গোনাহ ক্ষমা করানোর পদ্ধতি ও আমল :
আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করে তাঁর ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষ আল্লাহর নির্দেশ ভুলে পার্থিব চাকচিক্য দেখে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে প্রতিটি মুহূর্তেই গোনাহের মধ্যে পতিত হচ্ছে। আল্লাহ অসীম দয়ালু হিসাবে মানুষের গোনাহ ক্ষমা করার জন্য অনেক পদ্ধতি ও বিশেষ আমল নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যা সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে মানুষ তাদের গোনাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে। নিম্নে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ থেকে গোনাহ ক্ষমা করানোর কতগুলি আমল বর্ণনা করা হ’ল।-
(১) যথাযথভাবে ওযূ করা :
ওছমান বিন আফফান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ভালভাবে ও সুন্দর করে ওযূ করে তার শরীর থেকে সমস্ত গোনাহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের নীচ থেকেও বের হয়ে যায়’।[1]
(২) ওযূর পর দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা :
ওছমান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এর ওযূর বিস্তারিত নিয়ম পেশ করার পর বলেন,
مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوْئِىْ هَذَا ثُمَّ يُصَلِّىْ رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيْهَا بِشَيْئٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
‘যে ব্যক্তি আমার এই ওযূর ন্যায় ওযূ করে অতঃপর দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে। আর এমতাবস্থায় সে আপন মনে আল্লাহর ভয়-ভীতি ছাড়া অন্য কিছু ভাববে না তার পূর্বেকার সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে’।[2] যায়েদ ইবনু খালেদ আল-জুহানী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ صَلَّى سَجْدَتَيْنِ لاَيَسْهُوْ فِيْهِمَا غَفَرَ اللهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
‘যে ব্যক্তি কোন ভুল না করে মনোযোগ সহকারে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করল, তার অতীতের গোনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন’।[3]
(৩) মসজিদে গমন করা ও ছালাতের জন্য অপেক্ষা করা :
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের সে জিনিসটির খবর দেব না যার সাহায্যে আল্লাহ গোনাহ মুছে ফেলেন এবং যার মাধ্যমে তোমাদের মর্যাদা উন্নত হয়? ছাহাবায়ে কেরাম বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেন,
إِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عَلَي الْمَكَارِهِ، وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ، فَذَالِكُمُ الرِّبَاطُ. فَذَالِكُمُ الرِّبَاطُ.
‘কঠিন সময়ে পরিপূর্ণভাবে ওযূ করা, মসজিদের দিকে অধিক গমন করা এবং এক ছালাতের পর আরেক ছালাতের জন্য অপেক্ষা করা। এটাই তোমাদের প্রিয় জিনিস। এটাই তোমাদের প্রিয় জিনিস’।[4]
(৪) আযান :
(ক) আযান দেওয়া : মুওয়াযযিনের আযান ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত সজীব ও নির্জীব সকল বস্ত্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ও সাক্ষ্য প্রদান করে। ঐ আযান শুনে যে ব্যক্তি ছালাতে যোগ দিবে সে ২৫ গুণ ছালাতের সম পরিমাণ নেকী পাবে। মুওয়াযযিনও উক্ত মুছল্লীর সমপরিমাণ নেকী পাবে এবং তার দুই আযানের মধ্যবর্তী সকল (ছগীরা) গোনাহ মাফ করা হবে’।[5]
(খ) আযানের জবাব দেওয়ার পর দো‘আ পড়া : সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,
مَنْ قَالَ حِيْنَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُوْلاًً، وَبِالْإِسْلاَمِ دِيْناً غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ.
