ইসলাম টিকে থাকে আলেমদের মাধ্যমে। আলেমগণ হ’লেন আল্লাহ প্রেরিত অহি-র ইলমের ধারক, বাহক ও প্রচারক। হকপন্থী আলেমদের মাধ্যমেই যুগ যুগ ধরে দ্বীন বেঁচে আছে ও আগামীতেও থাকবে। ‘আল্লাহকে সত্যিকার অর্থে ভয় করেন আলেমগণ’ (ফাত্বির ৩৫/২৮)। ‘যারা আলেম ও যারা আলেম নয়,
শুরুর কথা : বহুল প্রচলিত একটি দৈনিকের ‘তারুণ্য জরিপ-২০১৯’ অনুযায়ী এ দেশের ৩৭.৩ শতাংশ তরুণ দিনে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করেন। ১১.২ শতাংশ দিনে দুই এক ওয়াক্ত পড়েন। শুধু শুক্রবারে জুম‘আর ছালাত আদায় করেন এমন তরুণের সংখ্যা ২১.৫ শতাংশ। সাক্ষাৎকার পর্বে প্রতি
৫ই আগস্ট ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে যাওয়ার একটি দিন। ছাত্রসমাজের দুঃসাহসী সংগ্রামী চরিত্রকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করার দিন। ঘাতকের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে, শহীদী রক্তে রঞ্জিত হয়ে বিজয় আনার দিন। জুলাই-আগস্ট’২৪ দুঃশাসনের এক কালো অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি
গত ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যা ঘটে গেল, তা রীতিমত বিস্ময়কর। যা পৃথিবীর তাবৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমন্ডলে দারুণ ঝাঁকুনি দিয়েছে। মেধা আল্লাহর দান। কিন্তু যখনই সেই মেধার স্বাভাবিক বিকাশে ও তার মূল্যায়নে সরকার নানাবিধ কোটা চাপিয়ে দীর্ঘ দ
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪পর্ব ৫পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
একটি সমাজ ও সভ্যতার মূল্যবোধ প্রজন্মের পর প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় শিক্ষার মাধ্যমে। শিক্ষাব্যবস্থাই নির্ধারণ করে ভবিষ্যতে দেশে কি ধরনের নাগরিক তৈরি হবে। রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য কেবল কর্মদক্ষ নাগরিক তৈরি নয়। কেননা রাষ্ট্রের কল্যাণ কেবল বস্ত্তগত উন্নতির মধ্যে
২০২৪ সালকে বলা হচ্ছে নির্বাচনের বছর। নির্বাচন হচ্ছে ৭০টির বেশী দেশে। এক বছরে এতগুলো দেশে নির্বাচনের নযীর ইতিপূর্বে নেই। বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ এ বছর ভোটের আওতায় থাকছে। এমন এক সময়ে এই নির্বাচনগুলো হচ্ছে, যখন বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের মান ক্রমশ নীচ
প্রতিটি পরিবারের সৌন্দর্য হ’ল আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত চক্ষুশীতলকারী বিশেষ নে‘মত সন্তান-সন্ততি। শিশুরা ফুলবাগানে ফুটন্ত ফুলের মত পরিবার নামক বাগানের শোভা বর্ধন করে। শিশু শব্দটি শুনলেই হৃদয়ে জেগে উঠে মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালবাসায় জড়ানো অদৃশ্য এক বন্ধনের অনুভ
উত্তর : এভাবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েয নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন কোন পুরুষ কোন পরনারীর সাথে নির্জনে কথা বলে, তখন সেখানে তৃতীয়জন থাকে শয়তান’ (তিরমিযী হা/১১৭১; মিশকাত হা/৩১১৮)। আর মোবাইলে কোন পরনারীর সাথে নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা শ
উত্তর : শিশুর বয়স দশ বছর হয়ে গেলে বিছানা আলাদা করতে হবে। যেমন ছেলে শিশু থেকে মায়ের বিছানা, মেয়ে শিশু থেকে পিতার বিছানা কিংবা ভাই-বোন পরস্পরের বিছানা আলাদা হওয়া আবশ্যক। এক্ষণে জায়গার সংকটের কারণে কখনও মা তার ছেলে সন্তানকে নিয়ে একই বিছানায় ঘুমাতে
মহান আল্লাহ মানুষকে জ্ঞানহীন অবস্থায় মায়ের পেট থেকে বের করেছেন (নাহল ১৬/৭৮)। অতঃপর তাকে অল্প ইল্ম দান করা হয়েছে’ (ইসরা ১৭/৮৫)। মানুষের জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইলমের গুরুত্ব অপরিসীম। দুনিয়াতে অনেক ইলম রয়েছে, যা সবার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। তবে দ্বীনি ইল
