পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৫। পর্ব ৬।হিজরী ৩য় শতক পরবর্তী হাদীছ সংকলনসমূহ :হিজরী ৩য় শতকের পরও যথারীতি হাদীছ সংকলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। তবে পরবর্তী যুগের বিদ্বানগণ মূলতঃ বুখারী, মুসলিম এবং চারটি সুনান গ্রন্থের সংক্ষেপায়ন,
বলা হয় স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর স্বাস্থ্য গঠনে পানি হ’ল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পানি এমন একটি উপাদান যা ব্যতীত জীবন ধারণ অসম্ভব। মানুষের শরীরের ৬০-৭৫ ভাগ অংশ পানি দ্বারা গঠিত। আল্লাহ বলেন, أَلَمْ نَخْلُقْكُمْ مِنْ مَاءٍ مَهِينٍ ‘আমরা কি তোমাদ
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৫
উত্তর : হৃদয়ে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে ও জেনে-বুঝে সেই মোতাবেক জীবন পরিচালনা করলে এবং আমৃত্যু এ অবস্থায় টিকে থাকতে পারলে সে জান্নাতে যাবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি এ বিশ্বাস নিয়ে মারা যাবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, সে অবশ্যই জান্ন
উত্তর : সূরা বাক্বারার ৬২ আয়াতে বলা হয়েছে, নিশ্চয়ই মুমিন, ইহূদী, নাছারা ও ছাবেঈদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম সম্পাদন করেছে, তাদের জন্য পুরস্কার রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকটে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন
উত্তর : উক্ত হাদীছদ্বয়ে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ‘ছওমে বিছাল’ পালন করবে না। লোকেরা বলল, আপনি যে ছওমে বিছাল করেন? তিনি বললেন, আমি তোমাদের মত নই। আমাকে পানাহার করানো হয় (অথবা বললেন) আমি পানাহার অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করি (বুখ
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং এটি কোন বিদ্বানের হিকমতপূর্ণ বক্তব্য। তবে বাস্তবে ‘ছবর’ (ধৈর্য) নামে একটি বৃক্ষ রয়েছে যার পাতা ‘এলোভেরা’ নামে পরিচিত। এর দ্বারা রাসূল (ছাঃ) চোখের চিকিৎসা করতে বলেছেন। আর ছাহাবায়ে কেরাম এই ছবর বৃক্ষের
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়, তবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এর কোনটির সনদে ইনকিতা‘ বা বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। আবার কোনটি যঈফ (ইবনুল জাওযী, আয-যু‘আফা ওয়াল মাতরূকীন ১/৩০১, সনদ যঈফ)।প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম, কাজলা, রাজশাহী।
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩।লিখিতভাবে সংরক্ষণের ধাপসমূহ :(১) অনানুষ্ঠানিক লেখনী :ছাহাবীগণ রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনকালেই হাদীছ লিপিবদ্ধ করতেন। তবে সেটা ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকে করেছিলেন না রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশে করেছিলেন, তা নির্ণয় করা মুশকিল।[1] সাধারণভ
পর্ব ১। পর্ব ২।(গ) লেখনীর মাধ্যমে সংরক্ষণ :পবিত্র কুরআনের সাথে হাদীছ সংকলন ও সংরক্ষণ প্রচেষ্টাও একই সাথে শুরু হয়েছিল। তবে রাসূল (ছা.) প্রথম পর্যায়ে কুরআনের মত হাদীছ লিপিবদ্ধ করতে নিষেধ করেছিলেন। যেমন আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছা.)