‘যে ব্যক্তি মুওয়াযিযনের আযান শুনে বলে, ‘আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওহদাহু লা-শারীকালাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু, রাযীতু বিল্লাহি রাববান ওয়াবি মুহাম্মাদিন রাসূলান, ওয়া বিল ইসলামে দীনান’। ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোন মা‘বূদ নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ্কে রব বা প্রভু বলে মেনে নিতে, মুহাম্মাদকে রাসূল হিসাবে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করতে আমি সম্মত হয়েছি। তার সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়’।[6]
(৫) ছালাত পড়া : ওছমান বিন আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কে বলতে শুনেছি,
مَا مِنِ امْرِيٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاَةٌ مَكْتُوْبَةٌ فَيُحْسِنُ وُضُوْءَهَا وَخُشُوْعَهَا وَرُكُوْعَهَا إِلاَّ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوْبِ مَا لَمْ تُؤْتِ كَبِيْرَةً، وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ.
‘যদি কোন মুসলমান ফরয ছালাতের সময় হ’লেই ভাল করে ওযূ করে তারপর খুশূ ও খুযু (বিনম্রচিত্ত ও একাগ্রতা) সহকারে ছালাত আদায় করে, তাহ’লে এ ছালাত তার পূর্বের সমস্ত গোনাহের কাফফারা হয়ে যায়। যে পর্যন্ত সে কবীরা গোনাহ থেকে দূরে থাকে। আর এ অবস্থা চলতে থাকে সমগ্র কালব্যাপী’।[7]
অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ও এক জুম‘আ থেকে আরেক জুম‘আ পর্যন্ত পঠিত ছালাত এর মধ্যকার জন্য কাফফারা, যে পর্যন্ত না কবীরা গোনাহ করা হয়’।[8]
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা ভেবে দেখ, তোমাদের কারো ঘরের দরজায় যদি একটি নদী প্রবাহিত হ’তে থাকে এবং সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করতে থাকে, তাহ’লে তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে কি? ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) বললেন, না তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে না। তিনি বললেন, এটিই পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের দৃষ্টান্ত। এ ছালাতগুলির মাধ্যমে আল্লাহ গোনাহ নিঃশেষ করে দেন’।[9]
(খ) সূরা ফাতিহা শেষে আমীন বলা : আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِيْنَ وَقَالَتِ الْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِيْنَ فَوَافَقَتِ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَي غُفِرَ لَهُ مَاَتَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
‘যখন তোমাদের কেউ আমীন বলে তখন আসমানের ফিরিশতারাও আমীন বলে থাকে। এক আমীন অন্য আমীনের সাথে পরস্পর সুসামঞ্জস্যপূর্ণ হ’লে আমীন উচ্চারণকারীর পূর্ববর্তী যাবতীয় পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হবে’।[10]
অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন ইমাম (সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে) গায়রিল মাগযূবি আলায়হিম ওয়ালাযযাল্লীন বলবে তখন তোমরা বল আমীন। কেননা যার কথা ফেরেশতামন্ডলীর কথার সাথে মিলে যাবে তার অতীতের পাপরাশি মার্জনা করে দেওয়া হবে’।[11]
(ঘ) রাতের ছালাত তথা তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করা : আবূ উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
عَلَيْكُمْ بِقِيَام اللَّيْلِ فَإنَّهُ دَابُ الصَّالِحِيْنَ قَبْلَكُمْ وَهُوَ قُرْبَةٌ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ وَمَكْفَرَةٌ للِسَّيِّئَاتِ وَمَنْهَاةٌ عَنِ الْإِثْمِ.
‘তোমাদের জন্য রাতে ছালাত আদায় করা উচিত। রাতে ইবাদত করা হচ্ছে তোমাদের পূর্ববর্তী নেক লোকদের নিয়ম। তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের পন্থা, গোনাহ মাফের উপায় এবং অপরাধ, অশ্লীলতা হ’তে বিরত রাখার মাধ্যম’।[12]
(ঙ) সিজদা : ছাওবান (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি,
عَلَيْكَ بِكَثْرَةِ السُّجُوْدِ فَإِنَّكَ لَنْ تَسْجُدَ لِلّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَكَ اللهْ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْكَ بِهَا خَطِيْئَةً.
