১১শতম : দাঈর দাওয়াতে সাড়া দানকারীর সংখ্যা কম-বেশীর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ না করা

দাঈ তার ডাকে সাড়াদানকারী না পেলে আফসোস করেন, অক্ষম হয়ে যান এবং যখন তিনি মানুষের উপস্থিতি, প্রশংসা, সুখ্যাতি প্রত্যাশা করে। তখন দাওয়াত দান পরিত্যাগ করেন ইত্যাদি...। যদি তিনি জ্ঞাতসারে এসব প্রত্যাশা করেন, তখন তিনি আদৌ সফল হবেন না। এক্ষেত্রে নূহ (আঃ) উদাহরণ। তিনি তাঁর অনুসারী কম-বেশীর দিকে লক্ষ্য করেননি। যদি তিনি এ বিষয়ে লক্ষ্য করতেন, তাহ’লে দাওয়াত পরিত্যাগ করতেন। কিন্তু দাওয়াতের এই বৃহত্তর  ময়দানে তিনি ৯৫০ বছর ব্যাপৃত ছিলেন, যদিও তাঁর অনুসারীদের সংখ্যা ছিল নিতান্তই কম। যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীছে এসেছে, নবী করীম (ছাঃ) বলেন,  يَأْتِى النَّبِىُّ وَمَعَهُ الرَّهْطُ وَالنَّبِىُّ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَالرَّجُلاَنِ وَالنَّبِىُّ وَلَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ. ‘ক্বিয়ামতের দিন কোন নবী আসবেন যার সাথে তাঁর অনুসারীদের একটি দল থাকবে। কোন নবীর সাথে একজন বা দু’জন অনুসারী থাকবে। আবার এমন নবীও আসবেন যার সাথে কেউই থাকবে না’ (বুখারী, মুসলিম)। অন্যান্য রাসূলগণের অনুসারীও এরূপই হবে।

ইবনুল কায়্যিম (রহঃ) বলেন,

وأتباع الرسل هم الأقلون عددا وإن كانوا هم الأشرف قدرًا عند الله، إذا كنت على كتاب الله وسنة رسوله، فلا تلتفت إلى مدح الناس أو موافقتهم أو الإشادة بعملك أو طلب مرضاة الناس-

‘রাসূলগণের অনুসারীরা সংখ্যায় কম ছিল, যদিও তাঁরা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মান-মর্যাদায় অভিষিক্ত। যখন তুমি আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতের উপর বিদ্যমান থাকবে, তখন তুমি মানুষের প্রশংসা, তাদের সমর্থন-সম্মতি কিংবা তোমার কর্মের সুনামের দিকে লক্ষ্য করবে না অথবা মানুষের সন্তুষ্টির অন্বেষণ করবে না’।

১২শতম : শারঈ দলীলের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক দলীল ও উদাহরণ পেশ

আল্লাহ তা‘আলা উদাহরণ দিয়েছেন। আমাদের নবী করীম (ছাঃ)ও মানুষকে কাছে টানা ও বুঝানোর জন্য বহু উদাহরণ পেশ করেছেন। আল্লাহর দিকে দাওয়াতের ক্ষেত্রে আহূত ব্যক্তিকে কাছে টানতে উদাহরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তেমনি দাওয়াতের ক্ষেত্রে আকলী বা বুদ্ধিবৃত্তিক দলীল উপস্থাপন ছিল নবীগণের পদ্ধতির অন্তর্গত। মানুষকে দাওয়াত দানের সময় তাদের নিকট হককে সুস্পষ্ট করতে আকলী দলীল ব্যবহার করতে হয়। কারণ আকলী (বুদ্ধিবৃত্তিক) দলীলে কখনো কখনো অধিক প্রভাব সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো শারঈ দলীলের চেয়ে আকলী দলীল দ্বারা প্রতিপক্ষ অধিক প্রভাবিত হয়। কেননা কিছু মানুষ কখনো কখনো শারঈ দলীল যথার্থভাবে বুঝতে পারে না। অর্থাৎ প্রতিপক্ষ প্রথমত বুঝে বা ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করে। কিংবা কখনো এমন লোককে পায় যে তার মনোতুষ্টি ও জ্ঞান অনুযায়ী ব্যাখ্যা করে।

