অমেলর (Acid) সঙ্গে ক্ষারের একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ রয়েছে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় Affinity (আসক্তি)। গবেষণায় জানা যায়, নারীর শরীর অম্লীয় বা এসিড ধর্মী। ফলে তারা অম্ল তথা টক খেতে বেশী পসন্দ করে। তাদের শরীরের কোমলত্ব, সৌন্দর্য ও লাবণ্যের মূল কারণ এই অম্লত্ব। পক্ষান্তরে পুরুষের শরীর ক্ষারীয়। ফলে তারা ক্ষার জাতীয় বস্ত্ত তথা মিষ্টি বেশী খেতে পসন্দ করে। এসিডের সাথে ক্ষারের যেমন একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ রয়েছে, যা তীব্র এবং সূক্ষ্ম। তেমনি ক্ষারধর্মী শরীর ও অম্লধর্মী শরীরের মধ্যে একটা প্রাকৃতিক তীব্র আকর্ষণ রয়েছে।[1] নারী ও পুরুষের এই আকর্ষণ প্রকৃতিগত। তাইতো ইসলামী শরী‘আত বেগানা নারী-পুরুষদের পরস্পরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পর্দার বিধান নাযিল করেছে। কিন্তু এই পর্দা আসলে কি?
আমরা অনেক সময় ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে, বিতর্কের মঞ্চে, রাস্তা-ঘাটে বিভিন্ন স্থানে কতক নারীকে দেখতে পাই যারা টি শার্টের সাথে জিন্স পরিহিতা। তবে তাদের অনেকের মাথায় থাকে বাঁধাকপি ডিজাইনের হিজাব প্যাঁচানো। আবার অনেক সময় দেখতে পাই আপাদমস্তক জিলবাবে আবৃত কিছু নারী, পর্দার কারণে বাইরে থেকে যাদের সঠিক বয়স ঠাওর করা যায় না। কারো কারো মতে, কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই পর্দা করতে হয়। আবার কেউবা মনে করে পর্দা তো শুরুই হয় বিয়ের পর। তাই পর্দার ব্যাপারটা তারা গুরুত্বের সাথে দেখে না। সমাজের একশ্রেণীর মানুষকে আমরা দেখতে পাই, যারা পর্দা পালন করতে অন্য সবকিছু বিসর্জন দেয়। আবৃত করে নেয় নিজেকে চার দেয়ালের ভিতরে। অনেক সময় জ্ঞান অর্জন থেকেও তারা পিছিয়ে থাকে। একই সমাজে আরও এক বিশেষ শ্রেণীর মানুষ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। যারা পর্দাকে শুধু বুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে। তাদের কাছে মনের পর্দাই বড় পর্দা। পোষাকের ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ কোন খেয়াল নেই। তাদের ধারণা ঐসব ঢিলা-ঢালা পোষাক তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। ক্যারিয়ার গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাইতো বাহারি পোষাকে নিজেকে সজ্জিত করে, পর্দাকে তারা শুধুমাত্র মনের আসনেই বসিয়ে রেখেছে।
একই সমাজে বসবাসকারী মানুষের মাঝে পর্দার এতো রূপভেদ কেন? কেনইবা মানুষের চিন্তাধারার এতো অমিল? এ ব্যাপারে প্রথমেই যে দিকটি আলোকপাত করা যায়, তা হ’ল পশ্চিমা সংস্কৃতির কুপ্রভাব।
আমাদের সমাজের নারীদের মধ্যে পশ্চিমা সংস্কৃতির চর্চা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। তাদের তৈরী যে কোন স্টাইলিশ পোষাক এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হ’ল, নারীদের পর্দার সবচেয়ে বড় হাতিয়ারকেও তারা ফ্যাশন বানিয়ে ছেড়েছে। পর্দার নামে বাযারে তাদের তৈরী বাহারি ডিজাইনের বোরক্বা পাওয়া যায়। যাতে নারীদের শরীরের আকৃতি খুব সহজেই অন্যের দৃষ্টিগোচর হয়। ফলে পর্দার আসল উদ্দেশ্য বিনষ্ট হয়। চিপাচাপা বোরক্বাগুলোকে ঢাল বানিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় তারা সাধারণ মানুষের ঈমান হরণের প্রথম অস্ত্র বানিয়েছে। এভাবে সাধারণ মুসলিমরা খুব সহজেই তাদের ফাঁদে পা রাখছে। তাদের অনুসরণে হিজাবে আবৃত কিছু কিছু নারী কড়া বডি স্প্রে মেখে রাস্তায় বেরুচ্ছে।
