৮. সালথা, ফরিদপুর : গত ১৮ই নভেম্বর ২০২০ তারিখ সকাল সাড়ে ৯-টায় ফরিদপুর যেলার সালথা থানাধীন ডাঙ্গা কামদিয়া গ্রামে সদ্য প্রতিষ্ঠিত আহলেহাদীছ মসজিদ ও মাদ্রাসাটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় কওমী ঘরানার একশ্রেণীর অপরিণামদর্শী মাযহাবপন্থী আলেম ও তাদের অন্ধ অনুসারীরা। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উক্ত মসজিদ ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে আহলেহাদীছ বিদ্বেষী কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও একশ্রেণীর ধর্মনেতা প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে আসছিল। আহলেহাদীছের মসজিদ ও মাদ্রাসা ভেঙ্গে দিয়ে এলাকা হ’তে তাদের উৎখাত করা হবে মর্মে হুমকি দিচ্ছিল মাঝে-মধ্যেই। ঘটনার আগের দিন এলাকায় মাইকিংও করা হয়। যার প্রেক্ষিতে মসজিদ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ উপযেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। ফলে ১৮ই নভেম্বর বুধবার সকাল ১০-টায় টিএনও অফিসে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু বিরোধীরা বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে একই দিন সকাল সাড়ে ৯-টায় ‘ওলামা পরিষদ ও তাওহীদী জনতার’ ব্যানারে ‘আহলেহাদীছের আস্তানা, সালথা থানায় থাকবে না’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করে লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে প্রায় ছয়/সাত শত লোক একযোগে উক্ত মসজিদ ও মাদরাসার উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা মসজিদ-মাদ্রাসায় রক্ষিত পবিত্র কুরআন ও বুখারী-মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থ পার্শববর্তী ডোবায় ফেলে দেয়। তারা মাদ্রাসার টিনশেড দু’টি ঘর, শ্রেণীকক্ষে ব্যবহৃত আসবাবপত্র, খাট, টেবিল, বেঞ্চ, স্টীলের ট্রাংক ইত্যাদি ভাংচুর করে। ১৪টি সিলিং ফ্যান ও ১টি সোলার প্যানেল খুলে নিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ মীযানের রুম থেকে ব্রিফকেসে রক্ষিত নগদ টাকাও লুট করে। এ সময়ে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকগণ প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যায়।
মাদ্রাসার পরিচালক ইলিয়াস হোসাইন জনান, ‘আমরা তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণেই পৃথকভাবে মসজিদ-মাদ্রাসা করতে বাধ্য হয়েছি। নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার এক সাথী ভাই সালথা বাযার মসজিদে জোরে আমীন বলেছিল। সেকারণে তাকে জুতাপেটা করে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। আমার মেয়ে তাদের মাদ্রাসায় পড়ত। তার ছালাত আদায়ের পদ্ধতি দেখে তাকে অশালীন ভাষায় কটূক্তি করে। ফলে তাকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হই। এখন পৃথক মসজিদ মাদ্রাসা করেও এদের হিংস্রতা থেকে রক্ষা পেলাম না। এদের বর্বরতা জাহেলী আরবকেও যেন ছাড়িয়ে গেছে’।[1]
৯. সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ শহরের একমাত্র আহলেহাদীছ মসজিদটি উচ্ছেদের লক্ষ্যে ১লা ডিসেম্বর’২০ তথাকথিত একদল ‘তৌহিদী জনতা’ চেষ্টা করেছিল জমায়েত হওয়ার। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রশাসন সজাগ হয় এবং তাদেরকে নিবৃত্ত করে।