১৩শতম : কথা-কর্মের মাঝে সমন্বয় সাধন

যখন দাঈ মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিবেন কিন্তু তিনি নিজে তা পালন করবেন না কিংবা সমাজ যখন তাকে পিতা-মাতা থেকে দূরে দেখবে, তখন (পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার ব্যাপারে) তার নির্দেশ সমাজে কোন প্রভাব ফেলবে না। এমনকি তিনি এমন লোককে পাবেন যে তার দাওয়াতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং তাকে বলবে, ‘তুমি নিজ থেকে শুরু কর’। অতঃপর তিনি ঐ কারণে দাওয়াত পরিত্যাগ করবেন এবং কথা-কর্মও ছেড়ে দেবেন।

১৪শতম : বিভিন্ন পন্থার প্রয়োগ

বক্তৃতা প্রদান, খুৎবা দেয়া, গ্রন্থ প্রণয়ন কিংবা প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশের মধ্যে দাওয়াতকে সীমাবদ্ধ করা নিঃসন্দেহে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি। বরং এক্ষেত্রে সকল পদ্ধতি প্রয়োগ করা আবশ্যক। সুতরাং দাঈ মানুষকে অনুগ্রহ-বদান্যতা, দানশীলতা ও উত্তম চরিত্র গঠন, পত্রাদি প্রেরণ বা সাক্ষাত প্রভৃতি পদ্ধতিতে দাওয়াত দিবেন। নবী করীম (ছাঃ) এক্ষেত্রে এক প্রোজ্জ্বল উদাহরণ। তিনি প্রতিনিধিদল প্রেরণ, খুৎবা প্রদান, (সৎ কাজের প্রতি) উদ্বুদ্ধকরণ, দান করা, জনসমাবেশ প্রভৃতির মাধ্যমে দাওয়াত দিয়েছেন।

১৫শতম : প্রতিবন্ধকতার জন্য সার্বিক প্রস্ত্ততি

দাঈকে প্রস্ত্ততি নিতে হবে এবং জানতে হবে যে, তার পথে অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। অনুরূপভাবে তার চলার পথে বিরোধী ও মতভেদ সৃষ্টিকারীরাও আসবে। এটা আল্লাহর নিয়ম। আল্লাহ বলেন, أَحَسِبَ النَّاسُ أَنْ يُّتْرَكُوْا أَنْ يَّقُوْلُوْا آمَنَّا وَهُمْ لاَ يُفْتَنُوْنَ ‘মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না’? (আনকাবূত ২৯/২)। নূহ (আঃ) থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত সকল দাঈ প্রতিবন্ধকতা ও সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তার জন্য আবশ্যক হ’ল দাঈ আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাতের উপর ভিত্তি করে সালাফে ছালেহীনের বুঝ অনুযায়ী দাওয়াত দিবেন। এরপর তিনি লাঞ্ছিত-অপদস্থ, বিরোধী ও গুজব রটনাকারীদের দিকে লক্ষ্য করবেন না বা ভ্রূক্ষেপ করবেন না; বরং দাওয়াতের পথ অবিচল থাকবেন।

১৬শতম : দাওয়াতের ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয় করা

বর্তমান যুগে দাওয়াতের সাথে সংশ্লিষ্টদের সুস্পষ্ট ঘাটতি হচ্ছে অর্থ-সম্পদের ক্ষেত্রে কৃপণতা বা ব্যয়কুণ্ঠা। এই কল্পনা করা ভুল যে, ব্যবসায়ী, বিত্তবান ও সম্পদশালীরাই কেবল সম্পদ ব্যয় করবে। কেননা সকলেই সম্পদ ব্যয়ের দাবীদার। সুতরাং প্রত্যেক দাঈর জন্য আবশ্যক হ’ল আহূতদের অভ্যর্থনা জানানো, তার সম্পদ ব্যয় করা এবং মানুষের জন্য তার গৃহ ও অন্তর খুলে দেয়া, যাতে দাওয়াতের ক্ষেত্রে তিনি সফলতা লাভ করেন।

