পর্ব ১। পর্ব ২ । পর্ব ৩ 

জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ফযীলত :

মসজিদে গিয়ে ছালাত আদায় করা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,إِلَّا الْمُصَلِّيْنَ، الَّذِيْنَ هُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ دَائِمُوْنَ ‘ছালাত আদায়কারীগণ ব্যতীত, যারা তাদের ছালাতের ক্ষেত্রে নিয়মিত’ (মা‘আরিজ ৭০/২২-২৩)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, এর অর্থ ছালাতের আবশ্যক বিষয় সমূহ সহ সময় মত ছালাত আদায়কারীগণ।[1] অন্যত্র আল্লাহ বলেন,وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلاتِهِمْ يُحَافِظُونَ، أُولَئِكَ فِي جَنَّاتٍ مُكْرَمُونَ ‘আর যারা নিজেদের ছালাত হেফাযত করে, তারাই জান্নাত সমূহে সম্মানিত হবে’ (মা‘আরিজ ৭০/৩৪-৩৫)। আর ছালাত হেফাযতের অন্যতম মাধ্যম হ’ল জামা‘আতে ছালাত আদায় করা। জামা‘আতে ছালাত আদায়ের কতিপয় ফযীলত নিম্নে আলোচনা করা হ’ল।-

ক. জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ছওয়াব পঁচিশ থেকে সাতাশ গুণ বেশী :

1- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : صَلاَةُ أَحَدِكُمْ فِىْ جَمَاعَةٍ تَزِيْدُ عَلَى صَلاَتِهِ فِىْ سُوْقِهِ وَبَيْتِهِ بِضْعًا وَعِشْرِيْنَ دَرَجَةً، وَذَلِكَ بِأَنَّهُ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ، ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ، لاَ يُرِيْدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ، لاَ يَنْهَزُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ، لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلاَّ رُفِعَ بِهَا دَرَجَةً، أَوْ حُطَّتْ عَنْهُ بِهَا خَطِيْئَةٌ، وَالْمَلاَئِكَةُ تُصَلِّى عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِىْ مُصَلاَّهُ الَّذِىْ يُصَلِّى فِيْهِ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ، مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيْهِ، مَا لَمْ يُؤْذِ فِيْهِ. وَقَالَ: أَحَدُكُمْ فِىْ صَلاَةٍ مَا كَانَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ–

১. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কারো জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ছওয়াব, তার নিজের ঘরে ও বাজারে আদায়কৃত ছালাতের ছওয়াবের চেয়ে বিশ গুণেরও অধিক মর্যাদা সম্পন্ন। কারণ সে যখন উত্তমরূপে ওযূ করে মসজিদে আসে, ছালাত আদায় ছাড়া অন্য কোন অভিপ্রায়ে আসে না এবং ছালাত ছাড়া অন্য কিছুই তাকে উদ্বুদ্ধ করে না। এমতাবস্থায় তার প্রতি কদমে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর ফেরেশতাগণ ঐ ব্যক্তির জন্য (এ মর্মে) দো‘আ করতে থাকেন, যতক্ষণ সে ছালাত আদায়ের স্থানে অবস্থান করে, হে আল্লাহ! আপনি তার প্রতি অনুগ্রহ করুন, তার প্রতি রহম করুন। যতক্ষণ না তার ওযূ ভঙ্গ হয় বা কাউকে কষ্ট দেয়। তিনি আরো বলেন, ঐ ব্যক্তি ছালাতরত গণ্য হবে, যতক্ষণ সে ছালাতের অপেক্ষায় থাকে’।[2] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, صَلاَةٌ مَعَ الإِمَامِ أَفْضَلُ مِنْ خَمْسٍ وَعِشْرِيْنَ صَلاَةً يُصَلِّيْهَا وَحْدَهُ- ‘একাকী ছালাত আদায় করার চেয়ে ইমামের সাথে জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ২৫ গুণ বেশী উত্তম’।[3]

2- عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً-

২. আবদুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘জামা‘আতে ছালাতের ফযীলত একাকী আদায়কৃত ছালাত অপেক্ষা সাতাশ গুণ বেশী’।[4]

খ. জামা‘আতে লোক সংখ্যা বেশী হ’লে ছওয়াব বেশী হবে :

৩- عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ، فَقَالَ: أَشَاهِدٌ فُلَانٌ وَفُلَانٌ وَفُلَانٌ حَتَّى عَدَّ ثَلَاثَةً : كُلُّ ذَلِكَ يَقُوْلُوْنَ نَعَمْ، قَالَ: إِنَّ أَثْقَلَ الصَّلَاةِ عَلَى الْمُنَافِقِيْنَ صَلَاةُ الْعِشَاءِ، وَصَلَاةُ الْفَجْرِ، وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِيْهِمَا لأتَوْهُما وَلَوْ حَبْوًا وَاعْلَمُوْا أَنَّ الصَّفَّ الْمُقَدَّمَ عَلَى مَثَلِ صَفِّ الْمَلَائِكَةِ، ولَوْ عَلِمْتُمْ فَضِيْلَتَهُ لَابْتَدَرْتُمُوْهُ، وَاعْلَمُوْا أَنَّ صَلَاةَ الرَّجُلِ مَعَ الرَّجُلِ أَزْكَى مِنْ صَلَاةِ الرَّجُلِ وَحْدَهُ، وَإِنَّ صَلَاتَهُ مَعَ الرَّجُلَيْنِ أَزْكَى مِنْ صَلَاتِهِ مَعَ الرَّجُلِ، وَمَا كَثُرَ أَحَبُّ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ–

