ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানুষের জন্ম হ’তে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী শরী‘আত তথা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দিক নির্দেশনা দিয়েছে। মুমিনের সার্বিক জীবন গড়ে উঠবে তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতকে কেন্দ্র করে। প্রতিটি মানব শিশুর জন্মই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টি কৌশলের বহিঃপ্রকাশ। শিশুর জন্ম পিতামাতার জন্য যেমনভাবে আনন্দদায়ক, তেমনি আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ নে‘মত। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ছেলে হোক বা মেয়ে হোক পিতা-মাতার প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হ’ল আল্লাহর প্রতি বিনয় ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলার মাধ্যমে সর্বোচ্চ প্রশংসা জ্ঞাপন করা। অতঃপর শরী‘আত অনুসরণ করে ধাপে ধাপে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা। আলোচ্য নিবন্ধে মুসলিম শিশুর জন্মপরবর্তী পরিচর্যা সম্পর্কে আলোকপাত করা হ’ল।-

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর করণীয়

তাহনীক ও দো‘আ করা : নবজাত শিশুর জন্য প্রথম করণীয় সম্পর্কে আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ فَيُبَرِّكُ عَلَيْهِمْ وَيُحَنِّكُهُمْ، ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে নবজাত শিশুদের নিয়ে আসা হ’ত, তিনি তাদের কল্যাণ ও বরকতের জন্য দো‘আ করতেন এবং তাহনীক করতেন’।[1]

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর খেজুর, মধু বা মিষ্টি জাতীয় কোন খাদ্য বস্ত্ত চিবেয়ে শিশুর মুখে দেওয়াকে তাহনীক বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খেজুর নিয়ে তা চিবিয়ে নরম করে মুখের লালা মিশ্রিত চিবানো খেজুর দিয়ে তাহনীক করতেন। যেমন আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, وُلِدَ لِى غُلاَمٌ، فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم فَسَمَّاهُ إِبْرَاهِيمَ، فَحَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ، وَدَعَا لَهُ بِالْبَرَكَةِ، ‘আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তাকে নিয়ে নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইব্রাহীম এবং খেজুর দিয়ে তার তাহনীক করলেন’।[2]

সুতরাং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মুত্তাক্বী আলেম বা পরহেযগার ব্যক্তির নিকট শিশুকে নিয়ে গিয়ে তাহনীক ও দো‘আ করে নিতে হবে। তাহনীক করার সময় নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করবে, اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِى مَا رَزَقْتَهُمْ، (আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফীমা রাযাক্বতাহুম) ‘হে আল্লাহ তাকে সর্ব বিষয়ে বরকত দান কর এবং যে রিযিক দান করেছ তাতেও বরকত দান কর’।[3]

শিশুর নাম রাখা : সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দ্বিতীয় করণীয় হচ্ছে তার অর্থপূর্ণ ভাল নাম রাখা। বিভিন্ন হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সন্তান জন্মগ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম দিন, দ্বিতীয় দিন, তৃতীয় দিন কিংবা সাত দিনের মধ্যে সুবিধা মত যেকোন দিন নাম রাখতে হয়। নাম রাখার জন্য ৭ম দিনে আক্বীক্বা করা পর্যন্ত বিলম্বিত করার প্রয়োজন নেই। আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, গত রাতে আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে। আমি তার নাম রেখেছি আমার পিতার নামানুসারে ইবরাহীম।[4]

শিশু জন্মগ্রহণের পর বর্জনীয় বিষয়সমূহ :

১. আযান ও ইক্বামত : শিশু জন্মগ্রহণের পর প্রথম করণীয় হিসাবে ডান কানে আযান ও বাম কানে ইক্বামত দিতে হবে অথবা তার কানে আযান দিতে হবে মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলির একটিও ছহীহ নয়। বরং এর কোনটি যঈফ আবার কোনটি মওযূ বা জাল।[5] কেবলমাত্র আযান দেওয়া সংক্রান্ত আবূ রাফে‘ (রাঃ) বর্ণিত অতি প্রসিদ্ধ হাদীছটি সম্পর্কে শায়খ নাছেরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, ‘আমি ইতিপূর্বে আবূ রাফে‘ (রাঃ) বর্ণিত এ হাদীছটি হাসান বললেও এখন আমার নিকট বর্ণনাটি যঈফ হিসাবে স্পষ্ট হয়েছে।[6]

