উত্তর : মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। আর হজ্জ এবং ওমরার মানতের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অন্যকে দিয়ে বদলী আদায় করানো যায়। যেমন মানতকারীর শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা না থাকা কিংবা মানতকারীর মৃত্যু হওয়া। স্মর্তব্য যে, হজ্জের মত বদলী ওমরাহ আদায়কারীর জন্যও নিজে প্রথম
উত্তর : হজ্জ ফরয হয়ে গেলে ছয় মাসের বাচ্চা নিরাপদে রেখে হজ্জে যেতে পারে। আর যদি বাচ্চার নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সাথে করে নিয়ে হজ্জে যাবে বা বাচ্চার নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে তার পরে হজ্জে যাবে (ওছায়মীন, আল-লিক্বাউশ
উত্তর : এমতাবস্থায় হজ্জ আদায় হয়ে যাবে এবং এর জন্য কোন কাফ্ফারা দিতে হবে না। কেননা কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (নাজম ৫৩/৩৮)। তবে অভিযুক্ত মু‘আল্লিমগণ কঠিন গুনাহের অংশীদার হবেন। এটা একদিকে যেমন প্রতারণা, অন্যদিকে হজ্জের একটি ওয়াজিব বিধান
ভূমিকা : ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে হজ্জ হচ্ছে দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত। যার মাধ্যমে মুমিন যেমন পার্থিব জীবনে কল্যাণ লাভে সক্ষম হয়, তেমনি পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভ করে ধন্য হয়। মানুষের মাঝে পরকালীন চিন্তা প্রবল হয়, হাশরের পূর্বেই একই পোষাক পরে একই উদ্দেশ
উত্তর : একাধিক ওয়াজিব ছুটে গেলে একাধিক দম দিতে হবে। সুতরাং একটি দম দেওয়া যথেষ্ট হয়নি। বরং যে কয়টি ওয়াজিব ছুটে গেছে সেটি হিসাব করে দম দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৩৪২; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৩/৪০০)। আর যদি ওয়াজিবগুলো ভুলক্রমে তরক করা
উত্তর : নতুন কাপড়ের মাধ্যমে হৌক বা পরিহিত কাপড় পরিষ্কার করার মাধ্যমে হৌক নারী বা পুরুষের যে কেউ ইহরাম অবস্থায় কাপড় পরিবর্তন করতে পারে (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৪/৪০০; দ্র. হাফাবা প্রকাশিত ‘হজ্জ ও ওমরাহ’ বই পৃ. ৬১)।প্রশ্নকারী : ক্বাযী হ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ছাহাবায়ে কেরামকে বায়তুল্লাহ তওয়াফে উৎসাহিত করতেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ তওয়াফ করল এবং দু’রাক‘আত ছালাত পড়ল, তা একটি ক্রীতদাসকে মুক্ত করার সমতুল্য’ (ইবনু মাজাহ হা/২৯৫৬; মিশকাত হা/২৫৮০)। তিনি আরো বলেন, ‘কোন লোক
উত্তর : ত্বাওয়াফ অবস্থায় অতি সংক্ষেপে প্রয়োজনীয় কথা বলা যায়। তবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা বা ভিডিও ধারণ করার মত অতিরঞ্জিত কর্ম থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, বায়তুল্লাহর ত্বাওয়াফ, ছাফা-মারওয়ার সাঈ এবং জামরায় কংকর নিক্ষেপ ইত্যাদি কেবলমাত্র আল
হজ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যার মাধ্যমে বান্দা নিষ্পাপ হয়ে যায় এবং কবুল হজ্জ সম্পাদনের মাধ্যমে বান্দার জন্য পরকালীন জীবনে জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। কিন্তু হজ্জ সমাপনের পরে হজ্জ পালনকারীর জন্য করণীয় কি হবে, এ বিষয়েই আলোচ্য নিবন্ধে আলোচনা করা হ’ল।-১.