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।মুসলিমদের পাহারা নিয়ে আববাদ বিন বিশর (রাঃ)-এর কাহিনী :আবুদ্দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে নাজদের দিকে যুদ্ধযাত্রা করেছিলাম।* আমরা মুশরিকদের বাড়ি-ঘর থেকে একটি বাড়ি
পর্ব ১।(খ) মুখস্থকরণের মাধ্যমে সংরক্ষণ :পবিত্র কুরআনের মত হাদীছও আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত হওয়ার পূর্বে প্রথমত সংরক্ষিত হয়েছিল মুখস্থকরণের মাধ্যমে। প্রাথমিক যুগে মুখস্থকরণই ছিল হাদীছ সংরক্ষণের প্রধান মাধ্যম। ছাহাবীগণ কুরআনের মত হাদীছকেও সমগুরুত্বের সাথে ম
ভূমিকা :রাসূল (ছাঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শনকারী হিসাবে প্রেরিত হয়েছিলেন। প্রতিটি কথা ও কাজের মাধ্যমে তিনি ছাহাবীদেরকে দ্বীনী ও দুনিয়াবী জীবনে চলার পথ দেখিয়ে দিতেন। তিনি ছিলেন একাধারে কুরআনের ব্যাখ্যাকার, ইমাম, শিক্ষক, বিচারক ও সেন
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছ ছহীহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে একশ’ বার বলবে, ‘সুবহানাল্লাহিল ‘আযীম ওয়া বিহামদিহি’ এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলে, তাহ’লে সৃষ্টিকুলের কেউই তার মত মর্যাদা ও ছওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে
(৫) আম ও খাছের মাধ্যমে ব্যাখ্যা প্রদান :হাদীছ দ্বারা যেমন কুরআনের আহকাম মানসূখ হ’তে পারে, তেমনি হাদীছ দ্বারা কুরআনের কোন আম হুকুমকে খাছ বা খাছ হুকুমকে আম করা যায়। এ বিষয়ে চার ইমামসহ জমহূর ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন।[1] যেমনভাবে ইমাম শাফেঈ তাঁর
হাদীছ ও কুরআন পরস্পরের পরিপূরক। উভয়টিই ইসলামী শরী‘আতের অপরিহার্য দু’টি অঙ্গ। তবে হাদীছ বা সুন্নাহর মূল পরিচয় হ’ল তা কুরআনুল কারীমের ব্যাখ্যা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে তাঁর নবুঅত ও রিসালাতের জন্য মনোনীত করতঃ তাঁর উপর কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ
মুসলিম উম্মাহ এ বিষয়ে একমত যে, রাসূল (ছাঃ)-এর কথা, কর্ম ও সম্মতি হ’ল ইসলামী শরী‘আতের সকল হুকুম-আহকামের অন্যতম উৎস। বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হাদীছকে ইসলামী শরী‘আতের মৌলিক উৎস হিসাবে অনুসরণ করা একজন মুসলিমের জন্য অপরিহার্য।[1] কেননা পবিত্র কুরআনের মত হাদীছও
আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতকে কামনা করে এবং আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করে’ (আহযাব ৩৩/২১)। নবুঅতী জীবনের ভিত্তি ছিল অহিয়ে মাতলু পবিত্র ‘কুরআন’ ও অহিয়ে গায়ের মাত
আল্লাহ বলেন,وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُ، قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ- لاَ تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ، إِنْ نَعْفُ عَنْ طَآئِفَةٍ مِّنْكُمْ نُعَذِّبْ طَ
উত্তরঃ বর্ণনাটি যঈফ (যঈফুল জামে‘ হা/২৬৪১; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৫৯২)।
উত্তর : হাদীছটির ব্যাখ্যা হল- কোনকিছুর মধ্যে অকল্যাণ নেই। যদি থাকত তবে ঘোড়া, নারী ও বাড়ীর মধ্যে অকল্যাণ থাকত (আহমাদ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৪২ ও ৯৯৩)। মূল ঘটনা হল, জাহেলী যুগে ধারণা করা হত যে সবকিছুর মধ্যে অকল্যাণ রয়েছে। তারই জবাবে রাসূল (ছাঃ) উক্ত কথা ব
উত্তর : উক্ত কথা ভিত্তিহীন। মহামতি ইমামের নামে এরূপ অন্যায় দাবী করা এবং এরূপ কথা বলা ঠিক নয়।
উত্তর : তিরমিযী বর্ণিত উক্ত হাদীছটি অন্যান্য সমার্থক হাদীছের কারণে ছহীহ (আলবানী, ছহীহ তিরমিযী হা/২৬৯৯)। আর তা হ’ল যেমন, السَّلاَمُ قَبْلَ السُّؤَالِ، مَنْ بَدَأَ بِالسُّؤَالِ قَبْلَ السَّلامِ فَلا تُجِيْبُوْهُ ‘প্রশ্নের পূর্বেই সালাম। যে ব্যক্তি
উত্তর : বর্ণনাটি যঈফ। মুসনাদে আহমাদ ও ত্বাবারাণী সহ বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। এর সনদে রাশেদ ইবনু দাঊদ নামক একজন রাবী আছেন, যিনি দুর্বল। এজন্য মুহাদ্দিছগণ এই বর্ণনাকে যঈফ বলেছেন (তাহক্বীক্ব মুসনাদে আহমাদ হা/১৭১৬২; আলবানী, যঈফ তারগী
উত্তর : উক্ত তথ্য সঠিক নয়। ১৫১১ নং হাদীছে ওমর বিন আব্দুল আযীয-এর কোন উল্লেখ নেই। বরং ১৫০৮ নং হাদীছে আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন যে, আমরা রাসূলের যামানায় এক ছা‘ খাদ্য-শস্য, খেজুর, যব ইত্যাদি দ্বারা ফিৎরা দিতাম। অতঃপর (হজ বা ওমরায়) মু‘আবিয়া
