(আগস্ট’২১ সংখ্যার পর)

খ. মধু দ্বারা চিকিৎসা :

ইতিপূর্বে ডায়রিয়ার চিকিৎসা ও বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষণে মধু দ্বারা আর কোন্ কোন্ রোগের চিকিৎসা করা যায়, সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হ’ল।-

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,الشِّفَاءُ فِى ثَلاَثَةٍ شَرْبَةِ عَسَلٍ، وَشَرْطَةِ مِحْجَمٍ، وَكَيَّةِ نَارٍ، وَأَنْهَى أُمَّتِى عَنِ الْكَىِّ. ‘রোগমুক্তি রয়েছে তিনটি জিনিসে- মধু পানে, শিঙ্গা লাগানোতে এবং আগুন দিয়ে দাগ দেওয়াতে। আর আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে দাগ দিতে নিষেধ করছি’।[1]

মধুর মধ্যে রোগ নিরাময় ক্ষমতা আছে একথা আল্লাহ তা‘আলা এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন।[2] কিন্তু মধু দিয়ে কোন্ কোন্ রোগের চিকিৎসা করা যায় সে বিষয়ে কুরআন-হাদীছে বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখিত হয়নি। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, ডায়রিয়া ছাড়াও মধু দিয়ে নিম্নোক্ত রোগ সমূহের চিকিৎসা করা যায়।

সর্দি, কাশি ও স্বরভঙ্গ : চায়ের সঙ্গে মধু ও আদার রস (১ চামচ মধু, ১ চামচ আদার রস) মিশিয়ে খেলে সর্দি ও শ্লেষ্মার উপশম হয়। দুই চা চামচ মধু ও সমপরিমাণ বাসকপাতার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও কাশি সেরে যায়।

তুলসী পাতার রস এক চা চামচ ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই কাশি দূর হয়। সৈন্ধব লবণ, আমলকী, পিপুল, মরিচ ইত্যাদির সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে এক চা চামচ করে খেলে কফ ও স্বরভঙ্গ ভাল হয়। মধুর সঙ্গে হরিতকীর চূর্ণ মিশিয়ে চেটে খেলে শ্বাসকষ্টে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

২ চা চামচ মধু ১ গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে সকালে ও সন্ধ্যায় খেলে সর্দি-কাশি দূর হয়। হাল্কা গরম পানি সহ মধু মিশিয়ে গড়গড়া করলে গলার স্বর বৃদ্ধি পায়।

আমাশয়ে মধু : রক্তমিশ্রিত পায়খানা, তৈলাক্ত পায়খানা এবং সঙ্গে পেট কামড়ানি থাকলে তাকে আমাশয় বলে। কচি বেল ও আমগাছের কচি চামড়া (বাকল) বাটার সঙ্গে গুড় ও মধু মিশিয়ে খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়। কুল বা বরই গাছের ছাল চূর্ণের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে আমাশয় ভাল হয়। ৫০০ গ্রাম আতপ চাল ভেজে গুঁড়া করে এর সঙ্গে ১২৫ গ্রাম ঘি, ২৫০ গ্রাম খাঁটি মধু, ১২৫ গ্রাম চিনি এবং ২০টি সবরি কলা ভালভাবে মিশিয়ে (চটকে) জ্বাল দিয়ে খাবার উপযোগী করে ৩/৪ দিন নিয়মিত খেলে সব ধরনের আমাশয় নিরাময় হয়। আমাশয় ও পাতলা পায়খানা হ’লে গরম পানিতে আড়াই চা চামচ মধু মিশিয়ে শরবত বানিয়ে বারবার সেবন করতে হবে।

শিশুদের দৈহিক গড়ন, রুচি বৃদ্ধি, ওযন বৃদ্ধি ও পেট ভাল রাখার জন্য প্রত্যহ এক চা চামচ মধু গরম দুধ ও গরম পানির সঙ্গে নাশতা ও রাতের খাবারের সঙ্গে দিতে হবে।

