হিজরী বর্ষের ৯ম মাস রামাযান আমাদের দুয়ারে সমাগত। বছরে একবার রামাযান তার মাসব্যাপী অফুরন্ত রহমতের পশরা নিয়ে আমাদের নিকটে হাযির হয়। যারা একে চিনেন ও বুঝেন, তারা একে সম্মান করেন, মর্যাদা দেন, নিজের গোনাহ মাফের জন্য তওবা করেন, আল্লাহর নিকট থেকে বিশেষ পুর
বর্ষ পরিক্রমায় অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও আমাদের দুয়ারে নেকী ও ছওয়াবের ডালি নিয়ে মাহে রামাযানের আগমন ঘটেছে। আল্লাহভীতির বিশেষ গুণ অর্জনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন ও সংযমশীলতার প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে যে আত্মশক্তির উন্মেষ ঘটে, সেই আত্মশুদ্ধি ও আত্মশক্তি
উত্তর : যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রামাযানের ছিয়াম পরিত্যাগ করবে তাকে অবশ্যই তওবা করতে হবে এবং ছুটে যাওয়া ছিয়ামগুলোর পরিমাণ অনুমান করে ক্বাযা আদায় করতে হবে। তবে কাফফারা আদায় করতে হবে না। কারণ এটি একটি ফরয ইবাদত যা আদায় ব্যতীত যিম্মাদারী থেকে মুক্ত
উত্তর : এশার ছালাতের পূর্বে কোন সুন্নাতে রাতেবা নেই। বরং আযানের পরে ও এক্বামতের পূর্বে দুই রাক‘আত সাধারণ নফল ছালাত আদায় করা যায় (বুখারী হা/৬২৮)। অনুরূপভাবে মাগরিবের ছালাতের পর থেকে এশা পর্যন্ত অনির্ধারিতভাবে নফল ছালাত আদায় করা যায় (ছহী
উত্তর: আশূরার ছিয়াম ১০ তারিখে একদিন রাখা যায়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদিনই রেখেছিলেন (বুখারী হা/২০০২, ৪৫০৪; মুসলিম হা/১১২৫)। তবে ১০ই মুহাররমের পূর্বে বা পরে আরেক দিন ছিয়াম রাখা উত্তম। কেননা ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, তোমরা আশূরার দিন ছিয়াম রাখ
উত্তর : কেবল শুক্রবারকে কেন্দ্র করে কোন নফল ছিয়াম রাখা জায়েয হবে না। কারণ শুক্রবারকে রাসূল (ছাঃ) ছিয়াম দ্বারা খাছ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, রাত্রিসমূহের মধ্যে জুম‘আর রাতকে ক্বিয়াম (নফল ছালাত) পড়ার জন্য নির্দিষ্ট করো না এবং দিনসমূহের মধ্যে জু
উত্তর : যুদ্ধের কারণে রামাযানের ফরয ছিয়াম ত্যাগ করা জায়েয (মুসলিম হা/১১২০; আবুদাঊদ হা/২৪০৬)। তবে যুদ্ধ শেষে আবশ্যিকভাবে উক্ত ছিয়ামগুলো ক্বাযা আদায় করে নেয়া কর্তব্য ছিল (ইবনু হাযম, আল-ইস্তিযকার ১/৭৭; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/৩৬৫; ফাতাওয়া ল
উত্তর : ছিয়ামরত অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস ব্যতীত অন্তরঙ্গ হওয়া জায়েয। তবে সাবধান থাকতে হবে, যেন এমন কাজ না করা হয়, যাতে ছিয়াম ভঙ্গ হওয়াসহ ক্বাযা ও কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হয়ে যায়। আর মযী নির্গত হওয়াতে ওযূ ভঙ্গ হ’লেও ছিয়াম ভঙ্গ হয় না (মুগনী ৩/
উত্তর : বছরের নিষিদ্ধ পাঁচ দিন বাদ দিয়ে সারা বছর ছিয়াম পালন করা যায়; তবে সেটি সুন্নাতসম্মত নয়। কারণ এতে দেহের হক নষ্ট হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সারা বছর ছিয়াম রাখলো সে যেন কোন ছিয়ামই রাখেনি। একথা তিনি তিনবার বলেন (বুখারী হা/১৯৭৭; মু
উত্তর : এমতাবস্থায় তিনি ক্বাযাও আদায় করতে পারেন বা ফিদইয়াহও দিতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ মুসাফিরের উপর থেকে রহিত করে দিয়েছেন অর্ধেক ছালাত এবং মুলতবী রেখেছেন ছিয়ামকে। আর গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধদানকারীণী মহিলা থেকে মুলতবী করে দিয়েছেন ছিয়াম
উত্তর : যাবে। কারণ এগুলো কোন খাদ্য নয় যা পাকস্থলীতে যায়। আর এগুলি রক্ত তৈরিতেও সহায়তা করে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৫/২৪৫;মাজাল্লাতু মাজমা‘ইল ফিক্বহিল ইসলামী ১০/৯১৩)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।
উত্তর : রামাযানের ছিয়াম ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। যা অবহেলাবশতঃ পরিত্যাগ করার মাধ্যমে ব্যক্তি কবীরা গোনাহে পতিত হয়। অতএব উক্ত তিন বছর ছিয়াম ত্যাগের জন্য অনুতপ্ত চিত্তে তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে কোন দিন তা পরিত্যাগ করব না বলে প্রতিজ্ঞা করে আল
উত্তর : যে সকল কারণে ছিয়াম ছেড়ে দিলে কেবল ক্বাযা ওয়াজিব হয় সেগুলো হ’ল- ১. কোন ওযরের কারণে ছিয়াম ছাড়লে। যেমন অসুস্থ বা মুসাফির ব্যক্তির ছিয়াম, ঋতুবতী ও নিফাসওয়ালী নারীর ছিয়াম, গর্ভবতী বা দুগ্ধদান কারীণী মায়ের ছিয়াম। ২. কোন কারণ ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে
উত্তর : রামাযানে জোরপূর্বক কোন ছায়েমকে খাদ্য খাওয়ানো হ’লে তার ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। সে ছিয়াম চলমান রাখবে এবং দিনের বাকী সময়ে কিছু খাবে না (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৩২৬; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/১৯৪)। আল্লাহ বলেন, ‘যার উপরে (কুফরীর জন্য) যবরদস্তি কর
উত্তর : মুসাফির ব্যক্তি সফরকালে ছিয়াম ভাঙ্গতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসের ছিয়াম রাখে। তবে যে ব্যক্তি পীড়িত হবে অথবা সফরে থাকবে সে এটি অন্য সময় গণনা করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান, কঠিন চা
