পর্ব ১ | পর্ব ২ |  পর্ব ৩ | পর্ব ৪  । পর্ব ৫  

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত ও আহলুল হাদীছের মধ্যে সম্পর্ক :  

নিম্নে আমরা কয়েকজন বিশিষ্ট মনীষীর বক্তব্য উদ্ধৃত করব যারা আহলুল হাদীছ বলতে প্রাতিষ্ঠানিক মুহাদ্দিছ উদ্দেশ্য করেননি। বরং এর দ্বারা আক্বীদা ও মানহাজগত আহলুল হাদীছ বুঝিয়েছেন। সেই সাথে আক্বীদা বিষয়ক গ্রন্থগুলোতে সালাফগণ যে ‘আহলুল হাদীছ’ পরিভাষা ব্যবহার করেছেন, তার উদ্দেশ্য আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত। যেমন -   

(১) একদা ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (মৃ. ২৪১হি.) রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছ- ‘আমার উম্মাত ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে; এদের মধ্যে সকলেই জাহান্নামী, তবে একটি দল ব্যতীত’ উল্লেখ করার পর বললেন, إِنْ لَمْ يَكُونُوْا أَصْحَابَ الْحَدِيْثِ، فَلَا أَدْرِيْ مَنْ هُمْ ‘তারা যদি আছহাবুল হাদীছ না হয়, তবে আমি জানি না তারা কারা’।[1] একই বক্তব্য পেশ করেন ইয়াযীদ ইবনু হারূণ (মৃ. ২০৬হি.)।[2] কাযী ইয়ায (মৃ. ৫৪৪হি.) বলেন, إِنَّمَا أَرَادَ أَحْمَدُ أَهْلَ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَمَنْ يَعْتَقِدُ مَذْهَبَ أَهْلِ الْحَدِيْثِ ‘ইমাম আহমাদের এই বক্তব্য থেকে একমাত্র উদ্দেশ্য হল আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত এবং যারা আহলুল হাদীছ মাযহাবের আক্বীদা গ্রহণ করেছে’।[3]

(২) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক (মৃ. ১৮১হি.)-কেও রাসূল (ছাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণীকৃত চিরবিজয়ী ও নাজাতপ্রাপ্ত দলটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হ’লে তিনি বলেন,هُمْ عِنْدِيْ أَصْحَابُ الْحَدِيثِ ‘আমার দৃষ্টিতে তারা হলেন আছহাবুল হাদীছ’।[4] তিনি আরও বলেন, أَثْبَتُ النَّاسِ عَلَى الصِّرَاطِ أَصْحَابُ الْحَدِيْثِ ‘ছিরাতে মুস্তাকীমের উপর সর্বাপেক্ষা দৃঢ় হলেন আছহাবুল হাদীছগণ’।[5] ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর শিক্ষক আলী ইবনুল মাদীনী (মৃ. ২৩৪হি.) আরও দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, هُمْ أَصْحَابُ الْحَدِيْثِ ‘তারা হলেন আছহাবুল হাদীছ’।[6] তিনি আরও বলেন,هُمْ أَهْلُ الْحَدِيْثِ، وَالَّذِينَ يَتَعَاهَدُوْنَ مَذَاهِبَ الرَّسُوْلِ، وَيَذُبُّوْنَ عَنِ الْعِلْمِ. لَوْلَاهُمْ لَمْ تَجِدْ عِنْدَ الْمُعْتَزِلَةِ وَالرَّافِضَةِ وَالْجَهْمِيَّةِ وَأَهْلِ الْإِرْجَاءِ وَالرَّأْيِ شَيْئًا مِنَ السُّنَنِ ‘তারা হল আহলুল হাদীছ। তারা রাসূল (ছাঃ)-এর আচরিত দ্বীনের ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং তারা (শারঈ) জ্ঞানকে সুরক্ষা দান করে। যদি তারা না থাকত তবে তুমি মু‘তাযিলা, রাফিযাহ (শী‘আ), জাহমিয়া, মুরজিয়া এবং আহলুর রায়দের নিকট সুন্নাতের কিছুই পেতে না’।[7] অনুরূপভাবে ইমাম বুখারী (মৃ. ২৫৬হি.)-ও বলেন,يَعْنِي أَصْحَابَ الْحَدِيْثِ ‘অর্থাৎ তারা হলেন আছহাবুল হাদীছ’।[8] অন্যত্র তিনি বলেন, وَهُمْ أَهْلُ العِلْمِ ‘তারা হলেন জ্ঞানী সম্প্রদায় (যারা কুরআন ও সুন্নাহের জ্ঞানে পারদর্শী)’।[9] আহমাদ ইবনু সিনান (মৃ. ২৫৯ হিঃ) বলেন, هُمْ أَهْلُ الْعِلْمِ وَأَصْحَابُ الْآثَارِ ‘তারা হলেন জ্ঞানী সম্প্রদায় এবং হাদীছের অনুসারী’।[10]

