পর্ব ১। পর্ব ২ । পর্ব ৩ 

(7) عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَسْوَدِ الْعَامِرِىُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم حَجَّتَهُ، فَصَلَّيْتُ مَعَهُ صَلاَةَ الصُّبْحِ فِى مَسْجِدِ الْخَيْفِ. قَالَ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ وَانْحَرَفَ إِذَا هُوَ بِرَجُلَيْنِ فِى أُخْرَى الْقَوْمِ لَمْ يُصَلِّيَا مَعَهُ فَقَالَ : عَلَىَّ بِهِمَا، فَجِىءَ بِهِمَا تُرْعَدُ فَرَائِصُهُمَا فَقَالَ: مَا مَنَعَكُمَا أَنْ تُصَلِّيَا مَعَنَا؟ فَقَالاَ: يَا رَسُولَ اللهِ! إِنَّا كُنَّا قَدْ صَلَّيْنَا فِى رِحَالِنَا. قَالَ: فَلاَ تَفْعَلاَ إِذَا صَلَّيْتُمَا فِى رِحَالِكُمَا ثُمَّ أَتَيْتُمَا مَسْجِدَ جَمَاعَةٍ فَصَلِّيَا مَعَهُمْ فَإِنَّهَا لَكُمَا نَافِلَةٌ-

(৭) ইয়াযীদ ইবনুল আসওয়াদ আল-আমেরী (রাঃ) স্বীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে আমি হজ্জে হাযির ছিলাম। তাঁর সঙ্গে মসজিদে খায়ফে ফজরের ছালাত আদায় করলাম। ছালাত শেষে তিনি যখন ফিরলেন তখন শেষ প্রান্তে দুই ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন, তারা তাঁর সঙ্গে ছালাত আদায় করেনি। তিনি বললেন, এদেরকে আমার কাছে নিয়ে এসো। তাদের নিয়ে আসা হ’ল। তখন ভয়ে তাঁদের ঘাড়ের রগ পর্যন্ত কাঁপছিল। তিনি তাদের বললেন, আমাদের সঙ্গে ছালাত আদায় করতে তোমাদেরকে কিসে বাধা দিল? তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমরা আমাদের বাড়িতে ছালাত পড়ে নিয়েছিলাম। তিনি বললেন, এরূপ করবে না। যদি তোমাদের বাড়িতে ছালাত পড়ে মসজিদে জামা‘আতে আস, তবে তাদের সঙ্গে জামা‘আতে শরীক হয়ে যেও। তোমাদের জন্য তা নফল হিসাবে গণ্য হবে’।[1] অত্র হাদীছে জামা‘আতে ছালাতের গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখেই রাসূল (ছাঃ) তাদেরকে জামা‘আতে শরীক হওয়ার নির্দেশ দিলেন।

(8) عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ لِي رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَضَرَبَ فَخِذِي،‏ كَيْفَ أَنْتَ إِذَا بَقِيتَ فِي قَوْمٍ يُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا،‏ قَالَ مَا تَأْمُرُ قَالَ صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا ثُمَّ اذْهَبْ لِحَاجَتِكَ فَإِنْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ وَأَنْتَ فِي الْمَسْجِدِ فَصَلِّ-

(৮) আবূ যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) আমার উরুদেশে হাত মেরে বললেন, যদি তুমি এমন লোকের মধ্যে বেঁচে থাক যারা সঠিক সময় থেকে ছালাতকে পিছিয়ে দিবে তখন তুমি কি করবে? তিনি বললেন, আপনি যা আদেশ করবেন। তিনি বললেন, তুমি সময়মত ছালাত আদায় করে নিবে। তারপর তোমার প্রয়োজনে যাবে। যদি ছালাত আরম্ভ হয় আর তুমি মসজিদে থাক, তাহ’লে তাদের সাথে ছালাত আদায় করবে’।[2] মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, وَاجْعَلُوْا صَلاَتَكُمْ مَعَهُمْ سُبْحَةً ‘আর তোমরা তাদের সাথে তোমাদের জামা‘আতে ছালাতকে নফল বানিয়ে নাও’।[3] তিনি আরো বলেন, وَإِذَا كُنْتُمْ ثَلاَثَةً فَصَلُّوْا جَمِيْعًا وَإِذَا كُنْتُمْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَلْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ- ‘তোমরা যখন তিনজন অবস্থান করবে তখন জামা‘আতবদ্ধভাবে ছালাত আদায় করবে। আর তিনের অধিক থাকলে তোমাদের একজন ইমামতি করবে’।[4]

