পার্থিব
জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। মূলতঃ সম্পদের
মালিক আল্লাহ। মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দিয়ে
আবার কাউকে না দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষ ধনীদের
সম্পদের মুখাপেক্ষী। তাদেরকে দান করা ধনীদের জন্য করণীয়। এটা যেমন ইবাদত,
তেমনি আল্লাহকে রাযী-খুশী করার অন্যতম উপায়। সুতরাং দরিদ্রদের দান করার
মাধ্যমে তাদের অসচ্ছলতা দূর করার চেষ্টা করা এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জন করা মুমিনের কর্তব্য। কিন্তু দান-ছাদাক্বার কিছু আদব
রয়েছে, যার মাধ্যমে দান আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে থাকে। আর এসবের অনুপস্থিতিতে
দান-ছাদাক্বা যথাযথভাবে কবুল হয় না। আলোচ্য নিবন্ধে দান-ছাদাক্বার আদব বা
শিষ্টাচার সমূহ আলোচনা করা হ’ল।-
দান-ছাদাক্বার আদব সমূহ :
দান-ছাদাক্বাসহ অন্যান্য নেক আমল কবুল হওয়ার জন্য কিছু শর্ত ও আদব রয়েছে। যেগুলো পালন না করা হ’লে ছওয়াব পাওয়া যায় না। এমনকি কিছু আদব এমন রয়েছে, যেগুলো পালন করা না হ’লে আমল বাতিল হয়ে যেতে পারে। এসব আদবের মধ্যে কিছু পালনীয় ও কিছু বর্জনীয়। নিম্নে আদব বা শিষ্টাচার সমূহ আলোচনা করা হ’ল।-
ক. পালনীয় আদব সমূহ :
১. দান হালাল দ্রব্য থেকে হওয়া :
যেসব
বস্ত্ত দান করা হবে তা হালাল হ’তে হবে। কেননা আল্লাহ হালাল ও পবিত্র
বস্ত্ত ব্যতীত গ্রহণ করেন না। আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ
آمَنُواْ أَنفِقُواْ مِن طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا
لَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ، ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং যা আমরা
তোমাদের জন্য জমিতে উৎপন্ন করি, সেখান থেকে পবিত্র বস্ত্ত ব্যয় কর’ (বাক্বারাহ ২/২৬৭)।
সুতরাং হারাম বস্ত্ত দান করলে তা কবুল হয় না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِنَّ
اللهَ طَيِّبٌ لاَ يَقْبَلُ إِلاَّ طَيِّبًا ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি
পবিত্র ব্যতীত কোন কিছু গ্রহণ করেন না।[1]
তিনি আরো বলেন,مَنْ أَصَابَ مَالًا مِنْ مَأْثَمٍ فَوَصَلَ بِهِ رَحِمًا، أَوْ تَصَدَّقَ بِهِ، أَوْ أَنْفَقَهُ فِي سَبِيلِ اللهِ، جُمِعَ ذَلِكَ جَمِيعًا، ثُمَّ قُذِفَ بِهِ فِي جَهَنَّمَ، ‘যে ব্যক্তি পাপের মাধ্যমে কোন সম্পদ লাভ করল, অতঃপর তা দ্বারা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করল কিংবা তা দান করল অথবা তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করল। আল্লাহ তা একত্রিত করে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন’।[2] ছাদাক্বা যেমন উত্তম মাল দ্বারা হ’তে হবে তেমনি তা যেন পাপাচারের সহায়তায় ব্যয়িত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
২. উত্তম মাল ছাদাক্বা করা :
