প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী ‘বাইরের চাপ’ এবং সফররত আমেরিকান কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলীকে নাখোশ করে হ’লেও সরকার কাদিয়ানীদের সকল প্রকাশনা, বিক্রয়, বিতরণ ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ৮ই জানুয়ারী’০৪ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ঘোষণাটি দ্বীনদার মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। যদিও বিরোধী দলীয় নেত্রী* সহ ধর্মনিরপেক্ষ ও বাম মহল থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এসেছে। ঘোষণাটিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যুগান্তকারী বলা চলে এজন্য যে, পাকিস্তান আমল থেকে ঢাকায় আসন গেড়ে বসা এই ভ্রান্ত দলটির গায়ে এযাবত কেউ হাত দেয়ার সাহস করেনি। ইতিমধ্যে বহু মুসলমানকে এরা বিপথে নিয়ে গেছে। এ কাজে প্রধান হাতিয়ার হিসাবে তারা ব্যবহার করেছে তাদের অঢেল বিদেশী অর্থ ও চটকদার প্রকাশনা। আর সেফগার্ড হিসাবে ব্যবহার করেছে সরকারের বড় বড় রুই-কাতলাকে। পাকিস্তানের সৃষ্টিলগ্ন থেকে এযাবৎকাল কাদিয়ানীরা সর্বদা সরকারের মধ্যে বা কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা করেছে। যাতে সরকারী প্রশাসন সর্বদা তাদের ব্যাপারে নমনীয় থাকে। ‘কাফির’ হওয়ার কারণে মক্কায় কাদিয়ানীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেকারণ ইসলামের নাম নিয়েই তারা মুসলমানদের প্রতারণা করে চলেছে।

কাদিয়ানীরা ‘কাফির’ কেন? অন্যদের থেকে মুসলমানদের মৌলিক পার্থক্য হ’ল আক্বীদার পার্থক্য। সে আক্বীদা হ’ল কালেমায়ে শাহাদত। যার প্রথমাংশ হ’ল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই’ এবং দ্বিতীয় অংশ হ’ল মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল’। তিনি রাসূল মাত্র নন; বরং ১ লক্ষ ২৪ হাযার নবী-রাসূলের মধ্যে তিনি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল।[1] তাঁর মাধ্যমেই দ্বীন পূর্ণতা লাভ করেছে এবং ইসলাম আল্লাহ মনোনীত একমাত্র মানবধর্ম হিসাবে প্রেরিত হয়েছে (মায়েদাহ ৫/৩)। তিনিই সর্বশেষ রাসূল। তাঁর পরে আর কোন নবী আসবে না (আহযাব ৩৩/৪০)। তিনি বলেন, ‘আমার পরে আমার উম্মতের মধ্যে ৩০ জন মিথ্যা নবীর আবির্ভাব ঘটবে। প্রত্যেকে নিজেকে আল্লাহর নবী বলে ধারণা করবে। অথচ আমিই শেষনবী। আমার পরে কোন নবী নেই’।[2] তিনি আরও বলেন, ‘নবীদের তুলনা একটি সুন্দর পাকা দালানের ন্যায়, যাতে একটি ইটের জায়গা মাত্র খালি ছিল। আমিই সেই ইট এবং আমার মাধ্যমেই নবীদের সিলসিলা শেষ হয়ে গিয়েছে’।[3] তিনি বলেন, ‘অন্যান্য নবীগণ এসেছিলেন স্ব স্ব গোত্র ও সম্প্রদায়ের জন্য। কিন্তু আমি প্রেরিত হয়েছি সমস্ত সৃষ্টিকুলের জন্য’।[4] হাদীছে জিব্রীলে প্রশ্নোত্তর পর্বে ‘ইসলাম কি?’ এমন এক প্রশ্নের জবাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ইসলাম’ হ’ল এই যে, তুমি সাক্ষ্য দিবে এ বিষয়ে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং সাক্ষ্য দিবে যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল’।[5] অন্য হাদীছে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমাকে অন্যদের সঙ্গে লড়াইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অতক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল...’।[6] অন্য হাদীছে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের অবাধ্যতা করল, সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। মুহাম্মাদ হ’লেন লোকদের মধ্যে (মুমিন ও কাফিরের) পার্থক্যকারী।[7]