(9) عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَبْصَرَ رَجُلاً يُصَلِّى وَحْدَهُ فَقَالَ : أَلاَ رَجُلٌ يَتَصَدَّقُ عَلَى هَذَا فَيُصَلِّىَ مَعَهُ-

(৯) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এক ব্যক্তিকে (জামা‘আতের পর) একাকী ছালাত আদায় করতে দেখে বলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই কি- যে এই ব্যক্তিকে ছাদাক্বা দিয়ে তার সাথে একত্রে ছালাত পড়তে পারে’?[5] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, জনৈক ছাহাবী মসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন রাসূল (ছাঃ) তাঁর ছাহাবীদের নিয়ে যোহরের ছালাত জামা‘আতে সম্পাদন করে নিয়েছেন। রাসূল তাকে একাকি দেখে বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, তার সাথে ছওয়াব লাভের ব্যবসায় লিপ্ত হবে? তখন একজন ছাহাবী দাঁড়িয়ে তার সাথে জামা‘আতে ছালাত আদায় করলেন।[6] তিনি আরো বললেন, এ দু’জনই জামা‘আত।[7] জামা‘আতে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব অধিক বলেই রাসূল (ছাঃ) জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ব্যবস্থা করে দিলেন।

(10) عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ السُّوَائِىِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَلاَ تَصُفُّوْنَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى؟ قَالَ قُلْنَا: يَا رَسُوْلَ اللهِ! وَكَيْفَ تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا؟ قَالَ يُتَمِّمُوْنَ الصُّفُوْفَ الأُوَلَ وَيَتَرَاصُّونَ فِى الصَّفِّ-

(১০) জাবের ইবনু সামুরাহ সুয়াঈ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ বললেন, ‘ফেরেশতামন্ডলী যেরূপ তাদের প্রভুর নিকট সারিবদ্ধ হন, তোমরা কি সেরূপ সারিবদ্ধ হবে না? আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আললাহর রাসূল (ছাঃ)! ফেরেশতামন্ডলী তাদের প্রভুর নিকট কিরূপ সারিবদ্ধ হন? তিনি বললেন, প্রথম সারিগুলো পূর্ণ করেন এবং সারিতে ঘন হয়ে দাঁড়ান’।[8] অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) জামা‘আতে ছালাতের কাতারকে রবের সামনে ফেরেশতামন্ডলীর কাতারের সাথে তুলনা করেছেন। যা একাকি ছালাত আদায়ে সম্ভব নয়।

(11) عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى فِى أَصْحَابِهِ تَأَخُّرًا فَقَالَ لَهُمْ: تَقَدَّمُوْا فَائْتَمُّوْا بِىْ وَلْيَأْتَمَّ بِكُمْ مَنْ بَعْدَكُمْ لاَ يَزَالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُوْنَ حَتَّى يُؤَخِّرَهُمُ اللهُ-

(১১) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর ছাহাবীদেরকে ছালাতের কাতার হ’তে পশ্চাৎগামী দেখে বললেন, ‘তোমরা প্রথম কাতারে এসো এবং আমার অনুসরণ কর। অতঃপর পরবর্তী লোকেরাও তোমাদের অনুসরণ করবে। এক শ্রেণীর লোক সবসময় সামনের কাতার থেকে পিছনে থাকবে। মহান আল্লাহও তাদেরকে পিছনে ফেলে রাখবেন’।[9] অর্থাৎ তোমরা ছালাতের পিছনের কাতার পসন্দ করলে আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর রহমত, দয়া, উঁচু মর্যাদা, জ্ঞান ও জান্নাত প্রাপ্তি হ’তে পশ্চাৎগামী করে দিবেন’।[10] লক্ষ্যণীয় যে, জামা‘আতে উপস্থিত হয়েও অলসতা করে পিছনের কাতারে দাঁড়ানোর কারণে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তি হ’তে বঞ্চিত হ’তে হবে। তাহ’লে যারা জামা‘আতে ছালাত আদায় করে না তাদের পরিণাম কি হবে?

