উত্তর : যেকোন হিলা বা কৌশল অবলম্বন করে মাছ শিকার করা যায়। এটা প্রতারণা হিসাবে গণ্য হবে না (রুহায়বানী, মাতালিবু উলিন নুহা ৬/৩৫৪)। কারণ আল্লাহ তা‘আলা (মাছ-মাংস সহ) সব কিছুকে মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৯)। আর ইমাম ব
উত্তর : বিদ‘আতযুক্ত আমল যে প্রকারেরই হোক, তওবা না করা পর্যন্ত তা আল্লাহর কাছে কবুল হবে না (আবূদাঊদ হা/৪৬০৭, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য যে, বিদ‘আতকারীর কোন প্রকার আমল কবুল হয় না, তা নয়; বরং তার যে আমলটি বিদ‘আতযুক্ত, সেটি কবুল হবে না (ইবনু তায়ম
উত্তর : বায়তুল মাল রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমাকৃত সম্পদ, যা বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত হয়। যেমন যাকাত, ওশর, খারাজ, জিযিয়া, খাজনা, গণীমত ইত্যাদি। কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার সম্পদ থেকে প্রথমেই মাইয়েতের ঋণ পরিশোধ করবে এবং আরো সম্পদ থাকলে অছিয়ত পূর্ণ করবে।
ভারতের গুজরাট রাজ্যের প্রধান শহর আহমদাবাদের অনতিদূরে গোদরা রেলস্টেশন ও তৎসন্নিহিত এলাকা ছাড়িয়ে অন্যূন ৩৭টি শহরে ও গ্রামে চলছে সংখ্যালঘু মুসলমানদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করার বহ্ন্যুৎসব। নিকটাত্মীয়ের শেষ বিদায়কালে অশ্রুসিক্ত নয়নে দরদভরা অন্তরে প্রার্থনা
উত্তর : ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)সহ সালাফী বিদ্বানগণের বক্তব্য হ’ল, বিশুদ্ধ ক্বিয়াস বা যুক্তি কখনো অহি তথা কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী হবে না। অনুরূপভাবে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ কখনো বিশুদ্ধ ক্বিয়াস বিরোধী হবে না। ক্বিয়াস বা যুক্তি যদি কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী হয়
উত্তর : মা তার সন্তানকে দুই বছরের পরেও দুধ পান করাতে পারে। আল্লাহ বলেন, জন্মদাত্রী মাতাগণ তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, যদি তারা দুধ পানের মেয়াদ পূর্ণ করতে চায় (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। অর্থাৎ পূর্ণ দুই বছর শিশুর শরীর গঠনে মায়ের দুধ
উত্তর : উক্ত মেশিনে কাপড় ওয়াশ করাতে দোষ নেই। কারণ এতে বিভিন্ন প্রকারের ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়, যাতে কুকুরে লালা বা অপরিষ্কার জিনিস ধুয়ে যায়। তাছাড়া কুকুর কোন খাবারের পাত্রে মুখ দিলে বিশেষভাবে ধোয়ার কথা বলা হয়েছে, অন্যক্ষেত্রে নয়। যেমন কোন প্র
উত্তর : যাবে। কেননা শ্রোতার অবস্থা বুঝে বক্তা খুৎবা দিবেন। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বক্তব্যের সময় কখনো এত বেশী রেগে যেতেন যে, তার মুখমন্ডল লাল হয়ে যেত (মুসলিম হা/৮৬৭; মিশকাত হা/১৪০৭)। আবার কখনো এত কোমল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় বক্তব্য দিতেন যে ছাহা
উত্তর : যেকোন বাঁশি বাজানো এবং শোনা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দু’টি বস্ত্ত দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত। আনন্দের সময় বাঁশি বাজানো এবং বিপদের সময় বিলাপ করা (বাযযার, ছহীহুত তারগীব হা/৩৫২৭; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৪০১৭)। তিনি আরো বলেন, আমি দু’টি নির্ব
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা মানুষের মাঝে প্রচলিত আছে। এগুলোর সঠিক কোন ভিত্তি পাওয়া যায় না। তবে হিমছের গভর্ণর ওক্ববা বিন ফারক্বাদ তাঁর নিকটে সিলাল (سلال) নামক উন্নতমানের মিষ্টান্ন হাদিয়া পেশ করলে তিনি তাকে বলেন, হে ওক্ববা! সকল মুসলমান কি এরূপ
উত্তর : যে কারণেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাক তা পূরণ করতে হবে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা না থাকলে প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করে ক্ষমা চেয়ে নিবে। কারণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করা ফরয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা অঙ্গীকার পূরণ কর। নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসি
উত্তর : এরূপ মায়ের রান্না করা খাবার খাওয়া যাবে। কারণ রান্নার সাথে কুফরীর কোন সম্পর্ক নেই। একজন কাফির মহিলাও রান্না করলে তার রান্না করা হালাল খাবার খাওয়া জায়েয (মুছান্নাফে আব্দুর রাযযাক হা/১০১৫৫)। তবে মাকে এরূপ কথা না বলার জন্য নছীহত করতে হব
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল এবং ভিত্তিহীন (আবূদাউদ হা/১৬৬৫; মিশকাত হা/২৯৮৮; যঈফাহ হা/১৩৭৮)। তবে আল্লাহ তা‘আলা ভিক্ষুকদের তাড়িয়ে দিতে বা ধমক দিতে নিষেধ করেছেন (সূরা যোহা ৯৩/১০; মা‘উন ২)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, কাজলা, রাজ
উত্তর : ভ্যাট প্রদানের কারণে পণ্যের ক্রয় মুল্য বেড়ে গেলে বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে এবং ব্যবসায় লাভবান হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অথবা সরকারকে ভ্যাট কমানোর জন্য আহবান করতে হবে। কিন্তু মিথ্যা বলা বা সরকারকে ফাঁকি দেওয়া জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু শাহীন, আত-তারগীব হা/২৮৩)। তবে আলেমগণের সম্মানে রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক বহু ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সে ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি আমাদের বড়দেরকে সম্মান দেয়
উত্তর : যে খাদ্যে শূকরের চর্বি মিশ্রিত রয়েছে, তা জেনে-শুনে হালাল প্রাণীকে খাওয়ানো যাবে না। কারণ তা সবার জন্য খাওয়া হারাম (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/১১৮; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৩/৪৪০)। তবে অল্প সময়ের জন্য বা অল্প পরিমাণ খেয়ে থাকলে উক্ত প্রাণীর গোশ
উত্তর : ইবাদত করার মধ্যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য উদ্দেশ্য থাকে। অন্যদিকে বরকত অর্থ অতিরিক্ত, প্রাচুর্য, অন্তরে প্রশান্তি লাভ ইত্যাদি। বস্ত্তত হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা ইবাদত। এর দ্বারা বরকত লাভ উদ্দেশ্য নয়। ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি হাজ
উত্তর : শারঈ কোন বিধানের ক্ষেত্রে কোন কাফির বিচারকের নিকট বিচার প্রার্থনা করা যাবে না। যেমন বিবাহ, তালাক, ইদ্দত ইত্যাদি। তবে দুনিয়াবী বিষয়ে তাদের নিকট বিচার চাওয়া যাবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়া ৩৩/২৯৫)।প্রশ্নকারী : ইকবাল করীম, সিডনী, অ
উত্তর: যিনি আমানত রেখেছেন তার সরাসরি অনুমতি সাপেক্ষে তার আমানতের টাকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা যাবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৩/১৮৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আরোহণের পশু বন্ধক রাখলে, তার উপর আরোহণ করা যাবে। তার এর ব্যয়ভার তাকে বহন করতে হবে। দ
উত্তর : বাধ্যগত অবস্থায় হিজড়া বা চাঁদাবাজদের দেওয়া যেতে পারে। তবে এ জাতীয় লোকদের অর্থ প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যাংকের সূদ গ্রহণ করা যাবে না (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী।
উত্তর: বেপর্দা নারী চরিত্রসহ শরী‘আত বিরোধী দৃশ্য থাকলে কিংবা তাক্বওয়া বিরোধী ও সঠিক ইতিহাস বিরোধী এবং সর্বোপরি তাওহীদের স্বচ্ছ আক্বীদা বিনষ্টকারী বিষয় থাকলে এসব অনুষ্ঠান দেখা হ’তে বিরত থাকা আবশ্যক। প্রকাশ থাকে যে, নাট্যচিত্রগুলোর বেশীরভাগ অংশই ম
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (মিশকাত হা/১৫৯০; যঈফুল জামে‘ হা/৩৮৯৯)। তবে বিদ্বানগণ বলেন, রোগী দেখতে গিয়ে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা যাবে না। কারণ এতে রোগী বা তার পরিবারের জন্য বিব্রতকর বা কষ্টদায়ক অবস্থা তৈরি হ’তে পারে। তবে রোগী কারো দীর
উত্তর : দায়িত্ব একটি আমানত। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তার দায়িত্বে অবহেলা করে বা ফাঁকি দেয় তাহ’লে ক্বিয়ামতের দিন সে কৈফিয়তের সম্মুখীন হবে (বুখারী হা/২৫৫৪; মুসলিম হা/২৮২৯)। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানত সমূহকে
উত্তর : সূর্য ও চাঁদকে মামা বলা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় সংস্কৃতি। হিন্দু ধর্মানুসারে সমুদ্রমন্থনের ফলে সমুদ্রগর্ভ থেকে লক্ষ্মী আর চাঁদের উৎপত্তি। তাই তাদেরকে ভাই বোন হিসাবে ধরা হয়। আর হিন্দু শাস্ত্রে যেহেতু লক্ষ্মীদেবীকে মাতৃসম করে পূজা করা হয়, তা
১. শায়েখ ওছায়মীন (রহঃ) বলেন,ينبغي لمن يُستفتى أن يستغفر الله قبل الإجابة، حتى يمحو الاستغفار ما كان على القلب من الرين، ‘যার কাছে ফৎওয়া চাওয়া হয় তার উচিত উত্তর দেওয়ার পূর্বে আল্লাহর নিকটে ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা, যাতে ইস্তিগফার তার অন্তরের ম
উত্তর : মাইয়েতের পরিচয়ের স্বার্থে অনলাইনে মাইয়েতের ছবি ব্যবহার করা দোষণীয় নয় (আলবানী, আহকামুল জানায়েয ৩৩. পৃ.; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ২/১০৬)। তবে মাইয়েতের মৃতদেহের ছবি প্রচার করা তার জন্য অবমাননার শামিল। অতএব তা প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। উল্লে
পৃথিবীতে এযাবত মৌলিকভাবে দু’টি শাসনব্যবস্থা দেখা গিয়েছে। রাজতন্ত্র ও খেলাফত। দু’টির মধ্যে দু’টি আদর্শের প্রতিফলন রয়েছে। রাজতন্ত্রে রাজার ইচ্ছাই চূড়ান্ত। তাঁর হাতেই থাকে সার্বভৌমত্বের চাবিকাঠি। যেমন বিগত যুগে নমরূদ, ফেরাঊন ও সর্বযুগে তাদের অনুসারী শাস
উত্তর: ঋণদাতা স্বেচ্ছায় ও খুশী মনে ছেড়ে দিলে তা ভোগ করায় দোষ নেই। আর ভুলে গিয়ে ছেড়ে দিলে তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তাতেও স্মরণ না হ’লে তার নামে দান করে দিবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৫/৩৮৫, ১৯/১৯১)।প্রশ্নকারী :ন
হিব্রু ভাষায় ইস্রাঈল অর্থ আল্লাহর দাস। এটি হ’ল ইয়াকূব (আঃ)-এর অপর নাম। বিশ্বের দু’জন নবীর নাম দু’টি করে ছিল। ইয়াকূব বিন ইসহাক বিন ইব্রাহীম (আঃ)। ঈসা (আঃ) ছিলেন বনু ইস্রাঈলের শেষনবী। আরেকজন হলেন শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)। যার অপর নাম আহমাদ। যিনি ছিলেন ইব
উত্তর : সূদ সর্বাবস্থায় হারাম। তা গ্রহণ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। এক্ষণে পিতার সম্পদ যদি হারাম উপার্জন থেকে হয় তাহ’লে সন্তানের জন্য সেখান থেকে খরচ গ্রহণ করা অপরাধ নয়। এতে সূদ গ্রহণ করার জন্য পিতা গুনাহগার হবেন, কিন্তু সন্তান নয়। তবে সন্তানের দায়িত্
উত্তর : ইন্টারনেটে প্রচলিত ইমোজিগুলো খৃষ্টানদের ধর্মীয় কোন চিহ্ন বলে প্রমাণিত নয়। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলো ব্যবহারে দোষ নেই। আবার এটি সরাসরি শারীরিক কাঠামোযুক্ত জীবন্ত কোন ছবি নয় যা হারামের পর্যায়ে পড়ে। বরং এটি মানবমনের অবস্থার ইঙ্গিতবাহক। সুতরাং
উত্তর: গযব নাযিলের স্থান অভিশপ্ত হওয়ায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) গযব নাযিলের স্থানে অবস্থান করতে এবং সেখানে পানি পান করতে নিষেধ করে বলেন, ‘তোমরা গযবপ্রাপ্ত ছামূদ কওমের ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করো না ক্রন্দনরত অবস্থায় ব্যতীত। যাতে তাদের যে বিপদ হয়েছে, তোমাদের ত
উত্তর : সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যেকোন বৈধ সুবিধা গ্রহণ করাতে দোষ নেই (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৭/১২৬-৩০)। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেন, আমি ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আমাকে কিছু দান করতেন, তখন আমি বলতাম, য
উত্তর: প্রথমে বিভিন্নভাবে টাকার মালিককে খোঁজার চেষ্টা করবে। খুঁজে না পেলে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে উক্ত টাকা ছাদাক্বা করে দিবে (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩১৩৩-৩৫; মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/১৪২)।তবে মালিকের নামে দান করার পরে যদি তার সন্ধান পাওয়া যায় এবং সে
উত্তর : উক্ত সম্পদ মালিককে ফেরত দেয়ার সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। মালিককে না পাওয়া গেলে তার ওয়ারিছদের ফেরত দিতে হবে। তাদেরও না পাওয়া গেলে মালিকের নামে ছাদাক্বা করে দিবে (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩১৩৩-৩৫; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/১৪২)।প্রশ
ভূমিকা :পৃথিবীর মানুষের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন। তাঁরা এসে মানুষকে হেদায়াতের পথে পরিচালনার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সবাই হেদায়াত লাভ করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি। নানা কারণে হেদায়াতের আলোকিত রাজপথে চলা তাদের প
উত্তর : দ্বীন বলতে তাওহীদ এবং শরী‘আত বলতে বিভিন্ন নবীর জন্য নাযিলকৃত বিধিবিধান সমূহকে বুঝায়। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমরা পৃথক পৃথক বিধান ও পন্থা নির্ধারণ করেছি। আল্লাহ চাইলে তোমাদের সবাইকে তিনি এক দলভুক্ত করে দিতেন। কিন্তু তিনি
১. সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেন,اَلْعَالَم طَبِيبُ الدِّينٍ، وَالدِّرْهَمُ دَاءُ الدِّينِ، فَإِذَا جَذَبَ الطَّبِيبُ الدَّاءُ إِلَى نَفْسِهِ فَمَتَى يُدَاوِي غَيْرَهُ؟ ‘আলেম হ’লেন দ্বীনের চিকিৎসক এবং টাকা-পয়সা হ’ল দ্বীনের জন্য রোগ-ব্যাধি স্বরূপ। কিন্তু চ
আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করে কিছু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন (আহযাব ৩৩/৭২)। এ দায়িত্বের কারণেই মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। মানুষের উপর অর্পিত দায়িত্বকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ১. হাক্কুল্লাহ তথা আল্লাহর হক। ২. হাক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হক। পৃথিবীতে প্র
বর্তমানে মুসলিম সমাজে একটি মতবিরোধপূর্ণ বিষয হ’ল- আমাদের পরিচয় কি শুধুই মুসলিম? মুসলমানদের অন্য কোন বৈশিষ্ট্যগত নাম থাকতে পারে কি? নাকি সর্বক্ষেত্রেই আমরা ‘মুসলিম’ পরিচয় দিতে বাধ্য? আল্লাহ রাববুল আলামীন ও রাসলুল্লাহ (ছাঃ) কি মুসলমানদেরকে সর্বক্ষেত্রে
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতি চালু করবে, তার পাপের বোঝা তার উপরই বর্তাবে এবং সে অনুযায়ী যে আমল করবে তার পাপও তার উপরে বর্তাবে। অথচ তাদের (অনুসরণকারীদের) পাপের কোন কমতি করা হবে না। পক্ষান্তরে প
উত্তর : প্রতিবেশীর হক উভয়ের জন্য সমান। তবে মুসলমানদের তুলনায় কম। প্রতিবেশী তিন প্রকার: (১) মুসলিম আত্মীয় প্রতিবেশী যার তিনটি হক রয়েছে। মুসলমান হিসাবে। আত্মীয় হিসাবে ও প্রতিবেশী হিসাবে (২) মুসলিম প্রতিবেশীর জন্য দু’টি হক রয়েছে। মুসলিম হিসাবে ও প্
উত্তর : বিভিন্ন বর্ণনা থেকে পাওয়া যায় যে, রাসূল (ছাঃ) বড় বড় পাত্রে দু’হাত ডুবিয়ে পানি পান করেছেন। যেমন, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পেয়ালাটি তার দুই হাতে নিয়ে মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, আবু হুরায়রা! এখন তুমি
উত্তর : কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা এমন কোন বক্তব্য প্রমাণিত নয়। অতএব এরূপ আকবীদা পোষণ করা যাবে না।প্রশ্নকারী : ইশরাত জাহান, ঢাকা।
উত্তর : কবরস্থানে চাষাবাদ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় এরূপ রীতি ছিল না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৪০৭)। প্রশ্নকারী : যয়নাল আবেদীন, উত্তর দিনাজপুর, ভারত।
উত্তর : এতে কোন দোষ নেই। তাছাড়া কোম্পানীর জ্ঞাতসারে খাবার ও ভাড়ার টাকা ব্যবহার না করলেও দোষ নেই। তবে এরূপ বরাদ্দ না থাকলে প্রতিষ্ঠানের অজ্ঞাতসারে এটি নেওয়া যাবে না।প্রশ্নকারী : মি‘রাজুল ইসলাম, মিরপুর, ঢাকা।
উত্তর : সাধ্যমত দৃষ্টি অবনত রাখবে এবং তাকানো থেকে বিরত থাকবে। কারণ দৃষ্টিপাত মনের মধ্যে কামনার ফিৎনা সৃষ্টি করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চোখের যেনা হ’ল (বেগানা) নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৮৬)।শায়েখ ওছায়মীন (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস কর
উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন সত্যতা নেই। বরং পৃথিবীর যে প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পান করবে সেখানেই এর বরকত লাভ করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৭/২৯৯)। উল্লেখ্য যে, যমযমের পানি পানের নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যমযমের পানি যে উ
দ্বীন সম্পর্কে বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ হ’লেন আলেম। যারা দ্বীনের সংরক্ষণ, দ্বীনী ইলম বিতরণ ও প্রচার-প্রসারের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে থাকেন। ফলে ইহকালে যেমন তারা নন্দিত ও বরিত হন, তেমনি পরকালে জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যমে সম্মানিত ও সফলতা লাভে ধন্য হবেন। কুরআন-
উত্তর: যারা ইসলামের বিরোধিতা করে না বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না, তাদের সাথে বন্ধুত্বে কোন দোষ নেই (মুমতাহিনাহ ৬০/০৮)। তবে তাদের প্রতি বিশেষ মহববত ও ভালোবাসা রেখে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না এবং কোনভাবেই তাদের ধর্মীয় কাজে সহযোগিতা
উত্তর: যমযমের পানি পানের সময় ১. বিসমিল্লাহ বলবে, ২. ডান হাতে পান করবে, ৩. তিন নিঃশ্বাসে পান করবে. ৪. দো‘আ পাঠ করবে।উল্লেখ্য যে, যমযম পানি কেবলামুখী হয়ে পান করার ছহীহ দলীল নেই। বরং যমযমের পানিসহ যেকোন পানাহার বসে করাই সুন্নাত (মুসলিম হা/২০২৪
উত্তর : মর্যাদার মাপকাঠি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রূপ হ’তে পারে। যেমন (১) পদমর্যাদা : আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের ও তোমাদের নেতৃবৃন্দের (নিসা ৪/৫৯)। (২) ইলম : আল্লাহ বলেন, তুমি বল, যারা জানে এ
উত্তর : কোন পুকুর বা ঘেরের মাছ তা শনাক্ত করা সম্ভব হ’লে মালিককে ফেরৎ দিবে। নইলে ঐ মাছ ধরা ও খাওয়া জায়েয। কারণ তখন তা আর কারো মালিকানায় থাকে না (ইমাম মালেক, আল-মুদাউবেনা ৪/৪৭৩)।প্রশ্নকারী : আব্দুল আহাদ, মোহনপুর, রাজশাহী।
উত্তর : কেউ ভালো কাজ করার নিয়ত করলে সে তা পূরণ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের মানত করে, সে যেন অবশ্যই তা আদায় করে। আর যে ব্যক্তি তাঁর নাফরমানীর মানত করে, সে যেন অবশ্যই তা না করে’ (ব
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। হিন্দু বা সনাতন ধর্ম কোন আসমানী ধর্ম নয়; বরং তাদের ধর্মগুরুদের রচিত ধর্ম মাত্র। আর ইসলামই প্রথম ও প্রাচীনতম ধর্ম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট মনোনীত একমাত্র দ্বীন হ’ল ইসলাম (আলে ইমরান ৩/১৯)। তিনি আরো
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ যঈফ (আবুদাউদ হা/৫৩০; মিশকাত হা/৬৬৯)। সুতরাং এসময় বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত দো‘আসমূহ পাঠ করবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/১৬)।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ গিয়াছুদ্দীন, ইব্রাহীমপুর, ঢাকা।