২. জন্মকালীন প্রচলিত কুসংস্কার ও বিদ‘আত : শিশু জন্মগ্রহণের সময় আমাদের দেশে অনেক প্রকার কুসংস্কার প্রচলিত আছে। এর কোনটি শিরক আবার কোনটি বিদ‘আত। যেমন-

(১) প্রসব বেদনায় কষ্ট হ’লে অথবা প্রসবে বিলম্ব হ’লে গর্ভবতীর দেহে তাবীয-কবয বাঁধা। যা সুস্পষ্ট শিরক। বরং এ সময়ে করণীয় হচ্ছে, অভিজ্ঞ ডাক্তার বা ধাত্রীর সাহায্য নেওয়া।

(২) প্রসূতির ঘরে ছেঁড়া জাল, মুড়ো ঝাড়ু, লোহার বস্ত্ত প্রভৃতি টাঙ্গানো।

(৩) শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর জিন-ভূতের আছর বা মানুষের বদ নযর লাগার ভয়ে হাত, পা বা গলায় তাবীয-কবয বেঁধে দেওয়া।

(৪) শিশুকে বদ নযর থেকে রক্ষার জন্য কপালের পাশে কালো ফোঁটা বা টিপ দেওয়া।

(৫) শিশু জন্মের সপ্তম দিনে ‘সাতলা’ অনুষ্ঠান করা।

(৬) শিশু ভূমিষ্ঠের ৪০ দিনে প্রসূতির ‘পবিত্রতা’ অর্জনের জন্য বাড়ী-ঘর ধোয়া-লেপার বিশেষ আয়োজন করা।

যেকোন অবস্থায় সকল প্রকার তাবীয ব্যবহার করা শিরক। সেটা কুরআনের সূরা, আয়াত বা বানোয়াট নকশা দিয়ে লেখা হোক অথবা গাছ-গাছড়া জাতীয় দ্রব্যাদি দিয়ে হোক না কেন। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ عَلَّقَ تَمِيْمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকাল সে শিরক করল’।[7]

করণীয় : বদ নযর থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য রাসূল (ছাঃ) নিম্নোক্ত দো‘আ শিক্ষা দিয়েছেন-أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ- ‘আঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইত্বা-নিন ওয়া হাম্মা-তিন ওয়া মিন কুল্লি ‘আয়নিন লাম্মাহ’। অর্থাৎ আমি আল্লাহর নিকটে পূর্ণ গুণাবলীর বাক্য দ্বারা সকল শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী ও ক্ষতিকর চক্ষু থেকে পরিত্রাণ চাই’।[8] সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য উক্ত দো‘আ ও তৎসঙ্গে সূরা ফালাক্ব ও নাস ৩ বার করে পাঠ করতঃ সকাল-সন্ধ্যায় ঝাড়-ফুঁক করতে হবে। যা বিভিন্ন ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।[9]

আক্বীক্বা করা :

শিশু জন্মের সপ্তম দিনে নবজাতকের পক্ষ থেকে যবহ করা পশুকে আক্বীক্বা বলা হয়। আক্বীক্বা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,كُلُّ غُلاَمٍ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُسَمَّى وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ- ‘প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে শিশুর পক্ষ থেকে পশু যবহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’।[10]

ইমাম খাত্ত্বাবী বলেন, ‘আক্বীক্বার সাথে শিশু বন্ধক থাকে’-একথার ব্যাখ্যায় ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) বলেন, যদি বাচ্চা আক্বীক্বা ছাড়াই শৈশবে মারা যায়, তাহ’লে সে তার পিতা-মাতার জন্য ক্বিয়ামতের দিন শাফা‘আত করবে না’। কেউ বলেছেন, আক্বীক্বা যে অবশ্য করণীয় এবং অপরিহার্য বিষয়, সেটা বুঝানোর জন্যই এখানে ‘বন্ধক’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিশোধ না করা পর্যন্ত আল্লাহর নিকট সে দায়বদ্ধ থাকে’।[11]

মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী বলেন, এর অর্থ এটা হ’তে পারে যে, আক্বীক্বা বন্ধকী বস্ত্তর ন্যায়। যতক্ষণ তা ছাড়ানো না হয়, ততক্ষণ তা থেকে উপকার গ্রহণ করা যায় না’। সন্তান পিতা-মাতার জন্য আল্লাহর বিশেষ নে‘মত।[12] অতএব এজন্য শুকরিয়া আদায় করা কর্তব্য।

অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,مَعَ الْغُلاَمِ عَقِيقَةٌ فَأَهْرِيقُوا عَنْهُ دَمًا وَأَمِيْطُوْا عَنْهُ الْأَذَى- ‘সন্তানের সাথে আক্বীক্বা যুক্ত। অতএব তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর এবং তার থেকে কষ্ট দূর করে দাও (অর্থাৎ তার জন্য একটি আক্বীক্বার পশু যবহ কর এবং তার মাথার চুল ফেলে দাও)।[13]

সপ্তম দিনে আক্বীক্বা দেওয়া সুন্নাত।[14] রাসূল (ছাঃ) তাঁর নাতি হাসান ও হুসাইনের আক্বীক্বা সপ্তম দিনে করেছিলেন।[15] বিশেষ ওযর বশতঃ সপ্তম দিনের পূর্বে বা পরে আক্বীক্বা দেওয়া যাবে।[16]

ইমাম শাফেঈ বলেন, সাত দিনে আক্বীক্বার অর্থ হ’ল, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সাত দিনের পরে আক্বীক্বা করবে না। যদি কোন কারণে বিলম্ব হয়, এমনকি সন্তান বালেগ হয়ে যায়, তাহ’লে তার পক্ষে তার অভিভাবকের আক্বীক্বার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় সে নিজের আক্বীক্বা নিজে করতে পারবে।[17] অতএব শৈশবে কারো আক্বীক্বা না হয়ে থাকলে, তিনি বড় হয়ে নিজের আক্বীক্বা নিজে করতে পারবেন।[18] খ্যাতনামা তাবেঈ মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) বলেন, যদি আমি জানতাম, আমার আক্বীক্বা দেওয়া হয়নি, তবে অবশ্যই আমি নিজেই নিজের আক্বীক্বা করতাম।[19] হাসান বছরী (রহঃ) বলতেন যে, যদি তোমার আক্বীক্বা দেওয়া না হয়, তবে তুমি নিজেই নিজের আক্বীক্বা দাও, যদিও তুমি বয়ঃপ্রাপ্ত হও।[20]

যদি কেউ আক্বীক্বা ছাড়াই মারা যায়, তবে তার আক্বীক্বার প্রয়োজন নেই।[21] আর সামর্থ্য না থাকায় পিতা আক্বীক্বা দিতে ব্যর্থ হ’লে তার উপর কোন দোষ বর্তাবে না।[22]

আক্বীক্বার পশু হারিয়ে গেলে বা মারা গেলে তার বদলে আরেকটি পশু আক্বীক্বা দিবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বাচ্চা আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে’।[23] সেটি যবেহ করার পর যদি আগেরটি পাওয়া যায়, তবে সেটি যবেহ করা যরূরী নয়। এটি কুরবানীর পশুর বিপরীত। কেননা কুরবানীর পশু মারা গেলে বা হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে তার পরিবর্তে অন্য পশু যবেহ করা আবশ্যিক নয়।[24]

আক্বীকার পশু : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةٌ، لاَ يَضُرُّكُمْ أَذُكْرَانًا كُنَّ أَمْ إِنَاثًا- ‘নর হৌক বা মাদী হৌক, ছেলের পক্ষ থেকে দু’টি ছাগল ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল আক্বীক্বা দিতে হয়’।[25]

ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) হাসান ও হুসাইনের পক্ষ থেকে এক একটি করে দুম্বা আক্বীক্বা করেছিলেন।[26] অত্র হাদীছ মতে, পুত্র সন্তানের জন্য একটি দুম্বা বা ছাগল দিয়ে আক্বীক্বা করাও জায়েয প্রমাণিত।[27]

একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীক্বা করা : মাওলানা আশরাফ আলী থানভী প্রণীত ও মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী অনূদিত ‘বেহেশতী জেওর’ নামক বইতে আক্বীক্বা-র মাসআলা নং ২ এ লেখা হয়েছে ‘কিংবা কোরবানীর গরুর মধ্যে ছেলের জন্য দুই অংশ আর মেয়ের জন্য এক অংশ লইবে’।[28]

উপরোক্ত মাসআলার ভিত্তিতেই এদেশের কোন কোন মহলে ৭ ভাগা গরু কুরবানীর একই পশুতে আক্বীক্বার জন্যও ভাগা দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। অথচ এই আমলটি সুন্নাতের সম্পূর্ণ খেলাফ। প্রথমতঃ গরু দ্বারা আক্বীক্বা করা সম্পর্কে যে হাদীছ চালু রয়েছে তা মাওযূ বা জাল।[29] দ্বিতীয়তঃ কুরবানী ও আক্বীক্বা দু’টি পৃথক ইবাদত। কুরবানীর পশুতে আক্বীক্বার নিয়ত করা শরী‘আত সম্মত নয়। এটা এদেশে প্রচলিত ভিত্তিহীন নতুন প্রথা। যা হ’তে বিরত থাকা কর্তব্য।[30]

আক্বীক্বার পশু যবহ করার দো‘আ ও নিয়ম : প্রথমে আক্বীক্বার পশুকে ক্বিবলার দিকে মুখ করে শোয়াতে হবে। মনে মনে আক্বীক্বার নিয়ত বা সংকল্প করতে হবে। গৎ বাঁধা মৌখিক নিয়ত পাঠ করবে না। অতঃপর বলবে,اللَّهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ، عَقِيقَةُ فُلاَنٍ، بِسْمِ اللهِ وَاللهُ أَكْبَرُ، ‘আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা আক্বীক্বাতা ফুলান, বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’। এ সময় ফুলান এর স্থলে শিশুর নাম বলা যাবে। মনে মনে আক্বীক্বার নিয়ত করে কেবল ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে যবেহ করলেও যথেষ্ট হবে।[31]

সপ্তম দিবসে অন্যান্য করণীয় : শিশু জন্মের সপ্তম দিনে আক্বীক্বা করা ছাড়াও নবজাতকের মাথা মুন্ডনের পর চুলের ওযন পরিমাণ রূপা বা রূপার মূল্য পরিমাণ অর্থ ছাদাক্বা করা উত্তম।[32]

ইসলামী নামের গুরুত্ব : সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের জন্য, বিশেষভাবে ঈমানদার মুমিনের ক্ষেত্রে নামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আরও বেশী। আর তা এজন্য যে, সকল শুভ কাজের সূচনা তাকে তার মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ‘নাম’ উচ্চারণ করে তথা ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করতে হয়।

মহান আল্লাহর কাছে নামের গুরুত্ব এত বেশী যে, সর্বপ্রথম আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করে তিনি সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দেন (বাক্বারাহ ২/৩১)। অতঃপর ফেরেশতাদের সামনে সমস্ত জিনিসের নাম বলে দিতে সক্ষম হওয়ায় আদমের শ্রেষ্ঠত্ব ও উচ্চ মর্যাদা নির্ধারিত হয়।

মহান আল্লাহ তাঁর নিজ নামকে এতই ভালবাসেন যে, তিনি বলেন, আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে, সে নামে তাঁকে ডাকো’ (আ‘রাফ ৭/১৮০)। ক্বিয়ামতের ময়দানে সকল বনু আদমকে আল্লাহ বিচারের জন্য সমবেত করে ডাকবেন পিতা ও পুত্রের নাম ধরে।[33]

