না।
৪. অনেকে মাত্রাতিরিক্ত ছবি দেখান। শিক্ষার্থীরাও মনে করে এটি সলাইডশোর ক্লাস। তারা ক্লাস উপভোগ করে বটে কিন্তু জ্ঞান অর্জন করে না। আসলে প্রতিটি কাজের ভিত্তিতে ১টি/২টি ছবিই যথেষ্ট ভাবতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করছে কিনা তা নিশ্চিত হ’তে হবে।
৫. মাত্রাতিরিক্ত এনিমেশন আরেকটি সমস্যা। অনেক এনিমেশনে দেখা যায় এক একটা বর্ণ উড়ে এসে শব্দ ও বাক্য গঠন করে। অনেক সময় অক্ষর ও ছবিগুলো লাফায়-ঝাঁপায়। এতে যেমন সময় বেশি লাগে তেমনি চোখেও লাগে। অথচ হাল্কা ও সাধারণ এনিমেশন দিলে এরূপ সমস্যা সহজেই এড়ান যায়।
৬. শিক্ষক বাতায়নের কন্টেন্ট ডাউনলোড করে অনেকে পড়ান। বাতায়নে যেমন অনেক ভালো কন্টেন্ট আছে তেমনি অনেক নিম্ন মানের কন্টেন্টও আছে। বাছবিচার না করে বাতায়ন থেকে সহায়তা নিয়ে পাঠ দান করলে সুফল পাওয়া অনিশ্চিত। নিজে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে অথবা বাতায়নের কন্টেন্ট থেকে নিজের সুবিধা মত এডিট করে নতুন কন্টেন্ট বানাতে পারলে এ অসুবিধা থাকবে না।
শিক্ষণ-শিখন আসলে অজানাকে স্থায়ীভাবে জানা এবং তাকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিজীবনসহ বৃহত্তর পরিসরে মানবমন্ডলীর ইহজাগতিক ও পারলৌকিক মঙ্গল সাধন করা। আমাদের সৃজনশীল প্রশ্নসহ পঠন-পাঠনের সকল নিয়ম-নীতি এ লক্ষ্যে পরিচালিত হওয়া উচিত। মহান প্রভু আমাদের সকল কাজে সহায় হৌন-আমীন!
তথ্যসূত্র :
* সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশন এবং উত্তরপত্র মূল্যায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, মার্চ ২০০৯ খ্রি. প্রকাশক- বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট ও SESDP ঢাকা।
* ঐ, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, জুলাই ২০০৯ খ্রি।
* তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৯ম-১০ম শ্রেণী, প্রকাশক এন.সি.টি.বি, ঢাকা।