উত্তর : সালোয়ার-কামীছ বড় হ’লে এবং ঢিলাঢালা হলে তার উপর হিজাব দ্বারা পর্দা হ’তে পারে। নারীদের পর্দার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকা আবশ্যক। যথা- (১) তাক্বওয়াপূর্ণ পোষাক পরিধান করা (আ‘রাফ ৭/২৬)। (২) এমন পোষাক পরা, যা পুরো দেহ আবৃত করে&
উত্তর : বিবাহিতা নারীর জন্য স্বামীর অনুসরণ করা কর্তব্য। স্বামী পড়াতে চাইলে পর্দার বিধান মেনে পড়াশুনা করবে। স্বামী সংসারে মনোনিবেশ করতে বললে তাই করবে। যদি পিতা-মাতা এবং স্বামীর আদেশ-নিষেধের মাঝে চূড়ান্ত বৈপরীত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে সংসার জীবনে ব
উত্তর: সৎ মায়ের মর্যাদা জন্মদাত্রী মায়ের সমান নয়। তবে পিতার স্ত্রী হিসাবে তিনি মাহরাম এবং সদাচরণ পাওয়ার পূর্ণ হকদার। বনু সালামা গোত্রের এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করার কোন অবকাশ আছে কি?
উত্তর : ঋতুর পূর্বে আগত বিভিন্ন রংয়ের রক্ত হায়েয হিসাবে গণ্য হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত আছে। ঋতু শুরু হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে রক্ত বের হ’তে থাকা এবং সেই সাথে ব্যথা থাকা। যদি মধ্যের সময়ে রক্তপাত বন্ধ হয় এবং ব্যথা না থাকে, তাহ’লে তা ঋতু হিসাবে গণ্য
উত্তর : গুনাহগার হবেন না ইনশাআল্লাহ। তবে যে বান্ধবী ছবি প্রকাশ করেছে সে চরম গুনাহগার হবে। উল্লেখ্য যে, একজন নারীকে বহিরাগতদের সামনে নিজ ঘরেও শালীন অবস্থায় থাকতে হবে। এমনকি অন্য নারী কর্তৃক পর্দার বিধান লংঘিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেক্ষেত্রে বিশেষ
উত্তর : স্ত্রীর বোন তথা শ্যালিকা মাহরাম না হওয়ায় তার প্রতি অন্যায় দৃষ্টিপাত বা স্পর্শ তো দূরের কথা, তার সাথে নির্জনে সাক্ষাৎ করা বা অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলাও হারাম। আল্লাহ বলেন, তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন কোন অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না’ (আন‘আম ৬
উত্তর : বিবাহিতা মেয়ে স্বামীর নির্দেশনা মেনে চলবে। স্বামী তার স্ত্রীকে যেখানে রাখতে চায় স্ত্রী সেখানেই থাকবে। যদি পিতা-মাতা এবং স্বামীর আদেশ-নিষেধের মাঝে বৈপরীত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে বৈষয়িক বিষয় সমূহে স্বামীর আদেশকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেননা ব
উত্তর : ছেলে বা মেয়ে বালেগ হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন স্বপ্নদোষ হওয়া, (মেয়েদের) ঋতু হওয়া, নাভীর নীচে লোম গজানো বা ১৪/১৫ বছরে উপনীত হওয়া ইত্যাদি (বুখারী হা/২৬৬৪; মুসলিম হা/১৮৬৮; মিশকাত হা/৩৩৭৬, ৩৯৭৪)। এক্ষণে যখন কোন মেয়ের বালেগা হওয়ার
উত্তর : সাদা স্রাব বের হওয়ার কারণে ওযূ ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কোন পুরুষের মযী বের হ’লে ওযূ ভঙ্গ হয়। ছালাতরত অবস্থায় সাদাস্রাব অনুভব করলে ছালাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর লজ্জাস্থান ধৌত করে ওযূ করবে এবং পুনরায় ছালাত আদায় করবে। তবে এটি যদি কারো নিয়মিত ব্যাধি হ
উত্তর : ‘সাধ’ বা ‘সাধভক্ষণ’ কোন কোন সমাজে একটি গর্ভকালীন অনুষ্ঠান হিসাবে পরিচিত। গর্ভবতী নারীর গর্ভধারণের সাত মাস পূর্ণ হ’লে অষ্টম বা নবম মাসে মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্য কামনায় প্রসূতিকে ভাল কিছু খাওয়ানোর প্রথাকে ‘সাধভক্ষণ’ বলা হয়। এই রেওয়াজের সাথে ইস
উত্তর : যেনা-ব্যভিচার জঘন্য হারাম কাজ। এগুলো থেকে বিরত থাকা এমনকি নিকটবর্তী হওয়া থেকে দূরে থাকাও আবশ্যক (ইসরা ১৭/৩২)। এক্ষণে যেনার মাধ্যমে যেহেতু নারীর পেটে সন্তান চলে এসেছে সেজন্য উভয়ের তওবা করা আবশ্যক এবং ছেলের জন্য আবশ্যক হচ্ছে তাকে বিবা
উত্তর : যেসব মহিলা জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে যেতে চান তাদের জন্য গোসল করা সুন্নাত। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষ এবং নারীর যে কেউ জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে আসবে সে যেন গোসল করে’ (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১৭৫২)। তিনি বলেন, হে মুসলিমগণ! জুম‘আ
উত্তর : কোন উপায় না থাকলে পুরুষ সার্জনের মাধ্যমে যথাসাধ্য পর্দা বজায় রেখে অপারেশন করানো যেতে পারে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২১/৪৩৯; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৯/০২)। তবে মহিলা চিকিৎসককে দেখানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আর অর্থনৈত
উত্তর : এই উক্তিটি ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব, ইবনু আববাস ও ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। তাঁদের উক্ত বাক্য দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, রাযা‘আত বা দুধ মা কেবল ছোটকালে দুই বছরের মধ্যে দুধ পান করলে সাব্যস্ত হয়। বড় হয়ে বা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে দুধ
উত্তর : এমতাবস্থায় তিনি ক্বাযাও আদায় করতে পারেন বা ফিদইয়াহও দিতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ মুসাফিরের উপর থেকে রহিত করে দিয়েছেন অর্ধেক ছালাত এবং মুলতবী রেখেছেন ছিয়ামকে। আর গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধদানকারীণী মহিলা থেকে মুলতবী করে দিয়েছেন ছিয়াম
উত্তর : ঋতুবতী মহিলারা মসজিদে অবস্থান করে খুৎবা শ্রবণ করতে পারবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৩৯৮, ৬/২৭২)। কারণ উম্মে আতিয়া (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঋতুবতী নারীদেরকে আদেশ করেছেন তারা যেন মুসলিমদের ছালাতের স্থান থেকে কিছুটা পৃথক থাকে (মুস
উত্তর : নারী বা পুরুষ যারাই জুম‘আর ছালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসবে তাদের জন্যই গোসল করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষ ও নারীর মধ্য হ’তে যেই জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে আসবে, সে যেন গোসল করে। আর যে আসবে না তার জন্য গোসল নেই’ (ছহীহ ইবনু খুযা
ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, ‘একদিন আমি সুফিয়ান ইবনে উয়ায়না (রহঃ)-এর কাছে ছিলাম। এমন সময় এক লোক এসে তাকে নিজ স্ত্রীর ব্যাপারে বলল, ‘হে আবূ মুহাম্মাদ! ঐ নারীর ব্যাপারে আমার অভিযোগ আছে। আমি যেন তার কাছে সবচেয়ে লাঞ্ছিত ও সবচেয়ে তুচ্ছ। তার কথা শুনে স
উত্তর : স্বামী মারা গেলে স্ত্রী চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। ইদ্দত পালনকালে একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ির বাইরে যাবে না; এমনকি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও নয়। বাহ্যিক কোন সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাবে না। এমনকি কানের দুল, নাকফুল ইত
উত্তর : ভ্রান্ত বিশ্বাস নিয়ে গঙ্গাসহ যেকোন তীর্থস্থানে জায়গায় যাওয়া এবং তাতে গোসল করা হারাম। কারণ তা শিরক। তাছাড়া খোলা জায়গায় গোসল করা নারীদের জন্য পর্দার খেলাফ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের নারীদের জন্য বাইরে গোসল করা হারাম’ (ছহীহাহ হা/