উত্তর : এ অবস্থায় স্বামীর অনুমতি নিতে হবে না। কারণ স্বামীর উপস্থিতিতে স্ত্রীকে নফল ছিয়াম পালন করতে নিষেধ করার কারণ হচ্ছে স্বামীর চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখা। অতএব স্বামী যেহেতু পাশে না থেকে আরেকজন স্ত্রীর নিকট অবস্থান করছে, সেজন্য নফল ছিয়াম পালনে অ
উত্তর : রামাযানে দিনের বেলায় কেউ কিছু সময় অজ্ঞান হয়ে থাকলে তার ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তিন ব্যক্তির উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ‘বাতিল’ (আলবানী, যঈফাহ হা/৮৩১)। অন্য বর্ণনায় সত্তুরটি রামাযান অপেক্ষা উত্তম বলা হয়েছে। এ বর্ণনাটিও ‘যঈফ’ (আতিয়া সালেম, শরহুল আরবাঈন ৫/৭৯)। আরো উল্লেখ্য যে, মক্কায় ছিয়াম পালন করা অন্যত্র ছিয়াম পালন অপেক
উত্তর : রামাযানে শয়তানদের শৃংখলাবদ্ধ করা হয় মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। এটি গায়েবী বিষয়। যেভাবে হাদীছে এসেছে সেভাবেই মুসলমানদের বিশ্বাস করতে হবে। তবে বিদ্বানগণ এর ব্যাখ্যায় বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ)
ছওম বা ছিয়াম : অর্থ বিরত থাকা। শরী‘আতের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হ’তে বিরত থাকাকে ‘ছওম’ বা ‘ছিয়াম’ বলা হয়। ২য় হিজরী সনে ছিয়াম ফরয হয়। ছিয়ামের ফাযায়েল : রাসূলুল্লাহ (ছ
ভূমিকা : রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রামাযান। এ মাসে মুমিন-মুত্তাক্বী নেকীর ডালি ভরে নেয় এবং পাপ- পঙ্কিলতা হ’তে মুক্ত হয়। মুমিন জীবনে এ মাস এক অনন্য সুযোগ, যাতে সে ছিয়াম, ক্বিয়াম, ছালাত, যিকির-আযকার, তাসবীহ-তেলাওয়াত, দান-ছাদাক্বা ইত্যাদির মাধ্যমে দি
উত্তর : এব্যাপারে সরাসরি কোন দলীল না থাকায় শায়েখ বিন বাযসহ কিছু বিদ্বান একে বিদ‘আত বলেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/২৯২)। বরং এজন্য ছালাতের শেষ বৈঠকে বা একাকী ছালাত শেষে হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রাণ ভরে দো‘আ করাই যথেষ্ট। এছাড়া নেককার মুরববীদের
উত্তর : শারঈ কারণে ছুটে যাওয়া বিগত বছরের ছিয়ামগুলোর ক্বাযা আদায় করতে হবে (মুসলিম হা/৩৩৫; মিশকাত হা/২০৩২; ওছায়মীন, ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম ৪৫৫পৃ.)। এক্ষণে নারীর বার্ধক্যের কারণে বা অসুস্থতার কারণে যদি ছিয়ামগুলোর ক্বাযা আদায়ে সক্ষমতা না থাকে, ত
উত্তর : ফরয-নফল উভয় ছিয়ামের জন্যই প্রযোজ্য। কেননা কোন হাদীছে উক্ত ফযীলতকে ফরয ছিয়ামের সাথে খাছ করা হয়নি (ইমাম বাজী, আল-মুনতাক্বা শারহুল মুওয়াত্ত্বা ২/৬০)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আল-মামূনএএসআই, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।
উত্তর : কোন জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে ছিয়াম পালন করার বিধান নেই। তবে মাইয়েতের পক্ষ থেকে তিন অবস্থায় ছিয়াম পালন করা যাবে। (১) মাইয়েত যদি কোন ছিয়াম পালনের মানত করে মারা যায় তাহ’লে তার পক্ষ থেকে ছিয়াম পালন করতে হবে। (২) যদি মাইয়েতের রামাযানের ক্বাযা
উত্তর : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, কেউ তরকারী বা অন্য কিছুর স্বাদ পরীক্ষা করলে তাতে কোন দোষ নেই (বুখারী ৭/২৮৮)। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, ছিয়াম অবস্থায় কোন কিছুর স্বাদ গ্রহণ না করাই উত্তম। তবে প্রয়োজনে করলে ক্ষতি নেই (মুগনী ৪/
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানের ছিয়াম পালন শেষে শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম পালন করল, সে যেন সারা বছর ছিয়াম পালন করল’ (মুসলিম হা/১১৬৪; মিশকাত হা/২০৪৭)। অন্য হাদীছে এক বছরের হিসাব রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এভাবে দিয়েছেন যে, ‘রামাযা
উত্তর : বর্ণনাগুলো জাল ও মুনকার (আলবানী, যঈফাহ হা/৬১৭৮-৭৯)। ইবনুল জাওযী (রহঃ) বলেন, ‘এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নামে বানোয়াট বর্ণনা’ (আল-মাওযূ‘আত ৩/১৯১)। শায়েখ বিন বায (রহঃ) বলেন, ‘এ হাদীছের কোন বিশুদ্ধ ভিত্তি নেই। বরং এটা বাতিল ও মিথ্যা
উত্তর : ই‘তিকাফ অবস্থায় নফল ছালাত, যিকির, তাসবীহ, তাহলীল, তাহমীদ ও কুরআন তেলাওয়াত প্রভৃতি ইবাদতে ব্যস্ত থাকা মুস্তাহাব। তবে একান্ত প্রয়োজনে ইবাদতের উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য বইপত্র পড়তে পারে (বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ২/৩৬৩; নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২২৮)।
ভূমিকা :মহান আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের মাস রামাযান। বছর ঘুরে মুমিনের জীবনে এ মাসের আগমন ঘটে তাক্বওয়া অর্জনের অনন্য সুযোগ হিসাবে। মুমিন ব্যক্তি তার রুগ্ন হৃদয়কে মাগফেরাত ও রহমতের স্বচ্ছ সলিলে পরিষ্কার করে নেয়। নেক আমলের পসরা দিয়ে ভরে নেয় আমলনামা। ছিয়াম,
উত্তর : গর্ভাবস্থায় দীর্ঘ সময় রক্ত বের হ’লে তা ঋতু হিসাবে গণ্য হবে এবং উক্ত দিনগুলোতে ছালাত ও ছিয়াম থেকে বিরত থাকবে। আর যদি বাচ্চা প্রসবের কিছু পূর্ব থেকে রক্ত দেখা যায়, তাহ’লে তা নিফাসের রক্ত হিসাবে গণ্য হবে। তখনও ছালাত ও ছিয়াম থেকে বিরত থাকবে।