যুবায়ের বিন আওয়াম (রাঃ)-এর মাযুবায়ের বিন আওয়াম (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর আপন ফুফাত ভাই। তার মায়ের নাম ছাফিয়া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ)। এই মহিয়সী রমণী বংশ পরিচয়ে চারিদিক থেকে শরাফত ও আভিজাত্যের অধিকারী ছিলেন। তার মায়ের নাম হালা বিনতে ওয়াহ্হ
উত্তর: পিতার গায়ে হাত তোলা ধ্বংসাত্মক কবীরা গুনাহ। পিতা-মাতা অন্যায় করলেও তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবে। এক্ষণে সন্তানের কর্তব্য হ’ল পূর্ণ অনুতপ্ত হয়ে পিতার নিকট ক্ষমা চেয়ে নেওয়া এবং তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করা। আর পিতার উচিৎ হবে সন্
উত্তর : এটা ঠিক হবে না। কারণ মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। এই মানত ভঙ্গের জন্য আল্লাহ তার অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে দিবেন এবং পরকালে তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন (তওবাহ ৯/৭৫-৭৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য নযর মানে, সে যেন (তা
সংঘাতপূর্ণ দুনিয়ায় সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চলতে যেসব গুণাবলী মানুষকে সর্বাধিক চর্চা ও লালন করতে হয় তন্মধ্যে ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা অন্যতম। কেননা প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু না কিছু ভুল-ত্রুটি বিদ্যমান। এমতাবস্থায় একে অপরের প্রতি ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু হ’ল
মানবদেহে ষড়রিপু হ’ল কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য। এর মধ্যে ‘মদ’ হ’ল হিংসা, গর্ব ও অহংকার। জীবনে চলার পথে ষড়রিপু আমাদের সার্বক্ষণিক সাথী। এগুলি ডাক্তারের আলমারিতে রক্ষিত ‘পয়জন’ (Poison)-এর বোতলের মত। দেহের মধ্যে লুক্কায়িত উপরোক্ত ৬টি আগুনের মধ্য
ভূমিকা : শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে যেসব গুণ ও বৈশিষ্ট্য মানব সমাজে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে, তন্মধ্যে ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা অন্যতম। কেননা ভুল-ত্রুটি ও ভালো-মন্দের মিশ্রণেই মানুষের জীবন। সামান্য ভুলের জন্য কারো প্রতি ভীষণ রাগ ও ক্রোধ দেখানো এবং উত্তে
উত্তর : নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। এই ব্যবস্থা না থাকলে সাধ্যমত দৃষ্টি নত রেখে পাঠদান করবে (নূর ২৪/৩০-৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে বলেন, ‘হে আলী! তুমি দৃষ্টির উপর দৃষ্টি ফেলো না। হঠাৎ যে দৃষ্টি পড়ে ওটা তোমার
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ বা সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত বই-পুস্ত্তক সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাঠ করা সমীচীন নয়। কারণ এতে ঈমান হারানোর আশংকা রয়েছে। তবে যাদের সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করার যোগ্যতা আছে বা তাদের ধর্মীয় অসারতাকে প্রতিহত করার সক্ষমতা রয়েছে, ত
উত্তর : পিতা-মাতার সাথে সর্বাবস্থায় সদাচরণ করতে হবে। তবে শিরক বা বিদ‘আতযুক্ত কোন আমল করতে নির্দেশ দিলে তা সম্মানের সাথে পরিহার করবে। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে চাপ দেয় আমার সাথে কাউকে শরীক করার জন্য, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান ন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।মুসলিমদের পাহারা নিয়ে আববাদ বিন বিশর (রাঃ)-এর কাহিনী :আবুদ্দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে নাজদের দিকে যুদ্ধযাত্রা করেছিলাম।* আমরা মুশরিকদের বাড়ি-ঘর থেকে একটি বাড়ি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । সঞ্চারণশীল উপকারমূলক আমলের কিছু নমুনা১. আল্লাহর দিকে দাওয়াত :অন্যদের জন্য উপকারী যত আমল আছে তন্মধ্যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দান সর্বোত্তম। আসলে আল্লাহর একত্ববাদের দিকে আহবান জানানো এবং দ্বীনের চিন্তা-ভাবনা মনে লালন
