ভূমিকা :

যেসব আমলের উপকার আমলকারী থেকে অন্য মানুষের মাঝে সঞ্চারিত হয়, আল্লাহ রাববুল ‘আলামীনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ঐ আমলগুলোই অধিক সহায়ক। কারণ এসব আমলের উপকার ও ছওয়াব শুধু আমলকারীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং অন্য মানুষ এমনকি অন্যান্য প্রাণীর মধ্যেও তা সঞ্চারিত হয়। ফলে এ কাজের ফল আমভাবে সবাই ভোগ করে।

এই উপকারী নেক আমলের মধ্যে আবার সেসব আমল আরো বেশী উত্তম, মৃত্যুর পরেও যার ছওয়াবের ধারা বন্ধ হয় না। মৃত্যুর পরে যখন মানুষ কবরে একাকী ও নিঃসঙ্গ অবস্থায় থাকবে, তখন সেসব আমলের ছওয়াব কবরের জীবনে তিনি পেতে থাকবেন। এজন্য যেকোন মুসলিমের কর্তব্য হবে নশ্বর এই দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্বে এমন কিছু আমল রেখে যাওয়া, যা দ্বারা পরবর্তীকালে অন্য মানুষ উপকৃত হবে এবং সেও এর মাধ্যমে কবরে ও পরকালে উপকৃত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِنْدَ اللهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا- ‘বস্ত্ততঃ তোমরা নিজেদের জন্য যতটুকু সৎকর্ম অগ্রিম পাঠাবে, তা আল্লাহর নিকটে পাবে। সেটাই হ’ল উত্তম ও মহান পুরস্কার’ (মুযযাম্মিল ৭৩/২০)

কবি বলেন,

وَكُنْ رَجُلاً إِنْ أَتَوْا بَعْدَهُ + يَقُولُونَ مَرَّ وَهَذَا الأَثَرُ

‘তুমি হও এমন মানুষ, যার পরে অন্য যারা আসবে তারা বলবে,

লোকটা চলে গেছে বটে, তবে রেখে গেছে এই পদচিহ্ন’।

আলোচ্য নিবন্ধে আমরা গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ের নানা দিক তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।-

উপকারী আমলের প্রকারভেদ :

উপকার সাধনের দিক দিয়ে মানুষের আমল দু’প্রকার। (১) ব্যক্তির নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ আমল। আরবীতে বলে ‘আমলে ক্বাছের’ (عمل قاصر) (২) অন্যদের মাঝে সঞ্চারণশীল আমল। আরবীতে বলে ‘আমলে মুতা‘আদ্দী’ (عمل متعدي)। যে আমলের উপকারিতা ও ছওয়াব শুধুই আমলকারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ তা প্রথম শ্রেণীভুক্ত। যেমন- ছালাত, ছিয়াম, ই‘তিকাফ ইত্যাদি। আর যে আমলের উপকারিতা আমলকারী থেকে অন্যদের মাঝে সঞ্চারিত হয়, তা দ্বিতীয় শ্রেণীভুক্ত। এ উপকারিতা ইহলৌকিক হ’তে পারে। যেমন- মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণ করা, অত্যাচারিতকে সাহায্য করা ইত্যাদি। আবার পারলৌকিক হ’তে পারে। যেমন- আল্লাহর দিকে মানুষকে দাওয়াত প্রদান, শিক্ষাদান ইত্যাদি। এ শ্রেণীর আমলকে পরোপকারী আমলও বলা যায়।

উক্ত দু’প্রকার আমলের মধ্যে কোন প্রকার আমল শ্রেষ্ঠ সে সম্পর্কে বিদ্বানগণ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ উপকারী আমল থেকে অন্যদের মাঝে উপকার সঞ্চারণশীল আমল শ্রেষ্ঠ। জনৈক ফক্বীহ এজন্যই বলেছেন, যে ইবাদত অত্যধিক কল্যাণপ্রসূ সেই ইবাদত সর্বোত্তম। কুরআন ও সুন্নাহতে প্রচুর আয়াত ও হাদীছ রয়েছে যাতে মানুষের উপকারে আত্মনিয়োগ করতে বলা হয়েছে, তাদের কল্যাণ করতে প্রেরণা যোগানো হয়েছে এবং তাদের অভাব ও প্রয়োজন মিটাতে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এখানে এমন কিছু হাদীছ তুলে ধরা হ’ল :

(১) আবুদ্দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,إِنَّ فَضْلَ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ- ‘একজন আবেদের উপর একজন আলেমের মর্যাদা ততখানি যতখানি পূর্ণিমা রাতে তারকারাজির উপর চাঁদের মর্যাদা’।[1]