উত্তর : পারবে। বরং চল্লিশ দিনের মধ্যে অন্তত একবার এগুলি ছাফ করবে (মুগনী ১১/২৮৮)। তবে তা যেন সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য না হয় (শারবীনী, আল-ইক্বনা‘ ২/৪৭২)।প্রশ্নকারী : মাঈশা, নিমতলা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর : মহিলাদের জন্য হালকা সুগন্ধিযুক্ত লোশন ব্যবহারে দোষ নেই। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী করীম (ছাঃ)-এর সাথে (মদীনা থেকে) মক্কায় সফর করেছি এবং ইহরামের সময় আমরা আমাদের কপালে ‘সুক্ক’ (السُّكّ) নামক সুগন্ধি (মহিলাদের ব্যবহৃত সুগন্ধি বিশেষ, যা বাইর
উত্তর : সাধারণভাবে কোন নাপাকী কাপড়ে লেগে গেলে তা ধুয়ে নিয়ে ছালাত আদায় করবে। আর ধুলা-বালি বা কাদা-মাটি কাপড়ে লেগে থাকলে তা কাপড়কে নাপাক করে না। বরং পরের ধুলা সেটি বিনষ্ট করে দেয় (আবুদাঊদ হা/৩৮৩; মিশকাত হা/৫০৪)। আর কাপড়ে স্পষ্ট কোন নাপাকী দেখ
উত্তর : নতুন কাপড়ের মাধ্যমে হৌক বা পরিহিত কাপড় পরিষ্কার করার মাধ্যমে হৌক নারী বা পুরুষের যে কেউ ইহরাম অবস্থায় কাপড় পরিবর্তন করতে পারে (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৪/৪০০; দ্র. হাফাবা প্রকাশিত ‘হজ্জ ও ওমরাহ’ বই পৃ. ৬১)।প্রশ্নকারী : ক্বাযী হ
উত্তর : হায়েয বন্ধের বহুদিন পরেও কালো রক্ত দেখা দিলে তা হায়েয হিসাবে গণ্য হবে। কারণ হায়েয়ের রক্ত কালোও হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন হায়েযের রক্ত আসবে তখন তা কালো হয়, যা সহজে চেনা যায়। এ রক্ত দেখলে ছালাত আদায় করবে না (আবুদাউদ হা/৩০৪; মিশ
উত্তর : ইদ্দত পালন শেষে স্ত্রী যদি জানতে পারে যে, তার পেটে সন্তান রয়েছে তাহ’লে তার ইদ্দতকাল হবে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত। আল্লাহ বলেন, গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল হবে গর্ভ খালাস হওয়া পর্যন্ত (তালাক ৬৫/৪)। উক্ত সন্তানের মালিক হবে পূর্বের স্বামী
উত্তর : কোন নারীকে মডেল বানিয়ে কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া জায়েয নয়। কারণ নারী প্রদর্শনীর বস্ত্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নারীরা পর্দার মানুষ। যখন সে বাড়ি থেকে বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে সুশোভিত করে তোলে (তিরমিযী হা/১১৭৩; মিশকাত হা/
উত্তর : বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে কোন মুসলিম নারী মারা গেলে সে শহীদের মর্যাদা পাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর পথে (জিহাদে) নিহত হওয়া ছাড়া আরো সাত ব্যক্তি শহীদ হয়; প্লেগ রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ, ডুবে গিয়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ, ফুসফুসের প্রদাহ বা যক্ষ্মা র
উত্তর: এতে বাধা নেই। কারণ এর অর্থ হচ্ছে তার জন্য জান্নাতের দো‘আ করা। আবু নুহায়লা (রহঃ)-কে বলা হ’ল, আল্লাহর নিকট দো‘আ করুন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! রোগ কমিয়ে দিন, কিন্তু ছওয়াব কমাবেন না। তাকে বলা হ’ল, আরো দো‘আ করুন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! আমাকে আপনা
উত্তর : গায়ের মাহরাম নারী ও পুরুষ পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হওয়াটা স্বভাবজাত। অতএব নারীর পর্দার জন্য তার সৌন্দর্য ধর্তব্য নয়। বরং প্রত্যেক নারীকে ইসলামী পর্দার বিধান মেনে চলতে হবে। আল্লাহ বলেন, আর তুমি মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে
উত্তর : কসমের সময় প্রয়োজনীয় কথা বলার বিষয়টি নিয়তে রাখলে কোন কাফফারা দিতে হবে না। আর নিয়তে না রাখলে একবার কাফফারা দিলেই যথেষ্ট হবে (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১৫/১৩২-১৩৩; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৩/৬২)। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করবেন
উত্তর : বাড়িতে একাধিক মহিলা থাকলে জামা‘আতে ছালাত আদায় করা উত্তম। উম্মে সালামা ও আয়েশা (রাঃ) জামা‘আতের সাথে বাড়িতে ছালাত আদায় করতেন এবং তাঁরা কাতারের মাঝে দাঁড়িয়ে ইমামতি করতেন (বায়হাক্বী হা/৫৩৫৫; ইবনু আবী শায়বাহ হা/৪৯৫৩; আলবানী, তামামুল
উত্তর : মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে ইদ্দত পালন শুরু করবে। জীবনের অস্তিত্ব থাকে বলেই কোমায় রাখা হয়। এক্ষণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎকগণ ব্যক্তির ব্রেন এবং হার্ট উভয়টির মৃত্যু নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তাকে মৃত হিসাবে গণ্য করা যাবে না। অতএব স্বামীর মৃত্যুর পরে
উত্তর: পর্দার সাথে হ’লেও ফেসবুকে অপ্রয়োজনীয় ও যথেচ্ছ ছবির ব্যবহার থেকে নারীদের সতর্ক থাকা উচিৎ। কারণ এতেও ফিৎনা ছড়ানোর আশংকা রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না’ (আন‘আম ৬/১৫১)।প্রশ্নকারী :ইবনু আনন
উত্তর : কোলাকুলি বা মুআ‘নাকা অর্থ কাঁধে কাঁধ মিলানো এবং মহববতে জড়িয়ে ধরা। মাহরাম পুরুষ বা নারীর সাথে সাধারণভাবে কোলাকুলি করা যায়। তবে বিরত থাকাই উত্তম। আর কোলাকুলির বিষয়টি সফর থেকে ফিরে আসা ব্যক্তির সাথে খাছ বলে বিদ্বানগণ আলোকপাত করেছেন (বি
উত্তর : আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা বা দৃঢ় করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা উত্তম কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সালাম প্রদানের মাধ্যমে হ’লেও আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর’ (ছহীহাহ হা/১৭৭৭)। তবে যে কোন বৈধ আয়োজন শারঈ বিধান অক্ষুণ্ণ রেখেই করতে হবে (বি
উত্তর : ঘর-সংসার সামলানো ও স্বামী এবং সন্তানদের দেখাশুনা করা স্ত্রীর মৌলিক দায়িত্ব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নারী তার স্বামীর গৃহের ও সন্তানদের দায়িত্বশীল। এজন্য সে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসিত হবে’ (মুসলিম হা/১৮২৯; মিশকাত হা/৩৬৮৫)। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্
উত্তর : ইদ্দত পালন করতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/১৭৪)। কারণ তালাক কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইদ্দত পালন করতে হয়। আল্লাহ বলেন, আর (সহবাসকৃত) তালাকপ্রাপ্তাগণ তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (বাক্বারাহ ২/২২৮)। ইমাম ইবনু আব্দিল বার্র (রহঃ)
উত্তর : নারীদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) নারীদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করেছেন (বুখারী হা/৭৩১০; মিশকাত হা/১৭৫৩)। অতএব ফিৎনার আশংকা না থাকলে গোপনীয়তার সুযোগ না রেখে গ্রুপে মেয়েদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। তবে সর্বাবস্থায় হৃদ
উত্তর : মহিলারা পৃথকভাবে পর্দা বজায় রেখে ইমামের সাথে বা পৃথকভাবে জানাযার ছালাত আদায় করতে পারবে। আয়েশা (রাঃ) ও অন্যান্য উম্মাহাতুল মুমিনীন মসজিদে নববীর মধ্যে সা‘দ বিন আবু ওয়াকক্বাছ (রাঃ)-এর লাশ আনিয়ে নিজেরা জানাযা পড়েছিলেন (মুসলিম হা/৯৭৩, মি
উত্তর : বিশুদ্ধমতে মুসলিম নারীরা অমুসলিম নারীদের থেকে সেভাবে পর্দা করবে যেভাবে মাহরাম পুরুষদের থেকে পর্দা করে থাকে। অর্থাৎ অমুসলিম নারীদের সামনে সাধারণভাবে মাথা, মুখমন্ডল, হাত ও পা প্রদর্শন করতে পারবে (ওছায়মীন, ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ১/৪
উত্তর : সন্তান গর্ভে আসার পর কোন ব্যবস্থা নেয়া যাবে না বা গর্ভপাত করা যাবে না। সুতরাং গর্ভে যখন সন্তান চলে এসেছে তখন ধৈর্য ধারণ করবে এবং আল্লাহর ফয়ছালার জন্য অপেক্ষা করবে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, একদা তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন
উত্তর : হিজড়াদের সামনে পর্দা করতে হবে। হাদীছে এসেছে, উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) তার ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ উমাইয়াকে উদ্দেশ্য করে এক হিজড়াকে বলতে শুনলেন, আল্লাহ যদি আগামীতে তায়েফ বিজয় দান করেন তবে আমি তোমাকে এমন এ
উত্তর : স্ত্রীর হায়েয বন্ধ হওয়ার পরে গোসল বা তায়াম্মুম না করা পর্যন্ত তার সাথে দৈহিক মিলন করা যাবে না। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের নিকটবর্তী হয়ো না পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত। অতঃপর যখন তারা ভালভাবে পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নি
উত্তর : যদি বাচ্চা পেটে থাকার কারণে মায়ের জীবননাশের আশংকা থাকে, তবে ঔষধের মাধ্যমে বা যেকোন স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তবে বিষয়টি মানব হত্যার মত গুরুতর হওয়ায় একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে শারঈ বিধান অনুসরণ করে সিদ্ধা
উত্তর : পারবে। কেননা যে সকল ছালাতে পুরুষ সরবে ক্বিরাআত করে, মহিলারাও সেই সকল ছালাতে সরবে তেলাওয়াত করতে পারে। এ বিধান নারী-পুরুষ সকলের ক্ষেত্রে সমান। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈকা মহিলাকে তার পরিবারের ইমামতি করার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন (আবুদাঊদ হ
উত্তর : অধিকাংশ বিদ্বানের মতে, সাদাস্রাব অপবিত্র নয়। তবে এটি বের হ’লে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে এবং ছালাতের জন্য পুনরায় ওযূ করতে হবে। আর মযীর মতই সাদাস্রাব কাপড়ে বা শরীরে লেগে থাকলে ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক নয়। বরং সে পোষাক পরেই ছালাত আদায় করা যাবে (ইবনু
উত্তর : মেয়েদের হোস্টেলে পূর্ণ পর্দার পরিবেশ ও নিরাপত্তা থাকলে সেখানে অবস্থান করে পড়াশোনা করা যাবে (বুখারী হা/৫২৩৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১২/১৭৮)।প্রশ্নকারী : রুক্বাইয়া খাতুন, সিংড়া, নাটোর।
উত্তর : পারবে না। বরং ইদ্দত শেষ করে ওমরাহ পালন করবে। কারণ মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীকে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করতে হয় (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। অতএব সে ইদ্দত পালন করবে এবং পরবর্তীতে শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে ওমরাহ করবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজ
উত্তর : অনিয়মিত ঋতু হওয়ার কারণে ভুলবশত স্ত্রী মিলন করে থাকলে কোন কাফফারা দিতে হবে না। তবে এই ভুলের কারণে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৩৫৯)।প্রশ্নকারী : ওছমান গণী, ঢাকা।
উত্তর : গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করা বা হত্যা করা নিষিদ্ধ। বিশেষ করে শিশুর গঠন শুরু হয়ে গেলে গর্ভপাত করা যাবে না। আর ৪০ দিনেই শিশুর গঠন শুরু হয়ে যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৪/১৬০)। উল্লেখ্য, গর্ভপাত ঘটানোর অর্থই হ’ল সন্তান হত্যা করা, য
উত্তর : হায়েয ও নিফাস অবস্থায় স্ত্রী মিলন করা হারাম। নিফাসের জন্য সর্বোচ্চ চল্লিশদিন অপেক্ষা করতে হবে (আবুদাউদ হা/৩১১; ইরওয়া হা/২১১)। তবে চল্লিশ দিনের পূর্বে কেউ পবিত্র হয়ে গেলে তার উপর ছালাত ও ফরয ছিয়াম আবশ্যক হয়ে যাবে এবং স্বামীর সাথে নির
উত্তর : গন্ধ ছড়ায় এমন কিছু মহিলারা ব্যবহার করবে না। সেটি সুগন্ধি নামে বিক্রি হৌক বা অন্য নামে বিক্রি হৌক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষরা গন্ধ পাবে এমন উদ্দেশ্যে আতর মেখে কোন মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে গমন করে তাহ’লে সে একজন ব্যভিচারিণী বলে গণ্য হবে’&nb
উত্তর : কোন ঋতুবতী মহিলার স্বপ্নদোষ হ’লে সে ফরয গোসল করবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি তোমরা নাপাক হয়ে থাক, তাহ’লে গোসলের মাধ্যমে ভালভাবে পবিত্র হও’ (মায়েদাহ ৫/০৬)। ইবনু কুদামাহ (রহঃ) বলেন, যদি কেউ ঋতুকালীন নাপাকীর গোসল করে, তাহ’লে তার গোসল শ
উত্তর : ছালাতে মেয়েরা চুল বেণী বা খোপা করে রাখবে। কারণ মেয়েদের চুল সতরের অন্তর্ভুক্ত। যা ঢেকে রাখা ওয়াজিব। মেয়েদের চুল যাতে বাইরে বের হয়ে না যায় সেদিকে যেমন সতর্ক দৃষ্টি রাখবে, তেমনি তাদের চুলের খোপা যেন উটের কুঁজের মত উঁচু হয়ে না থাকে সেদিকে খে
উত্তর : অবৈধভাবে গর্ভবতী হ’লেও গর্ভপাত করা জায়েয হবে না। কারণ জনৈকা গামেদী মহিলা তার উপর যেনার হদ্দ কায়েম করতে বললে রাসূল (ছাঃ) তাকে সন্তান জন্ম দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন (মুসলিম হা/১৬৯৫; মিশকাত হা/৩৫৬২)। বিশেষ করে শিশুর গঠন শুরু হয়ে
উত্তর : মা ও বোনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকলে ওমরায় যাওয়া যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৩১৪)।-আব্দুল্লাহ, টেকনাফ, কক্সবাজার।
উত্তর : অস্বাভাবিক ও কুশ্রী লাগলে বা নারীর স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হ’লে তা উৎপাটন বা ওয়াক্সিং করতে পারে (আল- মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১৪/৮২)।প্রশ্নকারী : হোসনে মোবারক, চিলমারী, কুড়িগ্রাম।
উত্তর : সাজ-সজ্জা ও সৌন্দর্য মনে করে কেউ নাকফুল ব্যবহার করলে তাতে কোন দোষ নেই। কারণ এ ব্যাপারে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই (হাশিয়া ইবনু আবেদীন ৬/৪২০; ফৎওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৪/৩৬; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব, ফৎওয়া নং ১৪৯২৭)। ওছায়মীন (রহঃ) বলেন, ‘কো
উত্তর : স্বামীর চাচা, মামা, খালু স্ত্রীর জন্য মাহরাম নয়। স্ত্রীকে এদের সামনে পর্দা করতে হবে। কেবলমাত্র স্বামীর পিতা ও দাদা স্ত্রীর জন্য মাহরাম (নূর ২৪/৩১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২০/২৯৩-৯৪; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৯/০২)। আর স
উত্তর : যে কোন অন্যায় কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, যদি নিশ্চিত অনুমান করা যায় যে, উক্ত প
উত্তর : বিকল্প না থাকলে বাধ্যগত অবস্থায় শারঈ পর্দা বজায় রেখে বেগানা নারীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে। তবে সাধ্যমত সেই নারীর কোন মাহরামকে সাথে রাখার চেষ্টা রাখতে হবে। কারণ বেগানা নারী-পুরুষ একত্রিত হ’লে ফিৎনার আশঙ্কা থাকে। এজন্য রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : অমুসলিম নারীকে বিবাহ করা যাবে না (ইমাম শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ৬/৩৮৫)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। (মনে রেখ) মুমিন ক্রীতদাসী মুশরিক স্বাধীনার চাইতে উত্তম। যদিও সে তোমাদের বিমোহিত করে। আর তোমরা মু
উত্তর : কোন জান্নাতী ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী জান্নাতী হ’লে সবাই উক্ত স্বামীর সাথে জান্নাতে থাকবে। পক্ষান্তরে একাধিক জান্নাতী স্বামীর অধিকারী জান্নাতী মহিলা তার সর্বশেষ স্বামীর সাথে জান্নাতে অবস্থান করবে। আবুদ্দারদা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর তাঁর বিধ
উত্তর : নারীদের হাতে মেহেদী ব্যবহারে বাধা নেই (আবূদাউদ হা/৪১৬৬)। তবে প্রচলিত নকশাদার মেহেদী ব্যবহারকারী নারী বাইরে গেলে ফেৎনার আশংকা রয়েছে। অতএব তার জন্য হাতে হাত মোযা ব্যবহার করাই কর্তব্য (তাফসীরে ইবনু কাছীর সূরা নূর ৩১ আয়াতের ব্যাখ্যা ৬/৪২; বিন ব