উত্তর : প্রথমে উক্ত ব্যক্তিকে সাধ্যমত নছীহত করতে হবে, যাতে সে সংশোধন হয়। আর অভিযোগ সম্পর্কে সুনিশ্চিত হ’লে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ পেশ করতে হবে। অন্যদিকে ছালাত আদায় করা আবশ্যক। কেননা কেউ ছালাতকে অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে। আর অলসতা
ভূমিকা :পরিবার হ’ল সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রথম ধাপ। মানব জীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজের অস্তিত্বের জন্য সুষ্ঠু-সুন্দর ও অপরাধমুক্ত পারিবারিক জীবন অপরিহার্য। আজকাল পারিবারিক অপরাধ সংঘটিত হয় না এমন কোন পরিবার খুঁজে পাওয়া দুষ্ক
সাকীনাহ বা প্রশান্তি লাভের মাধ্যম সমূহ :সাকীনাহ হ’ল প্রশান্তি লাভের একটি পবিত্র অনুভূতি, যা মানুষের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়। জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করার জন্য সকীনাহর কোন বিকল্প নেই। কেননা টাকা-পয়সা, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি কখনো মানুষকে প্রকৃ
উত্তর : স্বামী যে ভাষায় সম্মানবোধ করেন স্ত্রী তাকে সে ভাষাতেই সম্বোধন করবে। নিঃসন্দেহে আপনি অধিক সম্মানবোধক শব্দ। সে হিসাবে স্ত্রী স্বামীকে আপনি বলে সম্বোধন করতে পারে। যদি তুমি বলাতে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং বেশী হৃদ্যতা প্রকাশ পায়, তাতেও ক
ভূমিকা :জীবনের প্রকৃত সুখ-শান্তির ষোল আনাই নির্ভর করে মানসিক প্রশান্তির ওপর। আত্মিক প্রশান্তি না থাকলে পৃথিবীর কোন কিছুই মানুষকে সুখী করতে পারে না। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি যতই থাকুক, মনের শান্তি না থাকলে সুখ পাওয়া কখনোই সম্ভব হয় না। এসি
উত্তর : এমতাবস্থায় মায়ের কর্তব্য হ’ল, সন্তানের হেদায়াতের জন্য বেশী বেশী উপদেশ দেওয়া, তাকে সম্ভবপর সঙ্গ দেওয়া, তার জন্য অধিকহারে দো‘আ করা, তার জন্য সৎসঙ্গীর ব্যবস্থা করে দেওয়া, কোন বিজ্ঞজন বা সন্তানের কোন শিক্ষক বা সৎ বন্ধুর মাধ্যমে সন্তানকে উপদেশ দেও
উত্তর : নিজ বাসার জানালা দিয়ে বা ছাদ থেকে কিছু দেখার সময় কারো প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টি পড়লে গুনাহ হবে না। তবে সাধ্যমত দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে (সূরা নূর ৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ যদি অনুমতি প্রদানের পূর্বেই পর্দা সরিয়ে ঘরের ভেতর দৃষ্টি নিক্ষেপ
উত্তর : এ বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সালাম দেওয়াই উত্তম। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন কোন মুসলিম তার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। যদি তাদের উভয়ের মাঝে গাছ, দেওয়াল ও পাথর আড়াল হয়, অতঃপর আবার উভয়ের সাক্ষাৎ হয়, তাহ’লে ত
উত্তর : সৎমায়ের মর্যাদা জন্মদাত্রী মায়ের সমান নয়। তবে পিতার স্ত্রী হিসাবে তিনি মাহরাম এবং সদাচরণ পাওয়ার হকদার। বনু সালামা গোত্রের এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করার কোন অবকাশ আছে কি? তি