(৩) আহমাদ ইবনু সিনান আল-কাত্তান (মৃ. ২৫৯ হি.) আরও বলেন, لَيْسَ فِي الدُّنْيَا مُبْتَدِعٌ إِلَّا وَهُوَ يُبْغِضُ أَهْلَ الْحَدِيثِ فَإِذَا ابْتَدَعَ الرَّجُلُ نُزِعَ حَلَاوَةُ الْحَدِيثِ مِنْ قَلْبِهِ ‘দুনিয়াতে এমন কোন বিদ‘আতী ব্যক্তি নেই, যে আহলুল হাদীছদেরকে ঘৃণা করে না। যখন কোন ব্যক্তি বিদ‘আত করে তখন তার অন্তর থেকে হাদীছের পরিতৃপ্তি উঠিয়ে নেয়া হয়’।[11]

(৪) আবূ বকর আল-ইসমাঈলী (মৃ. ৩৭১হি.) তাঁর সংকলিত আক্বীদা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ اعتقاد أئمة الحديث -এ বলেন,

أن مذهب أهل الحديث أهل السنة والجماعة الإقرار بالله وملائكته وكتبه ورسله، وقبول ما نطق به كتاب الله تعالى، وصحت به الرواية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، لا معدل عن ما ورد به ولا سبيل إلى رده، إذ كانوا مأمورين باتباع الكتاب والسنة، مضمونا لهم الهدى فيهما، مشهودا لهم بأن نبيهم صلى الله عليه وسلم يهدي إلى صراط مستقيم، محذرين في مخالفته الفتنة والعذاب الأليم-

‘আহলুল হাদীছ বা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মাযহাব হ’ল, আল্লাহকে স্বীকৃতি প্রদান করা এবং তাঁর ফিরিশতামন্ডলী, কিতাবসমূহ ও রাসূলগণকে স্বীকার করে নেয়া। আর আল্লাহর কিতাবে বর্ণিত এবং রাসূল (ছাঃ) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত বিষয়সমূহকে গ্রহণ করা। তাঁর (রাসূল (ছাঃ) মারফতে বর্ণিত কোন বিষয় থেকে পশ্চাতপসারণের যেমন অবকাশ নেই, তেমনি নেই কোন সুযোগ তা প্রত্যাখ্যানেরও। কেননা তারা কিতাব এবং সুন্নাতকে অনুসরণের জন্য আদিষ্ট হয়েছেন। তাতেই রয়েছে তাদের জন্য পথনির্দেশ। আর তা সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, তাদের নবী হ’লেন সেই (অনুসরণীয়) ব্যক্তিত্ব যিনি সরল-সঠিক পথের দিকে আহবান করেন এবং তার বিরোধিতায় রয়েছে ফিতনা ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির হুঁশিয়ারী’।[12]

(৫) আবুল কাসেম আল-লালকাঈ (মৃ. ৪১৮হি.) বলেন,

فَلَمْ نَجِدْ فِي كِتَابِ اللهِ تَعَالَى وَسُنَّةِ رَسُولِهِ وَآثَارِ صَحَابَتِهِ إِلَّا الْحَثَّ عَلَى الِاتِّبَاعِ، وَذَمَّ التَّكَلُّفِ وَالِاخْتِرَاعِ، فَمَنِ اقْتَصَرَ عَلَى هَذِهِ الْآثَارِ كَانَ مِنَ الْمُتَّبِعِينَ، وَكَانَ أَوْلَاهُمْ بِهَذَا الِاسْمِ، وَأَحَقَّهُمْ بِهَذَا الْوَسْمِ، وَأَخَصَّهُمْ بِهَذَا الرَّسْمِ (أَصْحَابُ الْحَدِيثِ)؛ لِاخْتِصَاصِهِمْ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاتِّبَاعِهِمْ لِقَوْلِهِ-

‘আল্লাহর কিতাব, রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত এবং ছাহাবীদের আছারে আমরা কেবলই যা পেয়েছি তা হল (সুন্নাতের) অনুসরণের তাগিদ এবং কুতর্ক ও নবসৃষ্টির নিন্দা। যারা সুন্নাতের উপর সীমাবদ্ধ থাকবে, তারাই হল সুন্নাতের অনুসারী। আর রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে খাছভাবে যুক্ত হওয়া এবং তাঁর কথার আনুগত্যের কারণে তারাই এই নামে (আহলুল হাদীছ) অভিহিত হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বাধিক অগ্রাধিকারযোগ্য এবং তারা এই বিশেষণে চিহ্নিত হওয়ার সবচেয়ে বেশী হক্বদার এবং তারাই এই পরিচয়ে বিশেষিত হওয়ার সর্বাধিক যোগ্য।[13]