(12) عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفْضَلُ صَلاَةِ الْمَرْءِ فِىْ بَيْتِهِ إِلاَّ الْمَكْتُوْبَةَ-

(১২) যায়েদ ইবনু ছাবিত (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘ফরয ছালাত ব্যতীত যে কোন ধরনের নফল ছালাত ঘরে পড়াই শ্রেয়’।[11] রাসূল (ছাঃ) নফল ছালাত বাড়িতে আদায়ের অনুমতি দিলেও ফরয ছালাত বাড়িতে আদায়ের কথা বলেননি।

জামা‘আতে ছালাতের গুরুত্বের ব্যাপারে ছাহাবী ও সালাফে ছালেহীনের দৃষ্টিভঙ্গি ও আমল :  

জামা‘আতে ছালাত আদায় অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসূল (ছাঃ) অন্তিম সময়েও জামা‘আতে ছালাত আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে মসজিদপানে বারবার যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ছাহাবী ও সালাফে ছালেহীন সাধ্যমত জামা‘আতে ছালাত আদায় করেছেন। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হ’ল।-

عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ : مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يَأْتِهِ، لَمْ تُجَاوِز صَلاَتُهُ رَأْسَهُ إِلاَّ بِالْعُذْرِ-

আলী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আযান শুনার পরও বিনা ওযরে জামা‘আতে আসল না, তার ছালাত তার মাথা অতিক্রম করবে না’।[12] অর্থাৎ তার ছালাত কবুল হবে না।

عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ-

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলিম হিসাবে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে পসন্দ করে সে অবশ্যই এই ছালাতসমূহ হেফাযত করবে যেগুলোর জন্য আযান দেওয়া হয়’।[13] অর্থাৎ সে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করবে।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ : كُنَّا إِذَا فَقَدْنَا الرَّجُلَ فِى صَلاَةِ الْعِشَاءِ وَالْفَجْرِ أَسَأْنَا بِهِ الظَّنَّ-

ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কোন লোককে এশা ও ফজরের ছালাতে জামা‘আতে দেখতাম না তখন আমরা তার ব্যপারে খারাপ ধারণা করতাম।[14] আলবানী (রহঃ) বলেন, এর অর্থ হ’ল- সে কোন মন্দ কারণ যেমন- শারীরিক অসুস্থতার কারণে বা তার দ্বীনের ত্রুটির কারণে অনুপস্থিত।[15]

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ : مَنْ سَمِعَ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ فَلَمْ يُجِبْ، فَقَدْ تَرَكَ سُنَّةَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ-

ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাইয়া ‘আলাল ফালাহ-এর আহবান শুনল, অথচ সে আহবানে সাড়া দিল না, সে রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত পরিত্যাগ করল’।[16]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : لأَنْ يَمْتَلِئَ أُذُنُ ابْنِ آدَمَ رَصَاصًا مُذَابًا خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَسْمَعَ الْمُنَادِيَ، ثُمَّ لاَ يُجِيبُهُ-

আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আযান শ্রবণের পর তাতে সাড়া না দিয়ে মসজিদে গমন থেকে বিরত থাকার চেয়ে আদম সন্তানের কান গলানো সীসা দ্বারা পূর্ণ হওয়া উত্তম’।[17]