উত্তম সম্পদ ছাদাক্বা করার চেষ্টা করতে হবে। কেননা প্রিয় বস্ত্ত ছাদাক্বা না করলে ছওয়াব পাওয়া যায় না। আল্লাহ বলেন, لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوْا مِمَّا تُحِبُّوْنَ ‘তোমরা কখনোই কল্যাণ লাভ করবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্ত্ত থেকে দান করবে’ (আলে ইমরান ৩/৯২)। তিনি আরো বলেন,وَلَا تَيَمَّمُوا الْخَبِيْثَ مِنْهُ تُنْفِقُوْنَ وَلَسْتُمْ بِآخِذِيْهِ إِلَّا أَنْ تُغْمِضُوْا فِيْهِ وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ غَنِيٌّ حَمِيْدٌ- ‘আর সেখান থেকে নিকৃষ্ট বস্ত্ত ব্যয় করার সংকল্প কর না, যা তোমরা নিজেরা গ্রহণ কর না চোখ বন্ধ করা ব্যতীত। জেনে রেখ আল্লাহ অভাবমু্ক্ত ও চির প্রশংসিত’ (বাক্বরাহ ২/২৬৭)।
হাদীছে এসেছে, আওফ ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন,
دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسْجِدَ وَبِيَدِهِ عَصًا وَقَدْ عَلَّقَ رَجُلٌ مِنَّا قِنًا حَشَفًا فَطَعَنَ بِالْعَصَا فِى ذَلِكَ الْقِنْوِ وَقَالَ لَوْ شَاءَ رَبُّ هَذِهِ الصَّدَقَةِ تَصَدَّقَ بِأَطْيَبَ مِنْهَا. وَقَالَ إِنَّ رَبَّ هَذِهِ الصَّدَقَةِ يَأْكُلُ الْحَشَفَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
‘একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে
আমাদের নিকটে প্রবেশ করলেন, তাঁর হাতে একটি লাঠি ছিল। মসজিদে আমাদের এক
ব্যক্তি নিকৃষ্ট মানের এক গুচ্ছ খেজুর ঝুলিয়ে রেখেছিল। তিনি ঐ খেজুর গুচ্ছে
লাঠি দিয়ে আঘাত করে বলেন, এর ছাদাকাক্বারী ইচ্ছে করলে এর চাইতে উত্তমটি
ছাদাক্বা করতে পারত। তিনি আরো বলেন, ‘এর ছাদাকাক্বারীকে ক্বিয়ামতের দিন
নিকৃষ্ট ফল খেতে হবে’।[3]
৩. ছাদাক্বা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য হওয়া :
অন্যান্য
নেক আমলের ন্যায় ছাদাক্বাও কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে প্রদান করা
যরূরী। অন্যথা তা কবুল হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন,إِنَّمَا الأَعْمَالُ
بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى ‘কাজ (এর প্রাপ্য
হবে) নিয়ত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে’।[4]
অন্যত্র
এসেছে, সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ)
বলেন,إِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِى بِهَا وَجْهَ اللهِ إِلاَّ
أُجِرْتَ عَلَيْهَا، حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِى فِى امْرَأَتِكَ. ‘তুমি
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে যা-ই ব্যয় কর না কেন, তোমাকে তার
প্রতিদান নিশ্চিতরূপে প্রদান করা হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যা
তুলে দাও, তারও’।[5]
৪. গোপনে ছাদাকবা করা :
প্রকাশ্যে ও গোপনে উভয় অবস্থায় দান করা যায়। তবে গোপনে দান করা উত্তম। কেননা এতে লৌকিকতা ও প্রদর্শনেচ্ছা থাকে না। তবে প্রকাশ্যে দান করা অধিক কল্যাণকর হ’লে প্রকাশ্যেই দান করতে হবে। আল্লাহ বলেন,