‘তোমার বেশী বেশী সিজদা করা উচিত। কেননা তোমার জন্য একটা সিজদা করলেই তা দ্বারা আল্লাহ অবশ্যই তোমাকে একটা উচ্চ মর্যাদা দান করেন এবং তোমার গোনাহ ক্ষমা করে দেন’।[13]
(চ) ভালভাবে ওযূ করে জুম‘আর ছালাতে আসা ও খুৎবা শুনা :
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم : مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ ثُمَّ أَتَي فَاسْتَمَعَ وَأنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ وَزِيَادَةُ ثَلاَثَةِ أَيَاَّمٍ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ভালভাবে ওযূ করে জুম‘আর ছালাতে আসে, খুৎবা শুনে ও নীরবে বসে থাকে, তার সেই জুম‘আ থেকে পরবর্তী জুম‘আ পর্যন্ত অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছগীরা) গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[14]
অন্য হাদীছে কবীরা গোনাহ থেকে দূরে থাকার শর্তে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত, এক জুম‘আ থেকে আরেক জুম‘আ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এই অন্তবর্তী কালের ছগীরা গোনাহগুলি মাফ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে’।[15]
(৬) আল্লাহর যিকর :
(ক) ফরয ছালাতের পর আল্লাহর যিকির : আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ছালাতের পর সুবহা-নাল্লাহ ৩৩ বার, আল-হামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার পড়ে এবং ১০০ বার পূর্ণ করার জন্য একবার ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু লাহুল মুল্কু ওলাহুল হাম্দু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদীর’ পড়ে, তার সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে, যদিও তা সাগরের ফেনার সমান হয়’।[16]
(খ) প্রতিদিন ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী’ ১০০ বার পাঠ করা : রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ فِيْ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ حُطَّتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ.
‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী’ বলবে, তার সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যদিও তা হয় সমুদ্রের ফেনার সমান’।[17]
(গ) ‘সুবহা-নাল্লা-হ’ ১০০ বার পড়া : সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সময় আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে ছিলাম। এ সময় তিনি বললেন, তোমাদের কেউ কি প্রতিদিন এক হাযারটি নেকী অর্জন করতে পার না? উপস্থিত ছাহাবীদের মধ্য থেকে একজন জিজ্ঞেস করলেন, কেমন করে সে এক হাযারটি নেকী অর্জন করবে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জবাব দিলেন,
يُسَبِّحُ مِائَةَ تَسْبِيْحَةٍ فَيُكْتَبُ لَهُ أَلْفُ حَسَنَةٍ أَوْ يُحَطُّ عَنْهُ اَلْفُ خَطِيْئَةٍ.
‘সে একশ’ বার সুবহা-নাল্লা-হ পড়বে। এতে তার নামে এক হাযারটি নেকী লেখা হবে অথবা তার এক হাযার গোনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে’।[18]
(ঘ) তাহলীল : আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَشَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوْ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ فِيْ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ كَانَتْ لَهُ عَدْلَ عَشْرِ رِقَابٍ وَكُتِبَتْ لَهُ مِائَةُ حَسَنَةٍ وَمُْحِيَتْ عَنْهُ مِائَةُ سَيِّئَةٍ.
‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার বলবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া আলা কুল্লী শাইইন ক্বাদীর’। অর্থঃ ‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি এক, তার কোন শরীক নাই। সমস্ত রাজত্ব তার, সমস্ত প্রসংশা তার। তিনি সকল বস্ত্তর উপর ক্ষমতাবান। সে ১০টি গোলাম আযাদ করার সমান ছওয়াব পাবে। আর তার নামে লেখা হবে ১০০টি নেকী এবং তার নাম থেকে ১০০ টি গোনাহ মুছে ফেলা হবে’।[19]
(ঙ) মজলিস শেষে আল্লাহর যিকির : আবু হুরাইরা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মজলিসে বসে এবং তাতে যদি অনেক বেশী অপ্রয়োজনীয় ও বাজে কথা বলা হয়ে থাকে, তাহ’লে ওঠার আগে সে যেন বলে,
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَـمْدِكَ أَشْـهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ اَسْتَـغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ، إِلاَ غُـفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِيْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ.