উত্তর : সাধারণভাবে রং ফর্সা বা উজ্জ্বলকারী ক্রীম ব্যবহারে কোন দোষ নেই। কেননা তা মৌলিক সৃষ্টিগত পরিবর্তন নয়। তবে এজন্য কোনরূপ প্রতারণার আশ্রয় নেয়া যাবে না।প্রশ্নকারী : হাবীবা আখতার, ঢাকা।
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলার কোন বিধান বা রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা বিনা শর্তে মেনে নেওয়াই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলার প্রতিটি নির্দেশনার পিছনে হিকমত রয়েছে। তবে শরী‘আতে সবগুলোর হিকমত বর্ণনা করা হয়নি। রাসূল (ছাঃ) নারীদের যে দু’টি ঘাটতির কথা বলেছেন
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন চিকিৎসা কুরআন বা হাদীছে পাওয়া যায় না। তবে সেটি বিপজ্জনক সময় হিসাবে ঐ সময় দো‘আ কবুল হয় (নমল ২৭/৬২)। আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা কুরআন নাযিল করি, যা বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও রহমত স্বরূপ’ (ইসরা ১৭/৮২)। এক্ষণে কুরআনের কোন
উত্তর : নারীদের জন্য ছালাতরত অবস্থায় মুখমন্ডল খোলা রাখা কর্তব্য। তবে গায়ের মাহরাম পুরুষ উপস্থিত থাকলে বা পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা থাকলে মুখমন্ডল ঢেকে ছালাত আদায় করতে পারে (বায়হাক্বী হা/৮৮৩২; ইরওয়া হা/১০২৩; মিশকাত হা/২৬৯০, ইবনু ক
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় ইস্তিহাযার রক্ত বের হ’লেও ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। ফাতেমা বিনতে আবু হুবাইশ রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন, আমার রক্তস্রাব হ’তেই থাকে এবং আমি কখনো পবিত্র হ’তে পারি না। আমি কি ছালাত ছেড়ে দিব? তিনি বলেন, না। এটা হায়েযের রক্ত নয় বরং এ
উত্তর : এক্ষেত্রে উক্ত নারী অত্যাচারিতা ও নিরপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। জনৈক পুরুষ একজন নারীকে ধর্ষণ করলে তাদেরকে উভয়কে রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আনা হ’লে তিনি মহিলাকে বললেন, তুমি চলে যাও। আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন। অতঃপর তিনি ঐ ধর্ষণকারী পুরুষকে রজম কর
উত্তর : মহিলারা কোন সুগন্ধি বা সুগন্ধিযুক্ত তেল ব্যবহার করে বাইরে বের হ’তে পারবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জেনে রাখো যে, পুরুষদের খোশবূ এমন যাতে সুগন্ধি আছে, রং নেই। আর নারীদের খোশবূ এমন যাতে রং আছে, সুগন্ধি নেই’ (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪
উত্তর : এজন্য স্ত্রীকে অধিকহারে নছীহত করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তমভাবে নছীহত কর। কেননা তাদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহ’লে তা ভেঙ্গে
উত্তর : স্ত্রীর প্রতি স্বামীর হক আছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ... তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে। অতএব প্রত্যেক হাকদারকে তার প্রাপ্য হক প্রদান কর’ (বুখারী হা/১৯৭৫, ৬১৩৯)। স্ত্রীর হক আদায় না করার কারণে স্বামী গুনাহগার হবেন। তবে স্বামী তার স্ত্রীর সম
উত্তর : স্বামীকে খুশী করার জন্য নিজের বাড়িতে স্ত্রী এরূপ পোষাক পরিধান করতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৪/৩৪)। কিন্তু বাড়ীতে অন্য কেউ থাকলে এরূপ পোষাক থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। আর কপালে টিপ দেওয়া যাবে না। কারণ এটি হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। প্রশ্নকারীঃ
উত্তর : সফরের জন্য মহিলাদের সাথে মাহরাম পুরুষ থাকা শর্ত (বুখারী হা/১৮৬২)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) বলেন, মাহরাম ব্যতীত কোন নারী হজ্জ করবে না (বাযযার, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩০৬৫)। বোনের স্বামী মাহরাম নয়। অতএব বোন থাকা সত্ত্বেও বোনের স্বামীর তত্ত্বাবধানে হজ্জে গম
উত্তর : মাসিকের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে প্রবাহিত রক্তকে ইস্তিহাযা বা প্রদর রোগ বলা হয়। একে কিছুই গণ্য না করে ছালাত ও ছিয়াম পালন করে যাবে। আর অতিরিক্ত হ’লে ছিয়াম পালন করবে এবং ওযূ করার পূর্বে প্যাড বা প্রতিরোধক কাপড় পরিধান করে ছালাত আদায় করবে (উ
উত্তর : স্বামী যে ভাষায় সম্মানবোধ করেন স্ত্রী তাকে সে ভাষাতেই সম্বোধন করবে। নিঃসন্দেহে আপনি অধিক সম্মানবোধক শব্দ। সে হিসাবে স্ত্রী স্বামীকে আপনি বলে সম্বোধন করতে পারে। যদি তুমি বলাতে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং বেশী হৃদ্যতা প্রকাশ পায়, তাতেও ক
উত্তর : এমতাবস্থায় গুনাহগার হবে না। কারণ পবিত্র হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী মিলিত হয়েছে। তবে পরবর্তীতে আবার রক্ত দেখা মাত্রই মিলন থেকে বিরত থাকবে। সাথে সাথে ছালাত ও ছিয়াম পালন থেকে বিরত থাকবে। কারণ পরবর্তী রক্তও হায়েয হিসাবে গণ
উত্তর : প্রশ্নালোকে প্রথমবার প্রদত্ত তালাকটি এক তালাক হিসাবে কার্যকর হয়েছে। তবে ১২ই জানুয়ারীতে প্রদত্ত তালাকটি এমন তোহরে দেওয়া হয়েছে যে তোহরে মিলন হয়েছে। সেজন্য উক্ত তালাক কার্যকর হবে না (বুখারী হা/৫৩৩২; মুসলিম হা/১৪৭১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২০
উত্তর : মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীকে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করতে হয় (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। এমতাবস্থায় ইদ্দত পালনার্থে হজ্জের ফরযিয়াত রহিত হয়ে যায়। অতএব সে ইদ্দত পালন করবে এবং পরবর্তী বছর শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে হজ্জ করবে। অন্যথায় কোন নেককার ব
উত্তর : এগুলো সামাজিক কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। নবী করীম (ছাঃ) শিরকী কথার মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা, মাদুলী ঝুলানো এবং স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা তৈরীর জন্য কোন মাধ্যম অবলম্বন করা শিরক বলেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৩০; আবুদাঊদ হা/৩৮৮৩)। তবে চিকিৎসা হিসাবে ঝাড়ফু
উত্তর : নারীদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা জায়েয। তবে তাদের বাড়িতে ছালাত আদায় করাই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করো না। তবে তাদের জন্য তাদের ঘরই উত্তম (আবুদাউদ হা/৫৬৭; মিশকাত হা/১০৬২; ছহীহুত
উত্তর : যদি সন্তান জন্মের দুই বা তিনদিন পূর্বে ব্যাথাসহ কোন রক্ত বের হয় তাহ’লে তা নিফাস হিসাবে গণ্য হবে। আর যদি কেবল তরল পানি বের হয় তাহ’লে তা কিছুই না। তাতে ছালাত বা ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না। তবে তাতে ওযূ ভেঙ্গে যাবে (কাশশাফুল কেনা‘ ১/২১৯; উ
উত্তর : মুখের অবাঞ্ছিত লোম বা দাগ যা দেখলে নারীকে অসুন্দর দেখায় তা তুলে ফেলাতে কোন দোষ নেই। কারণ এগুলোর ব্যাপারে ইসলাম কোন বিধি-নিষেধ আরোপ করেনি। অবশ্য ভ্রু কোনভাবেই তুলে ফেলা যাবে না। কারণ এ ব্যাপারে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে (ফাতাওয়া লাজনা দা
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণের পর সিজদায়ে তেলাওয়াতের জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়। অতএব হায়েয অবস্থায় তেলাওয়াতের সিজদা দেওয়া এবং তাতে দো‘আ পাঠ করায় কোন দোষ নেই (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/২২৪; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১০/৪৪৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৭/২