إِنْ تُبْدُوا الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ وَإِنْ تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا الْفُقَرَاءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ وَيُكَفِّرُ عَنْكُمْ مِنْ سَيِّئَاتِكُمْ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيْرٌ،
‘যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান কর, তবে তা কতই না উত্তম! আর যদি তা গোপনে কর ও অভাবীদের প্রদান কর, তবে তোমাদের জন্য তা আরও উত্তম। এবং (এর দ্বারা) তিনি তোমাদের কিছু পাপ মোচন করে দিবেন। আর তোমরা (গোপনে) যা কিছু কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন’ (বাক্বারাহ ২/২৭১)।
ইবনু
কাছীর (রহঃ) বলেন, ফরয হৌক, নফল হৌক যেকোন ছাদাক্বা গোপনে প্রদান করা
উত্তম হওয়ার ব্যাপারে অত্র আয়াতে দলীল রয়েছে। কেননা তাতে লোক দেখানো বা
লোককে শুনানোর কিছু থাকে না। তবে অন্যেরা অনুসরণ করুক, এরূপ কোন কল্যাণ
ইচ্ছা থাকলে সেক্ষেত্রে প্রকাশ্যে দান করা উত্তম হবে। ক্বিয়ামতের দিন
আল্লাহর আরশের ছায়াতলে যে সাত শ্রেণীর মুমিন আশ্রয় পাবে, তাদের অন্যতম হ’ল-
‘ঐ ব্যক্তি, যে এমনভাবে গোপনে ছাদাক্বা করে যে তার ডান হাত কি খরচ করে বাম
হাত তা জানতে পারে না’।[6]
৫. খুশিমনে ছাদাক্বা করা :
স্বতস্ফূর্তভাবে
ছাদাক্বা করা উচিত। গোমড়া মুখ করে দান করা উচিত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন,لاَ
تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئًا وَلَوْ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ
بِوَجْهٍ طَلْقٍ. ‘কল্যাণমূলক কোন কর্মকেই অবজ্ঞা করো না, যদিও তা তোমার
ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করেও হয়’।[7] তিনি আরো বলেন,إِنَّ
تَبَسَّمَكَ فِيْ وَجْهِ أَخِيْكَ يُكْتَبُ لَكَ بِهِ صَدَقَةٌ ‘নিশ্চয়ই
তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করায় তোমার জন্য ছাদাক্বার ছওয়াব লেখা
হয়’।[8]
৬. প্রকৃত হকদারকে ছাদাক্বা করা :
যথাযথ
হকদার বা প্রাপককে দান করা উচিত। এতে অধিক ছওয়াব পাওয়া যায় এবং প্রাপক ঐ
ছাদাক্বার মাধ্যমে উপকৃত হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, الصَّدَقَةُ عَلَى
الْمِسْكِيْنِ صَدَقَةٌ وَهِىَ عَلَى ذِى الْقَرَابَةِ اثْنَتَانِ صَدَقَةٌ
وَصِلَةٌ ‘(অনাত্মীয়) গরীব-মিসকীনকে দান করলে তা ছাদাকবা (দানের ছওয়াব
পাওয়া যায়)। আর আত্মীয়-স্বজনকে দান করলে দ্বিগুণ (দানের ছওয়াব এবং আত্মীয়তা
সম্পর্ক রক্ষার ছওয়াব) হয়।[9]
৭. সাধ্যমত দ্রুত দান করা :
দান-ছাদাক্বা করার ইচ্ছা করলে দ্রুত তা করা উচিত। আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে এসে বললেন,
يَا رَسُولَ اللهِ أَىُّ الصَّدَقَةِ أَعْظَمُ أَجْرًا قَالَ أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيحٌ شَحِيحٌ، تَخْشَى الْفَقْرَ وَتَأْمُلُ الْغِنَى، وَلاَ تُمْهِلُ حَتَّى إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ قُلْتَ لِفُلاَنٍ كَذَا، وَلِفُلاَنٍ كَذَا، وَقَدْ كَانَ لِفُلاَنٍ.