প্রতিদিন হাতের তালুতে অল্প পরিমাণ মধু নিয়ে চেটে খেলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। জার্মান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ইকচ বলেছেন, ‘উপযুক্ত ঘাস খেয়ে ঘোড়া যেমন তেযী হয়, তেমনি নিয়মিত সকালে এক চা চামচ করে খাঁটি মধু খেলে হৃৎপিন্ড শক্তিশালী হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এক গ্লাস গরম দুধ বা গরম গানিতে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে কয়েকবার খেতে হবে।[3]

গ. কালোজিরা দ্বারা চিকিৎসা :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, কালোজিরা মৃত্যুছাড়া সকল রোগের মহৌষধ।[4] কালোজিরা সকল রোগের প্রতিষেধক হ’লেও চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ এখনো পর্যন্ত সকল রোগে কালোজিরার প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হ’তে পারেননি। তবে গবেষণার মাধ্যমে যেসব রোগের চিকিৎসায় কালোজিরার প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-

মাথা ব্যথা : মাথা ব্যথায় কপালে, উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তী স্থানে দৈনিক ৩-৪ বার কালোজিরার তেল মালিশ করুন। তিন দিন খালি পেটে এক চা চামচ করে তেল পান করুন উপকার পাবেন।

স্নায়ুবিক দুর্বলতা : কালোজিরা চূর্ণ ও অলিভ অয়েল ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাঁটি মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাবারের পর এক চামচ করে খেলে স্নায়ুবিক দুর্বলতায় উপকার হবে।

চুলপড়া : লেবু দিয়ে সম্পূর্ণ মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তারপর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এতে এক সপ্তাহেই চুলপড়া কমে যাবে।

কফ ও হাঁপানী : বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এক্ষেত্রে হাঁপানীতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সঙ্গে এটি মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও অ্যাজমায় উন্নতি ঘটে : এক চামচ মধুতে একটু কালোজিরা দিয়ে খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। হালকা উষ্ণ পানিতে কালোজিরা মিলিয়ে ৪৫ দিনের মতো খেলে অ্যাজমা সমস্যার উন্নতি ঘটে।

ডায়াবেটিস : কালোজিরার চূর্ণ ও ডালিমের খোসা চূর্ণ মিশ্রণ এবং কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।

মেদ ও হৃদরোগ : চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ কমে যায়।

অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিক : এক কাপ দুধ ও এক টেবিল চামচ কালোজিরার তেল দৈনিক তিনবার ৫-৭ দিন সেবন করলে গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে।

উচ্চ রক্তচাপ : গরম পানী বা গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার তেল অথবা ভর্তা খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে।

জ্বর : সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ কালোজিরা তেল পান করুন।

স্ত্রীরোগ : প্রসব ও ভ্রূণ সংরক্ষণে কালোজিরা, মৌরী ও মধু দৈনিক ৪ বার খান। নারীর ঋতুস্রাবজনিত সমস্যায় কালোজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

সৌন্দর্য বৃদ্ধি : অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে মুখে মেখে এক ঘণ্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

বাত : পিঠে ও অন্যান্য বাতের বেদনায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন।

দাঁত শক্ত করে : দই ও কালোজিরার মিশ্রণ প্রতিদিন দু’বার দাঁতে ব্যবহার করুন। এতে দাঁতে শিরশিরে অনুভূতি ও রক্তপাত বন্ধ হবে।

ফোঁড়া : কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোঁড়া, সংক্রামক রোগ হয় না। তিলের তেলের সাথে কালোজিরা বাঁটা বা কালোজিরার তেল মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালে ফোঁড়ার উপশম হয়।

ঘ. চন্দন কাঠ দ্বারা চিকিৎসা :

চন্দন কাঠ মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে সাতটি রোগের চিকিৎসা রয়েছে।[5] দুই ধরনের চন্দন কাঠ পাওয়া যায়। ভারতীয় চন্দন কাঠ[6] ও সামুদ্রিক চন্দন কাঠ।[7]