(৬) আবূ উছমান আছ-ছাবূনী (মৃ. ৪৪৯হি.) তাঁর عقيدة السلف أصحاب الحديث গ্রন্থে বলেন,إن أصحاب الحديث المتمسكين بالكتاب والسنة حفظ الله أحياءهم ورحم أمواتهم، يشهدون لله تعالى بالوحدانية، وللرسول صلى الله عليه وآله وسلم بالرسالة والنبوة ‘নিশ্চয়ই আছহাবুল হাদীছ, যারা কিতাব ও সুন্নাতকে আঁকড়ে ধারণকারী, তাদের জীবিতদেরকে আল্লাহ হেফাযত করুন এবং মৃতদের উপর রহম করুন! তারা আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেয় এবং রাসূল (ছাঃ)-এর রিসালত ও নবুওতের সাক্ষ্য দেয়’।[14]

(৭) খত্বীব আল-বাগদাদী (মৃ. ৪৬৩হি.) বলেন,

وَكُلُّ فِئَةٍ تَتَحَيَّزُ إِلَى هَوًى تَرْجِعُ إِلَيْهِ، أَوْ تَسْتَحْسِنُ رَأَيًا تَعْكُفُ عَلَيْهِ، سِوَى أَصْحَابِ الْحَدِيثِ، فَإِنَّ الْكِتَابَ عُدَّتُهُمْ، وَالسُّنَّةُ حُجَّتُهُمْ، وَالرَّسُولُ فِئَتُهُمْ، وَإِلَيْهِ نِسْبَتُهُمْ، لَا يُعَرِّجُونَ عَلَى الْأَهْوَاءِ، وَلَا يَلْتَفِتُونَ إِلَى الْآرَاءِ ... وَمِنْهُمْ كُلُّ عَالِمٍ فَقِيهٌ، وَإِمَامٌ رَفِيعٌ نَبِيهٌ، وَزَاهِدٌ فِي قَبِيلَةٍ، وَمَخْصُوصٌ بِفَضِيلَةٍ، وَقَارِئٌ مُتْقِنٌ، وَخَطِيبٌ مُحْسِنٌ. وَهُمُ الْجُمْهُورُ الْعَظِيمُ، وَسَبِيلُهُمُ السَّبِيلُ الْمُسْتَقِيمُ-

‘প্রতিটি দলই প্রবৃত্তিপরায়ণতাদুষ্ট এবং একদেশদর্শীভাবে স্বীয় মতামতের প্রতিই সন্তুষ্টচিত্ত; কেবল আহলুল হাদীছগণ ব্যতীত। কেননা আল্লাহর কিতাব হল তাদের সম্বল। সুন্নাত হল তাদের দলীল, রাসূল (ছাঃ) হলেন তাদের দল এবং তাঁর প্রতিই তাদের সম্বন্ধ। তারা কখনও প্রবৃত্তির উপর নির্ভরশীল হয় না এবং মানুষের মতামতের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না। ... তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রত্যেক ফক্বীহ বিদ্বান, উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন ইমাম, কওমের দুনিয়াবিমুখ আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি, বিশেষ গুণসম্পন্ন ব্যক্তি, দক্ষ ক্বারী, জনহিতৈষী বাগ্মী প্রমুখ। তারা হল সবচেয়ে বড় দল। তাদের অনুসৃত পথই সরল-সঠিক পথ’।[15]      

(৮) আবুল মুযাফফার আস-সাম‘আনী (মৃ. ৪৮৯হি.) তাঁর الانتصار لأصحاب الحديث গ্রন্থে ফিরকা নাজিয়া তথা মুক্তিপ্রাপ্ত দলের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিরোধীগণ (আহলুল কালাম ও আহলুর রায়)-এর এই দাবী উপস্থাপন করেন যে তারা বলে, তোমরা নিজেদেরকে আহলুস সুন্নাহ বলে দাবী করছ, অথচ প্রত্যেক দলই তো সুন্নাতের অনুসরণ করে এবং সুন্নাতবিরোধীদের প্রবৃত্তির অনুসারী মনে করে, তাহলে তোমাদের বিশেষত্ব কী? প্রত্যেক দলই কি আহলুস সুন্নাহ নয়? এর দীর্ঘ জবাব দিয়ে সামআনী বলেন,رَأَيْنَا فرقة أَصْحَاب الحَدِيث لَهَا أطلب وفيهَا أَرغب وَلها أجمع ولصحاحها أتبع فَعلمنَا يَقِينا أَنهم أَهلهَا دون من سواهُم من جَمِيع الْفرق ‘আছহাবুল হাদীছ দলটিকেই আমরা সুন্নাতের অনুসন্ধানে সবচেয়ে তৎপর, সুন্নাতের প্রতি সর্বাধিক আগ্রহী, সুন্নাত সংকলনে সবচেয়ে বেশী অগ্রগামী এবং ছহীহ সুন্নাতের অনুসরণে সবচেয়ে বেশী অগ্রসর পেয়েছি। তখনই আমরা সুনিশ্চিতভাবে জেনে নিয়েছি যে, প্রকৃতঅর্থে তারাই কেবল আহলুস সুন্নাহ অভিহিত হওয়ার যোগ্য, অন্যরা নয়’।

