পৃথিবীর স্থলভাগ, জলভাগ এবং মহাশূন্যের ও ভূগর্ভের বিশাল এলাকা, অসীম আকাশমন্ডলী, অগণিত তারকারাজি ও ঊর্ধ্বজগতের সব কর্তৃত্ব আল্লাহর। মহান আল্লাহ তা‘আলা হ’লেন ঐ বিশাল জগত সহ আমাদের অতি ক্ষুদ্র জগতের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক।
পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ বৎসরেও আকাশমন্ডলী, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র ইত্যাদি এক ও অভিন্নভাবে সারা বিশ্বের মানব সম্প্রদায়ের সামনে প্রতিষ্ঠিত আছে। কিন্তু এই লক্ষ লক্ষ বছরেও শত সহস্র কোটি মানুষ অনুরূপ একটি নিদর্শন প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়নি এবং হবেও না কোনদিন। বিশ্বের মানবমন্ডলী এক আসমান ও সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্রের নিদর্শন হ’তেই উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে এক আল্লাহর আহবানে সাড়া দিতে পারে। যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিদর্শন সমূহের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁর প্রতি আনুগত্যশীল ও আত্মসমর্পণকারী হ’তে আদেশ দিয়েছেন। অন্যথা শাস্তির সম্মুখীন হওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। এ শাস্তি আখেরাতের জন্য চিরস্থায়ী। তবে পৃথিবীতে বসবাসকাল হ’তেই তা শুরু হয়ে যেতে পারে। উপরোক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকারকারীদের শাস্তিরও বর্ণনা রয়েছে।
পবিত্র কুরআনের উল্লেখিত ঐতিহাসিক কাহিনী সমূহ, মূলতঃ উম্মতে মুহাম্মাদীর সর্বাঙ্গীন কল্যাণ সাধনের নিমিত্তে নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্য তোমাদের পূর্বে বহু মানবগোষ্ঠীকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমালংঘন করেছিল। অথচ রাসূল তাদের কাছেও এসব বিষয়ের প্রকৃষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তারা ঈমান আনেনি। এভাবে আমি শাস্তি দিয়ে থাকি পাপী বা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়কে। তারপর তোমরা কি কর তা দেখার জন্য আমি তাদের পরে পৃথিবীতে তোমাদেরকে প্রতিনিধি করেছি’ (ইউনুস ১০/১৩-১৪)।
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, ‘যারা আমার নিদর্শনে বিশ্বাস করে, তারা যখন আপনার কাছে আসে তখন আপনি বলে দিন, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমাদের পালনকর্তা রহমত করা নিজ দায়িত্বে লিখে নিয়েছেন যে, তোমাদের মধ্যে যে কেউ অজ্ঞতাবশতঃ কোন মন্দ কাজ করে, অনন্তর এরপরে তওবা করে নেয় এবং সৎ হয়ে যায়, তবে তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, করুণাময়। আর এমনিভাবে আমি নিদর্শন সমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি যাতে অপরাধীদের সামনে পথ প্রকাশিত হয়’ (আন‘আম ৬/৫৪-৫৫)।
মূলতঃ পবিত্র কুরআন ও হাদীছের মূল্যবান উপদেশাবলী নবী করীম (ছাঃ)-এর যুগ ও পরবর্তী সময়কালের জন্য অমূল্য নছীহত হিসাবে সংরক্ষিত। সুতরাং তার ঐতিহাসিক ঘটনাবলী আল্লাহর বান্দাদের জন্য শিক্ষার বিষয়। এখান হ’তে শিক্ষালাভ করে যারা বিশ্বাসী হয়, আল্লাহ তাদের প্রতি সদয় হন এবং তারা সঠিক পথ প্রাপ্ত হয়। কিন্তু যারা তাঁর এই নিদর্শনাবলীকে বিশ্বাস করে না, তারা পূর্ববর্তীদের মতই বিপদ-আপদ ও সঙ্কটজনক বাস্তবতার সম্মুখীন হয়। এ বিষয়েও উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য শিক্ষণীয় ও সতর্কতামূলক প্রত্যাদেশ অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
مَّا أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللهِ وَمَا أَصَابَكَ مِنْ سَيِّئَةٍ فَمِنْ نَّفْسِكَ وَأَرْسَلْنَاكَ لِلنَّاسِ رَسُوْلاً وَكَفَى بِاللهِ شَهِيْداً-
‘আপনার যে কল্যাণ হয়, তা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর আপনার যে অকল্যাণ হয়, সেটা হয় আপনার নিজের কারণে। আর আমি আপনাকে পাঠিয়েছি মানুষের প্রতি আমার পয়গামের বাহক হিসাবে। আর আল্লাহ সব বিষয়েই যথেষ্ট, সব বিষয়ই তাঁর সম্মুখে উপস্থিত’ (নিসা ৪/৭৯)।
অপর এক আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَمَا أَصَابَكُم مِّن مُّصِيْبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيْكُمْ وَيَعْفُوْ عَنْ كَثِيْرٍ- ‘তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন’ (শূরা ৪২/৩০)।