‘হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, প্রশংসা তোমারই জন্য আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, আমি তোমার কাছে মাগফিরাত কামনা করছি এবং তোমার নিকটে তওবা করছি। ফলে ঐ মজলিসে যা কিছু করা হয়েছিল সব ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করে দেওয়া হবে’।[20]
(৭) ছিয়াম পালন :
(ক) আরাফার দিনে ছিয়াম : যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখের দিনকে আরাফার দিন বলা হয়। ঐ দিন বিশ্বের লাখ লাখ হাজী আরাফার ময়দানে সমবেত হন। ঐ দিন ছিয়াম পালন করা গোনাহ মাফের একটি কারণ।
عن أبي قتادة رضي الله عنه قال سُئِلَ رسول الله صلي الله عليه وسلم عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ ؟ قَالَ يُكَفِّرُ الْسَّنَةَ الْمَاضِيَةَ وَالْبَاقَيِةَ.
কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে আরাফাতের ছিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বললেন, এতে বিগত এক বছরের ও আগামী বছরের গোনাহের কাফফারা হয়ে যায়’।[21]
(খ) আশুরার দিনের ছিয়াম : মুহাররমের ১০ তারিখের ছিয়ামকে আশুরার ছিয়াম বলা হয়। এই তারিখের ছিয়ামও গোনাহ মাফের কারণ।
عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ رضي الله عنه أن رسول الله صلي الله عليه وسلمَ سُئِلَ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ عَاشُوْرَاءَ فَقَالَ: يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ.
কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে আশুরার ছিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল। তিনি জবাবে বললেন, ‘এতে বিগত বছরের গোনাহের কাফফারা হয়ে যায়’।[22]
(গ) রামাযানের ছিয়াম : আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيْمَاناً وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَاتَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
‘যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে ও ছওয়াব লাভের আশায় রামাযানের ছিয়াম রাখে তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে’।[23]
(ঘ) লাইলাতুল কদরের রাত্রে ইবাদত করা : আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيْمَاناً وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَاتَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
‘যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে ও ছওয়াব লাভের আশায় কদরের রাতে রাত্রি জাগরণ করবে তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে’।[24]
(ঙ) রামাযানে তারাবীর ছালাত আদায় করা : আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেন,
مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيْمَاناً وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَاتَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
‘যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে ও ছওয়াব লাভের আশায় রামাযানের কিয়াম করে তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে’।[25]
(৮) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা ও শহীদ হওয়া : আবদুললাহ ইবনু আমর ইবনুল আছ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
يَغْفِرُ اللهُ للِشَّهِيْدِ كُلَّ ذَنْبٍ إِلاَّ الدَّيْنَ
‘আল্লাহ ঋণ ছাড়া শহীদের সব গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন’।[26]
আবদুললাহ ইবনু আমর ইবনুল আছ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
اَلْقَتْلُ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ يُكَفِّرُ كُلَّ شَيْئٍ إِلاَّ الدَّيْنَ.
‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ সমস্ত গোনাহ মুছে দেয় ঋণ ব্যতীত’।[27]
(৯) হজ্জ ও ওমরা :
(ক) হজ্জ পালন করা : আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি,
مَنْ حَجَّ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمٍ وَلَدَتْهُ أَمُّهُ.