উত্তর : এটি আল্লাহর জন্য ছিয়ামের কারণে হয়ে থাকে, অন্য কারণে নয়। ফলে সেটি আল্লাহর নিকটে অতীব প্রিয়। যদিও দুর্গন্ধ হওয়ার কারণে মানুষের নিকট অপ্রিয়। অবশ্য এর অর্থ এটা নয় যে, ছায়েমকে তার মুখ দুর্গন্ধযুক্ত রাখতে হবে। বরং সে প্রয়োজনে সকাল-বিকাল নিয়মিত
উত্তর : ‘বড় শয়তানগুলি শৃঙ্খলিত হয়’ এবং ‘প্রতি রাতে আহবানকারী ফেরেশতা মানুষকে আহবান করে’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করা হয়’। যার ফলাফল হিসাবে দেখা যায় যে, এ মাসে পৃথিবীতে দুষ্কৃতি কমে যায় এ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীমমাহে রামাযানে কর্মীদের প্রতি আমীরে জামা'আতের আহ্বান আসসালামু আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ১. পরপারের পাথেয় সঞ্চয়ে ব্ৰতী হৌন!২. হাসিমুখে আল্লাহর দীদার লাভে প্রস্তুত হৌন!৩. সর্বদা আল্লাহর দাসত্বের মধ্যে থাকুন
উত্তর : ১৯৮৬ সালের ১১-১৬ অক্টোবর জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত ওআইসি-র অঙ্গসংস্থা ‘আন্তর্জাতিক ইসলামী ফিক্বহ একাডেমী’র উক্ত মর্মে গৃহীত ৫নং সিদ্ধান্তটি অগ্রহণযোগ্য। কারণ সিদ্ধান্তটি স্পষ্টভাবে কুরআন ও সুন্নাহর বিপরীত। কেননা আল্লাহ বলেছেন, তো
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এদিন সর্ব
ওহে আত্মভোলা মানুষ! দুনিয়ার ব্যস্ততায় তোমার জীবনের গাড়ী পাথেয়শূন্য অবস্থায় এগিয়ে চলেছে সৌর গতির তুলনা মতে প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার বেগে। অথচ সাত আসমানের উপর আরশে উন্নীত আল্লাহর কাছ থেকে আদেশ নিয়ে তোমার নিকট ফেরেশতাদের পৌঁছতে সময় লাগে এক পলক মা
উত্তর : কেউ যদি ছিয়ামরত অবস্থায় ভুলবশতঃ স্ত্রী মিলন করে বা বীর্যপাত ঘটায় তাহ’লে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। এমতাবস্থায় ছায়েম তার ছিয়াম পূর্ণ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভুল করে ছিয়াম অবস্থায় দিনের বেলায় স্ত্রী মিলন করে, তার কোন ক্বাযাও নেই, কাফফা
উত্তর : কতিপয় শাফেঈ বিদ্বান এমন মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তাদের পক্ষে কোন দলীল নেই। কারণ হাদীছে কম বা বেশী খাওয়ার কথা বলা হয়নি। বরং সাধারণভাবে ভুলে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ছায়েম ভুলে কিছু খায় সে যেন তার ছিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল
উত্তর : হাদীছে বর্ণিত কারণগুলো ছাড়া অন্য কোন গুনাহে লিপ্ত হ’লে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। ছিয়ামের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। তবে ছিয়ামরত অবস্থায় কেউ কবীরা গুনাহে লিপ্ত হ’লে সে ছিয়ামের ছওয়াব পাবে না (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৪/১১৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ;
উত্তর: শিশু বালেগ না হ’লে তার উপর ছিয়াম ফরয হয় না (আবুদাউদ হা/৪৪০১; মিশকাত হা/৩২৮৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৫১২)। আর বালেগ হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন, স্বপ্নদোষ হওয়া, নাভীর নীচে চুল গজানো বা ১৫ বছরে উপনীত হওয়া ইত্যাদি (বুখারী হা/২৬৬৪; মুসলিম হা/১
ছওম বা ছিয়াম : অর্থ বিরত থাকা। শরী‘আতের পরিভাষায় আললাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হ’তে বিরত থাকাকে ‘ছওম’ বা ‘ছিয়াম’ বলা হয়। ২য় হিজরী সনে ছিয়াম ফরয হয়।ছিয়ামের ফাযায়েল : রাসূলুললাহ (ছাঃ) এরশাদ ক
উত্তর : এমতাবস্থায় ছিয়াম পালন বা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর। দাওয়াতদাতা কষ্ট পাবে এমন সম্ভাবনা থাকলে ছিয়াম ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। আর আপত্তি না থাকলে ছিয়াম পালন করা উত্তম। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) আমার নিকট এসে বলতেন, তোমাদ
উত্তর : এমতাবস্থায় প্রথমতঃ খালেছ অন্তরে তওবা করতে হবে। কেননা ফরয বিধান পরিত্যাগ করা কবীরা গুনাহ। দ্বিতীয়তঃ যেহেতু বিগত ছুটে যাওয়া ছিয়ামগুলোর নির্ধারিত কোন হিসাব নেই, সেহেতু এজন্য তওবা করাই যথেষ্ট হবে এবং বেশী বেশী নফল ছিয়াম আদায় করবে। ইবনু তায়মি
উত্তর : যাবে। কেননা বিশেষ দিনের ছিয়াম যেমন আরাফা বা আশূরার ছিয়াম, ক্বাযা বা মানতের ছিয়াম বা অভ্যাসগত ছিয়াম ইত্যাদি কারণে জুমআ‘র দিন ছিয়াম পালনে বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৪৩৭; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৭০)।প্রশ্নকারী : আনাস, লক্ষ্মীপুর,&
উত্তর : উক্ত ব্যক্তি ফকীর-মিসকীনদের মধ্যে শামিল হ’লে তাকে ফিদইয়া দেওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, আর যাদের জন্য এটি খুব কষ্টকর হবে, তারা যেন এর পরিবর্তে একজন করে মিসকীনকে খাদ্য দান করে (বাক্বারাহ ২/১৮৪)। যে ছিয়াম পালন করেনি, তাকেও ফিদইয়া হিসাবে খাদ্য
উত্তর : ই‘তিকাফ করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) ও অন্যান্য সালাফগণ রামাযানে নিয়মিত ই‘তিকাফ করতেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৫০১; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/৪৪০; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২০/১৫৮)। সুতরাং কেউ ই‘তিকাফ করলে ছওয়াব প্রাপ্ত হবে। আর না করলেও গুনাহগার হবে ন