১৭শতম : আহূত ব্যক্তিদের সাথে বিনম্র ব্যবহার করা

দাঈর জন্য আবশ্যক হ’ল আহূত ব্যক্তির সাথে বিনীত ও নম্র ব্যবহার করা। কেননা দাঈর ইলম বা জ্ঞান ও বুঝার সামর্থ্য রয়েছে, যা আহূত ব্যক্তির নেই। সুতরাং দাঈর জন্য আবশ্যক হ’ল তিনি আহূত ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশায় তার নীতি-পদ্ধতিতে বিনম্র হবেন। আহূত ব্যক্তি যুবক, বৃদ্ধ বা কোন প্রতিনিধি দলের হোক না কেন, তাদের সাথে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। আল্লাহ বলেন,

وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَهُ مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِّنْ شَيْءٍ وَمَا مِنْ حِسَابِكَ عَلَيْهِم مِّنْ شَيْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَكُوْنَ مِنَ الظَّالِمِيْنَ-

‘আর তাদেরকে বিতাড়িত করবেন না, যারা সকাল-বিকাল স্বীয় পালনকর্তার ইবাদত করে, তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে। তাদের হিসাব বিন্দুমাত্রও আপনার দায়িত্বে নয় এবং আপনার হিসাব বিন্দুমাত্রও তাদের দায়িত্বে নয় যে, আপনি তাদেরকে বিতাড়িত করবেন। নতুবা আপনি অবিচারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন’ (আন‘আম ৬/৫২)

১৮ শতম : ভ্রান্ত মতবাদধারীদের পূর্বে তাদের মতবাদ নির্মূলের চেষ্টা করা

বর্তমানে কিছু দাঈর ভুল ধারণা হচ্ছে ভ্রান্ত মতবাদ মূলোৎপাটনের পূর্বেই সেই মতবাদ বিশ্বাসীদের ধ্বংস করতে হবে। ফলে তিনি ভ্রান্ত মতবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা না করে সেই মতবাদে বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগেন। অথচ আবশ্যক হচ্ছে বিধ্বংসী চিন্তাধারার সাথে লড়াই করা, যাতে তা নির্মূল করা বা প্রতিহত করা যায়। যেমন স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে আগত ভ্রান্ত চিন্তাধারাকে পত্র-পত্রিকা ও প্রকাশনার মাধ্যমে প্রতিহত করা। ভ্রান্ত দর্শনকে ধ্বংস করা, তার কুৎসিত স্বরূপ মানুষের সামনে তুলে ধরা, এই দর্শনকে প্রত্যাখ্যান করা এবং তাকে খন্ডন করা আবশ্যক এবং তারপর ঐ দর্শনের দিকে আহবানকারীদের পরাভূত করাও আবশ্যক।

১৯শতম : ভুল-ভ্রান্তি স্বীকার করা

যে কাজ করে তার ভুল হয়। আর আল্লাহর পথের দাঈকে জনসাধারণের মুখোমুখি হ’তে হয়। তিনি পুস্তিকা রচনা করেন, গ্রন্থ প্রণয়ন করেন প্রভৃতি। সুতরাং ভুলে পতিত হওয়া তার জন্য অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, অনেক দাঈ ভুল করেন, তাকে উপদেশও দেওয়া হয়, কিন্তু তা থেকে তিনি ফিরে আসেন না। যখন আপনি অমুক ক্যাসেটে প্রদত্ত বক্তৃতায় ফৎওয়ায় ভুল করেন, তখন কেন বলেন না যে, আমি ভুল করেছি এবং পরে আলোচনায় কেন ভুলকে সুস্পষ্ট করেন না? এটা একটি সুপ্রচলিত ব্যাধি, এটা ভুলের ক্ষেত্রে জিদ বা বাড়াবাড়ি। বরং ভুলের স্বীকৃতি হচ্ছে দাওয়াতের ক্ষেত্রে সফলতার প্রথম উপায়। যিনি ইলম ও মর্যাদায় আমাদের চেয়ে অতি সম্মানিত তিনি হ’লেন মূসা (আঃ), তিনিও তাঁর ভুল স্বীকার করতেন। তিনি বলেন, فَعَلْتُهَا إِذاً وَأَنَا مِنَ الضَّالِّيْنَ ‘আমি সে অপরাধ তখন করেছি, যখন আমি ভ্রান্ত ছিলাম’ (শু‘আরা ২৬/২০)