‘যে ব্যক্তি হজ্জ করে তার মধ্যে বাজে কথা বলে না এবং কোন গোনাহের কাজও করে না, সে নিজের গোনাহ থেকে এমনভাবে মুক্ত ও পাক পবিত্র হয়ে ফিরে যায়, যেন তার মা তাকে (এখনই) প্রসব করেছে’।[28]
(খ) ওমরা পালন করা :
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن النبي صلي الله عليه وسلم قال اَلْعُمْرَةٌ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا، وَالْحَجُّ الْمَبْرُوْرُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক ওমরা থেকে অন্য ওমরা পর্যন্ত সময়টি অন্তর্বর্তীকালীন গোনাহের কাফফারা হয়। আর মাবরুর (মাকবুল) হজ্জের প্রতিদান হচ্ছে একমাত্র জান্নাত’।[29]
হজ্জে মাবরুর বা কবুল হজ্জ বলতে ঐ হজ্জকে বুঝায়, যে হজ্জে কোন গোনাহ করা হয়নি এবং যে হজ্জের আরকান-আহকাম সবকিছু (ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক) পরিপূর্ণভাবে আদায় করা হয়েছে। এতদ্ব্যতীত হজ্জ থেকে ফিরে আসার পর পূর্বের চেয়ে উত্তম হওয়া এবং পূর্বের গোনাহে পুনরায় লিপ্ত না হওয়া কবুল হজ্জের বাহ্যিক নিদর্শন’।[30]
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা হজ্জ ও ওমরাহর মধ্যে পরম্পরা বজায় রাখো (অর্থাৎ সাথে সাথে করো)। কেননা এ দু’টি মুমিনের দরিদ্রতা ও গোনাহ সমূহ দূর করে দেয়’।[31]
(গ) হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ ও বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা: আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহর চারদিকে সাত পাক ঘুরবে এবং পূর্ণ করবে তার জন্য গোলাম আযাদের সমপরিমাণ নেকী হবে। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আমি তাঁকে আরো বলতে শুনেছি, কোন এক ব্যক্তি তাওয়াফের সময় যতবার পা উঠাবে বা নামাবে ততবার আল্লাহ একটি গোনাহ ক্ষমা করবেন ও একটি নেকী নির্ধারণ করবেন’।[32]
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘হাজরে আসওয়াদ যখন জান্নাত থেকে অবতীর্ণ হয় তখন দুধ অপেক্ষা অধিক সাদা ছিল। পরে আদম সন্তানের গোনাহ তাকে কালো করে দিয়েছে’।[33]
(১০) ছাদাক্বা : আল্লাহর রাস্তায় ছাদাক্বা করা ও গরীবের মাঝে ধন-সম্পদ বিলিয়ে দিলেও গোনাহ ক্ষমা করা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্য আরও উত্তম। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের কিছু গোনাহ দূর করে দিবেন। আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খবর রাখেন’ (বাক্বারাহ ২/২৭১)।
(১১) মুছাফাহা : মুসলমান পরস্পর সালাম এবং মুছাফাহা করলেও আল্লাহ গোনাহ মাফ করে দেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَلْتَقِيَانِ فَيَتَصَافَحَانِ اِلاَّ غُفِرَ لَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَّتَفَرَّقَا-
‘যখন দু’জন মুসলমান সাক্ষাতে মুছাফাহা করে তখন তাদের পৃথক হওয়ার পূর্বেই উভয়কে ক্ষমা করে দেওয়া হয়’।[34]
(১৩) ইসলাম, হিজরত ও হজ্জ : রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘ইসলাম, হিজরত ও হজ্জ ব্যক্তির বিগত দিনের সকল গোনাহ শেষ করে দেয়’।[35]
(১৪) যে কোন প্রাণীর সেবা করা : আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘একটি ব্যভিচারী মহিলাকে মাফ করে দেয়া হয়। সে একটি কুয়ার পাড়ে অবস্থিত একটি কুকুরের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় দেখল যে, কুকুরটি হাপাচ্ছে এবং পিপাসায় মারা যাবার উপক্রম হয়েছে। এটা দেখে সে নিজের মাথা উড়নাতে বাঁধল এবং কুকুরটির জন্য পানি উঠাল। এর ফলে তাকে মাফ করে দেয়া হ’ল। এ সময় রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, পশুর সেবায়ও কি আমাদের জন্য ছওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন, فِىْ كُلِّ ذَاتِ كِبَدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ ‘প্রত্যেক প্রাণীর সেবায় ছওয়াব রয়েছে’।[36]
(১৫) দুনিয়ার বিপদ আপদ ও রোগসমূহ : পৃথিবীতে মুমিনদের উপর বিপদ আপদ এসে থাকে। বিপদ-আপদসমূহও গোনাহ মাফের অন্যতম কারণ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
مَا يُصِيْبُ الْمُسْلِمُ مِنْ نَصَبٍ وَلاَ وَصَبٍ وَلاَ هَمٍّ وَلاَ حَزَنٍ وَلاَ اَذًي وَلاَ غَمِّ حَتَّي الشَّوْكَةُ يُشَاكُهَا اِلاَّ كَفَّرَ اللهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ.