উত্তর : ছিয়ামরত অবস্থায় ঠোঁটে লিপজেল বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করা ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয় (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/২৬০; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/২২৪; ফাতাওয়া উলামাইল বালাদিল হারাম ২০১ পৃ.)। তবে মুখের ভিতর কিছু যাচ্ছে এমন সন্দেহ হ’লে তা ফেলে দিবে বা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কোন ছাহাবীকে শা‘বান মাসের ছুটে যাওয়া ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে বলেননি। বরং প্রশ্নকারী ব্যক্তির প্রতি মাসের শেষে ছিয়াম পালন করার অভ্যাস ছিল। অথবা এটি তার মানতের ছিয়াম ছিল। যেটি রাসূল (ছাঃ) তাকে সেটি পরে আদায় করার নির্দেশ দেন।
উত্তর : রামাযান মাসে যাকাত আদায়ের বিশেষ কোন ফযীলত বর্ণিত হয়নি। যাকাত যখন ফরয হবে তখনই আদায় করা ওয়াজিব। বরং আববাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই যাকাত আদায়ের অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দেন (তিরমিযী হা/৬৭৮)। তবে রামাযানের কাছা
উত্তর : নাপাক অবস্থায় সাহারী খেলে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অপবিত্র অবস্থায় গোসল না করেই ঘুমিয়ে যেতেন, অতঃপর উঠে গোসল করতেন’ (ইবনু মাজাহ হা/৫৮১; তিরমিযী হা/১১৮, সনদ ছহীহ)। এছাড়া কখনও জুনুবী অবস্থায় রাসূল (ছাঃ
আল্লাহ বলেন, ‘রামাযান হ’ল সেই মাস, যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে। যা মানুষের জন্য পথ প্রদর্শক ও সুপথের স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী’ (বাক্বারাহ ২/১৮৫)। সত্য-মিথ্যার মানদণ্ড পবিত্র কুরআন আমাদের সামনে রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে তার স্পষ্ট ব্যাখ্
উত্তর : ইফতারের পর ও সাহারীর পূর্বে ইনসুলিন নেওয়াই উত্তম। যদি এরপরেও প্রয়োজন হয়, সেটা দিনের বেলায় ছিয়াম অবস্থায় নিতে পারে। কেননা ইনসুলিন গ্রহণ করা ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। আর এটি কোন খাদ্য নয়। অনুরূপ হাঁপানী রোগের জন্য ছিয়াম অবস্থায় ‘ইনহেলার’ নে
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ ও মুনকার (ইবনু আবী হাতিম, ইলালুল হাদীছ ১/২৪৯; সিলসিলা যঈফাহ হা/৮৭১; মিশকাত হা/১৯৬৫)। এর সনদে আলী ইবনু যায়েদ ইবনে জুদ‘আন নামে একজন ত্রুটিপূর্ণ রাবী আছে (বুগইয়াতুল বাহেছ ১/৪১২)। প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, আ
উত্তর : উক্ত অবস্থায় যখন তাদের পক্ষে সম্ভব তখন আদায় করবে। এক বা দু’বছর পরেও যদি হয়। কেননা তাদের শারঈ ওযর রয়েছে। কিন্তু যদি কোন মহিলা অবজ্ঞা ও অবহেলা করে, তাহ’লে সে গোনাহগার হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমার কিছু ছিয়াম ক্বাযা হয়ে যেত, যা পরবর্তী শা‘
উত্তরঃ রামাযান মাসে হোক কিংবা রামাযানের বাইরে হোক মৃত ব্যক্তির জন্য আলেম-ওলামা বা মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে দাওয়াত দিয়ে কুরআন খতম করানো একটি বিদ‘আতী প্রথা মাত্র। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ নিয়ম চালু ছিল না (যাদুল মা‘আদ ১/৫২; নায়লুল আওত্বা
উত্তর : হাদীছটি ইমাম বায়হাক্বী সংকলিত ‘শু‘আবুল ঈমানে’ বর্ণিত হয়েছে (হা/৩৭১৭)। তবে বর্ণনাটি যঈফ ও মুনকার (যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৫৮৯; আলবানী, মিশকাত হা/১৯৬৫ ‘ছওম’ অধ্যায়)।প্রশ্নকারী : আখতারুল ইসলামচট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
উত্তর : সূর্য ডোবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও বাড়তি সতর্কতার দোহাই দিয়ে তারা এটা করেন। যা সুন্নাত পরিপন্থী। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূর্যাস্তের সাথে সাথে ছায়েম ইফতার করবে (বুখারী হা/১৯৫৪; মুসলিম হা/১১০০; মিশকাত হা/১৯৮৫)। শুধু তাই নয়, দেরী করে
ছওম বা ছিয়াম : অর্থ বিরত থাকা। শরী‘আতের পরিভাষায় আল্ললাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হ’তে বিরত থাকাকে ‘ছওম’ বা ‘ছিয়াম’ বলা হয়। ২য় হিজরী সনে ছিয়াম ফরয হয়।ছিয়ামের ফাযায়েল : রাসূলুল্ললাহ (ছাঃ) এরশাদ
উত্তর : আড়াই চাঁদের ছিয়াম বলে শরী‘আতে কিছু নেই। বরং এটি স্পষ্ট বিদ‘আত। সুতরাং এই মানত পূরণ করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহর আনুগত্যের মানত করে, তাহ’লে সে যেন তা পূরণ করে। আর কোন ব্যক্তি যদি নাফরমানীর মানত করে, সে যেন তা
ছিয়াম আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্ষমা লাভের অতুলনীয় একটি মাধ্যম। মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদীর উপরে রামাযানের মাসব্যাপী ছিয়ামকে ফরয করেছেন। পাশাপাশি বছরের অন্যান্য মাসগুলোতেও বিভিন্ন ধরনের নফল ছিয়াম বিধিবদ্ধ করেছেন। তন্মধ্যে রয়েছে মাসিক, সাপ্তাহিক ও বিশেষ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর জন্মদিন মনে করে সোমবারে ছিয়াম রাখা যাবে না। কারণ জন্ম বা মৃত্যু দিবস পালন ইসলামে বৈধ নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছিয়াম পালন করতেন প্রথমতঃ এই কারণে যে, তিনি সোমবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ও প্রথম অহি প্র