উত্তর : নাপাক অবস্থায় সাহারী খেলে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অপবিত্র অবস্থায় গোসল না করেই ঘুমিয়ে যেতেন, অতঃপর উঠে গোসল করতেন’ (ইবনু মাজাহ হা/৫৮১; তিরমিযী হা/১১৮, সনদ ছহীহ)। এছাড়া কখনও জুনুবী অবস্থায় রাসূল (ছাঃ
উত্তর : মাহরাম আত্মীয়রা সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগামী। তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা অতীব যরূরী। অতঃপর গায়ের মাহরাম আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে নিকটতার ভিত্তিতে এর গুরুত্ব ও বিধান কম-বেশী হবে (কারাফী, আল-ফুরূক ১/১৪৭; আল-মাওস
উত্তর : উক্ত অবস্থায় যখন তাদের পক্ষে সম্ভব তখন আদায় করবে। এক বা দু’বছর পরেও যদি হয়। কেননা তাদের শারঈ ওযর রয়েছে। কিন্তু যদি কোন মহিলা অবজ্ঞা ও অবহেলা করে, তাহ’লে সে গোনাহগার হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমার কিছু ছিয়াম ক্বাযা হয়ে যেত, যা পরবর্তী শা‘
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/২০৫৫)। এছাড়া মহিলারা যত সন্তান জন্ম দিবে ততটি কবুল হজ্জের নেকী পাবে মর্মে একটি বক্তব্য সমাজে প্রচলিত আছে, সেটিও বানোয়াট।প্রশ্নকারী : আকবার হোসাইন, রাজশাহী।
উত্তর : ভুলবশতঃ এমন ঘটনা ঘটে গেলে কেউ অপরাধী হবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, আর তোমরা কোন ভুল করলে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তরে দৃঢ় সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে। বস্ত্ততঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’ (আহযাব ৩৩/০৫)। রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর: প্রথমতঃ পিতা মীরাছ বণ্টন যথাযথভাবে না করায় এবং মেয়েদের হক নষ্ট করায় গোনাহগার হয়েছেন। এক্ষণে বোনেরা যদি খুশি হয়ে প্রাপ্য দাবী ত্যাগ করেন বা কম-বেশীতে রাযী থাকেন, তবেই পিতা দায়মুক্ত হবেন। কারণ ভাই-বোনদের পারস্পরিক সন্তুষ্টি ও সমঝোতার মাধ
উত্তর : সন্তান প্রসবের সময় ডাক্তার বা ধাত্রী এবং উক্ত বিষয়ে অভিজ্ঞ সহযোগী মহিলা ব্যতীত অন্য কোন মহিলার সেখানে থাকা আদৌ ঠিক নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন পুরুষ কোন পুরুষের এবং কোন মহিলা কোন মহিলার সতরের দিকে যেন দৃষ্টিপাত না করে’ (মুসল
উত্তর : বিবাহ করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। মানব বংশ রক্ষার জন্য এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি চিরন্তন ব্যবস্থা। এটি নবীগণের সুন্নাত। বিবাহ করার জন্য পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে অনেক নির্দেশনা এসেছে (নিসা ৪/৩; নূর ২৪/৩২; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩০৮০)
উত্তর : হাজরে আসওয়াদ একটি পাথর মাত্র। সেটি আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কারো উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না, যেমনটি ওমর (রাঃ) বলেছেন (বুখারী হা/১৫৯৭; মুসলিম হা/১২৭০)। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, জিজ্ঞেস কর, সবকিছুর কর্তৃত্ব কার হাতে? যিনি আশ্রয় দেন ও যার
উত্তর : এজন্য কোন গুনাহ হবে না বা কাফফারাও দিতে হবে না। কারণ এটা মানব হত্যার শামিল নয়। বরং কেউ ইচ্ছা করে গর্ভপাত ঘটালে তাকে গুনাহগার হতে হবে এবং কাফফারা দিতে হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৪/২৬৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২১/৪০৪-৪০৫)। এক্ষ
উত্তর : সুযোগ থাকলে এগুলি খুলে রেখে ওযূ করে ছালাত আদায় করবে। আর সহজ না হ’লে বা পর্দার পরিবেশ না থাকলে মাথার উপরে ওড়নাসহ খোপা বা ব্যান্ড রেখে মাথা মাসাহ করবে। রাসূল (ছাঃ) নিজে মোযা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করেছেন (মুসলিম হা/২৭৫; তিরমিযী হা/১০১)। তিনি
উত্তর : স্ত্রী সহবাসে কেবল গোসল করা ফরয। কাপড় ধোয়া ফরয নয়। পোষাক পরিধান করে সহবাস করলে পোষাক নাপাক হয় না। এমনকি কাপড়ে বীর্য লেগে গেলেও কাপড় নাপাক হয় না। বরং কাপড়ে বীর্য লেগে গেলে উক্ত স্থান ধুয়ে বা ঘষে বীর্য তুলে ফেলবে এবং তাতে ছালাত আদায় করব
উত্তর : এক্ষেত্রে তায়াম্মুম করা যাবে না। বরং কোন ওযূখানায় বা কোন বাড়িতে পর্দার পরিবেশ খুঁজে নিয়ে ওযূ করে ছালাত আদায় করবে। কোনভাবেই ব্যবস্থা না করা গেলে বাধ্যগত অবস্থায় তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৫/১৩১ পৃ.)।
উত্তর : কুরআনের শিক্ষিকা হায়েযা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে পারবে, তবে সরাসরি কুরআন স্পর্শ করবে না। বরং হাত মোযা বা কোন প্রতিবন্ধকের মাধ্যমে কুরআন স্পর্শ করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ৫/৪৩১ পৃ.)।প্রশ্নকারী : রবীউল ইসলাম, পুঠিয়া,
উত্তর : এ ব্যাপারে শারঈ কোন নির্দেশনা নেই। তবে সর্বাবস্থায় মাইয়েতের জন্য ছাদাক্বা করা যায়। কারণ ছাদাক্বার মাধ্যমে মাইয়েত কবরে উপকৃত হয় (বুখারী হা/১৩৮৮, ২৭৫৬; মুসলিম হা/১০০৪)। আর কেউ খারাপ বা দুশ্চিন্তাযুক্ত স্বপ্ন দেখলে বাম দিকে তিনবার থুক মারবে,
উত্তর : স্বামী যদি তালাক একাধিকবার দিয়ে থাকে এবং যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে তিন তালাক সম্পন্ন হয়ে থাকে অর্থাৎ তিন মাসে বা পৃথক পৃথক তিন তোহরে তিন বার তালাক দিয়ে থাকলে তালাক বায়েন হয়ে যাবে। তারপর কোনভাবেই এক সাথে সংসার করা যাবে না, যতক্ষণ না উক্ত স
উত্তর : পুরুষের ন্যায় নারীরাও একাকী জেহরী ছালাতে তথা মাগরিব, এশা ও ফজরে সরবে ক্বিরাআত করবে। কারণ ছালাতের বিধানে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তবে পাশে গায়ের মাহরাম পুরুষ থাকলে নীরবে পাঠ করবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/১০০; বিন বায, ফাতাওয়া নূর
উত্তর : স্ত্রী স্বামীকে যিহার করতে পারে না, বরং স্বামী স্ত্রীকে যিহার করে থাকে। ফলে এটি যিহারের অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং একটি সাধারণ কথা মাত্র। এতে কোন কাফফারা দিতে হবে না। মূলতঃ ‘যিহার’ হ’ল, স্বামী যদি তার স্ত্রীকে অথবা তার কোন অঙ্গকে নিজের ‘মা’
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। শিশুর বয়স দু’বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর বা প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ কোন নারীর দুধ পান করলে তিনি দুধ মা সাব্যস্ত হবেন না। দুধ মাতা সাব্যস্ত হওয়ার জন্য শর্ত দু’টি। (১) দু’বছরের কম বয়সে দুধ পান করতে হবে (বাক্বারাহ ২/২৩৩; দারাকু
প্রশ্নকারী : রায়হান, সিংহমারা, রাজশাহী।উত্তর : নারীদের জন্য হাই হিল জুতা পরা জায়েয নয়। কেননা তাতে তার গোপন সৌন্দর্য প্রকট হয়ে পড়ে। আল্লাহ বলেন, ‘নারীরা যেন এমনভাবে চলাফেরা না করে, যাতে তাদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়ে পড়ে’ (নূর ২৪/৩১)। এছাড়া এত
উত্তর : নারীদেরকে পুরুষের পাঁজরের উপরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে (নিসা ৪/১; বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদের সাথে উত্তম আচরণ কর। কারণ তাদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে সর্বাপ
উত্তর : নারীদের জন্য হাতে ও পায়ে মোযা পরিধান করা মুস্তাহাব। নববী যুগে নারীদের হাত মোযা পরার প্রচলন ছিল। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হজ্জের সময় মুহরিম মহিলাগণ মুখে নেক্বাব এবং হাতে মোযা পরবে না (বুখারী হা/১৮৩৮; মিশকাত হা/২৬৭৮)। এই হাদীছ প্রমাণ করে যে, তৎক