হুশাইম তার পিতা থেকে বর্ণনা করে বললেন,فَقَدَ عُمَرُ رَجُلاً فِيْ صَلاَةِ الصُّبْحِ فَأَرْسَلَ إلَيْهِ، فَجَاءَ فَقَالَ : أَيْنَ كُنْتَ؟ فَقَالَ : كُنْتُ مَرِيْضًا وَلَوْلاَ أَنَّ رَسُولَك أَتَانِيْ مَا خَرَجْتُ، فَقَالَ عُمَرُ : فَإِنْ كُنْتَ خَارِجًا إلَى أَحَدٍ فَاخْرُجْ إِلى الصَّلاَةِ. ‘একদা ওমর (রাঃ) জনৈক লোককে ফজর ছালাতে জামা‘আতে দেখতে না পেয়ে তাকে ডেকে পাঠালেন। সে আসলে তিনি বললেন, তুমি কোথায় ছিলে? সে বলল, আমি অসুস্থ ছিলাম। আপনার পাঠানো লোক যদি আমার কাছে না আসত তাহ’লে আমি বাড়ি থেকে বের হ’তাম না। তখন ওমর (রাঃ) বললেন, তোমাকে যদি বাইরে বের হ’তেই হয় তাহ’লে ছালাতের জন্য বের হবে’।[18]

عَنْ ابن عمر رضى الله عنهما: خرج عمر يَوْمًا إِلَى حَائِط لَهُ فَرجع وَقد صلى النَّاس الْعَصْر فَقَالَ عمر : إِنَّا لله وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُون فاتتني صَلَاة الْعَصْر فِي الْجَمَاعَة أشهدكم أَن حائطي على الْمَسَاكِين صَدَقَة ليَكُون كَفَّارَة لما صنع عمر رَضِي الله عَنهُ والحائط الْبُسْتَان فِيهِ النخل-

ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ওমর (রাঃ) তাঁর খেজুর বাগানে গেলেন। সেখান থেকে ফিরে এসে দেখলেন লোকেরা আছরের ছালাত পড়ে নিয়েছে। তখন ওমর (রাঃ) ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেঊন পাঠ করে বললেন, জামা‘আতের সাথে আছরের ছালাত আমাকে বঞ্চিত করেছে। (অর্থাৎ আমি আছরের ছালাত জামা‘আতে আদায় করতে পারলাম না!) আমি তোমাদের সাক্ষ্য রেখে বলছি, আমার বাগান মিসকীনদের জন্য ছাদাক্বাহ করে দিলাম, যাতে এটি ওমরের কৃতকর্মের কাফফারা হয়ে যায়। সে বাগানে খেজুর গাছ ছিল’।[19]

عَنْ أَبِى حَثْمَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَدَ سُلَيْمَانَ بْنَ أَبِى حَثْمَةَ فِى صَلاَةِ الصُّبْحِ وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ غَدَا إِلَى السُّوْقِ وَمَسْكَنُ سُلَيْمَانَ بَيْنَ السُّوْقِ وَالْمَسْجِدِ النَّبَوِىِّ، فَمَرَّ عَلَى الشِّفَاءِ أُمِّ سُلَيْمَانَ فَقَالَ لَهَا لَمْ أَرَ سُلَيْمَانَ فِى الصُّبْحِ فَقَالَتْ إِنَّهُ بَاتَ يُصَلِّى فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ. فَقَالَ عُمَرُ: لأَنْ أَشْهَدَ صَلاَةَ الصُّبْحِ فِى الْجَمَاعَةِ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَقُوْمَ لَيْلَةً.

আবু হাছমাহ হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সোলায়মান বিন হাছমাকে ফজর ছালাতের জামা‘আতে দেখতে পেলেন না। আর তিনি সকালে বাজারে গেলেন। অপরদিকে সোলায়মানের বাড়ি ছিল বাজার ও মসজিদে নববীর মধ্যবর্তী স্থানে। তিনি সোলায়মানের মা শিফার পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তাকে বললেন, আমি ফজর ছালাতে সোলায়মানকে দেখলাম না যে? সে উত্তরে বলল, সে রাত জেগে ছালাত আদায় করার কারণে তার ঘুম পেয়ে গিয়েছিল। তখন ওমর (রাঃ) বললেন, আমার নিকট রাত জেগে ইবাদত করা অপেক্ষা ফজর ছালাতে জামা‘আতে উপস্থিত হওয়া অধিক প্রিয়’।[20]