৩. উবাই বিন কা‘ব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ) ফজর ছালাতে আমাদের ইমামতি করলেন। অতঃপর আমাদের দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস করলেন, অমুক উপস্থিত, অমুক উপস্থিত, অমুক উপস্থিত? এভাবে তিনজনের নাম উল্লেখ করলেন। প্রত্যেকে উত্তরে বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, ফজর ও এশার ছালাত মুনাফিকদের উপর সবচাইতে ভারী। মানুষ যদি জানত এ দুই ছালাতে কিরূপ নেকী রয়েছে, তাহ’লে হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও তাতে অংশগ্রহণ করত। জেনে রেখ, ছালাতের প্রথম কাতার ফেরেশতাদের কাতারের মত। তোমরা যদি প্রথম কাতারের ফযীলত জানতে তাহ’লে অবশ্যই দেঁŠড়ে যেতে। আরো জেনে রেখ, দু’জনে জামা‘আতে ছালাত আদায় করা উত্তম একা ছালাত আদায় করার চেয়ে। তিনজনের জামা‘আত দু’জনের জামা‘আত অপেক্ষা উত্তম। জামা‘আতে মুছল্লী যত বেশী হবে, আল্লাহর নিকটে তা তত বেশী প্রিয়তর হবে’।[5]

ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ফযীলত একাকী ছালাত আদায় অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশী। যদি লোক সংখ্যা বেশী হয় তাহ’লে মসজিদে যে পরিমাণ লোক থাকবে ততগুণ বেশী ছওয়াব পাবে। একজন লোক জিজ্ঞেস করল, যদি লোক সংখ্যা দশ হাযার হয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ, চল্লিশ হাযার হ’লেও।[6]

গ. মসজিদ হ’তে বাড়ির দূরত্ব বেশী হ’লে ছওয়াব বেশী হবে :

4- عَنْ أَبِىْ مُوْسَى قَالَ قَالَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم: أَعْظَمُ النَّاسِ أَجْرًا فِى الصَّلاَةِ أَبْعَدُهُمْ فَأَبْعَدُهُمْ مَمْشًى، وَالَّذِىْ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الإِمَامِ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنَ الَّذِى يُصَلِّى ثُمَّ يَنَامُ –

৪. আবু মূসা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, (মসজিদ হ’তে) যে যত অধিক দূরত্ব অতিক্রম করে ছালাতে আসে, তার তত বেশী ছওয়াব হবে। আর যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে ছালাত আদায় করা পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তার ছওয়াব সে ব্যক্তির চেয়ে অধিক, যে একাকী ছালাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ে’।[7]

5- عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: مَنْ تَطَهَّرَ فِىْ بَيْتِهِ ثُمَّ مَشَى إِلَى بَيْتٍ مِّنْ بُيُوْتِ اللهِ لِيَقْضِىَ فَرِيْضَةً مِّنْ فَرَائِضِ اللهِ كَانَتْ خَطْوَتَاهُ إِحْدَاهُمَا تَحُطُّ خَطِيْئَةً وَالأُخْرَى تَرْفَعُ دَرَجَةً-

৫. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বাড়ি থেকে ওযূ করে আল্লাহর কোন ঘরের দিকে এই উদ্দেশ্যে যাত্রা করে যে, আল্লাহর নির্ধারিত কোন ফরয ইবাদত (ছালাত) আদায় করবে, তাহ’লে তার প্রতি দুই পদক্ষেপের মধ্যে একটিতে একটি করে গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং অপরটিতে একটি করে মর্যাদা উন্নত করা হবে’।[8]

6- عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ حَضَرَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ الْمَوْتُ فَقَالَ إِنِّىْ مُحَدِّثُكُمْ حَدِيْثًا مَا أُحَدِّثُكُمُوْهُ إِلاَّ احْتِسَابًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ لَمْ يَرْفَعْ قَدَمَهُ الْيُمْنَى إِلاَّ كَتَبَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ حَسَنَةً وَلَمْ يَضَعْ قَدَمَهُ الْيُسْرَى إِلاَّ حَطَّ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَنْهُ سَيِّئَةً فَلْيُقَرِّبْ أَحَدُكُمْ أَوْ لِيُبَعِّدْ فَإِنْ أَتَى الْمَسْجِدَ فَصَلَّى فِىْ جَمَاعَةٍ غُفِرَ لَهُ فَإِنْ أَتَى الْمَسْجِدَ وَقَدْ صَلَّوْا بَعْضًا وَبَقِىَ بَعْضٌ صَلَّى مَا أَدْرَكَ وَأَتَمَّ مَا بَقِىَ كَانَ كَذَلِكَ فَإِنْ أَتَى الْمَسْجِدَ وَقَدْ صَلَّوْا فَأَتَمَّ الصَّلاَةَ كَانَ كَذَلِكَ-