(১) (ক) ৮ই যিলহজ্জ মক্কায় স্বীয় অবস্থানস্থল থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় গমন ও সেখানে দুপুরের পূর্বে অবস্থান। (খ) ৯ই যিলহজ্জ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফা গমন ও সেখানে মাগরিব পর্যন্ত অবস্থান। (গ) মাগরিবের পর মুযদালেফা গমন ও সেখানে রাত্রিযাপন। অতঃপর ১০ই যিল
উত্তর : হজ্জের নিয়তে জমাকৃত অর্থ বিশেষ প্রয়োজনে অন্য কাজে খরচ করতে পারে। তবে সক্ষমতা আসলে যত দ্রুত সম্ভব ফরয হজ্জ আদায় করার চেষ্টা করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৮/১২৭-২৮)।প্রশ্নকারী : মাহফূযুল হক, মাদারগঞ্জ, জামালপুর।
উত্তর : উক্ত কথা ভিত্তিহীন। আর হজ্জ বা ওমরাহ থেকে ফেরার পর বিশেষ কিছু পালনীয়ও নেই। তবে রাসূল (ছাঃ) হজ্জ বা ওমরা থেকে ফেরার সময় কিছু কাজ করতেন। যেমন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কোন যুদ্ধ, হজ্জ বা ওমরাহ হ’তে ফির
উত্তর : এরূপ করা প্রতারণার শামিল, যা শরী‘আতে বৈধ নয়। কর্তৃপক্ষ প্রকৃত ওমরাহকারীদের তাওয়াফে সুবিধার জন্য এমন নিয়ম করেছে, যা লংঘন করা সঠিক নয় (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব)।প্রশ্নকারী : ক্বাযী হারূনুর রশীদ, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
উত্তর : ইহরামের কাপড় কোনভাবে নাপাক হয়ে গেলে ধুয়ে পরিস্কার করতে পারে। আবার পরিবর্তনও করতে পারে (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৫৭; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৭/২৬৬)।প্রশ্নকারী : হারূনুর রশীদ, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
উত্তর : পারবে না। বরং ইদ্দত শেষ করে ওমরাহ পালন করবে। কারণ মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীকে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করতে হয় (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। অতএব সে ইদ্দত পালন করবে এবং পরবর্তীতে শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে ওমরাহ করবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজ
উত্তর : মুযদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/১৩৪, ১৫০; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/২৭৭; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৩/৫১)। হাজীগণ মুযদালিফায় মাগরিব ও এশার ছালাত জমা‘ ও তাখীর করে আদায় করবেন। অতঃপর রাতে অবস্থান করে ফজরের ছালাত আদায় কর
উত্তর : নিজ ও পরিবারের বসবাস ও প্রয়োজনীয় খরচের জন্য ব্যবহৃত জমিজমার বাইরে সাধারণ বিক্রয়যোগ্য অতিরিক্ত জমিজমা থাকলে তার উপর হজ্জ ফরয হবে (বাহূতী, কাশশাফুল ক্বেনা‘ ২/৩৮৯; শারবীনী, মুগনিল মুহতাজ ২/২১৩)। আল্লাহ বলেন, আল্লাহর জন্য লোকদের উপর বায়
উত্তর : হজ্জ ও ওমরাহ উভয় ক্ষেত্রে মাথা মুন্ডন করা অথবা সমস্ত চুল খাটো করা ওয়াজিব (বুখারী হা/১৭২৯; মুসলিম হা/১৩০১; মিশকাত হা/২৬৩৬)। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর রাসূল-এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। তোমরা অবশ্যই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে আল্লাহর