বলা বাহুল্য যে, কালেমায়ে শাহাদাতের প্রথমাংশে তাওহীদ তথা আল্লাহর একত্ববাদ এবং দ্বিতীয়াংশে রিসালাতে মুহাম্মাদী তথা খতমে নবুওয়াতের স্বীকৃতিদানের মাধ্যমেই একজন মানুষ ইসলামে দাখিল হ’তে পারে, নইলে নয়। তাঁকে শেষনবী হিসাবে বিশ্বাস করার উপরেই নির্ভর করে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও অগ্রগতি। নির্ভর করে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দ্বীন হওয়া ও কুরআনের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব হওয়া। অতএব মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে শেষনবী মানতে অস্বীকারকারী কিংবা তাতে সন্দেহ পোষণকারী ব্যক্তি নিঃসন্দেহে কাফির ও জাহান্নামী।

কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, নবুঅতের বিপুল মর্যাদায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দুনিয়াপূজারী কিছু ব্যক্তি যুগে যুগে নিজেদেরকে নবী হিসাবে দাবী করেছে। রাসূলের জীবন সায়াহ্নে ইয়ামনে আসওয়াদ আনাসী ও ইয়ামামাতে মুসায়লামা কাযযাব এবং রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরপরই নাজদে তুলায়হা আসাদী ও ইরাকে সাজা‘ নাম্নী জনৈকা মহিলা ‘নবী’ হবার দাবী করে। প্রথম খলীফা হযরত আবুবকর (রাঃ) এসব ভন্ডনবীদের সমূলে উৎখাত করেন। অতঃপর প্রায় তেরশো বছর পরে বর্তমান ভারতের পূর্ব পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর যেলার বাটালা মহকুমাধীন ‘ক্বাদিয়ান’ নামক উপশহরে জন্মগ্রহণকারী মির্যা গোলাম আহমাদ ক্বাদিয়ানী (১৮৩৫-১৯০৮) ১৮৯১ সালের ২২শে জানুয়ারী নিজেকে ‘মসীহ ঈসা’ ও ১৮৯৪ সালের ১৭ই মার্চ ‘ইমাম মাহ্দী’ এবং ১৯০৮ সালের ৫ই মার্চ তারিখে নিজেকে ‘নবী’ হিসাবে ঘোষণা দেন। ১৮৮৯ সালের ২৩শে মার্চ তারিখে তার নিজ নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত দলের নাম রাখা হয় ‘আহমাদিয়া জামা‘আত’। বর্তমানে এরা বলছে, ‘আহমাদিয়া মুসলিম জামাত’। বিদেশে এই জামা‘আতের প্রধান ঘাঁটি হ’ল লন্ডনে এবং ইসরাঈলের বন্দর নগরী হাইফাতে। ইসরাঈল রাষ্ট্রের জন্মের পূর্ব থেকেই তারা ঐ কেন্দ্র থেকে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের সেবা করত। বাংলাদেশে এদের মূল ঘাঁটি ঢাকার বখশীবাজারে আলিয়া মাদরাসার পাশে। জানা যায়, ঢাকায় তাদের মোট ৭টি উপাসনালয় এবং সারা দেশে মোট ১৩০টি সেন্টার রয়েছে। তাদের বই ও পত্রিকা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে প্রচার করা হয়। AM টিভি নামক স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে তারা কুরআনের বিকৃত ব্যাখ্যা সারা দুনিয়ায় প্রচার করে।