৬. সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, এক আনছার ছাহাবীর মৃত্যু উপস্থিত হ’লে তিনি বলেন, আমি তোমাদের নিকট একটি হাদীছ কেবল ছওয়াব অর্জনের জন্যই বর্ণনা করতে চাই। আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ভালভাবে ওযূ করে ছালাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়, তখন সে তার ডান পা উঠানোর সাথে সাথেই তার আমলনামায় একটি নেকী লিখিত হয়। অতঃপর তার বাম পা ফেলার সাথে সাথে তার একটি গুনাহ মাফ করা হয়। অতএব যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে, সে তার আবাসস্থল মসজিদের নিকটে বা দূরে করতে পারে। অতঃপর ঐ ব্যক্তি মসজিদে আগমনের পর জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করলে তার সমস্ত (ছগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যদি সে মসজিদে পেঁŠছতে পেঁŠছতে তারা কিছু অংশ আদায় করে ফেলে এবং কিছু বাকী থাকে, তাহ’লে সে ইমামের সাথে যতটুকু পাবে ততটুকু আদায় করবে এবং যা বাকী থাকবে তা পূর্ণ করবে। কিন্তু ছওয়াবের ব্যাপারে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ ছালাত প্রাপ্ত ব্যক্তির মতো হবে। যদি সে মসজিদে আসার পর দেখে যে, ইমাম তার ছালাত শেষ করে ফেলেছে, তখন সে একাকী ছালাত আদায় করবে। তবুও তাকে ক্ষমা করা হবে’।[9]

৭- عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ كَانَ رَجُلٌ لاَ أَعْلَمُ رَجُلاً أَبْعَدَ مِنَ الْمَسْجِدِ مِنْهُ وَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ صَلاَةٌ، قَالَ : فَقِيْلَ لَهُ أَوْ قُلْتُ لَهُ لَوِ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا تَرْكَبُهُ فِى الظَّلْمَاءِ وَفِى الرَّمْضَاءِ. قَالَ مَا يَسُرُّنِىْ أَنَّ مَنْزِلِىْ إِلَى جَنْبِ الْمَسْجِدِ إِنِّىْ أُرِيْدُ أَنْ يُكْتَبَ لِىْ مَمْشَاىَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَرُجُوْعِىْ إِذَا رَجَعْتُ إِلَى أَهْلِىْ. فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: قَدْ جَمَعَ اللهُ لَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ-

৭. উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, এক (আনছার) লোক ছিলেন। মসজিদ থেকে তার চাইতে দূরে কোন ব্যক্তি অবস্থান করতেন বলে আমার জানা নেই। তবুও তিনি কোন ওয়াক্ত ছালাত (জামা‘আতে মসজিদে) আদায় করতে ত্রুটি করতেন না। একদা তাকে বলা হ’ল বা আমি তাকে বললাম, যদি একটা গাধা ক্রয় করতেন এবং রাতের অন্ধকারে ও উত্তপ্ত রাস্তায় তার উপর আরোহণ করতেন (তাহ’লে ভাল হ’ত)! তিনি বললেন, আমার বাসস্থান মসজিদের পাশে হ’লেও তা আমাকে আনন্দ দিতে পারত না। কারণ আমার মনস্কামনা এই যে, মসজিদে যাবার ও নিজ বাড়ি ফিরার সময় প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে যেন ছওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়। রাসূল (ছাঃ) (তার এহেন নেকী অর্জনের আগ্রহ দেখে) বললেন, ‘নিশ্চিতরূপে আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) তার সমস্তই জুটিয়েছেন’।[10]

ঘ. এশা ও ফজরের ছালাত জামা‘আতে আদায়ের ফযীলত :

এশা ও ফজরের ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করলে সারা রাত জেগে ইবাদত করার ছওয়াব পাওয়া যায়।

৮- عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِى عَمْرَةَ قَالَ: دَخَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ الْمَسْجِدَ بَعْدَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ فَقَعَدَ وَحْدَهُ فَقَعَدْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِى سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِىْ جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِىْ جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا صَلَّى اللَّيْلَ كُلَّهُ-

৮. আব্দুর রহমান বিন আবী আমরাহ হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ওছমান ইবনু আফফান (রাঃ) মাগরিব ছালাতের পর মসজিদে প্রবেশ করলেন। তিনি একাকী বসে পড়লেন। আমিও তাঁর পাশে বসে গেলাম। তখন তিনি বললেন, হে ভাতিজা! আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি এশার ছালাত জামা‘আতে আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত্রি ছালাতে কাটাল এবং যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত জামা‘আতে আদায় করল, সে যেন সমস্ত রাত্রি ছালাতে অতিবাহিত করল’।[11] ওমর (রাঃ) বলেন, لأَنْ أَشْهَدَ الْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ فِيْ جَمَاعَةٍ أَحَبُّ إلَيَّ مِنْ أَنْ أُحْيِيَ مَا بَيْنَهُمَا. ‘এশা ও ফজরের ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করা এ দু’সময়ের মধ্যে রাত জেগে ইবাদত করা অপেক্ষা আমি উত্তম মনে করি’।[12] আবুদ্দারদা (রাঃ) অন্তিমকালে বলেন,اسْمَعُوْا، وَبَلِّغُوْا مَنْ خَلْفَكُمْ : حَافِظُوْا عَلَى هَاتَيْنِ الصَّلاَتَيْنِ؛ الْعِشَاءِ وَالصُّبْحِ، وَلَوْ تَعْلَمُوْنَ مَا فِيْهِمَا لأَتَيْتُمُوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا عَلَى مَرَافِقِكُمْ وَرُكَبِكُمْ. ‘তোমরা শোন এবং অনুপস্থিত লোকদের নিকট সংবাদ পৌঁছে দাও। তোমরা এশা ও ফজরের ছালাত যথাযথভাবে হেফাযত করবে। এই দুই ছালাতে কি পরিমাণ ছওয়াব রয়েছে তা যদি তোমরা জানতে তাহ’লে হাঁটু ও কনুইয়ে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও তাতে উপস্থিত হ’তে’।[13]

