রিয়া বা লৌকিকতার কতিপয় আলামত বা নিদর্শন রয়েছে, যার মাধ্যমে রিয়াকারীকে চেনা যায়। অথবা নিজের ভিতর রিয়া আছে কি-না তা যাচাই করা যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিদর্শন হ’ল-

১. শারঈ ওযর ছাড়া যথাসময়ে ইবাদত সম্পাদন না করা :

মহান আল্লাহ বলেন,فَوَيْلٌ لِلْمُصَلِّينَ، الَّذِينَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ، الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ، وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ ‘অতঃপর দুর্ভোগ ঐসব মুছল্লীর জন্য, যারা তাদের ছালাত থেকে উদাসীন, যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে এবং নিত্য ব্যবহার্য বস্ত্ত দানে বিরত থাকে’ (মাঊন ১০৭/৪-৭)

হযরত সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ) বলেন, এর অর্থ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, الَّذِيْنَ يُؤَخِّرُوْنَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا، تَهَاوُنًا بِهَا- ‘যারা অবহেলাবশত সঠিক সময় থেকে দেরীতে ছালাত আদায় করে’।[1]

হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) ‘যারা তাদের ছালাত থেকে উদাসীন’-এর ব্যাখ্যায় বলেন,وإما عن وقتها الأول فيؤخرونها إلى آخره دائما أو غالبا. وإما عن أدائها بأركانها وشروطها على الوجه المأمور به. وإما عن الخشوع فيها والتدبر لمعانيها، ‘তারা সর্বদা বা অধিকাংশ সময়ে আউয়াল ওয়াক্তের পরিবর্তে আখেরী ওয়াক্তে ছালাত আদায় করে বা ছালাতের রুকন ও শর্তগুলো যথাযথভাবে আদায় করে না অথবা ছালাতের মধ্যে বিনয়-নম্রতা এবং ক্বিরাআত ও দো‘আ-দরূদের অর্থ ও মর্ম বুঝা হ’তে উদাসীন থাকে’। এরপর তিনি বলেন,فاللفظ يشمل هذا كله، ولكن من اتصف بشيء من ذلك قسط من هذه الآية. ومن اتصف بجميع ذلك، فقد تم نصيبه منها، وكمل له النفاق العملي. ‘সাহূন বা উদাসীন শব্দটি উল্লেখিত বিষয়গুলির সবগুলোকে শামিল করে। তবে উক্ত দোষগুলোর কোন একটি দোষ যার মধ্যে পাওয়া যাবে, সে আংশিকভাবে এই আয়াতের আওতাভুক্ত হবে। আর যার মধ্যে উপরোক্ত সবগুলো দোষই বিদ্যমান থাকবে, সে পরিপূর্ণরূপে এই আয়াতের আওতাভুক্ত হবে এবং তার জন্য কর্মগত মুনাফেকী পূর্ণতা পাবে’।[2] যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,تِلْكَ صَلاَةُ الْمُنَافِقِ يَجْلِسُ يَرْقُبُ الشَّمْسَ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ قَامَ فَنَقَرَهَا أَرْبَعًا لاَ يَذْكُرُ اللهَ فِيهَا إِلاَّ قَلِيلاً ‘এটা মুনাফিকের ছালাত, যে বসে সূর্য ডোবার অপেক্ষা করে। তারপর যখন সূর্য শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝখানে আসে (অর্থাৎ ডোবার উপক্রম হয়), তখন দাঁড়িয়ে চারটি ঠোকর মারে (অর্থাৎ আছরের চার রাক‘আত ছালাত দ্রুত পড়ে নেয়)। সেখানে সে আল্লাহকে অতি অল্পই স্মরণ করে’।[3]

২. উদাসীনতার সাথে ইবাদত করা :

