স্বাস্থ্যবান হওয়ার উপায় :

ফলের মধ্যে সর্বাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে খেজুরে। এতে গরম ও আদ্র পদার্থ বিদ্যমান। খেজুর খালি পেটে খেলে কৃমি মরে যায়। আর কৃমি হ’ল সুস্বাস্থ্যের অন্তরায়। খেজুরের সাথে শসা বা ক্ষিরা খেলে স্বাস্থ্যবান হওয়া যায়। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা ছিদ্দীক্বা (রাঃ) বলেন,أَرَادَتْ أُمِّي أَنْ تُسَمِّنَنِي لِدُخُولِي عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَلَمْ أَقْبَلْ عَلَيْهَا بِشَيْءٍ مِمَّا تُرِيدُ حَتَّى أَطْعَمَتْنِي الْقِثَّاءَ بِالرُّطَبِ، فَسَمِنْتُ عَلَيْهِ كَأَحْسَنِ السَّمْنِ- ‘আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট পাঠাবেন। এজন্য তিনি অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু কোন ফল হয়নি। শেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা বা ক্ষিরা খাওয়াতে থাকলে আমি তাতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হই’।[1]

যমযমের পানি :

আল্লাহর অফুরন্ত নে‘মতরাজির অন্যতম শ্রেষ্ঠ নে‘মত হ’ল যমযমের পানি। এটি শুধু পানীয় নয়, এটি খাদ্যের চাহিদা পূরণেও সক্ষম। এতে রয়েছে অবারিত ঔষধি গুণ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,خَيْرُ مَاءٍ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مَاءُ زَمْزَمَ، وَفِيْهِ طَعَامٌ مِنَ الطُّعْمِ، وَشِفَاءٌ مِنَ السُّقْمِ، ‘পৃথিবীর বুকের সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হ’ল যমযমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তিকর খাদ্য এবং রোগের প্রতিষেধক’।[2]

অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,إِنَّهَا مُبَارَكَةٌ وَإِنَّهَا طَعَامُ طُعْمٍ وَشِفَاءٌ سَقَمٌ، ‘নিশ্চয়ই তা (যমযমের পানি) বরকতপূর্ণ। এটা তৃপ্তিকর খাদ্য এবং রোগের প্রতিষেধক’।[3]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু যার গিফারী (রাঃ) যযময কূপের পাশে ত্রিশদিন অবস্থান করেন। এ সময় তিনি কি খেয়েছেন এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জানতে চাইলে তিনি বলেন,

مَا كَانَ لِى طَعَامٌ إِلاَّ مَاءُ زَمْزَمَ. فَسَمِنْتُ حَتَّى تَكَسَّرَتْ عُكَنُ بَطْنِى وَمَا أَجِدُ عَلَى كَبِدِى سُخْفَةَ جُوعٍ قَالَ إِنَّهَا مُبَارَكَةٌ إِنَّهَا طَعَامُ طُعْمٍ.

‘যমযমের পানি ব্যতীত আমার অন্য কোন খাদ্য ছিল না। এ পানি পান করেই আমি স্থূলদেহী হয়ে গেছি। এমনকি আমার পেটের চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে এবং আমি কখনো ক্ষুধায় দুর্বলতা বুঝতে পারিনি। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, এ পানি অতিমাত্রায় বরকতময় ও প্রাচুর্যময় এবং অন্যান্য খাবারের মত পেট পূর্ণ করে দেয়’।[4]

দুম্বার নিতম্ব দিয়ে চিকিৎসা :

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি,

شِفَاءُ عِرْقِ النَّسَا أَلْيَةُ شَاةٍ أَعْرَابِيَّةٍ تُذَابُ ثُمَّ تُجَزَّأُ ثَلاَثَةَ أَجْزَاءٍ ثُمَّ يُشْرَبُ عَلَى الرِّيقِ فِى كُلِّ يَوْمٍ جُزْءٌ-

‘পশ্চাতের বাতরোগের চিকিৎসায় দুম্বার নিতম্ব গলিয়ে নিয়ে তা তিন ভাগ করতে হবে, অতঃপর প্রতিদিন একভাগ করে পান করতে হবে’।[5]