ঙ. ছালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমনকারী আল্লাহর মেহমান :

ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমনকারী মুছললীগণ আল্লাহর মেহমান হিসাবে গণ্য হয়। আল্লাহ তাঁর মেহমানদের

উপহার স্বরূপ জান্নাত দিবেন।

9- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ وَرَاحَ أَعَدَّ اللهُ لَهُ نُزُلَهُ مِنَ الْجَنَّةِ كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ–

৯. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় যতবার মসজিদে যায়, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে ততবার মেহমানদারীর ব্যবস্থা করে রাখেন’।[14] ইমাম ইবনু বাত্ত্বাল বলেন, অত্র হাদীছে জামা‘আতে উপস্থিত হ’তে এবং নিয়মিত ছালাতের জন্য মসজিদে যেতে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা যখন তার জন্য সকাল-সন্ধ্যায় মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন, তখন আল্লাহ তার জন্য কেমন ব্যবস্থা করবেন তা সহজেই অনুমেয়। আর এ মর্যাদা অর্জিত হবে জামা‘আতে উপস্থিত হওয়া, ছওয়াবের প্রত্যাশা করা ও নিয়ত বিশুদ্ধ করার মাধ্যমে।[15] ইমাম ইবনু রজব (রহঃ) বলেন, হাদীছের অর্থ হ’ল- যে ব্যক্তি ছালাতের জন্য মসজিদের দিকে বের হ’ল সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎকারী। দিনের শুরু বা শেষে যখনই সে মসজিদে যাবে তখনই আল্লাহ মসজিদে তার জন্য মেহমানদারীর ব্যবস্থা করবেন। হাফেয আবু মূসা মাদীনী বলেন, ‘তোমাদের কেউ তার প্রিয় ব্যক্তির সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে গেলে যেমন সে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে মেহমানদারী করে, তেমন আল্লাহ করেন’।[16]

সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ تَوَضَّأَ فِيْ بَيْتِهِ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ، ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ، فَهُوَ زَائِرُ اللهِ، وَحَقٌّ عَلَى الْمَزُوْرِ أَنْ يُكْرِمَ الزَّائِرَ- ‘যে ব্যক্তি বাড়িতে উত্তমরূপে ওযূূ করল। অতঃপর মসজিদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল, সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎকারী। আর মেযবানের জন্য আবশ্যক হ’ল মেহমানের আতিথেয়তা প্রদান করা’।[17] অতএব আল্লাহর মেহমান হ’তে হ’লে মসজিদে গিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করতে হবে।

চ. জামা‘আতে ছালাত আদায়কারীর জাহান্নাম ও মুনাফিকী থেকে মুক্তি লাভ :

জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে দু’টি জিনিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। একটি হ’ল জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং অপরটি হ’ল নিফাক্ব তথা কপটতা থেকে মুক্তি।

10- عن أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِيْنَ يَوْمًا فِيْ جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيْرَةَ الْأُولَى كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ بَرَاءَةٌ مِنْ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنْ النِّفَاقِ-

১০. আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ৪০ দিন তাকবীরে ঊলা (তাকবীরে তাহরীমা) সহ জামা‘আতে ছালাত আদায় করল, তার জন্য দু’টি মুক্তি লেখা হয়। একটি হ’ল জাহান্নাম হ’তে মুক্তি। অপরটি হ’ল নিফাক্ব হ’তে মুক্তি’।[18] আল্লামা ত্বীবী অত্র হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন, দুনিয়ায় তাকে মুনাফিকের আমল করা থেকে নিরাপত্তা দান করা হবে ও একনিষ্ঠভাবে আমল করার তওফীক দান করা হবে। আর পরকালে মুনাফিকদের যে শাস্তি দেওয়া হবে তা থেকে রক্ষা করা হবে এবং সে যে মুনাফিক নয় এ বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়া হবে। কারণ মুনাফিকেরা অমনোযোগী অবস্থায় ছালাতে দাঁড়ায়। অত্র হাদীছে তাকবীরে ঊলার ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে।[19]

ছ. জামা‘আতের প্রথম কাতারে ছালাত আদায়ের ফযীলত :

প্রথম কাতারে ছালাত আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। প্রথম কাতারে ছালাত আদায়ের জন্য ছাহাবীগণ প্রতিযোগিতা করতেন। প্রথম কাতার ফেরেশতাদের কাতারের মত। প্রথম কাতারে ছালাত আদায়কারীর উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন ও তার জন্য ফেরেশতাগণ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

11- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِى النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوْا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوْا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوْا، وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِى التَّهْجِيْرِ لاَسْتَبَقُوْا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِى الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا-

১১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি লোকেরা জানত যে, আযান ও প্রথম কাতারে ছালাত আদায়ে কি নেকী রয়েছে, তাহ’লে তারা পরস্পরে প্রতিযোগিতা করত। অনুরূপভাবে যদি তারা জানত এশা ও ফজরের ছালাতে কি নেকী রয়েছে, তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও ঐ দুই ছালাতে আসত’।[20]

ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, যদি লোকেরা আযানের ফযীলত, মর্যাদা ও উত্তম প্রতিদান সম্পর্কে জানত, অতঃপর সময়ের সংকীর্ণতা বা এক ওয়াক্তে একটি আযানের কারণে তা অর্জন করার সুযোগ না পেত, তাহ’লে তা অর্জন করার জন্য লটারি করত। অনুরূপ প্রথম কাতারে ছালাত আদায়ের ফযীলত সম্পর্কে তারা যদি জানত এবং সবাই এক সাথে চলে আসার কারণে জায়গা সংকীর্ণ হয়ে যেত। অতঃপর একে অপরের প্রতি উদারতা দেখিয়ে জায়গা ছেড়ে না দিত, তাহ’লে তারা লটারি করত...। তদ্রূপ এশা ও ফজরের ছালাতের ফযীলত সম্পর্কে জানলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও তাতে অংশ গ্রহণ করত।[21] ইবনু রজব বলেন, আযান ও প্রথম কাতারে ছালাত আদায়ে কি পরিমাণ মর্যাদা ও ছওয়াব রয়েছে তারা যদি জানত, আর লটারি ব্যতীত তা অর্জন করা অসম্ভব হয়ে যেত, তাহ’লে তারা ফযীলত ও পুরস্কার অর্জনের জন্য লটারি করে হ’লেও তা অর্জন করার চেষ্টা করত।[22]

আবূ উমামা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى الصَّفِّ الأَوَّلِ، قَالُوْا : يَا رَسُوْلَ اللهِ وَعَلَى الثَّانِى قَالَ : إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى الصَّفِّ الأَوَّلِ. قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَعَلَى الثَّانِى، قَال: وَعَلَى الثَّانِى-

‘ নিশ্চয়ই আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন ও তাঁর ফেরেশতাগণ ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন প্রথম কাতারের মুছল্লীদের জন্য। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় কাতারের উপর? তিনি বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রথম কাতারে ছালাত আদায়কারীদের জন্য। ছাহাবীগণ আবার বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় কাতারের উপর? তিনি বললেন, দ্বিতীয় কাতারের উপরেও’।[23] অন্য হাদীছে এসেছে,

إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى الَّذِيْنَ يَلُوْنَ الصُّفُوْفَ الأُوَلَ وَمَا مِنْ خَطْوَةٍ أَحَبَّ إِلَى اللهِ مِنْ خَطْوَةٍ يَمْشِيهَا يَصِلُ بِهَا صَفًّا-

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রথম কাতারে ছালাত আদায়কারীদের জন্য। আর আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় পদক্ষেপ ঐটি যা কাতারে শামিল হওয়ার জন্য (বান্দা) করে থাকে’।[24] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, একদা রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা কি সেভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেভাবে ফেরেশতাগণ তাদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হয়? ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ফেরেশ কিভাবে তাদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন? উত্তরে তিনি বললেন, তারা আগে প্রথম কাতার পূরণ করেন। অতঃপর কাতারে ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়ান’।[25]

ইরবায ইবনু সারিয়া (রাঃ) বলেন, أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسْتَغْفِرُ لِلصَّفِّ الْمُقَدَّمِ ثَلاَثًا وَلِلثَّانِى مَرَّةً- ‘রাসূল (ছাঃ) প্রথম কাতারে ছালাত আদায়কারীর জন্য তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং দ্বিতীয় কাতারের জন্য একবার’।[26]

উপরের হাদীছগুলো থেকে বুঝা যায় যে, স্বয়ং আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং আল্লাহর ফেরেশতাগণ ও রাসূল (ছাঃ) প্রথম কাতার সমূহে ছালাত আদায়কারীর জন্য রহমতের দো‘আ করেন। আর জামা‘আতে ছালাত আদায় ব্যতীত কাতারে আসার প্রশ্নই আসে না।

বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ وَالْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ بِمَدِّ صَوْتِهِ وَيُصَدِّقُهُ مَنْ سَمِعَهُ مِنْ رَطْبٍ وَيَابِسٍ وَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ صَلَّى مَعَهُ- ‘আল্লাহ রহমত নাযিল করেন ও তাঁর ফেরেশতাগণ দো‘আ করেন প্রথম কাতারের লোকদের জন্য। আর মুওয়াযযিনের আওয়ায যতদূর যায় ততদূর পর্যন্ত তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। জীব ও জড় পদার্থ যেই তার ধ্বনি শ্রবণ করে, সেই তার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। আর যে ব্যক্তি তার সাথে জামা‘আতে ছালাত আদায় করে, তার জন্যও তদ্রূপ ছওয়াব রয়েছে’।[27] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, সামনের কাতার সমূহের উপরে[28]  (عَلَى الصُّفُوْفِ الْمُقَدَّمَةِ)। উল্লেখ্য যে, পুরুষের জন্য সামনের কাতারে ছালাত আদায় করা উত্তম হ’লেও মহিলাদের জন্য পিছনের কাতারে ছালাত আদায় করা উত্তম। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষের জন্য সর্বোত্তম কাতার হ’ল প্রথম কাতার এবং সর্বনিকৃষ্ট কাতার হ’ল পিছনের কাতার। আর মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম কাতার হ’ল পিছনের কাতার এবং সর্বনিকৃষ্ট প্রথম কাতার’।[29]

জামা‘আত ও কাতার সম্পর্কে জ্ঞাতব্য :