জগত সংসারে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মাঝে পারস্পরিক পার্থক্য সূচিত হয় নাম দিয়ে। সামাজিক লেন-দেন, দৈনন্দিন কাজ-কর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে একমাত্র নাম দিয়ে। এক কথায় নাম বিহীন মানব সমাজ অচল ও অথর্ব হ’তে বাধ্য। সুতরাং আমরা বলতে পারি বান্দার জন্য উভয় জগতে ‘নাম’ এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু কোন কোন অসচেতন পিতা-মাতা কলিজার টুকরা সন্তানের যদি নাম রাখেন- পচা মিয়া, দুখু মিয়া, ঝড়ু, ধনু, বিষু, মুঙ্গলা, ফেলানী, পুতুল ইত্যাদি তখন শুধু তা অর্থহীন খারাপ নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং সারা জীবন যন্ত্রণাদায়ক অমোচনীয় এক বোঝা বহন করতে হয়, সে দিনের সেই নিষ্পাপ শিশুটিকে।

সুন্দর অর্থপূর্ণ আরবী ভাষার নাম ইসলামী সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নাম দ্বারা মানুষের ধর্ম, বর্ণ-বৈশিষ্ট্য ও আত্মপরিচয় ফুটে ওঠে। নাম দ্বারাই পৃথক জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ পায়। ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ কোন জাতিই মুসলমানদের নামে সন্তানের নাম রাখে না। যেমন কোন হিন্দু বা খৃষ্টান কখনই তার সন্তানের নাম আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান বা ফাতেমা, আয়েশা, রুকাইয়া প্রভৃতি ইসলামী নাম রাখতে অভ্যস্ত নয়। কিন্তু দুঃখজনক যে, মুসলমানরা হিন্দুয়ানী বা খৃষ্টানী নাম রাখতে একটুও লজ্জা পায় না। মুসলমানদের মধ্যে দুলাল, পলাশ, রাহুল, নির্মলা, জ্যোস্না, মৌসুমী, ঝরণা, মিল্টন, রিপন, বুলেট, শেফালী, বাবলু, নদী, সাগর প্রভৃতি অর্থহীন ও বিজাতীয় নাম রাখার প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। কবির ভাষায় বলা যায়-

সাত হাযার মাইল দূর হ’তে এসে রয়েছে তোদের দেশে

কিন্তু পরে না তোদের লেবাস ফিরিছে আপন বেশে।

নাম রাখে না তোদের নামে কভু জন্মিলে সন্তান

এ নহে শুধু মোর মসি গঞ্জনা নিয়ে দেখ সন্ধান।

তবে তুমি ওগো মুসলিম হইয়া কেন আপনহারা

পরগাছা সাজি বিজাতীয় সাজে রয়েছ পাগলপারা।[34]

শিশুর নাম রাখার সময় অবশ্যই বিধর্মীদের অনুকরণ করা যাবে না। ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে ঐ সম্প্রদায়ের মধ্যে গণ্য হবে।[35] অত্র হাদীছ দ্বারা অমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সকল বিষয় পরিত্যাগ করা অপরিহার্য প্রমাণিত হয়। আর নামকরণ বিষয়টি এক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব বহন করে। কেননা ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে তার পিতার নাম সহ ডাকা হবে।

ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ প্রথম ও শেষ দলের সকলকে একত্রিত করবেন। তারপর সেদিন প্রত্যেক খেয়ানতকারী ব্যক্তির জন্য একটি করে পতাকা উত্তোলন করবেন। তারপর বলা হবে এটা অমুকের পুত্র-অমুকের কৃত খেয়ানত।[36]