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,عَلَيْكُمْ بِهَذَا الْعُودِ الْهِنْدِىِّ، فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ يُسْتَعَطُ بِهِ مِنَ الْعُذْرَةِ، وَيُلَدُّ بِهِ مِنْ ذَاتِ الْجَنْبِ ‘তোমরা ভারতীয় চন্দন কাঠ ব্যবহার কর। কেননা তাতে সাতটি আরোগ্য রয়েছে। শ্বাসনালীর ব্যথার জন্য এর ধোঁয়া নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়, পাঁজরের ব্যথা বা পক্ষাঘাত রোগ দূর করার জন্যও তা ব্যবহার করা যায়’।[8]

অন্য বর্ণনায় এসেছে,إِنَّ أَمْثَلَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ الْحِجَامَةُ وَالْقُسْطُ الْبَحْرِىُّ وَقَالَ لاَ تُعَذِّبُوْا صِبْيَانَكُمْ بِالْغَمْزِ مِنَ الْعُذْرَةِ، وَعَلَيْكُمْ بِالْقُسْطِ- ‘তোমরা যেসব জিনিস দিয়ে চিকিৎসা কর, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হ’ল হিজামা তথা শিঙ্গা লাগানো এবং সামুদ্রিক চন্দন কাঠ। তিনি আরো বলেছেন, তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের জিহবা তালু টিপে কষ্ট দিও না। বরং চন্দন কাঠ দিয়ে চিকিৎসা কর’।[9]

চন্দনের উপকারিতা ও ব্যবহার : (১) শিশুদের নাভিতে অনেক সময় ঘা দেখা যায়। তখন শ্বেতচন্দন গুঁড়ো করে নাভিতে লাগালে ঘা শুকিয়ে যায়। (২) চোখের রোগে লালচন্দন ও দুধ দিয়ে মিশিয়ে চোখ ধুলে এই রোগ সেরে যায়। (৩) মাথার যন্ত্রণায় রক্তচন্দনের গুঁড়ো প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়। রোগীর জ্বর হ’লে, গা ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা একসাথে দেখা দিলে এই চন্দনের প্রলেপ দিতে হয়।

(৪) রক্তচন্দন, বাসকমূল, মুথা, গুলঞ্চ ও দ্রাক্ষা এদের ক্বাথ তৈরী করে শীতকালে পান করলে বসন্ত রোগ দূর হয়। (৫) যে কোন রকমের চর্মরোগ দেখা দিলে শ্বেতচন্দন ঘষে প্রলেপ দিলে চর্মরোগ দূর হয়। খোস, পাঁচড়া, চুলকানি প্রভৃতি রোগে চন্দনের তেল লাগালে এই রোগ সেরে যায়।[10]

(৬) গ্রীষ্মকালে শরীরে স্নিগ্ধতা আনার জন্য ঘষা চন্দন ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার হয়, এটাতে পেটও ঠান্ডা থাকে। (৭) ঘাম বেশী হ’লে এই ঘষা চন্দনের সঙ্গে বেনামূল বেটে একটু কর্পূর মিশিয়ে গায়ে মাখলে উপকার হয়।

(৮) সাদা চন্দন গুড়ার সঙ্গে হলুদবাটা ও অল্প একটু কর্পূর মিশিয়ে অথবা চন্দন ও দুরহরিদ্রা একত্রে ঘষে মাখলে ঘামাচি মরে যায়। (৯) ২ বা ৩ মাসের শিশুর মাথায় এক ধরনের চাপড়া ঘা হয় সেক্ষেত্রে শুধু শ্বেতচন্দন ঘষা লাগিয়ে দিলে অচিরেই সেরে যায়। (১০) চন্দন ঘষা ও বেনামূলের ক্বাথ (প্রত্যেকবার ১০ থেকে ১২ গ্রাম হিসাবে) ব্যবহার করলে বুকের আকস্মিক শূল রোগ উপশম হয়।[11]