‘ইরকুন নাসা’র চিকিৎসা হ’ল, দুম্বার পেছনের বাড়তি অংশ রান্না করে তার ঝোল-স্যুপ তিন ভাগে ভাগ করে তিনদিন খালিপেটে আহার করবে। ‘ইরকুন নাসা’র ব্যথা নিতম্বের হাড় থেকে সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকে পায়ের গোছার পেছনের অংশ হয়ে নীচের দিকে নেমে যায়। নামতে নামতে কখনো পায়ের সর্বশেষ জোড়া টাখনু পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ব্যথা উঠার পর যতই সময় গড়ায় ততই ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকে। কেবল ব্যথা নয়, মাঝে মধ্যে অবশ হয়ে আসা বা ঝিম ধরে থাকা অনুভূতিও হয়। এই সমস্যার নাম সায়াটিকা।

স্নায়ুর মূলে কোন সমস্যা হ’লে এই রোগ হয়। দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে এই ব্যথা বা অস্বাভাবিক অনুভূতি বাড়ে, মেরুদন্ড ভাঁজ করে কোন কাজ করলে, যেমন নীচু হয়ে জুতার ফিতা পরতে গেলেও চিনচিন করে উঠতে পারে। আবার হাঁটাহাঁটি করলে কিংবা চিত হয়ে শুয়ে থাকলে কমে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মেরুদন্ডের কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক বা তরুণাস্থি সরে যাওয়া, বাইরের দিকে বেরিয়ে আসা, কোনকিছুর মাধ্যমে চাপের সম্মুখীন হওয়া ইত্যাদি কারণে সায়াটিকা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়’।[6]

রেশমী কাপড় পরিধানের মাধ্যমে চিকিৎসা :

সাধারণত পুরুষদের জন্য রেশমী কাপড় পরিধান করা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,أُحِلَّ الذَّهَبُ وَالْحَرِيرُ لِلإِنَاثِ مِنْ أُمَّتِى وَحُرِّمَ عَلَى ذُكُورِهَا، ‘স্বর্ণ ও রেশমের ব্যবহার আমার উম্মতের নারীদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে’।[7] অন্য বর্ণনায় এসেছে,إِنَّمَا يَلْبَسُ الْحَرِيرَ فِى الدُّنْيَا مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ فِى الآخِرَةِ. ‘যে ব্যক্তিই দুনিয়াতে রেশমী পোষাক পরিধান করে থাকে, আখেরাতে তার ভাগে তা থাকবে না’।[8]

তবে উকুন দূরীকরণ ও চর্মরোগের চিকিৎসা হিসাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পুরুষদের জন্য রেশমী কাপড় পরিধানের অনুমতি দিয়েছেন। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,

رَخَّصَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم لِلزُّبَيْرِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ فِى لُبْسِ الْحَرِيرِ لِحِكَّةٍ بِهِمَا. وفي رواية لمسلم إِنَّهُمَا شَكَوْا القَمْلَ، فَرخَّصَ لَهُمَا فِي قُمُصِ الحَرِيرِ،

‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যুবায়র ও আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ)-কে তাদের উভয়ের চর্মরোগের দরুন রেশমী কাপড় পরিধানের অনুমতি দিয়েছেন। মুসলিম-এর অপর এক বর্ণনায় আছে, তারা উভয়ে উকুনের অভিযোগ করেছিলেন, তাই তিনি তাদেরকে রেশমী জামা পরিধানের অনুমতি দিলেন’।[9]

হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) ‘আত-তিববুন নববী’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘রেশমী কাপড়ের মাঝে অন্যান্য কাপড়ের মতো শুষ্কতা ও অমসৃণতা কিঞ্চিতও অনুভব হয় না। তাই রেশমী কাপড় খোস-পাঁচড়ায় উপকারী হওয়া যুক্তিযুক্ত। কারণ খোস-পাঁচড়া গরম, শুষ্কতা ও অমসৃণতা থেকেই সৃষ্টি হয়। এ কারণেই রাসূল (ছাঃ) যুবায়ের ও আব্দুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ)-কে খোস-পাঁচড়ার চিকিৎসা হিসাবে রেশমী কাপড় পরিধান করার অনুমতি দিয়েছেন। তাছাড়া রেশমী কাপড় পরিধান করলে উকুন হয় না। কেননা উকুন আর্দ্রতা ও উষ্ণতা থেকে সৃষ্টি হয়।[10]