মনোযোগ, একাগ্রতা ও ইখলাছের পরিবর্তে উদাসীনতা, অন্যমনস্কতা ও অলসতার সাথে ইবাদত সম্পাদন করা রিয়াকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এদিক থেকে মুনাফিকের সাথে তার সাদৃশ্য রয়েছে। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, لهم علامات يُعْرَفُونَ بها مبينة في السنة والقرآن. بادية لمن تدبرها من أهل بصائر الإيمان، قام بهم-والله- الرياء، وهو أقبح مقام قامه الإنسان، وقعد بهم الكسل عما أمروا به من أوامر الرحمن، فأصبح الإخلاص عليهم لذلك ثقيلاً : وَإِذَا قَامُوا إِلَى الصَّلَاةِ قَامُوا كُسَالَى يُرَاءُونَ النَّاسَ وَلَا يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلَّا قَلِيلًا، ‘কুরআন ও সুন্নাহতে মুনাফিকদের কতিপয় নিদর্শন বর্ণিত হয়েছে, যার মাধ্যমে তাদেরকে চেনা যায়। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মুমিনদের মধ্যে যারা এগুলি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে তাদের কাছে বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে ধরা দিবে। আল্লাহর কসম! প্রদর্শনের জন্যই তারা ছালাত আদায় করে। লৌকিকতার এই প্রবণতা মানুষের জন্য নিকৃষ্টতর অবস্থান। অলসতাই তাদেরকে দয়াময়ের নির্দেশ সমূহ পালনে বাধা দেয়। এজন্য ইবাদতে ইখলাছ বজায় রাখা তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন তারা ছালাতে দাঁড়ায়, তখন অলসভাবে দাঁড়ায়। তারা লোকদের দেখায় এবং আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে’ (নিসা ৪/১৪২)[4]

ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) আরো বলেন,يؤخرون الصلاة عن وقتها الأول إلى شَرَق الموتى فالصبح عند طلوع الشمس والعصر عند الغروب. وينقرونها نقر الغراب، إذ هي صلاة الأبدان، لا صلاة القلوب. ويلتفتون فيها التفات الثعلب، إذ يتيقن أنه مطرود ومطلوب، ‘তারা আউয়াল ওয়াক্তের পরিবর্তে আখেরী ওয়াক্তে ছালাত আদায় করে। সূর্য উদয়ের সময়ে ফজর এবং সূর্যাস্তের সময়ে আছর পড়ে। কাকের ঠোকর মারার ন্যায় তারা ঠোকর মারে এবং ধৃত শেয়ালের মতো এদিক-ওদিক তাকাতাকি করে। ফলে এটি দৈহিকভাবে ছালাত হলেও আত্মিকভাবে ছালাত বলে গণ্য হয় না’।[5]

হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন,هذه صفة المنافقين في أشرف الأعمال وأفضلها وخيرها، وهي الصلاة. إذا قاموا إليها قاموا وهم كسالى عنها؛ لأنهم لا نية لهم فيها، ولا إيمانَ لهم بها ولا خشية، ولا يعقلون معناها، ‘সবচেয়ে মর্যাদা ও ফযীলতপূর্ণ এবং সর্বোত্তম আমল ছালাতের ব্যাপারে এটি মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য। তারা আলস্যভরে ছালাতে দাঁড়ায়। কেননা আদতে ছালাত আদায়ের ব্যাপারে তাদের কোন নিয়ত বা সংকল্পই নেই, ছালাতের ফরযিয়াতের প্রতি তাদের কোন বিশ্বাস নেই এবং ছালাতে একাগ্রতাও নেই। তারা ছালাতে পঠিত ক্বিরাআত ও দো‘আ-দরূদের অর্থ ও মর্ম বোঝে না। কাজেই মহান আল্লাহর বাণী : ‘যখন তাঁরা ছালাতে দাঁড়ায়, তখন অলসভাবে দাঁড়ায়’। এটি তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য। যেমন আল্লাহ বলেন, وَلَا يَأْتُونَ الصَّلَاةَ إِلَّا وَهُمْ كُسَالَى ‘আর তারা ছালাতে আসে অলসভাবে’ (তওবা ৯/৫৪)। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের নিকৃষ্ট অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বলেছেন,{يُرَاءُونَ النَّاسَ} أي: لا إخلاص لهم؛ ولهذا يتخلفون كثيرا عن الصلاة التي لا يُرَون غالبًا فيها كصلاة العشاء وقت العَتَمَة، وصلاة الصبح في وقت الغَلَس، ‘তারা লোকদের দেখায়’। অর্থাৎ তাদের কোন ইখলাছ বা একনিষ্ঠতা নেই। এজন্য তারা ছালাতে সবসময় পিছনে পড়ে থাকে। রাতের অন্ধকারে এশার ছালাতে এবং ভোরের অন্ধকারে ফজরের ছালাতে তাদেরকে প্রায়শই দেখা যায় না’।[6]