উপরোক্ত আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির কল্যাণকে তাঁর নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। পক্ষান্তরে বান্দার অকল্যাণ, অমঙ্গল বা বিপদ-আপদকে তার কৃতকর্মের ফলাফল বলে অভিহিত করেছেন। এরূপ একটি ইতিহাস যা নবী পূর্ব যুগে সংঘটিত হয়েছিল, তা উল্লেখ করা হ’ল। ঘটনাটি ছিল জনৈক সাধক ব্যক্তির কান্ড। পবিত্র কুরআনে নাম উলেখ ছাড়াই ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অবতীর্ণ হয়েছে। তবে তাফসীরবিদগণের ঐক্যমতে তার নাম ছিল বাল‘আম ইবনে বাউরা। সে অত্যন্ত ধর্মভীরু ও আল্লাহভীরু ছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে এক সময় সে এক চক্রান্তকারী দলের কবলে পড়ে পার্থিব জগতের মোহে আবদ্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি পবিত্র কুরআনের ভাষায় যেভাবে বর্ণিত হয়েছে তা হ’ল, ‘আপনি তাদেরকে শুনিয়ে দিন, ঐ লোকের অবস্থা, যাকে আমি নিজের নিদর্শন সমূহ দান করেছিলাম। অথচ সে তা পরিহার করে বেরিয়ে গেছে। আর তার পেছনে লেগেছে শয়তান। ফলে সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শন সমূহের বদৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হ’ল কুকুরের মত, যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে, আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হ’ল সে সব লোকের উদাহরণ, যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শন সমূহকে। অতএব আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে। তাদের উদাহরণ অতি নিকৃষ্ট, যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার আয়াত সমূহকে এবং তারা নিজেদেরই ক্ষতি সাধন করছে’ (আ‘রাফ ৭/১৭৫-১৭৭)।
উপরোক্ত ঘটনাটি আল্লাহর নিদর্শনপ্রাপ্ত ব্যক্তির পথভ্রষ্টতার নমুনা হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। সে আল্লাহর রহমতে আবৃত ছিল। কিন্তু সে রহমতকে উপেক্ষা করে পার্থিব জগতে আনন্দ ভোগের প্রত্যাশায় শয়তানের আমন্ত্রণে বিবেকের পরিপন্থী পথে ঝাঁপ দিয়ে আল্লাহর রহমত হ’তে চিরতরে বঞ্চিত হয়েছিল। মানুষের দৃষ্টির আড়ালে এরূপ বহু কাহিনী আবহমানকাল ধরে চলে আসছে বিশ্বময়। এতদ্ব্যতীত পৃথিবীর বুকে মানব সম্প্রদায়ের অনাচার, অবিচার, বাড়াবাড়ি বা সীমালংঘনের ফলে পূর্ববর্ণিত পুরাকালের ধ্বংসকাহিনীগুলোর মত কোন ধ্বংসযজ্ঞ বর্তমানে নেই। তবে নবী পরবর্তী যুগেও পূর্বের চেয়ে কিছুটা হাল্কা প্রকৃতির দুর্যোগ মাঝে মাঝে সংঘটিত হয়ে আসছে। অঘোষিত এই সব দুর্যোগের ভয়াবহতা পূর্বের মত না হ’লেও একেবারে কম নয়। এগুলোর মধ্যে ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, সুনামি, হ্যারিকেন ইত্যাদির আঘাতে মাঝে মধ্যে বিশ্বের এখানে সেখানে হাযার হাযার এবং কোন কোন ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ লোক প্রাণ হারাচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, বিগত একশ’ বছরে বিশ্বে প্রায় ১২/১৩টি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সেগুলোর ধ্বংসযজ্ঞ ও ক্ষয়-ক্ষতি অবর্ণনীয়। তন্মধ্যে সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়ায় গত ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৪ইং তারিখের ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামির ধ্বংসলীলা এক বিস্ময়ের বিষয়। এতে প্রায় ২ লক্ষেরও বেশী লোক প্রাণ হারায় এবং আহত হয় প্রায় ৫০ লক্ষ লোক।
গত ৮ই অক্টোবর ২০০৫ইং তারিখে পাকিস্তানের কাশ্মীর অঞ্চলে মারাত্মক ভূমিকম্পে প্রায় ৫০ হাযারের বেশী লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং কয়েক লক্ষ লোক আহত হয়।
ঐসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চলছে অহরহ আকস্মিক দুর্ঘটনা। দিবারাত্রির যেকোন সময় যে কোন দেশে উড়োজাহাজে, ট্রেনে, বাসে, ট্রাকে, মোটর সাইকেলে, স্টীমার, লঞ্চে, নৌকায়, কলকারখানায়, মাটির নীচে খনিতে, পথে-ঘাটে, বাড়ীতে সর্বত্রই দুর্ঘটনা কবলিত বহু মৃত্যুর হাতছানি। এসব আল্লাহর অসীম ক্ষমতার নিদর্শন।