উত্তর : অজ্ঞতাবশত কেউ সময়ের পরে সাহারী গ্রহণ করে থাকলে সে ছিয়াম পূর্ণ করবে। কারণ অজ্ঞতার কারণে কেউ কোন ভুল করলে তার জন্য আল্লাহ পাকড়াও করেন না (বাক্বারাহ ২/২৮৬)। কতিপয় ছাহাবী সাদা রেখা ও কালো রেখার ব্যাখ্যা বুঝতে না পারায় নির্দিষ্ট সময়ের পরে
উত্তর : এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে আমল পাওয়া যায় না। সুতরাং এ থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য। বরং কারু সুস্থতার জন্য হাদীছে বর্ণিত দো‘আ সমূহ পাঠ করবে এবং ছাদাক্বা করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ছাদাক্বা করার মাধ্যমে তোমাদের রোগীদের
উত্তর : প্রতি আরবী মাসের মধ্যবর্তী ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ, আইয়ামে বীয-এর ৩ দিন ছিয়াম পালন করা মুস্তাহাব (তিরমিযী হা/৭৬১; নাসাঈ হা/২৪২৪; মিশকাত হা/২০৫৭)। তবে কোন সমস্যা থাকলে মাসের অন্য দিনেও রাখা যেতে পারে। এক্ষণে যিলহজ্জ মাসের ১৩ তারিখ আইয়ামে তাশরীক্
আল্লাহ তা‘আলা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই বারো মাসে বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন (তওবা ৯/৩৬)। এই মাস সমূহের মধ্যে প্রথম মাস হ’ল মুহাররম মাস। মুহাররম মাসের সাথে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা জড়িত আছে। এই মাসে রয়েছে কিছু সুন্নাত ইবাদত। আবার এই মাসকে কেন্দ্র
উত্তর : এককভাবে শুক্রবারে ছিয়াম পালন নিষিদ্ধ। তবে আগে বা পরে মিলালে তাতে কোন দোষ নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অবশ্যই কেউ যেন স্রেফ জুম‘আর দিনে ছিয়াম না রাখে। তবে যদি তার একদিন আগে কিংবা পরে রাখে তাহ’লে তাতে ক্ষতি নেই (বুখারী হা/১৯৮৫)। অর্থাৎ শুক্র
উত্তর : ইফতারের পূর্বে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দো‘আ করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। নির্দিষ্টভাবে ইফতারের সময় দো‘আ কবুল হয় মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/১৭৫৩; মিশকাত হা/২২৪৯; যঈফুল জামে‘ হা/১৯৬৫)। তবে ছিয়াম পালনকারীর দো‘আ কবুল করা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমান যদি জুম‘আর দিনে বা রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হ’তে রক্ষা করেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৭৭৩)। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা এ দিনের বরকতে মুমিন ব্যক্তিদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে
উত্তর : অতিবৃদ্ধ, গর্ভবতী, দুগ্ধদায়িনী মা বা চিররোগী ব্যক্তি ফিদ্ইয়া হিসাবে দৈনিক সিকি ছা‘ (৬২৫ গ্রাম) চাউল বা গম মিসকীনকে প্রদান করবে। অথবা একদিনে ৩০ জন মিসকীনকে খাওয়াবে। চাই সেটা বাড়িতে খাবার বানিয়ে হৌক বা হোটেলে হৌক। আনাস (রাঃ) বার্ধক্যজনি
উত্তরঃ নির্দিষ্ট করে কেবল জুম‘আর দিন ছিয়াম পালন করা যাবে না। তার সাথে আগে অথবা পরে একদিন যোগ করে ছিয়াম রাখতে হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন শুধু জুম‘আর দিন নির্দিষ্ট করে ছিয়াম পালন না করে। তবে ত
উত্তরঃ গর্ভবতী মহিলার জন্য নফল ছিয়াম না রাখাই ভাল। কারণ ফরয ছিয়ামের ব্যাপারে তাকে ছাড় দেয়া হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা মুসাফিরকে ছিয়াম পালনের ব্যাপারে ছাড় দিয়েছেন এবং ছালাত অর্ধেক করে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও বাচ
উত্তরঃ আইয়ামে বীয-এর ছিয়াম পালনকারী ব্যক্তিগণ যিলহজ্জ মাসে ২দিন ছিয়াম পালন করবেন। কারণ প্রতি মাসে দু’টি ছিয়ামও পালন করা যায়। নবী করীম (ছাঃ) এক ব্যক্তিকে বললেন, তুমি প্রতি মাসে একদিন ছিয়াম পালন কর। লোকটি বলল, আমি এর চেয়ে বেশী পারব। রাসূলুল্লাহ
উত্তরঃ এ ব্যাপারে সবচেয়ে উত্তম হ’ল আরাফার দিন সকাল হ’তে মিনায় অবস্থানের শেষ দিন আছর পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করা। তবে যিলহজ্জের প্রথম দিন হ’তে কুরবানীর পরের তিন দিন পর্যন্ত তাকবীর বলা যায় (মির‘আত ৫/৯০ পৃঃ)। আলী (রাঃ) আরাফার দিন ফজরের পর থেকে ঈদের পরে
উত্তরঃ যিলহজ্জের প্রথম হ’তে নবম তারিখ পর্যন্ত ছিয়াম পালন করা যায়। হাফছা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) আশুরার ছিয়াম, যিলহজ্জের ১ম দশকের ছিয়াম, প্রতি মাসে তিন দিনের ছিয়াম এবং ফজরের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত ছাড়তেন না (নাসাঈ হা/২৪১৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ
উত্তরঃ রামাযানের ছিয়াম পালন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরয (বাক্বারাহ ১৮৩)। সুতরাং স্বামী যদি ছিয়াম পালনকারী স্ত্রীর সাথে জোর পূর্বক সহবাস করে তাহ’লে সে গোনাহগার হবে। এক্ষেত্রে স্ত্রী দায়ী হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ ত
উত্তরঃ কোন ফরয ছিয়ামের দিন পড়ে না গেলে নফল হিসাবে নির্দিষ্ট করে শুধুমাত্র জুম‘আর দিবসে ছিয়াম রাখা যাবে না (ছহীহ আবূদাঊদ হা/২৪২১; ছহীহ তিরমিযী হা/৭৪৪)। তবে জুম‘আর দিনের আগে অথবা পরে মিলিয়ে যদি রাখা হয় তাহ’লে দোষ নেই (বুখারী ‘কিতাবুছ ছাওম হা/১৯৮৫; মুসল