উত্তর : স্ত্রী স্বামীর ঋণের টাকা পরিশোধে বাধ্য নয়। কেননা স্ত্রী ও সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব স্বামীর উপর। তবে স্ত্রী স্বামীর সংসারে ব্যয় করে স্বামীর প্রতি ইহসান করতে পারে। আবূ সাঈদ খুদরী বলেন, ইবনু মাসঊদের স্ত্রী যায়নাব (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট
উত্তর : জমি ইজারা বা ভাড়া দেওয়া যায়। বর্গাও দেওয়া যায় (নাসাঈ হা/৩৮৯৪; আহমাদ হা/১৫৪২)। এসব ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতিতে চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ ভক্ষণ কর না, উভয়ের সন্তুষ্টিতে ব্যবসার
উত্তর : কোন অমুসলিম মসজিদে শর্তহীন দান করলে তা গ্রহণে কোন দোষ নেই। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের শর্তহীন অনুদান বা হাদিয়া গ্রহণ করতেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৪৯৯)। তাছাড়া মুসলিম রাষ্ট্রের এমপি রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে অনুদান দিলে সেটা অমুসলি
উত্তর : স্বামীর মৃত্যুজনিত কারণে স্ত্রী ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালনকালে সব ধরনের সৌন্দর্য বর্জন করবে। এর মধ্যে গহনাও শামিল (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২/১৯)। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেন, যে রমণীর স্বামী মারা গেছে, সে (ইদ
উত্তর : সম্মানের জন্য স্ত্রীর পিতা-মাতাকে বা স্বামীর পিতা-মাতাকে আববা-আম্মা বলে সম্বোধন করাতে কোন দোষ নেই। কারণ তারা পিতা ও মাতা সমতুল্য (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ২১/১২৫)। উল্লেখ্য যে, নিজের পিতা-মাতাকে বাদ দিয়ে অন্যকে আসল পিতা-মাত
উত্তর : বিভিন্ন কারণে ভূমিকম্প হয়ে থাকে। যেমন- (১) কখনও আল্লাহ মুসলমানদের সতর্ক করা ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য ভূমিকম্প দেন (ইসরা ১৭/৫৯)। (২) কখনো আল্লাহ নিজের দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভূমিকম্প পাঠান (বুখারী হা/১০৫৯; মিশকাত হা/১৪৮৪)। (৩) কখনও
উত্তর : শরী‘আত বিরোধী নয় স্বামীর এমন যেকোন আদেশ-নিষেধ পালন করা স্ত্রীর কর্তব্য। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, আনুগত্যের ক্ষেত্রে বিবাহিতা নারীর জন্য পিতা-মাতার উপর স্বামীই অগ্রগণ্য (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/২৬১)।এক্ষণে স্বামীর কোন কথা বা কাজ অকল্যাণ
উত্তর: প্রথমতঃ ভাইকে সঠিক হিসাব প্রদানের জন্য নিজে বা কাউকে দিয়ে অনুরোধ জানাবে এবং সামাজিকভাবে চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ ইসলাম পারস্পরিক কল্যাণকামিতার ধর্ম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দ্বীন হ’ল কল্যাণ কামনার নাম। আমরা বললাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আললাহর জন্য
উত্তর : যেহেতু রূহই মানুষের মৌলিক বিষয়, সেজন্য আমাদের দেশে মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফিরাত কামনার প্রচলন রয়েছে। তবে হাদীছের বর্ণনায় দেখা যায়, রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম রূহ নয়; বরং ব্যক্তির নাম ধরেই দো‘আ করতেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, হে আল্লাহ! তু
ভূমিকা :পুঁজিবাদকে যদিও আমরা অর্থব্যবস্থা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করি কিন্তু ফাংশনালী এটি একটি দ্বীন। ব্যক্তি থেকে সমাজ কিংবা ওয়াশরুম থেকে রাষ্ট্র সবকিছুকে এটি প্রোগ্রামিংয়ের মতো নিয়ন্ত্রণ করে, স্বতন্ত্র নীতিমালা গড়ে দেয়। ক্রমাগত পুঁজি বৃদ্ধির প্রবণতা থেকে
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে এরূপ চিকিৎসার কোন ভিত্তি নেই। এছাড়া ক্রোধ দমনে ওযূ করা সম্পর্কিত হাদীছটিও যঈফ (আবুদাঊদ হা/৪৭৮৪, যঈফাহ হা/৫৮২)। বরং রাগ কমানোর জন্য রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা যখন রেগে যাবে তখন আ‘ঊযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম&nb
উত্তর : ভোক্তার নির্দেশনায় হ’লেও পাপের কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। কেননা আল্লাহ রাববুল আলামীন অন্যায় কাজে সহায়তা করতে নিষেধ করেছেন (মায়েদাহ ৫/২)।প্রশ্নকারী : কাওছার আযম, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।
উত্তর : হিজামাকে চিকিৎসা পেশা হিসাবে গ্রহণ করা এবং এর বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং তাকে মজুরী দিয়েছেন। যদি এটি হারাম হ’ত বা তিনি নিকৃষ্ট মনে করতেন, তবে তিনি মজুরী দিতেন না’ (বুখারী হা/২১
উত্তর : উক্ত কথা ভিত্তিহীন। বরং দ্বীন হ’ল নছীহত (মুসলিম হা/৫৫; মিশকাত হা/৭৯৬৬)। পিতা বা অন্য যে কেউ ভুল করলে তার সংশোধনের কথা তাকে জানাতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুমিন তাঁর ভাইয়ের জন্য আয়না স্বরূপ। সে তার কোন ভুল দেখলে সংশোধন করে দেয়’&
উত্তর : যাবে। কারণ এইগুলো সম্মানসূচক শব্দ, যা আঞ্চলিক পরিভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আর যে কোন পরিভাষা শরী‘আহ বিরোধী না হ’লে তা ব্যবহারে কোন দোষ নেই (আল-ফারাবী, আছ-ছিহাহ ৫/১৯৯০; নববী, আল-আযকার ৩৬২-৬৩, ৫৭৫; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব
উত্তর : শরী‘আত বিরোধী নয় রাষ্ট্রের এমন বিধিনিষেধ পালন করা আবশ্যক। কোন দেশের আইন উপেক্ষা করে সেখানে অবস্থান করা সমীচীন নয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর’ (মায়েদাহ ৫/১)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলিম
উত্তর : এ পদ্ধতি শরী‘আতসম্মত নয়। বরং এটি সূদী পদ্ধতি। এখান থেকে মুসলমানদের বেঁচে থাকা আবশ্যক। সরকার ঘোষিত সার্বজনীন পেনশনের রূপরেখাটি প্রচলিত বীমা পদ্ধতি বা ব্যাংকের ডিপিএসের মত, যা গারার (অস্পষ্টতা) ও রিবা (সূদ)-নির্ভর। অর্থাৎ একজন নাগরিক নির্দ
* সম্পাদকীয় : ১. দে খাজা! দে দেলা দে! (অক্টোবর’২২)২. আল্লাহু আকবর (নভেম্বর’২২)৩. হাদীছ অস্বীকারের ফিৎনা (ডিসেম্বর’২২)৪. শাসন ব্যবস্থায় আল্লাহর ওয়াদা স্মরণ রাখুন! (জানুয়ারী’২৩)৫. ২০২৩ সালের সিলেবাস&nbs
উত্তর : সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে ভোগ করা যাবে না। তবে সরকারের সাধারণ অনুমতি থাকলে চাষাবাদে বাধা নেই। যেমন নিজ জমির সম্মুখভাগে অবস্থিত রাস্তার জমি ব্যবহার করা তার জন্য অনুমোদিত। আর যদি কোন অরক্ষিত খাস জমিতে সরকারের কোন নির্দেশনা না থাকে, ত
উত্তর : বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা বৈধ নয়। এক্ষণে কোন কারণে টিকিট কাটা সম্ভব না হ’লে ট্রেনে দায়িত্বরত কর্মকর্তার নিকট থেকে টিকিট সংগ্রহ করবে। তিনি টিকিট দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে যথাযথ ভাড়া প্রদান করে নিজেকে গুনাহমুক্ত করবে (বুখারী হা/৩৬০৩; মুসলি
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবী করীম (ছাঃ) ও তাঁর সাথীদের আর্থিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। তিন বেলা পেট পুরে আহার করার মত সংগতি অনেকেরই ছিল না। তবুও তাঁরা ছিলেন দুনিয়া বিমুখ। বরং তাদের প্রচেষ্টা ও সাধনা ছিল পরকালে মুক্তি ও জান্নাত লাভের জন্য কাজ করা। সম্পদ
১. ইমাম গাযালী (রহঃ) বলেন,أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا أَرَادَ بِعَبْدٍ خَيْرًا بَصَّرَهُ بِعُيُوبِ نَفْسِهِ فَمَنْ كَانَتْ بَصِيرَتُهُ نَافِذَةً لَمْ تَخْفَ عَلَيْهِ عُيُوبُهُ فَإِذَا عَرَفَ الْعُيُوبَ أَمْكَنَهُ الْعِلَاجُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ الْ
গত ২৫ শে আগস্ট ২০২৩ সকাল ৭-টায় রাজশাহী নওদাপাড়াস্থ আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা বেঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে শূরা সদস্যগণের সাথে পরামর্শক্রমে আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ২০২৩-২০২৫ সেশনের মজলিসে
সমকালীন বিশিষ্ট আহলেহাদীছ আলেম ও দাঈ ইলাল্লাহ শায়খ আব্দুল্লাহিল কাফী মাদানীর আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। তিনি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা
খ্যাতনামা আলেমে দ্বীন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এ
উত্তর: ঋণদাতা ও গ্রহীতার জন্য নিম্নের কয়েকটি বিষয় পালন করা কর্তব্য। যেমন (১) ঋণ গ্রহণ বা প্রদানের বিষয়টি উভয় পক্ষের স্বাক্ষরে লিখিত হওয়া (বাক্বারাহ ২/২৮৪)। (২) যথাসময়ে পরিশোধের মানসিকতা থাকা। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঋণ নেয় পরিশো
উত্তর : শারঈ ওযর থাকলে বাধ্যগত অবস্থায় এমনটি করা যাবে, নতুবা নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অহংকারবশে পাজামা বা লুঙ্গী টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে চলে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৩১১)। অন্য
উত্তর : এই পদ্ধতিতে জমি বিক্রয় হয়নি; বরং টাকার বিনিময়ে জমি বন্ধক রাখা হয়েছে। এরূপ পদ্ধতিতে জমি বন্ধক রাখা জায়েয। তবে বন্ধক গ্রহীতা উক্ত জমি চাষাবাদ করে উপকার লাভ করতে পারবে না। কারণ বন্ধককৃত জমি থেকে উপকার গ্রহণ করা সূদ (ইবনু কুদামাহ, মুগনী
উত্তর : আত্মহত্যা কবীরা গুনাহ। এই মহাপাপের ভাবনা থেকে মুমিনকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। যে ব্যক্তি যেভাবে আত্মহত্যা করবে জাহান্নামে সে সেই পদ্ধতিতেই শাস্তি ভোগ করবে। তবে তাওহীদে বিশ্বাসী আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি স্থায়ী জাহান্নামী হবে না। বরং শাস্তি ভো
উত্তর : খালেছ নিয়তে তওবা করতে হবে। বান্দা তার পাপ থেকে ফিরে আসতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে বিশুদ্ধ তওবা করলে আল্লাহ তাঁর তওবা কবুল করবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তওবা কবুল করেন তার মৃত্যুর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত’ (তিরমিযী,
উত্তর : কোন ব্যক্তির মালিকানাধীন জিনিস তার অনুমতি ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না। সেটা যে ধরনের বস্ত্তই হোক। সুতরাং কপিরাইট করা থাকলে বা মালিকের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সে জিনিস গ্রহণ করা নাজায়েয (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৫/৪১৯; ফাতাওয়া&
আল্লাহ বলেন,فَالِقُ الْإِصْبَاحِ وَجَعَلَ اللَّيْلَ سَكَنًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ حُسْبَانًا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ، ‘তিনি প্রভাতরশ্মির উন্মেষকারী। তিনি রাত্রিকে বিশ্রামকাল এবং সূর্য ও চন্দ্রকে সময় নিরূপক হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। এটি
উপস্থাপনা : মৃত্যু অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)। তিনি আরো বলেন, ‘কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং জানে না কোন্ মাটিতে তার মৃত্যু হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও সকল বিষয়ে
উত্তর : জেনে-শুনে অন্যায় কাজে দৈহিক বা আর্থিক কোনভাবে সহযোগিতা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না (মায়েদাহ ৫/২)। তবে বাধ্যগত কারণে অন্তরে ঘৃণা রে
উত্তর : সকল স্থানে ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক আমল করার চেষ্টা করবে। কারণ কারো নিকট সত্য স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তা গোপন করা বা তার বিপরীত আমল করা জায়েয নয়। কেবলমাত্র জীবননাশের আশংকা থাকলে এটা করা যায়। যেমন করেছিলেন ‘আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ)। যাকে কঠিনভাবে
উত্তর : ইসলামে দিবস পালনের কোন সুযোগ নেই। প্রশ্নোল্লিখিত দিবসদ্বয় অপসংস্কৃতি, অশ্লীলতা ও শিরকী চিন্তাধারায় পরিপুষ্ট। সুতরাং এসব দিবসে ফুল বিক্রয় করে উক্ত কাজে সহায়তা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। এটি শী‘আদের আবিষ্কৃত কোন বর্ণনা হ’তে পারে। তাছাড়া এতে ফাতেমা (রাঃ)-এর মত ছাহাবীর প্রতি অপবাদ আরোপ করা হয়। তবে রাসূল (ছাঃ)-এর আমলে আলী (রাঃ) আবু জাহলের মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি হালাল
উত্তর : নিজ দ্বীন রক্ষার সুযোগ এবং যুলুম ও অন্যায় দূরীকরণের ইচ্ছা ও ক্ষমতা থাকলে অমুসলিম দেশে যেকোন বৈধ চাকুরী করা যাবে। বিচারকার্য একটি বৈধ পেশা। অতএব মুসলমানদের উপকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে পুলিশে কিংবা বিচারকার্যে সহায়ক হিসাবে চাকুরী করাতে কোন
উত্তর : উৎপাদনের খরচ ধর্তব্য নয় (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৮; ইবনুল হুমাম, ফাৎহুল ক্বাদীর ২/২৫০; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/৫১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৫/৭৫)। মালিকানায় যে ফসল পাবে তা নিছাব পরিমাণ হ’লে তাতে ওশর দিতে হবে। এক্ষত্রে শারঈ
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দ
বর্তমানে প্রায়শঃ যত্রতত্র বজ্রপাতে জীবনহানির ঘটনা ঘটছে। আকাশে বিজলী চমকালেই প্রাণনাশের ভয়ে মানুষ অত্যন্ত বিচলিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটাছুটি করছে। এটা যে শুধু মানুষের উপরই পড়ছে তা নয়, গরু, মহিষ, গাছপালা প্রভৃতির উপর পতিত হয়ে ঝলশে দিচ্ছে। অতীতে বি
গীবত অতীব ভয়ংকর গুনাহ। কিন্তু দুই ধরনের গীবত আরো বেশী ভয়াবহ। তন্মধ্যে একটি হ’ল আলেম-ওলামার গীবত এবং অপরটি হ’ল মৃত মানুষের গীবত। ১. আলেমদের গীবত করা : আলেমদের গীবত দুই রকমের। (১) সাধারণ মানুষ কর্তৃক আলেমদের নিন্দা বা গীবত করা এবং (২) আলেম কর্তৃক অপর
উত্তর : পিতা-মাতা সন্তানের নিকট সমান সম্মানের পাত্র। যদিও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের অগ্রাধিকার রয়েছে। প্রশ্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে সচেতন সন্তানের দায়িত্ব হ’ল নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে উভয়কে নিজেদের ভুলের ব্যাপারে সতর্ক করা এবং তাদের মাঝে মীমাংসা করা। আল্লাহ
উত্তর: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ লেখা চাদর ব্যবহারে পৃথক কোন ফযীলত নেই। সুতরাং ভ্রান্ত আক্বীদার প্রসার বন্ধ করার জন্য কালেমা, আয়াতুল কুরসী বা কুরআনের অন্য কোন আয়াত লেখা চাদর লাশের উপর বা খাটিয়ার উপর রাখা হ’তে বিরত থাকা আবশ্যক। তাছাড়া এতে কালেমা বা
উত্তর : মুসলিম বা অমুসলিম কারো সম্পদ আত্মসাৎ করা যাবে না। মুগীরা (রাঃ) অন্ধকার যুগে কয়েকজন ব্যক্তিকে তার সাথী হিসাবে নেন, পরে তিনি তাদের হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ নিয়ে নেন। অতঃপর তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট হাযির হয়ে ইসলাম কবুল করেন। তখন নবী করীম
উত্তর : স্বামী হিসাবে কর্তব্য হ’ল স্ত্রীকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে যথাসাধ্য নছীহত করা এবং শারঈ পর্দার গুরুত্বের ব্যাপারে সচেতন করা। এভাবে স্বামী তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সে গোনাহগার হবে না। তবে নিঃসন্দেহে বেপর্দা এবং স্বামীর অবাধ্য হ
উত্তর : ঋণগ্রস্ত হিসাবে তাকে যাকাত দেয়া যাবে। অতঃপর উক্ত যাকাতের টাকা দিয়ে যদি সে ঋণ পরিশোধ করে তাতে কোন দোষ নেই (দ্র. হাফাবা প্রকাশিত ‘যাকাতা ও ছাদাক্বা’ বই ‘বিবিধ মাসায়েল’ অনুচ্ছেদ, মাসআলা ২৩ পৃ. ১০১)। উল্লেখ্য যে, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির হাতে
উত্তর : বিক্রেতার অনুমতি সাপেক্ষে খাদ্যদ্রব্য চেখে খাদ্যের স্বাদ বা মান যাচাই করা যাবে (বাহূতী, আর-রওযুল মুরবি‘ ৪/৩৩১)। তবে ক্রয়ের উদ্দেশ্য না থাকলে চেখে দেখা যাবে না।প্রশ্নকারী : মুজাহিদুল ইসলাম, দুপচাঁচিয়া, বগুড়া।
ভূমিকা :গীবত একটি ভয়াবহ পাপ। সমাজে যেসব পাপের প্রচলন সবচেয়ে বেশী তন্মধ্যে গীবত অন্যতম। এই পাপটি নীরব ঘাতকের মতো। বান্দার অজান্তেই এটা তার নেকীর ভান্ডার নিঃশেষ করে দেয় এবং তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করে ছাড়ে। এটি চুরি-ডাকাতি, সূদ-ঘুষ, যিনা-ব্যভিচা
দো‘আ একটি ইবাদত। আর যে কোন ইবাদতের জন্য শরঈ দলীল অপরিহার্য। দলীল না থাকলে ইবাদত হিসাবে প্রচলিত কোন আমল বিদ‘আতে পরিণত হয়, যা চুড়ান্তভাবে বর্জনীয়। বিদ‘আত এমন এক মারাত্মক ব্যাধি যার কারণে ঈমানদারদের সৎ আমলসমূহ বিনষ্ট হয়ে যায়। ফলে ঈমান আনার পরও জাহান্নাম
উত্তর : ইসলাম গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শর্ত তিনটি। (১) ইসলাম গ্রহণের জন্য বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা (নিসা ১২৫; লোকমান ২২), (২) জেনে-বুঝে কালেমায়ে শাহাদত তথা-‘আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু’ পাঠ ক
মাসিক আত-তাহরীক জানুয়ারী’২৩ প্রশ্নোত্তর ১৫/১৩৫-এর মধ্যে বলা হয়েছে, ‘তবে বন্ধকদাতার পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় তা ভোগ করা বা তা থেকে উপকৃত হওয়ার অনুমতি থাকলে তা জায়েয হবে। কেননা তা শর্তযুক্ত নয়’। লেখাটি ভুলবশতঃ যুক্ত করা হয়েছে। অনাকাংখিত ভুলের জন্য আমরা দুঃখ
উত্তর : বিচার ব্যবস্থা দুই প্রকারের। ১. শারঈ বিচার ব্যবস্থা ২. দুনিয়াবী বিচার ব্যবস্থা। আর দুনিয়াবী বিচার ব্যবস্থা আবার দুইভাগে বিভক্ত। ১. শরী‘আত সম্মত। ২. শরী‘আত বিরোধী। এক্ষণে কোন মুসলিম দেশে যদি শরী‘আত বিরোধী আইন না থাকে, তাহ’লে তাতে চাকুরী ক
উত্তর : যাবে। কারণ বাবরী রাখা বাধ্যতামূলক নয়, বরং এটি অভ্যাসগত সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) কখনো চুল বড় রাখতেন, আবার কোন কোন সময়ে ছোট করতেন। এতে কোন বাধা নেই। ছাহাবী ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) একদিন লম্বা চুল নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এলেন। তখন রাসূল (ছ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/৩৬৬২; যঈফুত তারগীব‘ হা/১৪৭৬)। তবে উক্ত হাদীছের মর্ম ছহীহ। কারণ যার উপর পিতা-মাতা সন্তুষ্ট তার উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পিতার অসন্তুষ
উত্তর : রক্তদাতার শরীর ঠিক রাখার জন্য মেডিকেল থেকে বা রক্ত গ্রহীতার পক্ষ থেকে সৌজন্য হিসাবে যা কিছু খাওয়ানো হয়, তা রক্ত বিক্রয়ের হুকুমে পড়বে না। কেননা এটা সামাজিক সৌজন্যবোধ মাত্র (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৮/১০০)। উল্লেখ্য যে, রক্ত ক্রয়-বিক
উত্তর : মুরগীর ফার্ম বাড়িতে রাখতে চাইলে ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্গন্ধ দূর করার চেষ্টা করবে, যাতে প্রতিবেশীদের কষ্ট না হয়। অন্যথায় লোকালয় থেকে দূরে ফার্ম স্থানান্তর করবে (আলী হায়দার আফেন্দী, দুরারুল হুক্কাম ৩/২১৬)। আর যদি প্রতিবেশীকে কষ্ট দ
উত্তর : যার জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে তার জন্যই খরচ করা কর্তব্য হবে। তবে অতিরিক্ত অর্থ অন্য কোন অসুস্থ ব্যক্তির জন্যও খরচ করা যায়। কারণ দাতাগণ মূলতঃ অসহায়কে সহায়তা করার জন্য অর্থ দান করেছেন (হাত্তাব, মাওয়াহিবুল জলীল ৬/৫৫; যাকারিয়া আনাছারী
উত্তর : উটের গোশত খেয়ে ওযূ করা আবশ্যক (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৫)। শরী‘আতের প্রতিটি বিধানের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য করা মুমিনের দায়িত্ব। হিকমত বা কারণ যাই হৌক তা শরী‘আতের বিধান। তবে বিদ্বানগণ কিছু হাদীছের আলোকে এর কারণ বর্ণনা করে বলেন, (১) উটের স