(২) খায়বার যুদ্ধকালে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে বলেছিলেন,لأَنْ يَهْدِىَ اللهُ بِكَ رَجُلاً وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ- ‘যদি তোমার দ্বারা আল্লাহ একজন ব্যক্তিকেও হেদায়াত দান করেন, তবে সেটি তোমার জন্য মূল্যবান লাল উটের (কুরবানীর) চাইতে উত্তম হবে’।[2]

(৩) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا- ‘যে ব্যক্তি হেদায়াত তথা ইসলামের দিকে দাওয়াত দিবে তার ঠিক ততটুকু ছওয়াব মিলবে যতটুকু তার কথা মান্যকারীদের মিলবে। মান্যকারীদের ছওয়াব তাতে মোটেও হ্রাস পাবে না’।[3]

যেসব আমলের উপকার ব্যক্তির নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ, সেসব আমলকারী যখন মারা যায় তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অন্যদের মাঝে সঞ্চারণশীল আমল যিনি করেন মৃত্যুর সাথে সাথে তার আমল বন্ধ হয়ে যায় না।

নবী-রাসূলগণকে পাঠানোর পিছনে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যই ছিল মাখলূকের উপকার সাধন। তাঁরা মানব জাতিকে আল্লাহর পথ দেখিয়ে গেছেন। তাদের জীবন-জীবিকা যাতে কল্যাণময় হয় এবং আখেরাতে তারা উপকৃত হয় সে উপায় তাঁরা বলে গেছেন। তাঁরা মানুষের সংস্রব ত্যাগ করে নির্জনে বসবাস করবেন সেজন্য আল্লাহ পাক তাদের পাঠাননি। এজন্যই নবী করীম (ছাঃ) তাঁর সেসব ছাহাবীর কাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন যারা জনগণের সাথে যোগাযোগ ছেড়ে দিয়ে নিরিবিলিতে আল্লাহর ইবাদতে মশগূল হ’তে মনস্থ করেছিলেন।[4]

মূলতঃ অন্যদের মাঝে উপকার সঞ্চারণশীল আমল শ্রেষ্ঠ হওয়ার কথা সার্বিক বিবেচনায় বলা হয়েছে। নচেৎ অন্যদের মাঝে উপকার সঞ্চারণশীল আমল মাত্রই যে ব্যক্তির নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ কল্যাণমূলক আমল থেকে শ্রেয় হবে এমন কথা নয়। যেমন- ছালাত, ছিয়াম ও হজ্জ তো নিছকই ব্যক্তির নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ কল্যাণমূলক ইবাদত। আর এগুলো ইসলামের মূল স্তম্ভ ও ভিত্তি। এজন্যই জনৈক আলেম বলেছেন,إِنَّ أَفْضَلَ الْعِبَادَاتِ : الْعَمَلُ عَلَى مَرْضَاةِ الرَّبِّ فِي كُلِّ وَقْتٍ بِمَا هُوَ مُقْتَضَى ذَلِكَ الْوَقْتِ وَوَظِيفَتُهُ ‘শ্রেষ্ঠতম ইবাদত সেই আমল, যা প্রতি মুহূর্তে সময়ের দাবী মেনে মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টিকল্পে করা হয়’।[5]

মানুষের উপকার সাধন নবী-রাসূলগণের বৈশিষ্ট্য :

অন্যদের মাঝে উপকার সঞ্চারণশীল আমল বা কাজ নবী-রাসূলগণের কর্মনীতির অন্তর্ভুক্ত। যারা নবী-রাসূলগণকে মেনে চলতে চান এবং তাদের পদচিহ্ন ধরে পথ চলতে চান তাদেরও কর্তব্য মানুষের কল্যাণ সাধন করা। নবী-রাসূলগণ ছিলেন সর্বাধিক মানবদরদী। আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশে তাঁরা মানুষকে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপায় ও পথ বলে গেছেন। পাপাচারের অন্ধকার থেকে পুণ্যের আলোয় উদ্ভাসিত পথের দিকে মানবজাতিকে বের করে আনতে তাঁরা অবিরাম চেষ্টা করে গেছেন। যে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ব ব্যতীত দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মান ও সৌভাগ্য অর্জন সম্ভব নয় সেই তাওহীদের প্রতিই ছিল তাঁদের আহবান। তাঁরা কেবল মানবজাতির জন্য পরকালীন কল্যাণের কথাই ভাবেননি বরং তাদের জাগতিক কল্যাণের কথাও তাঁদের মাথায় ছিল।