সোনামুখী গাছ ও পাতা দ্বারা চিকিৎসা :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,عَلَيْكُمْ بِالسَّنَى وَالسَّنُّوتِ فَإِنَّ فِيهِمَا شِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا السَّامُ قَالَ الْمَوْتُ- ‘তোমাদের জন্য সানা এবং সানুওয়াত ব্যবহার করা অপরিহার্য। কেননা ‘সাম’ ব্যতীত তার মধ্যে সকল রোগের শিফা (আরোগ্য) রয়েছে। জিজ্ঞাসা করা হ’ল, হে আল্লাহর রাসূল! ‘সাম’ কি জিনিস? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, মৃত্যু’।[11]

হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) ‘আত-তিববুন নববী (ছাঃ) গ্রন্থে লিখেছেন, ‘সানা হিজাযে উৎপন্ন হওয়া একটি উদ্ভিদ। মক্কায় উৎপন্ন হওয়া সানা সবচেয়ে ভালো। সানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত সুষম ওষুধ। এটি প্রথম স্তরের শুকনো ও উষ্ণ ওষুধ। হলদে এবং কালোবর্ণের সানা সচরাচর পাওয়া যায়। এটি হৃৎপিন্ডকে শক্তিশালী করে। এর বহু গুণাগুণ রয়েছে। তবে এই ওষুধের সবচেয়ে উপকারী দিক হ’ল, এটি বিরেচক (পরিমিত পাতলা পায়খানা আনয়নকারী) ওষুধ হওয়া সত্ত্বেও মস্তিষ্ক বিকৃতির শঙ্কাকে বিশেষভাবে দূরীভূত করে। শরীরে সৃষ্ট ফাটলের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সুসংহত করে, চুল পড়া বন্ধ করে, উকুন থেকে বাঁচায়, পুরোনো মাথাব্যথা দূর করে, চুলকানি, খোস-পাঁচড়া, ফোড়া ও মৃগী রোগের জন্য উপকারী।

গাছটির খোসা-বাকল থেকে তৈরী গুড়ো পাউডারের চেয়ে, সিদ্ধ করার পর তার নিষ্কাষিত রস বেশী উপকারী। যার ওষুধের পরিমাণ তিন দিরহাম এবং সিদ্ধকৃত পানির পরিমাণ পাঁচ দিরহাম সমমাত্রার। যদি সিদ্ধ করার সময় ভালোলা (Viola Plants) زهرة البنفسج এক প্রকার লতানো উদ্ভিদের ফুল, ডালপালা বিহীন লালচে কিশমিশও দিয়ে নেওয়া হয়, তাহ’লে ওষুধটি আরও বেশী ক্রিয়াশীল হবে।

ইমাম আবুবকর মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া আর-রাযী (রহঃ) বলেন, সানা ও শাহাতরাজ দ্বারা মিশ্রিত ওষুধ আগুনে দগ্ধ রুগীর জোলাপ, চুলকানি, খোস-পাঁচড়ায় উপকারী। এর ওষুধের মাত্রা হবে চার থেকে সাত দিরহাম।[12]

আগুনে সেঁক বা দাগা দিয়ে চিকিৎসা প্রসঙ্গ :

আগুনে সেঁক বা দাগা দিয়ে চিকিৎসা করার পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেকগুলো ছহীহ হাদীছ রয়েছে। যা নিম্নরূপ-

পক্ষের হাদীছ সমূহ :

(১) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন,بَعَثَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ طَبِيبًا فَقَطَعَ مِنْهُ عِرْقًا ثُمَّ كَوَاهُ عَلَيْهِ. ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উবাই বিন কা‘ব (রাঃ)-এর নিকট জনৈক ডাক্তার প্রেরণ করলেন। সে তার একটি ধমনী কর্তন করে দিল, পরে লোহা গরম করে (রক্ত বন্ধ করার জন) তাতে সেঁক দিয়ে দিল’।[13]