২০শতম : পরামর্শ গ্রহণ

দাঈ এক বৃহত্তর ও বিস্তৃত ময়দানে প্রবেশ করেন। আর দাওয়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ, সম্মানজনক ও মহিমান্বিত বিষয়, যদিও সেটা কঠিন। সুতরাং দাওয়াতকে তুচ্ছ জ্ঞান করা, অবজ্ঞা করা ও সে বিষয়ে শৈথিল্য প্রদর্শন করা ভুল। দাঈ অনেক প্রশ্ন ও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়তে পারেন। সুতরাং যখন তিনি ইচ্ছা করবেন বক্তব্য পেশ করতে কিংবা কোন বিষয় উপস্থাপন করতে অথবা কোন গ্রন্থ রচনা করতে বা অনুরূপ কিছু করতে তখন তার উচিত পরামর্শ গ্রহণ করা। জ্ঞান-বুদ্ধিমত্তায় পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া সত্ত্বেও মুহাম্মাদ (ছাঃ) উদ্ভূত পরিস্থিতি ও সমস্যার ক্ষেত্রে ছাহাবায়ে কেরামের পরামর্শ গ্রহণ করতেন। যেমন আল্লাহ বলেন,  وَشَاوِرْهُمْ فِي الأَمْرِ ‘কাজে-কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন’ (আলে ইমরান ৩/১৫৯)

আল্লাহর নিকটে সবার জন্য ইখলাছ (একনিষ্ঠতা) ও গ্রহণযোগ্যতা কামনা করছি। তাঁর নিকট আরো প্রার্থনা করছি, তিনি আমাদের সকল অকল্যাণ এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফিৎনা থেকে দূরে রাখুন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে দাঁড়ানো, বসা ও ঘুমন্ত তথা সর্বাবস্থায় ইসলামের মাধ্যমে হেফাযত করুন। আর আমাদেরকে শত্রুদের ও হিংসুকদের হাসির পাত্রে পরিণত করবেন না। হে আল্লাহ! শাসক ও শাসিত হিসাবে আমাদেরকে হকের উপর অবিচল রাখুন। আর আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর রহমত বর্ষণ করুন।

মূল : শায়খ ফাহদ বিন সুলাইমান বিন আব্দুল্লাহ আত-তুয়াজরী

অনুবাদ : ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম






বিষয়সমূহ: সংগঠন
মানবাধিকার ও ইসলাম (৯ম কিস্তি) - শামসুল আলম
চিন্তার ইবাদত (৪র্থ কিস্তি) - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
মানব জাতির সাফল্য লাভের উপায় (ফেব্রুয়ারী’১৩ সংখ্যার পর) - হাফেয আব্দুল মতীন - পিএইচ.ডি গবেষক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়া
পলাশীর ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণাম - আত-তাহরীক ডেস্ক
আল্লামা আলবানী সম্পর্কে শায়খ শু‘আইব আরনাঊত্বের সমালোচনার জবাব (শেষ কিস্তি) - আহমাদুল্লাহ - সৈয়দপুর, নীলফামারী
তাক্বলীদের বিরুদ্ধে ৮১টি দলীল (৩য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
সফল মাতা-পিতার জন্য যা করণীয় - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব
হাদীছের অনুবাদ ও ভাষ্য প্রণয়নে ভারতীয় উপমহাদেশের আহলেহাদীছ আলেমগণের অগ্রণী ভূমিকা - ড. নূরুল ইসলাম
ক্বিয়ামতের আলামত সমূহ (৩য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
ধবংসলীলা - রফীক আহমাদ - বিরামপুর, দিনাজপুর
ফৎওয়া : গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও বিকাশ (৩য় কিস্তি) - ড. শিহাবুদ্দীন আহমাদ, শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, রাজশাহী
আরও
আরও
.