পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । 

তাক্বলীদের ভয়াবহতা এবং মুসলমানদের ওপর এর কুপ্রভাব :

সম্মানিত ভ্রাতৃমন্ডলী! এই ক্ষুদ্র পরিসরে মুসলিম উম্মাহর মাঝে তাক্বলীদের ভয়াবহতা ও কুপ্রভাব বর্ণনা করা অসম্ভব। এ বিষয়ে অনেক পুস্তক রয়েছে যেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই যিনি এ বিষয়ে আরো বেশী জানতে আগ্রহী তিনি সেসব পুস্তকের শরণাপন্ন হবেন। আমাদের এখানে উদ্দেশ্য হ’ল এটা বর্ণনা করা যে, তাক্বলীদ একটি কারণ অথবা সেটি অনেকগুলি কারণের মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ, যা মুসলিম উম্মাহকে কিতাব ও সুন্নাতের অনুসরণ থেকে বিমুখ করেছে এবং ‘মুক্বাল্লাদ’ (অনুসৃত) ব্যক্তির মতামতকে পরিহার করে এ দু’টিকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরা থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করেছে। কেননা আমি শুনেছি যে, তাক্বলীদপন্থীরা তাক্বলীদকে ওয়াজিব বিষয়ে পরিণত করে ফেলেছে। তারা এটাকে অনুসরণীয় দ্বীন হিসাবে গণ্য করে চতুর্থ শতাব্দী হিজরীর পরে কারো জন্য তাক্বলীদ থেকে বের হওয়া জায়েয নয় বলে মত প্রকাশ করেছে। কেউ তা থেকে বের হ’লে তাকে বিভিন্ন খারাপ উপাধিতে ডাকা হয়, তার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করা হয়, নানা মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা থেকে ঐ ব্যক্তি রেহাই পান না। যেমন এ বিষয়ে উভয়পক্ষের লিখিত কতিপয় পুস্তক যারা দেখেছেন তারা বিষয়টি ভালভাবেই জানেন।

বর্তমানে অনেক মানুষেরই ‘তুলনামূলক ফিক্বহ’(الفقه المقارن) বিষয়টি পড়া নেই। এটি এমন একটি বিষয় যা দক্ষ অনুসন্ধানী ব্যক্তির জন্য কিতাব ও সুন্নাতের অনুসরণ হ’তে মুক্বাল্লিদদের দূরে যাওয়ার পরিধিটা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। বরং নিজেদের মাযহাবের প্রতি অন্যায্য পক্ষপাতের কারণে স্বয়ং ইমামগণের তাক্বলীদ হ’তেও তারা কতদূরে চলে গেছে সে বিষয়টিও তুলে ধরে। তাদের (তাক্বলীদপন্থী) মাঝে এমন কিছু ডক্টরেট ডিগ্রীধারীও রয়েছেন, যারা এবিষয়টি শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। যদি বিষয়টি এমনই হয় তাহ’লে তাদের মধ্যকার যেকোন ব্যক্তির জন্য পূর্বে প্রথম দু’টি অধ্যায়ে যে সমস্ত হাদীছ উল্লেখ করেছি তা স্মরণ করা যথেষ্ট হবে, যা হাযার হাযার হাদীছের মধ্যে খুবই সামান্য। (এগুলি পড়লে) জানতে পারবে যে, তাক্বলীদকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করা এবং নিষ্পাপ নয় এমন সব লোকের অনুসরণ করার ক্ষেত্রে গোঁড়ামি করার কারণেই মুক্বাল্লিদরা সেসব হাদীছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