আল্লাহর নিদর্শন অত্যন্ত ব্যাপক অর্থবহুল এবং ইসলামের প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী পরিগ্রহণের এক অসামান্য জ্ঞানভান্ডার। সুতরাং এখান হ’তে লব্ধ জ্ঞান অর্থাৎ আল্লাহর অসীম নিদর্শন হ’তে প্রাপ্ত জ্ঞানে আমাদেরকে এক আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর গৃহীত মহাব্যবস্থার মহাবিচারকে সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করে সেদিনে পরিত্রাণ লাভের আশায় নেক আমল করতে হবে।
এখানে আল্লাহর নিদর্শনে বিশ্বাসী বান্দাদের আনুগত্য বা আত্মসমর্পন সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لاَّ رَيْبَ فِيْهِ إِنَّ اللهَ لاَ يُخْلِفُ الْمِيْعَادَ-
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবেন এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না’ (আলে ইমরান ৩/৯)।
অপর এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, اللهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ لَيَجْمَعَنَّكُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لاَ رَيْبَ فِيْهِ وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللهِ حَدِيْثاً- ‘আল্লাহ ব্যতীত আর কোনই উপাস্য নেই। অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন ক্বিয়ামতের দিন এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তাছাড়া আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা আর কার হবে’ (নিসা ৪/৮৭)।
অতঃপর আল্লাহর নিদর্শনে অবিশ্বাসী পথভ্রষ্ট বান্দাদের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘মানুষ বলে, আমার মৃত্যু হ’লে পর আমি কি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হব? মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে ইতিপূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না। সুতরাং আপনার পালনকর্তার কসম! আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করব, অতঃপর অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চারপাশে উপস্থিত করব। অতঃপর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে যে দয়াময় আল্লাহর সর্বাধিক অবাধ্য, আমি অবশ্যই তাকে পৃথক করে নেব। অতঃপর তাদের মধ্যে যারা জাহান্নামে প্রবেশের অধিক যোগ্য, আমি তাদের বিষয়ে ভালভাবে জ্ঞাত আছি। তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে তথায় পৌঁছবে না। এটা আপনার পালনকর্তার অনিবার্য ফায়ছালা। অতঃপর আমি পরহেযগারদের উদ্ধার করব এবং যালেমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় ছেড়ে দিব’ (মারিয়াম ১৯/৬৬)।
ক্বিয়ামত দিবসের অপর এক বর্ণনায় আল্লাহ বলেন, ‘সেদিন (ক্বিয়ামতের) আল্লাহ তোমাদেরকে সমবেত করবেন। এদিন হার-জিতের দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তার পাপ সমূহ মোচন করবেন এবং তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। যার তলদেশে নির্ঝরিণী সমূহ প্রবাহিত হবে, তারা তথায় চিরকাল বসবাস করবে। এটাই মহাসাফল্য। আর যারা কাফের এবং আমার নিদর্শন সমূহকে মিথ্যা বলে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, তারা তথায় অনন্তকাল থাকবে। কতই না মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল এটা’ (তাগাবুন ৬৪/৯-১০)।
উপরের আলোচনা থেকে একটা বিষয় পরিস্কারভাবে বোঝা যায় যে, আল্লাহর নিদর্শন উপলব্ধি করার জন্যই এ ধরণীর বুকে মানব জাতির আগমন হয়েছে, একদিন তা শেষ হয়ে যাবে। ক্বিয়ামত দিবসের বিচার পর্বের পর নিজ নিজ কর্মফল অনুযায়ী চিরস্থায়ী জান্নাত বা জাহান্নাম হবে পৃথিবীবাসীর অনন্তকালের আবাসস্থল।
বলা আবশ্যক যে, জান্নাত ও জাহান্নামের কোন নিদর্শনই মানুষ দেখেনি। কিন্তু তার বর্ণনাভঙ্গী হ’তেই ধর্মপ্রাণ মানুষের বিচলিত হয়ে পড়ে জাহান্নামের ভয়ে এবং জান্নাতে আশ্রয় লাভের আশায় সঠিক পথ অনুসন্ধান করে। এখানে আরও উলেখ্য, পবিত্র কুরআনই আল্লাহর নিদর্শনের উৎস। সুতরাং পবিত্র কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার ব্রত গ্রহণ করাই মানব জাতির শ্রেষ্ঠ পথ ও পাথেয়। আল্লাহ আমাদের তাওফীক্ব দান করুন-আমীন!
রফীক আহমাদ
শিক্ষক (অবঃ), বিরামপুর, দিনাজপুর।