অর্থহীন নাম পরিহার করতে হবে : প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর সামনে কোন নবাগত লোক আসলে, তিনি তার নাম জিজ্ঞেস করতেন। ভাল নাম হ’লে সন্তুোষ প্রকাশ করতেন। অপসন্দ হ’লে তা পরিবর্তন করে দিতেন। তিনি অশুভ, ঘৃণাদায়ক, অর্থহীন, অতি বিশেষণমূলক ও আত্মঅহংকার প্রকাশ পায় এমন বহু নামের পরিবর্তন করেছেন। যেমন তিনি আসীয়া (বিদ্রোহীনি, পাপিয়সী) নামটি পরিবর্তন করে বললেন, তুমি জামীলা (সুন্দরী)।[37] বাররাহ (অত্যন্ত ধার্মিকা) নাম পরিবর্তন করে তাঁর নাম রাখেন যয়নাব (সুগন্ধময় ফুল)।[38] হাযন (শক্ত মাটি) নাম পরিবর্তন করে নাম রাখেন সাহল (নরম মাটি)।[39] এভাবে নাম পরিবর্তনের কথা বিভিন্ন হাদীছ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।

তাই অর্থহীন নাম আরবী ভাষার হ’লেও তা পরিবর্তন করতে হবে। খাঁটি বাঙ্গালী সাজতে গিয়ে অনেকে পিতৃপ্রদত্ত আরবী নামের সাথে বাংলা নাম মিশ্রণ করে নামকরণ করে থাকেন। যেমন অমিত হাসান, ফটিক রহমান, অনিক মাহমূদ, শুভ রহমান ইত্যাদি। ইদানীং কেউ কেউ পিতৃপ্রদত্ত আরবী নাম বিকৃত আকারে প্রকাশ করছেন। যেমন মালেক মেহমুদ, শফিক রেহমান, রেহমান সোবহান ইত্যাদি। এভাবে রহমানকে রেহমান, মাহমূদকে মেহমুদ উচ্চারণ করা গুরুতর অপরাধ।

প্রচলিত আরবী ভুল নাম : বাংলাদেশে মুসলিম সমাজে প্রচলিত সব আরবী নামই কিন্তু নির্ভুল নয়। যেমন আল্লাহ ব্যতীত নবী ও রাসূল, পীর, ইমাম প্রভৃতি মাখলূকের নামের পূর্বে আরবী ‘গোলাম’ এবং ফার্সী শব্দ ‘বখ্শ’ (দান) যোগ করে নামকরণ করা। যা শিরক। যেমন আব্দুন্নবী (নবীর দাস), আব্দুর রাসূল (রাসূলের দাস), গোলামুন্নবী (নবীর দাস), গোলাম রাসূল (রাসূলের দাস), গোলাম মুহাম্মাদ (মুহাম্মাদের দাস), গোলাম মুছতফা (মুছতফার দাস), আলী বখশ (আলীর দাস), মাদার-বখশ (মাদার বা পীরের দান), গোলাম মহিউদ্দীন (মহিউদ্দীনের দাস), গোলাম হোসায়েন (হোসায়েনের দাস) প্রভৃতি।

যেসব নাম রাখা সর্বোত্তম : ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, মহীয়ান-গরিয়ান আল্লাহর নিকটে তোমাদের নামগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রিয়তম নাম হ’ল আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান।[40] তদ্রূপ ‘আসমাউল হুসনা’ (আল্লাহর সুন্দর নাম সমূহ)-এর পূর্বে ‘আব্দ’ শব্দ যোগ করে নাম রাখা হ’লে তা উক্ত হাদীছের মর্মানুযায়ী আল্লাহর নিকট প্রিয় ও পসন্দনীয় হবে ইনশাআল্লাহ। কারণ তাতে আল্লাহর দাসত্ব প্রকাশ পায়।

নাম রাখার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নবীদের নামে নাম রাখ, আল্লাহর কাছে প্রিয় নাম হ’ল আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। সবথেকে যথার্থ নাম হ’ল হারেছ (পরিশ্রমী), হাম্মাম (আগ্রহশীল)। সর্বাধিক নিকৃষ্ট নাম হ’ল হারব (যুদ্ধ) ও মুররা (তিক্ত)।[41]

নাম রাখার ক্ষেত্রে আরো কিছু লক্ষণীয় বিষয়-

(ক) আল্লাহর গুণবাচক নামের সাথে ‘আব্দ’ (দাস) শব্দ যুক্ত করে নাম রাখা উত্তম। যথা আব্দুল মালেক (মহাপ্রভুর দাস), আব্দুল খালেক (সৃষ্টিকর্তার দাস), আব্দুল গাফফার (মহা ক্ষমাশীলের দাস) ইত্যাদি।