উত্তর : এমতাবস্থায় হজ্জ আদায় হয়ে যাবে এবং এর জন্য কোন কাফ্ফারা দিতে হবে না। কেননা কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (নাজম ৫৩/৩৮)। তবে অভিযুক্ত মু‘আল্লিমগণ কঠিন গুনাহের ভাগিদার হবেন। এটা একদিকে যেমন প্রতারণা, অন্যদিকে হজ্জের একটি ওয়াজিব বিধান লঙ্ঘন।
উত্তর : কোন ব্যক্তি খালেছভাবে হজ্জের নিয়ত করার পর মারা গেলে সে হজ্জের ছওয়াব পেয়ে যাবে (আহমাদ হা/১৮০৬০; ছহীহুত তারগীব হা/১৬)। তবে উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরয হয়ে গিয়েছিল এবং ইহরাম বাঁধার পূর্বে মারা যাওয়ায় তা পালনকৃত হজ্জ হিসাবে গণ্য হবে না। সুতরাং
উত্তর : হজ্জের পূর্বে ওমরা পালন করা যায়। তবে যদি ওমরা পালনে হজ্জের খরচ বা প্রস্ত্ততি গ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে একই সফরে হজ্জ ও ওমরা পালন করা উত্তম। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (রহঃ)-কে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, আমি কি হজ্জের পূর্বে ওমরা করতে পারি। ত
উত্তর : এতে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কেননা রাসূল (ছাঃ)-কে জিব্রীল বলেন, যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে বা তাদের একজনকে পেল। অথচ সে তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করল না, সে জাহান্নামে প্রবেশ করল। আল্লাহ তাকে স্বীয় রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দিলেন (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪০৯)।
উত্তর : একাধিক হজ্জ পালন করা মুস্তাহাব। আর ওমরাহ ইমাম শাফেঈ, আহমাদসহ সমকালীন অনেক বিদ্বানের মতে ওয়াজিব (বাক্বারাহ ২/১৬৬; ইবনু মাজাহ হা/২৯০১; নববী, মিনহাযুত ত্বালেবীন ৮২ পৃ.; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৩১৭; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৯/৭)। সেজন্য তৃতীয়বা
উত্তর : সফরের জন্য মহিলাদের সাথে মাহরাম পুরুষ থাকা শর্ত (বুখারী হা/১৮৬২)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) বলেন, মাহরাম ব্যতীত কোন নারী হজ্জ করবে না (বাযযার, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩০৬৫)। বোনের স্বামী মাহরাম নয়। অতএব বোন থাকা সত্ত্বেও বোনের স্বামীর তত্ত্বাবধানে হজ্জে গম
উত্তর : হজব্রত পালনরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। একদা আরাফার মাঠে জনৈক ছাহাবী মুহরিম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা তাকে বরই পাতা ও পানি দিয়ে গোসল করাও, তাকে দু’টি কাপড়ে কাফন পরাও, তাকে সুগন্ধি লাগিয়ো না এবং মাথ
উত্তর : মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীকে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করতে হয় (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। এমতাবস্থায় ইদ্দত পালনার্থে হজ্জের ফরযিয়াত রহিত হয়ে যায়। অতএব সে ইদ্দত পালন করবে এবং পরবর্তী বছর শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে হজ্জ করবে। অন্যথায় কোন নেককার ব
(১) ‘মীক্বাত’ থেকে ইহরামের পোষাক পরে ‘হজ্জে তামাত্তু’ সম্পাদনকারীগণ ওমরাহর নিয়ত করবেন এবং বলবেন ‘লাববাইক ওমরাতান’, ‘হজ্জে ‘ক্বিরান’ সম্পাদনকারীগণ একই সাথে হজ্জ ও ওমরাহর নিয়ত করবেন এবং বলবেন ‘লাববাইক ওমরাতান ওয়া হাজ্জান’ এবং হজ্জে ‘ইফরাদ’ সম্প