ঙ. মাশরুম দ্বারা চিকিৎসা :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ، وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ، ‘মাশরুম (ছত্রাক) মান্নের অন্তর্ভুক্ত। এর পানি চোখের আরোগ্যকারী’।[12] অন্য বর্ণনায় এসেছে, أَنَّ الْكَمْأَةَ مِنْ الْمَنِّ الَّذِي أَنْزَلَ اللهُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَمَاؤُهَا شِفَاءُ الْعَيْنِ، ‘মাশরূম হ’ল মান্ন-এর অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ বনী ইসরাঈলের আহারের জন্য নাযিল করেছিলেন। এর নির্যাস চক্ষুরোগের নিরাময়’।[13]

আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কয়েকজন ছাহাবী তাঁকে বললেন, কাম‘আত (মাশরুম) হ’ল যমীনের বসন্ত। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, الْكَمْأَةُ مِنْ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ وَالْعَجْوَةُ مِنْ الْجَنَّةِ وَهِيَ شِفَاءٌ مِنْ السُّمِّ মাশরুম তো মান্ন সদৃশ। এটার পানি চক্ষু রোগের ঔষধ বিশেষ। আর ‘আজওয়াহ’ (খেজুর) জান্নাতী ফল, যা বিষ নাশক। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, আমি তিনটি অথবা পাঁচটি অথবা সাতটি মাশরুম দিয়ে তার রস নিংড়িয়ে একটি শিশির মধ্যে রাখলাম। অতঃপর আমার এক রাতকানা দাসীর চোখের মধ্যে সে পানি সুরমার সাথে ব্যবহার করলাম। তাতে সে আরোগ্য লাভ করল’।[14]

ইমাম নববী (রহঃ)-এর শারহু মুসলিমে এসেছে, বলা হয়ে থাকে, চোখের উত্তাপ হ’তে ঠান্ডা করার জন্য কেবলমাত্র মাশরুমের পানি আরোগ্য স্বরূপ। আর যদি অন্য অসুখের জন্য হয়, তবে এ পানির সাথে অন্য ঔষধ মিশানো যায়। চোখের অসুখের জন্য কেবল এ পানি ব্যবহার করা উপযোগী এটিই সঠিক কথা। আমিও আমার যুগের একজনকে দেখেছি, যার চোখের দৃষ্টি চলে যাওয়ার কারণে সুরমার সাথে এ পানি ব্যবহার করত, ফলে সে আরোগ্য লাভ করে, তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে।[15]

মাশরুমের রয়েছে বিভিন্ন উপকারী দিক। বেশ কয়েক প্রজাতির মাশরুম মানুষ খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য উপাদান এবং নানা ধরনের খনিজ লবণ থাকে। নানা প্রকার ইস্ট জাতীয় ছত্রাক পাওরুটি, কেক, পনির ইত্যাদি তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন মাশরুম থেকে বিভিন্ন রকমের অ্যান্টিবায়োটিক (জীবাণু প্রতিরোধী) উৎপাদন করা হচ্ছে।

চ. মেহেদী পাতা দ্বারা চিকিৎসা :

মেহেদী সাধারণত মহিলাদের সাজসজ্জা ও পুরুষের চুল ও দাড়ি রাঙানোর কাজে ব্যবহৃত। কিন্তু এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। আলী ইবনু ওবায়দুল্লাহ তার দাদী সালমা (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেছেন,

وَكَانَتْ تَخْدُمُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ مَا كَانَ يَكُونُ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قُرْحَةٌ وَلاَ نَكْبَةٌ إِلاَّ أَمَرَنِى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَضَعَ عَلَيْهَا الْحِنَّاءَ.

‘তিনি (সালমা) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সেবা করতেন। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দেহে কোন তলোয়ার বা দা-এর আঘাতে ক্ষত হ’ত, তিনি তাতে মেহেদী লাগাতে আমাকে নির্দেশ দিতেন’।[16]

অন্য বর্ণনায় এসেছে,كَانَ لاَ يُصِيبُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم قَرْحَةٌ وَلاَ شَوْكَةٌ إِلاَّ وَضَعَ عَلَيْهِ الْحِنَّاءَ. ‘নবী করীম (ছাঃ) কখনো আঘাত পেলে অথবা কাটাবিদ্ধ হ’লে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে মেহেদী লাগাতেন’।[17]