(খ) ইসলামী ভাল নামের ক্রমানুসারে নবী-রাসূলদের নামের পরেই রাসূলে করীম (ছাঃ)-এর সাহচর্য ধন্য ইমলামের অগ্রগামী দল মহান ছাহাবীদের নামের মালা। যে মালার প্রতিটি পুষ্প ছিল ফুটন্ত গোলাপ। যার সুবাস ও সুঘ্রাণ মুমিনের মনকে করে তোলে আমোদিত। ছাহাবীগণের নামে নাম রাখা নিঃসন্দেহে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও অনুপম ভালবাসারই বহিঃপ্রকাশ। সুতরাং শিশুর নামকরণের সময় মহান ছাহাবীগণের নাম হ’তে সন্তানের নাম নির্বাচন করা উত্তম। মোদ্দাকতঅ, শিশুর নামকরণের সময় সমাজে প্রচলিত নাম সমূহের ‘তাক্বলীদ’ বা অন্ধ অনুকরণ না করে বিশ্বস্ত ও অভিজ্ঞ আলেম ব্যক্তির নিকট থেকে অর্থপূর্ণ ইসলামী নাম জেনে নিয়ে সন্তানের নাম রাখা।

পরিশেষে বলতে চাই, শিশুর প্রতিপালন ও পরিচর্যা করা প্রতিটি পিতা-মাতার নৈতিক দায়িত্ব ও ছওয়াবের কাজ। তেমনি শিশুর পরিচর্যার পশাপাশি তার সুন্দর নাম রাখা, আক্বীক্বা করা, মাথা মুন্ডন করে চুলের ওযনে ছাদাক্বাহ করা ইত্যাদি কাজগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন করা কর্তব্য। অতঃপর শিশুকে ইসলামী আদর্শে গড়ে তোলার জন্য কুরআন-হাদীছের নির্দেশ মেনে চলা যরূরী। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন-আমীন!!

অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদ

 মোহনপুর, রাজশাহী।

[1]. মুসলিম হা/২৮৬; মিশকাত হা/৪১৫০

[2]. বুখারী হা/৫৪৬৭; মুসলিম হা/২১৪৫

[3]. বুখারী হা/৪৯৬০; মিশকাত হা/৩৯৭২

[4]. মুসলিম হা/২৩১৪; আবূ দাঊদ হা/৩১২৬

[5]. সিলসিলা যঈফাহ হা/৩২১, হা/৬১২১

[6]. সিলসিলা যইফাহ হা/৬১২১

[7]. আহমাদ হা/১৭৪৫৮

[8]. বুখারী হা/৩৩৭১; মিশকাত হা/১৫৩৫।

[9]. মুসলিম হা/২২০০; মিশকাত হা/৪৫৩০, ‘চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক’ অধ্যায়

[10]. আবূ দাঊদ হা/২৮৩৯; ইবনু মাজাহ হা/৩১৬৫; মিশকাত হা/৪১৫৬

[11]. নায়লুল আওত্বার ৬/২৬০ পৃ. ‘আক্বীক্বা’ অধ্যায়।

[12]. মিরক্বাত শরহ মিশকাত (দিল্লী ছাপা : তাবি) ‘আক্বীক্বা’ অনুচ্ছেদ হা/৪১৫৩-এর ব্যাখ্যা।

[13]. বুখারী হা/৫৪৭২; মিশকাত হা/৪১৪৯ ‘যবহ ও শিকার’ অধ্যায়, ‘আক্বীক্বা’ অনুচ্ছেদ।

[14]. আবুদাঊদ হা/২৮৩৮।

[15]. ছহীহ ইবনু হিববান হা/৫৩১১, সনদ হাসান

[16]. নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৪৩১; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৫/২২৯।

[17]. নায়লুল আওত্বার ৬/২৬১ পৃ.।

[18]. ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ক্রমিক ১৫৩, ২৫/২২২ পৃ.; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৬/২৬৫-৬৬ পৃ.।

