গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বাদ জুম‘আ খুলনা খালিশপুরে ইমাম পরিষদের ব্যানারে একদল লোক খালিশপুর ১২ নং সড়কের আহলেহাদীছ জামে মসজিদে হামলা করে মসজিদ ও ওযূখানা ভাংচুর করে এবং পার্শ্ববর্তী মাওলানা আব্দুর রঊফ ছাহেবের বাড়ী ও লাইব্রেরীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষ
সঙ্গতভাবেই কথা উঠেছে ৭২-এর সংবিধান বাতিল হবে এবং নতুন সংবিধান রচিত হবে। কেন বাতিল হবে? কেননা ঐ সংবিধান ছিল ভারতের চাপিয়ে দেওয়া। যা এদেশের মানুষের আক্বীদা-বিশ্বাসের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে ছিল গত ৫২ বছর। মুখে গণতন্ত্র বলা হচ্ছে। অথচ দেশের গণ মানুষের
৫ই আগস্ট ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে যাওয়ার একটি দিন। ছাত্রসমাজের দুঃসাহসী সংগ্রামী চরিত্রকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করার দিন। ঘাতকের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে, শহীদী রক্তে রঞ্জিত হয়ে বিজয় আনার দিন। জুলাই-আগস্ট’২৪ দুঃশাসনের এক কালো অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি
১৯৭১ সালে ৯ মাস যুদ্ধের পর পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিল বাঙালী জাতি। ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল সেই কাংখিত বিজয়। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে জায়গা করে নিয়েছিল অপার সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশ। সেসময় পুলিশ-জনতা ও অন্যান্য বাহিনী কাঁধে কাঁধ
গত ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যা ঘটে গেল, তা রীতিমত বিস্ময়কর। যা পৃথিবীর তাবৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমন্ডলে দারুণ ঝাঁকুনি দিয়েছে। মেধা আল্লাহর দান। কিন্তু যখনই সেই মেধার স্বাভাবিক বিকাশে ও তার মূল্যায়নে সরকার নানাবিধ কোটা চাপিয়ে দীর্ঘ দ
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪পর্ব ৫পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
সম্প্রতি দেশের সরকার ও প্রশাসনে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির যে ভয়াল চিত্র প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রায় প্রতিদিন হচ্ছে, তা কল্পনাকেও হার মানায়। সেই সাথে বিসিএস ও পিএসসির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফঁাস জালিয়াতিতে জড়িত ড্রাইভা
পৃথিবীতে এযাবত মৌলিকভাবে দু’টি শাসনব্যবস্থা দেখা গিয়েছে। রাজতন্ত্র ও খেলাফত। দু’টির মধ্যে দু’টি আদর্শের প্রতিফলন রয়েছে। রাজতন্ত্রে রাজার ইচ্ছাই চূড়ান্ত। তাঁর হাতেই থাকে সার্বভৌমত্বের চাবিকাঠি। যেমন বিগত যুগে নমরূদ, ফেরাঊন ও সর্বযুগে তাদের অনুসারী শাস
২০২৪ সালকে বলা হচ্ছে নির্বাচনের বছর। নির্বাচন হচ্ছে ৭০টির বেশী দেশে। এক বছরে এতগুলো দেশে নির্বাচনের নযীর ইতিপূর্বে নেই। বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ এ বছর ভোটের আওতায় থাকছে। এমন এক সময়ে এই নির্বাচনগুলো হচ্ছে, যখন বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের মান ক্রমশ নীচ
প্রত্যেক মানুষের স্বভাবগত মৌলিক অধিকারকে ‘মানবাধিকার’ বলা হয়। যেমন জান-মাল-ইযযত, খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান, শিক্ষা-চিকিৎসা এবং সর্বোপরি স্বাধীন ও সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। মানবাধিকার সর্বদা পরস্পর সম্পর্কিত। তা কখনো এককভাবে অর্জিত হয় না। আর এ কার
হযরত ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকূবসহ প্রায় পাঁচ হাযার নবীর কর্মস্থল এবং শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মে‘রাজের স্মৃতিধন্য মুসলমানদের ৩য় ক্বিবলা বায়তুল আক্বছার আদি বাসিন্দা ফিলিস্তীনীদের একাংশ গাযা আজ উড়ে আসা বহিরাগত ইহূদীদের মাধ্যমে অবরুদ্ধ। খাদ্য, পানি-বিদ্য
আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্মসমূহ সম্পাদন করে, আল্লাহ তাদের ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসন ক্ষমতা প্রদান করবেন, যেমন তিনি দান করেছিলেন পূর্ববর্তীদেরকে’ (নূর ২৪/৫৫)। তিনি স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘তুমি বল, হে