১০. নারান্দিয়া, তিতাস, কুমিল্লা : যেলার তিতাস থানাধীন নারান্দিয়া গ্রাম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়পুর থেকে উত্তরে তিন কিলোমিটার। বাহরায়ন প্রবাসী জনাব দেলোয়ার হোসাইনের উদ্যোগে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে নারান্দিয়া সালাফিইয়া মাদরাসা ও মসজিদ। আহলেহাদীছ মানহাজ অনুযায়ী পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটিও নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে সম্মুখপানে এগিয়ে যাচ্ছিল। নানা হুমকি-ধমকির মধ্যে চলছিল বেশ। কিন্তু হঠাৎ গত ১৮ই জানুয়ারী-২০২১ তারিখ সোমবার বেলা ১১-টায় আটরশি, চরমোনাই, দেওয়ানবাগী ও শর্ষিনার অনুসারীদের চার-পাঁচশত লোক অতর্কিতভাবে মাদ্রাসা ও মসজিদটি দখল করে নেয়। এ সময় তারা মসজিদের মুওয়াযযিন ও খাদেমকে অপমান ও অপদস্থ করে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। আহলেহাদীছ অনুসারীরা উপায়ান্তর না পেয়ে প্রশাসনকে অবহিত করলে থানা প্রশাসনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে মসজিদটি পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়। ফালিল্লা-হিল হাম্দ।
১১.ভূয়াপুর, টাঙ্গাইল : যেলার ভূয়াপুর থানার ৬নং নিকরাইল ইউনিয়নের চরপাতালকান্দি গ্রামে বাড়ি ডাঃ রফীকুল ইসলামের। ২০১০ সালে তাঁর বন্ধু ইবরাহীমসহ এলাকার দশ/বার জন্য যুবক হক্বের সন্ধান পেয়ে আহলেহাদীছ হন। তারপর তারা দাওয়াতী কাজে তৎপর হন। ডাঃ রফীকুল ইসলাম নিজে শতাধিক কপি ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’ বই কিনে বিতরণ করেন এবং ২০ কপি মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকার নিয়মিত এজেন্ট ছিলেন। তাদের দাওয়াত ও প্রচারের ফলে এলাকায় প্রায় ত্রিশ জনের মত যুবক আহলেহাদীছ আক্বীদা গ্রহণ করেন। স্বভাবতই এলাকায় তাদের এই পরিবর্তন আলোচনার বিষয়বস্ত্ত হয়ে পড়ে। জনৈক মুফতী তাদের দাওয়াতী কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তিনি এলাকায় ‘আহলেহাদীছ’ বিরোধী জনমত গড়ে তোলেন। জনগণ ইউ.পি চেয়ারম্যানের নিকটে তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করে। চেয়ারম্যান তাদের ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এমনকি চড়-থাপ্পড় মেরে কান ধরে উঠা-বসা করিয়ে ওয়াদাবদ্ধ করান যে, আর আহলেহাদীছদের মত আমল করবে না। যদি করে জনপ্রতি ৫০ হাযার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। এক পর্যায়ে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধ করে দেয়া হয়। কারো কারো বাড়ীর সামনের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। যেন বাড়ী থেকে বের হ’তে না পারে। তাদেরকে মাসিক আত-তাহরীক সহ সকল প্রকার বই-পুস্তক বাড়ী থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য করে।[2]
১২. চক্রবর্তীটেক, গাযীপুর : যেলার সদর থানাধীন চক্রবর্তীটেক গ্রাম। সাভার থেকে অনতিদূরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সংলগ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেখানে স্থানীয় মুরববী ৮৫ বছর বয়স্ক ডা. আব্দুল কুদ্দূসের নিজের দানকৃত মাটিতে এবং নিজস্ব অর্থায়নে গড়ে ওঠে সাত তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট রওশন আরা জামে মসজিদ। যার তিন তলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়। মাযহাবী তরীকায়ই চলছিল মসজিদটি। শিরক-বিদ‘আতসহ নানাবিধ ভ্রান্ত আক্বীদা ও আমল চালু ছিল সেখানে। ডাক্তার আব্দুল কুদ্দূস নিজেই ছিলেন মসজিদের মুতাওয়াল্লী ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি। কিন্তু আশার কথা যে, মহান আল্লাহর মেহেরবানীতে ডাক্তার আব্দুল কুদ্দূস ছাহেব আমীরে জামা‘আতের লেখা ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’ সহ অন্যান্য বই-পুস্তক পাঠের মাধ্যমে ছহীহ পথের সন্ধান পান এবং যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেন যে, জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় আর ভুলের মধ্যে নয়, বরং অশুদ্ধ পথ ছেড়ে বিশুদ্ধ পথে ফিরে আসবেন। অবশেষে তিনি মাযহাবী তাক্বলীদ ছেড়ে ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক আমল শুরু করেন। কিন্তু তার এই পরিবর্তন স্থানীয় বিদ‘আতী আলেমদের চোখ জ্বালার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তারা ডাক্তার ছাহেবের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র শুরু করে ও বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদান করে। ডাক্তার ছাহেবের ভাষ্যমতে- ‘বিগত ৪০ বছর যাবত আমি এখানে বসবাস করছি। কেউ আমাকে মন্দ বলেনি। কিন্তু আহলেহাদীছ হওয়ার পর থেকেই আমি সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। আমি আল্লাহর সাহায্য কামনা ও সকলের সহানুভূতি আশা করি’।
অবশেষে ২০১৭ সালের রামাযান মাসে সাভারের জিরানী পুকুরপাড় আহলেহাদীছ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের সাথে সাক্ষাৎ করে তিনি উক্ত মসজিদটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আহলেহাদীছ আন্দোলনের অনুকূলে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করেন। সে মোতাবেক ৩০শে জানুয়ারী’১৮ তারিখে গাযীপুর সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘ইসলামিক কমপ্লেক্স’-এর নামে উক্ত মসজিদটি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হয়। অতঃপর ৯ই মার্চ ২০১৮ ইং তারিখে সুধী সমাবেশের মাধ্যমে মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে রওশনআরা জামে মসজিদের পরিবর্তে চক্রবর্তীটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদে রূপান্তরিত হয়।
অতঃপর মসজিদের দাতা ডাক্তার আব্দুল কুদ্দূসের ঐকান্তিক ইচ্ছানুযায়ী মসজিদটি ছহীহ তরীকায় চলতে শুরু করে। ইমাম মুওয়াযযিন সকলেই আহলেহাদীছ। আওয়াল ওয়াক্তে আযান ও জামা‘আত হচ্ছে নিয়মিত। আশপাশ থেকে বিপুল পরিমাণে মুছল্লীও যোগদান করেন জুম‘আ ও ওয়াক্তিয়া ছালাতে। কিন্তু বিদ‘আতী মৌলভীদের গোপন ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি। আশপাশের মসজিদের ইমামরা গোপনে পরামর্শ বৈঠক করে মসজিদটি দখলের সিদ্ধান্ত নেয়। অতঃপর ৬ মাসের মাথায় ১০ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে আছর ছালাতের সময় তারা একজোটে মসজিদে হামলা করে। ইমামকে মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে রাস্তায় নিয়ে সিএনজিতে উঠিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। সেসময় সাংগঠনিক বৈঠকে ঢাকা ও গাযীপুর যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল ও কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকেও সন্ত্রাসীরা লাঞ্ছিত করে তাড়িয়ে দেয়। এরা নিজস্ব মাযহাবী ইমাম-মুওয়াযযিন নিয়োগ দিয়ে মসজিদটি দখলে নেয়। যার একক অবদানে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মিত হ’ল তিনি চরমভাবে অপমানিত ও মনক্ষুণ্ণ হয়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা হয়। কিন্তু মসজিদটি এখনও পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়নি। ডাক্তার আব্দুল কুদ্দূসের জীবনের শেষ ইচ্ছা আর পূরণ হ’ল না। কেননা গত ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে তিনি হার্ট এ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেন। বিদ‘আতী আলেমদের হিংসাত্মক আচরণের কারণে নিজের গড়া মসজিদে ছালাত আদায় করতে না পারার বেদনা নিয়েই চির বিদায় নিলেন তিনি।