عن عبد الرحمن بن مسور بن مخرمة قال : جَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَوْمًا إِلَى مَنْزِلِ سَعِيدِ بْنِ يَرْبُوعٍ، فَعَزَّاهُ بِذَهَابِ بَصَرِهِ وَقَالَ: لَا تَدَعِ الْجُمُعَةَ، وَلَا الصَّلَاةَ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَيْسَ لِي قَائِدٌ، قَالَ: نَحْنُ نَبْعَثُ إِلَيْكَ بِقَائِدٍ، قَالَ: فَبَعَثَ إِلَيْهِ بِغُلَامٍ مِنَ السَّبْيِ-

আব্দুর রহমান বিন মিসওয়ার (রহঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) সাঈদ বিন ইয়ারবূ‘ (রাঃ)-এর বাড়িতে আসলেন। অতঃপর তার চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, তুমি জুম‘আ ও রাসূল (ছাঃ)-এর মসজিদে ছালাত আদায় পরিহার করবে না। তখন সে বলল, আমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত কেউ নেই। তিনি বললেন, আমরা তোমার নিকট পথ দেখানোর জন্য একজন লোক পাঠিয়ে দিব। এরপর তিনি তার জন্য একজন যুদ্ধবন্দী যুবক পাঠিয়ে দেন’।[21]

নাফে‘ বলেন, أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا فَاتَتْهُ العِشَاءُ فِيْ جَمَاعَةٍ، أَحْيَى بَقِيَّةَ لَيْلتَِهِ– ‘ইবনু ওমর (রাঃ)-এর এশার ছালাতে জামা‘আত ছুটে গেলে তিনি (নিজের শাস্তি স্বরূপ) সারা রাত জেগে ইবাদত করতেন’।[22]

শা‘বী (রহঃ) বলেন, আদী বিন হাতেম (রাঃ) বলেন, مَا أُقِيْمَتِ الصَّلاَةُ مُنْذُ أَسْلَمْتُ إِلاَّ وَأَنَا عَلَى وُضُوْءٍ. مَا دَخَلَ وَقْتُ صَلاَةٍ حَتَّى أَشْتَاقَ إِلَيْهَا. ‘আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর এমন কোন সময় ছালাতের ইক্বামত হয়নি যখন আমি ওযূরত অবস্থায় ছিলাম না। আর যখনই ছালাতের সময় হয়েছে তখনই আমি ঐ দিকে ছুটে গেছি’।[23]

প্রখ্যাত তাবেঈ আসওয়াদ বিন ইয়াযীদ আন-নাখঈ (রহঃ)-এর জামা‘আতে ছালাত ছুটে গেলে তিনি অন্য মসজিদে চলে যেতেন (এবং জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করতেন)।[24]

আনাস বিন মালেক (রাঃ) ছালাত হয়ে গেছে এমন মসজিদে এসে আযান-ইক্বামত দিয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায় করতেন।[25]

ইবনু রজব (রহঃ) বলেন, এখানে দু’টি মাসআলা রয়েছে, (১) যার মসজিদে ছালাতের জামা‘আত ছুটে যাবে এবং যেখানে জামা‘আত করার সুযোগ থাকবে না সে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের জন্য অন্য মসজিদে চলে যাবে। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, নিজ গোত্রের মসজিদে জামা‘আত শেষ হয়ে গেলে জামা‘আতে ছালাত আদায় করার জন্য অন্য মসজিদে চলে যাবে। (২) যে মসজিদে একবার ছালাতের জামা‘আত হয়ে গেছে সে মসজিদে আবারো ইক্বামত দিয়ে জামা‘আত করা যাবে।[26]

হাম্মাদ বিন যায়েদ বলেন, ‘লাইছ বিন আবু সুলাইম (রহঃ) নিজ গোত্রীয় মসজিদে জামা‘আত ছুটে গেলে, তিনি বাহন হিসাবে গাধা ভাড়া করতেন। অতঃপর তাতে আরোহণ করে জামা‘আত না পাওয়া পর্যন্ত মসজিদসমূহ প্রদক্ষিণ করতে থাকতেন’।[27]