আল্লামা ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) তাঁর ‘ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন’ গ্রন্থে মুক্বাল্লিদরা যে সকল স্পষ্ট ছহীহ সুন্নাতকে প্রত্যাখ্যান করেছে এমন ৭৩টি উদাহরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং জ্ঞানগর্ভ পর্যালোচনা পেশ করেছেন। শুরুতেই আক্বীদা বিষয়ক যে সকল সুন্নাতকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছে তা নিয়ে এসেছেন। যেমন সৃষ্টির ওপর আল্লাহর উঁচুত্ব (علو الله تعالى على خلقه) এবং আরশের ওপর তাঁর সমুন্নীত হওয়া বিষয়টি। এসব বিষয়ে আরো তাকীদ দিয়ে আমি বলব, আল্লামা ফাল্লানীর ‘ইকাযুল হিমাম’ গ্রন্থে (পৃঃ ৯৯) এসেছে যে, মুহাক্কিক ইবনু দাকীকুল ঈদ (রহঃ) বিশাল এক খন্ডে সে সকল মাসআলা একত্রিত করেছেন যেসব বিষয়ে চার ইমামের নামে সৃষ্ট মাযহাবগুলির প্রত্যেকটি মাযহাব এককভাবে ও সামষ্টিকভাবে ছহীহ হাদীছের বিরোধিতা করেছে। শুরুতেই তিনি উল্লেখ করেছেন, أَن نِسْبَة هَذِه الْمسَائِل إِلَى الْأَئِمَّة الْمُجْتَهدين حرَام وَأَنه يجب على الْفُقَهَاء المقلدين لَهُم مَعْرفَتُهَا لِئَلَّا يَعْزُوَهَا إِلَيْهِم فيكذبوا عَلَيْهِم- ‘এই মাসআলাগুলিকে মুজতাহিদ ইমামগণের দিকে নিসবত করা হারাম। তাদের তাক্বলীদকারী ফকীহগণের এ বিষয়টি জানা ওয়াজিব। যাতে সেগুলিকে তাদের দিকে নিসবত না করে। নচেৎ তাদের ওপর মিথ্যারোপ করা হবে’।[1]

আজকের শিক্ষিত মুসলিম যুবসমাজের কর্তব্য :

ভ্রাতৃমন্ডলী! পরিশেষে বলব আমি একথা বলতে চাইনি যে, আপনাদের সবাইকে মুজতাহিদ ইমাম ও মুহাক্কিক ফকীহ হ’তে হবে। যদিও এটা হ’লে আমার ও আপনাদের সবার জন্যই তা খুশীর কারণ হ’ত। যেহেতু বিশেষতেবর পার্থক্য এবং বিশেষজ্ঞদের পারস্পরিক সহযোগিতার ভিন্নতার কারণে স্বভাবতই তা অসম্ভব। তাই আমি এর মাধ্যমে কেবল দু’টি বিষয় উদ্দেশ্য করেছি,

প্রথম: একটি বিষয়ে তোমরা সাবধান থাকবে যা বর্তমানে অনেক শিক্ষিত মুমিন যুবকের নিকটও অজানা রয়ে গেছে। অন্যদের কথা তো বাদই দিলাম। সেটি হ’ল, যে সময়ে তারা অনেক ইসলামী লেখক যেমন সাইয়েদ কুতুব ও আল্লামা মওদূদী (রহঃ) প্রমুখের বই-পুস্তক ও প্রচেষ্টায় জানতে পেরেছে যে, শরী‘আত প্রবর্তনের অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার। এতে অন্য কোন মানুষ বা সংস্থার সামান্যতম কোন অংশীদারিত্ব নেই। যে বিষয়টিকে তারাاَلْحَاكِمِيَّةُ لله تَعَالَى ‘শাসন কেবল আল্লাহ তা‘আলার’ বলে বর্ণনা করেছেন। এই আলোচনার শুরুতেই কিতাব ও সুন্নাত হ’তে পূর্বে উল্লেখিত দলীলগুলির স্পষ্ট বক্তব্য এটাই। আমি ঠিক একই সময়ে বলব, ঐ সমস্ত অনেক যুবকই ‘শাসন আল্লাহ তা‘আলার’ এই মূলনীতি বিরোধী অংশীদারিত্বের বিষয়ে আদৌ সাবধান নয়। (জেনে রাখা দরকার) কোন একজন মুসলিম যে  আল্লাহর আহকাম সমূহের কোন একটি বিধানেও ভুল করে তাকে আল্লাহ ব্যতীত অনুসরণীয় মানুষ হিসাবে গ্রহণ করা অথবা কোন কাফের কর্তৃক নিজেকে শরী‘আত প্রবক্তা হিসাবে দাবী করার মাঝে এবং তার আলেম হওয়া অথবা জাহেল হওয়ার মাঝে কোন পার্থক্য নেই। এসবই উল্লেখিত মূলনীতিকে অস্বীকার করে যার প্রতি যুবকরা ঈমান এনেছে।