হজ্জ ইসলামের পঞ্চমস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। যা সম্পাদনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য হাছিল, গোনাহ থেকে পরিত্রাণ ও জান্নাত লাভ করা যায়। অনুরূপ ওমরাহও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হজ্জ ও ওমরাহর ক্ষেত্রেও মানুষ নানা
উত্তর : মৃত স্ত্রীর নামে হজ্জ করা যায়। কিন্তু ব্যাংকে থাকা চার লাখ টাকার মালিক এখন স্ত্রী নয়। বরং তার উত্তরাধিকারীরা (বুখারী হা/৬৫১৪; মিশকাত হা/৫১৬৭)। এক্ষণে ওয়ারিছরা সর্বসম্মতিক্রমে মাইয়েতের স্বামীকে উক্ত অর্থ দিয়ে হজ্জ সম্পাদন করার অনুমতি দিলে
উত্তর : যদি উক্ত জমি তার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস হয় এবং বছর শেষে কোন সঞ্চয় না থাকে, তাহ’লে হজ্জ ফরয হবে না। অর্থাৎ নিয়মিত পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের পর হজ্জ করার মত আর্থিক সচ্ছলতা থাকলে তার উপর হজ্জ ফরয হবে, নইলে
উত্তর : পিতা-মাতা সন্তানের নিকট সমান অধিকার রাখেন। যদিও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের অগ্রাধিকার রয়েছে। এক্ষণে মায়ের প্রতি পিতার অসদাচরণের ক্ষেত্রে সন্তানের দায়িত্ব হ’ল নিরপেক্ষভাবে উভয়কে তাদের ভুলের ব্যাপারে সচেতন করা এবং সাধ্যমত মীমাংসার চেষ্ট
উত্তর: মৃত মায়ের পক্ষ থেকে ওমরাহ করা যাবে। কারণ মৃতের জন্য সর্বোত্তম হাদিয়া হ’ল তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, ছাদাক্বা করা ও তার পক্ষ থেকে হজ্জ করা (আবুদাঊদ হা/২৮৮৩; মিশকাত হা/৩০৭৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫২৯১)। আর ওমরাহ হ’ল হজ্জের মত। পার্থক্য হ’ল এট
উত্তর : ফরয হজ্জ হ’লে সেটাই প্রথমে আদায় করতে হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা দ্রুত (ফরয) হজ্জ সম্পাদন কর। কেননা কেউ জানে না তার ভাগ্যে কি ঘটবে’ (আহমাদ হা/২৮৬৯)। তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ্জের ইচ্ছা পোষণ করে, সে যেন তা দ্রুত সম্পাদন করে’
উত্তর : তাওয়াফ বারবার করা যায়। কারণ নফল তাওয়াফের সময় ও সংখ্যা নির্দিষ্ট নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তাওয়াফকারীর প্রতি পদক্ষেপে একটি দাস মুক্তির ছওয়াব পাওয়া যায়, দশটি করে গুনাহ ঝরে পড়ে ও দশটি করে নেকী লেখা হয় এবং দশগুণ মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় (আহমাদ
উত্তরঃ তার ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। কেননা হজ্জের জন্য সক্ষমতা শর্ত (আলে ইমরান ৯৭)। হজ্জের যাবতীয় খরচ সরকারের পক্ষ থেকে তার নামে বরাদ্দ করা হয়। আর তখন তিনি সেই সম্পদের মালিক হয়ে যান। অবশ্য সক্ষম মুসলিম ব্যক্তির জন্য নিজের উপার্জিত পবিত্র সম্পদ দ্ব
উত্তরঃ তালবিয়াহ সহ বিশেষ কয়েকটি দো‘আ ব্যতীত হজ্জের সময় বাকী যেসব দো‘আ ও তাসবীহ, তাহলীল পাঠ করা হয় তা বাড়ীতেও পড়া যায়। বিশেষভাবে রুকনে ইয়ামানী থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত যে দো‘আটি পড়া হয় তা সর্বদা পড়া যাবে (ছহীহ আবুদাঊদ হা/১৮৯২, সনদ হাসান; মিশকাত