(৯) আবুল কাসেম আল-ইসমাঈলী আল-ইস্পাহানী (মৃ. ৫৩৫হি.) তাঁর প্রসিদ্ধ الحجة في بيان المحجة وشرح عقيدة أهل السنة গ্রন্থে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, ذكر أهل الحَدِيث وَأَنَّهُمْ الْفرْقَة الظَّاهِرَة عَلَى الْحق إِلَى أَن تقوم السَّاعَة ‘আহলুল হাদীছদের বর্ণনা  এবং  তারা  হল  ক্বিয়ামত  পর্যন্ত হক্বের উপর বিজয়ী দল’।[16]

তিনি দীর্ঘ আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন,

فَزعم كل فريق أَنه هُوَ المتمسك بشريعة الْإِسْلَام، وَأَن الْحق الَّذِي قَامَ بِهِ رَسُول الله هُوَ الَّذِي يَعْتَقِدهُ وينتحله، غير أَن الله أَبى أَن يكون الْحق والعقيدة الصحيحية إِلَّا مَعَ أهل الحَدِيث والْآثَار؛ لأَنهم أخذُوا دينهم وعقائدهم خلفا عَن سلف، وقرنا عَن قرن، إِلَى أَن انْتَهوا إِلَى التَّابِعين، وَأَخذه التابعون من أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عليه وسلم، وَأَخذه أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عليه وسلم عَن رَسُول الله صلى الله عليه وسلم، وَلَا طَرِيق إِلَى معرفَة مَا دَعَا إِلَيْهِ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم النَّاس من الدّين الْمُسْتَقيم، والصراط القويم، إِلَّا هَذَا الطَّرِيق الَّذِي سلكه أَصْحَاب الحَدِيث، وَأما سَائِر الْفرق فطلبوا الدّين لَا بطريقه لأَنهم رجعُوا إِلَى معقولهم، وخواطرهم، وآرائهم، فطلبوا الدّين من قبله، فَإِذا سمعُوا شَيْئا من الْكتاب وَالسّنة، عرضوه عَلَى معيار عُقُولهمْ، فَإِن استقام قبلوه، وَإِن لم يستقم فِي ميزَان عُقُولهمْ ردُّوهُ...

‘প্রতিটি দলই ধারণা করে যে, তারা ইসলামী শরী‘আতকে সুদৃঢ়ভাবে ধারণকারী এবং রাসূল (ছাঃ) যেই সত্যসহ আগমন করেছিলেন, তারা সেই সত্যের ধারণ ও বাহক। তবে আল্লাহ তাদের ধারণাকে নাকচ করে কেবল আহলুল হাদীছ এবং আহলুল আছারদেরকে সেই সত্য এবং ছহীহ আক্বীদার ধারক ও বাহক করেছেন। কেননা তারা তাদের দ্বীন এবং আক্বীদা গ্রহণ করেছেন পূর্বপরম্পরায়, এক যুগ থেকে অপর যুগ ধারাবাহিকতায় যতক্ষণ না তারা পৌঁছেছে তাবেঈদের যুগ পর্যন্ত। আর তাবেঈরা দ্বীনকে গ্রহণ করেছেন ছাহাবীদের থেকে, ছাহাবীরা গ্রহণ করেছেন রাসূল (ছাঃ) থেকে। রাসূল (ছাঃ) মানবজাতিকে যে সঠিক দ্বীন এবং সৃদঢ় পথের দিকে আহবান করেছিলেন তা জ্ঞাত হওয়ার দ্বিতীয় কোন রাস্তা নেই, আছহাবুল হাদীছদের অনুসৃত পথ ব্যতীত। এতদ্ভিন্ন আর যত দল রয়েছে তারা দ্বীনকে সঠিক পন্থায় অনুসন্ধান করেনি। কেননা তারা তাদের যুক্তি, প্রবৃত্তিপরায়ণতা এবং নিজ নিজ চিন্তাধারার অনুসরণ করে এবং সেই পথেই দ্বীনের অনুসন্ধান করে। ফলে যখন তারা কিতাব ও সুন্নাত থেকে কিছু শোনে, সততই তারা বিষয়টিকে স্বীয় যুক্তি ও বিবেকের মানদন্ডে বিশ্লেষণ করে। যদি তাকে যুক্তির মানদন্ডে সঠিক মনে করে, তবে তা  গ্রহণ  করে;  আর যুক্তির মানদন্ডে না টিকলে তা প্রত্যাখ্যান করে’।[17]