পশ্চিমারা মঞ্চ থেকে মিডিয়া সর্বক্ষেত্রেই নারীদের পদচারণা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা নারী স্বাধীনতার নামে নারীদের পণ্য বানাচ্ছে। বিভিন্ন কসমেটিকস-এর গায়ে নারীদের অশালীন ছবি থেকে সংবাদ পাঠের সেই অর্ধ নগ্ন নারী ঘোষিকার দিকে তাকিয়ে অভ্যস্ত আমরাও ভুলে গেছি পর্দার আসল রূপ। কর্পোরেট দুনিয়ায় সেই প্রতিষ্ঠিত নারীদের দিকে তাকালে সাধারণ নারীদের মনে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, আসলেই পর্দা ক্যারিয়ার গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে না তো? নারীদের বন্দী করে রাখছে না তো?
বিভিন্ন নারীবাদী বইগুলো পর্দার বিরুদ্ধে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তারা যেভাবে নারী স্বাধীনতার কথা বলে, তাতে সাধারণ মুসলিমরা খুব সহজেই তাদের ফাঁদে পা দেয়। তারা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার ধোয়া তুলে নারীদের ভোগের পণ্য বানাচ্ছে। অথচ আমাদের মতো নারীরাই এই স্বাধীনতার পক্ষ নিয়ে লড়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, আমরা আমাদের জীবন বিধান পবিত্র কুরআনকে নিজের থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছি। ফলে পর্দা সম্পর্কে ভুল ধারণা আমাদের মধ্যে জন্ম নিয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি সঊদী আরবের বাদশাহ প্রিন্স সালমান নারী স্বাধীনতায় কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নারীদের গাড়ি চালানো, তাদের স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখা এমনকি মেয়েদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ারও অনুমতি দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে নারী স্বাধীনতার নামে এই কাজগুলো অত্যন্ত গর্হিত। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে নারীদের অনাবৃত করে বরং পণ্য বানানো হচ্ছে। যা অধিকাংশ নারীই বোধগম্য নয়।
উল্লেখ্য, পর্দাই নারীর সম্মান এবং পর্দা বিধানের মধ্যেই রয়েছে নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা। এক্ষণে পর্দা সংক্রান্ত এই ভুলগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদেরকে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
(১) সঠিক ইসলামী চেতনা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। বুঝিয়ে দিতে হবে পর্দার বিধান নারীদের বন্দী করার জন্য নাযিল হয়নি। বরং নারীদের ভোগের পণ্য থেকে বাঁচাতে পর্দা ফরয করা হয়েছে। পর্দা এসেছে নারীদের আসল মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে। পর্দাই পশ্চিমা দেশগুলোর ভয়াল থাবা থেকে নারীদের রক্ষা করতে পারে। অথচ শর্টকাট পোষাক বা ছোট পোষাক, যাতে শরীরের বেশীর ভাগই অনাবৃত থাকে, তা পরিধান করা পশ্চিমাদের কালচারে পরিণত হয়েছে। তাদের কাছে পেট, পিঠ, উরু খোলা রাখা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। বিজ্ঞাপনগুলো অশালীন সেই নারীদের ছাড়া অচল। ফলে সেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে ইভটিজিং ও ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