উত্তর : সরকারের যে কোন বৈধ কর্মে সহযোগিতা করায় কোন বাধা নেই। ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাস পোষণ করলে সেজন্য সরকারই দায়ী থাকবে। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেকেই স্বীয় অপকর্মের জন্য দায়ী হবে এবং কেউ অন্য কারো (পাপের) ভার বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। আর নির্
‘তালেবান’ অর্থ ছাত্র সংগঠন। যারা ইতিপূর্বে সোভিয়েট দখলদারদের হটানোর জন্য রাস্তায় নেমেছিল ও তাতে সফল হয়েছিল। অতঃপর তারা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত পাঁচ বছর আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতায় ছিল। আমেরিকা তাদেরকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু তালেব
উত্তরঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘অবশ্যই আমার নেককার বান্দারাই যমীনের অধিকারী হবে’ (আম্বিয়া ১০৫)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে তাদের সাথে আল্লাহ্ তা‘আলা ওয়াদা করেছেন যে, তিনি যমীনে তাদেরকে খেলাফত দান করবেন (নূর ৫
সমঝোতা ও শান্তি ব্যতীত সমাজ এগোতে পারে না। কিন্তু সরকারী ও বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক সমাজ ব্যবস্থায় দেশ এখন অশান্তির দাবানলে জ্বলছে। এরপরেও সমঝোতা থাকতেই হবে। প্রধানত: সমাজনেতা ও ধর্মনেতাদের পদস্খলনেই সমাজে আল্লাহর গযব নেমে আসে। আর এই দুই শ্রেণী য
সম্প্রতি উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে গণ অভ্যুত্থান হয়েছে। তাতে ইতিমধ্যে তিউনিসিয়া ও মিসরের দুই লৌহমানবের পতন ঘটেছে। লিবিয়া ও ইয়ামনের দুই লৌহমানব এখন পতনের মুখে। বাহরায়েন ও জর্ডানে লু হাওয়া বইছে। সিরিয়া ও সঊদী আরবে আতংক দেখা দিয়েছে। সুদান ইতি
জনগণের আশা-আকাংখার প্রতীক হয়ে আমেরিকার ক্ষমতায় এলেন বরাক হোসায়েন ওবামা। তাঁর কথায় ও আচরণে মুগ্ধ হয়ে আন্তর্জাতিক নোবেল কমিটি তাঁকে অল্প দিনের মধ্যেই শান্তিতে ‘নোবেল’ পুরস্কারে ভূষিত করলেন। কিন্তু ব্যক্তি হিসাবে তিনি যত ভাল মানুষই হন না কেন, আম
পর্ব ১ ।(৫) ইউসুফ বিন আব্দুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) খুওয়াইলাহ (খাওলা) বিনতে ছা‘লাবাহ থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর কসম! আমার ও (আমার স্বামী) আউস বিন ছামেতের ব্যাপারে আল্লাহ সূরা মুজাদালাহর প্রথম দিকের আয়াতগুলি নাযিল করেছেন। তিনি বলেন, আমার অতি বৃদ্ধ স্বা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । আল্লাহ বলেন, يَآ أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَقُولُوا قَوْلاً سَدِيدًا- يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا- ‘হে মুমিনগণ! তোম
তাওহীদের সাথে শিরকের সম্পর্ক যেমন ওযূর সাথে বায়ু নিঃসরণের সম্পর্ক। তাওহীদ থাকলে শিরক থাকবেনা, শিরক থাকলে তাওহীদ থাকবেনা। দু’টির মাঝে আপোষের কোন সুযোগ নেই। তাওহীদের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দাসত্বের অধীনে সকল মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা। আর শি
দেশে চলছে চরম অরাজকতা। সর্বত্র আতংক। কারু জান-মাল ও ইযযতের নিরাপত্তা নেই। এক দল অপর দলকে দায়ী করেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। কিন্তু ফলাফল একটাই, মরছে মানুষ, পুড়ছে গাড়ী, চলছে গুম-খুন-অপহরণ। শিল্প কারখানায় দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে ব
গত ৫ই ফেব্রুয়ারী’১২-তে ঢাকার একটি দৈনিকে প্রকাশিত এদেশের একটি পরিচিত ইসলামী রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের একজন প্রভাবশালী ব্যারিষ্টার সদস্যের লিখিত প্রবন্ধটি অনেক পরে ‘নেটে’ পড়লাম। লেখাটিতে তিনি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের আরব বসন্তের ঢেউয়ে