আমি আপনাদেরকে এই বিষয়েই সতর্ক করতে এবং উপদেশ দিতে চেয়েছি। وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِيْنَ ‘আর উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মু’মিনদের উপকারে আসে’ (যারিয়াত ৫১/৫৫)

আমি শুনেছি তাদের মধ্যে অনেক যুবক সাহসিকতা ও প্রশংসনীয় ইসলামী আবেগ সহকারে বক্তব্য দেন এ বিষয়টা সাব্যস্ত করার জন্য যে, ‘হুকুমত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য’। এর মাধ্যমে তারা কুফরী শাসন ব্যবস্থার মূলে কুঠারাঘাত করে। এটি একটি সুন্দর বিষয়। যদিও এই মুহূর্তে আমরা তা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখি না।

আবার আমাদের মাঝে অনেকের অন্তরে এমন কিছু রয়েছে যা উল্লেখিত মূলনীতিকে অস্বীকার করে। যা পরিবর্তন করা সহজ। অথচ আমরা মুসলমানদেরকে সে বিষয়ে সতর্ক করি না এবং তাদেরকে উপদেশও দেই না। তা হ’ল তাক্বলীদকে দ্বীনরূপে গ্রহণ করা এবং এর কারণে কিতাব ও সুন্নাতের দলীলগুলিকে প্রত্যাখ্যান করা। আমি যদি ঐ সাহসী বক্তাকেই সতর্ক করে তার পক্ষ থেকে সংঘটিত কোন আয়াত অথবা হাদীছ বিরোধী আমল সম্পর্কে তাকে বলি তাহ’লে সে সে বিষয়ে সতর্ক না হ’য়ে খুব দ্রুত মাযহাবকেই দলীল হিসাবে পেশ করবে। এটা খুবই দুঃখজনক! অথচ সে তার এ আচরণের মাধ্যমে উল্লেখিত মহান মূলনীতিকেই নস্যাৎ করে দেয়। যার দিকে সে নিজেও মানুষকে আহবান করেছে। মহান আল্লাহ বলেন,إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَنْ يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ- ‘অথচ মুমিনদের কথা তো কেবল এটাই হ’তে পারে যে, যখন তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ডাকা হয় তাদের মধ্যে ফায়ছালা করে দেওয়ার জন্য, তখন তারা বলবে আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আর এরাই হ’ল সফলকাম’ (নূর ২৪/৫১)। তার উচিত ছিল দলীল ও উপদেশ শোনার পর তা দ্রুত মেনে নেয়া। কেননা এটাই ইলম। আর সে তাক্বলীদের আশ্রয় নিবে না। কেননা তা অজ্ঞতা।

দ্বিতীয় : আপনারা আপনাদের অন্তরে একটি ওয়াজিব বিষয় প্রতিষ্ঠা করুন, যা কিছুটা হ’লেও প্রত্যেক মুসলিমের পক্ষে সম্ভব। তা ইজতিহাদ ও তাহক্বীক্বের পর্যায়ে নয়, যার যোগ্যতা কেবল বিশেষ শ্রেণীর লোকেরা অর্জন করতে পারে। তা হ’ল কেবল রাসূল (ছাঃ)-এর অনুসরণ করা। আপনাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ সাধ্যানুযায়ী তা করবেন। আপনারা যেমন ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক মানেন, তেমনি অনুসরণের ক্ষেত্রেও রাসূল (ছাঃ)-কে একমাত্র আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করবেন। আপনাদের প্রভু একজন এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিও একজনই। এর মাধ্যমে ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই’ এবং ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল’ এই সাক্ষকে সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