উত্তরঃ মৃত পিতা-মাতার পক্ষ থেকে ছেলে হজ্জ করতে পারে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, একজন লোক নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে এসে বলল, আমার পিতার পক্ষ থেকে আমি হজ্জ করতে পারি কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ কর’ (ইবনে মাজাহ হা/২৯০৪; তিরমি
উত্তর : মৃত ও অক্ষম জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে ওমরাহ আদায় করা যাবে (ছহীহ নাসাঈ হা/২৬৩৭; মিশকাত হা/২৫২৮; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৫২৯)। তবে যিনি পূর্বে ওমরাহ করছেন তিনিই কেবল বদলী ওমরাহ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, শারীরিক এবং আর্থিক উভয় দিক দিয়ে সক্
উত্তর : ত্বাওয়াফ মূলতঃ ৩টি। (১) ত্বাওয়াফে কুদূম। যা হজ্জের উদ্দেশ্যে কা‘বায় পৌঁছে করতে হয়। (২) ত্বাওয়াফে ইফাযাহ। যা আরাফার ময়দানে অবস্থানের পর ঈদুল আযহার দিন বা পরের তিন দিনের মধ্যে করতে হয়। যা হজ্জের অন্যতম রুকন। (৩) ত্বাওয়াফে বিদা‘। যা হজ্জ শেষে বি
উত্তর : মহিলাদের চেহারা ও দুই হাতের কব্জি ব্যতীত সর্বাঙ্গ সতর (আবুদাঊদ হা/৪১০৪; মিশকাত হা/৪৩৭২)। সে হিসাবে ছালাতে নারীদের জন্য পায়ের পাতা ঢেকে রাখা উত্তম (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৭/৮৬)। তবে পায়ের পাতা প্রকাশ পেলে ছালাতের ক্ষতি হবে না, কেননা এটি স্বভা
উত্তর : উক্ত ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট। যাদের সম্পর্কে এ ধরনের মিথ্যা কাহিনী বর্ণনা করা হয়, প্রকারান্তরে তাদেরকেই অপমান করা হয়। অতএব এগুলো বর্ণনা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
উত্তর : নিরাপদ ও সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ দৈহিক সক্ষমতা থাকলে এবং আর্থিকভাবে কা‘বা ঘরে যাওয়া ও আসার সমপরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপর হজ্জ ফরয (আলে ইমরান ৯৭)। অনেকের উপর হজ্জ ফরয হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন অজুহাতে অলসতা করেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলে
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা আমার পক্ষ হ’তে একটি আয়াত জানা থাকলেও তা অন্যকে পৌঁছে দাও’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৮, ‘ইলম’ অধ্যায়)।
উত্তর : সকল নবী-রাসূলের হজ্জের ব্যাপারে স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে বিভিন্ন বর্ণনা ও ঐতিহাসিক বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, সকল নবী-রাসূল হজ্জ সম্পাদন করেছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, রাওহা উপত্যকা দিয়ে সত্তুর জন নবী পশমী কাপড় পরে হজ্জ করতে
উত্তর : অনেক পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ কয়েকটি প্রদত্ত হ’ল : (১) আরাফা ময়দানে অবস্থানকালে তারা যোহর ও আছর জমা করেন না। বরং পৃথকভাবে প্রথম ওয়াক্তে পড়েন। যা ছহীহ হাদীছের বিরোধী (২) তারা তারতীব ওয়াজিব বলেন। অর্থাৎ তাদের মতে ১০ তারিখে মিনায় ফিরে কংকর
উত্তর : আগে পিতার অছিয়ত পালন করবে, তারপর সম্পদ বণ্টন করবে। আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে অছিয়ত বাস্তবায়ন ও কর্য পরিশোধের আদেশ দিয়েছেন (নিসা ১১-১২)।