উত্তর : এমন একটি বিষয় নিয়ে সম্পর্ক নষ্ট করার যাবে না। বরং এমতাবস্থায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সম্পর্ক বজায় রেখে আসল পিতা-মাতার পরিচয় জানার চেষ্টা করবে। কারণ শ্বশুর পরিবার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিচয় গোপন রাখেন, তাহ’লে তারা গুনাহগার হবেন। কেননা একার
ভূমিকা :অল্প আমলও ইখলাছের সাথে করা হ’লে তা কবুল হবে আর বেশী আমলে যদি ইখলাছ না থাকে তাহ’লে কোন লাভ নেই। মোটকথা আমল যতই কম হোক তা ইখলাছের সাথে করতে হবে।ইখলাছ অবলম্বন বড় কঠিন কাজ। অনেক ক্ষেত্রে ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ ও জিহাদের চেয়ে ইখলাছ অবলম্বন খুব কঠিন। ক
উত্তম চরিত্র মানব জীবনের অতি মূল্যবান সম্পদ, যাকে মানব জীবনের ভূষণ বলেও অভিহিত করা যায়। আর উত্তম চরিত্রের ভূষণ হচ্ছে লজ্জাশীলতা বা লাজুকতা। যে কাজ করলে জনসমক্ষে মস্তক অবনত হ’তে পারে ঐ ভয়ে তা পরিহার করা বা তা থেকে বিরত থাকার নাম ‘হায়া’ বা লজ্জা। এই লজ
উত্তরঃ হীনকর কোন শব্দে পিতা-মাতাকে ডাকা যাবে না। উক্ত শব্দ দু’টি সাধারণতঃ অসম্মানজনক সম্বোধনে ব্যবহার করা হয়। অতএব এ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। তবে ঐসব সম্বোধনে যদি পিতা-মাতা খুশী হন, তবে বলা যাবে। আল্লাহ তা‘আলা পিতা-মাতার সাথে সুন্দর কথা ও উত্তম
মানুষ পরস্পরের উপর নির্ভরশীল সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করলেও সামাজিক অবস্থান সবার একই রূপ নয়। কেউ ধনী, কেউ গরীব, কেউ উঁচু বংশের, কেউ নীচু বংশের, কেউ দক্ষ, কেউ অদক্ষ। আবার এক একজন এক এক বিষয়ে পারদর্শী। ফলে বিভিন্ন পেশায় তারা নিয়োজিত। ইসলাম সকল বৈধ
উত্তর : সহযোগিতা ও উত্তম আচরণ পাওয়ার অধিক হকদার নিকটতম প্রতিবেশী। প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়ার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তির নিকট তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৬৩)। অন্যত
৬. তাক্বওয়া অর্জনে আদল : আদল বা সুবিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাক্বওয়া অর্জিত হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। একজন তাক্বওয়াবান দায়িত্বশীল ব্যক্তি আদলের বিপরীত কোন কাজ করতে পারে না। আদল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাক্বওয়াকে সম্পৃক্ত করে কুরআন মাজীদে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।ইসলামী ভ্রাতৃত্বের উদ্দেশ্য :ইসলামী ভ্রাতৃত্বের মূল উদ্দেশ্য হ’ল আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র বিধান সমাজে প্রতিষ্ঠার
মহান আল্লাহ আদম ও হাওয়া থেকে মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন (নিসা ৪/১)। সে হিসাবে পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যেই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রয়েছে। তবে বিশেষ ভাবে মুসলিম জাতি সৃষ্টি ও আক্বীদাগত উভয় দিক দিয়ে সুদৃঢ় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। আল্লাহ বলেন,إِنَّمَا الْمُؤْمِن
পৃথিবীতে মানুষের আগমনের স্বাভাবিক মাধ্যম হচ্ছে পিতা-মাতা। এই পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য অনেক। তাদের সাথে যেমন সদাচরণ করতে হবে, তেমনি তাদের অধিকার যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। সেই সাথে তাদের সাথে সর্বোচ্চ শিষ্টাচার বজায় রাখতে হবে। আল্লাহ বল
উত্তর : মুসলমানের পরস্পরের প্রতি যে ৬টি শিষ্টাচারের কথা শরী‘আতে বর্ণিত হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হ’ল, ‘সাক্ষাত হ’লে সালাম করা (নাসাঈ হা/১৯৩৮; মিশকাত হা/৪৬৩০)। এটি খাওয়া ও খাওয়ার বাইরে যেকোন সময়ে হ’তে পারে। এমনকি পেশাবরত অবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম দিলে ত