সুতরাং প্রিয় ভ্রাতৃমন্ডলী! আপনারা দৃঢ়ভাবে হৃদয়ে এ কথা লালন করুন যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন হাদীছ প্রমাণিত হ’লেই তার প্রতি ঈমান আনবেন; চাই তা আক্বীদা বিষয়ক হেŠক বা আহকাম। সেটি আপনার মাযহাবী ইমাম বলুক অথবা অন্য কোন ইমাম বলুক। আর মুজতাহিদ নয় এমন লোকদের রায় ও ইজতিহাদী মূলনীতর উপর মোটেই নির্ভর করবেন না। কেননা এটাই আপনাদেরকে রাসূল (ছাঃ)-এর ইত্তেবার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করবে। কোন মানুষের তাক্বলীদ করবেন না। তিনি যত বড় ব্যক্তিই হোন না কেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বাণী আপনাদের নিকট পেŠঁছানোর পরেও তার ওপরে কোন মানুষের কথাকে প্রাধান্য দিবেন তা কখনো হ’তে পারে না।

জেনে রাখুন! কেবল এর মাধ্যমেই ‘জীবনের মানহাজ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ‘শাসন একমাত্র আল্লাহর’ এই মূলনীতিগুলিকে ইলম ও আমলগতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। এটা ব্যতীত কুরআনী অনন্য প্রজন্ম তৈরী করা অসম্ভব। যে প্রজন্ম একাই মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা ও তার বৈশিষ্ট্যসমূহ সৃষ্টিতে সক্ষম হবে। এর মাধ্যমেই কাঙ্খিত ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। একথার সত্যায়নে একজন বিশিষ্ট ইসলামী দাঈর জ্ঞানগর্ভপূর্ণ কথা উল্লেখ করছি। তিনি বলেন,أَقِيْمُوْا دَوْلَةَ الْإِسْلَامِ فِيْ قُلُوْبِكُمْ تُقَمْ لَكُمْ عَلَى أَرْضِكُمْ- ‘তোমরা তোমাদের অন্তরে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কর, তাহ’লে তা যমীনে স্বয়ং প্রতিষ্ঠা লাভ করবে’। আশা করি, তা খুব শীঘ্রই ঘটবে।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللهَ يَحُولُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَقَلْبِهِ وَأَنَّهُ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ-

‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আহবানে সাড়া দাও। যখন তিনি তোমাদের আহবান করেন ঐ বিষয়ের দিকে যা তোমাদের (মৃত অন্তরে) জীবন দান করে। জেনে রেখ, আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে থাকেন (অর্থাৎ তাঁর অনুমতিক্রমেই মানুষ মুমিন ও কাফির হয়ে থাকে)। পরিশেষে তাঁর কাছেই তোমাদের সমবেত করা হবে’ (আনফাল ৮/২৪)


[1]. ঈকাযু হিমাম, পৃঃ ৯৯।  



নববী চিকিৎসা পদ্ধতি (৩য় কিস্তি) - কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী
তাছফিয়াহ ও তারবিয়াহ : মুসলিম জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
তাছফিয়াহ ও তারবিয়াহ : মুসলিম জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা (পূর্ব প্রকাশিতের পর) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
ইসলামে দাড়ি রাখার বিধান (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
আক্বীদা ও আহকামে হাদীছের প্রামাণ্যতা (৫ম কিস্তি) - মীযানুর রহমান মাদানী
প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার : ইসলামী দৃষ্টিকোণ - মুহাম্মাদ শাহাদত হোসাইন, বসুন্ধরা গ্রুপ, ঢাকা
কুরআন তেলাওয়াতের আদব সমূহ - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের উপায় - শামসুল আলম
আমানত (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান
মাদ্রাসার পাঠ্যবই সমূহের অন্তরালে (৬ষ্ঠ কিস্তি) - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
পরকীয়া : কারণ ও প্রতিকার - মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ
মহামনীষীদের পিছনে মায়েদের ভূমিকা (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
আরও
আরও
.