ড. মুহাম্মাদ ইউনূস তাঁর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জনগণ বিপুল আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু মাস কয়েক যেতেই সে আশা যেন ফিঁকে হ’তে বসেছে। যে তরুণ ও ছাত্রদের শতভাগ সমর্থন ও ম্যান্ডেট নিয়ে তিনি নেতৃত্বে এসেছিলেন, আমেরিকার সেবাদাস ও এনজিও সদস্য এবং নিজ যেলার অদক্ষ
সাড়ে পনের বছরের স্বৈরশাসনের অবসানের পর একটি নতুন স্বপ্নময় রাষ্ট্রের প্রত্যাশায় বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ। সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার তরতাযা জীবন এবং শত শত ছাত্রের চোখ হারানো, অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্ববরণের বিনিময়ে অর্জিত ৫ই আগষ্টের ঐতিহাসিক বিজয় দেশের আপামর জনগণে
দুই-তৃতীয়াংশের অধিক সংসদ সদস্যের সমর্থনে ধন্য দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার বিগত ৭ মাসে তাদের প্রধান দু’টি ওয়াদা পূরণে ব্যর্থ হয়ে এখন চরম বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হয়েছে। তাদের প্রধান দু’টি অঙ্গীকার ছিল সন্ত্রাস দমন ও দু্র্নীতির উচ্ছ
১৪ই অক্টোবর সোমবার নওদাপাড়া, রাজশাহী : অদ্য দুপুর ১২-টায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক জনাব মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম তার রাজশাহী সফরের একপর্যায়ে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্র
জনমতের ভিত্তিতে একটি সরকার হটিয়ে পরবর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পূর্বকালীন সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলা হয়। কিন্তু অভ্যুত্থান হ’ল তার বিপরীত। এখানে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকারই সরকার। গত ৫ই আগস্ট সোমবার হাসিনা সরকারকে হটিয়ে এদে
সম্প্রতি বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীর লেখায় এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বক্তৃতায় সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার শোনা যাচ্ছে। এর দ্বারা তারা ইসলাম মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পরোক্ষ ইঙ্গিত দিতে চান। তাঁদের বক্তৃতা ও লেখনী দৃষ্টে একথা খোলামেলা হয়ে গেছে যে,
পত্রিকান্তরের হিসাব মতে সরকারীভাবে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ের বাইরে সাড়ে ঊনিশ শত প্রার্থীর অন্যূন দশ হাযার কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্য দিয়ে দেশের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পালাবদল শেষ হ’ল গত পহেলা অক্টোবর ২০০১ সোমবারে। সরকারী দল আওয়ামী লীগের বদলে দেশ পরিচালনার
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচলিত ধারায় দেশে কি সৎ ও যোগ্য নেতারা নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসতে পারবেন? আর এলেও তিনি কি সৎ ও যোগ্য থাকতে পারবেন? বর্তমান নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতিতে সেটা আদৌ সম্ভব কি-না ভেবে দেখার বিষয়। কারণ : (১) এখানে প্রার্থী হওয়ার মাধ্যমে নে
দলীয় শাসনে পিষ্ট মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপেক্ষায় দিন গুণছিল। অবশেষে গত ১৫ই জুলাই’০১ বাদ মাগরিব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জনাব লতিফুর রহমান ও দশজন উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্ত
দেশের স্বাধীনতার উপরে হামলা হয়েছে। গত ১৮ই এপ্রিল’০১ কুড়িগ্রাম রৌমারী সীমান্তে এ হামলা চালিয়েছে বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত। এযাবতকালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষে হানাদার পক্ষ স্বাভাবিকভাবেই চরম মার খেয়েছে। ৩জন বিডিআর ও ৪০জন বিএসএফ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬টি লাশ ফেলে