‘তারা ছালাতে আসে অলসভাবে’ (তওবা ৫৪)-এর ব্যাখ্যায় ইবনু কাছীর বলেন,أي: ليس لهم قصد صحيح، ولا همة في العمل، ‘তাদের কোন সৎ নিয়ত ও আমলের ব্যাপারে উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই’।[7]

শায়েখ সালীম আল-হেলালী বলেন, ‘রিয়াকারীরা আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভের তীব্র বাসনা তার সামনে দন্ডায়মান হওয়া এবং চুপি চুপি কথা বলার জন্য ছালাতে দাঁড়ায় না। তারা লোক দেখানো জাতি। এজন্যই তারা অলসভাবে ছালাতে দাঁড়ায়। তাদের দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোন ভারী কাজ করে অথবা কঠিন পাথরকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে। তারা খুব অল্পই আল্লাহকে স্মরণ করে। বরং তারা মানুষকে স্মরণ করে। ফলে তাদের সকল কর্মকান্ড মানুষের মর্যি মাফিক হয়। যখন তারা মানুষকে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে তখন ইবাদতে তৎপর হয় এবং ইবাদতকে সুসজ্জিত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে’।[8]

তাইতো রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুনাফিকদের সম্পর্কে বলেন,لَيْسَ صَلاَةٌ أَثْقَلَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ مِنَ الْفَجْرِ وَالْعِشَاءِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا، ‘ফজর ও এশার ছালাতের চেয়ে মুনাফিকদের উপর ভারী কোন ছালাত নেই। যদি তারা এই দুই ছালাতের ছওয়াব জানত তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও জামা‘আতে উপস্থিত হত’।[9]

৩. জনসম্মুখে কর্মতৎপরতা দেখানো :

রিয়াকারীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য জনসম্মুখে কর্মতৎপর হওয়া। ইবনু রজব হাম্বলী বলেন, والمرائي إنما ينشط للعمل إذا رآه النَّاس، فإذا لَمْ يشاهدوه ثقل عَليهِ العمل. ‘রিয়াকারীকে যখন মানুষ দেখে তখন সে আমল সম্পাদনে তৎপর হয়। আর যখন মানুষ তাকে দেখে না তখন তার জন্য আমল করা ভারী হয়ে যায়’।[10] শায়েখ উছায়মীন (রহঃ) বলেন, إن من علامات الرياء كون الإنسان يعصي الله في السر حين لا يطلع إلا الله ويظهر خشية الله في العلانية حين يراه الناس، ‘রিয়ার অন্যতম নিদর্শন হ’ল, গোপনে মানুষের আল্লাহর অবাধ্যতায় নিয়োজিত হওয়া। যখন আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ সে সম্পর্কে অবগত নন। আর মানুষ যখন তাকে দেখে তখন সে প্রকাশ্যে আল্লাহভীতি যাহির করে’।[11] অথচ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অবস্থা এক হলেই কেবল সেই আমল বা কাজকে الصدق في الأعمال বা ‘কর্মে সততা’ বলা হয়। এজন্যই মুতাররিফ বলেছেন, إذا استوت سريرة العبد وعلانيته قال الله عز وجل : هذا عبدي حقاً، ‘যখন বান্দার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অবস্থা একই হয় তখন মহান আল্লাহ বলেন, সত্যিই এই ব্যক্তি আমার বান্দা’।[12]