সালমা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,مَا كَانَ أَحَدٌ يَشْتَكِى إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجَعًا فِى رَأْسِهِ إِلاَّ قَالَ احْتَجِمْ وَلاَ وَجَعًا فِى رِجْلَيْهِ إِلاَّ قَالَ اخْضِبْهُمَا. ‘কেউ মাথা ব্যথার অভিযোগ নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে আসলে তিনি বলতেন, শিঙ্গা লাগাও এবং পায়ের ব্যথার অভিযোগের ক্ষেত্রে বলতেন, মেহেদী পাতার রস লাগাও’।[18]

হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) মেহেদী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে ‘আত-তিববুন নববী (ছাঃ)’ গ্রন্থে লিখেছেন- ১. মেহেদী আগুনে পোড়া ক্ষতের জন্য বেশ উপকারী। ২. যদি কোন শিরা বা অঙ্গে মেহেদীর প্রলেপ দেওয়া হয়, তাহ’লে শিরার শক্তিতে সজীবতা আনে। ৩. যদি তা চাবানো হয়, তাহ’লে মুখের জখম ও দাঁতের মাড়ির ক্ষত উপশম হয়। ৪. জিহবার উপরিভাগের ক্ষত দূর করে। ৫. বিশেষত শিশুদের জিহবায় যে দানা দানা দেখা দেয়, তার জন্য মেহেদী খুবই উপকারী। ৬. ফোঁড়া ও যন্ত্রণাদায়ক আগুনের দগ্ধে মেহেদীর প্রলেপ দিলে স্বস্তি ও প্রশান্তি লাভ হয়। ৭. জখমে দামুল আখওয়াইন (এক প্রকার লাল আঠালো ঔষধ)-এর ন্যায় উপকার দেয়। ৮. মেহেদী ফুলের সাথে খাঁটি মোম এবং গোলাপের তৈল মিলিয়ে মালিশ করলে নিউমোনিয়া এবং পাঁজরের ব্যথা চলে যায়।[19]

ছ. সুরমা দ্বারা চোখের রোগের চিকিৎসা :

সুরমা (Kohl) ব্যবহারে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। সুরমা ব্যবহারের দ্বারা চোখ পরিষ্কার হয়। চোখের খারাপ ও ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় এবং চোখে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে। এছাড়াও সুরমা চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আর ঘুমের আগে সুরমা ব্যবহারের আলাদা উপকারিতা রয়েছে। তখন সুরমা চোখে আবদ্ধ থাকে। সমস্ত চোখে ছড়িয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় চোখ নড়াচড়া থেকে বিরত থাকে। সর্বপ্রকার ক্ষতি থেকে চোখ সুরক্ষিত থাকে। মানবপ্রকৃতি যথাযথভাবে নিজ কাজ সম্পন্ন করে। এছাড়াও ‘ইছমিদ’ সুরমার বিভিন্ন কার্যকারিতা আছে।[20]

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, وَإِنَّ خَيْرَ أَكْحَالِكُمُ الْإِثْمِدُ: يَجْلُو الْبَصَرَ، وَيُنْبِتُ الشَّعْرَ، ‘সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সুরমা হচ্ছে ইছমিদ। এটা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং চুল (ভ্রূ) গজায়’।[21] অন্যত্র তিনি বলেন,عَلَيْكُمْ بِالْإِثْمِدِ عِنْدَ النَّوْمِ، فَإِنَّهُ يَجْلُو الْبَصَرَ، وَيُنْبِتُ الشَّعَرَ، ‘তোমরা ঘুমানোর সময় অবশ্যই ইছমিদ সুরমা ব্যবহার করবে। কেননা তা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে এবং চোখের পাতায় লোম গজায়’।[22]

জ. উটের দুধ ও পেশাব দ্বারা চিকিৎসা :