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (রহঃ) বলেন, ما أذن مؤذن منذ عشرين سنة إلا وأنا في المسجد ‘বিশ বছর যাবৎ যখনই মুয়াযিযন আযান দিয়েছে তখনই আমি মসজিদে ছিলাম’।[28] অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন,

مَا فَاتَتْنِي التَّكْبِيْرَةُ الْأُولَى مُنْذُ خَمْسِيْنَ سَنَةً وَمَا نَظَرْتُ فِيْ قَفَا رَجُلٍ فِي الصَّلَاةِ مُنْذُ خَمْسِيْنَ سَنَةً-

‘পঞ্চাশ বছর যাবৎ আমার প্রথম তাকবীর ছুটে যায়নি এবং আমি ছালাতরত অবস্থায় কোন লোকের ঘাড়ের পশ্চাৎ দিক দেখিনি’ (অর্থাৎ প্রথম কাতার ব্যতীত ছালাত আদায় করিনি)।[29]

একবার তাঁকে বলা হ’ল- তারেক আপনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে। অতএব আপনি আত্মগোপন করুন। তার জওয়াবে তিনি বললেন, এমন কী গোপন যে, আল্লাহ আমার উপর ক্ষমতা রাখবেন না। তাকে বলা হ’ল, আপনি বাড়িতে অবস্থান করুন। উত্তরে তিনি বললেন, আমি ‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’র আহবান শুনব আর আমি তাতে সাড়া দিব না?[30] জামা‘আতে ছালাত আদায়ের কেমন গুরুত্ব যে হত্যার হুমকি থাকা সত্ত্বেও তিনি মসজিদ ত্যাগ করেননি।

সালাফে ছালেহীন জামা‘আতের সাথে ছালাতে তাকবীরে উলা ছুটে গেলে তারা মনে মনে তিনদিন অনুতপ্ত থাকতেন। আর জামা‘আত ছুটে গেলে তারা সাত দিন অনুতপ্ত থাকতেন’।[31]

আবু হাইয়ান তার পিতা হ’তে বর্ণনা করে বলেন, রাবী‘ বিন খুছয়াম দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে ছালাতে যেতেন। তিনি প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। একদিন তাকে বলা হ’ল- হে আবী ইয়াযীদ! আপনাকে তো এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিনি বললেন,إِنِّيْ أَسْمَعُ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْصَّلَاةِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ تَأْتُوْهَا وَلَوْ حَبْوًا ‘আমি তো হাইয়া ‘আলাছ ছালাহ, হাইয়া ‘আলাল ফালাহর আহবান শুনি। তোমরা সম্ভব হ’লে হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও জামা‘আতে হাযির হবে’।[32]

মুছ‘আব বলেন, প্রখ্যাত তাবেঈ আমের যখন নিজের জীবন নিয়ে খুব আশঙ্কায় ছিলেন তখন মুওয়াযযিনের আযান শুনতে পেয়ে বললেন, আমার হাত ধর (মসজিদে নিয়ে চল)। তাকে বলা হ’ল, আপনিতো অসুস্থ! তিনি বললেন, আমি আল্লাহর ডাক শ্রবণ করব, অথচ সে ডাকে সাড়া দিব না? অতঃপর তারা তার হাত ধরে মসজিদে নিয়ে গেল এবং ইমামের সাথে মাগরিবের ছালাতে শরীক হ’লেন। এরপর এক রাক‘আত ছালাত আদায় করে মারা গেলেন’।[33]