উত্তর : পর্দা সহকারেও নারীদের যে কোন ধরনের যানবাহন চালনা করা সমীচীন নয়। কেননা প্রথমতঃ এধরণের কাজ তাদের জন্য স্বভাবসিদ্ধ নয়, বরং পুরুষালী কর্ম এবং এতে প্রকারান্তরে তাদের বেহায়াপনা প্রকাশ পায়। আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন যাবতীয় বেহায়াপনাকে নিষিদ্ধ ক
উত্তর : বন্ধ্যা নারীকে বিবাহ করা জায়েয। তবে রাসূল (ছাঃ) অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ করার প্রতিই উৎসাহিত করেছেন। মা‘ক্বিল বিন ইয়াসার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বললে, আমি একজন সুন্দরী এবং সদ্
উত্তর : দুধ ভাই ও বোন থেকে ততটুকু পর্দা করবে যতটুকু নিজ ভাই ও বোন থেকে করা আবশ্যক। অর্থাৎ দুধ ভাই দুধ বোনের হাত, পা, মাথা, মুখমন্ডল ও চুল দেখতে পারে যেমন অন্যান্য মাহরামরা দেখতে পারে। আল্লাহ বলেন, তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে,
উত্তর : একজন নারী থেকে আরেকজন নারীর পর্দা হ’ল মাহরাম পুরুষদের থেকে পর্দার ন্যায় (নূর ২৪/৩১)। সেজন্য রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন নারী যেন অপর নারীর লজ্জাস্থানের দিকে না তাকায়। একইভাবে কোন পুরুষ যেন অন্য পুরুষের লজ্জাস্থানের দিকে না তাকায় (ইবনু মাজ
উত্তর : সাধারণ নকশাদার কাপড় পরিধান করা নারীদের জন্য নাজায়েয নয়। তবে এমন নকশাদার কাপড় পরিধান করা যাবে না, যা পরপুরুষদের নযর কাড়ে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর তারা যে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তবে যেটুকু স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায় সেটুকু ব্যতীত (ন
উত্তরঃ মহিলাদের ফরয ছালাতে ইক্বামত দিতে হবে। কারণ ইক্বামত একটি যিকির। আয়েশা (রাঃ) আযান দিতেন, ইক্বামত দিতেন এবং মহিলাদের ইমামতি করতেন, তিনি তাদের মাঝে দাঁড়াতেন (বায়হাক্বী, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৪)। মহিলাদের আযান ইক্বামত দিতে হবে না মর্মে বর্ণিত
উত্তরঃ গর্ভবতী মহিলার জন্য নফল ছিয়াম না রাখাই ভাল। কারণ ফরয ছিয়ামের ব্যাপারে তাকে ছাড় দেয়া হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা মুসাফিরকে ছিয়াম পালনের ব্যাপারে ছাড় দিয়েছেন এবং ছালাত অর্ধেক করে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও বাচ
উত্তরঃ প্রশ্নোল্লেখিত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা রক্ত মানুষের ভাল মন্দ করার কোন ক্ষমতা রাখে না। এটি সম্পূর্ণ আল্লাহর এখতিয়ারে।
উত্তরঃ মহিলাদের জন্য পুরুষ থেকে পর্দা করা ফরয (নূর ৩১)। বাড়ী যদি চারিদিকে পর্দাঘেরা হয় এবং সেখানে বেগানা পুরষ না থাকে কিংবা তারা যথেচ্ছ যাতায়াত না করে, তাহ’লে মাথা খোলা থাকলে কোন অসুবিধা নেই এবং এজন্য গোনাহ হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যেন তাদের
উত্তরঃ মানুষ একান্ত বাধ্য হয়েই অপারেশন বা অস্ত্রোপচার করিয়ে থাকে। সুতরাং কোন রোগের জন্য কিংবা সন্তান প্রসবকালে জটিলতার কারণে অপারেশন করালে এবং এজন্য মৃত্যুবরণ করলে ঐ মহিলার কাছে যাওয়া বা ধরা-ছোঁয়া যাবে না মর্মে প
উত্তরঃ মা হাওয়া নাকে নাকফুল ব্যবহার করেছেন কিনা তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। রাসূল (ছাঃ) সব কাজ ডান দিক থেকে করতেন বলতে এই অর্থ নয় যে, নাকের ডান দিকে নাকফুল দিতে হবে; বরং সুবিধা অনুযায়ী দিবে। রাসূল (ছাঃ) ডান হাতে আংটি পরতেন। প্রয়োজনে কখনো বাম
উত্তরঃ ইদ্দতের সময়কাল চার মাস দশ দিন। তবে গর্ভবতী থাকলে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২২৯-৩১; সূরা তালাক ৪; ফিক্বহুস সুন্নাহ ‘ইদ্দত’ অনুচ্ছেদ)। এ সময় স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করবে। একান্ত যরূরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবে
উত্তরঃ পুরুষ বা মহিলা কারো জন্যই জুম‘আ মসজিদ ছাড়া বাড়ীতে ই‘তিকাফ করা সিদ্ধ নয় (বাক্বারাহ্ ১৮৭; আবুদাউদ, মিশকাত হা/২১০৬ ‘ইতিকাফ’ অনুচ্ছেদ)। মহিলাদের জন্য মসজিদে পৃথক জায়গা থাকলে এবং যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে কোন জুম‘আ মসজিদে গিয়ে ই‘তিকাফ করতে
উত্তরঃ মহিলারা ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য এবং কিশোরী ও যুবতীরা ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের উদ্দেশ্যে টেলিভিশনের পর্দায় উপস্থিত হ’তে পারবে না। কারণ এরূপ অংশগ্রহণের দ্বারা বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়, যা প্রকাশ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ (নূর ৩
আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। এটা আসমানী কিতাব আল-কুরআনে বিঘোষিত হয়েছে। এজন্য পৃথিবীতে মানবের বংশ বিস্তারের প্রয়োজন। এই প্রয়োজনের কারণে নর এবং নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পুরুষ এবং নারী
উত্তর : এটা অবৈধ হয়েছে। এ অবস্থায় জমি ফেরত নিতে হবে এবং অংশ হারে সবাইকে লিখে দিতে হবে। একজন লোক রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আমি আমার এই ছেলেকে একটি গোলাম প্রদান করেছি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি কি তোমার সব ছেলেকে অনুরূপ দিয়েছ? লোক
উত্তর : বাড়ীতে অবস্থান করাই মহিলাদের কর্তব্য (আহযাব ৩৩)। বের হলেই শয়তান তাদের পিছু নিবে (ছহীহ তিরমিযী হা/১১৭৩; মিশকাত হা/৩১০৯)। তবে প্রয়োজনে বের হলে নিরাপত্তার সাথে পর্দা সহ বের হবে। অর্থাৎ শর্তসাপেক্ষে বাইরে যেতে পারবে এবং চাকুরীও করতে পারবে। যে
উত্তরঃ যেতে পারে। কারণ মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত করা জায়েয, যদি না তারা সেখানে গিয়ে সরবে কান্নাকাটি করেন। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান ইবনু আবী বাক্র-এর কবর যিয়ারত করেছেন। তাকে বলা হ’ল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেননি। তিন
উত্তরঃ প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে স্ত্রীর এক তালাকে বায়েন হবে এবং তাকে ফেরৎ না নিলে স্বামী গোনাহগার হবে না।
উত্তরঃ দারিদ্র্যমুক্ত সংসারের আশায় পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা দারিদ্রে্যর ভয়ে সন্তান হত্যা কর না। আমরা তাদের ও তোমাদের রুযী দিয়ে থাকি’ (ইসরা ৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দ্বিতীয় বড় পাপ হ’ল তোমার সাথে খাবে, সেই ভয়ে স
উত্তরঃ অপবিত্র অবস্থায় বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো যাবে। এ অবস্থায় দুধ খাওয়ানো যায় না এরূপ ধারণা করা কুসংস্কার। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, ‘সুবহা-নাল্লাহ নিশ্চয়ই মুমিন অপবিত্র হয় না’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫১)।
উত্তর : উক্ত ব্যবসা জায়েয। তবে মহিলারা তাদের সামনে যেতে পারবে না এবং তাদের কাছ থেকে চুড়ি পরিয়ে নিতে পারবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মহিলারা হচ্ছে গোপন বস্ত্ত। বাড়ীতে থাকাই হ’ল তাদের জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা (ত্বাবারাণী, সিলসিলা ছ
উত্তর : যে কোন বৈধ বস্ত্ত ব্যবহার করে নারীরা সুন্দরী হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, পুরুষের সুগন্ধি হচ্ছে যার গন্ধ প্রকাশ পায় কিন্তু রং গোপন থাকে। আর নারীদের সৌন্দর্য হচ্ছে যার রং প্রকাশ পায় কিন্তু সুগন্ধি গোপন থাকে 