‘মুমিনের জীবনে কোন বিপদ, কোন রোগ, কোন ভাবনা, কোন দুশ্চিন্তা, কোন কষ্ট, কোন দুঃখ, এমনকি তার দেহে কোন কাঁটাও বিদ্ধ হয় না, যা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ সমূহ ক্ষমা করেন না’।[37] তিরমিযীর বর্ণনায় এসেছে,
فَمَا زَالَ كَذَالِكَ حَتَّي يَمْشِيَ عَلَي الْأَرْضِ مَالَهُ ذَنْبٌ
‘এভাবে তার উপর বিপদাপদ হ’তেই থাকে, শেষ পর্যন্ত সে পৃথিবীতে চলাফেরা করে এমন অবস্থায় যে, তার কোন গোনাহ থাকে না’।[38] অন্য বর্ণনায় এসেছে,
حَتَّي يَلْقَي اللهَ وَمَا عَلَيْهِ مِنْ خَطِيْئَةٍ
‘শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে এমন অবস্থায় যে, তার উপর কোন গোনাহ থাকে না’।[39]
জাবির (রাঃ) বলেন, একবার রাসূল (ছাঃ) উম্মু সায়েবের নিকট গেলেন এবং বললেন, তোমার কি হয়েছে, কাঁদছ কেন? সে বলল, জ্বর, আল্লাহ জ্বরের মঙ্গল না করুন। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
لاَ تَسُبِّى الْحُمَّى فَإِنَّهَا تُذْهِبُ خَطَايَا بَنِىْ آدَمَ كَمَا يُذْهِبُ الْكِيْرُ خَبَثَ الْحَدِيْدِ.
‘জ্বরকে গালি দিও না। কারণ জ্বর আদম সন্তানের গোনাহ সমূহ দূর করে, যেভাবে কর্মকারের হাপর লোহার মরিচা দূর করে’।[40]
(১৬) চুল পাকা : আমর ইবনু শু‘আইব (রাঃ) স্বীয় পিতার মধ্যস্থতায় তাঁর দাদা হ’তে বর্ণনা করেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পাকা চুল তুলে ফেলো না। কেননা পাকা চুল হচ্ছে মুসলমানদের জ্যোতি। কোন মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লিখেন, একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তার একটি পাপ মোচন করেন’।[41]
(১৭) রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পাঠ করা : রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন,
مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ وَحُطَّتْ عَنْهُ عَشْرُ خَطِيْئَاتٍ وَرُفِعَتْ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ-
‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তার উপরে দশটি রহমত বা নেকী দান করেন, তার আমলনামা হ’তে দশটি গোনাহ ঝরে পড়ে ও তার সম্মানের স্তর আল্লাহর নিকটে দশগুণ বৃদ্ধি পায়’।[42]
(১৮) শেষ রাত্রে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিপালক প্রত্যেক রাতেই এই নিকটবর্তী আকাশে অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকে, আমি আর ডাকে সাড়া দিব। কে আছে যে আমার নিকট কিছু চায়, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চায়, আমি তাকে ক্ষমা করব’।[43]
পরিশেষে বলা যায়, রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে অনেক সময় পাপ কাজে প্রবৃত্ত হয়। শয়তান এক্ষেত্রে তাকে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করে। তাই আল্লাহর কাছে আমাদের একান্ত প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদেরকে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার এবং পাপ সংঘটিত হয়ে গেলে তওবা করার সুযোগ করে জান্নাতুল ফেরদাঊসে যাওয়ার তাওফীক দান করেন! আমীন!!