তিনি আরও বলেন,

أَن أهل الحَدِيث هم عَلَى الْحق، أَنَّك لَو طالعت جَمِيع كتبهمْ المصنفة من أَوَّلهمْ إِلَى آخِرهم، قديمهم وحديثهم مَعَ اخْتِلَاف بلدانهم وزمانهم، وتباعد مَا بَينهم فِي الديار، وَسُكُون كل وَاحِد مِنْهُم قطرا من الأقطار، وَجَدتهمْ فِي بَيَان الِاعْتِقَاد عَلَى وتيرة وَاحِدَة، ونمط وَاحِد يجرونَ فِيهِ عَلَى طَريقَة لَا يحيدون عَنْهَا، وَلَا يميلون فِيهَا، قَوْلهم فِي ذَلِكَ وَاحِد ونقلهم وَاحِد، لَا ترى بَينهم اخْتِلَافا، وَلَا تفَرقا فِي شَيْء مَا وَإِن قل، بل لَو جمعت جَمِيع مَا جرى عَلَى ألسنتهم، ونقلوه عَن سلفهم، وجدته كَأَنَّهُ جَاءَ من قلب وَاحِد، وَجرى عَلَى لِسَان وَاحِد، وَهل عَلَى الْحق دَلِيل أبين من هَذَا؟

‘আহলুল হাদীছগণ হকের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। তারা প্রাচীন হোক কিংবা আধুনিক, তাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকলের সংকলিত কিতাবসমূহ পাঠ কর, হোক না তারা বিভিন্ন শহরের কিংবা বিভিন্ন যুগের, হোক না তাদের বসবাসস্থল পরস্পর থেকে দূরে কিংবা একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে, কিন্তু দেখবে আক্বীদার বর্ণনায় তারা একক অবস্থানে এবং একই নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। এ বিষয়ে তারা এমন পথ অবলম্বন করেছে, যেখান থেকে তারা বিচ্যুত হয় না। অন্যদিকে ঝোঁকপ্রবণও হয় না। এ ব্যাপারে তাদের কথা এক, দলীলও এক। তুমি তাদের মাঝে কোন মতনৈক্য দেখবে না, দেখবেনা সামান্য কিছু পৃথক চিন্তাও। বরং যদি তাদের কথাগুলো এবং সালাফদের থেকে তাদের বর্ণনাসমূহ একত্রিত কর, তাহলে দেখবে সেগুলো যেন একটি অন্তকরণ থেকে উৎসারিত হয়েছে এবং একটি জিহবা থেকেই বিধৃত হয়েছে। তাদের অবস্থানের সঠিক ও সত্যতা নির্ণয়ে এর চেয়ে সুস্পষ্ট আর কোন দলীলের প্রয়োজন আছে কি?’[18]

তিনি আরও বলেন,

وَكَانَ السَّبَب فِي اتِّفَاق أهل الحَدِيث أَنهم أخذُوا الدّين من الْكتاب وَالسّنة، وَطَرِيق النَّقْل، فأورثهم الِاتِّفَاق والائتلاف. وَأهل الْبِدْعَة أخذُوا الدّين من المعقولات والآراء، فأورثهم الِافْتِرَاق وَالِاخْتِلَاف، فَإِن النَّقْل وَالرِّوَايَة من الثِّقَات والمتقنين قَلما يخْتَلف، وَإِن اخْتلف فِي لفظ أَو كلمة، فَذَلِك اخْتِلَاف لَا يضر الدّين، وَلَا يقْدَح فِيهِ. وَأما دَلَائِل الْعقل فقلما تتفق، بل عقل كل وَاحِد يري صَاحبه غير مَا يرى الآخر، وَهَذَا بَين وَالْحَمْد لله- 

‘আহলুল হাদীছদের মধ্যে একতার কারণ হল তারা দ্বীন গ্রহণ করেছে কিতাব ও সুন্নাত থেকে এবং (ছহীহ) বর্ণনার ভিত্তিতে। ফলে তাদের মাঝে একতা এবং সংহতি বিরাজ করে। আর বিদ‘আতীগণ দ্বীন গ্রহণ করেছে স্বীয় বুদ্ধি-বিবেচনা এবং মানবীয় মতামত থেকে। ফলে তাদের মধ্যে বিভিন্নতা এবং মতভেদ সৃষ্টি হয়। কেননা শক্তিশালী রাবীগণ কর্তৃক বর্ণনার মধ্যে পার্থক্য কমই পরিলক্ষিত হয়, যদিও তাতে শব্দ ও বাক্যগত কিছু পার্থক্য থাকে। তবে এই বিভিন্নতায় দ্বীনের কোন ক্ষতি হয় না এবং তাতে কোন ত্রুটি সৃষ্টি হয় না। কিন্তু নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেচনাকে যদি দলীল হিসাবে গ্রহণ করা হয়, তবে তাতে খুব কমই একতা থাকে; বরং তাতে মতভেদ ঘটবেই। কেননা প্রত্যেকেরই আপন আপন বুদ্ধি-বিবেচনা যা বলে তা অপরজন থেকে ভিন্নতর হয়। এটা খুবই স্পষ্ট বিষয় আলহামদুলিল্লাহ’।[19]        