বারাক হোসেন ওবামা গত ৬ নভেম্বর’১২ পুনরায় ৪ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। গতবারের ন্যায় এবারও আইনসভার উচ্চকক্ষ (সিনেট) ডেমোক্রাটদের দখলে এবং নিম্নকক্ষ (কংগ্রেস) রিপাবলিকানদের দখলে গেছে। সেদেশের ঐতিহ্য হ’ল দ্বিদলীয় নির্বাচন : ডেমোক্রাট
৩০ এপ্রি্ল সকাল ১০টা। ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর কার্যালয় বংশাল থেকে আমরা রওনা হ’লাম সাভারের উদ্দেশ্যে। গন্তব্য বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ ভবনধসের ঘটনায় ধংসস্তূপে পরিণত হওয়া রানা প্লাজা। দুর্ঘটনার ২দিন পর ২৬ এপ্রিল শুক্রবার রাজশাহী কেন্দ্রীয়
রাষ্ট্রের কোন যথার্থ সংজ্ঞা আজও নির্ধারিত হয়নি। তবে নির্দিষ্ট ভূখন্ড, জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ব এবং সেই সাথে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলে বর্তমান যুগে একটি রাষ্ট্র বাস্তবে রূপ লাভ করে থাকে। মানবতার সুরক্ষা ও উত্তম জীবন যাপনই যার একমাত্র লক্ষ
মুরসির পতন। গণতান্ত্রিক বিশ্ব নীরব। ইসলামী বিশ্ব হতবাক। ইসলামী নেতাদের মুখ বন্ধ। মিসরের ইতিহাসের সর্বপ্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত (৫১.৭) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসির পতন হ’ল মাত্র এক বছরের মাথায় গত ৩রা জুলাই’১৩ বুধবার। এখন তিনি সেনাবাহিনীর
১৯৭১-এর ডিসেম্বরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিগত প্রায় ৪২ বছর আমরা কথিত গণতন্ত্রের দেশে বসবাস করছি। গণতন্ত্রের অর্থ যদি কেবল ভোটাভুটি হয়, তবে সেটা ইংরেজ ও পাকিস্তান আমলেও ছিল। যার যুলুম থেকে বাঁচার জন্য বহু রক্তের ও ইয্যতের বিনিময়ে দেশ স্বাধী
আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমার প্রতিপালক এমন নন যে, সেখানকার অধিবাসীরা সৎকর্মশীল হওয়া সত্ত্বেও জনপদ সমূহকে অন্যায়ভাবে ধ্বংস করে দিবেন’ (হূদ ১১/১১৭)। পৃথিবীর প্রাচীন ছয়টি জাতি আল্লাহর গযবে ধ্বংস হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তাদের যুলুমের কারণে। উক্ত ৬টি জাতি হ’
ইমাম গাযালী একজন রক্ষণশীল, যুক্তিবাদী, খিলাফতপন্থী ছিলেন এবং বাস্তবতামুখী জীবনধারা ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার সমর্থক ছিলেন। তাঁর ‘মা‘আরিজুল কুদস’ নামক গ্রন্থে ইমাম গাযালী বলেন, ‘পারস্পরিক সহানুভূতি ও সমাজ ব্যবস্থা ছাড়া মানুষের বেঁচে থ
গণতন্ত্রের পরিভাষায় জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস। অথচ জনপ্রতিনিধিরাই এখন জনগণকে হত্যা করছে নির্বিচারে। প্রত্যেকে একে অপরকে দোষ দিচ্ছে। তাতে লাভ কি? নিহত ভোটারটি কি আর বেঁচে উঠবে? বা আগুনে পোড়া মানুষটি কি কখনও নেতাদের ক্ষমা করবে? ৭দিন চলে গেছে অ
সম্প্রতি দেশে ছিদ্দীক্বী ও চৌধুরীদের বকওয়াস ও উল্লম্ফন দেখে এবং সেই সাথে আদর্শহীন ও দেশপ্রেমহীন নেতাদের চানক্যনীতি দেখে দূর অতীতের জগৎশেঠ, উমিচাঁদ ও মীরজাফরদের চেহারা মনের আয়নায় ভেসে উঠছে। মীর মদন ও মোহনলাল হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও তরুণ মুসলিম নবাব সিরাজ
আসমান হ’তে এক ইঞ্জীলনাযিল হয়েছিল।যমীনে এসে সেই ইঞ্জীলচার কেন হ’ল?অহি-র বিধান কুরআন-হাদীছকোথায় রয়ে গেলচার মাযহাব-চার তরীকাদ্বীনে ঢুকে গেল।আল্লাহর কথা মেনে যেজনকরে জীবন-যাপনকুরআন-হাদীছ মানে যেসেই আসল মুমিন।এসো সকল মুমিন ভাইসময় চলে গেলোহকের দাওয়াত কবুল
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়েছে, দুর্নীতির কারণে ২০১৫ সালে দেশটির প্রায় ৩ লাখ সরকারী কর্মকর্তাকে সাজা দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে ২ লাখ কর্মকর্তাকে অপেক্ষাকৃত কম সাজা দেয়া হয়েছে। বাকি ১ লাখ কর্মকর্তাকে চরম সাজা দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আ
উত্তর : ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সহ দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বারো ইমামে বিশ্বাসী ইছনা ‘আশারিয়া ইমামিয়া শী‘আ। নিম্নে তাদের মৌলিক কিছু আক্বীদা তাদের কিতাবসমূহ থেকে বর্ণিত হ’ল।- (১) তাদের ইমামগণ অতীত এবং ভবিষ্যতের যাবতীয় গায়েবের জ্ঞান রাখে (কুলাইনী,