ইউসুফ (আঃ) মিসররাজের খাদ্যবিভাগ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন,قَالَ اجْعَلْنِي عَلَى خَزَائِنِ الْأَرْضِ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيمٌ ‘ইউসুফ বলল, আপনি আমাকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের দায়িত্বে নিয়োজিত করুন। নিশ্চয়ই আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও (এ বিষয়ে) বিজ্ঞ’ (ইউসুফ ১২/৫৫)। তাঁর এ দায়িত্বগ্রহণের ফলে জনগণের অনেক উপকার হয়েছিল। দুর্ভিক্ষের বছরগুলোতে যখন আশেপাশের দেশগুলো দুর্ভিক্ষকবলিত, তখন তাঁর দক্ষ পরিচালনায় মিসরীয়রা দুর্ভিক্ষ থেকে নিরাপদ ছিল।

মূসা (আঃ) যখন মিসর থেকে মাদইয়ান গমন করেন তখন তিনি একদল লোককে তাদের পশুপালের পানি পান করাতে দেখতে পান। সেখানে দু’জন কিশোরী ছিল, যারা তাদের বয়সের স্বল্পতাজনিত দুর্বলতা হেতু তাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারছিল না। তিনি কূয়ার মুখ থেকে পাথরের ঢাকনা সরিয়ে তাদের ছাগলগুলোর পানি পানের ব্যবস্থা করে দেন।[6]

নবী করীম (ছাঃ)-এর পরোপকারিতার গুণ তো সুবিদিত। এ সম্পর্কে তাঁর নবুঅত লাভের দিন খাদীজা (রাঃ) বলেছিলেন,كَلاَّ وَاللهِ مَا يُخْزِيكَ اللهُ أَبَدًا، إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ، وَتَحْمِلُ الْكَلَّ، وَتَكْسِبُ الْمَعْدُومَ، وَتَقْرِى الضَّيْفَ، وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ- ‘কখনই নয়, আল্লাহর কসম! আল্লাহ কখনই আপনাকে অপদস্থ করবেন না। কারণ আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখেন, অসহায় পরিবারের দায় বহন করেন, নিঃস্ব মানুষের আয়-রোযগারের ব্যবস্থা করে দেন, মেহমানদের আপ্যায়ন করেন এবং সত্যের পথে চলতে গিয়ে বিপদে পতিতদের সাহায্য করেন’।[7]

এই একই পথের পথিক ছিলেন ছাহাবায়ে কেরাম ও নেককার লোকেরা।

আবুবকর (রাঃ) আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেন এবং অভাবী লোকদের সাহায্য করতেন। এ কারণেই যখন তাঁর জাতি তাঁকে মক্কা থেকে বের করে দিতে চাইছিল তখন ইবনুদ দাগিন্নাহ নামক জনৈক মুশরিক বলেছিলেন,إِنَّ مِثْلَكَ لاَ يَخْرُجُ وَلاَ يُخْرَجُ، فَإِنَّكَ تَكْسِبُ الْمَعْدُومَ، وَتَصِلُ الرَّحِمَ، وَتَحْمِلُ الْكَلَّ، وَتَقْرِى الضَّيْفَ، وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ- ‘আপনার মতো মানুষ তো নিজ থেকে দেশ ছাড়তে পারে না, আর আপনাকে দেশছাড়া করাও যেতে পারে না। আপনি তো নিঃস্ব মানুষের আয়-রোযগারের ব্যবস্থা করে দেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখেন, অসহায় পরিবারের দায় বহন করেন, মেহমানদের সেবাযত্ন করেন এবং সত্যের পথে চলতে গিয়ে বিপদে পতিতদের সাহায্য করেন’।[8]

ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বিধবাদের খোঁজ-খবর নিতেন এবং রাতে সময় করে তাদের পানি যোগান দিতেন।

আলী বিন হোসাইন (রাঃ) রাতের আঁধারে মিসকীন-অভাবীদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত রুটি দিয়ে আসতেন। যখন তিনি মারা গেলেন তখন থেকে তাদের এ সুযোগ বন্ধ হয়ে গেল। ইবনু ইসহাক বলেন, মদীনাবাসীদের মাঝে কিছু মানুষ প্রত্যহ খানাপিনা লাভ করতেন, কিন্তু তারা জানতেন না যে কোত্থেকে এই খাদ্য আসে। তারপর যখন আলী বিন হোসাইন যয়নুল আবেদীন মারা গেলেন তখন থেকে তারা সে সুযোগ হারিয়ে ফেলেন যা প্রত্যহ রাতে তাদের মিলত।[9]