(২) আবু সুফিয়ান (রহঃ) বলেন,سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ قَالَ رُمِىَ أُبَىٌّ يَوْمَ الأَحْزَابِ عَلَى أَكْحَلِهِ فَكَوَاهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم- ‘আমি জাবের (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, খন্দক যুদ্ধে উবাই (রাঃ)-এর হাত (কিংবা পা)-এর মূল ধমনীতে তীর লাগলো, তাই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে লোহা গরম করে দাগ দিলেন’।[14]

(৩) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, رُمِىَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فِى أَكْحَلِهِ قَالَ فَحَسَمَهُ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ بِمِشْقَصٍ ثُمَّ وَرِمَتْ فَحَسَمَهُ الثَّانِيَةَ- ‘সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ)-এর শিরা রগে তীর লাগলো। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর স্বহস্তে একটি তীর ফলক দ্বারা তার রগ কর্তন করে দাগা দিয়ে দিলেন। তারপরে তা ফুলে উঠলে দ্বিতীয়বার দাগা দিয়ে দিলেন’।[15]

(৪) আনাস বিন মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,أَنَّ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم كَوَى أَسْعَدَ بْنَ زُرَارَةَ مِنَ الشَّوْكَةِ- ‘নবী করীম (ছাঃ) আস‘আদ বিন যুরারাহকে কাটা বিদ্ধ হওয়ার কারণে উত্তপ্ত লোহার মাধ্যমে দগ্ধ করেছিলেন’।[16]

বিপক্ষের হাদীছ সমূহ :

(১) আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

الشِّفَاءُ فِى ثَلاَثَةٍ شَرْطَةِ مِحْجَمٍ، أَوْ شَرْبَةِ عَسَلٍ، أَوْ كَيَّةٍ بِنَارٍ، وَأَنْهَى أُمَّتِى عَنِ الْكَىِّ-

‘রোগমুক্তি আছে তিনটি জিনিসে। শিঙ্গা লাগানোতে, মধু পানে এবং আগুন দিয়ে দাগ দেয়াতে। আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে দাগ দিতে নিষেধ করছি’।[17]

(২) জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,

سَمِعْتُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنْ كَانَ فِى شَىْءٍ مِنْ أَدْوِيَتِكُمْ أَوْ يَكُونُ فِى شَىْءٍ مِنْ أَدْوِيَتِكُمْ خَيْرٌ فَفِى شَرْطَةِ مِحْجَمٍ، أَوْ شَرْبَةِ عَسَلٍ، أَوْ لَذْعَةٍ بِنَارٍ تُوَافِقُ الدَّاءَ، وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَكْتَوِىَ.

‘আমি নবী করীম (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের ঔষধ সমূহের কোনটির মধ্যে যদি কল্যাণ থাকে তাহ’লে তা আছে শিঙ্গাদানের মধ্যে কিংবা মধু পানের মধ্যে কিংবা আগুন দিয়ে ঝলসানোর মধ্যে। রোগ অনুসারে। আমি আগুন দিয়ে দাগা দেয়া পসন্দ করি না’।[18]

(৩) বিনা হিসাবে জান্নাতীদের পরিচয় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,هُمُ الَّذِينَ لاَ يَسْتَرْقُونَ، وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ، وَلاَ يَكْتَوُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ. ‘তারা হ’ল সেসব লোক যারা মন্ত্র পাঠ করে না, পাখির মাধ্যমে ভালো-মন্দ নির্ণয় করে না এবং আগুনের সাহায্যে দাগায় না। বরং তাঁরা তাঁদের প্রতিপালকের উপরই ভরসা রাখে’।[19]

(৪) ইমরান ইবনু হোসাইন (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,

أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْكَىِّ. قَالَ فَابْتُلِينَا فَاكْتَوَيْنَا فَمَا أَفْلَحْنَا وَلاَ أَنْجَحْنَا. ‘উত্তপ্ত লোহার মাধ্যমে শরীরে দাগ দিতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিষেধ করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা যখন রোগাক্রান্ত হয়ে উত্তপ্ত লোহা দ্বারা দাগ লাগিয়েছি তখন ব্যর্থতা ও বিফলতা ব্যতীত আর কিছুই পাইনি’।[20]