প্রিয় পাঠক! এরকম একটার পর একটা ঘটনা লিখতে থাকলে প্রবন্ধের কলেবর অনেক বড় হয়ে যাবে। কলেবর সংক্ষিপ্ত করার স্বার্থে আমরা সাম্প্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরলাম। গত কিস্তিতে ৭টি ও এই কিস্তিতে ৫টি মোট ১২টি ঘটনা উল্লেখ করা হ’ল। চক্ষুষ্মান ও বিবেকবান পাঠকের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। এক্ষণে আমরা আল্লাহর ঘর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্ব এবং এ সমস্ত জঘন্য অপকর্মের পরিণতি পর্যালোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।-
১. মসজিদ আল্লাহর ঘর : মসজিদ আল্লাহর ঘর। আল্লাহ বলেন, فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ ‘অতএব তারা যেন ইবাদত করে এই গৃহের মালিকের’ (কুরায়শ ১০৬/৩)। অন্যত্র তিনি বলেন, وَأَنَّ الْمَسَاجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدْعُوا مَعَ اللهِ أَحَدًا ‘নিশ্চয়ই মসজিদ সমূহ কেবল আল্লাহর জন্য। অতএব তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে আহবান করো না’ (জিন ৭২/১৮)।
আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন,المساجدُ بيوتُ اللهِ في الأرضِ تضيءُ لأهلِ السَّماءِ كما تضيءُ نجومُ السَّماءِ لأهلِ الأرضِ، ‘পৃথিবীতে মসজিদসমূহ আল্লাহর ঘর। এগুলো আসমানবাসীর জন্য তেমনি আলোকিত করে যেমনভাবে দুনিয়াবাসীদের জন্য আকাশের তারকাগুলো আলোকিত করে’।[3] আর পৃথিবীর সকল গৃহের চাইতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর গৃহের মর্যাদা নিঃসন্দেহে অজস্রগুণ বেশী। সেকারণ এ গৃহের সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষা করাও মুমিনদের জন্য আবশ্যক।
২. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্থান মসজিদ : আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, أَحَبُّ الْبِلَادِ إِلَى اللهِ مَسَاجِدُهَا، وَأَبْغَضُ الْبِلَادِ إِلَى اللهِ أَسْوَاقُهَا، ‘আল্লাহর নিকটে সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হচ্ছে মসজিদ। আর সবচেয়ে ঘৃণ্য জায়গা হচ্ছে বাযার’।[4] আবূ উমামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন,اِنَّ حِبْرًا مِّنَ الْيَهُوْدِ سَالَ النَّبِيّ صلى الله عليه و سلم اَىُّ الْبِقَاعِ خَيْرٌ فَسَكَتَ عَنْهُ وَقَالَ اَسْكُتُ حَتّى يَجِئَ جِبْرِيْلُ فَسَكَتَ وَجَاءَ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَسَالَ فَقَالَ مَا الْمَسئُوْلُ عَنْهَا بِاَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ وَلكِنْ اَسْاَلُ رَبِّىْ تَبَارَكَ وَتَعَالى ثُمَّ قَالَ جِبْرِيْلُ يَا مُحَمَّدُ اِنِّىْ دَنَوْتُ مِنَ اللهِ دُنُوًّا مَّا دَنَوْتُ مِنْهُ قَطُّ قَالَ وَكَيْفَ كَانَ يَا جِبْرِيْلُ قَالَ كَانَ بَيْنِىْ وَبَيْنَه سَبْعُوْنَ اَلْفَ حِجَابٍ مِّنْ نُّوْرٍ فَقَالَ شَرُّ الْبِقَاعِ اَسْوَاقُهَا وَخَيْرُ الْبِقَاعِ مَسَاجِدُه، ‘ইহুদীদের একজন আলেম নবী করীম (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ জায়গা সবচেয়ে উত্তম? তিনি নীরব রইলেন। অতঃপর বললেন, যতক্ষণ জিবরীল আমীন না আসবেন ততক্ষণ আমি নীরব থাকব। এর মধ্যে জিবরীল (আঃ) আসলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেন। জিবরীল (আঃ) উত্তর দিলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাকারীর চেয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি বেশি কিছু জানে না। তবে আমি আমার রবকে জিজ্ঞেস করব। এরপর জিবরীল (আঃ) বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমি আল্লাহর এত নিকটে গিয়েছিলাম যা কোন দিন যাইনি। রাসূল (ছাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে হে জিবরীল? তিনি বললেন, তখন আমার ও তাঁর মধ্যে মাত্র সত্তর হাযার নূরের পর্দা ছিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান হ’ল বাযার, আর সবচেয়ে উত্তম স্থান হ’ল মসজিদ’।[5]