দায়লামী বলেন, ইবনু খাফীফ (রহঃ)-এর মাজায় ব্যথা ছিল। যখন তার ব্যথা উঠে যেত তখন তিনি নড়া-চড়া করতে পারতেন না। যখন ছালাতের জন্য আযান দেওয়া হ’ত তখন তিনি একজন লোকের পিঠে আরোহন করে মসজিদে যেতেন। তাকে বলা হ’ল- আপনি নিজের জন্য বিষয়টি যদি হালকা করে নিতেন (অর্থাৎ বাড়ীতে ছালাত আদায় করতেন)? তিনি বললেন, তোমরা হাইয়া আলাছ ছালাহ-এর আহবান শুনার পরে যদি আমাকে ছালাতের কাতারে দেখতে না পাও, তাহ’লে তোমরা আমাকে কবরস্থানে খুঁজবে’।[34]

ছাহাবী হারেছ বিন হাস্সান (রাঃ) বিয়ে করলেন। তখন নিয়ম ছিল কেউ বিবাহ করলে কয়েকদিন বাড়িতে নিজেকে আবদ্ধ রাখত। ফজর ছালাতের জন্য বের হ’ত না। কিন্তু তিনি ছালাতের জন্য বের হয়ে গেলেন। তাকে বলা হ’ল- আপনি ছালাতের জন্য বের হচ্ছেন অথচ এই রাতেই আপনার স্ত্রীর সাথে বাসর হয়েছে! তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! যে নারী জামা‘আতে ফজরের ছালাত আদায়ে আমাকে বাধা দিবে সে অবশ্যই নিকৃষ্ট নারী’।[35]

সা‘দ বিন ওবায়দা আবু আব্দুর রহমান সুলামী সর্ম্পকে বলেন, ‘তিনি অসুস্থ থাকা অবস্থাতেও তাদেরকে নির্দেশ দিতেন যে, তারা যেন তাকে কাঁদা-মাটি ও বৃষ্টির দিনেও মসজিদে বহন করে নিয়ে যায়’।[36] এখানে লক্ষ্যণীয় যে, দু’দিক থেকে তার মসজিদ ত্যাগ করার অনুমতি ছিল। প্রথমতঃ তিনি অসুস্থ ছিলেন, দ্বিতীয়তঃ বৃষ্টির দিন ছিল। আর এ দু’টি কারণে বাড়ীতে ছালাত আদায়ের অনুমোদন রয়েছে। এরপরেও তিনি মসজিদ ত্যাগ করেননি।

উপরোক্ত হাদীছ ও আছারগুলো থেকে বুঝা যায় যে, জামা‘আতে ছালাত আদায় অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করার তাওফীক দান করুন-আমীন!


[1]. তিরমিযী হা/২১৯; মিশকাত হা/১১৫২; ছহীহুল জামে‘হা/৬৬৬

[2]. মুসলিম হা/৬৪৮; নাসাঈ হা/৮৫৯; ছহীহুল জামে‘ হা/২৩৯৪; মিশকাত হা/৬০০

[3]. মুসলিম হা/৫৩৪, ৬৪৮

[4]. মুসলিম হা/৫৩৪

[5]. আবূদাউদ হা/৫৭৪; মিশকাত হা/১১৪৬; ছহীহুল জামে‘ হা/২৬৫২

[6]. আহমাদ হা/১১০৩২, ১১৮২৫, সনদ ছহীহ

[7]. আহমাদ হা/২২২৪৩।

[8]. আহমাদ হা/২১০৬২; মুসলিম হা/৪৩০; মিশকাত হা/১০৯১

[9]. মুসলিম হা/৪৩৮; মিশকাত হা/১০৯০

[10]. শারহুন্নববী ‘আলা মুসলিম ৪/১৫৯

[11]. বুখারী হা/৭২৯০; মিশকাত হা/১২৯৫

[12]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৪৮৯

[13]. মুসলিম হা/৬৫৪; মিশকাত হা/১০৭২

[14]. মু‘জামুল কাবীর হা/১৩৮৫; ছহীহ তারগীব হা/৪১৭

[15]. ছহীহাহ হা/৩৩৭৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য

[16]. মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৭৯৯০; ছহীহ তারগীব হা/৪৩২

[17]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৭২; ইহইয়াউ ঊলূমিদ্দীন ১/২৮৯