উভয় শ্রেণীর হাদীছের মাঝে সমন্বয় সাধন :

ইমাম নববী (রহঃ) ‘শরহে মুসলিম’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘আলোচ্য হাদীছে আগুনে সেঁক দেয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণের বৈধতার বিধান দেয়া হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে আগুনের সেঁকই একমাত্র সমাধান হিসাবে সাব্যস্ত শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। সা‘দ (রাঃ)-এর রক্ত পড়া বন্ধ না হওয়ার কারণে আগুনের সেঁক দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে যে ব্যক্তির আগুনে সেঁক দেয়ার কারণে অন্য সমস্যা সৃষ্টির আশংকা রয়েছে, সে ব্যক্তি উপরোক্ত পদ্ধতি গ্রহণে বিরত থাকবেন। যেমনটি ইমরান বিন হুসায়ন (রাঃ) করেছিলেন। আরবদের নিকট ঔষধের অকার্যকারিতায় আগুনের সেঁক দেয়াই একমাত্র সমাধান। ইবনু কুতায়বাহ (রাঃ)-এর মতে, আগুনে সেঁক দেয়া দুই ধরনের। এক- সুস্থতার জন্য আগুনে সেঁক দেয়া। দুই- আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর রক্ত পড়া বন্ধ না হ’লে সেক্ষেত্রে আগুনে সেঁক দেয়া’।[21]

হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) ‘আত-তিববুন নববী’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘কায়’ বা দাগা দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে আবার অনুমতিও দেয়া হয়েছে। সা‘দ (রাঃ)-কে অনুমতি দেয়াটা প্রমাণ করে, এ কাজটি জায়েয। আর তা সৎ ব্যক্তির জন্য। যে ব্যক্তি আরোগ্য লাভের জন্য চিকিৎসা স্বরূপ অন্য কোন ঔষধ ব্যবহার করতে সক্ষম নয়। কিন্তু এ কাজ করা নিষেধ ঐ ব্যক্তির জন্য যে আরোগ্য লাভের জন্য অন্য ঔষধ ব্যবহার করতে সক্ষম। কারণ এতে আগুনের মাধ্যমে কষ্ট দেয়া হয়।[22] ইমাম শাওকানী (রহঃ)ও একই মত পোষণ করেন।

ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা :

নববী চিকিৎসা পদ্ধতি তিন ধরনের। যথা : (১) প্রতিষেধক বা প্রতিরোধমূলক (২) উপযুক্ত ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা (৩) ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা। এখানে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।

এমন কিছু রোগ রয়েছে ঝাড়ফুঁক ব্যতীত যার অন্য কোন চিকিৎসা নেই। যেমন- বদনযর, যাদু-মন্ত্রে আক্রান্ত ইত্যাদি। ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর পক্ষে ও বিপক্ষে হাদীছ রয়েছে। যেমন-

ঝাড়ফুঁকের পক্ষের হাদীছ সমূহ :

(১) উম্মুল মুমিনীন আয়েশা ছিদ্দীক্বা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,أَمَرَ النَّبيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَرْقِيْ مِنَ الْعَيْنِ، ‘কারো উপর বদনযর লাগলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঝাড়ফুঁক করতে নির্দেশ দিতেন’।[23]

(২) উম্মু সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,أَنَّ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى فِى بَيْتِهَا جَارِيَةً فِىْ وَجْهِهَا سَفْعَةٌ فَقَالَ اسْتَرْقُوْا لَهَا، فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ- ‘একদিন নবী করীম (ছাঃ) তাঁর (উম্মু সালামাহর) ঘরে একটি মেয়ে দেখতে পেলেন, তার চেহারায় চিহ্ন ছিল (মুখাবয়ব বদনযরের দরুন হলুদ বর্ণ দেখাচ্ছিল)। তখন তিনি বললেন, এর জন্য ঝাড়ফুঁক কর, কেননা তার উপর নযর লেগেছে’।[24]