উত্তর : অন্যায় কাজে সহযোগিতার জন্য গোনাহগার হ’তে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর আর গুনাহ ও পাপ কাজে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাক (মায়েদাহ ৫/২)।প্রশ্নকারী : আলাউদ্দীন, মুম্বাই, ভারত।
উত্তর : অছিয়তের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা বাস্তবায়ন করা ওয়ারিছদের জন্য অত্যাবশ্যক। যেমন তার মৃত ছেলে বা মেয়ের সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ দান করা (বাক্বারাহ ২/১৮১; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৩৭৮)। এই ধরণের বৈধ অছিয়ত পূরণ করা বাধ্
উত্তর : দাড়ি রাখার জন্য দাড়ি ঘন বা পাতলা হওয়া শর্ত নয়। বরং দাড়ি রাখা আবশ্যক। একদিক পাতলা বা ঘন হওয়া সাময়িক ব্যাপার, যা বয়সের সাথে ঠিক হয়ে যাবে। সুতরাং দাড়ি সেভ বা মুন্ডন করা যাবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৩৬৩; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরু
১. ইমাম মালেক ইবনে আনাস (রহঃ) বলেন, إِنَّ اللهَ قَسَمَ الأَعْمَالَ كَمَا قَسَمَ الأَرْزَاقَ، فَرُبَّ رَجُلٍ فُتِحَ لَهُ فِي الصَّلاَةِ، وَلَمْ يُفتَحْ لَهُ فِي الصَّوْمِ، وَآخَرَ فُتِحَ لَهُ فِي الصَّدَقَةِ وَلَمْ يُفتَحْ لَهُ فِي الصَّوْمِ، وَآخَرَ
আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন মানবজাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণের সাথে সাথে বেঁচে থাকার জন্য নানা রকমের খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন। তবে শারীরিক সুস্থতার জন্য পরিমিত আহার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের সকলেরই জানা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দু’টি নে‘মত রয়েছে, যে দু’টিতে বহু মা
অন্যদের মাঝে সঞ্চারণশীল কল্যাণের প্রতিদান কিভাবে শ্রেষ্ঠ(১) ঈমান : আল্লাহ তা‘আলা যা কিছুর উপর ঈমান রাখতে আদেশ দিয়েছেন সে সকল কিছু সত্য বলে অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা সে অনুযায়ী আমল করার নাম ঈমান।(২) আমলে ছালেহ : আমলে ছালেহ-এর মধ্যে সব র
পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী বিস্তৃত অঞ্চলে গত ৬ই ফেব্রুয়ারী সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪-টা ১৭ মিনিটে প্রচন্ড শীত, তুষারপাত ও বৃষ্টিপাতের মধ্যে ৭.৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে
উত্তর : পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় পশু কুরবাণী করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। এছাড়া উক্ত পশুর গোশত খাওয়া যাবে। এমনকি রুচি হ’লে পেটের বাচ্চাও খেতে পারে। আবু সাঈদ খুদরী বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আমরা উটনী, গাভী ও ছাগী যবেহ করি এবং কখনো কখনো আমরা
উত্তর: ওশর বা যাকাতের নির্দিষ্ট আটটি খাত রয়েছে। ওশর সেগুলোতেই দিতে হবে (তওবা ৯/৬০; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৩৩১-৩৩৯)। এক্ষণে দ্বীনী মাহফিল দ্বীনী জ্ঞান প্রচারের মাধ্যম। আর কুরআনে ‘ফী সাবীলিল্লাহ’ বা আল্লাহর পথ নামে একটি খাত রয়েছে। আর দ্বী
উত্তর: ওলামায়ে কেরাম পিতা-মাতা কর্তৃক সন্তানের সম্পদ গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু শর্তারোপ করেছেন। যেমন- ১. পিতা-মাতাকে দরিদ্র হ’তে হবে, যাদের কোন সম্পদ নেই এবং কোন উপার্জনও নেই। ২. পিতা-মাতার প্রতি খরচ করার জন্য সন্তানের সামর্থ্য থাকতে হবে। ইবনু কুদাম
উত্তর : এক্ষেত্রে দাতাকে পাপের ভাগিদার হ’তে হবে। কারণ এটি সরাসরি শিরকের কাজে সহযোগিতা করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘন কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। অতএব এমন কাজে চাঁদা প্রদান থেকে
উত্তর : কিছু লোককে আল্লাহ বিশেষ দক্ষতা প্রদান করেন, যার মাধ্যমে ব্যক্তি বা বস্ত্তর কিছু লক্ষণ দেখে তারা তা বুঝতে পারেন। এটি তাদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। যেমন চিকিৎসকগণ রোগীর কিছু লক্ষণ দেখে কিছু রোগের কথা বলতে পারেন। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই
উত্তর : গীবত বা পরনিন্দা হারাম। তবে পারিবারিক বিষয় মীমাংসার জন্য নিজেদের মধ্যে দোষ বলা বা সমালোচনা করা জায়েয (নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন ৪১২ পৃ.)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন আমল সম্পর্কে বলব না, যার ছওয়াবের মর্যাদা ছিয়াম, ছাদাক্বা ও ছ
উত্তর: কোন তওবাকারীকে তার পূর্বের গোনাহ নিয়ে খোটা দেওয়া যাবেনা। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গোনাহ থেকে তওবা করে, সে নির্দোষ ব্যক্তির ন্যায়’ (ইবনু মাজাহ হা/৪২৫০; মিশকাত হা/২৩৬৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন শ্রেণীর ল
উত্তর : সম্পদ আত্মসাৎকারী বা ছিনতাইকারী নিঃসন্দেহে কবীরা গোনাহগার ও মহাপাপী এবং তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি (শূরা ৪২/৪২; মুত্বাফ্ফেফীন ৮৩/১-৬)। আদালতে বিচারক তাদের অপরাধের মাত্রা অনুপাতে শাস্তি নির্ধারণ করবেন। সেটি জেল বা জরিমানা বা
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারণভাবে ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’ বলা হয়। ‘শবেবরাত’ শব্দটি ফার্সী। এর অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। দ্বিতীয় শব্দটি আরবী। যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির রাত্রি। এদেশে শবেবরাত ‘সৌভাগ্য রজনী’ হিসাবেই
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।চিন্তার ইবাদতের নমুনাচিন্তা-ভাবনা মানব মস্তিষ্কের এক অপরিহার্য ক্রিয়া। মানুষ যখন এই চিন্তাকে স্বীয় স্রষ্টা, পালনকর্তা ও প্রতিপালকের অভিমুখী করে, তখন সেই চিন্তা-ভ
পারিবারিক অপরাধ দমনে ইসলামের নির্দেশনাইসলাম সকল প্রকারের অন্যায় ও অপরাধকে কঠোর হস্তে দমন করার নির্দেশ প্রদান করেছে। পারিবারিক জীবনে সংঘটিত অপরাধ সমূহ দূর করতে হ’লে ইসলামী আইনের শরণাপন্ন হ’তে হবে। এক্ষেত্রে কুরআন ও হাদীছের নির্দেশনা ও বিধিবিধান পালন ক
ভূমিকা :যেসব আমলের উপকার আমলকারী থেকে অন্য মানুষের মাঝে সঞ্চারিত হয়, আল্লাহ রাববুল ‘আলামীনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ঐ আমলগুলোই অধিক সহায়ক। কারণ এসব আমলের উপকার ও ছওয়াব শুধু আমলকারীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং অন্য মানুষ এমনকি অন্যান্য প্রাণীর মধ্যেও
উত্তর : দাড়ি রাখা ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর এবং দাড়িকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দাও (বুখারী হা/৫৮৯২; মিশকাত হা/৪৪২১; শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৩৬৩; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২৫)। কোন দুনিয়াবী
উত্তর : এটি বানোয়াট রেওয়াজ। ইসলামী শরী‘আতের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। এই বানোয়াট প্রথা অবশ্যই বর্জনীয়।প্রশ্নকারী : তিথি*, ভাটিয়ারী, চট্টগ্রাম।*[আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : এটা নিয়তের উপর নির্ভর করবে। কেউ যথার্থ কারণে সুফারিশ করলে গুনাহগার হবে না। কারণ কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪; ইসরা ১৭/১৫, ফাত্বির ৩৫/১৮; যুমার ৩৯/৭; নজম ৫৩/৩৮)। তবে জেনেশুনে খারাপ মানুষের পক্ষে সুফারিশ করা যাবে না। আ
উত্তর : স্ত্রীর সম্মতি থাকলে সঠিক হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খুশী মনে তোমাদের কিছু দেয়, তাহ’লে তা তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর’ (নিসা ৪/৪)। তবে স্ত্রী যদি এতে স
উত্তর : মুসলিম হওয়ার জন্য শর্ত হ’ল গোসল করে বিশুদ্ধ নিয়তে কালেমা শাহাদাত পাঠ করা এবং যাবতীয় শিরক ত্যাগ করে ইসলামের জন্য নিজেকে সোপর্দ করা (মুহাম্মাদ আল-ক্বাহত্বানী, মুখতাছারু মা‘আরিজিল কুবূল ১১৯-১২২ পৃ.)। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইনের অনুসরণে অ
উত্তর : হাদীছের প্রামাণিকতাকে অস্বীকারকারী নিঃসন্দেহে কাফের এবং ইসলামের গন্ডি বহির্ভূত। কেননা যে হাদীছকে অস্বীকার করে, সে মূলতঃ কুরআনকেই অস্বীকার করে। হাদীছ ব্যতীত দ্বীনের ওপর আমল করা অসম্ভব। এজন্য মুসলিম বিদ্বানগণ সর্বসম্মতভাবে হাদীছ অস্বীকারকা
উত্তর : বিড়াল পোষা জায়েয (মুসলিম হা/১৫৬৯; মিশকাত হা/২৭৬৮)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম বিড়ালের প্রতি ইহসান করতেন এবং এদের মুখ দেওয়া খাবারকে পবিত্র মনে করতেন। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। কারণ যেসব প্রাণী সবসময় তোমাদের আশে
উত্তর : ভবিষ্যদ্বাণী করা আর আশংকা বা অনুমান করা এক জিনিস নয়। অতএব কিছু আলামত বা নিদর্শন দেখে ভবিষ্যতের বিষয়ে আশংকাজনক কিছু বলাতে কোন দোষ নেই। যেমন কোন যুদ্ধের ফলাফল স্বরূপ বিশ্বে ধ্বংসলীলা হবে, এতে উৎপাদন কমে যাবে, জান-মালের ক্ষয় ক্ষতি হবে, জিনি
উত্তর : ইসলাম গ্রহণের জন্য এফিডেভিট করে স্বীকৃতি দেয়া শর্ত নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় বিধান ও আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। বরং সঠিক নিয়তে গোসল করে কালেমা পাঠ করলেই মুসলমান হওয়া যায়। আর বিয়ের জন্য মেয়ের অভিভাবক আবশ্যক। আর যেহেতু তার মুসলিম অভিভাবক নেই, সেজন্য
উত্তর : ঋণ যার কাছেই করা হোক বা যেভাবেই করা হোক তা পরিশোধ করা আবশ্যক। কারণ ঋণ পরিশোধ না করলে বিচার দিবসে এর বিনিময়ে ছওয়াব দিতে হবে অথবা প্রাপকের গুনাহ নিতে হবে। সেজন্য ঋণ করতে হ’লে তা পরিবারের সদস্যদের অবহিত করতে হবে। যাতে তারা অপরিশোধিত ঋণ পরিশ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অধিকাংশ সময় দীর্ঘ জামা তথা প্রচলিত জুববার মত পোষাক পরিধান করতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৩০৫)। তবে ক্বামীছ ও পায়জামাও রাসূল (ছাঃ) মাঝে-মধ্যে পরিধান করেছেন (সাফারেনী, গেযাউল আলবাব ২/২৪১)। বরং ক্বামীছ রাসূল (
উত্তর : আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা কবীরা গুনাহ। যদি তারা ভুল করে তবে তাদেরকে কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি দাওয়াত দিতে হবে; কিন্তু পরিত্যাগ করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা ‘আত্মীয়তা’-এর সাথে ওয়াদা করে বলেন, ... যে ব্যক্তি তোমাকে বহাল
উত্তর : ‘রিয়া’ তথা লোক দেখানো আমল ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত। অতএব ‘রিয়া’ থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিম্নের আমলগুলো সহায়ক। (১) যিকির ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা (তওবা ৯/১২৯; ফাতেহা ১/০৪)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়া ও ইবন
উত্তর : সার্ভিস চার্জ হিসাবে কিছু টাকা নেওয়াতে কোন দোষ নেই। কেননা সামাজিক প্রচলন মোতাবেক বিষয়টি গ্রাহকের অবগতিতেই থাকে ও তার সম্মতিও থাকে। তবে দায়মুক্তির জন্য যদি কেউ গ্রাহকের বাড়তি অর্থ ফেরৎ দেয়, তবে সেটাই অধিক তাক্বওয়াপূর্ণ হবে। আল্লাহ বলেন, ‘
উত্তর : এ কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। কারণ মূর্তিপূজা শিরক (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৫/৪০৮; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১/২৮৬)। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)।প
উত্তর : অমুসলিমদের রান্নাকৃত খাবার গ্রহণে কোন দোষ নেই। তবে তাদের যবেহকৃত প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না (মুছান্নাফে আব্দুর রাযযাক হা/১০১৫৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৪১৩)। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, মূর্তিপূজক ও মুশরিকদের খাবার গ্রহণে কোন দোষ নেই
উত্তর : এটি একটি প্রতারণা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয় (মুসলিম হা/১০১; মিশকাত হা/৩৫২০)। অতএব প্রতারণার কাজে কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না (মায়েদাহ ৫/২)। শায়েখ বিন বায (রহঃ) বলেন, কোনভাবেই পরীক্ষায় প্রতারণা করা বৈধ ন
অত্যন্ত গতিশীল ও শক্তিশালী ভাষায় লেখা প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘সীরাতুর রাসূল (ছাঃ)’। ৮৫৪ পৃষ্ঠার এই সীরাত গ্রন্থটি নবীজীবনের সাবলীল ও বিশুদ্ধ বর্ণনার এক অনবদ্য সংকলন। বাঙালী মুসলমানদের রচিত সীরাত সমূহের মধ্যে এটিই গুণ, মান
উত্তর : হাদীছে হুবহু এমন কথা বর্ণিত হয়নি। তবে বিভিন্ন অসৎ কর্মের কারণে যে মানুষের রিযিকে বরকত কমে যায়, তা সঠিক। যেমন- ১. যেনায় লিপ্ত হওয়া (ইবনু মাজাহ হা/৪০১৯; ছহীহুত তারগীব হা/৭৬৫)। ২. ওযনে কম দেওয়া (ছহীহাহ হা/১০৬)। ৩. আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিচার
আল্লাহ বলেন,هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ فَمِنْكُمْ كَافِرٌ وَّمِنْكُمْ مُؤْمِنٌ، وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ- ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফের ও কেউ মুমিন। আর তোমরা যা কিছু কর, সবই আল্লাহ দেখেন’ (তাগাবুন ৬৪/২)।অত্র আয়াত
উত্তর : মুছাফাহা করার পরে বুকে হাত দেয়া, হাতে চুমু দেয়া বা মাথা ঝুঁকানো ইত্যাদি করা যাবে না। বরং ছহীহ হাদীছ মোতাবেক পরস্পরে ডান হাত মিলিয়ে মুছাফাহা করাই যথেষ্ট। এর অতিরিক্ত কিছু গ্রহণযোগ্য নয় (বি. দ্র. ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ২৭৬ পৃ.)।প্রশ্নকার
উত্তর : বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট সহ দুনিয়ার সকল বস্ত্তর মূল মালিক আল্লাহ (রা‘দ ১৩/১৬)। আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য এগুলোর নিয়মিত সরবরাহ পেতে তাঁর নিকটেই প্রার্থনা করতে হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর নিকটে তোমরা সব
উত্তর : বক্তব্যটি সঠিক। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা ভূ-সম্পত্তি অর্জনে মগ্ন হয়ো না। কেননা তা তোমাদেরকে দুনিয়ার পিছনে লিপ্ত করে ফেলবে (তিরমিযী হা/২৩২৮; মিশকাত হা/৫১৭৮ ‘রিক্বাক্ব’ অধ্যায়)। এখানে الضَّيْعَةَঅর্থ ভূ-সম্পত্তি, বাগ-বাগি
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা অনর্থক কোন কিছুই সৃষ্টি করেননি (আলে ইমরান ৩/১৯১)। সুতরাং সাপের মধ্যেও উপকারিতা রয়েছে। এক্ষণে যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাপ লালন-পালন করে উপকৃত হওয়া যায় তাহ’লে তা পালনে কোন দোষ নেই (ইবনু হুমাম, ফাৎহুল ক্বাদীর ৭/১
উত্তর : নার্সিং একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এর মাধ্যমে মানব সেবা করার উত্তম সুযোগ পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় সেই ব্যক্তি যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশী উপকারী (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৩৬৬৪৬; ছহীহাহ হা/৯০৬)। সাধারণভাবে পুরুষ
উত্তর : অসম্মান হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে আল্লাহর যিকির সম্বলিত পোস্টার মানুষকে স্মরণ করানোর উদ্দেশ্যে নিরাপদ স্থানে টাঙিয়ে রাখায় কোন দোষ নেই। বরং নিজেকে বা অন্য মানুষকে স্মরণ করানোর জন্য দো‘আ, যিকির বা গুরুত্বপূর্ণ হাদীছ বা আয়াত বা আয়াতের অর্থ নি
উত্তর : চুরি করা কবীরা গুনাহ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৮)। যা তওবা ব্যতীত মাফ হবে না (নিসা ৪/৩১)। সেই সাথে এটি বান্দার হকের অন্তর্ভুক্ত। তাই তওবার কবুলের জন্য অবশ্যই চুরিকৃত সম্পদ মালিককে ফেরৎ দিতে হবে। এক্ষণে চুরিকৃত জিনিসপত্র মজুদ না থাকলে
মূল্যস্ফীতি বলতে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন দেশের দ্রব্য বা সেবার মূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে বুঝায়। আর মুদ্রাস্ফীতি বলতে অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধিকে বুঝায়। তাতে সীমিত পণ্য ও সেবার পিছনে বিস্তর টাকা ব্যয় হয়।চাহিদা ও যোগানের অসমতার কারণে সাধারণত ম
উত্তর : কারো কল্যাণের জন্য ছিয়াম বা ছালাত আদায় করা যাবে না (মুওয়াত্ত্বা হা/১০৬৯, মিশকাত হা/২০৩৫)। বরং প্রিয় ব্যক্তিদের কল্যাণের জন্য দো‘আ করতে হবে। আর এ দো‘আ ‘ছালাতুল হাজত’ শেষেও করা যায়। আল্লাহ বলেন, তোমরা ছবর ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থ
উত্তর : এক্ষেত্রে কিছুই করণীয় নেই। এজন্য কোনরূপ ছাদাক্বা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর যেসব স্বপ্ন ব্যাখ্যাসাপেক্ষ নয়, সেগুলি মনের কল্পনা মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মানুষের স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে (ক) ভাল স্বপ্ন, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ ব
উত্তর : অধিক গ্রহণযোগ্য মত অনুযায়ী কর্মচারী যে অনুপাতে কাজ করবে সে অনুপাতে মজুরী পাবে। তবে কর্মচারী যদি গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীত ও মালিকের অনুমতি ব্যতীত চুক্তি অনুযায়ী পূর্ণ দিবস কাজ না করে এবং তাতে মালিকের ক্ষতি হয়, তাহ’লে কর্মচারীকে ক্ষতিপূরণ
উত্তর : একজন আলেমের মধ্যে ন্যূনতম নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে তার নিকট থেকে ইলম অর্জন করা বা ফৎওয়া নেওয়া যাবে। (১) আল্লাহভীরু হওয়া (২) দলীল সহকারে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান ও বুঝ থাকা (৩) কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত সিদ্ধান্তের কাছে নিরংকুশভাবে আত্
উত্তর : সাধারণভাবে পেশাব-পায়খানারত অবস্থায় কথা বলা অপসন্দনীয়। সে হিসাবে মোবাইলেও কথা বলা থেকে বিরত থাকবে (নববী, আল -মাজমূ‘ ২/৮৮; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১০/৩৪)। তবে যরূরী কোন কারণ দেখা দিলে বা প্রয়োজন পূরণরত অবস্থায় না থাকলে মোবাইলে বা সরাসরি কথা বলা
আলোচনাটা শুরু হয়েছিল মোশতাক আহমদের মন্ত্রীসভায়। তবে ঘোষণাটি আসে জিয়াউর রহমানের সময়ে। ১৯৭৫ সালের ৭ই ডিসেম্বর ১৯৭৪ সালের শিল্পনীতি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত সেই শিল্পনীতিতে অব্যবহৃত ও নিষ্ক্রিয় তহবিল উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করলে কোন প্রশ্ন করা হবে না বলে জ
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দ
(১)১৭৯৯ সালে ফরাসী বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। এ বিপ্লবের পেছনে দু’টি সামাজিক উপাদান বড় প্রভাব ফেলেছিল। এর মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফরাসী সমাজ ও রাষ্ট্র এ সময় নীতিহীনতায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। সামাজিক বৈষম্যের কারণে দেশে দারিদ্র্য বেড়ে
উত্তর : এ ব্যাপারে সরাসরি হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে নবী করীম (ছাঃ) বলেন, মুওয়াযযিন যা বলেন তোমরাও তাই বল (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)। উক্ত হাদীছে থেকে এক্বামতের উত্তর দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয় (আলবানী, মিশকাত হা/৬৭০-এর টীকা দ্রঃ)। তাছাড়া অন্য হাদীছে
উত্তর : অন্যান্য সন্তানদের সম্মতি থাকলে ঘোষিত উপহার প্রদান করা যেতে পারে, এতে কোন বাধা নেই। আর সম্মতি না থাকলে তা দেওয়া যাবে না। কারণ দান বা উপহারের ক্ষেত্রে সন্তানদের মাঝে ইনছাফ করা আবশ্যক। নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমা
উত্তর : এ কথা ভিত্তিহীন। হাদীছে একসাথে খাওয়ার কথা এসেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা বিসমিল্লাহ বলে এক সাথে খাবার গ্রহণ কর, তাতে তোমাদের জন্য বরকত নাযিল করা হবে’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪২৫২; ছহীহাহ হা/৬৬৪)। তিনি বলেন, ‘সে খাবার আল্লাহর নিকট সর্
উত্তর : ঘরে কেউ না থাকলেও ঘরে প্রবেশ করার সময় সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। এ সময় সাথে আরো কিছু বাক্য যোগ করতে পারে- আস-সালামু আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ-ছালেহীন অথবা- আস-সালামু আলাইকুম আহলাল বায়তি ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারারাকাতুহ (বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ
উত্তর : প্রথমতঃ নিয়ত বিশুদ্ধ করতে হবে। কারণ বান্দা কোন সৎ কাজের দৃঢ় নিয়ত করে থাকলে আল্লাহ তাকে অবশ্যই পথ দেখাবেন (আনকাবূত ২৯/৬৯)। দ্বিতীয়তঃ ফজর ছালাত জামা‘আতে আদায়ের গুরুত্ব সম্পর্ক সচেতন থাকতে হবে। কারণ এতে যেমন সারা রাত জেগে ইবাদত করার ছওয়াব পা
উত্তর : মালিককে সাধ্যমত খুঁজতে হবে। একান্ত না পাওয়া গেলে উক্ত অর্থ মালিকের নামে দান করে দিবে। কিন্তু পরবর্তীতে মালিককে খুঁজে পেলে উক্ত টাকা প্রদান করতে হবে। যদি সামর্থ্য না থাকে, তবে ক্ষমা চেয়ে নেবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩০/৪১৩-১৪; ব
উত্তর : কর্তৃপক্ষের অনুমতি থাকলে এটি জায়েয। নইলে নয়। কর্তৃপক্ষের অজান্তে কমিশন পাওয়ার লোভে নির্দিষ্ট কোন ট্রান্সপোর্টে পণ্য প্রেরণ করা প্রতারণার শামিল। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমরা যাকে অর্থের বিনিময়ে কোন কাজে নিয়োজিত করি, তার অতিরিক্ত কিছু গ্রহ
উত্তর : আল্লাহ বলেন, জন্মদাত্রী মাতাগণ তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, যদি তারা দুধপানের মেয়াদ পূর্ণ করতে চায় (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। অর্থাৎ পূর্ণ দুই বছর শিশুর শরীর গঠনে মায়ের দুধ যরূরী। তবে এরপরেও যদি মা শিশুর কল্যাণের জন্য দুধ পান করায়
উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গুনাহ ও অন্যায়ের কাজে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)। অতএব কোন দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে যদি শরীআ‘তের উপরোক্ত নির্দেশনা মেনে দায়িত্ব পালন করা দুঃসাধ্য হয়, তাহ’লে ঐরূপ চা
উত্তর : নেকী পাওয়া যাবে। এমনকি চোর, ধনী বা কোন কবীরা গোনাহগার ব্যক্তিকে ছাদাক্বা করলেও নেকী পাওয়া যাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮৭৬)।প্রশ্নকারী : শাহীন, আবুধাবী, আরব আমিরাত।
উত্তর : ভুলবশতঃ এমন ঘটনা ঘটে গেলে কেউ অপরাধী হবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, আর তোমরা কোন ভুল করলে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তরে দৃঢ় সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে। বস্ত্ততঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’ (আহযাব ৩৩/০৫)। রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : ভালোবাসা, দয়া বা স্নেহ প্রকাশার্থে মাহরাম নারী-পুরুষের জন্য আলিঙ্গন ও কপাল বা গালে চুম্বন করা জায়েয। সে হিসাবে পিতা-মাতা তাদের সন্তানদেরকে কিংবা ভাই-বোন পরস্পরের কপালে বা গালে চুম্বন দিতে পারে এবং কোলাকুলিও করতে পারে। তবে কারো মনে অনৈ
উত্তর : ইমামের খুৎবা চলাকালীন মুক্তাদী চুপ থেকে খুৎবা শুনবে যদিও সে ভাষা না বুঝে। কারণ খুৎবায় হাযির হওয়া জুম‘আর দিনের বিশেষ ইবাদতের অংশ (জুম‘আ ৬২/০৯)। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, জুম‘আর দিন ইমাম খুৎবারত অবস্থায় যদি তুমি তোমার পাশের মুছল্লীকে ‘চুপ কর’ বল
উত্তর : এরূপ জঘন্য ও ঘৃণ্য কর্মে লিপ্ত ব্যক্তির উপর বিচারক তার বিবেচনা অনুপাতে শাস্তি প্রদান করবেন। আর পশুটিকে হত্যা করতে হবে (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ১৪/২৪৬; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৯/৬২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পশুর সাথে কুকর্মে লিপ্ত হয়, সে অভ
উত্তর : বিনা ওযরে কফিন বক্সে রেখে দাফন করা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের আমলে এমন পদ্ধতি চালু ছিল না। বরং কবরের সাধারণ মাটিতে রেখে লাশ দাফন করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২/৩১২)। এক্ষণে লাশ যদি পুড়ে যায় বা বন্যায় ভেসে যাওয়ার আ
উত্তর : যেকোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি নিয়োগদাতার সাথে চুক্তি অনুযায়ী যথাযথভাবে দায়িত্বপালন না করে ফাঁকি দিলে গুনাহগার হবে। কারণ চাকুরীরত ব্যক্তি নিয়োগকারীর সাথে নির্দিষ্ট শর্তাধীনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কর্মরত হয়েছেন। যা একটি আমানত। এর খেয়ানত করল
উত্তর: উক্ত মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে শয়তান মানুষের সাথে সর্বক্ষণ অবস্থান করে এবং ওয়াসওয়াসা প্রদান করে (মুসলিম হা/২৮১৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘শয়তান মানুষের রক্তনালীর মধ্যে প্রবেশ করে তাকে বিভ্রান্ত করতে পারে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮ ‘
উত্তর : এমন পশুর সমস্যা গোপন রেখে বিক্রয় করা যাবে না। বরং পশুটির অসুস্থতার কথা স্পষ্টভাবে ক্রেতাকে জানাবে। জেনেশুনে ক্রয় করলে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা (একে অপরের সাথে) বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের উভয়ের এখতিয়ার থাকবে
পাটের অাঁশ ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কেউ কেউ এর কাঠি জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ পাটকাঠি দিয়ে ঘরের বেড়া দেন। অল্প কিছু এলাকায় এটি অবশ্য পানের বরজে ব্যবহার করা হয়, যাতে পানগাছ বেয়ে বেয়ে ওপরে উঠতে পারে। তবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড কার্
উত্তর : পাঠ করা যাবে। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বাবস্থায়ই আল্লাহর যিকর করতেন (বুখারী ২/৩১; মুসলিম হা/৩৭৩; মিশকাত হা/৪৫৬)।প্রশ্নকারী : সিরাজুল ইসলামনাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।বিদ্বানদের নিকটে শায়খ আলবানীর গ্রহণযোগ্যতা :ইলমে হাদীছের ময়দানে শায়খ আলবানী (রহঃ) যে অবদান রেখেছেন, সমকালীন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ ও অন্যান্য বিদ্বানগণ একবাক্যে তার স্বীকৃতি দিয়েছ
প্রতিবছর ১৪ই ফেব্রুয়ারী পালিত হয় বিশ্বভালবাসা দিবস। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ এ দিনটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে। ‘ভালবাসা দিবস’কে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী উন্মাতাল হয়ে উঠে। বাজার ছেয়ে যায় বাহারী উপহারে। পার্ক ও হোটেল- রেস্তোরাঁগুলো
সফলতা মানব জীবনে উত্তরণের একটি অন্যতম হাতিয়ার। ইহলৌকিক জীবনের নানা স্তরে প্রতিষ্ঠা অর্জন করার জন্য আমরা অবিরত সংগ্রাম করি। সংগ্রামী চেতনা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে অতুলনীয় সাহায্য করে। দীর্ঘ অধ্যবসায় বা নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে যে সফলতা লাভ করা য
উত্তর : মুসলিম দেশে বসবাসকারী অমুসলিমের জীবন, ধন-সম্পদ ও সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব মুসলিম সরকারের (মুমতাহিনা ৬০/৮)। সেক্ষেত্রে মুসলিম নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করলে কোন দোষ নেই। এর উদ্দেশ্য তাদের শিরকী কাজে সহযোগিতা নয়, বরং রাষ্ট্রের নাগরিক হ
উত্তর : প্রাণীর ছবিযুক্ত কোন পানপাত্র বা খাবারের পাত্র ব্যবহার করা অপসন্দনীয়। তবে হারাম নয় (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/২৮০; আবু ইসহাক আশ-শীরাযী, আল-মুহায্যাব ২/৪৭৮)। কারণ আয়েশা (রাঃ)-এর পর্দায় ছবি থাকায় তা কেটে বিছানার কভার বানিয়ে তিনি তা ব্যবহার করেছিলেন
উত্তর : যেকোন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম যতক্ষণ শরী‘আতবিরোধী বা যুলুম না হবে ততক্ষণ মেনে চলতে হবে। যেহেতু হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়ম মেনে চলার শর্তে অবস্থান গ্রহণ করতে হয়, অতএব তাদের দেয়া বৈধ শর্তাবলী মেনে চলা যরূরী। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগ
উত্তর : মিথ্যা বলা মহাপাপ। ব্যবসা-বাণিজ্যে মিথ্যা বললে ও কোনরূপ প্রতারণার আশ্রয় নিলে আল্লাহ তা থেকে বরকত উঠিয়ে নেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীনতা রয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা পৃথক হয়। যদি তারা সত্য
উত্তর : শিশুকে শাল দুধ পান করানোর পূর্বে তাহনীক করা সুন্নাত (নববী, আল-মাজমূ ৮/৪৪৩)। কারণ হাদীছে তাহনীক সংক্রান্ত যে সকল বর্ণনা এসেছে তার সবগুলোতে শাল দুধ পান করার পূর্বের কথা বলা হয়েছে। আবু তালহার সন্তান উম্মে সুলাইমের গর্ভে জন্মগ্রহণ করার পরেই
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ যঈফ (হাকেম হা/৭৬৩৭; যঈফাহ হা/১১৮৩)। তবে ‘আল্লাহর রহমত ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৩৪৮; ছহীহুত তারগীব হা/৩৫৯৮)।প্রশ্নকারী : ফরহাদ আলী, পশ্চিমবঙ্গ,&n
উত্তর : বীর্য অপবিত্র নয়। তাই গাঢ় বীর্য কোন কাপড়ে লেগে শুকিয়ে গেলে তা ঘষে তুলে ফেললে উক্ত কাপড়ে ছালাত আদায় করা জায়েয। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা
উত্তর : যেদিকে মুখ করে ওযূ করতে সুবিধা হবে সেদিকেই মুখ করে ওযূ করবে (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৭/০২)। কোন কোন বিদ্বান ওযূর সময় কেবলামুখী হওয়াকে মুস্তাহাব বলেছেন। তবে এর পক্ষে কোন দলীল নেই। তবে ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলা সমীচীন নয়। বরং ছালাতে
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় হারাম প্রাণীর কোন অঙ্গ মানব দেহে প্রতিস্থাপন করা যাবে না; বরং হালাল প্রাণীর কিডনী প্রতিস্থাপন করতে হবে। তবে যদি ব্যক্তির জীবন রক্ষার জন্য শূকর ব্যতীত অন্য কোন প্রাণীর কিডনী পাওয়া না যায়, তাহ’লে বাধ্যগত অবস্থায় তা জায়েয।
উত্তর : প্রথমে লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করতে হবে। সেটি বিভিন্নভাবে হ’তে পারে। যেমন খাৎনা, পোষাকের ধরন, দাড়িতে খেযাব, ধর্মীয় পরিচয় বহন করে এরূপ কোন চিহ্ন ইত্যাদি। এক্ষণে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হ’লে এলাকার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করতে হবে
উত্তর : চুরি প্রমাণিত হ’লে এবং দেশের আদালত কর্তৃক রায় ঘোষিত হ’লে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন প্রথমে তার ডান হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে দিবে। এরপর আবার করলে বাম পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত কেটে দিবে। এরপরে আবারো চুরি করলে তার বাম হাতের কব্জি পর্যন্ত কাটতে হ
উত্তর : নিজ বাসার জানালা দিয়ে বা ছাদ থেকে কিছু দেখার সময় কারো প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টি পড়লে গুনাহ হবে না। তবে সাধ্যমত দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে (সূরা নূর ৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ যদি অনুমতি প্রদানের পূর্বেই পর্দা সরিয়ে ঘরের ভেতর দৃষ্টি নিক্ষেপ
আমাদের বক্তব্য হ’ল, বাহ্যিক ধর্মীয় পরিচয় মুখ্য নয়, মূল হ’ল হৃদয়ের বিশ্বাস। আর সেটার খবর কেবলমাত্র আল্লাহই জানেন। বর্তমানে জন্মগতভাবে, আদমশুমারী অনুযায়ী এবং সামাজিক পরিচিতির কারণে মানবজাতি বিভিন্ন ধর্মীয় পরিচয়ে পরিচিত। যেমন মুসলমান, খ্রিষ্টান,
বিশ্বব্যাপী সামাজিক অস্থিরতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। মানুষের জান-মাল ও ইয্যতের নিরাপত্তা নিম্নতম পর্যায়ে চলে গেছে। পৃথিবী ক্রমেই মানুষের অবাসযোগ্য হয়ে উঠছে। তাই বান্দাদের সতর্ক করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ করোনা ভাইরাস সহ নানাবিধ গযব পাঠাচ্ছেন। দুর্ভিক
উত্তর : উক্ত মর্মে যতগুলি বর্ণনা এসেছে সবগুলিই যঈফ (তিরমিযী হা/৩২৯৪, ৩২৯৮; আহমাদ হা/১৭৭০, ৮৮২৮; বাযযার হা/৪০৭৫, সনদ যঈফ)। সেজন্য এক আসমান থেকে অপর আসমানের দূরত্বের বিষয়টি একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। এটি অদৃশ্যের বিষয়। যার উপর ঈমান আনা প্রত্যেক মু
উত্তর : বাম হাত দ্বারা কোন কিছু আদান-প্রদান করা ইসলামী শিষ্টাচারের বিপরীত এবং তা শয়তানের কাজ। সুতরাং শয়তানের কর্ম অনুসরণ করা থেকে প্রত্যেক মুসলিমের বিরত থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের প্রত্যেকে যেন ডান হাতে আহার করে, ডান হাতে পান করে,
উত্তর : তওবাকারীর তওবা যদি খাঁটি হয় এবং তা আল্লাহর কাছে কবুলযোগ্য হয়ে যায়, তবে তার আমলনামা থেকে গুনাহসমূহ মুছে ফেলা হবে (তাহরীম ৬৬/৮)। ফলে ব্যক্তির গুনাহের পাল্লা হালকা হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সৎকর্মসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে বিদূরিত করে (হূদ ১১/১১৪
উত্তর : এটি মাসিক বেতন হিসাবে নির্ধারিত। সেজন্য কোন ওযরবশতঃ এক বা একাধিক দিন না পড়িয়েও পুরো মাসের বেতন নেওয়া যাবে। তবে এসব ক্ষেত্রে দাতার পক্ষ থেকে সম্মতি থাকতে হবে। নতুবা কেউ কেউ ওযর ছাড়াই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে (যায়লাঈ, তাবঈনুল হাকায়েক ৫/১৩৪;
ভূমিকা :মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি অতি দয়াবান। তিনি সর্বদা বান্দার জন্য সহজ চান, কঠিন চান না। তিনি কারও উপর যুলুমকারী নন। সর্বদা বান্দার কল্যাণ চান। তিনি চান বান্দার সমস্ত পাপ ক্ষমা করে তাকে দ্বীনের সঠিক পথে পরিচালিত করতে। মহান আল্লাহ বলেন, يُرِيدُ ال
উত্তর : উক্ত শর্তটি মসজিদ নির্মাণের জন্য নয় বরং জামা‘আতে উপস্থিতি ওয়াজিব হওয়ার জন্য। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আযান শুনল এবং তার কোন ওযর না থাকা সত্ত্বেও জামা‘আতে উপস্থিত হ’ল না, তার ছালাত নেই (ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩; মিশকাত হা/১০৭৭; ফাৎহুল
উত্তর : এরূপ কর্ম সরকারী সম্পদ তথা জনগণের সম্পদ অবৈধভাবে ব্যবহার করা আত্মসাৎ করা বা আমানতের খেয়ানত করার শামিল। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের মাল ভক্ষণ করো না’ (নিসা ৪/২৯)। তবে খাবার হালাল হ’লে তা খাওয়াতে দোষ নেই। কিন্তু
উত্তর : অমুসলিমের রক্ত কোন মুসলমানের দেহে প্রবেশ করানোতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। মুশরিকগণ আক্বীদাগত তথা বিশ্বাসগত দিক দিয়ে অপবিত্র (তওবা ৯/২৮), তবে শারীরিক দিক দিয়ে নয়। এছাড়া অমুসলিমদেরকে রক্ত দান করতেও কোন বাধা নেই। বরং মানুষ হিসাবে মুসলিম-অমুসলিম
উত্তর : ইহূদী-খৃষ্টানদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করা নাজায়েয নয়। তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানগুলি মৌলিকভাবে হারাম নয়। বরং তা হারাম কাজে ব্যবহার করাটা হারাম। সেজন্য দ্বীনী কাজে এসব গণমাধ্যম ব্যবহার করাতে কোন দোষ নেই। তবে অবশ্যই এই মাধ্যমগুলির খারাপ দিকগুল
উত্তর : এরূপ শর্তে ব্যবসা জায়েয হবে না। কারণ উক্ত চুক্তিতে যুলুম রয়েছে। ইবনু কুদামা বলেন, এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী লোকসানের ভাগিদার হয়। অথচ বিনিয়োগকারী হয় না। অথচ লাভের ক্ষেত্রে উভয়ে সমঝোতা মোতাবেক শরীক হবে। এ বিষয়ে বিদ্বানগণের মধ্যে কোন মতভেদ আছে
উত্তর : যেকোন পেশায় অসত্য তথ্য প্রদান করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনেশুনে সত্যকে গোপন করো না (বাক্বারাহ ২/৪২)। তবে এজন্য আইনী পেশায় যুক্ত থাকা নিষিদ্ধ নয়; বরং কোনরূপ মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত থাকতে
উত্তর : পাত্রে রাখা পানিতে পরিষ্কার হাত বা পা ডুবালে পানি অপবিত্র হয় না। অতএব তাতে ওযূ করা যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ১৪/১০৩; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/২৫)। রাসূল (ছাঃ) সামান্য আটা মিশ্রিত পানি দ্বারাও গোসল করেছেন (নাসাঈ হা/২৪০; মিশকাত হা/৪৮৫; ইরওয়া হা/২৭, সন
উত্তর : কাউকে ‘জাহান্নামী’ বলা বা এই ধরনের ভাষায় গালি দেওয়া জায়েয নয়। কারণ এটা তার উপর কুফরীর অপবাদ দেওয়ার নামান্তর, যা হারাম (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৭৯; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৩৬৫, ১৩/৪২২)। এই অপবাদের দু’টি ক্ষতিকর দিক রয়েছে- (১) অপবাদটি অপব
ভূমিকা : মানব জীবনের শুরুটা যেমন অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে শুরু হয়, তেমনি তার বার্ধক্যেও নেমে আসে চরম অসহায়ত্ব। বুদ্ধি-বিবেকে যেমন ঘটে চরম পরিবর্তন, তেমনি ঘটে দৈহিক গঠনেও। এক সময় সে দাড়িবিহীন ও স্বল্প চুলের অধিকারী থাকলেও সময়ের ব্যবধানে সে হয়ে যায় সাদা চু
উত্তর : মানব চক্ষু দ্বারা দুনিয়ায় আল্লাহকে দর্শন করা অসম্ভব। তবে মুমিনগণ পরকালে জান্নাতে আল্লাহ দেখতে পাবেন। দুনিয়াতেই আল্লাহ্কে দর্শন করা বিদ‘আতী ও বাতিলপন্থীদের ভ্রান্ত দাবী। যার পক্ষে কোন দলীল নেই। এটি আল্লাহর শানের খেলাফ (ফাতাওয়া লাজনা দা
উত্তর : সরাসরি ফেরত দিতে সমস্যা থাকলে পরিচয় গোপন রেখে কারু মাধ্যমে পণ্যটি কিংবা পণ্যের মূল্য ফেরত দিবে (উছায়মীন, ফাতাওয়া ইসলামিইয়াহ ৪/১৬২-৬৫ পৃ.)।প্রশ্নকারী : আবুল কালাম, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
উত্তর : এসকল ক্ষেত্রে নির্যাতিত ব্যক্তি উক্ত অর্থের হকদার হবে। যেমন দিয়াতের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হকদার হয়ে থাকে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে সামাজিক তহবিলে এই অর্থ জমা করা যেতে পারে। যেমন উভয়ের সম্মতিতে অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকলে সামাজিক শান্তি ও
উত্তর : অতীতে ঘটে যাওয়া কিছু নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে এবং তাক্বদীরের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে ‘যদি’ শব্দ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। কারণ এতে শয়তান খুশী হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি কোন কিছু (বিপদ) তোমার উপর আপতিত হয়, তবে এরূপ বলবে না যে, যদি আমি এরূপ করতা
উত্তর : বিবাহের ব্যাপারে বর বা কনেকে বিপরীত পক্ষ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করা যাবে। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট ফাতেমা বিনতে ক্বায়েস তার বিবাহের জন্য আগত প্রস্তাবের ব্যাপারে পরামর্শ চেয়ে বলেন, মু‘আবিয়া বিন আবু সুফিয়ান এবং আবু জাহাম আমার বিবাহের পয়গা
উত্তর : মাথার চুল স্বাভাবিকভাবে কাটতে হবে। এমনভাবে চুল কাটা যাবে না যাতে অশালীনতা ও উগ্রতা প্রকাশ পায়। একদা নবী করীম (ছাঃ) দেখলেন যে, একটি শিশুর মাথার কিছু অংশ কামানো আর কিছুটা অবশিষ্ট আছে। তিনি তাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করে বললেন, হয় সবটুকু কা
উত্তর : ইভ্যালী, আলিশা মার্ট প্রভৃতি ই-কমার্স সাইট অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের আধুনিক প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৪৫ দিন বা নির্দিষ্ট মেয়াদে পণ্য সরবরাহের চুক্তিতে অগ্রিম টাকা জমা দিতে হয় এবং বিনিময়ে বাযারমূল্য থেকে বিশাল অংকের লোভনীয় ছাড় দেওয়া হয়। আর নির্দ
عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ عَنْ رَسُولِ اللهِ -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- أَنَّهُ قَالَ : أَلاَ إِنِّى أُوتِيتُ الْكِتَابَ وَمِثْلَهُ مَعَهُ أَلاَ يُوشِكُ رَجُلٌ شَبْعَانُ عَلَى أَرِيكَتِهِ يَقُولُ عَلَيْكُمْ بِهَذَا الْقُرْآنِ فَمَا
عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ- صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يَقُولُ : لاَ يَبْقَى عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ بَيْتُ مَدَرٍ وَلاَ وَبَرٍ إِلاَّ أَدْخَلَهُ اللهُ كَلِمَةَ الإِسْلاَمِ بِعِزِّ عَزِيزٍ أَوْ ذُلِّ ذَلِيلٍ
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- إِنَّ اللهَ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلاَلِى الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِى ظِلِّى يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلِّى-অনুবাদ : হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- إِنَّ عِظَمَ الْجَزَاءِ مَعَ عِظَمِ الْبَلاَءِ وَإِنَّ اللهَ إِذَا أَحَبَّ قَوْمًا ابْتَلاَهُمْ فَمَنْ رَضِىَ فَلَهُ الرِّضَا وَمَنْ سَخِطَ فَلَهُ السَّخَطُ-অনুবাদ : হযরত আনাস (রা
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ بِالْقِسْطِ شُهَدَآءَ لِلَّهِ وَلَوْ عَلَى أَنْفُسِكُمْ أَوِ الْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ إِنْ يَكُنْ غَنِيًّا أَوْ فَقِيرًا فَاللهُ أَوْلَى بِهِمَا فَلاَ تَتَّبِعُوا الْهَوَى أَنْ تَعْدِلُوا وَإِن
فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِالْجُنُودِ قَالَ إِنَّ اللهَ مُبْتَلِيكُمْ بِنَهَرٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّي وَمَنْ لَمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُ مِنِّي إِلاَّ مَنِ اغْتَرَفَ غُرْفَةً بِيَدِهِ فَشَرِبُوا مِنْهُ إِلاَّ قَلِيلاً مِنْهُمْ فَلَمَّا جَ
يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ- قُمْ فَأَنْذِرْ- وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ- وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ- وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ- وَلاَ تَمْنُنْ تَسْتَكْثِرُ- وَلِرَبِّكَ فَاصْبِرْ-‘হে চাদরাবৃত!’ (১) ‘ওঠ! সতর্ক কর’ (২) ‘আর তোমার পালনকর্তার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর’ (৩) ‘তো
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولَ اللهِ -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- يُجَاءُ بِالرَّجُلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُلْقَى فِى النَّارِ، فَتَنْدَلِقُ أَقْتَابُهُ فِى النَّارِ، فَيَدُورُ كَمَا يَدُورُ الْحِمَارُ بِرَحَاهُ، فَيَجْتَمِعُ أ
উত্তর : চিকিৎসা মানুষের মৌলিক চাহিদা সমূহের অন্তর্ভুক্ত, যা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই একান্ত প্রয়োজন। সেকারণ নারীদের জন্য নারী এবং পুরুষদের জন্য পুরুষ চিকিৎসক ও নার্স থাকা এবং হাসপাতালগুলিতে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক বিভাগ থাকা আবশ্যক। এরূপ ব্য
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) নিজে সর্বদা দাজ্জালের ফিৎনা থেকে পানাহ চেয়েছেন। তিনি স্বীয় উম্মতকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং তার অনিষ্ট থেকে পানাহ চাওয়ার দো‘আ শিখিয়েছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৫৯ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়)। কেবল আমাদের নবীই নন বরং সকল নবীই
উত্তর : ওযূ করার সময় ক্বিবলামুখী হওয়াকে অধিকাংশ বিদ্বান মুস্তাহাব বলেছেন, ওয়াজিব বলেননি (নববী, আল মাজমূ‘ ১/৪৬৫)। কিন্তু মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে কোন হাদীছ বা আছার পাওয়া যায় না। সুতরাং মুছল্লী যে দিকে মুখ করে ওযূ করতে স্বাছন্দ্য বোধ করবে, সেদিকে মুখ
উত্তর : জানার পরে চোরাই মাল ক্রয় করা নিষিদ্ধ। তবে অজ্ঞাত অবস্থার কথা ভিন্ন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘পাপ এবং অন্যায়ের কাজে তোমরা একে অপরের সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ২)।প্রশ্নকারী : জাহিদুল ইসলাম, সবুজবাগ, ঢাকা।
উত্তর : দুধ ভাই ও বোন থেকে ততটুকু পর্দা করবে যতটুকু নিজ ভাই ও বোন থেকে করা আবশ্যক। অর্থাৎ দুধ ভাই দুধ বোনের হাত, পা, মাথা, মুখমন্ডল ও চুল দেখতে পারে যেমন অন্যান্য মাহরামরা দেখতে পারে। আল্লাহ বলেন, তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে,
উত্তর : নিফাসের সময়সীমা চল্লিশ দিন পূর্ণ করা আবশ্যক নয়। বরং যখনই নিফাস বন্ধ হবে, তখনই পবিত্র হয়ে ছালাত ও ছিয়াম আদায় করবে। কারণ নিফাসের সর্বোচ্চ সময়সীমা চল্লিশ দিন ও রাত হ’লেও সর্বনিম্ন সময়সীমা নির্ধারিত নেই (আবুদাউদ হা/৩১১; ইরওয়া হা/২১১; নববী,
উত্তর : মসজিদ ও ঈদগাহের মত পবিত্র স্থানের সম্মান ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বিনষ্ট হয়, এমন কোন খেলা-ধুলা জায়েয নয়। তবে সাধারণ খেলা-ধূলা বা শরীরচর্চা যা ছালাতের সময় নষ্ট করে না, সেগুলি জায়েয। রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় হাবশী যোদ্ধারা মসজিদে শরীর চর্চা
উত্তর : পিতা-মাতা এমন দু’ব্যক্তি যাদেরকে উহ্ শব্দ দ্বারাও কষ্ট দেয়া যাবে না। এক্ষণে খারাপ আচরণের কারণে ক্ষমা নিতে না পারলে করণীয় হ’ল নিজে তওবা করা, মায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা ও তার জন্য দান করা ইত্যাদি। হাদীছে এসেছে, বনু সালিমা গোত্
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি নিতান্তই যঈফ (ইরওয়াউল গালীল হা/১১১, ৪/৩০৮ পৃঃ)। ইমাম নাসাঈ বলেন, হাদীছটি পরিত্যক্ত। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, হাদীছটি ‘মুনকার’ বা অগ্রহণযোগ্য (ইরওয়া, ঐ)। বরং স্পর্শ করত চুম্বন করা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী, মি
উত্তর : এটা ঘুষ হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সুফারিশ করার দরুণ যে ব্যক্তি সুফারিশকারীকে উপহার দেয় এবং (তার থেকে) সে ঐ উপহার গ্রহণ করে তাহ’লে সে ব্যক্তি সূদের দ্বারসমূহের মধ্য থেকে একটি বৃহৎ দ্বারে উপনীত হবে (আবুদাউদ হা/৩৫৪৭; ছহীহাহ হা/৩৪৬৫)। তবে কাউক
উত্তর : উপমহাদেশে সম্মানসূচক সম্বোধন হিসাবে ‘মাওলানা’ (আমাদের বন্ধু/অভিভাবক) বলা হয়ে থাকে (ফীরোযুল লুগাত)। ‘মাওলানা’ এমন একটি শব্দ যা আল্লাহ এবং বান্দা উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দাস তার মালিককে যেন আমার মাওলা না বলে। কারণ তোমাদ
উত্তর : ওযূ করার সময় ক্বিবলামুখী হওয়াকে অধিকাংশ বিদ্বান মুস্তাহাব বলেছেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ১/৪৬৫; হাশিয়াতু ইবনু আবেদীন ১/১২৫; ইবনুল মুফলেহ, আল-ফুরূ‘ ১/১৫২)। কিন্তু মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে কোন দলীল পাওয়া যায় না। সুতরাং মুছল্লী যে দিকে মুখ করে ওযূ করত
উত্তর : দো‘আ পাঠে অবহেলার কারণে অথবা মানসিক কারণে এমনটি হ’তে পারে। তবে কেউ জাদু-টোনা করে থাকলে তা নষ্ট করে দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ)-কে যাদু করা হ’লে ততক্ষণ তিনি সুস্থ হ’তে পারেননি, যতক্ষণ না জাদুকৃত বস্ত্ত দূর করা হয় (বুখারী হা/৩২৬৮; মুসলিম হা/২১৮
উত্তর : জমির মালিকের সাধারণ অনুমতি থাকলে কিংবা এলাকায় প্রচলন থাকলে ঘাস খাওয়ানো বা চরানোয় কোন বাধা নেই। আর জমির নির্দিষ্ট মালিক না থাকলে বা সরকারী খাস জমি যেমন রাস্তার দু’পাশ বা নদীর পাড়সমূহে পশু চরানোতে কোন দোষ নেই (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৪১৮)।
উত্তরঃ জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য অস্ত্রোপচার করানো গুনাহের কাজ। কিন্তু এ গুনাহের কারণে কেউ অমুসলিম হয় না। অতএব প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি যেহেতু একজন মুসলিম সেহেতু তার পিছনে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি অধিকাংশ মুছল্লী শরী‘আত সম
উত্তরঃ কোন অমুসলিম যদি সালাম দেয় তাহ’লে তার উত্তরে শুধুমাত্র ‘ওয়া‘আলায়কা’ অথবা ‘ওয়া‘আলায়কুম’ বলতে হবে (বুখারী ‘কিতাবুল ইসতিযান’ হা/৬২৫৭, ‘কিতাবু ইসতিতাবাতুল মুরতাদ্দীন’ হা/৬৯২৮; মুসলিম হা/২১৬৪; ছহীহ আবূদাঊদ হা/৫২০৬; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৬৯৭)।
উত্তরঃ কাদিয়ানীরা যেহেতু নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে সর্বশেষ নবী হিসাবে স্বীকার করে না, সেহেতু তারা মুসলিম নয়, কাফির। কাফিরদের সাথে যেমন সম্পর্ক রাখা যায় না, অনুরূপভাবে তাদের সাথেও সম্পর্ক গড়া যাবে না (নিসা ৪/১৪৪, মায়েদা ৫/৫১, ৫৭)। যে তাদের সাথে বন্
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, প্রথম আঘাতে টিকটিকি মারতে পারলে ১০০ নেকী, দ্বিতীয় আঘাতে তার চেয়ে কম, তৃতীয় আঘাতে মারতে পারলে তার চেয়েও কম নেকী পাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১২১)। এর কারণ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, টিকটিকি ইবর
উত্তরঃ যে ব্যক্তি অন্য সব দ্বীন থেকে বিমুখ হয়ে সত্য দ্বীনের দিকে অগ্রসর হয় তাকেই হানীফ বলে। আবার একনিষ্ঠ এবং এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে এমন ব্যক্তিকেও হানীফ বলে। এছাড়া আল্লাহর নির্দেশাবলী মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে যে নিজেকে সমর্পণ করে তাকেইও হান
উত্তরঃ উক্ত হাদীছটি যঈফ (যঈফ তিরমিযী হা/৩৬০৪; যঈফাহ হা/১৩৬২)। তবে আল্লাহর কাছে সর্বদা চাইতে হবে অন্যথা তিনি বান্দার উপর রাগান্বিত হন। আর আল্লাহর কাছে চাওয়া অধিক মর্যাদাকর বিষয় (তিরমিযী হা/৩৩৩৬, ৩৩৭০; মিশকাত হা/২২৩২)।
উত্তরঃ দেওয়া যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ঘুমানোর সময় চোখে ‘ইছমাদ’ সুরমা লাগাও। এতে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং ভ্রুতে নতুন লোম গজায়’ (ইবনু মাজাহ, হাকেম, আহমাদ, ইবনু হিববান, ছাহীহাহ হা/৭২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০৫৪)।
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এছাড়া ইমাম ছাহেব এক ওযূতে ফজর পড়েছেন ৪০ বছর যাবৎ (২) তিনি প্রতি রাক‘আতে এক খতম কুরআন পড়তেন (৩) প্রতি রাতে এশার হাযার রাক‘আত ছালাত পড়তেন (৪) যে স্থানে তাঁর মৃত্যু হয়, সে স্থানে তিনি সাত হাযার বার কুরআন খ
উত্তরঃ মানুষ মারা যাওয়ার পর কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) মারা গেলে তাঁকে একটি সূতী কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিল (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬২০ ‘জানাযা’ অধ্যায়)।
আল্লাহ্ বলেন, ‘জলে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, মানুষের কৃতকর্মের জন্য, আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাত চান, যাতে তারা ফিরে আসে’ (রূম ৩০/৪১)।সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন’। যাকে কেন্দ্র করে কেউ
উত্তরঃ মানুষ যত দিন খুশী নিজ খোরাকির খাদ্য জমা করে রাখতে পারে। রাসূলুলাহ (ছাঃ)-এর পরিবারে এক বছরের খাদ্য জমা করে রাখা হ’ত। তবে সমাজে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির কপট উদ্দেশ্য হ’লে ঐ ব্যক্তি গোনাহগার হবে (মুসলিম হা/১৬০৫; মিশকাত হা/২৮৯২)।
মানুষ স্বাধীন সত্তা হিসাবেই জন্মগ্রহণ করে। সে স্বাধীনভাবেই হাসে-কাঁদে ও চলাফেরা করে। যার যা স্বভাব ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টি করেন, সে সেই স্বভাব ও বুদ্ধিমত্তা নিয়েই চলে। কিন্তু যখন সে বড় হয় এবং তার কথা ও কর্ম সমাজে প্রভাব ফেলে, তখন স্ব
উত্তরঃ এ মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তাছাড়া সব সত্য কথাই তিতা এমন কথাও সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সত্য কথা বল যদিও তা তিতা হয়’ (আহমাদ, মিশকাত হা/৫২৫৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৬৬)।
উত্তরঃ দাজ্জালকে ঈসা (আঃ) বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নিকটবর্তী ‘লুদ্দ’ নামক শহরের প্রধান ফটকে হত্যা করবেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫)।
উত্তরঃ দাজ্জালকে ঈসা (আঃ) বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নিকটবর্তী ‘লুদ্দ’ নামক শহরের প্রধান ফটকে হত্যা করবেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫)।
উত্তরঃ স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া রৌপ্যের আংটি ব্যবহার করা বৈধ নয়। তবে ইমিটেশন অলংকার বৈধ (ছহীহ নাসাঈ হা/৫১৪৩)।
উত্তরঃ অমুসলিমের হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে। তবে শর্ত হচ্ছে পোষাকটি যেন তাদের কোন ধর্মীয় নিদর্শন বহন না করে এবং অনৈসলামিক প্রভাব সৃষ্টি করবে এরূপ সম্ভাবনা না থাকে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭)। ছালাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য কাপড় পবিত্র হওয়া শর্ত। অতএব পবিত
উত্তরঃ অমুসলিম প্রতিবেশীর সাথে সামাজিক লেনদেন করা যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে না এবং তোমাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয় না আল্লাহ তাদের সাথে সদাচরণ করতে এবং তাদের সাথে ইনছাফ করতে নিষেধ করেন না’ (মুমতাহানা ৮)। তবে তাদের ধর্ম
মানবতার হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে কালক্রমে ১ লক্ষ ২৪ হাযার নবী-রাসূল আগমন করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ছিলেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। তাঁর পরে আর কোন নবী আসবেন না। তিনি মানুষকে সত্য-সুন্দরের পথ, কল্যাণের পথ দেখিয়ে গেছেন। মুসলিমের সতত সাধনা সেই হেদায়াত লাভ করা,
পৃথিবীতে মানবজাতি মহান আল্লাহ তা‘আলার এক অনন্য সৃষ্টি। শ্রেষ্ঠ কাজ করার জন্যই মানুষের সৃষ্টি। মহাজ্ঞানী আল্লাহ তাঁর একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেন। অতঃপর শ্রেষ্ঠত্বের এক সম্মানজনক আনুষ্ঠানিকতা পালনের ইচ্ছ
উত্তরঃ কসমের কাফফারা হচ্ছে ১০ জন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করা অথবা একজন দাসকে মুক্ত করা কিংবা তিনদিন ছিয়াম পালন করা (মায়েদাহ ৫/৮৯)। আল্লাহ এখানে পর পর ছিয়াম পালনের কথা বলেননি। কাজেই কসমের কাফফারার ছিয়াম পালন করার সময় বিশেষ কারণে একটি ছুটে গেলে তার জ
বায়ু সর্বদা প্রবাহিত হয়, পানি সবকিছুকে ভিজিয়ে দেয়, আগুন সবকিছুকে জ্বালিয়ে দেয়, এগুলিই ওদের ধর্ম। ওরা নীরবে ওদের ধর্ম মেনে চলে, যতক্ষণ না সৃষ্টিকর্তার অন্য কোন হুকুম আসে। যেমন আগুন ইবরাহীমকে পোড়ায়নি, নদী ইউনুসকে ডুবিয়ে মারেনি। বায়ু সুলায়মানকে
উত্তরঃ এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/৪৯০৩)। তবে হিংসা করা একটি জঘন্যতম অপরাধ। এই অভ্যাস শরী‘আতের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫০২৮)। এ বিষয়ে বহু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
উত্তরঃ দাড়ি কেটে ফেলা শারঈ নির্দেশকে অমান্য করার শামিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি পূর্ণভাবে ছেড়ে দাও ও গোঁফ পূর্ণভাবে ছেটে ফেলো’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১ ‘পোষাক’ অধ্যায় ‘চুল অাঁচড়ানো’ অনুচ্ছেদ)। দাড়ি
উত্তরঃ প্রথমত জানতে হবে যে সেটা সূদমুক্ত ঋণ কি-না। সূদমুক্ত হ’লে এ ঋণ নেয়া যাবে। এই ঋণ যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারলে সরকার কর্তৃক যে বিশেষ ছাড় দেয়া হবে তাও গ্রহণ করা যাবে। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে তা হবে পুরস্কার স্বরূপ। যার সাথে সূদের কোন সম্পৃক্ত
উত্তরঃ আল্লাহ্ কারো দো‘আ প্রত্যাখ্যান করেন না। বাহ্যিকভাবে কবুল না হ’লেও হয়ত সে দো‘আর মাধ্যমে আল্লাহ্ দো‘আকারীকে অন্য বিপদ থেকে রক্ষা করেন (ছহীহ তিরমিযী হা/৩৩৮১; মিশকাত হা/২২৩৬, সনদ হাসান)। তাই বাচ্চা না নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সঠিক নয়। এমন
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ... একটি মাত্র দল জান্নাতে যাবে। আর সে দলটির পরিচয় হিসাবে তিনি বলেন, আমি এবং আমার ছাহাবীগণ যার উপর আছি’ (ছহীহ তিরমিযী হা/২৬৪১; মিশকাত হা/১৭১)। অতএব রাসূল ও ছাহাবীদের গুণাবলী সম্পন্ন জান্নাতী দলে অন্তর্ভুক্ত হ’
উত্তরঃ জোরপূর্বক ২০% বেশী নেয়া যুলুম করার শামিল। অতএব তা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে বাকীতে এক দাম আর নগদে এক দাম এভাবে বিক্রি করা জায়েয আছে (আবুদাঊদ হা/৩৪৬১; আওনুল মা‘বূদ হা/৩৪৫৭-এর আলোচনা ৯/২৩৮)। ক্রেতা এক্ষেত্রে তার সামর্থ্য অনুযায়ী যে মূল্যে
উত্তর : শব্দটি সোহেল নয় বরং সোহাইল سُهَيْل অর্থ উজ্জ্বল তারকা বিশেষ। রানা শব্দটি রাজপুত হিন্দু রাজাদের উপাধি। এটি ইসলামী নাম নয়। তবে শুধু سُهَيْل নাম রাখা যায়।
উত্তর : এরূপ করা জায়েয নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা খাও এবং পান কর। তবে অতিরিক্ত খেয়ো না ও পান কর না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিরিক্ত করা পসন্দ করেন না’ (আ‘রাফ ৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা খাও, পান কর, পরিধান কর এবং দান কর। তবে অতিরিক্ত কর না এবং অহংকা
উত্তর : সৎ উদ্দেশ্যের বিষয়টি পিতা-মাতাকে সাধ্যমত বুঝাতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, পিতা-মাতার সন্তুষ্টি হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি, আর পিতা-মাতার অসন্তুষ্টি হচ্ছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৯২৭)। তবে পিতা-মাতা যদি শরী‘আত বিরোধী কোন আদেশ দ
উত্তরঃ পুরুষ বড় চুল রাখতে পারে। তবে চুলের পরিমাপ আছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাথায় তিন ধরনের চুল থাকত। জুম্মা, লিম্মা ও ওয়াফরা। সবচেয়ে বড় হ’ল জুম্মা যা কাঁধের উপর ঝুলে পড়ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৩৫)। তার চেয়ে ছোট লিম্মা যা প্রায় কাঁধের ক
উত্তরঃ বাহাইয়াহ্ নামে একটি ঈমান বিধ্বংসী ভ্রান্ত বাতেনী মতবাদ রয়েছে। এর প্রবর্তক হচ্ছে মিরযা হুসাইন আলী মাযেনদারানী (১২৩৩-১৩০৯ হিজরী)। সে ইরানে ‘‘নূর’’ নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে। ৭৫ বছর বয়সে সে পাগল হয়ে মারা যায়। সে নিজেকে বাহাউল্লাহ্ হিসাবে
উত্তরঃ বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে এরূপ বর্ণিত হ’লেও এর কোন ছহীহ ভিত্তি নেই। এরূপ ভাবার্থের একটি হাদীছ তিরমিযীতে এসেছে, কিন্তু সেটাও ছহীহ নয় (যঈফ তিরমিযী হা/৩২৯৮; সূরা হাদীদ ২ ও ৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। এ ব্যাপারে আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।
উত্তরঃ উক্ত হাদীছে ঐ রাসূল বা দূতের নাম উল্লেখ করা হয়নি (সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৪৩৪)। এ ব্যাপারে আল্লাহই ভাল জানেন।