অথচ ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে নারীদের আপদমস্তক আবৃত রাখা। আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসূলকে বলেন, ‘হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (আহযাব ৩৩/৫৯)।
এছাড়াও আব্রুর পাশাপাশি পর্দা আমাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত ও দৃষ্টিকে নত রাখতে নির্দেশ দেয়। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতর’ (নূর ২৪/৩০)। তিনি আরো বলেন, ‘আর তুমি মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাযত করে। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে’ (নূর ২৪/৩১)।
এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুমিন নারী-পুরুষ সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দৃষ্টি এবং যৌণাঙ্গের হেফাযতের মাধ্যমে পর্দা রক্ষা সম্ভব। শুধু নারীদের জন্য নয়, পুরুষদের জন্যও বেঁধে দেন কিছু সীমারেখা। কিন্তু পর্দার বিধান লঙ্ঘন করার কারণে আজ রাষ্ট্র ও সমাজে এর ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। দৃষ্টিগোচর হয় ন্যাক্কারজনক ও লোমহর্ষক বহু ঘটনা। মাঝে মাঝে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তার ধারে, কখনোবা স্টেশনের গলিতে, ডাস্টবিনে ব্যাগে ভর্তি পাওয়া যায় ফুটফুটে নবজাতকের বেওয়ারিশ লাশ। অবৈধ গর্ভের ফসল নিষ্পাপ সন্তানকে প্রসবের সাথে সাথেই ছুঁড়ে ফেলা হয় ডাস্টবিনে। এসবই পর্দা বিধান লঙ্ঘন এবং যৌনাঙ্গের হেফাযত না করার বিষময় ফল।
(২) এ কথা বুঝতে হবে এবং বুঝাতে হবে যে, পর্দা নারীদের ক্যারিয়ার গঠনে কখনও বাধা সৃষ্টি করে না। অতীত ইতিহাস থেকে আমরা জানি, ইসলামের স্বর্ণযুগে পর্দা করেও নারীরা জ্ঞান অর্জনে অনেক এগিয়ে ছিলেন। একবার কয়েকজন নারী এসে রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে আবেদন করেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! (জ্ঞানার্জনের জন্য) পুরুষরা আপনার নিকট আমাদের চেয়ে বেশী প্রাধান্য পায়। আপনি আমাদের (জ্ঞানার্জনের) জন্য একটি দিন নির্ধারণ করে দিন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নারীদের জন্য একটি বিশেষ দিন নির্ধারণ করে দেন। যেদিন তিনি তাঁদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে নছীহত করতেন ও নির্দেশনা দিতেন (বুখারী হা/১০১)।
শুধু পর্দার ভুল ব্যাখ্যার কারণেই অনেকে পর্দাকে বন্দীত্ব মনে করে। অনেকেই তার যৌবনে পদার্পণ করা মেয়েটিকেও পর্দা করতে নিরুৎসাহিত করে। মনে রাখা উচিত, প্রয়োজনের তাকীদে পর্দা করেই নারীরা ঘরের বাইরে বেরুবে। কোন অবস্থাতেই পুরুষদের লালসার খোরাক হয়ে বাইরে বেরুবে না। নারীদের যেমন কোমল এবং দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেকারণ তাদের জন্য নিজ গৃহই হচ্ছে উত্তম ও নিরাপদ আবাসস্থল। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করবে। প্রাচীন জাহেলী যুগের নারীদের ন্যায় সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়াবে না’ (আহযাব ৩৩/৩৩)।
অপরদিকে পুরুষদের সৃষ্টি করা হয়েছে নারীদের তুলনায়