উত্তরঃ এক সঙ্গে দু’টিই করা যাবে এবং তাতে ফযীলত ভিন্ন ভিন্ন। সোম ও বৃহস্পতিবারের ছিয়াম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, সোম ও বৃহস্পতি এ দু’দিনে আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মুসলিমকে ক্ষমা করে দেন। তবে সেই দু’ব্যক্তি ছাড়া যা
উত্তরঃ কোন মহল্লায় যদি সারা বছর তাহাজ্জুদ ও নফল ছিয়ামের অভ্যাস জারি থাকে, তবে সারা বছরই তাহাজ্জুদ ও সাহারীর আযান দেওয়া যাবে। যেমন মক্কা-মদীনার দুই হারামে চালু আছে (ফাৎহুল বারী ২/১২৭ পৃঃ, হা/২২১, ২২২, ২২৩)।
উত্তরঃ ছিয়াম নষ্ট হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে বর্ণিত কারণ সমূহে ছিয়াম ত্রুটিপূর্ণ হয়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কর্ম ছাড়ল না তার খানাপিনা ত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কদরের রাত বুঝতে পারতেন (বুখারী, মিশকাতহা/২০৯৫)। কদরের রাত কোনটি তা অন্যদের জানা যরূরী নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কদর রাতের নির্দিষ্ট তারিখ না জানার মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে (বুখারী, মিশকাত হা/২০৯৫)
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ইমাম বুখারী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, এটি ‘মানসূখ’ নয়। বরং এর অর্থ হ’ল, যাদের ছিয়াম রাখার ক্ষমতা নেই যেমন অতি বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা, তারা প্রতিদিনের ছিয়ামের বদলে একজন মিসকীন খাওয়াবে
উত্তর : ইফতার যদিও ইবাদত, তবে এমন ইবাদত যেখানে সামাজিকতার ব্যাপার রয়েছে। তাই এখানে কাফেরদেরও দাওয়াত করা যেতে পারে, যদি তাতে কাফেরদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান করা বা আগ্রহী করার উদ্দেশ্য থাকে। আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) ইহুদী-নাছারাদের কাছ থেকে হাদিয়া
উত্তর : সাধ্য থাকলে ঐ দেশের সূর্যাস্ত অনুযায়ী ইফতার করবে। অন্যথা ছিয়াম ছেড়ে দিবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৮৫)। কারণ সফর অবস্থায় ছিয়াম তার উপর ফরয নয়। পরে ক্বাযা আদায় করে নিবে (বাক্বারাহ ১৮৪)। তবে কোন দেশে যদি দীর্ঘস্থায়ী দিন বা রাত হয়, তাহলে ন
উত্তর : পৃথিবীর সকল স্থানের চাঁদের উদয়স্থল এক নয়। কাজেই সারা দুনিয়ার ছিয়াম রাখা ও ছিয়াম ছাড়া এক সাথে হতে পারে না। আল্লাহ বলেন, তোমাদের যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন ছিয়াম পালন করে (বাক্বারাহ ১৮৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা চাঁদ দেখে ছিয়াম শ
উত্তরঃ একাকী ছালাত বাদে সরাসরি নয়, বরং তাসবীহ পাঠ শেষে দো‘আ করবে। তাহাজ্জুদের সময় বা অন্য সময়ে ছিয়ামরত অবস্থায় একাকী হাত তুলে দো‘আ করা যাবে। তবে দো‘আ শেষে মুখে মাসাহ্ করবে না। কেননা মুখে মাসাহ করার হাদীছ যঈফ।
উত্তর : ছিয়াম পালন ও তওবা করার কারণে জাহান্নাম মুখী ব্যক্তিকে আল্লাহ মুক্তি দান করেন। এটা অবশ্যই তাকদীর অনুযায়ী হয়ে থাকে। প্রকৃত মুমিন সৎকর্মশীল ব্যক্তিকে কবরে কোন মাসেই আযাব দেয়া হবে না। এ মাসে কবরের আযাব মাফ করে দেওয়া হয় এ কথা সঠিক নয়। এ মা
উত্তরঃ ২০ রামাযান দিবাগত সন্ধ্যার পূর্বে ই‘তেকাফের জন্য মসজিদে প্রবেশ করতে হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ)। নবী করীম (ছাঃ) রামাযানের শেষের দশকে ই‘তেকাফ করতেন। আর শেষের দশক শুরু হয় ২০ রামাযান দিনের শেষ থেকে (ঐ)। ছিয়াম অবস্থা
ফাযায়েল :(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[1](খ) রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের দশগুণ হ’তে সাতশত গুন ছওয়াব প্রদান করা হ
ইসলাম শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। এর প্রতিটি বিধানের মধ্যে লুকিয়ে আছে জানা-অজানা নানা বৈজ্ঞানিক তথ্য। ইসলামের বিধান সমূহ মেনে চললে শুধু যে ক্ষতি থেকে বাঁচা যায় তা নয়; বরং তা অনেক উপকারী। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে এখন তা প্রমাণ করেছেন। চিকিৎসাব
হিজরী বর্ষপঞ্জির নবম মাসের নাম ‘রামাযান’। রামাযান শব্দের অর্থ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া। বিশিষ্ট অভিধানবিদ আল্লামা ফিরোযাবাদী এ মাসের নাম রামাযান হবার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। যেমন- (১) অত্যধিক গরমের সময় এ মাস পড়েছিল বলে, (২) এ মাসে ছিয়াম পালনকারীর পেটে
উত্তর : কেবল ক্বদরের রাত্রে এগুলো আল্লাহকে সিজদা করে একথা সঠিক নয়। বরং আসমান-যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহকে সিজদা করে’ (নাহল ৪৯)।
উত্তর: উক্ত ধারণা সঠিক নয়। কারণ এটা ছিয়াম ভঙ্গের কারণ সমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। রক্ত বের হলে ছিয়াম নষ্ট হয় না এবং দুর্বলও হয় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছিয়াম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০০২)।
গত সংখ্যায় আরাফার দিনের ছিয়াম সম্পর্কিত আলোচনায় পরস্পর বিরোধী হাদীছ দু’টির সমাধান কল্পে ইবনুল হুমাম (রহঃ) বলেন, صوم يوم عرفة لغير الحاج مستحب،‘যারা হজ্জব্রত পালনকারী নন আরাফার ছিয়াম তাদের জন্য মুস্তাহাব’।১ আল্লামা মুজহির বলেন, ‘যারা হাজী নন