(৩) শিফা বিনতু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا عِنْدَ حَفْصَةَ فَقَالَ لِى أَلاَ تُعَلِّمِينَ هَذِهِ رُقْيَةَ النَّمْلَةِ كَمَا عَلَّمْتِيهَا الْكِتَابَةَ- ‘আমি হাফছাহ (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সেখানে প্রবেশ করে বললেন, তুমি যেভাবে হাফছাকে হস্তলিপি শিখিয়েছ, সেভাবে তাকে নামলাহ রোগের মন্ত্র শিখাও না কেন’?[25]

(৪) আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,كَانَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِى الرُّقْيَةِ تُرْبَةُ أَرْضِنَا، وَرِيقَةُ بَعْضِنَا، يُشْفَى سَقِيمُنَا، بِإِذْنِ رَبِّنَا- ‘(মাটিতে ফুঁ দিয়ে) এ দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লাহর নামে আমাদের দেশের মাটি এবং আমাদের কারোর থুথু, আমাদের প্রতিপালকের নির্দেশে আমাদের রোগী আরোগ্য লাভ করে’।[26]

(৫) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা জিবরীল (আঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে এসে বললেন,يَا مُحَمَّدُ اشْتَكَيْتَ فَقَالَ نَعَمْ. قَالَ بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ- ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ! জিবরীল (আঃ) বললেন, আপনাকে কষ্ট দেয় এমন সব বিষয়ে আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক দিচ্ছি প্রত্যেক ব্যক্তির অকল্যাণ হ’তে। অথবা তিনি বলেছেন, প্রত্যেক বিদ্বেষী চোখের অকল্যাণ হ’তে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন’।[27]

ঝাড়ফুঁকের বিপক্ষের হাদীছ :

(১) বিনা হিসাবে জান্নাতীদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,هُمُ الَّذِينَ لاَ يَسْتَرْقُونَ، وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ، وَلاَ يَكْتَوُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ- ‘তারা হ’ল সেসব লোক যারা ঝাড়ফুঁক করে না, পাখির মাধ্যমে কোন কাজের ভালো-মন্দ নির্ণয় করে না এবং আগুনের সাহায্যে দাগ লাগায় না। বরং তারা তাদের প্রতিপালকের উপরই ভরসা রাখে’।[28]

(২) মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,مَنِ اكْتَوَى أَوِ اسْتَرْقَى فَقَدْ بَرِئَ مِنَ التَّوَكُّلِ. ‘যে ব্যক্তি লোহা গরম করে শরীর দাগায় অথবা ঝাড়ফুঁক করায়, সে তাওয়াক্কুল হ’তে দূরে সরে পড়েছে’।[29]

(৩) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ، ‘নিশ্চয়ই ঝাড়ফুঁক, তাবীয, অবৈধ প্রেম, প্রেম ঘটানোর মন্ত্র শিরকের অন্তর্ভুক্ত’।[30]

উভয় প্রকার হাদীছের মাঝে সমন্বয় সাধন :

উভয় প্রকার হাদীছের মাঝে সমন্বয় রয়েছে নিম্নোক্ত হাদীছে। আওফ ইবনু মালিক আশজাই (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, كُنَّا نَرْقِىْ فِى الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ تَرَى فِى ذَلِكَ فَقَالَ اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ- ‘জাহিলী যুগে আমরা মন্ত্র পড়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। সুতরাং (ইসলাম গ্রহণের পর) আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! এ সমস্ত মন্ত্র সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তখন তিনি বললেন, আচ্ছা, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমাকে পড়ে শুনাও। (তবে কথা হ’ল) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতে কোন আপত্তি নেই, যদি তার মধ্যে শিরকী কিছু না থাকে’।[31]

উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় আল্লামা শামসুল হক আযীমাবাদী (রহঃ) ‘আওনুল মা‘বূদ’ গ্রন্থে লিখেছেন, لا بأس بالرقى ما لم يكن فيه شرك، ‘ঝাড়ফুঁক করা দোষের কিছু নয়, যদি তার মধ্যে শিরকী কিছু না থাকে’। ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি প্রদান ও নিষেধ করার কারণ হ’ল এটা। এ হাদীছটির মধ্যে দলীল আছে যে, যে ঝাড়ফুঁকের মাঝে কোন ক্ষতি নেই, শরী‘আতের দৃষ্টিতে সে ঝাড়ফুঁক করা নিষেধ না, সে ঝাড়ফুঁক করা জায়েয এবং উত্তম কাজ’।[32]

এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীছটিও উল্লেখযোগ্য। জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,

نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرُّقَى فَجَاءَ آلُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّهُ كَانَتْ عِنْدَنَا رُقْيَةٌ نَرْقِى بِهَا مِنَ الْعَقْرَبِ وَإِنَّكَ نَهَيْتَ عَنِ الرُّقَى. قَالَ فَعَرَضُوهَا عَلَيْهِ. فَقَالَ مَا أَرَى بَأْسًا مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَنْفَعَ أَخَاهُ فَلْيَنْفَعْهُ.

‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঝাড়ফুঁক করা হ’তে নিষেধ করেছেন। (এ নিষেধের পর) আমর ইবনু হাযম-এর বংশের কয়েকজন লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাদের কাছে এমন একটি পত্র আছে, যার দ্বারা আমরা বিচ্ছুর দংশনে ঝাড়ফুঁক করে থাকি। অথচ আপনি মন্ত্র পড়া হ’তে নিষেধ করেছেন। অতঃপর তারা মন্ত্রটি নবী করীম (ছাঃ)-কে পড়ে শুনাল। তখন তিনি বললেন, আমি তো এটার মধ্যে দোষের কিছু দেখছি না। অতএব তোমাদের যে কেউ নিজের কোন ভাইয়ের কোন উপকার করতে পারে, সে যেন অবশ্যই তার উপকার করে’।[33]

এ হাদীছটি হ’তে বুঝা যায় যে, যে ঝাড়ফুঁকের মধ্যে কোন কুফরী কালাম ও শিরকী শব্দ না থাকে, সে ঝাড়ফুঁক দ্বারা মানুষের চিকিৎসা করা বৈধ। আর যে ঝাড়ফুঁকের শব্দগুলো বুঝা যায় না, তাতে শিরক থাকার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং এ জাতীয় শিরকী মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হারাম। এ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের যে কেউ নিজের কোন ভাইয়ের কোন উপকার করতে পারে, সে যেন অবশ্যই তার উপকার করে’। নিঃসন্দেহে শিরকমুক্ত ঝাড়ফুঁক একটি বড় উপকারমূলক কাজ, যা মানুষের জীবনের ক্ষেত্রে উপকারে আসে। সুতরাং শিরকমুক্ত ঝাড়ফুঁক করে সমাজকে শিরকমুক্ত করে সুস্থ সমাজ গঠন করা প্রত্যেক ঝাড়ফুঁককারীর জন্য যরূরী।[34]

[চলবে]

কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী

মুহাদ্দিছ, বেলটিয়া কামিল মাদ্রাসা, সরিষাবাড়ী, জামালপুর।

[1]. আবূদাঊদ হা/৩৯০৩, ‘চিকিৎসা’ অধ্যায়, সনদ ছহীহ।

[2]. ত্বাবারানী, মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৩৯১২, ৮১২৯; মু‘জামুল কাবীর হা/১১০০৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৩২২।

[3]. ত্বাবারানী, মু‘জামুছ ছগীর হা/২৯৫; ছহীহুল জামে‘ হা/২৪৩৫।

[4]. মুসলিম হা/২৪৭৩।

[5]. ইবনু মাজাহ হা/৩৪৬৩ ‘চিকিৎসা’ অধ্যায় সনদ ছহীহ।

[6]. আত-তিববুন নববী (ছাঃ), পৃঃ ১২৬-১২৭।

[7]. তিরমিযী হা/১৭২০; নাসাঈ হা/৫১৪৮; ইবনু মাজাহ হা/৩৫৯৫; মিশকাত হা/৪৩৪১, সনদ ছহীহ।