তাইতো কবি বলেছেন,

إِذَا السِّرُّ وَالْإِعْلَانُ فِي الْمُؤْمِنِ اسْتَوَى

فَقَدْ عَزَّ فِي الدَّارَيْنِ وَاسْتَوْجَبَ الثَّنَا

فَإِنْ خَالَفَ الْإِعْلَانُ سِرًّا فَمَا لَهُ

عَلَى سَعْيِهِ فَضْلٌ سِوَى الْكَدِّ وَالْعَنَاءِ

‘মুমিনের গোপন ও প্রকাশ্য তথা ভেতর ও বাহির যখন একই হবে, তখন সে ইহ ও পরকালে সম্মানিত হবে এবং প্রশংসার যোগ্য পাত্র বলে বিবেচিত হবে। আর তার বাহ্যিক অবস্থা যখন অভ্যন্তরীণ অবস্থার বিপরীত হবে তখন স্রেফ কষ্ট-ক্লেশ ছাড়া তার চেষ্টা-প্রচেষ্টার আর কোন মূল্য থাকবে না’।[13]

একজন ব্যক্তি শাকীক বিন ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করল,إن الناس يسمونني صالحا، লোকজন আমাকে সৎ বলে এক্ষণে আমি কিভাবে বুঝব্ যে, আমি সৎ না অসৎ? তখন শাকীক বললেন, প্রথমতঃ তুমি তোমার গোপনীয়তা সৎ ব্যক্তিদের কাছে প্রকাশ করবে। যদি তারা তোমার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সন্তষ্ট হয় তাহলে তুমি জানবে যে, তুমি সৎ। অন্যথা নয়। দ্বিতীয়তঃ দুনিয়াকে তোমার মনের নিকট উপস্থাপন করবে। যদি মন দুনিয়াবী জৌলুসকে প্রত্যাখ্যান করে তাহলে বুঝবে যে, তুমি সৎ। তৃতীয়তঃ তুমি তোমার নফসের উপর মৃত্যুকে পেশ কর। যদি মন মৃত্যুবরণের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে তাহ’লে জানবে যে, তুমি সৎ। অন্যথা নয়’। এরপর তিনি বললেন,فإذا اجتمعت فيك هذه الثلاثة فتضرع إلى الله تعالى لكي لا يدخل الرياء في عملك فيفسد عليك أعمالك، ‘যখন তোমার মধ্যে এই তিনটি গুণের সন্নিবেশ ঘটবে, তখন কাকুতি-মিনতি সহকারে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে যাতে তোমার আমলের মধ্যে রিয়ার অনুপ্রবেশ ঘটে সেগুলিকে ধ্বংস করে না দেয়’।[14]


এজন্য ইবনু কুদামা মাক্বদেসী বলেন,وينبغي أن يراقب الإنسان نفسه قبل العمل وفي العمل، هل حركه عليه هوى النفس أو المحرك له هو الله تعالى خاصة؟ فإن كان الله تعالى، أمضاه، وإلا تركه، وهذا هو الإخلاص، ‘আমল করার পূর্বে এবং সময়ে মানুষের উচিত তার নফসকে পর্যবেক্ষণ করা যে, প্রবৃত্তি তাকে সেই কাজে ধাবিত করেছে নাকি স্রেফ আল্লাহই তাকে সেই কাজের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন? যদি আল্লাহ তাকে প্রেরণা যোগান তাহ’লে সে কাজটি বাস্তবায়ন করবে। নচেৎ তা পরিত্যাগ করবে। আর এটাই হ’ল ইখলাছ’।[15]

উসামা বিন শারীক (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,ما كرهتَ أن يراه الناسُ فلا تفعله إذا خلوتَ ‘যে কাজটি মানুষের দেখে ফেলাকে তুমি অপছন্দ কর, সেটি নির্জনে করবে না’।[16]

আলী ইবনে আবী ত্বালেব (রাঃ) বলেন,لِلْمُرَائِي أَرْبَعُ عَلَامَاتٍ: يَكْسَلُ إِذَا كَانَ وَحْدَهُ، وَيَنْشَطُ إِذَا كَانَ مَعَ النَّاسِ، وَيَزِيدُ فِي الْعَمَلِ إِذَا أُثْنِيَ عَلَيْهِ، وَيَنْقُصُ إِذَا ذُمَّ بِهِ ‘রিয়াকারীর নিদর্শন চারটি- (১) লোক চক্ষুর অন্তরালে সৎকাজে অলসতা-অবহেলা করে। (২) মানুষের সামনে আগ্রহ ও উদ্যমের সাথে আমল করে। (৩) তার প্রশংসা করা হ’লে আমলের গতি বাড়িয়ে দেয়। আবার (৪) তার নিন্দা করা হ’লে আমলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়’।[17]

আল্লাহ আমাদেরকে উক্ত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন- আমীন!