[19]. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা হা/২৪৭১৮

[20]. ছহীহাহ হা/২৭২৬-এর আলোচনা।

[21]. নায়লুল আওত্বার ৬/২৬১ পৃ. ‘আক্বীক্বা’ অধ্যায়।

[22]. ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ক্রমিক ১৫৪, ২৫/২২২ পৃ.।

[23]. আবুদাঊদ হা/২৮৩৭; মিশকাত হা/৪১৫৩; আত-তাহরীক, মে ২০০৯, ১২/৮ সংখ্যা, প্রশ্নোত্তর ৬/২৮৬।

[24]. মির‘আত ৫/১১৯।

[25]. আবুদাঊদ হা/২৮৩৪, ২৮৪২; তিরমিযী হা/১৫১৩; ইবনু মাজাহ হা/৩১৬৩; মিশকাত হা/৪১৫২, ৪১৫৬; ইরওয়া হা/১১৬৬।

[26]. বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৯৭৬; হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/৪১৫৫

[27]. মাসায়েলে কুরবানী, পৃ. ৪৯

[28]. বঙ্গানুবাদ বেহেশতী জেওর, ৩য় খন্ড, (ঢাকা : এমদাদিয়া লাইব্রেরী), ৩০০ পৃ.

[29]. হা.ফা.বা. প্রকাশিত বই মাসায়েলে কুরবানী, পৃ. ৪৯

[30]. মাসিক আত-তাহরীক, নভেম্বর ২০০৮, পৃ. ৫৫ প্রশ্নোত্তর পর্ব

[31]. মাসায়েলে কুরবানী পৃ. ৫০

[32]. মাসায়েলে কুরবানী পৃ. ৪৭

[33]. বুখারী হা/৬১৭৮; মুসলিম হা/১৭৩৫

[34]. মুক্তির সন্ধান, মুহাম্মাদ দুররুল হুদা আইউবী।

[35]. বঙ্গানুবাদ বুলুগুল মারাম, ২য় খন্ড, ৪২০ পৃ. হা/১৪৭২

[36]. বুখারী হা/৬১৭৮; মুসলিম হা/১৭৩৫

[37]. মুসলিম হা/২১৩৯

[38]. বুখারী হা/৬১৯২

[39]. বুখারী হা/৬১৯৩

[40]. মুসলিম হা/৪৭৫২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৫৫৬

[41]. বুখারী, আদাবুল মুফরাদ হা/৮১৪, ৮৩৭; মুসলিম হা/১২৩৫






বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
ইসলামে ভ্রাতৃত্ব (২য় কিস্তি) - ড. এ এস এম আযীযুল্লাহ
ইসলামে ভ্রাতৃত্ব (৩য় কিস্তি) - ড. এ এস এম আযীযুল্লাহ
জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপনের আবশ্যকতা (৩য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
পবিত্র কুরআনের ১৩৭০ বছর আগের কয়েকটি পৃষ্ঠা উদ্ধার
ফৎওয়া : গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও বিকাশ (৪র্থ কিস্তি) - ড. শিহাবুদ্দীন আহমাদ, শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, রাজশাহী
হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. হ্যানিম্যান ও তার ইসলাম গ্রহণ - ডা. এস.এম. আব্দুল আজিজ
হজ্জ : গুরুত্ব ও ফযীলত - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
ইখলাছ মুক্তির পাথেয় (৩য় কিস্তি) - আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
আল-কুরআনের আলোকে জাহান্নামের বিবরণ (শেষ কিস্তি) - বযলুর রশীদ
কুরআনের বঙ্গানুবাদ, মুদ্রণ প্রযুক্তি ও ঊনিশ শতকের মুসলিম সমাজে এর প্রভাব - আসাদুল্লাহ আল-গালিব (শিক্ষার্থী, ইংরেজী বিভাগ, ২য় বর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন - মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান
হজ্জের ক্ষেত্রে প্রচলিত কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি - মুহাম্মাদ ইমদাদুল্লাহ
আরও
আরও
.