উত্তরঃ ‘আখেরী চাহারশম্বা’ কথাটি ফার্সী। ইরান, ইরাক, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশে আরবী ছফর মাসের শেষ বা চতুর্থ বুধবারকে ‘আখেরী চাহারশম্বা’ বলা হয়ে থাকে এবং দিবস হিসাবে পালন করা হয়। কথিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) (মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে) এদিনে রোগযন
উত্তরঃ কালো খেযাব বা কলপ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা সাদা চুল কালো করা থেকে বেঁচে থাক’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪২৪)। তিনি আরো বলেছেন, ‘শেষ যামানায় এমন কিছু লোক হবে যারা কবুতরের বক্ষের ন্যায় কালো
উত্তরঃ পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও ছহীহ হাদীছ সমূহে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে। যেমন আল্লাহর চেহারা (আর-রহমান ২৭), তাঁর দুই হাত (ছোয়াদ ৭৫; মায়েদাহ ৬৪), তাঁর চোখ (তূর ৪৮) আছে বলে কুরআন মজীদে উল্লেখিত হয়েছে। অনুরূপভাবে হাদীছে এসেছে, আল
উত্তরঃ কালেমা ত্বাইয়েবা হচ্ছে لا إله إلا الله ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অর্থ: ‘নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত’। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, الكلمة الطيبة لا إله إلا الله ‘কালেমায়ে ত্বাইয়েবাহ’ হ’ল, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে
উত্তর : হাদীছটি অনুরূপ নয়। ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতের দু’টি দলকে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তার একটি হচ্ছে যারা হিন্দুস্থানবাসীদের সাথে যুদ্ধ করবে। আর একটি হচ্ছে যারা ঈসা (আঃ)-এর সাথে থাকবে (নাসাঈ হা/
উত্তর : হাদীছে সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে বিবাহ করতে বলা হয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০)। মোহরসহ স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও বাসস্থান সবই এর অন্তর্ভুক্ত। তাই সম্ভব হলে পৃথক বসবাসের ব্যবস্থা করবে। অন্যথা একই পরিবারে নারী ও পুরুষ প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। কারণ আদম সৃষ্টির ঘটনা থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, মানুষের আগে আল্লাহ জিনকে সৃষ্টি করেছেন। আর জিনের পূর্বে ফেরেশতাকে সৃষ্টি করেছেন। আর ফেরেশতারা যা দাবী করেন তাতে আদম প্রথম মানুষ (বাক্বারাহ ৩০)। আনাস (রাঃ) বলেন, রাস
পৃথিবীর প্রতিটি গৃহে প্রত্যেক ব্যক্তি সন্তান কামনা করে। সন্তানের উপস্থিতি যেমন কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি গৃহের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। তাই যে গৃহে নিষ্পাপ শিশুর কল-কাকলি থাকে না, সে গৃহের শোভা ও সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। শিশুর শোভা ও সৌন্দর্য সম্পর্ক
উত্তরঃ গরীব-দুস্থ বলে ঘৃণা করা অহংকারের পরিচয়। আল্লাহ অহংকারীকে পসন্দ করে না (লোক্বমান ১৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যার অন্তরে সরিষাদানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে যাবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৭)।
উত্তরঃ শাক্বীক্ব ইবনু সালামা একজন তাবেঈ। তাঁর থেকে এরূপ দো‘আ সাব্যস্ত হয়েছে এবং আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ ও ওমর (রা) হ’তেও বর্ণিত হয়েছে। সূরা রা‘দের ৩৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে এবং বিভিন্ন আক্বীদা সংক্রান্ত গ্রন্থে তা উল্লেখ কর
উত্তরঃ কালেমা হিসাবে আমরা যেসব নাম অবগত সেগুলো পরবর্তী আলেমদের দেয়া। আল্লাহর সাক্ষ্য যুক্ত বাক্য হ’ল কালেমা ত্বাইয়েবা যেমন- لاإله إلاالله (ইবরাহীম ২৪ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। আর আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সাক্ষ্য যুক্ত বাক্য হ’ল কালেমা শাহাদাত যেমন-أش
উত্তরঃ বাড়িতে এসে কছর করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মদীনা থেকে মক্কায় গিয়ে কছর করতেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৬)।
উত্তরঃ যৌথ সংসারের কেউ এমন করলে তা খিয়ানত হবে, যাতে বড় গুনাহ হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি খিয়ানত করল সে আমার শরী‘আতের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (তিরমিযী হা/১৩১৫)।
উত্তরঃ ‘ফাযায়েলে আমল’ ও ‘ফাযায়েলে ছাদাক্বা’ ও এ জাতীয় বইগুলোতে বহু যঈফ ও জাল হাদীছ এবং ছহীহ হাদীছের অপব্যাখ্যা রয়েছে। উক্ত বইগুলোতে যা রয়েছে তা হেদায়াত থেকে মানুষকে অনেক দূরে সরিয়ে দেয়। এ সমস্ত ফাযায়েল ছেড়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অধ্যয়ন কর
স্বদেশমিসরে হিফয প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী ছাত্রের প্রথম স্থান অর্জনমিসরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ২০০৯-১০ সেশনে হিফয প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী ছাত্র হাফেয মুহাম্মাদ গোলামুর রহমান প্রথম স্থান অর্জন করেছে। গত ১৮ জুলাই কায়রোর নাসের সিটির আল-আযহার
গত সংখ্যার সাধারণ জ্ঞান (আন্তর্জাতিক)-এর সঠিক উত্তর১। ট্রিগভেলি২। নরওয়ে।৩। দ্যাগ হেমারশোল্ড (১৯৬১)।৪। মহাসচিব।৫। নিরাপত্তা পরিষদের।গত সংখ্যার মেধা পরীক্ষা (ধাঁধা)-এর সঠিক উত্তর১। জাল।২। চিতল মাছ।৩। ছাতা৪। ছবি বা প্রতিবিম্ব।৫। কচুর পাতা।চলতি সংখ্যার স
(২) পিতার নিকট থেকে প্রাপ্ত অধিকারসমূহ :সন্তানের প্রতি পিতার দায়িত্ব অত্যন্ত কঠিন এবং দীর্ঘমেয়াদী। মাতৃগর্ভে সন্তানের সঞ্চারণ শুরু হবার সময় হ’তে বড় হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁর দায়িত্ব অব্যাহত থাকে। এজন্য ইসলাম দাম্পত্য জীবনের ব্যয়ভার বহ
উত্তর : উক্ত আয়াতের অর্থ হল, ‘আর আল্লাহর জন্যই পূর্ব এবং পশ্চিম। সুতরাং যে দিকেই তোমরা মুখ ফিরাও সেই দিকেই আল্লাহর চেহারা রয়েছে’।উল্লেখ্য যে, তাফসীর মাআরেফুল কুরআনের বঙ্গানুবাদে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান’। আল্
উত্তর : এধরনের জঘন্য কর্মের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি খাদ্যের দাম বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাদ্য মজুত করে সে মহাপাপী’ (মুসলিম হা/৪২০৬; মিশকাত হা/২৮৯২)। এরূপ ব্যবসায়ী মহল, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বড় ধরনের প্রতারক ও ধো
উত্তর : আপনার জানাটা ভুল এবং উক্ত মাওলানার দাবীই সঠিক। ‘আবাবীল’ শব্দটি বহুবচন। এর অর্থ ঝাঁকে ঝাঁকে, পাখির দল। উক্ত পাখির কোন নাম উল্লেখ নেই। এই পাখি আল্লাহ প্রেরিত গযবের পাখি, যা আরবরা পূর্বে বা পরে কখনো দেখেনি (তাফসীরে কুরতুবী ২০/১৩৫
উত্তর : চিল্লায় যাওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম সবচেয়ে বেশী দাওয়াতী কাজ করেছেন কিন্তু তারা চিল্লা নামে ৪০ দিনের কোন সীমা নির্ধারণ করেছেন মর্মে দলীল পাওয়া যায় না। অনুরূপভাবে তিন চিল্লা, বছর চিল্লা, জীবন চিল্লারও কোন অস্ত
উত্তর : বাথরুমে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা যাবে না এমনটি নয়। বরং পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায় কোন ইবাদত করা যাবে না। এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে কেউ সালাম দিলে তিনি উত্তর দিতেন না। তিনি প্রয়োজন সেরে উঠে পরে উত্তর দিতেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকা
উত্তর : খাৎনার অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং এর দাওয়াতও খাওয়া যাবে না। কারণ এগুলো কুসংস্কার, যা সমাজ থেকে তুলে দেয়া যরূরী। খাৎনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত এবং ইসলামী নিদর্শন সমূহের অন্যতম। যা সন্তানের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেখানে কোন
উত্তর : বক্তব্য সঠিক হ’লে ছেলে সহ প্রশ্নকারীর কঠিন শাস্তি হওয়া আবশ্যক। যা সূরা মায়েদার ৩৩ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। অনুবাদ : ‘যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সাথে লড়াই করে এবং পৃথিবীতে বির্পযয় সৃষ্টি করে বেড়ায় তাদের জন্য নির্ধারিত শাস্তি এই যে
উত্তর : সকল নেকীর কাজের দ্বারা মানত করা যায়। মানত হচ্ছে যরূরী নয় এমন কিছু কাজকে নিজের উপর যরূরী করে নেয়া। নেকীর কাজের মানত করলে তা পালন করতে হবে। আর পাপের কাজের মানত করলে তা পালন করতে হবে না (বুখারী, মিশকাত হা/৩৪২৭)। শিরক ও বিদ‘আতী কো
উত্তর : কুঁচে, চিংড়ি, কচ্ছপ ও তার ডিম রুচি হ’লে খাওয়া যায়। কারণ এগুলো পানিতে বসবাস করা প্রাণী। আর পানির শিকার (যা হিংস্র নয়) হালাল। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য সাগরের শিকার হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৯৬)। তবে ব্যাঙ খাওয়া জায়েয নয়। কার
উত্তর : সাধারণভাবে কোন অমুসলিমকে ঘর ভাড়া দেওয়া যাবে। তবে যদি সেখানে দেব-দেবী, মূর্তি-প্রতিমা রাখা হয় বা পূজা করা হয়, তবে সে ব্যক্তির নিকটে ঘর ভাড়া দেওয়া উচিত নয়। কেননা তখন হারাম কাজে সহযোগিতা করা হবে, যা শরী‘আতে নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ২)।
উত্তর : বিষয়টি বুঝতে ভুল হয়েছে। রাসূলের সরাসরি নানার গোত্র ছিল মক্কার বনু যোহরা। যা ছিল কুরায়েশদের একটি সম্ভ্রান্ত গোত্র। আর তারাই উক্ত বৈঠকে হাযির ছিল। পক্ষান্তরে মদীনার বনু নাজ্জার ছিল রাসূলের দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিবের নানার গোত্র। কেন
উত্তর :কুরআনকে আল্লাহ ‘কুরআনুল কারীম’ (ওয়াক্বি‘আহ ৪৪) ও ‘কুরআনুম মাজীদ’ (বুরূজ ২১), কুরআনুল হাকীম (ইয়াসীন ২) বলেছেন। সুতরাং এ শব্দগুলিই ব্যবহার করা উচিত। ‘শরীফ’ শব্দটি আরবী, এর অর্থ মর্যাদাপূর্ণ। ভাবার্থের দিক দিয়ে কুরআন,
উত্তর : স্পষ্ট সূদের আওতায় পড়বে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ঋণ গ্রহিতা থেকে উপকার নিতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে’ (ইরওয়া ৫/২৩৪, হা/১৩৯৭)। সুতরাং কর্য দিয়ে তা থেকে লাভ নেওয়া হারাম। এক্ষণে ইমাম সূদ গ্রহণ করলে সে ফাসিক (পাপাচারী) হবে। কেননা সূদকে আ
উত্তর : সাত আসমানের চেয়ে আল্লাহ্র আরশ বড় একথা ঠিক (ইবনু আবী শায়বা, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০৯)। কিন্তু আরশের চেয়ে আল্লাহ বহুগুণ বড় এ কথা বলা যাবে না। কারণ এর দ্বারা আল্লাহকে তাঁর সৃষ্টির সাথে তুলনা করা হয়। অথচ তাঁর সাথে তাঁর কোন সৃষ্টিকে ত
উত্তর : ছেলেকে তাজ্যপুত্র করা যাবে না। ভাল করার প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ্র ভয় দেখাতে হবে (আহমাদ, মিশকাত হা/৬১)। স্ত্রীকেও ভাল উপদেশ দিতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩২৩৮)। শেষ পরিণতি হিসাবে তাকে তালাক দিতে হবে (মুসলিম,
পার্থিব জীবনে আমরা যেকোন কাজই করি, তা জেনে বুঝে, যাচাই-বাছাই করে সম্পাদন করি। একজন পাগল মানুষকেও যদি জ্বলন্ত আগুনে ঝাপ দিতে বলা হয়, তাহ’লে সেও আগুনে ঝাপিয়ে পড়বে না। কারণ আগুনে পড়লে পুড়ে যাবে, মরে যাবে, এ জ্ঞান তার আছে। সুতরাং দুনিয়াবী জীবনে ম
উত্তর : বৈধ অনেক খেলা সাধারণভাবে জায়েয হলেও যদি তা অনর্থক সময় নষ্টের কারণ হয় বা ইবাদতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। বর্তমানে মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইসে রক্ষিত গেম সমূহ এর অন্তর্ভুক্ত। যাতে বিনোদনের চাইতে ক্ষতি বেশী রয়েছে। তাছাড়া এতে ইবাদত পা
উত্তর : সুখী হওয়ার একমাত্র উপায় হ’ল তাক্বদীর ও তাওয়াক্কুল। অর্থাৎ সর্বাবস্থায় আল্লাহর ফয়ছালা তথা তাক্বদীরকে মেনে নিতে হবে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহর সিদ্ধান্তের মধ্যে অবশ্যই কল্যাণ রয়েছে। অতঃপর সকল কাজে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহ বলেন,
উত্তর : সরকারের সিদ্ধান্ত যদি কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী না হয় এবং নাগরিকদের প্রতি যুলুম না হয়, তবে তা মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য (নিসা ৪/৫৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর নাফরমানীর নির্দেশ দেওয়া না হয়, ততক্ষণ পসন্দনীয় ও অপসন্দনীয় সব
উত্তর : সরকার কর্তৃক প্রদত্ত উৎসাহমূলক ভাতা গ্রহণে বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) সূদখোর ইহূদী-নাছারা ও মুশরিকদের হাদিয়াও গ্রহণ করতেন (বুখারী ৯/৩৮৪; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/২৪৩)। তবে যে উপলক্ষ্যে হাদিয়া প্রদান করা হয়ে, সে উপলক্ষ্য যদি হারাম হয়, তাতে অংশগ্রহণ করা
উত্তর : চার মাযহাবের বিদ্বানগণের মতে, স্বামীর দুধপিতাও মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। কারণ বংশীয় কারণে যা হারাম হয়, দুধপানের সম্পর্কের কারণেও তা হারাম হয় (বুখারী হা/২৬৪৫)। তাদের মতে, দুধপানের কারণে বংশীয় সম্পর্কের মত বৈবাহিক সম্পর্কেও প্রভাব পড়ে। কেননা
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। শেষ পর্ব। অল্পে তুষ্টির নমুনারাসূল (ছাঃ)-এর জীবনে অল্পে তুষ্টি :মুহাম্মাদ (ছাঃ) ছিলেন পৃথিবীর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। তিনি ছিলেন মানবজীবনের সকল কল্যাণকর বিষয়ে সর্বোত্তম আদর্শ ব্যক্তিত্ব। ক
উত্তর : কন্যা সন্তান উপার্জনক্ষম হ’লে বা স্বামীর সম্পদ থেকে খরচ করার স্বাধীনতা থাকলে পিতা-মাতার জন্য সাধ্যমত খরচ করবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের পবিত্রতম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তোমরা তোমাদের সন্তানদের
উত্তর : সাধ্যমত বিকল্প পথ অন্বেষণ করতে হবে। যেমন গামবুট পরা। কারণ সাধারণ অবস্থায় অহংকার বশে লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরা নিষিদ্ধ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৩১২)। তবে বাধ্যগত অবস্থায় তা জায়েয। কারণ সেখানে অহংকারের বিষয়টি থাকে না।প্রশ্নকারী : জাহিদুল ইসলাম, মা
উত্তর : ছেলেদের বুক বা পিঠের স্বাভাবিক লোম তার সৃষ্টিগত সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর ধর্ম, যার উপরে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই’ (রূম ৩০/৩০)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু কাছীর বলেন, তোমরা আল্লাহর
উত্তর : এক্ষেত্রে শারঈ বিধান হ’ল, পূর্ণ এক বছর মালিক বা তার ওয়ারিছদের সন্ধানে থাকতে হবে। এরপরে মালিক বা তার ওয়ারিছদের পাওয়া না গেলে ব্যক্তি উক্ত সম্পদ ভোগ করতে পারে কিংবা ছাদাক্বা করতে পারে। তবে কোনদিন যদি পাওনাদারকে খুঁজে পাওয়া যায় বা
উত্তর : ভবিষ্যৎ কোন বিষয়ে এমন জোর প্রতিজ্ঞা করা সমীচীন নয়। কেননা বান্দার তাক্বদীর পূর্বনির্ধারিত। কারো প্রতিজ্ঞায় বা সংকল্পে তা পরিবর্তনশীল নয়; বরং একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছার উপর তা নির্ভরশীল। তবে ইনশাআল্লাহ বলে নিজের বৈধ ইচ্ছা বা কামনা প্রকাশ কর
উত্তর : জামাতা শ্বশুরের অন্যতম নিকটাত্মীয়। সুতরাং শ্বশুরের সামর্থ্য ও নিমন্ত্রণ সাপেক্ষে জামাতা শ্বশুর বাড়িতে যতদিন খুশি থাকতে বা খেতে পারবে। এতে কোন শারঈ বাধা নেই। উল্লেখ্য যে, একটি হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিন
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এদিন সর্বো
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। শেষ পর্ব। ভূমিকা :অল্পে তুষ্টি মুমিন চরিত্রের ভূষণ। সুখী জীবন লাভের অন্যতম হাতিয়ার। অল্পে তুষ্টির এই অনন্য গুণটি যে অর্জন করতে পারে, জীবনের শত দুঃখ-কষ্ট ও অপূর্ণতায় তার কোন আক্ষেপ থাকে না। আল্ল
উত্তর : পিতা-মাতার নামে কসম খাওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেছেন তোমাদের বাপ-দাদাদের নামে কসম করতে। যে ব্যক্তি কসম করতে চায়, সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে, অথবা চুপ থাকে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৪০৭ ‘ক
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। হাস্সান বিন ছাবিত (রাঃ)-এর জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে একটি মিম্বর তৈরি করেছিলেন ইসলামের পক্ষে কবিতা বলার জন্য (বুখারী, মিশকাত হা/৪৮০৫ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায় ৯ অনুচ্ছেদ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৫৯৫)।
উত্তর : ‘মাযহাব’ শব্দের আভিধানিক অর্থ চলার পথ। পারিভাষিক অর্থ মতবাদ, মতাদর্শ ইত্যাদি। চারজন প্রসিদ্ধ মুজতাহিদ ইমামের ফিক্বহী মতামতকে ইসলামী পরিভাষায় মাযহাব বলা হয়। উক্ত চার ইমামের মৃত্যুর বহু পরে রাজনৈতিক দলাদলির সুবাদে বিভিন্ন মাযহাবের সূত্র
অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করলে মানুষ সাময়িকভাবে অচেতন হয়। যদি এই ঔষধ স্থানিক হয়, তাহ’লে রোগী নিজে তার দেহের কাটাছেঁড়ার সবকিছু দেখতে পায়। কিন্তু ঔষধের প্রভাবে সে ব্যথাতুর হয় না বা কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না। চেতনানাশক ঔষধ তৈরী হয় ফ্যাক্টরীতে, প্রয়োগ
উত্তর: তা‘যিয়া অর্থ বিপদে সান্ত্বনা দেওয়া। যেটা বর্তমানে শাহাদাতে হোসায়েন-এর শোক মিছিলে রূপ নিয়েছে। ইসলামে কারু মৃত্যুতে তিন দিনের অধিক শোক করা নিষেধ (আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৬৩ ‘চুল অাঁচড়ানো’ অনুচ্ছেদ)। কিন্তু বাগদাদের গোঁড়া শী‘আ
উত্তর : আশূরায়ে মুহাররমে ৯-১০ অথবা ১০-১১ দু’দিন নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে দু’টি নফল ছিয়াম রাখতে হবে। ১০ই মুহাররম তারিখে ফেরাঊনের সাগরডুবি হয় এবং মূসা ও তাঁর বনু ইস্রাঈল সম্প্রদায় অত্যাচারী ফেরাঊনের হাত থেকে নাজাত পায়। তার শুকরিয়া হিসাব
উত্তর : খালি গায়ে ওযূ করতে পারে এবং থাকতেও পারে। ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি মাদুরের উপর চিৎ হয়ে শুয়ে ছিলেন, মাদুরের ও তাঁর মাঝে কোন কিছু ছিল না। মাদুর তাঁর শরীরে দাগ করে ফেলেছিল। তিনি খেজুরের ছাল ভর্তি
উত্তর : গান-বাজনা হারাম (লোকমান ৬)। বিশেষ করে ঈদুল ফিৎর উপলক্ষে আরো কঠিন পাপের কাজ। কারণ ঈদুল ফিৎর একটি পবিত্র ইবাদত অনুষ্ঠানের নাম। এ দিন উপলক্ষে কোন শরী‘আত বিরোধী কাজ করা যাবে না। এ সমস্ত মেলার আয়োজন করা এবং নাচ-গান ও বাজনার ব্যবস্থ
উত্তর : উক্ত ঘটনা ভিত্তিহীন। এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উত্তর : দারিদ্রে্যর ভয়ে সন্তান কম নেওয়ার লক্ষ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হারাম (বনী ইসরাঈল ৩১)। তবে বাচ্চার দুধ খাওয়া পর্যন্ত কিংবা স্ত্রীর কোন শারীরিক কারণে যেকোন অস্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/৩১৮৭)। সন্তান না নেওয়ার উদ্দে
উত্তর : প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুরের ক্ষেত্রে দু’টি শর্ত রয়েছেঃ (১) যদি কুকুরটি নিজে মৃত পশুর কিছু অংশ না খেয়ে ফেলে (২) শিকার করার সময় অন্য কোন কুকুর যেন প্রশিক্ষিত কুকুরের সাথে শামিল না হয় (ছহীহ তিরমিযী হা/১৪৭০; ছহীহ নাসাঈ হা/৪২৬৫)। ত
উত্তর : হিসাব হবে। হিসাব হবে না মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে, দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহ আবূদাঊদ হা/৩১১১; ছহীহ নাসাঈ হা/১৮৪৬)। বিনা হিসাবে জান্নাতে যা
প্রতিটি দেশের যেমন রাজধানী রয়েছে, তেমনি মানব দেহের রাজধানী হ’ল ক্বলব। দেশের জন্য রাজধানী সুষ্ঠু রাখা যেমন যরূরী, দেহের জন্য ক্বলব সুষ্ঠু রাখা তার চেয়ে কয়েক হাযার গুণ বেশী যরূরী। সকল প্রকার পাপ-পঙ্কিলতা থেকে ক্বলবকে মুক্ত রাখা, অসুস্থতা থেকে নিরাপদ রা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফ ইবনে মাজাহ হা/১৬১৩; যঈফ আত-তারগীব হা/১৮২৫)।