[1]. তাফসীর ইবনে কাছীর ৮/৪৬৬; কুরতুবী হা/৬৪৮৩; বাযযার, ত্বাবারী, বায়হাক্বী। তবে বায়হাক্বী সা‘দ থেকে ‘মওকূফ’ সূত্রে বর্ণনা করার পর সেটাকেই ‘সঠিক’ বলেছেন (২/২১৪-১৫)। হায়ছামী একে ‘হাসান’ বলেছেন (১/৩২৫)। তাফসীরে কুরতুবীর টীকাকার বলেন, মওকূফ ছহীহوهو الراجح‘এবং এটাই অগ্রাধিকারযোগ্য’। মরফূ বর্ণনা সঠিক নয়।

[2]. তাফসীর ইবনে কাছীর (কায়রো : দারুল হাদীছ, ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি.), ৮/৪৬৪

[3]. মুসলিম হা/৬৬২; মিশকাত হা/৫৯৩

[4]. মাদারিজুস সালেকীন ১/২৮৬

[5]. ইবনুল ক্বাইয়িম, মাদারিজুস সালেকীন (কায়রো : দারুল হাদীছ, ১৪২৬ হি./২০০৫ খ্রি.), ১/২৮৮

[6]. তাফসীর ইবনে কাছীর, ২/৪৮৮

[7]. ঐ, ৪/১৭৩

[8]. সালীম আল-হেলালী, আর-রিয়া যাম্মুহু ওয়া আছারুহুস সাইয়্যি ফিল উম্মাহ (সঊদী আরব : মাকতাবাতু ইবনিল জাওযী, ১ম প্রকাশ, ১৪০৮ হি./১৯৮৮ খৃ.), পৃ. ৪০)

[9]. বুখারী হা/৬৫৭; মুসলিম হা/১৪৮২

[10]. ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৬/৩৫

[11]. আয-যিয়াউল লামে মিনাল খুতাবিল জাওয়ামে ২/২২১

[12]. মুখতাছার মিনহাজুল কাছেদীন, পৃ. ৩৬৯

[13]. আব্দুল মালেক আল-কাসেম, মিফতাহু দাওয়াতির রুসুল, পৃ. ১৯

[14]. ঐ, পৃ. ১৯-২০

[15]. মুখতাছার মিনহাজুল ক্বাছেদীন, পৃ. ৩৭৩

[16]. সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১০৫৫

[17]. আবুল লায়েছ সামারকান্দী, তাম্বীহুল গাফেলীন (দামেশক: দারু ইবনি কাছীর, ২য় মুদ্রণ, ১৪২১হি./২০০০খৃ.), পৃ. ৩০।






বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
নববী চিকিৎসা পদ্ধতি (৫ম কিস্তি) - কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী
সম্মিলিত মুনাজাত কী ইজতিহাদী মাসআলা? - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
তাক্বলীদের বিরুদ্ধে ৮১টি দলীল (৬ষ্ঠ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
নেতৃত্বের মোহ (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
আক্বীদা ও আহকামে হাদীছের প্রামাণ্যতা (৩য় কিস্তি) - মীযানুর রহমান মাদানী
নেতার প্রতি আনুগত্যের স্বরূপ - মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম
সফরের আদব - মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ
যাকাত সম্পর্কিত বিবিধ মাসায়েল (৫ম কিস্তি) - মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম মাদানী
বাহাছ-মুনাযারায় ভারতীয় উপমহাদেশের আহলেহাদীছ আলেমগণের অগ্রণী ভূমিকা - ড. নূরুল ইসলাম
আহলেহাদীছ জামা‘আতের বিরুদ্ধে কতিপয় মিথ্যা অপবাদ পর্যালোচনা (৫ম কিস্তি) - তানযীলুর রহমান - শিক্ষক, বাউটিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রাজশাহী
ইসলামের দৃষ্টিতে মাদকতা - ড. মুহাম্মাদ আলী
হাদীছ ও কুরআনের পারস্পরিক সম্পর্ক - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব
আরও
আরও
.