আব্দুল ওয়াদূদ
তুলাগাঁও (নোয়াপাড়া), দেবিদ্বার, কুমিল্লা।
[1]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৪; রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০২৬।
[2]. বুখারী, মিশকাত হা/২৮৭, বাংলা মিশকাত হা/২৬৭।
[3]. আহমাদ, হাদীছ ছহীহ, আলবানী, মিশকাত হা/৫৭৭।
[4]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০৩০; মিশকাত হা/২৮২।
[5]. নাসাঈ, আহমাদ, মিশকাত হা/৬৬৭।
[6]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০৪০।
[7]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০৪৬; মিশকাত হা/২৮৬।
[8]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০৪৫; মিশকাত হা/৫৬৪।
[9]. বুখারী হা/৫২৮; মুসলিম হা/৬৬৭; রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০৪২; মিশকাত হা/৫৬৫।
[10]. বুখারী হা/৭৮১।
[11]. বুখারী হা/৭৮২; মিশকাত হা/৮২৫।
[12]. তিরমিযী হা/৩৫৪৯, হাদীছ হাসান ছহীহ, তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১২২৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১১৫৯।
[13]. মুসলিম হা/৪৮৮; রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০৭।
[14]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১১৪৮; মিশকাত হা/১৩৮৩।
[15]. মুসলিম, মিশকাত হা/৫৬৫; রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১১৪৯।
[16]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১৪১৯; মিশকাত হা/৯৬৭।
[17]. বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১৪১০।
[18]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১৪৩১; মিশকাত হা/২২৯৯।
[19]. বুখারী হা/৬৪০৩; মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১৪১০।
[20]. তিরমিযী, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/৮৩২; মিশকাত হা/২৪৩৩, হাদীছ ছহীহ।
[21]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১২৫০।
[22]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১২৫২।
[23]. বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১২১৯, মিশকাত হা/১৯৫৮।
[24]. বুখারী হা/১৯০১; মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১১৮৯।
[25]. বুখারী হা/২০০৯, ২৭; মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১১৮৭; মিশকাত হা/১২৯৬।
[26]. মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১৩১২।
[27]. মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮০৬; বাংলা মিশকাত হা/৩৬৩২।
[28]. বুখারী হা/১৮১৯, ১৫২১; মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১২৭৪; মিশকাত হা/২৫০৭।
[29]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫০৮; রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১২৭৫।
[30]. ফাৎহুল বারী ৩/৪৪৬, হা/১৫১৯-এর ব্যাখ্যা।
[31]. ছহীহ নাসঈ হা/২৪৬৮; তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৫২৪।
[32]. তিরমিযী, হাদীছ ছহীহ, আলবানী মিশকাত হা/২৫৮০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৪৬৫।
[33]. তিরমিযী, হাদীছ ছহীহ, আলবানী, মিশকাত হা/২৫৭৭; বাংলা মিশকাত হা/২৪৬২।
[34]. ছহীহ ইবনু মাজাহ, তাহক্বীক্ব আলবানী হা/৩০০৩; ছহীহ আবু দাঊদ হা/৫২১২; মিশকাত হা/৪৬৭৯।
[35]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৮।
[36]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৯০২।
[37]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৫৩৭ ’জানায়েয’ অধ্যায় 'রোগী দেখতে যাওয়া ও রোগের ছওয়াব’ অনুচ্ছেদ।
[38]. তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, দারেমী, মিশকাত হা/১৫৬২, সনদ হাসান।
[39]. তিরমিযী, মালেক, মিশকাত হা/১৫৬৭, সনদ হাসান।
[40]. মুসলিম, মিশকাত হা/১৫৪৩, বাংলা মিশকাত হা/১৪৫৭।
[41]. নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৫৮ 'পোষাক’ অধ্যায় ’চুল আচড়াঁনো’ অনুচ্ছেদ, সনদ হাসান।
[42]. নাসাঈ, মিশকাত হা/৯২২, সনদ ছহীহ।
[43]. মুসলিম, মিশকাত হা/১২২৩; বাংলা মিশকাত হা/১১৫৫।