(১০) আব্দুল কাদের জীলানী (মৃ. ৫৬১হি.) বলেন, أهل السنة ولا اسم لهم إلا اسم واحد وهو أصحاب الحديث ‘আহলুস সুন্নাহর একটি ব্যতীত দ্বিতীয় কোন নাম নেই। আর তা হল আছহাবুল হাদীছ’।[20]

(১১) একদা মধ্যযুগের বিখ্যাত হাদীছ বিশারদ ইবনুছ ছালাহ (মৃ. ৬৪৩হি.)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, কেউ কেউ বলেন যে, ইমাম মালেক সুন্নাত ও হাদীছের সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন। কিন্তু হাদীছ ও সুন্নাতের মধ্যে পার্থক্য কি (উভয়টি কি একই নয়)? তখন তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বললেন,

السّنة هَا هُنَا ضد الْبِدْعَة وَقد يكون الْإِنْسَان من أهل الحَدِيث وَهُوَ مُبْتَدع وَمَالك رَضِي الله عَنهُ جمع بَين السنتين فَكَانَ عَالما بِالسنةِ أَي الحَدِيث ومعتقدا للسّنة أَي كَانَ مذْهبه مَذْهَب أهل الْحق من غير بِدعَة-

‘সুন্নাত এখানে বিদ‘আতের বিপরীত অর্থে এসেছে। হতে পারে কোন ব্যক্তি আহলুল হাদীছ তথা হাদীছ বিশেষজ্ঞ, কিন্তু সে বিদ‘আতী। ইমাম মালেক (রহ.) দুই ধরনের সুন্নাতকে একত্রকারী। কেননা তিনি ছিলেন একদিকে সুন্নাত তথা হাদীছ বিশেষজ্ঞ এবং অপরদিকে সুন্নাতপন্থী আক্বীদায় বিশ্বাসী। তথা তাঁর মাযহাব ছিল বিদ‘আতীদের বিপরীতে আহলুল হক তথা হকপন্থীদের মাযহাব’।[21]

ইবনুছ ছালাহের এই বর্ণনায় দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হয় যে, মুহাদ্দিছদের পাশাপাশি হকপন্থী জামা‘আতকেও আহলুল হাদীছ বলা হয় এবং আহলুল হাদীছ ও আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত সমার্থবোধক। অনুরূপ বর্ণনা কাযী আবূ ইউসুফ (মৃ. ১৮২হি.) সম্পর্কেও এসেছে। যেমন ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন (মৃ. ২৩৩হি.)  বলেন, أبو يوسف صاحب حديث وصاحب سنة ‘আবু ইউসুফ একাধারে মুহাদ্দিছ এবং সুন্নাতপন্থী’।[22]

(১২) ইবনু তায়মিয়াহ (মৃ. ৭২১হি.) বলেন, أهل الحديث وهم السلف من القرون الثلاثة ومن سلك سبيلهم من الخلف ‘আহলুল হাদীছ হলেন প্রথম তিন যুগের সালাফগণ এবং পরবর্তী যুগে তাদের পদাংক অনুসারীগণ’।[23]

তিনি আরও বলেন,

وَإِذَا كَانَتْ سَعَادَةُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ هِيَ بِاتِّبَاعِ الْمُرْسَلِينَ. فَمِنْ الْمَعْلُومِ أَنَّ أَحَقَّ النَّاسِ بِذَلِكَ: هُمْ أَعْلَمُهُمْ بِآثَارِ الْمُرْسَلِينَ وَأَتْبَعُهُمْ لِذَلِكَ فَالْعَالِمُونَ بِأَقْوَالِهِمْ وَأَفْعَالِهِمْ الْمُتَّبِعُونَ لَهَا هُمْ أَهْلُ السَّعَادَةِ فِي كُلِّ زَمَانٍ وَمَكَانٍ وَهُمْ الطَّائِفَةُ النَّاجِيَةُ مِنْ أَهْلِ كُلِّ مِلَّةٍ وَهُمْ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْحَدِيثِ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ-

‘যদি আম্বিয়ায়ে কেরামের অনুসরণেই দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্য নিহিত থাকে, তবে জানা উচিৎ যে, এ অনুসরণের সর্বাধিক হকদার হলেন তারা যারা নবীদের বাণী ও কর্ম সম্পর্কে সর্বাধিক অবগত এবং সেসবের অনুসরণে সর্বাধিক তৎপর। সুতরাং নবীদের কথা ও কর্ম সর্ম্পকে যারা অবগত এবং যারা সেসবের অনুসারী, তারা হলেন প্রত্যেক যুগের ও কালের সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। প্রত্যেক জাতির মধ্যে তারাই হল মুক্তিপ্রাপ্ত দল। আর মুসলিম উম্মতের মধ্যে সেই মুক্তিপ্রাপ্ত দল হল আহলুস সুন্নাহ ওয়াল হাদীছ’।[24]

(১৩) মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (মৃ. ১৯৯৯ খ্রি.) বিজয়ী দল ‘আহলুল হাদীছ’ সম্পর্কে স্বীয় মত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন,