৩. মসজিদ নির্মাণের ফযীলত : জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ، أَوْ أَصْغَرَ، بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য টিড্ডির ঢিবির ন্যায় বা তার চাইতেও ক্ষুদ্র একটি মাসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করেন’।[6] ওছমান (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ، ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরী করবেন’।[7]
অন্য বর্ণনায় আছে- مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا، بَنَى اللهُ لَهُ مِثْلَهُ فِي الْجَنَّةِ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ (ঘর) তৈরী করবেন’।[8] উপরোক্ত হাদীছগুলোতে মসজিদ ভাঙ্গা নয়; বরং মসজিদ গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এর বিনিময়ে জান্নাতে উত্তম গৃহ পুরস্কার হিসাবে প্রদানের কথা ঘোষিত হয়েছে। অতএব মসজিদে হামলাকারীরা সাবধান!
৪. মসজিদ নির্মাণে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশ : মসজিদ নির্মাণের গুরুত্ব এতটাই বেশী যে, রাসূল (ছাঃ) পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। মা আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبِنَاءِ الْمَسَاجِدِ فِي الدُّوْرِ وَأَنْ تُنَظَّفَ وَتُطَيَّبَ، ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং সুবাসিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন’।[9]
৫. ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য মসজিদ আবাদ করা, ধ্বংস করা নয় : মসজিদ আবাদ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ آمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللهَ فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ، ‘আল্লাহর মসজিদ সমূহ কেবল তারাই আবাদ করে, যারা আল্লাহ ও বিচার দিবসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। যারা ছালাত কায়েম করে ও যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। নিশ্চয়ই তারা সুপথ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (তওবা ৯/১৮)। সুতরাং প্রকৃত মুসলমানদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গৃহ মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ করা, মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করা, সর্বোপরি মসজিদ যথাযথভাবে আবাদ করা।
৬. মসজিদে হামলাকারীরা সবচেয়ে বড় যালেম : মহান আল্লাহর ভাষায়,وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ مَنَعَ مَسَاجِدَ اللهِ أَنْ يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا أُولَئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَنْ يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ، ‘তার চাইতে বড় যালেম আর কে আছে, যে আল্লাহর মসজিদ সমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা প্রদান করে এবং সেগুলিকে বিরান করার চেষ্টা চালায়? অথচ তাদের জন্য সেখানে প্রবেশ করা বিধেয় ছিল না ভীত অবস্থায় ব্যতীত। তাদের জন্য দুনিয়ায় রয়েছে লাঞ্ছনা এবং আখেরাতে রয়েছে ভয়ংকর শাস্তি’ (বাক্বারাহ ২/১১৪)।