উত্তর : এরূপ অক্ষম ব্যক্তি অন্যের সাহায্য নিয়ে ছিয়াম রাখতে পারলে রাখবে। নইলে চিররোগী হিসাবে প্রতিদিনের বিনিময়ে অর্ধ ছা‘ ফিদিয়া প্রদান করবে। তবে সামর্থ্য না থাকলে ফিদিয়া ওয়াজিব নয় (মির‘আত ৭/৩২)। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কাজে বাধ্
উত্তর : মাহরাম ব্যতীত কোন নারীর একাকী দূরে সফরে কিংবা বিদেশে গমন করা নিষিদ্ধ। নারীর সার্বিক নিরাপত্তা বিধান ও ফেৎনা থেকে প্রতিরক্ষার জন্যই ইসলামের এই নীতি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মেয়েরা মাহরাম ব্যতীত অন্য কারো সাথে সফর করবে না এবং মাহরাম কাছে নেই
উত্তর : ছিয়ামরত অবস্থায় করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করা যাবে। কেননা ছিয়াম অবস্থায় খাদ্য নয় এরূপ বস্ত্ত দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করায় কোন বাধা নেই। অতএব যেসব টিকা, ইনস্যুলিন, ইনজেকশন বা ভ্যাকসিন খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় না বা শরীরে বাড়তি পুষ্টি যোগায়
উত্তর : ফিদইয়ার পরিমাণ অর্ধ ছা‘। এই ফিদইয়া ফক্বীর-মিসকীনকে দিতে হবে (বুখারী হা/৪৫১৭ ‘তাফসীর’ অধ্যায় ৩২ অনুচ্ছেদ, বাক্বারাহ ১৯৬)।
উত্তর : সিদ্ধ হবে। কারণ তখন সে ঐ অপবিত্র ব্যক্তির মত, যে ছিয়াম রেখেছে কিন্তু ফজরের পূর্বে গোসল করতে পারেনি। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর স্ত্রীদের সাথে সহবাসের পর অপবিত্র অবস্থায় সকাল করতেন এবং ছিয়াম রাখতেন’ (মুত্তাফাক্ব আল
উত্তর : উক্ত অবস্থায় যখন তাদের পক্ষে সম্ভব তখন আদায় করবে। এক বা দু’বছর পরেও যদি হয়। কেননা তাদের শারঈ ওযর রয়েছে। কিন্তু যদি কোন মহিলা অবজ্ঞা ও অবহেলা করে, তাহ’লে সে গোনাহগার হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমার কিছু ছিয়াম ক্বাযা হয়ে যেত, যা পরবর্তী শা‘
উত্তর : ইতেকাফ তাকওয়া অর্জন করার বড় মাধ্যম। আল্লাহ বলেন, আর যতক্ষণ তোমরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ সমূহে অবস্থান কর ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা কর না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা (বাক্বারাহ ১৮৭)। এতে লায়লাতুল ক্বদর অনুসন্ধানের সুযো
উত্তর : এটা শরী‘আতের নামে নতুন আবিস্কার, যা পরিত্যাজ্য। নবী (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি এমন আমল করে যার ব্যপারে আমার কোন নির্দেশনা নেই, তা পরিতাজ্য’ (বুখারী ২/১০৯২ পৃঃ)।
উত্তর : রামাযান বা রামাযানের বাইরে কোন সময়ে নিয়মিত সারা রাত জেগে কিয়ামুল লাইল পালন করা সমীচীন নয়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে কখনো ভোর পর্যন্ত সারারাত জেগে ইবাদত করতে এবং রামাযান মাস ছাড়া এক নাগাড়ে পুরো মাস ছিয়াম পালন করতে দেখিনি (মু
উত্তর : সফরে বের হওয়ার পূর্বে যদি দু’ওয়াক্তের ছালাত প্রথম ওয়াক্তে আদায় করা হয়ে যায় অতঃপর দ্বিতীয় ওয়াক্তের পূর্বেই সফর বাতিল ঘোষণা করা হয় তাহ’লে ঐ ছালাতই যথেষ্ট হবে। পরের ওয়াক্তের ছালাত আদায় করা যরূরী নয়। তবে যদি কেউ করে তবে তা নফল হয়ে যাবে। (
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ছিয়াম ভঙ্গ করলে তিনি কবীরা গোনাহগার হবেন। এজন্য তাকে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে হবে এবং উক্ত ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ছিয়াম অবস্থায় যে ব্যক্তি অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি করবে, তার জন্য ক্বাযা নেই। আর যে ব
উত্তর : রামাযান মাসে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, প্রতি বছর (রামাযানে) জিব্রীল (আঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে একবার কুরআন পাঠের পুনরাবৃত্তি করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি মৃত্যুবরণ করেন সে বছর তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে দু’বার কুরআন প
উত্তর : রামাযান মাসে বিবাহ করার বিশেষ কোন গুরুত্ব নেই। বরং বছরের যেকোন মাসে ও যেকোন দিনে বিবাহ হ’তে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৮/৪২)।প্রশ্নকারী : আতীকুল ইসলামভাড়ালীপাড়া, রাজশাহী।
উত্তর : রামাযান মাসের ছিয়াম দ্বিতীয় হিজরীর শা‘বান মাসে ফরয হয়েছিল (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২৫০)। ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে রামাযান মাসে দু’টি যুদ্ধ করেছি- বদর যুদ্ধ ও মক্কা বিজয়। এ সময় আমরা ছিয়াম রাখিনি (তিরমিযী হা/৭১৪; আ
উত্তর : ইফতারের বিষয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা হ’ল- সূর্যাস্তের সাথে সাথে ছায়েম ইফতার করবে (বু. মু. মিশকাত হা/১৯৮৫)। তিনি ইশারা দিয়ে বলেন, যখন এদিক হ’তে রাত্রি আগমন করবে এবং এদিক হ’তে দিন প্রস্থান করবে এবং সূর্য অস্ত যাবে, তখনই ছায়েম ইফতার করবে’
উত্তর : ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামের যাবতীয় বিধানাবলী পালন করার চেষ্টা করতে হবে। তবে বাধ্যগত কারণে ইবাদত পালনে কৌশল অবলম্বন করা যাবে। যেমন বাদশাহ নাজাশী ইসলাম গ্রহণ করে তা গোপন রেখেছিলেন। ইউসুফ (আঃ)-কেও রাজপ্রসাদে ইসলাম গোপন রেখে ধর্মীয় কার্যাবলী