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধানের নাম, যা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ্ব মানবতার জন্য পথ নির্দেশিকা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। এটি নীরেট কোন জীবন ব্যবস্থার নাম নয়, বরং জীবনের সকল দিক ও বিভাগে গাম্ভীর্যপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশ উপহার দিতেও ইসলামের জুড়ি নেই। ম
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। ইহকালে তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা তিনি নিজেই করেছেন। দুনিয়াতে চলার জন্য মানুষকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। এই দিক-নির্দেশনা বা হেদায়াত মেনে চললে পরকালে মানুষ পুরস্কার হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। স
আল্লাহ তা‘আলা মানুষের দেহে জিহবা ও দুই ঠোঁট সংযোজন করেছেন (বালাদ ৯০/৯), যাতে তারা কথা বলতে পারে। আর আল্লাহর দেওয়া মুখ ও ঠোঁট দিয়ে আল্লাহর নির্দেশিত সত্য কথা বলবে, সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিবে যদিও তা তার নিজের, নিজ পিতা-মাতার এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে
আধুনিককালে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ফোন। তারবিহীন এ ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, পড়ালেখাসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। কম্পিউটারের মত মোবাইল এক যুগান্তক
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬। প্রারম্ভিকা : অশান্ত পৃথিবীর বিক্ষু
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।মানুষের জন্মগত মর্যাদা ও অধিকার :জাতিসংঘ
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।জীবন, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা লাভের অধিকার
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।দাসপ্রথা নিষিদ্ধতা প্রসঙ্গ :জাতিসংঘ সর্বজ
পর্ব ১। শেষ পর্ব।শর্ত সাপেক্ষে বিতর্ক করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিতর্কের সময় করণীয় বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। করণীয়গুলো নিম্নে তুলে ধরা হ’ল।-বিতর্কের সময় করণীয় :(১) বিতর্কের উত্তম লক্ষ্য স্থির করা :বিতর্কের উদ্দেশ্য হ’তে হবে উত্তম এবং কল্য
মানবতার হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে আগত নবী-রাসূলগণের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ছিলেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। যিনি এসে মানুষকে জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়েছেন। জীবনের করণীয় সম্পর্কে অবহিত করেছেন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যেকার সম্পর্ক জানিয়েছেন। স্রষ্টার প্রতি দা
সীমালংঘন একটি মারাত্মক বিষয়। পার্থিব জগতে মানুষের আয়ত্তাধীন ছোট-বড় যত প্রকারের বস্ত্ত রয়েছে, সমস্তই মানুষের মধ্যে বিভাজন হয়ে আছে। যেমন ভূ-পৃষ্ঠের বিশাল ভূ-খন্ড বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠী দ্বারা নির্দিষ্ট সীমারেখায় বিভক্ত হয়ে আছে। আবার বিশাল জলভাগ
চরিত্র মানুষের মুকুট স্বরূপ। মানব জীবনের জন্য চরিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চরিত্র অর্থ-সম্পদ দিয়ে ক্রয় করার মতো কোন বস্ত্ত নয়। বরং তা জীবন চলার পথে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ সাধনার মাধ্যমে তিলে তিলে অর্জন করতে হয়। পাড়া-প্রতিবেশী,
আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমার প্রতিপালক এমন নন যে, সেখানকার অধিবাসীরা সৎকর্মশীল হওয়া সত্ত্বেও জনপদ সমূহকে অন্যায়ভাবে ধ্বংস করে দিবেন’ (হূদ ১১/১১৭)। পৃথিবীর প্রাচীন ছয়টি জাতি আল্লাহর গযবে ধ্বংস হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তাদের যুলুমের কারণে। উক্ত ৬টি জাতি হ’