উত্তর : বর্ণনাটি জাল (যঈফ ইবনে মাজাহ হা/১৬৫১; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৬৬১)।
উত্তর : এমতাবস্থায় অন্যের কাছে বিচার না চাওয়াই ভাল। কারণ যারা সঠিক পথে থাকে তাদের পক্ষ থেকে ফেরেশতারা প্রতিবাদ করেন। আর সঠিক পথের ব্যক্তি যদি প্রতিবাদ করতে যায় তাহ’লে ফেরেশতা সরে যান (আহমাদ, মিশকাত হা/৫১০২; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২২৩১)।অন্
উত্তর : নারীদের জন্য এসব খেলা সর্বাবস্থায় হারাম। এসব খেলা নারীদের স্বাস্থ্য, স্বভাব ও মর্যাদার বিরোধী। আল্লাহ তাদেরকে বাড়ীতে থাকার নির্দেশ দান করেছেন (আহযাব ৩৩)। তিনি বলেন, মেয়েরা যেন এমনভাবে পা না ফেলে, যা তাদের গোপন সৌন্দর্য অন্যকে জানিয়ে দেয়
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/২৮৯৮; সিলসিলা যঈফাহ হা/৩০০; মিশকাত হা/২১৫৮)। তবে সূরা ইখলাছ পাঠের অনন্য ফযীলত রয়েছে। যেমন- রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূরা ইখলাছ একবার পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পাঠের সমান নেকী পাওয়া যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/২১
উত্তর : উক্ত বিষয় সম্পর্কে শারঈ কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না।
উত্তর : ঐ সময় জান্নাতীদের বয়স ৩০ অথবা ৩৩ হবে (তিরমিযী হা/২৫৪৫; মিশকাত হা/৫৬৩৯ ‘ক্বিয়ামতের অবস্থা’ অধ্যায় ‘জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ-৫)। অনুরূপ বয়স হবে জাহান্নামীদের। তবে উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/২৫৬২; মিশকাত হা/৫৬৪৮)।
উত্তর : এখানে জোড়া জোড়া সৃষ্টির অর্থ ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের নর ও মাদী সৃষ্টি করা (তাফসীরে ফাৎহুল ক্বাদীর ৫ম খন্ড, পৃঃ ২৬৪)।
উত্তর : এরূপ সাংকেতিক সংখ্যায় বিসমিল্লাহ লেখা যাবে না। ‘বিসমিল্লাহ’-এর শব্দগুলোর বিশেষ গাণিতিক মান বের করে ৭৮৬ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারীরা মনে করে, এর দ্বারা ‘বিসমিল্লাহ’-কে যত্রতত্র অমর্যাদাকর ব্যবহার থেকে রক্ষা করা যায়। এটা
উত্তর : উক্ত হাদীছে তার নিজস্ব আমল বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩)। কিন্তু তার নামে কেউ হজ্জ বা ছাদাক্বা করলে তা তার কাছে পৌঁছবে। কারণ এটা তার করা আমল নয় (মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৫০)।
উত্তরঃ কালোজিরাতে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ রয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৫২০)।
উত্তর : ডাক্তারগণ রোগী দেখতে যাওয়া ব্যক্তিদের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। তারা তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য রোগীর পার্শ্বে থাকেন। পক্ষান্তরে রোগী দেখতে যাওয়া ব্যক্তিদের দুনিয়ার কোন স্বার্থ জড়িত থাকে না। তবে ডাক্তারগণ যদি মানবিক তাকীদে ও নেকী হা
উত্তর : এভাবে মাপজোক করে নয়, বরং পরিষ্কার নির্দেশ হ’ল দাড়ি ছেড়ে দাও ও গোঁফ ছাটো এবং মুশরিকদের বিপরীত কর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। অতএব যতটুকু দাড়ি, ততটুকু ছাড়তে হবে।
উত্তর : স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর জান্নাত এরূপ হাদীছ নেই। তবে এরূপ হাদীছে এসেছে স্বামীই হচ্ছে জান্নাত, স্বামীই হচ্ছে জাহান্নাম (নাসাঈ কুবরা, সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৬১২, ১৯৩৪)। আর মায়ের পায়ের নীচে জান্নাত এ হাদীছ ‘হাসান ছহীহ’ (নাসাঈ হা/৩১০৪)।
উত্তর : ইক্বামতের জবাব দিতে হবে। নবী করীম (ছাঃ) সাধারণভাবে বলেন, মুয়াযযিন যা বলেন তোমরাও তাই বল (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭) । উক্ত হাদীছে থেকে ইক্বামতের উত্তর দেওয়ার কথা প্রমাণিত হয় (আলবানী, মিশকাত হা/৬৭০-এর টীকা দ্রঃ)। তাছাড়া অন্য হাদীছে আযান ও
বিশ্ব রাজনীতি স্বীকৃত মৌলিক নাগরিক অধিকার পাঁচটি, যথা- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা। মনুষ্যজীবনে এগুলি এমনি আবশ্যক, এর একটিও পরিহার্য নয়। আবার ইসলাম ধর্মও পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা- কালেমা, ছালাত, ছিয়াম, যাকাত এবং হজ্জ।
উত্তর : হাদীছটি ছহীহ। কিন্তু ব্যাখ্যাটি ভুল। দ্বিতীয়তঃ ১৪ শো বছর ধরে উক্ত প্রথাটি চলে আসার দাবীটি ভিত্তিহীন। তাঁর এই কল্পিত ব্যাখ্যা ও অনৈতিহাসিক দাবীর সাথে আহলেহাদীছ-হানাফী কোন বিজ্ঞ আলেমই একমত নন। যে হাদীছ তিনি এনেছেন, তার পুরাটি হ’ল, كان ا
উত্তর : উপরের কথাগুলি কোন হাদীছ নয়। এগুলির রচয়িতা হলেন ‘মাওলিদুন্নবী’ বইয়ের লেখক মদীনার একজন শাফেঈ মুফতী ইমাম জা‘ফর আল-বারযানজী (মৃঃ ১১৭৭ হিঃ/১৭৬৪ খৃঃ)। উক্ত বইয়ে তিনি মা আমেনার প্রসবকালে আসিয়া, মারিয়াম প্রমুখের আগমন ইত্যাদি যেসব কথা লিখেছেন,
উত্তর : মহান আল্লাহ যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন, সে কাজে তাকে ব্যবহার করা তার জন্য শাস্তির বিষয় নয়। এছাড়া পাথরের উপরে শরী‘আতের কোন বিধান আরোপিত হয়নি যে, তার কুফরী বা অবাধ্যতার কারণে শাস্তি স্বরূপ তাকে জাহান্নামের জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার
উত্তর : পুরুষ ও মহিলাদের ছালাতের মধ্যে পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১০৯)। মহিলারা পুরুষদের ন্যায় সরবে ইক্বামত দিবে। তবে উচ্চৈঃস্বরে নয়। মহিলারা পুরুষের ইমামতির মতই ইমামতি করবে, তবে তারা জামা‘আতের প্রথম কাতারের মধ্যস্থলে দাড়িয়ে
উত্তর : উক্ত সংখ্যাটি ‘বিসমিল্লা-হির রহমানির রহীম’-এর পরিবর্তে লেখা হয়। সূরা নামল-এর ৩০নং আয়াত ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’-এ ১৯টি হরফ রয়েছে। আবজাদী নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক হরফের মান ধরে সেগুলির সমষ্টিগত রূপ হচ্ছে ৭৮৬। এরূপ লেখা কুরআন-হাদীছ সম
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাথার চুল খুব বেশী কোঁকড়ানো ছিল না এবং সোজাও ছিল না। অর্থাৎ মধ্যম মানের ছিল। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাথার চুল উভয় কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত পৌঁছত। অন্য বর্ণনায় আছে, তাঁর কেশরাজি উভয় কান ও কাঁধের
উত্তর : কথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দাঊদ (আঃ)-এর সময় নাফরমান ইহুদী সম্প্রদায়ের যাদের আকৃতি পরিবর্তিত হয়ে বানর-শূকরে পরিণত হয়েছিল (বাক্বারাহ ৬৫) ঐ বানর থেকে কোন বংশ বিস্তার ঘটেনি। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, তারা কিছু খেতে পারত না, পান করতে পারত না। তারা
সুদীর্ঘ পাঁচশত বছর ধরে চলে আসা বাবরি মসজিদ রামমন্দির বিতর্ক ভারতের জাতীয় জীবনে সর্বাধিক সমালোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। পলাশীর যুদ্ধ ও ভারতে ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত, বঙ্গভঙ্গ, ’৪৭-এর ভারতবিভাগ ইত্যাদি থেকে এ বিতর্ক কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভারতের রাজনৈতিক,
উত্তর : গীবতের কাফফারা হচ্ছে যার গীবত করা হয়েছে তার নিকটে ক্ষমা চাওয়া। যেমন আবুবকর ও ওমর (রাঃ) তাঁদের খাদেমের গীবত করলে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঐ খাদেমের নিকট ক্ষমা চাইতে বলেন (আমসিক আলায়কা লিসানাকা, পৃঃ ৪৩)। তবে সরাসরি ক্ষমা চাইতে গেলে যদি ফিৎনার
উত্তর : একাধিক স্ত্রী থাকাকালীন স্বামীকে লটারীর মাধ্যমে সফর সঙ্গিনী নির্বাচন করতে হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) কোন সফরে বের হ’লে তাঁর সহধর্মিণীগণের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে (নির্বাচিত করে) যার নাম উঠত তাকে সাথে নিয়ে যেতেন (বুখারী হা/২৫৯৩; ম
উত্তর : উক্ত মর্মে ইতিহাসে একাধিক বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে বর্ণনগুলোর সনদে দুর্বলতা রয়েছে (তারীখু ত্বাবারী ৪/২৬৯; খলীফা বিন খাইয়াত্ব, আত-তারীখ ১৬৫ পৃ.; যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ২/১৮২; তাক্বরীবুত তাহযীব ৪০৫ পৃ.)। দ্বিতীয়তঃ এর সনদকে গ্রহণযোগ্য ধরে নিলেও সে
উত্তর : ছোট ছেলে মেয়েদের কপালে কোন এক পার্শ্বে কাজলের বা অন্য কোন জিনিষের ফোটা দেয়ার কারণ সাধারণত দু’টো হতে পারে। (ক) বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ যা মুসলমানের জন্য পরিত্যাজ্য (আহমাদ, আবূদাঊদ হা/৪৩৪৭)। (খ) কোন বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ
উত্তর : উক্ত দাবী ঠিক নয়। কারণ হাদীছে উক্ত শর্ত উল্লেখ করা হয়নি। এটা শরী‘আতের নির্দেশকে অমান্য করার অপকৌশল মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তিন শ্রেণীর লোকের সাথে আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন ন
উত্তর : চুরি করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮)। জেনে শুনে চুরিকৃত বস্ত্ত ক্রয় করা পাপ কাজের সহযোগিতা করার শামিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নেকী ও কল্যাণের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযো
উত্তর : এগুলো কুসংস্কার মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, কোন কিছুতে অশুভ নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং ছফর মাসেও কোন অশুভ নেই। তবে কুষ্ঠরোগী হতে পলায়ন কর যেমন বাঘ হতে পলায়ন কর’। একথা শুনে জনৈক বেদুঈন বলল, হে আল্লা
উত্তর : মুসলিম বা অমুসলিম হোই হৌক পাওনাদারকে সাধ্যমত খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য আধুনিক মিডিয়া সমূহ ব্যবহার করতে হবে। ছাহাবী উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) ১০০ স্বর্ণমুদ্রা ভর্তি একটি থলি পেয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে থলির মালিকের সন্ধানের জন্য পরপর
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আঙ্গুলে তাসবীহ গণনার জন্য আদেশ করেছেন। কেননা ক্বিয়ামতের দিন আঙ্গুলগুলো জিজ্ঞাসিত হবে এবং তারা কথা বলবে (আবুদাঊদ হা/১৫০১; তিরমিযী হা/৩৪৮৬, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২৩১৬)। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ডা
উত্তর : পোষাকের জন্য চারটি মূলনীতি রয়েছে। যথা- (১) পোষাক পরিধানের উদ্দেশ্য হবে দেহকে ভালভাবে ঢেকে রাখা, যাতে লজ্জাস্থান সমূহ অন্যের চোখে প্রকট হয়ে না ওঠে (২) ভিতরে-বাইরে তাক্বওয়াশীল হওয়া (৩) অমুসলিমদের সাদৃশ্য না হওয়া (৪) অপচয় ও অহংকার প্রকাশ
উত্তর : খানাপিনার দাওয়াতে মুমিন ও মুত্তাকীরা অগ্রাধিকার পাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে বন্ধু বানাবে না এবং তোমার খাদ্য আল্লাহ্ভীরু লোক ছাড়া যেন অন্য কেউ না খায় (আবুদাঊদ হা/৪৮৩২; মিশকাত হা/৫০১৮; ছহীহুত তারগীব হা/৩০৩৬)। অত্র হা
উত্তর : এটি জায়েয নয় (ইবনু হাজার, ফৎহুল বারী হা/৫৮৯৯-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদিন এক হিজড়াকে নবী (ছাঃ)-এর নিকট আনা হ’ল। তার হাত-পা মেহেদী দ্বারা রাঙ্গানো ছিল। রাসূল (ছাঃ) বললেন, এর এ অবস্থা কেন? বলা হ’ল, হে আল্লাহর রাসূ
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিম বা কাফির-মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে না এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে না, তাদের সাথে সদাচরণ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না’ (মুমতাহ
পূর্ব ১। পূর্ব ২। ৫. পরমত সহিষ্ণুতা : খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে যিম্মী ও চুক্তিবদ্ধদের সাথে উদারতার অতুলনীয় দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। যেমন (১) ওমর (রাঃ) জনৈক বৃদ্ধ ইহূদীকে দৈহিক অক্ষমতার কারণে তার জিযিয়া মওকুফ করে দেন এবং তার ও তার পরিবার পালনের জন্য ম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীর (রহঃ) পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন ও আহলেহাদীছ আন্দোলনের নির্ভীক মর্দে মুজাহিদ ছিলেন। ‘জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তানে’র সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল
উত্তর : জান্নাতীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর পর জান্নাত ফাঁকা থাকবে। তখন আল্লাহ তা‘আলা এক ধরনের সৃষ্টি দিয়ে জান্নাত পূর্ণ করবেন (মুসলিম হা/২৮৪৮ ‘জান্নাত’ অধ্যায় ১৩ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, সৃষ্টিকর্তার নাফরমানী করে সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না (শারহুস সুন্নাহ, মিশকাত হা/৩৬৯৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫২০)। অতএব সন্তান আল্লাহর আনুগত্য করলে পিতা-মাতা তাতে অসন্তুষ্ট হ’লেও কোন সমস্যা নেই। এজন্য সন্তান গুনাহ্গার হবে ন
উত্তর : মেয়ের কোন দোষ না থাকলে সে তার স্বামীকে জানিয়ে তার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করবে। যদি সে সমাধান করতে ব্যর্থ হয় এবং তার পক্ষে ধৈর্য ধারণ করা সম্ভব না হয় তাহলে সমাধানের লক্ষ্যে তার অভিভাবককে জানাতে পারবে এবং এর জন্য বিচার প্রার্থী হতে
উত্তর : ইসলাম গ্রহণের নিয়তে শুধু কালেমা শাহাদাত পাঠ করলে মুসলিম হয়ে যাবে। অর্থাৎ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ পাঠ করবে। কালেমা শাহাদাত পাঠের পূর্বে কিছু করার নেই। তবে ইয়ামামাহর নেতা ছুমামাহ্ ইবনু আছাল
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ ঋণের বিনিময়ে মুনাফা অর্জন করা সূদের অন্তর্ভুক্ত। যদিও সেটা উভয়ের সম্মতিক্রমে হয়। সেখান থেকে কিছু টাকা ছেড়ে দিলে ‘হালাল’ হবে বলে যে কথা সমাজে চালু আছে সেটিও হীলা বা অপকৌশল মাত্র। কেবলমাত্র টাকা ফেরত পা
উত্তর : পরিচিত বা অপরিচিত যেকোন জারজ সন্তান পালন করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব্যভিচারিণী গামেদী মহিলার জারজ সন্তানকে জনৈক ছাহাবীর হাতে দিয়ে তাকে লালন-পালনের জন্য আদেশ করেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫৬২)। কারণ জারজ হওয়ার জন্য সন্তান দায়ী নয়। অতএব তা
উত্তর : কোন বিধর্মী লোক সালাম দিলে উত্তরে শুধু ‘ওয়া আলাইকা’ (وَعَلَيْكَ) অথবা ‘ওয়া আলাইকুম’ (وَعَلَيْكُمْ) বলবে (বুখারী, মিশকাত হা/৪৬৩৬-৩৭)।
হিজরী বর্ষের ৪টি মাস হারাম তথা মহা সম্মানিত এবং নিরাপত্তার মাস (তওবা ৩৬)। আদিকাল হ’তে এ মাস সমূহের সম্মান ও গুরুত্ব চলে আসছে। এ মাস সমূহে আরবের কাফেররা পর্যন্ত যুদ্ধ-বিগ্রহ, ছিনতাই-লুটতরাজ, হত্যা-গুম ইত্যাদি বন্ধ রাখত। উক্ত মাস সমূহের অন্যতম মাস রজব।
আপেক্ষিকতা সূত্রের (Law of Relativity) উদ্গাতা জন আইনস্টাইনের পর অনেকের নিকট বর্তমান বিশ্বের সেরা পদার্থ বিজ্ঞানী ড. স্টিফেন হকিং (জন্ম : লন্ডন, ১৯৪২), যিনি মধ্যাকর্ষণ শক্তির উদ্ভাবক স্যার আইজাক নিউটনের ন্যায় কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘লুক
উত্তর : সুলায়মান (আঃ)-এর রাজত্বকালে বেঈমান জিনেরা লোকদের ধোঁকা দিত এই বলে যে, সুলায়মান জাদুর জোরে সবকিছু করেন। তিনি কোন নবী নন। শয়তানদের ভেল্কিবাজিতে বহু লোক বিভ্রান্ত হচ্ছিল। এমনকি শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর সময়েও যখন তিনি সুলায়মান (আঃ)-এর প্
উত্তর : উক্ত তিনটি বস্ত্ত সর্বদা সাথে রাখা সুন্নাত, এ কথার কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে এগুলি অত্যন্ত তাকীদকৃত সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। যেমন (১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অতি প্রিয় বস্ত্ত সমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল ‘আতর’ (আহমাদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৫২৬১ ‘রিক্
উত্তর : বিদ‘আতকে ভাগ করার কোন অবকাশ নেই। সব বিদ‘আতের পরিণতি জাহান্নাম। জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় সবচেয়ে সত্য বাণী হচ্ছে আল্লাহর বাণী। আর সবচেয়ে উত্তম আদর্শ হচ্ছে রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ। আমল সমূহের নিকৃষ্ট আমল হচ্ছে শরী‘আতে নব
গত সংখ্যার সাধারণ জ্ঞান (ভূগোল)-এর সঠিক উত্তর১। দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে। ২। মেরু অঞ্চলে।৩। মেক্সিকো উপসাগরের জেকসন দ্বীপের কাছে।৪। ইতালীর ভেনিস নগরীতে। ৫। হাওয়াই দ্বীপে।গত সংখ্যার মেধা পরীক্ষা (উদ্ভিদ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায়মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বিভ্রান্ত করার কাজে শয়তান সদা তৎপর। তার প্রতারণা থেকে রেহাই পাওয়া খুবই কঠিন। তবুও মানুষকে চেষ্টা করতে হবে শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকার জন্য। এ লক্
শুভ বড় দিন মানে ঈসা মসীহের শুভ জন্মদিন। ঈসা মসীহের জন্ম এইভাবে হয়েছিল। ইউসুফের সঙ্গে ঈসার মা মারিয়ামের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তারা একসঙ্গে বসবাস করবার আগেই পাক রূহের শক্তিতে মারিয়াম গর্ভবর্তী হয়েছিলেন। মারিয়ামের স্বামী সৎ লোক ছিলেন... (মথি ১/১
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।৯ম দলীল : হাদীছে এসেছে,عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِيْ وَسُنَّةِ الْخُل
উত্তর : ভাল কাজে মানত করে তা পুরা না করে ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবে। এর কাফফারা হল, (১) ১০ জন মিসকীনকে মাঝারি মানের খাদ্য দেওয়া (২) অথবা তাদেরকে পোষাক দেওয়া (৩) অথবা গোলাম আযাদ করা। (৪) এগুলো করতে অক্ষম হলে ৩টি ছিয়াম পালন করা (মায়েদাহ ৮৯)। আর
এ পৃথিবীর বুকে পিতা-মাতার সম্মান ও মর্যাদা নিঃসন্দেহে শীর্ষস্থানীয়। মহান আল্লাহ সমগ্র বিশ্ববাসীর একমাত্র উপাস্য ও অভিভাবক। আর পিতা-মাতা হ’ল শুধু তার সন্তানদের ইহকালীন জীবনের সাময়িক অভিভাবক। সুতরাং সন্তানদের কাজ হ’ল, মহান স্রষ্টা ও পালনকর্তা আল্লাহ তা
উত্তর : বাংলাদেশ সরকার বয়স্ক ভাতা ঐসব লোকদের জন্য প্রদান করে যারা অসহায় এবং যাদের কোন অবলম্বন নেই। এক্ষণে কোন সম্পদশালী ব্যক্তি যদি সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে এ ভাতা তার পিতা-মাতার জন্য গ্রহণ করে তা তার জন্য বৈধ হবে না। বরং সন্তান স্বয়ং পিতা-মাতার ভরণ
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ ও তার আয়োজনে কোনরূপ সহযোগিতা করা জায়েয নয়। আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা ইহূদী-নাছারাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তারা তাদের মধ্যে গণ্য হ
উত্তর : তিনি প্রথমে হজ্জ করবেন। অতঃপর যা সম্পদ থাকে তা থেকে তিনি সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি দান করে দিতে পারেন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩০৭১)। এর বেশী জায়েয নয়। তবে যদি ওয়ারিছগণ ধনবান হয় এবং তারা সম্মত থাকে, তবে সব জমি দান করতে বাধা নে
ওসটিওআর্থ্রাইটিস বা গিঁটে বাত শরীরের যে কোন জোড়ায় হ’তে পারে। তবে ওযন বহনকারী বড় জোড়ায় বেশী হয়। হাত ও পায়ের আঙুলের জোড়া, মেরুদন্ডের জোড়া এবং হাঁটু, কাঁধ ও কটির জোড়ায় বেশী হয়। ‘ওসটিও’ শব্দের অর্থ হাড়, ‘আর্থ্রো’ শব্দের অর্থ জোড়া এবং ‘ইটিস’ অর্থ প্রদাহ।