ভারত উপমহাদেশের উপর চেপে বসা ইংরেজ দখলদারদের বিরুদ্ধে আহলেহাদীছ ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘জিহাদ আন্দোলন’ যখন সামাজিক রূপ লাভ করে, তখন বৃটিশ যুলুমশাহীর বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক উত্থানকে অংকুরে বিনাশ করার জন্য কুচক্রী ইংরেজরা গোলাম আহমাদ ক্বাদিয়ানীকে তাদের দাবার ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করে। অতঃপর তার মাধ্যমে খতমে নবুওয়াতের আক্বীদায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে মুসলিম ঐক্যে ফাটল ধরানোর এবং তাদের দৃষ্টিকে আপোষে ঝগড়া লাগানোর দিকে ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা চালায়। এজন্য তারা অর্থের বিনিময়ে অনেক মুসলিম বুদ্ধিজীবীকে কাজে লাগায়। বৃটিশের দালাল এই ভন্ডনবী ঐ সময় ফৎওয়া প্রচার করে যে, ‘ইংরেজ শাসন মুসলমানদের জন্য আসমানী রহমত স্বরূপ। ...অতএব তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হারাম’। তিনি বলেন, ‘বৃটিশ হুকুমত আমার জন্য তরবারি স্বরূপ। ...আল্লাহ এই হুকুমতের সাহায্যে ও সমর্থনে ফেরেশতা নাযিল করেন’।

মুবাহালা ও ভন্ডনবীর মৃত্যু : ১৩১০ হিজরীর ১০ই যুলক্বা‘দা মোতাবেক ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে পূর্ব পাঞ্জাবের খ্যাতনামা আহলেহাদীছ আলেম মাওলানা আব্দুল হক গযনভী এই ভন্ডনবীর বিরুদ্ধে ‘মুবাহালার’-র ঘোষণা দেন। অন্যদিকে ‘ফাতেহে ক্বাদিয়ান’ ‘শেরে পাঞ্জাব’ ‘অল ইন্ডিয়া আহলেহাদীছ কনফারেন্স’-এর সেক্রেটারী মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (১৮৬৮-১৯৪৮) প্রদত্ত চ্যালেঞ্জের পর চ্যালেঞ্জের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে ১৯০৭ সালের ১৫ই এপ্রিলে উক্ত ভন্ডনবী বাধ্য হয়ে চ্যালেঞ্জ কবুল করে পাল্টা ‘মুবাহালা’-র ঘোষণা দেয় এবং বলে যে, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার ও ছানাউল্লাহর মধ্যে ফায়ছালা করে দাও এবং তোমার দৃষ্টিতে প্রকৃত অশান্তি সৃষ্টিকারী ও মিথ্যুককে সত্যবাদীর জীবদ্দশাতেই দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নাও’।

দু’দু’জন খ্যাতনামা আহলেহাদীছ আলেমের সাথে মুবাহালার ফলশ্রুতি হ’ল এই যে, আল্লাহ পাক এই মিথ্যানবীকে সত্যবাদীদের জীবদ্দশাতেই ন্যাক্কারজনক মৃত্যু দান করেন এবং ১৯০৮ সালের ২৬শে মে সকাল ১০-টায় লাহোরে প্রচন্ড কলেরায় যখন তার মৃত্যু হয়, তখন তার মুখ দিয়ে পায়খানা বের হচ্ছিল। অতঃপর দাফনের উদ্দেশ্যে কাদিয়ান নিয়ে যাবার পথে লাহোরের আহমাদিয়া বিল্ডিং থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত মির্যার দুর্গন্ধময় লাশের উপরে ইট-পাথর, ময়লা-আবর্জনা, বিষ্ঠা ও পায়খানা এমনভাবে বর্ষিত হয় যে, বিশ্ব ইতিহাসে কোন কাফিরের প্রতি এত লাঞ্ছনা ও অবমাননার কথা জানা যায় না। উল্লেখ্য যে, কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে দেউবন্দ সহ উপমহাদেশের অন্যান্য হানাফী ওলামায়ে কেরামের দৃঢ় ভূমিকা ছিল নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বর্তমানেও দেশের হানাফী ও আহলেহাদীছ সকল ওলামায়ে কেরাম কাদিয়ানীদের ‘কাফের’ ঘোষণার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