দু’জন মুছল্লী হ’লে জামা‘আত হবে। ইমাম বামে ও মুক্তাদী ডানে দাঁড়াবে।[30] তিনজন মুছল্লী হ’লে ইমাম সামনে এবং দু’জন মুক্তাদী পিছনে দাঁড়াবে।[31] তবে বিশেষ কারণে ইমামের দু’পাশে দু’জন সমান্তরালভাবে দাঁড়াতে পারেন। তারা বেশী হ’লে অবশ্যই পিছনে কাতার দিবেন।[32] সামনের কাতারে পুরুষগণ ও পিছনের কাতারে মহিলাগণ দাঁড়াবেন।[33] পুরুষ সকলের ইমাম হবেন। কিন্তু নারী কখনো পুরুষের ইমাম হবেন না। নারী ও পুরুষ কখনোই পাশাপাশি দাঁড়াবেন না। দু’জন বয়স্ক পুরুষ, একজন বালক ও একজন মহিলা মুছল্লী হ’লে বয়স্ক একজন পুরুষ ইমাম হবেন। তাঁর পিছনে উক্ত পুরুষ ও বালকটি এবং সকলের পিছনে মহিলা একাকী দাঁড়াবেন। আর যদি দু’জন পুরুষ ও একজন মহিলা হন, তাহ’লে ইমামের ডানে পুরুষ মুক্তাদী দাঁড়াবেন এবং পিছনে মহিলা একাকী দাঁড়াবেন।[34] একজন পুরুষ ও একজন মহিলা হ’লে সামনে পুরুষ ও পিছনে মহিলা দাঁড়াবেন। ইমামকে মধ্যবর্তী ধরে কাতার ডানে ও বামে সমান করতে হবে। তবে ডাইনে সামান্য বৃদ্ধি হবে। কিন্তু কোনক্রমেই ডান প্রান্ত থেকে বা মসজিদের উত্তর দেওয়াল থেকে ২য় ও পরবর্তী কাতার সমূহ শুরু করা যাবে না। প্রয়োজনে ইমাম উঁচুতে ও মুক্তাদীগণ নীচে দাঁড়াতে পারেন।[35]

জ. জামা‘আতে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযীলত :

১৩- عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ : أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ. قَالُوْا بَلَى يَا رَسُوْلَ اللهِ. قَالَ: إِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ–

১৩. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দিব না, যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা গুনাহ সমূহ দূর করে দিবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন? তা হ’ল, কষ্টকর অবস্থায়ও পূর্ণরূপে ওযূূ করা, মসজিদের দিকে অধিক পদচারণা এবং এক ছালাতের পর অন্য ছালাতের জন্য অপেক্ষা করা। এটাই রিবাত, এটাই রিবাত, এটাই রিবাত’।[36] এতে অর্থাৎ ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা পাহারা দেয়ার ন্যায় ছওয়াব রয়েছে।

১৪- عَنْ أَبِىْ أُمَامَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ : مَنْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ مُتَطَهِّرًا إِلَى صَلاَةٍ مَكْتُوْبَةٍ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْحَاجِّ الْمُحْرِمِ، وَمَنْ خَرَجَ إِلَى تَسْبِيْحِ الضُّحَى لاَ يُنْصِبُهُ إِلاَّ إِيَّاهُ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْمُعْتَمِرِ، وَصَلاَةٌ عَلَى إِثْرِ صَلاَةٍ لاَ لَغْوَ بَيْنَهُمَا كِتَابٌ فِىْ عِلِّيِّيْنَ-

১৪. আবূ উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ওযূূ করে ফরয ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে যায়, সে ইহরামকারী হাজীর অনুরূপ ছওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি কেবলমাত্র চাশতের ছালাত আদায়ের জন্য মসজিদে যায় সে ওমরাকারীর ন্যায় ছওয়াব প্রাপ্ত হবে। যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত ছালাত আদায়ের পর হ’তে পরের ওয়াক্ত ছালাত আদায় করাকালীন সময়ের মধ্যে কোনরূপ অপ্রয়োজনীয় কাজ ও কথাবার্তায় লিপ্ত না হয়, তার আমলনামা (সপ্তাকাশে) ইল্লিঈনে লিপিবদ্ধ হবে’।[37] অর্থাৎ সে উচ্চমর্যাদার অধিকারী হবে।

১৫- عَنْ أَبِىْ أُمَامَةَ الْبَاهِلِىِّ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ : ثَلاَثَةٌ كُلُّهُمْ ضَامِنٌ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ رَجُلٌ خَرَجَ غَازِيًا فِى سَبِيلِ اللهِ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللهِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُ فَيُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ يَرُدَّهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ وَرَجُلٌ رَاحَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللهِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُ فَيُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ يَرُدَّهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ وَرَجُلٌ دَخَلَ بَيْتَهُ بِسَلاَمٍ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ –

১৫. আবূ উমামা আল-বাহেলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তিন প্রকার লোকের প্রত্যেকেই মহান আল্লাহ তা‘আলার যিম্মাদারীতে থাকে। ১. যে আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হয়, সে আল্লাহর যিম্মায় থাকে। সে মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান অথবা নিরাপদে ফিরে এলে তাকে নেকী এবং গণীমতের প্রাপ্য অংশ দান করেন। ২. যে ব্যক্তি জামা‘আতে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে ধাবিত হয়, সেও আল্লাহর যিম্মায় থাকে। এমতাবস্থায় সে যদি মারা যায়, তবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাত দান করেন। আর মসজিদ হ’তে ফিরে এলে তার প্রাপ্য ছওয়াব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অংশীদার করেন। ৩. যে ব্যক্তি নিজ বাড়িতে প্রবেশ করার সময় পরিবারের লোকজনকে সালাম দেয়, সেও মহান আল্লাহর যিম্মায় থাকে’।[38]

১৬- عَنْ بُرَيْدَةَ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : بَشِّرِ الْمَشَّائِيْنَ فِى الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِالنُّوْرِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-