উত্তর : চাকুরী থেকে অবসরকালীন প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকে জমা রেখে, তা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়ার পর সেই টাকা দিয়ে হজ্জ বা অন্যান্য ইবাদত বৈধ হবে না। কারণ তা সূদের অন্তর্ভুক্ত। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, পণ্য বা অর্থের বিনিময়ে প্রদেয় অতিরিক্ত পণ্য ব
উত্তর : তিনি বদলী হজ্জ করাবেন। ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, বিদায় হজ্জের বছর খাছ‘আম গোত্রের জনৈকা মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ...আমার বৃদ্ধ পিতার উপর এমন সময় হজ্জ ফরয হয়েছে, যখন তিনি সওয়ারীর উপর ঠিকভাবে বসতেও সক্ষম নন। আমি তার পক্ষ থেকে
(১) ‘মীক্বাত’ থেকে ইহরাম বেঁধে সরবে ‘তালবিয়াহ’ পড়তে পড়তে কা‘বা গৃহে পৌঁছবেন।(২) ‘হাজারে আসওয়াদ’ হ’তে ত্বাওয়াফ শুরু করে পুনরায় হাজারে আসওয়াদে এসে এক তাওয়াফ, এভাবে সাত ত্বাওয়াফ সমাপ্ত করবেন এবং ‘রুক্নে ইয়ামানী’ ও ‘হাজারে আসওয়াদ’-এর মধ্যে ‘রববানা আ-তিনা
হজ্জের পরিচয় :حج (হজ্জ)-এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কোন স্থানের সংকল্প করা। শারঈ পরিভাষায় নির্দিষ্ট ইবাদত তথা তাওয়াফ, সাঈ প্রভৃতির জন্য হজ্জের মাস সমূহে (শাওয়াল, যুলকা‘দাহ, যুলহিজ্জা) আল্লাহ তা‘আলার নিকট সম্মানিত ও পবিত্র ঘর যিয়ারতের ইচ্ছা পোষণ করা।হজ্জের
(১) ‘মীক্বাত’ থেকে ইহরাম বেঁধে সরবে ‘তালবিয়াহ’ পড়তে পড়তে কা‘বা গৃহে পৌঁছবেন।(২) ‘হাজারে আসওয়াদ’ হ’তে ত্বাওয়াফ শুরু করে পুনরায় হাজারে আসওয়াদে এসে এক তাওয়াফ, এভাবে সাত ত্বাওয়াফ সমাপ্ত করবেন এবং ‘রুক্নে ইয়ামানী’ ও ‘হাজারে আসওয়াদ’-এর মধ্যে ‘রববানা
উত্তর : হজ্জ হয়ে যাবে। তবে নেকীতে ঘাটতি হবে (আহমাদ হা/১৮৯১৪, ছহীহুল জামে‘ হা/১৬২৬)। সেকারণ হজ্জে গমনের পূর্বে প্রয়োজনীয় দো‘আগুলো গুরুত্বের সাথে মুখস্থ করা যরূরী।প্রশ্নকারী : আব্দুল করীম, বাগমারা, রাজশাহী।
উত্তর : পরিস্থিতির কারণে যারা এ বছর হজ্জে যেতে পারছেন না, তাদের জন্য আগামী বছরই হজ্জে যাওয়ার নিয়ত করা যরূরী। কেননা হজ্জ ফরয হওয়ার পর তা যতদ্রুত সম্ভব আদায় করাই কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ্জের সংকল্প করে, সে যেন তা দ্রুত
ভূমিকা : হজ্জ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। যা সামর্থ্যবান সকল মুসলমানের উপর ফরয। এটা এমন একটি ইবাদত যা মুমিনকে আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছিয়ে দেয় এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী মহাজাতিতে পরিণত হ’তে উদ্বুদ্ধ করে। আ
ফাযায়েল :(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[1](খ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের দশগুণ হ’তে সাতশত গুণ ছওয়াব প্রদ
সূর্যের চেয়ে কয়েকশ গুণ বড় পাঁচ জোড়া নক্ষত্র আবিষ্কার করে জ্যোতির্বিদ্যার জগতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে নাসার তরুণ বাংলাদেশী গবেষক ড. রুবাব খানের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল। দীর্ঘদিন ধরেই এ দলটি মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ‘ইটা কারিনে’র মতো নক্ষত্র ব্যবস্থার খোঁজে অন