দেশে দেশে কাদিয়ানী : ইহূদী-খ্রিষ্টান চক্রের লালিত-পালিত মির্যা কাদিয়ানী যে হাদীছে বর্ণিত ৩০ জন মিথ্যা নবীর অন্যতম ছিল, তাতে কোন সন্দেহ নেই। সেকারণ হযরত আবুবকর (রাঃ)-এর কঠোর নীতির অনুসরণে এ যাবত পৃথিবীর অন্ততঃ ৪০টি মুসলিম দেশে এদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালে ‘রাবেতা আলমে ইসলামী’র উদ্যোগে মক্কায় অনুষ্ঠিত ১৪৪টি রাষ্ট্র ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ১৯৮৮ সালে ইরাকে অনুষ্ঠিত ‘ওআইসি’ শীর্ষ সম্মেলনে এদেরকে ‘কাফির’ ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশে ১৯৮৫ সালে এবং ১৯৯৩ সালে সুপ্রীম কোর্টের দু’টি মামলার রায়ে এদেরকে ‘অমুসলিম’ হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৯৯৭ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারীতে ঢাকার সোবহানবাগ মসজিদে অনুষ্ঠিত বিরাট মুছল্লী সমাবেশে প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দীনের উপস্থিতিতে মসজিদে নববীর সম্মানিত খতীব ড. আব্দুর রহমান আল-হুযায়ফী এদেরকে ‘কাফির’ ঘোষণা করে বলেন, এদেরকে যারা মুসলমান মনে করে তারাও ‘কাফির’। এতদিন পরে বর্তমান জোট সরকার তাদের যাবতীয় বই ও প্রকাশনা নিষিদ্ধ করে এ বিষয়ে প্রথম সরকারী পদক্ষেপ রাখলেন। এজন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এক্ষণে দাবী জানাই শুধু বই নিষিদ্ধ করে নয়, এদেরকে অনতিবিলম্বে ‘কাফির’ ঘোষণা করে কাদিয়ানী বিতর্ক শেষ করুন। অমুসলিম সংখ্যালঘু হিসাবে অন্যদের ন্যায় এরাও দেশে বসবাস করুক, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু ইসলামের নাম নিয়ে প্রতারণা করলে এবং ইসলামের ও ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালে এদেরকে মুসলমানেরা বরদাশত করবে না। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন। আমীন![8]


[1]. আহযাব ৩৩/৪০; আহমাদ হা/২২৩৪২; মিশকাত হা/৫৭৩৭, ছহীহ।

[2]. আবুদাউদ হা/৪২৫২; মিশকাত হা/৫৪০৬ ‘ফিৎনা সমূহ’ অধ্যায়।

[3]. বুখারী হা/৩৫৩৫; মুসলিম হা/২২৮৬; মিশকাত হা/৫৭৪৫ ‘ফাযায়েল ও শামায়েল’ অধ্যায়।

[4]. সাবা ৩৪/২৮; বুখারী হা/৩৩৫; মুসলিম হা/৫২১; মিশকাত হা/৫৭৪৭ ‘ফাযায়েল ও শামায়েল’ অধ্যায়।

[5]. মুসলিম হা/৮; মিশকাত হা/২।

[6]. বুখারী হা/৭২৮৪; মুসলিম হা/২২; মিশকাত হা/১২।

[7]. বুখারী হা/৭২৮১; মিশকাত হা/১৪৪ ‘কিতাব ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ।

[8]. ৭ম বর্ষ ৫ম সংখ্যা ফেব্রুয়ারী ২০০৪।






বিষয়সমূহ: বিবিধ
মিসকীন ওবামা, ভিকটিম ওসামা, সাবধান বাংলাদেশ - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
মিথ্যাচার ও সাংবাদিকতা - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
মে‘রাজুন্নবী (ছাঃ) - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
নৈতিক অবক্ষয় প্রতিরোধের উপায় - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
বাঁচার পথ - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন! - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আন্দোলনই মুখ্য - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
শাসন ব্যবস্থায় আল্লাহর ওয়াদা স্মরণ রাখুন! - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
ভেসে গেল স্বপ্নসাধ! - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
সংবিধান পর্যালোচনা - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
নষ্ট সংস্কৃতি - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আরও
আরও
.