فأهل الحديث- حشرنا الله معهم- لا يتعصبون لقول شخص معين مهما علا وسما حاشا محمد صلى الله عليه وسلم، بخلاف غيرهم ممن لا ينتمي إلى الحديث والعمل به، فإنهم يتعصبون لأقوال أئمتهم- وقد نهوهم عن ذلك- كما يتعصب أهل الحديث لأقوال نبيهم! ! فلا عجب بعد هذا البيان أن يكون أهل الحديث هم الطائفة الظاهرة والفرقة الناجية. بل والأمة الوسط، الشهداء على الخلق

‘আহলুল হাদীছগণ (পারলৌকিক জীবনে আল্লাহ তাদের সাথে আমাদের পুনরুত্থান করুন) মুহাম্মাদ (ছাঃ) ব্যতীত অন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মতকে আঁকড়ে ধরে থাকে না, তিনি যত মর্যাদাসম্পন্ন ও খ্যাতিমান হোক না কেন। তারা ব্যতীত অন্যরা তাদের ইমামদের মতামতকে শিরোধার্য মনে করে (যদিও ইমামগণ তাদেরকে এ ব্যাপারে নিষেধ করেছিলেন), যেমনটি আহলুল হাদীছগণ তাদের নবী (ছাঃ)-এর মতামতকে শিরোধার্য মনে করে। অতএব একথা বলার পর আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে, আহলুল হাদীছগণই হল বিজয়ী দল এবং মুক্তিপ্রাপ্ত সম্প্রদায়। বরং তারা হল মধ্যপন্থী উম্মাত, যারা সমগ্র সৃষ্টির উপর হবে সাক্ষী’।[25]   

(১৪) সমকালীন খ্যাতনামা সঊদী আলেম ও লেখক মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আল-খামীস তাঁর اعتقاد أهل السنة شرح أصحاب الحديث গ্রন্থে লেখেন,

سُمُّوا أهل الحديث لاتباعهم الحق بدليله من الكتاب والسنة ولتتبعهم أحاديث رسول الله صلى الله عليه وسلم للعمل بها وتقديمها على كل قول؛ فهم الطائفة المنصورة والفرقة الناجية الثابتة على ما كان عليه الرسول صلى الله عليه وسلم وأصحابه كيف لا وهم يتقربون إلى الله تعالى باتباع سنة رسول الله صلى الله عليه وسلم وطلبهم لآثاره.

‘তারা আহলেহাদীছ নামে বিভূষিত হয়েছে এজন্য যে, তারা হকের অনুসরণ করে কিতাব ও সুন্নাতের দলীলের ভিত্তিতে এবং তারা আমলের উদ্দেশ্যে রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছের অনুসন্ধানে ব্যাপৃত থাকে ও মানুষের কোন মতামতের উপর হাদীছের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। তারাই হল বিজয়ী দল এবং মুক্তিপ্রাপ্ত সম্প্রদায় যারা রাসূল (ছাঃ) এবং ছাহাবীদের অনুসৃত পথের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। আর কেনই বা তা হবে না, তারা যে রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্য ও তাঁর পদাংক অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্যকামী’।[26]

(১৫) যে সকল বিদ্বান ‘আহলুল হাদীছ’ বলতে প্রাতিষ্ঠানিক মুহাদ্দিছ বুঝিয়েছেন তারাও আক্বীদা ও ফিকহের ক্ষেত্রে তাদের গৃহীত মানহাজকে প্রকৃত হকপন্থীদের মানহাজ বলে অকুণ্ঠ স্বীকৃতি দিয়েছেন। যেমন প্রখ্যাত হানাফী বিদ্বান আব্দুল হাই লাক্ষেণŠভী (মৃ. ১৮৮৬খ্রি.) বলেন,

ومن نظر بنظر الإنصاف، وغاص في بحار الفقه والأصول متجنبا الاعتساف، يعلم علما يقينيا أن أكثر المسائل الفرعية والأصلية التي اختلف العلماء فيها، فمذهب المحدثين فيها أقوى من مذاهب غيرهم، وإني كلما أسير في شعب الاختلاف أجد قول المحدثين فيه قريبا من الإنصاف، فلله درهم، وعليه شكرهم (كذا) كيف لا وهم ورثة النبي صلى الله عليه وسلم حقا، ونواب شرعه صدقا، حشرنا الله في زمرتهم، وأماتنا على حبهم وسيرتهم-