আধুনিক জাহেলিয়াত তার সর্বগ্রাসী প্রতারণার জাল ফেলে মানবতাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলেছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও বিচারব্যবস্থা সবই আল্লাহ বিরোধী। এমনকি ধর্মনীতিতেও জমাট বেঁধেছে ধর্মনেতাদের বানোয়াট রীতিনীতি ও অগণিত শিরক ও বিদ‘আতের জঞ্জা
২২ সেপ্টেম্বর ’১১ বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের ডাকা নিরুত্তাপ হরতালের দিন ঢাকায় নিরীহ দরিদ্র পথচারী হাসপাতাল কর্মী ইউসুফকে লাঠিপেটা করে মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে বুকের উপর দাঁড়িয়ে পুলিশের পেট্রোল ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ হোসেনের বুট জুতায় দাবানো এবং নির্যাতি
পার্শ্ববর্তী আরাকান রাজ্যের বাঙ্গালী মুসলিম ভাই-বোনেরা আবারও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মিয়ানমারের সরকারী ও বিরোধী দলীয় রাখাইন মগ দস্যুরা এবং নাসাকা পুলিশ বাহিনী সম্মিলিতভাবে পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করে রোহিঙ্গা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে গত ৮ই জুন শ
বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তের ওপারে ভারতের আসাম রাজ্য অবস্থিত। ৭৮ হাযার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই রাজ্যে ৩ কোটির কিছু বেশী লোকের বাস। ভাষ্যগত দিক দিয়ে ‘অহমিয়া’ হ’ল প্রধান ভাষা প্রায় ৫৮ শতাংশ। এর পরেই বাংলার অবস্থান প্রায় ২২ শতাংশ। ধর্মীয় দিক দিয়ে
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ১১শ বার্ষিকী উপলক্ষে এ বছর Innocense of Muslims (মুসলিমদের নির্দোষিতা) শিরোনামে আমেরিকা থেকে একটি সিনেমা চিত্র ইন্টারনেটে ছাড়া হয়েছে। যাতে পবিত্র কুরআন, ইসলাম ও ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (ছ
উত্তর : আবু জাহল তার গুপ্তাঙ্গে বর্শা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছিল, এটা প্রমাণিত (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা হা/৩৪৫৭০; বায়হাক্বী, দালায়েলুন নবুঅত ২/২৮২; আল-বিদায়াহ ৩/৫৯)। তবে তাকে উলঙ্গ করে হত্য করেছিল, এমনটি পাওয়া যায় না। অন্যায় কাজে বাধা দেওয়
দশ মাস ধরে একটি ধূর্ত ও অদৃশ্য শক্তিশালী শত্রুর বিরুদ্ধে একুশ শতকের যাবতীয় প্রযুক্তি, জ্ঞান নিয়ে যুদ্ধ করে মানবসভ্যতা যখন ক্লান্ত, শ্রান্ত, দিশেহারা ও অর্থনীতির ধারাবাহিক নিম্নমুখীতায় আতঙ্কিত ঠিক তখনি নতুন একটি যুদ্ধের ফ্রন্ট উন্মুক্ত করেছে কয়েকটি বি
২৩ বছরের দর্জি শ্রমিক বিশ্বজিৎ। যাচ্ছিল তার কর্মস্থলে। হঠাৎ পড়ে যায় ‘অবরোধ’ বিরোধীদের কোপানলে। দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী দোতলায় এক দোকানে। গুন্ডারা ছুটল সেখানে। ধরে এনে রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের সামনে লাঠিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করল। অ
[প্রফেসর শাহ মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। একজন বিজ্ঞ ইসলামী অর্থনীতিবিদ হিসাবে তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’-এর শরী‘আহ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। মাসিক আত-তাহরীক-এর সা
ভূমিকা :ধর্ম, সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ক গবেষণা পত্রিকা মাসিক ‘আত-তাহরীক’ ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর একমাত্র মুখপত্র। শিরক ও বিদ‘আতের বিরুদ্ধে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ সদৃশ এ পত্রিকার খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। এটি বিজাতীয় ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী
عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ قَدِمَ نَبِىُّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِيْنَةَ وَهُمْ يَأْبُرُوْنَ النَّخْلَ يَقُوْلُوْنَ يُلَقِّحُونَ النَّخْلَ فَقَالَ : مَا تَصْنَعُوْنَ. قَالُوْا كُنَّا نَصْنَعُهُ قَالَ : لَعَلَّكُمْ لَوْ لَمْ
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিধানকে অগ্রাহ্য করলে অবশ্যই সে জাহান্নামী হবে। অনেক বিদ‘আতী আমল ও আক্বীদা আছে যেগুলো বড় শিরক এবং বড় কুফরীর পর্যায়ে পড়ে, ফলে কারো নিকট হক পৌঁছার পরেও সে ধরনের আক্বীদায় বিশ্বাসী হলে তার আমল বরবাদ হবে (
উত্তর : ওয়ারিছদের উক্ত ইচ্ছা পূরণ করা উচিৎ, তবে আবশ্যক নয় (নাসাঈ হা/৩৬৪৯)। কেননা তা অছিয়তের অন্তর্ভুক্ত নয়। তার ছেড়ে যাওয়া সম্পদ থেকে তা দান করে বাকী সম্পদ বন্টন করতে পারে অথবা ওয়ারিছগণ নিজেদের পক্ষ থেকেও উক্ত ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন।
উত্তর : সূদ গ্রহণ না করে মূল টাকা গ্রহণ করায় কোন বাধা নেই। বরং সমুদয় অর্থ উত্তোলন করে সূদের অংশটুকু নেকীর আশা ব্যতীত দান করে দেওয়া যেতে পারে।
উত্তর : মানত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা মানত করো না। মানত আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারেনা। এটি কৃপণের সম্পদ থেকে কিছু অংশ বের করে আনে মাত্র’ (বুখারী হা/৬৬০৮, মুসলিম হা/১৮৩৯; মিশকাত হা/৩৪২৬)। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর নাফর
মেয়াদী দলতন্ত্রের নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞে দেশ এখন রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। আতংকিত সাধারণ মানুষ শান্তির জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের প্রতিপালক! এই অত্যাচারী জনপদ থেকে তুমি আমাদের মুক্তি দাও এবং তোমার পক্ষ হ’তে আমাদের জন্য অভিভাবক ও স
উত্তর : বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে নারীরা সৌন্দর্য চর্চা করতে পারে। তবে এজন্য প্রচলিত বিউটি পার্লারে যাওয়া সমীচীন নয়। কারণ বিউটি পার্লারে কৃত্রিমভাবে অসুন্দরকে সুন্দর করার মাধ্যমে প্রতারণা করা হয় এবং ভ্রু চিকন করাসহ নানা শরী‘আত বিরোধী কাজ ক
উত্তর : ইস্রাঈলী বর্ণনা সম্পর্কে তিনটি বিষয় লক্ষণীয়। ১. কিছু বর্ণনা আছে যেগুলোকে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সমর্থন করে, সেগুলো বিশ্বাস করা ওয়াজিব। ২. যেসব বর্ণনা ইসলামী আক্বীদা বিরোধী বা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়, সেগুলো মিথ্যা হিসাবে জান
উত্তর : ইসলামে ঈদ মাত্র দু’টি। ঈদুল ফিত্বর ও ঈদুল আযহা (আবূদাঊদ হা/১১৩৪)। ঈদে মীলাদ বলে কোন কিছুই নেই। এটি খ্রিষ্টানদের সাথে মুসলমানদের ক্রুসেড যুদ্ধের সময় তাদের ‘বড় দিন’ পালনের অনুকরণে ৬২৫ হিজরীতে ইরাকের ‘এরবল’ প্রদেশের গবর্ণর আবু সাঈদ মুযাফফর
পর্ব ১। শেষ পর্ব। বিতর্ক ও ঝগড়া মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। কুরআন ও ছহীহ হাদীছ মুমিনের ইসলামী জ্ঞান চর্চা, জ্ঞান অন্বেষণ ও গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করে এবং বিতর্ক ও ঝগড়া করতে নিষেধ করে। ইসলামের প্রাথমিক যুগের দিকে তাকালে আমরা দেখি যে, ছাহাবী-তাবেঈগণের যুগ
উত্তর : মানুষকে অপমান করার জন্য তার নাম বিকৃত করা কবীরা গুনাহ এবং তা গীবতের শামিল। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কোন সম্প্রদায় যেন অপর কোন সম্প্রদায়কে নিন্দা না করে। হ’তে পারে তারা তাদের চাইতে উত্তম। নারীরা যেন অন্য কোন নারীকে ঠাট্টা না
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।১২তম উপায় : হক্বের উপর অটল থাকাকুরআন ও ছহীহ হাদীছ জানার সাথে সাথে তার প্রতি আম
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ آمَنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوْا وَجَاهَدُوْا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيْلِ اللهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُوْنَ- (سورت الحجرات ১৫)-‘প্রকৃত মুমিন তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের
ফযীলত :১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ- ‘রামাযানের পরে সর্বোত্তম ছিয়াম হ’ল মুহাররম মাসের ছিয়াম অর্থাৎ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা খেজুর ও যব ছাড়াও অন্যান্য হালাল খাদ্যদ্রব্য অথবা মানুষের প্রধান খাদ্য দ্বারা ফিৎরা আদায়ের কথা হাদীছে স্পষ্টভাবে এসেছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, أَدُّوْا صَاعًا مِنْ طَعَامٍ فِي الْفِطْرِ ‘তোমরা ছাদাক্
উত্তর : এধরনের এনজিওতে চাকুরী করা শরী‘আতসম্মত হবে না। কেননা এরা সমাজে কিছু কিছু ভাল কাজের আড়ালে ক্ষুদ্র ঋণের নামে সূদী কার্যক্রমে মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে। এছাড়াও তারা ধর্মান্তরকরণ, নারীর পর্দাহীনতা, একসন্তান নীতি প্রভৃতি ইসলাম বিরোধী ক
উত্তর : (১) এশা ও ফজর ছালাতের মাঝে দীর্ঘ কিরাআত, দীর্ঘ রুকূ ও সিজদার মাধ্যমে বিতরসহ ১১ রাক‘আত ছালাত আদায় করা (বুখারী হা/১১৪৭; মুসলিম হা/৭৩৮)। (২) একই সূরা, তাসবীহ, দো‘আ বারবার পড়ে ছালাত দীর্ঘ করা (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১২০৫, সনদ হাসান; আবুদাঊদ হা/৮১৬
জনগণের বেতনভুক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা মিলে প্রতিদিন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে। আর তাকে ‘ক্রসফায়ারে সন্ত্রাসী নিহত’ বলে তারা হরহামেশা মিথ্যাচার করছে। গভীর রাত্রিতে গাড়িবহর নিয়ে আসামী ধরার নামে ঘুমন্ত গ্রামবাসীর উ
উত্তর : প্রত্যেক প্রাণীর মৃত্যু নির্দিষ্ট সময়ে হবে (নূহ ৪) আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন, ‘তিনি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত মানুষকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর যখন সেই মেয়াদকাল এসে যায়, তখন তারা তা মুহূর্তকাল দেরী বা এগিয়ে আসতে পারে না (নাহল ১৬/৬১)।
উত্তর : এর দ্বারা সরকারকে ফাঁকি দেওয়া হয় এবং এটা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত; ইসলামী শরী‘আত যাকে হারাম করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৫৩ সনদ ছহীহ ‘শাসন ও বিচার’ অধ্যায়)।
উত্তর : সরাসরি উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে শাব্দিকভাবে এর কাছাকাছি মর্মে দু’একটি হাদীছ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৮০ বার দরূদ পাঠ করলে ৮০ বছরের গোনাহ মাফের কথা এসেছে। তবে হাদীছগুলি জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/২১৫)।
মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই ভাল ও মন্দের সমষ্টি। যার মধ্যে যেটার আধিক্য, তার আচরণে সেটাই প্রকাশ পায়। হাদীছের ভাষায়, সে আল্লাহভীরু সৎকর্মশীল অথবা হতভাগ্য পাপাচারী। এই দু’টি মজ্জাগত স্বভাব ও আচরণের মধ্যে সর্বদা দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলছে। কিন্তু উভয় স্বভাবে
উত্তর : ‘মুসলিম’ বলা যাবে, তবে প্রকৃত মুসলিম নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তবে কি তারা জাহেলিয়াতের বিধানসমূহ কামনা করে? বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহর চাইতে সুন্দর বিধানদাতা আর কে আছে’? (মায়েদাহ ৫/৫০)। অতএব ইসলামের বাইরে উপরোক্ত মতবাদসমূহ সবই জাহেলিয়াত।
গত ২২শে জুলাই প্রথম আলো অনলাইনে নাগরিক সংবাদে প্রকাশিত একটি লেখার শিরোনাম ছিল: ‘হারিয়েই কি যাবে সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়ন?’ স্মরণকালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলা (২০০৯) এবং অতিসম্প্রতি (২০২০ সালের ২১ মে) আমফান-পরবর্তী সময়ে এ রকম আশঙ্কা শুধু গাবুর
উত্তর : হযরত শীছ (আঃ) আদম (আঃ)-এর তৃতীয় পুত্র সন্তান। হাবীলের মৃত্যুর পর আল্লাহ তা‘আলা শীছ (আঃ)-কে (যমজের বদলে) একক সন্তান হিসাবে দান করেন। সেজন্য তার নাম রাখা হয় শীছ। অর্থ আল্লাহর দান। তাঁর বংশধারায় আজকের পৃথিবীর সকল মানুষ বলে একদল বিদ্বান ম
উত্তর : হাদীছটি হ’ল, আব্দুল্লাহ বিন জা‘ফর (রাঃ) বলেন, নবী (ছাঃ) জা‘ফরের সন্তানদেরকে (জা‘ফর -এর শাহাদাতের জন্য) শোক প্রকাশের জন্য তিনদিন সময় দিলেন। অতঃপর তিনি তাদের কাছে এলেন এবং বললেন, আজকের পর থেকে তোমরা আর আমার ভাইয়ের জন্য কান্নাকাটি করবে ন
উত্তর : ইসলাম কবুল করুক বা না করুক শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আগমনের পর থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষ তাঁর উম্মত। যারা তাঁর দাওয়াত কবুল করে, তারা মুসলিম (أمة الإجابة)। আর যারা ইসলাম কবুল করেনি, তারাও তাঁর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত (أمة الدعوة)। যা
৮ জন নিরীহ শ্রমিকের লাশের উপর দাঁড়িয়ে ল্যাংটা মেয়েদের নাচানাচি ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে ফুটবলের ২০তম বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে গত ১৩ই জুন’১৪ শুক্রবার থেকে। যা শেষ হবে আগামী ১৪ই জুলাই সোমবার। অর্থাৎ ১৫ই শা‘বান থেকে ১৬ই রামা
উত্তর : হযরত ইবরাহীম (আঃ) সর্বপ্রথম ৮০ বছর বয়সে আল্লাহর হুকুমে এই সুন্নাত পালন করেছিলেন (বুখারী হা/৬২৯৮, মুসলিম হা/২৩৭০, মিশকাত হা/৫৭০৩ ‘সৃষ্টির সূচনা’ অনুচ্ছেদ)। আমাদের নবী (ছাঃ)ও এটি জারী রাখেন। খাৎনা দেওয়া সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। এটি সকল নবীর স
উত্তর : খারেজীদের বৈশিষ্ট্য হ’ল, (১) তারা কবীরা গোনাহগার শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ওয়াজিব মনে করে এবং কবীরা গোনাহগার মুমিনকে ঈমানশূন্য কাফের, হত্যাযোগ্য অপরাধী এবং তওবা না করে মারা গেলে তাদেরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হিসাবে গণ্য করে (শাহরস্ত
উত্তর : এ মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে মিথ্যা কথা বলা নিঃসন্দেহে কবীরা গুনাহ (হজ্জ ৩০; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫০, ‘মুনাফিকের আলামত ও কবীরা গোনাহ সমূহ’ অনুচ্ছেদ; মুসলিম, মিশকাত হা/৫০৩১, ৪৮২৪)। আল্লাহ মিথ্যুকের জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারণ কর
উত্তর : বিদ‘আতী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা, তাকে মেনে নেওয়া বা সহযোগিতা করার শামিল। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর, অন্যায় ও পাপের কাজে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ২)। সুতরাং এথেকে দূরে থাকা আবশ্যক। বাধ্যগত কারণে অ
উত্তর : বর্ণনাটি মওযূ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৩৩৩, তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত ১/১৯)।
গত ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে ঘটে গেল নারকীয় হত্যাকান্ড। যা সন্ত্রাসপ্রবণ পাকিস্তানের ইতিহাসে এক নযীরবিহীন ঘটনা। জঙ্গী হামলা এ দেশে এমন এক স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, স
১. জন্ডিসের চিকিৎসা : (ক) চেলিডোনিয়াম (হোমিও) ২০০ দৈনিক রাতে শোওয়ার সময় ১ ডোজ। (খ) কেলি মিউর (বায়ো) ৬x দু’টি করে বড়ি সকালে এক কাপ গরম পানিসহ। (গ) ন্যাট্রাম সাল্ফ (বায়ো) ৬x দু’টি করে বড়ি বিকালে এক কাপ গরম পানিসহ।এক সপ্তাহ খেলেই ই
বগুড়ার যন্ত্র বিজ্ঞানী আমীর হোসেন তার নিজস্ব ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সাইনটিস্ট টেকনোলজি’ ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিমভাবে মানুষের হাত ও পা তৈরীর কাজ করছেন। তার লক্ষ্য স্বল্প খরচে খুব সহজেই যেকোন বয়সী পুরুষ ও নারীর শরীরে তার হারানো হাত ও পায়ের স্থলে কৃত্রি
উত্তর : কুরআন পাঠের পর উক্ত দো‘আ পড়ার কোন বিধান নেই। রাসূল (ছাঃ) তাঁর ছাহাবীগণ, তাবেঈগণ বা সালফে ছালেহীন কখনো উক্ত দো‘আ পাঠ করেন নি। তাই এই দো‘আ পরিত্যাজ্য (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৪/১৪৯-১৫০, ফৎওয়া নং ৩৩০৩)। বরং কুরআন তেলাওয়াত শেষে বলতে হবে- ‘সুবহা-নাকা
উত্তর : ছালাত অবস্থায় টুপি পড়ে গেলে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা টুপী ছালাতের আবশ্যিক পোষাক নয়। তবে তা তুলে নেওয়াতেও দোষ নেই। কেননা ছালাত অবস্থায় খুশূ-খুযূ বিনষ্ট না করে ছোটখাট কাজ করা যায়। আবু ক্বাতাদা (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-কে দেখ
উত্তর : এগুলির ব্যবসা ও মেরামত করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। কারণ এগুলি বৈধ-অবৈধ উভয় কাজেই ব্যবহার হয়। সুতরাং এর অবৈধ ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারী দায়ী হবে, মেরামতকারী নয়। আল্লাহ বলেন, ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)।
আমি তোমায় যতই পড়িততই লাগে ভালতোমার মাঝে পাই যে খুঁজেসত্য-ন্যায়ের আলো।তুমি আলোর মিনারসত্য সোনার কিরণহক কথায় কর তুমিপাঠক হৃদয় হরণ।তুমি ধর্ম-সমাজ নিয়েকরছ গবেষণাসমাজ সংস্কার আন্দোলনেতুমিই অগ্রসেনা।
পৃথিবী এবং সূর্য আপন আপন কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। এই ঘূর্ণনের ফলে আবর্তিত হয় দিন ও রাত; পরিলক্ষিত হয় ঋতুবৈচিত্র্য। এই ঋতুবৈচিত্র্যের কারণে পৃথিবীর সর্বত্র সর্বদা দিন-রাত্রি সমান হয় না। এর পেছনে কারণ হিসাবে কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা যায়। যেমন, পৃথিবীর আহ্ন
উত্তর : সফরে বের হয়ে ছালাতের সময় হলে যানবাহনে ছালাত পড়া যাবে (বুখারী হা/৪০০)। তবে ছালাতের সময় অবশিষ্ট থাকতেই গন্তব্যে পৌছানো সম্ভব হ’লে সেখানে গিয়ে ছালাত আদায় করবে। অথবা দুই ওয়াক্তের ছালাত জমা তাক্বদীম কিংবা জমা তাখীর করবে (আবুদাঊদ হা/১২০৮; মিশ
উত্তর : কৃত্রিমভাবে লাগানো দাঁতের পাটি বা দাঁত খোলার প্রয়োজন নেই। ভালভাবে কুলি করাই যথেষ্ট হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ছাহাবীর নাক যুদ্ধে ভেঙ্গে গেলে তাকে স্বর্ণের নাক লাগানোর নির্দেশ দেন (আ
উত্তর : কোন বাধা নেই। বিশেষতঃ অধিক পদচারণা এবং বড় জামা‘আতে ছালাত আদায়ের মাধ্যমে অধিক নেকী লাভের আশায় এরূপ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছালাতের নেকী অর্জনের ব্যাপারে ঐ ব্যক্তিই সর্বাপেক্ষা নেকীর ভাগিদার, যে অধিক দূর থেকে আগমনকারী (বুখারী হা/৬৫১, মিশকাত
উত্তর : পরিত্যক্ত সম্পদ বণ্টনে কমবেশী করায় উক্ত পিতা কঠিন গুনাহগার হবেন। ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় সাত তবক পরিমাণ যমীন বেড়ি রূপে পরিয়ে দেওয়া হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৯৩৮)। জেনেশুনে উক্ত সম্পদ ভোগ করলে সন্তানরাও গুনাহগার হবে। এক্ষণে নিজদের বাঁ
উত্তর : প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে এরূপ সাজেশন দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত ধারণা হ’লে, তা গ্রহণ করা জায়েয নয়। কারণ শরী‘আতে অন্যায় কাজে সাহায্য করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৫/২)।
উত্তর : ‘আখেরী চাহার সোম্বা’ কথাটি ফার্সী। এর অর্থ ছফর মাসের শেষ বুধবার। ইরান, ইরাক, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এটি দিবস হিসাবে পালিত হয়ে থাকে। এর ভিত্তি হ’ল- মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে বুধবার রাসূল (ছাঃ)-এর দেহের উত্তাপ ও মাথাব্যথা খুব বৃদ্ধি পায়। তাতে
জীবনের গতিপথ যে হিসাব মেনে চলে না, তার প্রমাণ ইদানিং একদম হাতে নাতে পেয়ে যাচ্ছি। মারী হিল্সে যাব ভাবছি ক’দিন ধরেই, কিন্ত আজ-কালের ঘূর্ণাবর্ত ভেদ করতে না পেরে ভাবনাটা দোদুল্যমান থাকে। হাড়কাঁপানো শীতের এক ভোর। আত-তাহরীকের সাময়িক প্রসঙ্গ কলামটি লি