[18]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৪৬২; আহমাদ, ‘কিতাবুছ ছালাত’ ১/১২২; ড. সায়্যিদ বিন হুসাইন আফানী, ছালাহুল উম্মাহ ফী ঊলূবিবল হিম্মাহ ২/৩৬৬

[19]. ইবনু কাছীর, মুসনাদে ফারূক হা/৫২; যাহাবী, কিতাবুল কাবায়ের ১/১৭।

[20]. শু‘আবুল ঈমান হা/২৮৭৭; ছহীহ তারগীব হা/৪২৩; মিশকাত হা/১০৮০

[21]. হাকেম হা/৬০৭৬; কানযুল উম্মাল হা/২৩০৫১

[22]. যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৩/২৩৫; আবু নাঈম, হিলয়াতুল আওলিয়া ১/৩০৩; কান্ধলভী, হায়াতুছ ছাহাবা ৪/২৫২, সনদ ছহীহ

[23]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৩/১৬৪; ইবনুল মুবারক, কিতাবুল যুহুদ হা/১৩০২; ইবনু হাজার, তাহযীবুত তাহযীব

[24]. বুখারী, অধ্যায়-৩০, ৩/৯৪

[25]. বুখারী, ঐ দ্রঃ

[26]. ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ৬/৫; বায়হাকী, সুনানুল কুবরা হা/৪৫৯৫

[27]. মুসনাদ ইবনুল জা‘দ হা/৬১৬; ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ৬/৫

[28]. ইহইয়াউ ঊলূমিদ্দীন ১/২৮৮; যাহাবী, আল-কাবায়ের ১/১৭

[29]. হিলয়াতুল আওলিয়া ২/১৬৩

[30]. কুরতুবী ১৮/২৫১

[31]. ইবনু মুলাক্কিন, বদরুল মুনীর ৪/৪০২; আল-কাবায়ের ১/১৭

[32]. শু‘আবুল ঈমান হা/২৬৬৮; ইহইয়াউ ঊলূমিদ্দীন ১/২৮৮; আল-কাবায়ের ১/১৭

[33]. যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ৮/১৪৩; সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৫/২২০

[34]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১২/৩৪৮; তারীখুল ইসলাম ২৬/৫১০; ইবনুল মুলাক্কিন, ত্বাবাকাতুল আওলিয়া ১/২৯৩

[35]. মু‘জামুল কাবীর হা/৩৩২৪; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/২১৫৮; সনদ হাসান

[36]. ইবনুল মুবারক, কিতাবুয-যুহুদ হা/৪১৯; আল-মাত্বলিবুল আলীয়া ৩/৫৪৯; সনদ ছহীহ।





পথশিশুদের প্রতি সামাজিক দায়িত্ব - মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ
১৬ মাসের মর্মান্তিক কারা স্মৃতি (৭ম কিস্তি) - মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম
সুন্নাত উপেক্ষার পরিণাম - লিলবর আল-বারাদী - যশপুর, তানোর, রাজশাহী
আল-কুরআনে বিজ্ঞানের নিদর্শন (৬ষ্ঠ কিস্তি) - ইঞ্জিনিয়ার আসিফুল ইসলাম চৌধুরী
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত (৯ম কিস্তি) - মুযাফফর বিন মুহসিন
ফৎওয়া : গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও বিকাশ (৫ম কিস্তি) - ড. শিহাবুদ্দীন আহমাদ, শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, রাজশাহী
হতাশার দোলাচলে ঘেরা জীবন : মুক্তির পথ - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব
মুসলমানদের রোম ও কন্সটান্টিনোপল বিজয় (পূর্ব প্রকাশিতের পর) - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
ক্বিয়ামতের আলামত সমূহ (১ম কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
মুসলিম সমাজে মসজিদের গুরুত্ব (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ
সত্য ও মিথ্যার মিশ্রণ - রফীক আহমাদ - বিরামপুর, দিনাজপুর
মীরাছ বণ্টন : শারঈ দৃষ্টিকোণ - ড. শিহাবুদ্দীন আহমাদ, শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, রাজশাহী
আরও
আরও
.