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,أَنَّ نَاسًا اجْتَوَوْا فِى الْمَدِينَةِ فَأَمَرَهُمُ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَلْحَقُوا بِرَاعِيهِ يَعْنِى الإِبِلَ فَيَشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، فَلَحِقُوا بِرَاعِيهِ فَشَرِبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، حَتَّى صَلَحَتْ أَبْدَانُهُمْ، ‘কতকগুলো লোক মদীনায় তাদের প্রতিকূল আবহাওয়া অনুভব করল। তখন নবী করীম (ছাঃ) তাদের হুকুম দিলেন, তারা যেন তাঁর রাখাল অর্থাৎ তাঁর উটগুলোর নিকটে যায় এবং উটের দুগ্ধ ও প্রস্রাব পান করে। তারা রাখালের সাথে গিয়ে মিলিত হ’ল এবং উটের দুধ ও পেশাব পান করতে লাগল। অবশেষে তাদের শরীর সুস্থ হ’ল’।[23]

হাদীছে বর্ণিত লোকগুলো ছিল উরাইনা গোত্রের। তাদের শোথরোগ হয়েছিল। কারণ তাদের অভিযোগে এই শব্দগুলো ছিল,إِنَّا اجْتَوَيْنَا الْمَدِينَةَ فَعَظُمَتْ بُطُونُنَا وَارْتَهَشَتْ أَعْضَاؤُنَا. ‘বেদুইনরা বলল, ‘আমরা মদীনাতে থাকতে অপসন্দ করছি। (কারণ এখানকার পরিবেশে) আমাদের পেট ফেঁপে উঠছে। আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাঁপছে’।[24]

শোথ রোগকে ‘জলউদরী’ বা ‘পেটফোলা’ রোগও বলা হয়। এ রোগে জলীয় পদার্থ জমে শরীরের কোন অংশ ফুলে ওঠে। এটি লিভারকে তার কার্যসম্পাদনে অক্ষম করে দেয়, পেটের ভিতরের শিরাগুলি ফুলে ওঠে। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

এই রোগের প্রয়োজনীয় ওষুধ হ’ল, হাল্কা রেচক (জোলাপ) এবং মূত্রবর্ধক ওষুধ, যা দেহকে তরল পদার্থ থেকে মুক্ত করবে। এটা পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান আছে উটের দুধ ও পেশাবে। তাই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সেই বেদুইনদেরকে উটের দুধ ও মূত্র পান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। উটের দুধে হাল্কা রেচক ও মূত্রবর্ধক উপাদান থাকায় এটি বদ্ধ তরল পদার্থ পরিস্কার করে। জমাটবদ্ধ পদার্থ খুলে দেয়। প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেহের উপশম করে। এর কারণ উট সাধারণত ঔষধি গাছ ও তৃণলতা খেয়ে থাকে। যেমন শিহ, কাইসুম, বাবুনাজা, উকহুয়ানা এবং ইজখির বা লেমন গ্রাস। এই উদ্ভিদ এবং তৃণলতাগুলো শোথরোগের জন্য উপকারী ওষুধ।[25]

শোথরোগ সাধারণত লিভার আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। বিশেষত, লিভারে অত্যধিক রক্তজমাট হওয়ার কারণে এটি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে উটের দুধ রক্ত জমাট হ’তে বাধা দেয়। কারণ এর মধ্যে এমন এক উপাদান রয়েছে, যা দেহের বিভিন্ন অঙ্গে জমা থাকা অপ্রয়োজনীয় তরল পদার্থগুলো বিক্ষিপ্ত করে দেয়।

ইমাম রাযী বলেন, উটনীর দুধ লিভারের ব্যথা প্রশমিত করে এবং মেজাযে ভারসাম্য রাখে। আল্লামা ইসরাঈলী (রহঃ) বলেন, উটনীর দুধ সবচেয়ে নরম, পাতলা ও খুব কম ঘনীভূত হয়। খাদ্য হিসাবে খুবই ন্যূনতম। এ কারণে এটা দেহের উদ্বৃত্তাংশ নরম করে পেটকে স্বাভাবিক করে তুলে এবং জমাটবদ্ধ পদার্থের বাঁধ খুলে দেয়। জৈবিক তাপ বেশী থাকার ফলে এতে সামান্য লবণাক্ততা রয়েছে। যার কারণে উটনীর দুধ লিভারের সর্বোত্তম ওষুধ বলে প্রমাণিত। প্লীহার কাঠিন্য বেশী পুরোনো না হ’লে উটনীর দুধ পানে তা নরম করা সহজ হয়ে যায়। এতে শোথরোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।[26]