সুন্দর দেশ ও সমাজ গড়তে গেলে চরিত্রবান মানুষ আবশ্যক। চরিত্রবান মানুষ ও নেতা ব্যতীত সুষ্ঠু সমাজ গড়া সম্ভব নয়। সেকারণ যুগে যুগে আল্লাহ যত নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন, তাদেরকে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী করে পাঠিয়েছেন। কারণ কেবল কথা শুনে নয়, বরং সুন
পিতা-মাতা হ’লেন মানুষের পৃথিবীতে আসার একমাত্র মাধ্যম। একজন সন্তানকে সৎ ও আদর্শবান হিসাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব পিতা-মাতার। সন্তান আদর্শবান না হ’লে সারাজীবন পিতা-মাতাকে কষ্ট ভোগ করতে হয়। কেবল আদর্শবান সন্তান তার পিতা-মাতাকে প্রাপ্য অধিকার প্রদান ক
আরবে এক স্কুল ছিল। সেখানে সাতজন শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ব্যতীত সকলে সময়মত ছালাত আদায় করতেন। এ কারণে অন্যান্য শিক্ষকেরা তাকে ঘৃণা করতেন। তারা সকলে তার থেকে দূরে থাকতেন। তারা তাকে বহুবার বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তার সাথে অন্
উত্তর : চোখে ও কানে ড্রপস ব্যবহার করায় কোন বাধা নেই। কারণ তা কণ্ঠনালী অতিক্রম করে না। তবে নাকের ড্রপস-এর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে তা কণ্ঠনালী অতিক্রম না করে (আবুদাঊদ হা/২৩৬৬, মিশকাত হা/৪০৫; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/১৫০)। স্মর্ত
তাহরীক বলে কথাসোনামণিদের।পাতা ভরা থাকে খবরদেশ-বিদেশের।প্রবন্ধ থাকে লেখাছহীহ শুদ্ধ ভাবে।প্রশ্নোত্তরের টাটকা জবাব,তাহরীক পড়লে পাবে।পত্রিকা জগতে আত-তাহরীক-এরবিকল্প যে নাই,প্রতি মাসে তাই আমিতাহরীক পড়ি ভাই।তাহরীক আমার প্রিয় বন্ধুসদা সত্য ছহীহ বলে।এমন বন্ধ
১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের চূড়ান্ত রায় মোতাবেক গত ১০ই মে বুধবার দিবাগত রাত ১২-টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কার
উত্তর : ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ দু’টি শর্ত প্রদান করেছেন। ঈমান ও আমলে ছালেহ। অর্থাৎ নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাস ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক সৎকর্ম। এক্ষণে মুসলিম-অমুসলিম সকল দেশের মুসলিম নাগরিকদের জন্য মৌলিক কর্তব্য হ’ল নবী-রাসূলগণের দেখানো পথে নি
উত্তর : মৃতব্যক্তির দাফনের পর দাফন-কাফনের অংশ হিসাবে কবরস্থানে দাঁড়িয়ে সম্মিলিতভাবে বা একাকী হাত তুলে দো‘আ করার কোন বিধান শরী‘আতে নেই। এরূপ আমল বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্ত। তবে দাফনের পরে মাইয়েতের ‘তাছবীত’ অর্থাৎ মুনকার নাকীর-এর প্রশ্নের জবাব দানের সম
ঢাকা শহরে মাটির নিচ দিয়ে চারটি সড়ক (সাবওয়ে) নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মৌখিকভাবে ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণের বিষয়ে সেতু বিভাগকে নির্দেশনা দেন। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে
১. ভোমরা স্থলবন্দর কোন্ যেলায় অবস্থিত?২. কসবা স্থলবন্দর কোন্ যেলায় অবস্থিত?৩. বুড়িমারী স্থলবন্দরটি কোথায় অবস্থিত?৪. বাংলাবান্দা স্থলবন্দর কোন্ যেলায় অবস্থিত?৫. হাতীবান্দা স্থলবন্দর কোথায় অবস্থিত?৬. বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কখন গঠন করা হয়?৭. বাং
উত্তর :এসব শয়তানী ওয়াসওয়াসা মাত্র। আল্লাহর আকার রয়েছে যা তাঁর উপযুক্ত। তা কারু সাথে তুলনীয় নয় (শূরা ৪২/১১)। অতএব এই বিশুদ্ধ আক্বীদার বিরোধী কোন চিন্তা আসলে সূরা ইখলাছ পাঠ করে বাম দিকে তিনবার থুক মারবেন এবং আঊযুবিল্লাহ পাঠ করবেন। এছাড়া ‘আমানতু বিল্লাহ