উত্তর : মহিলারা তারাবীহ-এর জামা‘আতে শামিল হ’তে পারবে, যদি মসজিদে গমনের পথ নিরাপদ থাকে। এক্ষেত্রে তাদেরকে সুগন্ধি ব্যবহার ও সৌন্দর্য প্রদর্শনী পরিহার করতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলঅইহ, মিশকাত হা/১০৫৯-৬০)। তবে মহিলাদের জন্য বাড়ীতে ছালাত আদায়
উত্তর : হায়েযের শেষ সময় দু’ভাবে বোঝা যায়। প্রথমতঃ হয়তবা শ্বেতস্রাব বা সাদা তরল পদার্থ নির্গত হবে, যা জরায়ু থেকে বের হয়। অথবা রক্ত এমনভাবে বন্ধ হবে যে, কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করলে তাতে লাল, হলুদ বা খয়েরী রঙ-এর কোন প্রকার তরল পদার্থ আসবে না। এরপর গোসল
উত্তর : ফিৎনার আশংকা না থাকলে শারঈ পর্দা রক্ষা করে প্রাপ্ত বয়স্কা সুস্থ নারী রক্তদান করতে পারে (আহযাব ৩৩/৩২-৩৩)।প্রশ্নকারী : রিযওয়ান, বিরল, দিনাজপুর।
উত্তর : গোসল করে পবিত্র হওয়ার পূর্বে হায়েযা স্ত্রীর সাথে সহবাস করা সিদ্ধ নয়। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা ভালভাবে পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নিকট গমন কর’ (বাক্বারাহ ২/২
উত্তর : মাহরাম ব্যতীত কোন নারীর একাকী দূরে সফরে কিংবা বিদেশে গমন করা নিষিদ্ধ। নারীর সার্বিক নিরাপত্তা বিধান ও ফেৎনা থেকে প্রতিরক্ষার জন্যই ইসলামের এই নীতি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মেয়েরা মাহরাম ব্যতীত অন্য কারো সাথে সফর করবে না এবং মাহরাম কাছে নেই
উত্তর : উক্ত অবস্থায় ইবাদত শুরু করাই যরূরী। কারণ নারীদের ঋতু অবস্থায় থাকার সাধারণত সময় হচ্ছে ৬ দিন বা ৭ দিন (বাকীটা প্রদর রোগ)। (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৬১ ‘ইস্তিহাযা’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : সিদ্ধ হবে। কারণ তখন সে ঐ অপবিত্র ব্যক্তির মত, যে ছিয়াম রেখেছে কিন্তু ফজরের পূর্বে গোসল করতে পারেনি। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর স্ত্রীদের সাথে সহবাসের পর অপবিত্র অবস্থায় সকাল করতেন এবং ছিয়াম রাখতেন’ (মুত্তাফাক্ব আল
উত্তর : তার উক্ত ছিয়াম শুদ্ধ হবে। কেননা তখনও রক্ত দেখা যায়নি (শায়খ উছায়মীন, সুয়ালান ফিল হায়েয ওয়ান নিফাস, পৃঃ ১০)।
উত্তর : হাত তুলে দো‘আ করার কথা বলা হয়নি। বরং দো‘আয় শরীক হওয়ার অর্থ হ’ল তারা পুরুষের সাথে তাকবীর পাঠ করবে এবং ইমামের খুৎবা, উপদেশমূলক বাণী ও যিকির-আযকারে শরীক হবে (মির‘আত ৫/৩১ পৃঃ)। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ঋতুবতী নারীরা পুরুষদের সাথে তাকব
উত্তর : মহিলারা মহিলাদের নির্ধারিত স্থানেই ছালাত আদায় করবে। পুরুষদের জায়গা খালি থাকার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এতে ইমামের ইক্তেদা করতে কোন বাধা নেই (বুখারী হা/৭২৯)।
উত্তর : যেকোন হালাল ব্যবসা নারী ও পুরুষ সবার জন্য জায়েয। আল্লাহ বলেন, তিনি ব্যবসাকে হালাল করেছেন ও সূদকে হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২৭৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, কোন উপার্জন সবচেয়ে পবিত্র? তিনি বললেন, মানুষের নিজ হাতের উপার্জন এবং প্রত
উত্তর : মৌলিক মানবাধিকারের দিক দিয়ে সকল মানুষ সমান। তবে বিধানগত দিক দিয়ে মানুষের মধ্যে তারতম্য রয়েছে। যেমন পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যকার পার্থক্য, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার পার্থক্য, শাসক ও শাসিতের মধ্যকার পার্থক্য ইত্যাদি। নারী ও পুরুষের মধ্যে
উত্তর : পর্দার আড়াল থেকে মহিলারা ইমামের নিকট থেকে কুরআন এবং হাদীছের তা‘লীম নিতে পারবে এবং প্রশ্ন করে উত্তরও জেনে নিতে পারবে (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৫৩)।
উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যেভাবে পর্দা করার কথা বলা হয়েছে, সেভাবে পর্দা করাই হচ্ছে যথার্থ পর্দা। আল্লাহ বলেন, ‘ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্
উত্তর : তিলক বা টিপ হিন্দুদের একটি ধর্মীয় প্রতীক। তারা তাদের বিভিন্ন দেবতার উদ্দেশ্যে ভিন্ন ভিন্ন টিপ বা তিলক ব্যবহার করে থাকে (বাংলাপিডিয়া)। আবার কোন হিন্দু ধর্ম মতে, তিলক হ’ল তৃতীয় চোখ যা শিশুদের বদনযর থেকে হেফাযত করে। অতএব একজন মুসলমানের জন্য
উত্তর : রামাযান মাসে ইবাদত করা খুবই ফযীলতপূর্ণ। ফরয ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বাধীন। অর্থাৎ রামাযান মাসের ছিয়াম পালনের ক্ষেত্রে স্ত্রীর স্বাধীনতা রয়েছে। আর অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতিক্রমে অধিক ইবাদত পালনের সুযোগ রয়েছে। কিন্
উত্তর : মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড় তিনটিই যথেষ্ট (বুখারী হা/১২৬৪; মুসলিম হা/৯৪১; মিশকাত হা/১৬৩৫; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতি‘ ৫/২২৪; দ্র. ছালাতুর রাসূল ২২৭ পৃ.)। মহিলাদের পাঁচ কাপড়ে কাফন দেওয়ার হাদীছ যঈফ (যঈফাহ হা/৫৮৪৪)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অন
উত্তর : ঈদের ছালাত নারী-পুরুষ সবার জন্য ঈদের ময়দানে গিয়ে আদায় করাই সুন্নাত (বুখারী হা/৩৫১; মুসলিম হা/৮৯০; মিশকাত হা/১৪৩১)। তবে প্রয়োজনে একজন পুরুষের ইমামতিতে নারীরা মসজিদে ঈদের ছালাত আদায় করতে পারে। যেমন যাকওয়া
উত্তর : যে সকল গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারিণী মহিলা ছিয়াম পালনে শিশুর ক্ষতির আশংকা করে, তারা রামাযানে ছিয়াম ছেড়ে দিবে এবং পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা মুসাফিরের উপর থেকে রহিত করে দিয়েছেন অর্ধেক ছাল
উত্তর : শারঈ পর্দা, নিরাপত্তা ও অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে মহিলাদের জন্য নিজের বাড়িতে কিংবা অন্যত্র দ্বীনী শিক্ষা প্রদানে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন কোন কওম কোন গৃহে বসে, অতঃপর কুরআন তেলাওয়াত করে এবং তা পর্যালোচনা করে, সেখানে তাদের উপ
উত্তর : মাথার কাপড় সরিয়ে বা যেভাবে সুবিধা হবে সেভাবে মাথা মাসাহ করবে। তবে পুরুষ ও মহিলার ওযূর পদ্ধতির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই (নাসাঈ হা/১০০, ১ম খন্ড, পৃঃ ৪২)। মেয়েদের মাথার কাপড় পড়ে গেলে বা বেগানা পুরুষ দেখলে ওযূ নষ্ট হয় না। কারণ এগুলো ওযূ ভঙ্গের কারণ
উত্তর : স্বামীর আনুগত্য না করা একটি কঠিন অপরাধ। রাসূল (ছাঃ) জনৈকা মহিলাকে বলেন, স্বামী তোমার জান্নাত ও জাহান্নাম (নাসাঈ কুবরা, আহমাদ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৬১২, সনদ ছহীহ)। অন্য হাদীছে বলা হয়েছে, স্বামীর অবাধ্যতার কারণে মহিলারা বেশী বেশী জাহান্নামে যাবে
১৯৭৫ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১ম বিশ্ব নারী সম্মেলনে অংশ গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পা রাখে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে গৃহীত নারী নীতি সমূহে জোরালো সমর্থন ও ভূমিকা রাখতে শুরু করে। অতঃপর ডিসেম্বর ১৯৭৯-তে
উত্তর : সমাজে যত কুসংস্কার চালু আছে, এটি তার অন্যতম। এগুলো থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
উত্তর : সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য মহিলাদের নাক-কান ফোড়ানো জায়েয। আরবে যে প্রথাগুলো পূর্ব থেকে চলে আসছিল, সেগুলো রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেননি। জাবের (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ঈদের ছালাত আদায় করেছি, খুৎবার পূর্বে তিনি বিনা আযান ও ইক্বামতে ছাল