১৬. বুরায়দা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘যারা (জামা‘আতে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে) অন্ধকার রাতে মসজিদে পায়ে হেঁটে হাযির হয়, তাদেরকে ক্বিয়ামতের দিনে পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও’।[39] আল্লামা ত্বীবী পরিপূর্ণ নূর এবং এটি ক্বিয়ামতের দিনের জন্য খাছ হওয়ার ব্যাপারে বলেন, ক্বিয়ামতের দিন মুমিনদের মুখমন্ডল চমকাতে থাকবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,نُوْرُهُمْ يَسْعَى بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‘তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানে ধাবিত হবে। তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমাদের জন্য আমাদের নূর পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান’।[40]

 ১৭- عَنْ عُثْمَانَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاَةٌ مَكْتُوبَةٌ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهَا وَخُشُوعَهَا وَرُكُوعَهَا إِلاَّ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ مَا لَمْ يُؤْتِ كَبِيرَةً وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ-

১৭. ওছমান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যার নিকটে ফরয ছালাতের ওয়াক্ত সমাগত হবে। অতঃপর সে ঐ ছালাতের জন্য সুন্দর করে ওযূ করবে। তারপর ছালাতে উত্তমরূপে বিনয়-নম্রতা প্রদর্শন করবে এবং উত্তমরূপে রুকূ করবে। তাহ’লে তার ছালাত পূর্বে সংঘটিত পাপ-রাশির জন্য কাফফারা হয়ে যাবে, যতক্ষণ সে কবীরা গোনাহে লিপ্ত না হবে। আর এটা সারা বছরের জন্য প্রযোজ্য’।[41]

১৮- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوْءَهُ ثُمَّ رَاحَ فَوَجَدَ النَّاسَ قَدْ صَلَّوْا أَعْطَاهُ اللهُ مِثْلَ أَجْرِ مَنْ صَلاَّهَا أَوْ حَضَرَهَا لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئاً-

১৮. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূূ করল। অতঃপর মসজিদে গিয়ে দেখল যে, লোকজন ছালাত আদায় করে ফেলেছে। আল্লাহ তাকে ঐ ব্যক্তির ন্যায় পুরস্কার দিবেন, যে ব্যক্তি ছালাত আদায় করেছে ও শুরু থেকে উপস্থিত থেকেছে। তাদের নেকী থেকে মোটেই কম করা হবে না’।[42]

19- عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: خَلَتِ الْبِقَاعُ حَوْلَ الْمَسْجِدِ، فَأَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَنْتَقِلُوا إِلَى قُرْبِ الْمَسْجِدِ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ لَهُمْ : إِنَّهُ بَلَغَنِى أَنَّكُمْ تُرِيْدُوْنَ أَنْ تَنْتَقِلُوْا قُرْبَ الْمَسْجِدِ. قَالُوْا نَعَمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ! قَدْ أَرَدْنَا ذَلِكَ. فَقَالَ: يَا بَنِى سَلِمَةَ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ، فَقَالُوْا مَا كَانَ يَسُرُّنَا أَنَّا كُنَّا تَحَوَّلْنَا-

১৯. জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, মসজিদে নববীর আশে-পাশে কিছু জায়গা খালি হ’ল। (এ দেখে) বনু সালামাহ মসজিদে (নববী)-এর নিকট স্থানান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এ খবর রাসূল (ছাঃ) জানতে পারলে তিনি তাদেরকে বললেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে, তোমরা মসজিদের নিকটে চলে আসার ইচ্ছা করছ!’ তারা বলল, জী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এমনটা ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, ‘হে বনু সালামাহ! তোমরা তোমাদের বাড়ীতেই থাক। কেননা এতে (দূরত্বের কারণে) মসজিদে আসতে তোমাদের পদক্ষেপ বৃদ্ধি পাবে এবং তোমাদের পদচিহ্ন সমূহ (তোমাদের আমলনামায়) লিখিত হবে’। তারা বলল, (মসজিদের নিকট) স্থানান্তরিত হওয়া আমাদেরকে আনন্দ দিবে না'।[43]

(চলবে)


[1]. তাফসীরে ইবনু কাছীর, অত্র আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য ৮/২২৬

[2]. বুখারী হা/২১১৯; মুসলিম হা/৬৪৯

[3]. মুসলিম হা/৬৪৯; মিশকাত হা/১০৫২; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৪২

[4]. বুখারী হা/৬৪৫; মিশকাত হা/১০৫২

[5]. আবুদাঊদ হা/৫৫৪; ছহীহুল জামে‘ হা/২২৪২; মিশকাত হা/১০৬৬

[6]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৮৪৮৫

[7]. বুখারী হা/৬৫১; মুসলিম হা/৬৬২;মিশকাত হা/৬৯৯

[8]. মুসলিম হা/৬৬৬; ছহীহ তারগীব হা/১১৮১

[9]. আবুদাঊদ হা/৫৬৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৪০; ছহীহ তারগীব হা/৩০১

[10]. মুসলিম হা/৬৬৩; ছহীহ তারগীব হা/৩০৮

[11]. মুসলিম হা/৬৫৬; মিশকাত হা/৬৩০; ছহীহ তারগীব হা/৪১৫

[12]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৭৭,৩৩৭৮; শু‘আবুল ঈমান হা/২৮৭৮; ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৬/৩৬, সনদ ছহীহ

[13]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৭৪, ৩৩৭৭, ৩৩৫৫; শু‘আবুল ঈমান হা/২৬১৯, সনদ ছহীহ