ঝ. ছাই দ্বারা চিকিৎসা

সাহল ইবনু সা‘দ আস-সাঈদী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,

لَمَّا كُسِرَتْ عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيْضَةُ، وَأُدْمِىَ وَجْهُهُ، وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ، وَكَانَ عَلِىٌّ يَخْتَلِفُ بِالْمَاءِ فِى الْمِجَنِّ، وَجَاءَتْ فَاطِمَةُ تَغْسِلُ عَنْ وَجْهِهِ الدَّمَ، فَلَمَّا رَأَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلاَمُ الدَّمَ يَزِيدُ عَلَى الْمَاءِ كَثْرَةً عَمَدَتْ إِلَى حَصِيرٍ فَأَحْرَقَتْهَا وَأَلْصَقَتْهَا عَلَى جُرْحِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَرَقَأَ الدَّمُ

তিনি বলেন, ‘যখন নবী করীম (ছাঃ)-এর মাথায় লৌহ শিরস্ত্রাণ চূর্ণ করে দেয়া হ’ল, আর তাঁর মুখমন্ডল রক্তাক্ত হয়ে গেল এবং তাঁর রুবাঈ দাঁত ভেঙ্গে গেল, তখন ‘আলী (রাঃ) ঢাল ভর্তি করে পানি দিতে থাকলেন এবং ফাতেমা (রাঃ) এসে তাঁর চেহারা থেকে রক্ত ধুয়ে দিতে লাগলেন। ফাতেমা (রাঃ) যখন দেখলেন যে, পানি ঢালার পরেও অনেক রক্ত ঝরে চলছে, তখন তিনি একটি চাটাই নিয়ে এসে তা পোড়ালেন এবং নবী করীম (ছাঃ)-এর যখমের উপর ছাই লাগিয়ে দিলেন। ফলে রক্ত বন্ধ হয়ে গেল’।[27]

হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) ‘আত-তিববুন নববী’ গ্রন্থে লিখেছেন, রক্ত বন্ধ করার জন্য এটি দ্রুত কার্যকরী। ছাই যদি স্বতন্ত্রভাবে অথবা সিরকার সাথে মিশিয়ে ‘নাসা’ রুগীদের নাকে ফুঁক দেওয়া হয়, তাহ’লে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

‘কানূন ফিত তিবব’ গ্রন্থপ্রণেতা ইবনু সীনা (রহঃ) বলেন, ‘বারদি’ রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে দেয় এবং এতে উপকার সাধিত হয় এবং তাযা ক্ষতের উপর দিলে উপকার করে। পুরাতন মিসরী কাগজ এটা থেকে বানানো হয়, তার প্রকৃতি ঠান্ডা এবং শুকনো। এর ছাই বদহজমে উপকার করে এবং ক্ষত বেশী ছড়াতে দেয় না’।[28][ক্রমশঃ]

কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী

মুহাদ্দিছ, বেলটিয়া কামিল মাদ্রাসা, সরিষাবাড়ী, জামালপুর।

[1]. বুখারী হা/৫৬৮১, ৫৬৮০, ৫৬৮৩; মুসলিম হা/২২০৫।

[2]. সূরা নাহল ৬৯; বুখারী হা/৫৬৮১।

[3]. কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, মধু : গুণাগুণ ও উপকারিতা, কৃষিতথ্য সার্ভিস, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

[4]. বুখারী হা/৫৬৮৭, ৫৬৮৮; মুসলিম হা/২২১৫; ইবনু মাজাহ হা/৩৪৪৭।

[5]. বুখারী হা/৫৬৯২, ৫৭১৩; মুসলিম হা/২২১৪; আবূদাঊদ হা/৩৮৭৭।

[6]. বুখারী হা/৫৭১৩; মুসলিম হা/২২১৪।

[7]. বুখারী হা/৫৬৯৬; মুসলিম হা/১৫৭৭; আহমাদ হা/১২০৪৫।

[8]. বুখারী হা/৫৬৯২, ৫৭১৩; মুসলিম হা/২২১৪; আবূ দাঊদ হা/৩৮৭৭।

[9]. বুখারী হা/৫৬৯৬, ২১০২; মুসলিম হা/১৫৭৭।

[10]. ayurplant. চন্দন গাছের উপকারিতা।

[11]. আয়ূবেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি (কলকাতা : আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ১৩৮৩) ১/৮২-৮৪ পৃঃ।