উত্তর : নবী করীম (ছাঃ)-এর প্রতি আল্লাহ তা‘আলা ছালাত ও সালাম উভয়টি প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেজন্য নবী (ছাঃ)-এর নামের শেষে ‘ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলতে হয় (আহযাব ৩৩/৫৬)। অন্যদিকে আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রে কেবল
উত্তর : নারীরা বাড়িতে স্বামীর খেদমতের সাথে গৃহস্থালীর কাজগুলো করলে সে জিহাদের সমপরিমাণ ছওয়াব পাবে বলে ‘হাসান’ পর্যায়ের একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ইবনু আবীদ-দুনিয়া, আন-নাফাকাতু আলাল ইয়াল হা/৫২৮; মেদারাতুন নাস হা/১৭৩; আমালী ইবনু বুশরান হা/১১, সনদ
ভূমিকা :উম্মুল মুমিনীন যয়নাব বিনতু খুযাইমা (রাঃ) ছিলেন অতীব দানশীলা মহিলা। তিনি গরীব-দুঃখী ও দুস্থদের উদার হস্তে দান করতেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণকারী উম্মুল মুমিনীনদের অন্যতম ছিলেন। তাঁর সৌভাগ্য যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বয়ং তার
উত্তর : বাচ্চা প্রসবের পর রক্তস্রাব চালু থাকে, ততদিন মিলন বৈধ নয়। কারণ রক্তস্রাবকালীন সময়কে আল্লাহ অপবিত্র বলেছেন (বাক্বারাহ ২/২২২)। উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে মহিলারা সন্তান প্রসবের পর ৪০ দিন বা ৪০ রাত ইবাদত হ’তে বিরত থাক
উত্তর : পূর্বের মাসগুলোতে নির্দিষ্ট যে কয়দিন মাসিক হয়েছে সেই কয়দিন মাসিক বলে গণ্য হবে। তার অতিরিক্ত দিনগুলো অসুখ বা ‘মুস্তাহাযা’ বলে গণ্য হবে। সুতরাং নির্ধারিত মাসিকের পরের দিনগুলোতে ছালাত ও ছিয়াম আদায় করতে পারবে। প্রকাশ থাকে যে, রক্তের রং হয়
উত্তর : সরকারের গত মার্চ ’১১-তে প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতিমালা শরী‘আতের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। নারী অধিকার সংরক্ষণের নামে উক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হলেও এর দ্বারা নারীদেরকে আরো হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের ‘নারী নির্যাত
উত্তর : স্থান নিরাপদ হলে এবং তাদের আলোচনা বাইরের পুরুষ শুনতে না পেলে তারা সমাবেশ করতে পারে। কারণ (১) তাদের জন্য পর্দা ফরয (আহযাব ৫৯)। (২) তাদের কণ্ঠ পর পুরুষকে শুনানো যাবে না (আহযাব ৩২)। উক্ত শর্ত মেনে তারা দাওয়াতের কাজ করবে। তবে মহিলাদের নিরাপদ দা
উত্তর : অবৈধ প্রেমে লিপ্ত হওয়া নিঃসন্দেহে কবীরা গোনাহ, যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ’ (ইসরা ১৭/৩২)। এজন্য তাকে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে হবে এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা
উত্তর : স্বামীর জন্য ফরয কর্তব্য হ’ল স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত মোহরানা পরিশোধ করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের ফরয মোহরানা পরিশোধ কর’ (নিসা ৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, বিবাহের সবচেয়ে বড় শর্ত হ’ল মোহর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত
উত্তর : নারীরা জেহরী ছালাতে সরবে কুরআন তেলাওয়াত করবে। তবে যদি আশপাশে গায়ের মাহরাম পুরুষ থাকলে এবং ফেৎনার আশংকা থাকলে অনুচ্চস্বরে তেলাওয়াত করবে (ইমাম শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ১/১৯১; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২৮)।প্রশ্নকারী : তাহেরা, গ
উত্তর : এসব কর্মক্ষেত্র মহিলাদের জন্য নয়। বরং গৃহই মহিলাদের প্রধান কর্মস্থল (আহযাব ৩৩/৩৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নারী হ’ল গোপন বস্ত্ত। যখন সে বের হয়, শয়তান তার পিছু নেয়’ (তিরমিযী হা/১১৭৩; মিশকাত হা/৩১০৯)। তবে প্রয়োজনে অভিভাবকের
প্রশ্নকারী : আযীযুল ইসলাম, পিরুজালী, গাযীপুর।উত্তর : জমি ক্রয় বা বিক্রয় করে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণা না থাকলে বা অন্যের হক বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য না থাকলে এরূপ চুক্তি জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে
উত্তর : সাদা চুল কালো করার উদ্দেশ্য না থাকলে দুলহান তেল কালো চুলে ব্যবহার করা যাবে। তবে সাদা চুলকে কোন তেল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে কালো করা নারী-পুরুষ সবার জন্যই নিষিদ্ধ (মুসলিম হা/২১০২; মিশকাত হা/৪৪২৩-২৪)। আর নারীরা সৌন্দয্যবর্ধন, স
উত্তর : ‘হিজাব’ (حجاب) অর্থ পর্দা। যা পরপুরুষের দৃষ্টি থেকে নারীকে নিরাপদ রাখে। ইসলামী বিধান অনুযায়ী নারীর সর্বাঙ্গ সতরের অন্তর্ভুক্ত। কেবল তার চেহারা ও দুই হস্ততালু ব্যতীত (আবুদাঊদ হা/৪১০৫, মিশকাত হা/৪৩৭২)। তবে এটি হ’ল বাড়ীতে স্বাভাবিক অবস্থ
হামদ ও ছানার পরে আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে সত্য দ্বীন ও হেদায়াত সহকারে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। যাতে তিনি মানব জাতিকে তাদের প্রতিপালকের ইচ্ছায় অন্ধকার পথ থেকে বের করে সত্য-সঠিক আলোর পথে পরিচালিত করেন। তাঁর নির্দেশনাবলী পালন ও নিষেধকৃত কাজগ
১১ নং দলীল :বিশুদ্ধ দৃষ্টিকোণ ও প্রচলিত যুক্তি, এই পূর্ণাঙ্গ শরী‘আত যাকে নিয়ে এসেছে। আর সেটা হ’ল কল্যাণময় কর্মসমূহ ও তার মাধ্যমগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তার প্রতি উৎসাহিত করা। অপরদিকে ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি ও তার মাধ্যমগুলোকে অস্বীকার করা এবং পরিহার করা।
উত্তর : কোন মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারে না’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৫১৩)। তবে নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হ’লে অভিভাবক নিজ দায়িত্বে যে কোন ব্যবস্থা অবলম্বন করতে পারেন (বুখারী হা/৩৫৯৫; মিশকাত হা/৫৮৫৭, ‘নবুঅতের আলামত’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত আছারটি ছহীহ (ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৯; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/২১১৯)। তবে এটি ছিল তাঁর ব্যক্তিগত ইজতিহাদ। যা কোন কারণবশতঃ হয়ে থাকবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে মসজিদে যেতে বাধা দিয়ো না। আর যখন তারা ব
উত্তর : হ্যাঁ জায়েয। ঈদায়নের ছালাতের খুৎবার পর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মহিলাদের কাতারে চলে যেতেন ও তাদেরকে উপদেশ দিতেন ও ছাদাক্বা করার নির্দেশ দিতেন। তারা তাদের কানের দুল ও গলার হার খুলে বেলালের হাতে তুলে দিতেন (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪২৯)।
উত্তর : পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমার গোপনস্থান ঢেকে রাখ। তবে তোমার স্ত্রী ও তোমার দাসী এর অন্তর্ভুক্ত নয় (ইবনু মাজাহ হা/২৭৯৪; মিশকাত হা/৩১১৭)। উল্লেখ্য আয়েশা (রাঃ) থেকে ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর গোপন স্থান কখনো দেখিনি’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু
উত্তর : এরূপ অবস্থায় কোন গুনাহ হবে না বা কোন কাফফারাও ওয়াজিব হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের ভুলবশতঃ ও বাধ্যগত অবস্থায় কৃত অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন’ (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৫, মিশকাত হা/৬২৮৪)। তবে নিজেকে সংযত রাখতে না পের