এমনিভাবে এই উম্মতের নেককার লোকেরা যখনই মানবকল্যাণের সুযোগ পেয়েছেন তখনই তারা সে সুযোগ লুফে নিয়েছেন। যখনই তারা এমন সুযোগ পেয়েছেন তখনই তারা খুব আনন্দিত হয়েছেন এবং এ দিনকে তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন গণ্য করেছেন।

সুফিয়ান ছাওরী (রাঃ) যখন তাঁর দরজায় কোন প্রার্থী-ফকীরকে দেখতে পেতেন তখনই বলে উঠতেন, ‘স্বাগত জানাই তাকে, যিনি আমার পাপ ধুয়ে দিতে এসেছেন’।

ফুযাইল বিন আইয়ায (রহঃ) বলতেন, এই প্রার্থী-ভিক্ষুকরা কতই না ভালো! তারা আমাদের পাথেয় আখেরাত পর্যন্ত বিনা পারিশ্রমিকে বয়ে নিয়ে দাঁড়িপাল্লায় রেখে দিচ্ছে।

অন্যদের মাঝে সঞ্চারণশীল কল্যাণের প্রতিদান কিভাবে শ্রেষ্ঠ :

অন্যদের মাঝে সঞ্চারণশীল কল্যাণের প্রতিদান কিভাবে ব্যক্তির নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ আমল থেকে শ্রেষ্ঠ হ’ল সে সম্পর্কে কুরআন ও হাদীছ থেকে কিছু বাণী তুলে ধরা হ’ল :

১. আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,وَالْعَصْرِ، إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ، إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ- ‘কালের শপথ! নিশ্চয়ই সকল মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তারা ব্যতীত, যারা (জেনে-বুঝে) ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম সমূহ সম্পাদন করেছে এবং পরস্পরকে ‘হক’-এর উপদেশ দিয়েছে ও পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে’ (আছর ১০৩/১-৩)

মুফাস্সির আল্লামা সা‘দী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা সময়ের শপথ করেছেন যা কি-না রাত ও দিনের সমষ্টি এবং বান্দাদের ইবাদত ও আমলের ক্ষেত্র। সময়ের শপথ করে তিনি বলেছেন, মানুষ মাত্রেই ক্ষতির মধ্যে। তবে চারটি গুণবিশিষ্ট মানুষ ক্ষতিমুক্ত। [ক্রমশঃ]

 -মূল (আরবী) : মুহাম্মাদ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ

-অনুবাদ : মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

[1]. আবুদাউদ হা/৩৬৪১; ছহীহুল জামে‘ হা/৪২১২।

[2]. মুসলিম হা/২৪০৬ (৩৪)।

[3]. মুসলিম হা/২৬৭৪।

[4]. বুখারী হা/৪৭৭৬; মুসলিম হা/০৫।

[5]. মাদারিজুস সালিকীন ১/৮৫-৮৭।

[6]. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩১৮৪২, সনদ ছহীহ (ইবনু কাছীর)।

[7]. বুখারী হা/০৩

[8]. বুখারী হা/২২৯৭, ৩৯০৫

[9]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৪/৩৯৩।






বিষয়সমূহ: বিবিধ
কুরআন-হাদীছের আলোকে ক্ষমা - রফীক আহমাদ - বিরামপুর, দিনাজপুর
আল্লামা আলবানী সম্পর্কে শায়খ শু‘আইব আরনাঊত্বের সমালোচনার জবাব (শেষ কিস্তি) - আহমাদুল্লাহ - সৈয়দপুর, নীলফামারী
আহলেহাদীছ একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম (৬ষ্ঠ কিস্তি) - আহমাদুল্লাহ - সৈয়দপুর, নীলফামারী
উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে আহলেহাদীছগণের অগ্রণী ভূমিকা (গত সংখ্যার পর) - ড. নূরুল ইসলাম
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত (৬ষ্ঠ কিস্তি) - মুযাফফর বিন মুহসিন
বিদ‘আত ও তার পরিণতি (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম মাদানী
রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পাঠের গুরুত্ব ও ফযীলত - মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ
প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার : ইসলামী দৃষ্টিকোণ - মুহাম্মাদ শাহাদত হোসাইন, বসুন্ধরা গ্রুপ, ঢাকা
নববী চিকিৎসা পদ্ধতি (৪র্থ কিস্তি) - কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী
উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে আহলেহাদীছগণের অগ্রণী ভূমিকা - ড. নূরুল ইসলাম
ইসলামের দৃষ্টিতে তাবীয ও ঝাড়-ফুঁক - ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
সঠিক আক্বীদাই পরকালীন জীবনে মুক্তির উপায় - মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম মাদানী
আরও
আরও
.