শক্তিশালী করে। এজন্য উপার্জন ও সংসার পরিচালনার সব দায়িত্ব তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। তাই বলে ইসলাম নারীকে বন্দী করে রাখে না। প্রয়োজনে নারীরা নিজেকে পর্দায় আবৃত করে নিরাপদ ও পৃথক পরিবেশে চাকুরী করতে পারে। তবে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট সীমারেখার ভিতরে কিছু পুরুষ ব্যতীত সকলের সাথে পর্দা মেনে চলতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যেন তাদের মাথার কাপড় বক্ষদেশে টেনে দেয়। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজ পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগিনীপুত্র, নিজেদের বিশ্বস্ত নারী, অধিকারভুক্ত দাসী, কামনামুক্ত পুরুষ এবং শিশু, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অবহিত নয় তারা ব্যতীত। আর তারা যেন এমন ভাবে চলাফেরা না করে যাতে তাদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়। আর হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে ফিরে যাও, যাতে তোমরা সফলকাম হ’তে পার’ (নূর ২৪/৩১)। উপরোক্ত ব্যক্তিগণ ছাড়া বাকী সবার সাথেই নারীরা নিজেকে আবৃত রাখবে।
(৩) পশ্চিমা সংস্কৃতি পরিহারে আমাদের জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমাদের উচিৎ পশ্চিমাদের তৈরী নগ্ন পোষাক গুলো ছুঁড়ে ফেলে দেয়া। তাদের বিভিন্ন উৎসব-আয়োজন থেকে নিজেদের দূরে রাখা। ভ্যালেন্টাইন্স ডে, থার্টি ফার্স্ট নাইট জাতীয় বেলেল্লাপূর্ণ উৎসবগুলোকে বর্জন করা।
পরিশেষে বলব, পর্দা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের জন্য এক অনন্য সম্মান। যা মূলত ইসলামী শরী‘আতের যথার্থতা, পূর্ণতা ও সর্বকালের জন্য অমোঘ বিধান হওয়ার এক প্রচ্ছন্ন দলীল। পর্দা নারী মর্যাদার প্রতীক। এটি নারীর সম্মান, স্বাধীনতা ও সমাজের পবিত্রতার রক্ষাকবচ। এতে রয়েছে আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের আনুগত্য। পর্দা চরিত্রের পবিত্রতা ও নিষ্কলুষতার মাধ্যম। পর্দা নারীর নারীত্ব, সম্ভ্রম ও মর্যাদার গ্যারান্টি। এটা লজ্জাশীলতা ও সচ্চরিত্রের পরিচায়ক। মানবরূপী শয়তানের দৃষ্টি থেকে রক্ষার অনন্য উপায়। এটা অবৈধ প্রণয়, ধর্ষণ, অশ্লীলতা ও ব্যভিচার দূর করে, নারীর মান ও মূল্য রক্ষা করে। জিনিস যত দামী ও মূল্যবান হয়, তাকে তত গোপনে লুকিয়ে রাখা হয়। যত্রতত্র কাঁচ পাওয়া যায় বলেই তার কোন কদর নেই। কিন্তু কাঞ্চন সর্বত্র পাওয়া যায় না বলেই তার এত কদর। পর্দানশীনা ও সৎকর্মশীলা নারী কাঁচ নয়; বরং সুরক্ষিত মণি-কাঞ্চন স্বরূপ।
পর্দা প্রগতির পথ অবরোধ করতে চায় না; চায় বেলেল্লাপনা ও নগ্নতার পথ রুদ্ধ করতে। পক্ষান্তরে পর্দাহীনতা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা। এটা নগ্নতা, অসভ্যতা, অশ্লীলতা, লজ্জাহীনতা ও ধৃষ্টতা। এটা সাংসারিক অশান্তি, ধর্ষণ, অপহরণ, ব্যভিচার প্রভৃতির ছিদ্রপথ। পর্দাহীনতা কেবল ধর্মীয় শৃঙ্খল থেকে নারীমুক্তি বা নারীস্বাধীনতা নয়, বরং শালীন পোষাক-পরিচ্ছদের আবরণ থেকে নারীর সৌন্দর্য প্রকাশ ও দেহ উন্মুক্ত করণের নামান্তর। পর্দাহীনতা বিজাতীয় ইবলীসী ও জাহেলী প্রথা। বর্তমান যুগের এই নগ্নতা দেখে জাহেলী যুগের পর্দাহীনারাও হয়তো লজ্জা পাবে। অতএব মুসলিম নারীদের এখনই সাবধান হওয়া উচিত। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন-আমীন!
নিশাত তাসনীম
বি.এ (অনার্স), ৩য় বর্ষ, রসায়ন বিভাগ, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর।
[1]. মোঃ সফিকুল ইসলাম ভূঞা, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে পর্দা, (ঢাকা : রাহবার পাবলিকেশন্স) পৃঃ ১১।