উত্তর : রামাযান মাসে যাকাত আদায়ের বিশেষ কোন ফযীলত নেই। যাকাত যখন ফরয হবে তখনই আদায় করা ওয়াজিব। তবে রামাযানের নিকটবর্তী মাসে যাকাত ফরয হ’লে ফযীলতের দিকে লক্ষ্য রেখে রামাযান মাসে আদায় করা যেতে পারে (ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, মাসআলা-৩৮৮, পৃঃ ৪৪৪; নবব
উত্তর : যে সকল গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারিণী মহিলা ছিয়াম পালনে শিশুর ক্ষতির আশংকা করে, তারা রামাযানে ছিয়াম ছেড়ে দিবে এবং পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা মুসাফিরের উপর থেকে রহিত করে দিয়েছেন অর্ধেক ছাল
উত্তর : রোযাদার কে পানি পান করালে আল্লাহ তা‘আলা গুনাহ মাফ করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন মর্মে হাদীছটি ইমাম বায়হাক্বী বর্ণনা করেছেন। তবে হাদীছটি যঈফ (মিশকাত হা/১৯৬৫; সিলসিলা যঈফা হা/৮৭১)। কিন্ত রোযাদারকে পানি পান করালে হাউয কাওছারের পা
উত্তর : উক্ত সময়ে ঋতু শুরু হ’লে ছিয়াম বাতিল হবে এবং পরবর্তীতে তাকে ঐ ছিয়াম পালন করতে হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ঋতু অবস্থায় আমাদেরকে ছিয়াম ক্বাযা করার এবং ছালাত ছেড়ে দেয়ার আদেশ দেওয়া হ’ত (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩২, ‘ক্বাযা ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ)। তবে
উত্তর : সরকারী আবহাওয়া অধিদপ্তরের সময়সূচীতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তা বৈজ্ঞানিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেই প্রদান করা হয়। তাই উক্ত সময়সূচীই ধর্তব্য এবং সে মোতাবেকই সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : পূর্বের মাসগুলোতে নির্দিষ্ট যে কয়দিন মাসিক হয়েছে সেই কয়দিন মাসিক বলে গণ্য হবে। তার অতিরিক্ত দিনগুলো অসুখ বা ‘মুস্তাহাযা’ বলে গণ্য হবে। সুতরাং নির্ধারিত মাসিকের পরের দিনগুলোতে ছালাত ও ছিয়াম আদায় করতে পারবে। প্রকাশ থাকে যে, রক্তের রং হয়
উত্তর : মাহে রামাযানের সম্মানার্থে জান্নাতের দরজা খোলা হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ রাখা হয়। উক্ত হাদীছ সম্পর্কে ক্বাযী ইয়ায বলেন, এর অর্থ হল: যেসব আমলের মাধ্যমে জান্নাত অর্জিত হয় আল্লাহ রামাযান মাসে সেসব আমলের পথ আরো বেশী উন্মুক্ত করে দেন এব
উত্তর : যে কোন ভাল সংবাদ শ্রবণে বা কোন নে‘মত প্রাপ্ত হ’লে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে সিজদা করা উত্তম। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট কোন আনন্দের সংবাদ আসলে অথবা তাঁকে কোন সুসংবাদ প্রদান করা হ’লে তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য সিজদা করতেন (আবুদাউদ
উত্তর : হাদীছে বর্ণিত নিষেধাজ্ঞার অর্থ হ’ল যারা শা‘বান মাসের শুরু থেকে ছিয়াম রাখেন, তারা যেন ১৫ই শা‘বানের পর আর না রাখেন। কেননা এতে শারিরীক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। তবে সামর্থ্যবান হ’লে ১৫ই শা‘বানের পরও ছিয়াম পালন করা যাবে। এছাড়া যারা সাপ্তাহ
আবুল কাসেম গোভীপুর, মেহেরপুর।রামাযানের ঐ চাঁদ উঠেছেএলো রহমত নিয়ে,ছিয়াম পালন করতে হবেগুনাহ যাবে ক্ষয়ে।ভোরের রাতে মুয়ায্যিন ডাকেসময় হ’ল ওঠরে,সাহারী খাও ছিয়ামকারীছালাত আদায় কর ফজরে।আল্লাহ মোদের দান করেছেনরহমতের একটি মাস,ছালাত পড় ছিয়াম করহবে না কভু
আতিয়ার রহমানমাদরা, সোনাবাড়িয়া, সাতক্ষীরা।উঠল আজি পশ্চিমেতেরামাযানের ঐ নতুন চাঁদ,মিটিয়ে নিবে মুমিনগণেরলক্ষ পাপের ইমারাত।নাই মোটে তাই দুঃখ-ব্যথাসুখ সাগরে দেয় সাঁতার,আটকা পেল শয়তানেরাসব পাতকের রুদ্ধ দ্বার।থাকবে না আর এই ধরাতেপঙ্কিলতার ভয়-ভীতি,মুছবে মনের
উত্তর : সাহারীর জন্য আযান দেওয়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় বিলাল (রাঃ) সাহারীর আযান দিতেন এবং আব্দুল্লাহ ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) ফজরের আযান দিতেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা বিলালের আযান শুনে খাও, যতক্ষণ না ইবনু উম্মে মাকতূম
উত্তর : ইমামের ক্বিরাআতের সাথে সাথে মুক্তাদীগণও ফজর, মাগরিব ও এশার ছালাতে নীরবে সূরা ফাতেহা পাঠ করবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৩; আবুদাঊদ হা/৭৩৬-৩৭; তিরমিযী হা/২৫৭; মিশকাত হা/৮৫৪ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ)। এক্ষণে সূরা ফাতিহা কখন পাঠ করতে হবে স
মানুষকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। তাদের এই শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে আল্লাহ আসমানী কিতাবসহ অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। সৃষ্টির সেরা হিসাবে মানুষ তাঁরই ইবাদত করবে এটাই স্বাভাবিক। ইসলাম আল্লাহ মনোনীত জীবন ব
অহংকারে আমার ভয় করে প্রভু আমি না হই অহংকারীমানুষের মন্দ আচরণেও আমি যেন উত্তমটাই দিতে পারি।জাগতিক চাকচিক্য আভিজাত্যের অর্থহীন বৈভবপৃথিবীর পথে আমি মুসাফির প্রভু প্রয়োজন নেই ঐসব।মৃত্যুকে সাথে নিয়ে যাঁরা গেয়েছিলেন জীবনের জয়গানঐ পথই মোর প্রিয় পথ প্রভু তাঁ