আলোচ্য আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যারা আল্লাহর ঘর মসজিদে আল্লাহর ইবাদত করতে বাধা প্রদান এবং মসজিদ নিশ্চিহ্ন করার মানসে মসজিদে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে, তারা সবচেয়ে বড় যালিম। আর তাদের জন্য দুনিয়াতে রয়েছে অপমান বা লাঞ্ছনা আর পরকালে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। ভারতে বাবরী মসজিদ ধ্বংসকারীদের ক্ষেত্রে যেমনটি ঘটেছে। এতদ্ব্যতীত কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াতে যালেমদের পরকালীন ভয়াবহ পরিণতি উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘যালেমদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না’ (আলে ইমরান ৩/১৯২; মায়েদা ৫/৭২; হজ্জ ২২/৭১)। ‘আমরা যালেমদের জন্য প্রস্ত্তত করে রেখেছি আগুন তথা জাহান্নাম’ (কাহাফ ১৮/২৯; আল-ফুরক্বান ২৫/৩৭)। ‘যালেমদের জন্য কতই না নিকৃষ্ট বিনিময়’ (কাহাফ ১৮/৫০)। ‘সেদিন যালেমদের কোন বন্ধু থাকবে না বা না কোন সুফারিশকারী থাকবে, যা কবুল করা হবে’ (মুমিন ৪০/১৮)। এভাবে বিভিন্ন আয়াতে যালেমদের কঠিন পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে।
অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সত্য জানার পর তাকে মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন করে তাকেও বড় যালেম বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِالْحَقِّ لَمَّا جَاءَهُ أَلَيْسَ فِي جَهَنَّمَ مَثْوًى لِلْكَافِرِينَ، ‘তার চাইতে বড় যালেম আর কে আছে, যে আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করে অথবা তার কাছে সত্য (অর্থাৎ ইসলাম) এসে যাওয়ার পরেও তাকে মিথ্যা বলে? অতঃপর জাহান্নামেই কি অবিশ্বাসীদের আবাসস্থল নয়?’ (আনকাবূত ২৯/৬৮)।
এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, যারা সত্য উদ্ভাসিত হওয়ার পর তাকে মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন করে তারাও বড় যালেম এবং তাদের পরিণতিও হবে জাহান্নাম। এক্ষণে যারা আহলেহাদীছ মসজিদগুলিতে হামলা ও তা দখল করার অপচেষ্টা চালায় তারা আসলে কোন কাতারে পড়ে তা পাঠকগণই বিবেচনা করবেন। কেননা আহলেহাদীছ মসজিদগুলো আক্রমণের একটিই কারণ যে, তারা কোন মাযহাবের অন্ধ অনুসরণ না করে সরাসরি অভ্রান্ত সত্যের উৎস পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী উক্ত মসজিদগুলো আবাদ করেন। কোনরূপ শিরক ও বিদ‘আতের অনুপ্রবেশের সুযোগ সেখানে থাকে না। তারা আউয়াল ওয়াক্তে আযান দিয়ে ছালাত আদায় করেন এবং রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর দেখানো ও শিখানো পদ্ধতিতে ছালাত আদায় করেন। আর এটিই হয়েছে বিরোধীদের জন্য চক্ষুশূল। যুগ যুগ ধরে চলে আসা নিজেদের ভ্রান্ত আক্বীদা ও আমলের বিপরীতে বিশুদ্ধ কোন আমল দেখে তারা বরদাশত করতে পারে না। আয়াতের ভাষ্য অনুযায়ী তারা সত্যকে মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালায়। অবশেষে দলীল-প্রমাণেও যখন পেরে ওঠে না তখন বেছে নেয় আগ্রাসী পথ। তাদের পরিণাম যে ভয়াবহ তা বলাই বাহুল্য।