‘হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! কোন ছাদাক্বার
ছওয়াব বেশী পাওয়া যায়? তিনি বললেন, সুস্থ ও কৃপণ অবস্থায় তোমার ছাদাক্বাহ
করা যখন তুমি দারিদ্রে্যর আশঙ্কা করবে ও ধনী হওয়ার আশা রাখবে। ছাদাক্বাহ
করতে এ পর্যন্ত বিলম্ব করবে না যখন প্রাণবায়ু কণ্ঠাগত হবে, আর তুমি বলতে
থাকবে, অমুকের জন্য এতটুকু, অমুকের জন্য এতটুকু, অথচ তা অমুকের জন্য হয়ে
গেছে’।[10]
খ. বর্জনীয় আদব সমূহ :
১. অধিক লাভের আশায় ছাদাক্বা না করা :
দান করতে হবে নিঃশর্তভাবে। দান করে তার বিনিময়ে অধিক লাভের আশা করা সমীচীন নয়। আল্লাহ বলেন,وَلَا تَمْنُنْ تَسْتَكْثِرُ ‘(দুনিয়ায়) অধিক পাওয়ার আশায় কাউকে দান করবেন না’ (মুদ্দাচ্ছির ৭৪/৬)। দানের বিনিময়ে দুনিয়াতে কিছু পাওয়ার আশায় দান করা যাবে না।
২. খোঁটা দেওয়া থেকে বিরত থাকা :
অনেকে দান করে খোঁটা দিয়ে থাকে, এতে তার দানের ছওয়াব বাতিল হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُبْطِلُوا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالْأَذَى كَالَّذِي يُنْفِقُ مَالَهُ رِئَاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُ وَابِلٌ فَتَرَكَهُ صَلْدًا لَا يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا كَسَبُوا وَاللهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِيْنَ-
রাসূল (ছাঃ) বলেন,ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمَنَّانُ الَّذِى لاَ يُعْطِى شَيْئًا إِلاَّ مَنَّهُ وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْفَاجِرِ وَالْمُسْبِلُ إِزَارَهُ ‘আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোকের সাথে কথা বলবেন না। যে লোক কোন কিছু দান করে খোঁটা দেয়, যে লোক মিথ্যা শপথ করে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করে এবং যে ব্যক্তি পায়ের গিটের নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরে’।[11]‘হে বিশ্বাসীগণ! খোঁটা দিয়ে ও কষ্ট দিয়ে তোমরা তোমাদের দানগুলিকে বিনষ্ট কর না। সেই ব্যক্তির মত, যে তার ধন-সম্পদ ব্যয় করে লোক দেখানোর জন্য এবং সে আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে না। ঐ ব্যক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ প্রস্তরখন্ডের মত, যার উপরে কিছু মাটি জমে ছিল। অতঃপর সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হ’ল ও তাকে পরিষ্কার করে রেখে গেল। এভাবে তারা যা কিছু উপার্জন করে, সেখান থেকে কোনই সুফল তারা পায় না। বস্ত্ততঃ আল্লাহ অবিশ্বাসী সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না’ (বাক্বারাহ ২/২৬৪)।
পরিশেষে বলব, দান-ছাদাক্বার ক্ষেত্রে উপরোক্ত আদব বা শিষ্টাচার মেনে চলা যরূরী। এর মাধ্যমে দাতা ইহকালে যেমন সুফল পাবে, তেমনি পরকালীন জীবনে অশেষ ছওয়াব লাভ করবে। আর গ্রহীতা এর দান গ্রহণ করে সচ্ছল জীবন যাপন করতে পারবে। ফলে সে দাতার জন্য কল্যাণের দো‘আ করবে। তাই দান-ছাদাক্বার আদব সকলকে মেনে চলা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী আদব বা শিষ্টাচার মেনে চলার তাওফীক্ব দান করুন-আমীন!
[1]. মুসলিম হা/১০১৫; মিশকাত হা/২৭৬০।
[2]. ছহীহ আত-তারগীব হা/১৭২১।
[3]. আবূ দাউদ হা/১৬০৮; নাসাঈ হা/২৪৯২, ‘যাকাত’ অধ্যায়; ইবনু মাজাহ হা/১৮২১ ‘যাকাত’ অধ্যায়, সনদ হাসান।
[4]. বুখারী হা/১; মুসলিম হা/৮; মিশকাত হা/১।
[5]. বুখারী হা/৫৬; আবু দাউদ হা/২৮৬৪; মিশকাত হা/৩০৭১।
[6]. বুখারী হা/৯১; বুখারী হা/১৪২৩; মুসলিম হা/১০৩১; মিশকাত হা/৭০১ ‘মসজিদ সমূহ’ অনুচ্ছেদ।
[7]. মুসলিম হা/২৬২৬; মিশকাত হা/১৯১০।
[8]. ছহীহ আত-তারগীব হা/২৬৮৬।
[9]. ইবনু মাজাহ হা/১৮৪৪; নাসাঈ হা/২৫৮২; মিশকাত হা/১৯৩৯; ইরওয়া হা/৮৮৩।
[10]. বুখারী হা/১৪১৯; মুসলিম হা/১০৩২; মিশকাত হা/১৮৬৭।
[11]. মুসলিম হা/১০৬; নাসাঈ হা/৫৩৩৩।