[14]. বুখারী হা/৬৬২; মুসলিম হা/৬৬৯; মিশকাত হা/৬৯৮

[15]. ইবনু বাত্ত্বাল, শারহু ছহীহিল বুখারী ২/২৮৫

[16]. ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৬/৫৩

[17]. মু‘জামুল কাবীর হা/৬১৩৯; ছহীহ তারগীব হা/৩২২; ছহীহাহ হা/১১৬৯

[18]. তিরমিযী হা/২৪১; ছহীহ তারগীব হা/৪০৯; ছহীহাহ হা/২৬৫২; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৩৬৫; মিশকাত হা/১১৪৪

[19]. মিরক্বাত ৩/৮৮০; মির‘আত ৪/১০২

[20]. বুখারী হা/৬১৫; মুসলিম হা/৪৩৭; মিশকাত হা/৬২৮ ‘ছালাতের ফযীলতসমূহ’ অনুচ্ছেদ-৩

[21]. শারহুন নববী আলা মুসলিম ৪/১৫৮

[22]. ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৫/২৮৬

[23]. আহমাদ হা/২২৩১৭; ইবনু হিববান হা/২১৫৮; ছহীহ তারগীব হা/৪৯১

[24]. আবুদাঊদ হা/৫৪৩; ছহীহ তারগীব হা/৫০৭

[25]. মুসলিম হা/৪৩০; মিশকাত হা/১০৯১

[26]. ইবনু মাজাহ হা/৯৯৬; তিরমিযী হা/২২৪; ছহীহ তারগীব হা/৪৯০

[27]. নাসাঈ হা/৬৪৬; আহমাদ হা/১৮৫২৯; ছহীহ তারগীব হা/২৩৫

[28]. নাসাঈ হা/৬৬১; ছহীহুল জামে‘ হা/১৮৪২

[29]. মুসলিম হা/৪৪০, মিশকাত হা/১০৯২

[30]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১১০৬, ‘দাঁড়ানোর স্থান’ অনুচ্ছেদ-২৫

[31]. মুসলিম, মিশকাত হা/১১০৭, অনুচ্ছেদ-২৫

[32]. নাসাঈ হা/১০২৯; আবুদাঊদ হা/৬১৩; ইরওয়া হা/৫৩৮, সনদ ছহীহ

[33]. মুসলিম হা/৪৪০; মিশকাত হা/১০৯২; আবুদাঊদ হা/৬৭৮ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২।

[34]. বুখারী হা/৭২৭; মিশকাত হা/১১০৮, ১১০৯, অনুচ্ছেদ-২৫

[35]. হাকেম হা/৭৬০; ইরওয়া হা/৫৪৪; আবুদাঊদ হা/৫৯৭, সনদ ছহীহ, অনুচ্ছেদ-৬৭

[36]. মুসলিম হা/২৫১; মিশকাত হা/২৮২; ছহীহুল জামে‘ হা/২৬১৮; ছহীহ তারগীব হা/১৯২

[37]. আবুদাঊদ হা/৫৫৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৬২২৮; ছহীহ তারগীব হা/৩২০,৬৭৫; মিশকাত হা/৭২৮

[38]. আদাবুল মুফরাদ হা/১০৯৪; আবুদাউদ হা/২৪৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০৫৩; মিশকাত হা/৭২৭

[39]. হাকেম হা/৭৬৮; আবুদাউদ হা/৫৬১; ইবনু মাজাহ হা/৭৮১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৮২৩; ছহীহ তারগীব হা/৩১৫,৩১৯,৪২৫; মিশকাত হা/৭২১

[40]. তাহরীম ৬৬/০৮; ত্বীবী, আল-কাশেফ আন হাকায়েকিস সুনান ৩/৯৪১; মির‘আত ২/৪৩০; তুহফা ২/১৩

[41]. আহমাদ হা/২২২৯১; মুসলিম হা/২২৮; ছহীহ তারগীব হা/৩৬৪; মিশকাত হা/২৮৬।

[42]. আবুদাঊদ হা/৫৬৪; ছহীহ তারগীব হা/৪১০; মিশকাত হা/১১৪৫, মিশকাত হা/১১৪৫ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘মুক্তাদীর কর্তব্য ও মাসবূকের হুকুম’ অনুচ্ছেদ-২৮

[43]. মুসলিম হা/৬৬৫; ছহীহ তারগীব হা/৩০৪; মিশকাত হা/৭০০; ‘মসজিদ সমূহ ও ছালাতের স্থান সমূহ’ অনুচ্ছেদ





বিষয়সমূহ: সংগঠন
মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পরিণতি - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
ওযূর আদব সমূহ - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
নববী চিকিৎসা পদ্ধতি (৩য় কিস্তি) - কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী
ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের বিধান (২য় কিস্তি) - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
আল-কুরআনের আলোকে জাহান্নামের বিবরণ (২য় কিস্তি) - বযলুর রশীদ
ইসলামী গান ও কবিতায় ভ্রান্ত আক্বীদা - মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদ
মানবাধিকার ও ইসলাম (১৩তম কিস্তি) - শামসুল আলম
শরী‘আতের আলোকে জামা‘আতবদ্ধ প্রচেষ্টা (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
শিশুদের চরিত্র গঠনে ‘সোনামণি’ সংগঠনের ভূমিকা - ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
বিদ‘আতে হাসানার উদাহরণ : একটি পর্যালোচনা (পূর্ব প্রকাশিতের পর) - কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী
মুনাফিকী (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
মানব জাতির প্রকাশ্য শত্রু শয়তান - মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ
আরও
আরও
.