৭. মসজিদে হামলা বিধর্মীদের কাজ : আক্বীদা ও আমলগত শত মতবিরোধ থাকলেও কোন বিবেকবান মুসলমান পবিত্র গৃহ মসজিদে হামলা করতে পারে না। মসজিদ ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও জবরদখলের যে করুণ চিত্র আমরা আলোচ্য নিবন্ধের প্রথমাংশে দেখেছি তাতে যেকোন বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষের নিকটেই মনে হবে যে, এগুলো নিশ্চয়ই চরম ইসলাম বিদ্বেষী কোন বিধর্মীর কাজ। ইসলামী লেবাস পরে স্বয়ং আল্লাহর ঘরে হামলা এ যেন নিজের চোখকেই অবিশ্বাস্য মনে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, মাযহাবী অন্ধত্ব আমাদেরকে এতটাই নীচে নামিয়েছে যে, বিপরীত আক্বীদার অনুসারীদের মসজিদে আগুন দিতেও আমাদের হৃদয় সামান্যতম কাঁপে না। এই যদি হয় বাস্তবতা তাহ’লে ভারতের অযোধ্যায় যারা বাবরী মসজিদ ধ্বংস করেছিল সেই কট্টর হিন্দু আর এই টুপি-পাগড়ী ও জুববা পরা নামধারী মুসলমানদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
আরেকটি বিষয় স্মরণ রাখা আবশ্যক যে, বাংলাদেশে এযাবত মসজিদে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের যত ঘটনা ঘটেছে, সবই হানাফী মাযহাবের অনুসারীদের দ্বারা আহলেহাদীছ মসজিদগুলোর উপর ঘটেছে। কিন্তু কোন আহলেহাদীছ কর্তৃক কোন একটি হানাফী মসজিদেও কি এরকম হামলা হয়েছে? কিংবা এর সামান্যতম উপসর্গও দেখা গেছে? এর কোন নযীর কি কেউ দেখাতে পারবে? প্রশ্নই আসে না। কারণ আহলেহাদীছরা উদার ও সহনশীল। তারা উগ্র বা হিংস্র নন। তারা ব্যক্তির রায়-এর উপরে হাদীছকে অগ্রাধিকার দেন। যেকোন মতবিরোধকে তারা সবসময় দলীলের আলোকে মোকাবেলা করতে চেষ্টা করেন। কখনো দলীলের বিপরীতে পেশী শক্তি ব্যবহার করেন না।
উপসংহার : আলোচ্য নিবন্ধে আমরা নিকটঅতীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন পীর ও তরীকার অনুসারী একশ্রেণীর অপরিণামদর্শী মাযহাবপন্থী আলেম ও তাদের অনুসারীদের দ্বারা আহলেহাদীছ মসজিদে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও দখলের কিছু বাস্তব ঘটনা তুলে ধরলাম। যা সম্পূর্ণরূপে নৈতিকতা বিবর্জিত ও চরম ইসলাম বিরোধী। যে কর্মের সাথে ইসলামের কোন সাদৃশ্য নেই, বরং শতভাগ সাদৃশ্য রয়েছে চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেতা-কর্মী ও ইসলামের চির দুশমন ইহুদী-নাছারাদের সাথে। আর ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে মসজিদ নির্মাণ ও আবাদ করা। এটিই ঈমানদারদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসাবে কুরআন মাজীদে বিঘোষিত হয়েছে। অতএব আমাদেরকে মসজিদ ভাঙচুর ও দখলের এই আগ্রাসী কর্মকান্ড থেকে তওবা করে ফিরে আসতে হবে এবং পরস্পর সহনশীল হ’তে হবে। মতবিরোধকে দলীলের আলোকে সমাধান করতে হবে। পেশী শক্তি দিয়ে বিরোধী মতকে দাবিয়ে দেওয়ার এই জাহেলিয়াত থেকে সর্বতোভাবে বেরিয়ে আসতে হবে। তবেই শান্তির ফলগুধারা সমাজে প্রবাহিত হবে ইনশাআল্লাহ। আসুন না আমরা প্রত্যেকে নিজেদের দলীয় ও মাযহাবী চশমা খুলে অন্তত কিছু সময়ের জন্য সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের অনুসারী হই। দেখবেন সকলে একই প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে জান্নাতে প্রবেশের প্রতীক্ষায় আছি। আল্লাহ আমাদেরকে নিরপেক্ষভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুসরণ করার তাওফীক দান করুন-আমীন!
[1]. আত-তাহরীক, জানুয়ারী ২১, পৃ: ২৭।
[2]. আত-তাহরীক, জানুয়ারী ২১, পৃ: ২৭।
[3]. মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/১৯৩৪, ২/১০ পৃ:।
[4]. মুসলিম হা/৬৭১; মিশকাত হা/৬৯৬।
[5]. ইবনু হিববান; মিশকাত হা/৭৪১ সনদ হাসান।
[6]. ইবনু মাজাহ হা/৭৩৮; ইবনু হিববান হা/১৬১৮; ছহীহুত তারগীব হা/২৭১।
[7]. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৯৭।
[8]. তিরমিযী হা/৩১৮; ইবনু মাজাহ হা/৭৩৬, সনদ ছহীহ।
[9]. তিরমিযী হা/৫৯৪; আবূদাঊদ হা/৪৫৫।