‘যদি কোন ব্যক্তি ন্যায়ানুগ দৃষ্টিতে দেখে এবং ফিক্বহ ও উছূলে ফিক্বহের সমুদ্র নিরপেক্ষতার সাথে অবগাহন করে, সে নিশ্চিতভাবে অবগতি লাভ করবে যে, অধিকাংশ মৌলিক ও শাখাগত যে সকল মাসআলায় ওলামায়ে কেরাম মতভেদ করেছেন, তাতে অন্যান্যদের তুলনায় মুহাদ্দিছদের মাযহাবই অধিকতর শক্তিশালী। আমি মতভেদের শাখা-প্রশাখাগুলোতে পরিভ্রমণ করতে গিয়ে প্রতিবার দেখেছি যে, মুহাদ্দিছদের বক্তব্যই ন্যায়বিচারের নিকটবর্তী। সর্বাঙ্গীন কল্যাণ এবং অনুগ্রহ তাদের জন্য এক আল্লাহর পক্ষ থেকেই। আর কেনই বা হবে না, তারা যে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রকৃত উত্তরাধিকারী এবং তাঁর (আনীত) শরী‘আতের যথার্থ প্রতিনিধি। আল্লাহ আমাদেরকে পুনরুত্থান দিবসে তাদের দলভুক্ত করে দিন এবং তাদের ভালবাসায় ও তাদের যাপিত জীবনধারায় আমাদের মৃত্যু দিন’।[27]                                       (চলবে)


[1]. খত্বীব বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদীছ, পৃ. ২৪।

[2]. ঐ, পৃ. ২৬।

[3]. ইমাম নববী, শারহু মুসলিম, ১৩/৬৭ পৃ.।

[4]. শারফু আছহাবিল হাদীছ, পৃ. ২৬।

[5]. ঐ, পৃ. ৫৮।

[6]. ঐ, পৃ. ২৭।

[7]. শারফু আছহাবিল হাদীছ, পৃ. ১০।

[8]. ঐ, পৃ. ২৭।

[9]. ছহীহুল বুখারী, হা/৭৩১১।

[10]. শারফু আছহাবিল হাদীছ, পৃ. ২৭।

[11]. ঐ, পৃ. ৭৩।

[12]. আবূবকর আহমাদ আল-ইসমাঈলী, ই‘তিকাদু আইম্মাতিল হাদীছ, পৃ. ১।

[13]. আবুল কাসেম হিবাতুল্লাহ আল-লালকাঈ, শারহু উছূলিল ই‘তিকাদ, ১/২৩ পৃ.।

[14]. আবূ উছমান আছ-ছাবূনী, আক্বীদাতুস সালাফ আছহাবুল হাদীছ, পৃ. ৩৭।

[15]. শারফু আছহাবিল হাদীছ, পৃ. ৯।

[16]. আবুল কাসেম আল-ইসমাঈলী, আল-হুজ্জাতু ফী বায়ানিল মাহাজ্জাহ, ১/২৬২ পৃ.।

[17]. ঐ, ২/২৩৭-২৩৮ পৃ.।

[18]. ঐ, ২/২৩৮-২৩৯ পৃ.।

[19]. ঐ, ২/২৪১ পৃ.।

[20]. আব্দুল কাদের আল-জীলানী, আল-গুনিয়াহ লি তালিবি ত্বরীকীল হাক্ব, ১/১৬৬ পৃ.।

[21]. ইবনুছ ছালাহ, ফাতাওয়া ইবনুছ ছালাহ, পৃ. ২১৩।

[22]. শামসুদ্দীন আয-যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফ্ফায, ১/২১৪ পৃ.।

[23]. ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া, ৬/৩৫৫ পৃ.।

[24]. ঐ, ৪/২৬ পৃ.।

[25]. মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদীছ আছ-ছাহীহাহ, ১/৫৪৪ পৃ.।

[26]. মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আল-খামীস, ইতিকাদু আহলিস সুন্নাত শারহু আছহাবিল হাদীছ, পৃ. ৮।

[27]. মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদীছ আছ-ছাহীহাহ, ১/৫৪৭-৫৪৮ পৃ.।





ধর্মদ্রোহিতা - মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঈমান (৩য় কিস্তি) - হাফেয আব্দুল মতীন - পিএইচ.ডি গবেষক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়া
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত (৭ম কিস্তি) - মুযাফফর বিন মুহসিন
যে সকল কর্ম লা‘নত ডেকে আনে - আহমাদুল্লাহ - সৈয়দপুর, নীলফামারী
ছিয়ামের ফাযায়েল ও মাসায়েল
হাদীছের অনুবাদ ও ভাষ্য প্রণয়নে ভারতীয় উপমহাদেশের আহলেহাদীছ আলেমগণের অগ্রণী ভূমিকা (২য় কিস্তি) - ড. নূরুল ইসলাম
স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার বৈষম্য - ড. মুহাম্মাদ কামরুয্যামান
মানবাধিকার ও ইসলাম (৮ম কিস্তি) - শামসুল আলম
তাওফীক্ব লাভের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
হজ্জ : ফযীলত ও উপকারিতা - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
মসজিদের আদব - হাফীযুর রহমান, নারায়ণপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর
ছাদাক্বাতুল ফিতরের বিধান - লিলবর আল-বারাদী - যশপুর, তানোর, রাজশাহী
আরও
আরও
.