[8]. বুখারী হা/৫৮৩৫; মুসলিম হা/২০৬৮; নাসাঈ হা/৫২৯৫; ইবনু মাজাহ হা/৩৫৯১।

[9]. বুখারী হা/৫৮৩৯; মুসলিম হা/২০৭৬; তিরমিযী হা/১৭২২; মিশকাত হা/৪৩২৬।

[10]. অতি-তিববুন নববী (ছাঃ), পৃঃ ১৩৮।

[11]. ইবনু মাজাহ হা/৩৪৫৭, হাকেম হা/৭৪৪২, সনদ ছহীহ।

[12]. আত-তিববুন নববী (ছাঃ), পৃঃ ১৩০-১৩১।

[13]. মুসলিম হা/২২০৭; মিশকাত হা/৪৫১৯।

[14]. মুসলিম হা/২২০৭; মিশকাত হা/৪৫১৭।

[15]. মুসলিম হা/২২০৮; ইবনু মাজাহ হা/৩৪৯৪; মিশকাত হা/৪৫১৮।

[16]. তিরমিযী হা/২০৫০, সনদ ছহীহ।

[17]. বুখারী হা/৫৬৮১, ৫৬৮০।

[18]. বুখারী হা/৫৬৮৩, ৫৭০২, ৫৭০৪; মুসলিম হা/২২০৫।

[19]. বুখারী হা/৫৭০৫, ৩৪১০।

[20]. তিরমিযী হা/২০৪৯; ইবনু মাজাহ হা/৩৪৯০; আবূ দাঊদ হা/৩৮৬৫, সনদ ছহীহ।

[21]. শরহে মুসলিম লিনববী, ২২০৮ (৭৫) নং হাদীছের ব্যাখ্যা।

[22]. আত-তিববুন নববী, ১১৫-১১৬ পৃঃ।

[23]. বুখারী হা/৫৭৩৮; মুসলিম হা/২১৯৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৮৮৪।

[24]. বুখারী হা/৫৭৩৯; মুসলিম হা/২১৯৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৯৩৭।

[25]. আবূ দাঊদ হা/৩৮৮৭; ছহীহাহ হা/১৭৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৯৪১৭।

[26]. বুখারী হা/৫৭৪৬, ৫৭৪৫।

[27]. মুসলিম হা/২১৮৬; তিরমিযী হা/৯৭২; মিশকাত হা/১৫৩৪।

[28]. বুখারী হা/৫৭০৫, ৩৪১০।

[29]. তিরমিযী হা/২০৫৫; ইবনু মাজাহ হা/৩৪৮৯; ছহীহুল জামি‘ হা/৬০৮১; ছহীহাহ হা/২৪৪।

[30]. আবূ দাঊদ হা/৩৮৮৩, সনদ ছহীহ।

[31]. মুসলিম হা/২২০০; আবূ দাঊদ হা/৩৮৮৬; ছহীহাহ হা/১০৬৬।

[32]. আওনুল মা‘বূদ হা/৩৮৮৬ এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।

[33]. মুসলিম হা/২১৯৯; ছহীহাহ হা/৪৮২; মিশকাত হা/৪৫৩০।

[34]. তাহক্বীক্ব, মিশকাত ৫/২৯৪ পৃঃ, ৪৫২৯ নং হাদীছের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।






বিষয়সমূহ: চিকিৎসা
ইয়ারমূক যুদ্ধ - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
আল্লাহর প্রতি ঈমানের স্বরূপ (পঞ্চম কিস্তি) - মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম মাদানী
বালা-মুছীবত থেকে পরিত্রাণের উপায় - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আলেমে দ্বীনের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য - হাফেয আব্দুল মতীন - পিএইচ.ডি গবেষক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়া
ইসলামের দৃষ্টিতে সফলতার স্বরূপ - মুহাম্মাদ ওয়ারেছ মিয়াঁ
ছিয়ামের ফাযায়েল ও মাসায়েল
আক্বীদা ও আহকামে হাদীছের প্রামাণ্যতা (২য় কিস্তি) - মীযানুর রহমান মাদানী
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত (৯ম কিস্তি) - মুযাফফর বিন মুহসিন
১৬ই ডিসেম্বর সারেন্ডার অনুষ্ঠানে জে. ওসমানী কেন উপস্থিত ছিলেন না? চাঞ্চল্যকর তথ্য - মোবায়েদুর রহমান
গীবত : পরিণাম ও প্রতিকার (৩য় কিস্তি) - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
ইবাদতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা (৩য় কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
সমাজ সংস্কারে তাবলীগী ইজতেমা - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
আরও
আরও
.