[12]. বুখারী হা/৪৪৭৮, ৪৬৩৯, ৫৭০৮; মুসলিম হা/২০৪৯; তিরমিযী হা/২০৬৬, ২০৬৭।

[13]. ইবনু মাজাহ হা/৩৪৫৪, সনদ ছহীহ।

[14]. তিরমিযী হা/২০৬৮; ইবনু মাজাহ হা/৩৪৫৩; ইবনু শায়বা হা/২৩৬৯৬; মিশকাত হা/৪৫৬৯, সনদ ছহীহ।

[15]. মিরক্বাতুল মাফাতীহ ৪৫৬৯ নং হাদীছের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।

[16]. তিরমিযী হা/২০৫৪; ইবনু মাজাহ হা/৩৫০২, সনদ ছহীহ।

[17]. ইবনু মাজাহ হা/৩৫০২; আহমাদ হা/২৭০৭০, সনদ হাসান।

[18]. আবূদাঊদ হা/৩৮৫৮; আহমাদ হা/২৭৬১৭; ছহীহাহ হা/২০৫৯; ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৬১, সনদ হাসান ছহীহ।

[19]. আত-তিববুন নববী, ১৫০ পৃঃ।

[20]. প্রাগুক্ত, ৪৩৪ পৃঃ।

[21]. আবুদাঊদ হা/৩৮৭৮, ৪০৬১; ইবনু মাজাহ হা/৩৪৯৭; আহমাদ হা/২০৪৭, ২২১৯, ২৪৭৯, সনদ ছহীহ।

[22]. ইবনু মাজাহ হা/৩৪৯৬, সনদ ছহীহ।

[23]. বুখারী হা/৫৬৮৬, ২৩৩, ১৫০১, ৩০১৮; তিরমিযী হা/২০৪২।

[24]. আহমাদ হা/১৪১১৮, সনদ ছহীহ।

[25]. আত-তিববুন নববী, পৃঃ ৯০-৯১ ।

[26]. আত-তিববুন নববী, পৃঃ ৯১-৯২।

[27]. বুখারী হা/৫৭২২, ৫২৪৮, ৪০৭৫; তিরমিযী হা/২০৮৫; ইবনু মাজাহ হা/৩৪৬৪।

[28]. আত-তিববুন নববী, পৃঃ ৯৫।






বিষয়সমূহ: চিকিৎসা
আশূরায়ে মুহাররম - আত-তাহরীক ডেস্ক
ওয়াহ্হাবী আন্দোলন : উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ এবং মুসলিম বিশ্বে এর প্রভাব (২য় কিস্তি) - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব
হজ্জ সফর (শেষ কিস্তি) - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব
সীমালংঘন ও দুনিয়াপূজা : জাহান্নামীদের দুই প্রধান বৈশিষ্ট্য (৫ম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
মানব জাতির প্রকাশ্য শত্রু শয়তান (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ
মীরাছ বণ্টন : শারঈ দৃষ্টিকোণ - ড. শিহাবুদ্দীন আহমাদ, শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, রাজশাহী
নিভে গেল ছাদিকপুরী পরিবারের শেষ দেউটি - ড. নূরুল ইসলাম
ইবাদতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা (৬ষ্ঠ কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
ইসলাম ও পর্দা - মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান
ইবাদতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা (২য় কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
লাইলাতুল মি‘রাজ রজনীতে করণীয় ও বর্জনীয় - আত-তাহরীক ডেস্ক
শিক্ষকের মৌলিক দায়িত্ব ও কর্তব্য, শিশুর পাঠদান পদ্ধতি ও শিখনফল নির্ণয় - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
আরও
আরও
.