মাসিক আত-তাহরীক-এর ৪র্থ বর্ষের প্রথম সম্পাদকীয় লিখতে হচ্ছে এমন এক সময় যখন আকস্মিক প্রলয়ংকরী বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৭টি যেলা বিশেষ করে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত যশোরের শার্শা উপযেলা ও ‘বন্যামুক্ত এলাকা’ বলে পরিচিত সাতক্ষীরা যেলা উজানের দেশ থেকে
ফারাক্কা বাঁধ থেকে ছাড়া পানি হু হু করে ধেয়ে আসছে রাজশাহীর দিকে। সে চায় শিক্ষানগরী রাজশাহীকে গ্রাস করতে। শহর রক্ষা বাঁধ তার প্রধান শত্রু। একে সে খাবেই। এবার যেন সে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উত্তরাঞ্চলের এই বিভাগীয় শহরকে তলিয়ে দিতে পারলে পুরা উত্তরাঞ্চলকে সে ডু
২৬শে মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এ মাসেরই ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার ঘুমন্ত মানুষের উপর হিংস্র আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নীতিহীন পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। ফলে পরদিন ২৬শে মার্চকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন দেশের রাজনৈতিক নে
পারমাণবিক শক্তিধর একমাত্র মুসলিম দেশ পাকিস্তান এখন সামরিক শাসনের অধীনে। প্রতিবেশী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতে যখন নতুন সরকারের অভিষেকের আয়োজন চলে, পাকিস্তানে তখন ঘটে সামরিক অভ্যুত্থান। অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন কারগিল বিজয়ের পুরস্কার ঘরে তুলেন অর্থাৎ তৃতীয়
নির্যাতিত, অবহেলিত ও উপেক্ষিত নারী সমাজের অধিকার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। কন্যা সন্তানকে জীবন্ত পুঁতে মেরে ফেলার মত জাহেলী প্রথার মূলোৎপাটন করেছে ইসলাম। ইসলামই দিয়েছে তাদের উত্তরাধিকারের সুমহান মর্যাদা। দিয়েছে মাতৃত্বের চির গৌরব। অথচ সে নারী আজ প্রতিনিয়ত
প্রতিবেশী ভারত গত ১১ ও ১৩ই মে’৯৮ যথাক্রমে ২+৩= ৫টি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। এই বোমাগুলির সম্মিলিত ধ্বংসকারী ক্ষমতা ছিল ৫৬ কিলোটন টিএনটি (১ কিলোটন= ১০,০০০ টন টিএনটি´৫৬= ৫ লাখ ৬০ হাযার টন টিএনটি)। যা ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় ২য় মহাযুদ্ধে মি
আদর্শকে কেন্দ্র করেই মানুষের সার্বিক জীবন আবর্তিত হয়। আদর্শহীন মানুষ এমনকি নিজ পরিবারের সদস্যদের নিকটেও অবিশ্বস্ত ও অশ্রদ্ধার পাত্র। অনুরূপভাবে একটি জাতি উন্নত হয় তার আদর্শনিষ্ঠার কারণে। জাতিকে নীতি ও কল্যাণের পথে পরিচালনার জন্যই প্রয়োজন আদর্শবান ও ক
২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষা দিবস সমাগত। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকার রাজপথে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ন্যায্য দাবীকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য অদূরদর্শী শাসনশক্তি সেদিন বুলেট চালিয়ে হত্যা করেছিল আমাদেরই কিছু তরুণ ভাইকে। আমরা তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করি শ্রদ
১লা সেপ্টেম্বর রোববার। সময় রাত ৯-টা। ভারতের ত্রিপুরায় থাকা ভাইকে দেখতে মা সঞ্জিতা রাণী দাসের সঙ্গে রওয়ানা হয় ১৪ বছরের কিশোরী স্বর্ণা দাস। মৌলভীবাজার যেলার কুলাউড়া উপযেলার লালারচক সীমান্ত দিয়ে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা ক
সঙ্গতভাবেই কথা উঠেছে ৭২-এর সংবিধান বাতিল হবে এবং নতুন সংবিধান রচিত হবে। কেন বাতিল হবে? কেননা ঐ সংবিধান ছিল ভারতের চাপিয়ে দেওয়া। যা এদেশের মানুষের আক্বীদা-বিশ্বাসের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে ছিল গত ৫২ বছর। মুখে গণতন্ত্র বলা হচ্ছে। অথচ দেশের গণ মানুষের