উত্তর : হাদীছটি ছহীহ (আবুদাঊদ হা/৪২৯১; ঐ, মিশকাত হা/২৪৭ ‘ইল্ম’ অধ্যায়)। বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দিদ কে হবেন বা হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আল্লাহই ভাল জানেন। তবে বিগত শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হিসাবে শায়খ আলবানীকে ধরা হয়ে থাকে।
উত্তর : আল্লাহর গুণবাচক নাম ৯৯টি মর্মে ছহীহ হাদীছ রয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২২৮৭)। তবে যে হাদীছে নামগুলো উল্লেখ রয়েছে সে হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী, মিশকাত হা/২২৮৮)।
উত্তর : উপরের কথাগুলি কোন হাদীছ নয়। এগুলির রচয়িতা হলেন ‘মাওলিদুন্নবী’ বইয়ের লেখক মদীনার একজন শাফেঈ মুফতী ইমাম জা‘ফর আল-বারযানজী (মৃঃ ১১৭৭ হিঃ/১৭৬৪ খৃঃ)। উক্ত বইয়ে তিনি মা আমেনার প্রসবকালে আসিয়া, মারিয়াম প্রমুখের আগমন ইত্যাদি যেসব কথা লিখেছেন,
উত্তর : ‘জাহদুল বালা’ বাক্যটি হাদীছের অংশ (বুখারী হা/৬৩৪৭; মুসলিম হা/২৭০৭)। রাসূল (ছাঃ) ‘জাহদুল বালা’ হ’তে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলেছেন। এর দ্বারা যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণের দলীল পেশ করেন তারা বলেন যে, এর অর্থ হ’ল, ‘কম সম্পদের সাথে পরিবা
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : (১) আয়েশা (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়নায় মুখ দেখতেন তখন বলতেন, اللهم كَمَاَحَسَّنْتَ خَلْقِى فَحَسِّنْ خُلُقِى ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে যেমন সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন, তেমনি আমার চরিত্রকেও সুন্দর করুন’ (ইরওয়াউল গালীল হা/৭৪)।উল্লেখ
উত্তর : অনুবাদ : ‘আপনি কি দেখেননি আল্লাহ কিভাবে উপমা দিয়ে থাকেন? পবিত্র বাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট বৃক্ষের মত, যার মূল সুদৃঢ় ও শাখা-প্রশাখা ঊর্ধ্বে বিস্তৃত’ (ইবরাহীম ২৪)।অত্র আয়াতে বর্ণিত كَلِمَةً طَيِّبَةً অর্থ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘লা ইলা-হা ইল্
উত্তর : উক্ত দাবী তার অজ্ঞতার পরিচায়ক মাত্র। কেননা ছহীহ বুখারী ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর কোন ব্যক্তিগত মতামতের সংকলন নয় বরং তা হ’ল ছহীহ হাদীছের সংকলন। আর ইমাম আবু হানীফার ফিক্বহ হ’ল তাঁর ব্যক্তিগত রায় এবং তা সনদবিহীন, যা অনেক পরে তাঁর নামে সংকলিত
উত্তর : হাদীছের বর্ণনামতে, মুসলমানরাই ৭৩ দলে বিভক্ত হবে (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ হা/৩৯৯২)। যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ما أنا عليه اليوم وأصحابي ‘আজকের দিনে আমি ও আমার ছাহাবীগণ যে নীতির উপরে আছি, তার অনুসারী দল (হাক
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ মুছাফাহা এক হাতে করার বিষয়টি একাধিক ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) কারো সাক্ষাতে মুছাফাহার করার পর নিজের হাতটি আগে সরাতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি নিজের হাত না সরাতো (ফাৎহুল
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, আবুল ফযল আল-মাক্বদেসী, ৩৯ পৃঃ, হা/৪০)। তবে মসজিদে দুনিয়াবী বাজে কথা বলা যাবে না। কেননা ওমর (রাঃ) মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে দুনিয়াবী অযথা আলোচনায় ব্যস্ত দু’জন ব্যক্তিকে বললেন তোমরা বাইরের লোক
উত্তর : উক্ত ব্যাখ্যা সঠিক নয়। কারণ এখানে ‘নূর’ দ্বারা কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন শিরকের অন্ধকার হতে মানুষকে তাওহীদের আলোর পথে বের করে আনে। এখানে ‘কিতাবুল মুবীন’ (كتابٌ مبينٌ)‘নূর’ (نُوْرٌ)-এর উপর عطف بيان হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ ব
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৩৪৫; যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১৫৭৩)।
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/৬৩৮)। তবে আবুদাঊদে বর্ণিত তার পূর্বের হাদীছটি ছহীহ। যেখানে রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে ছালাত আদায় করবে সে হালালের মধ্যে আছে না হারামের মধ্যে আছে তা আল্লাহ্র যায় আসে না (আবু
উত্তর : উক্ত হাদীছটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হওয়ায় শায়খ আলবানী (রহঃ)-এর সনদকে ছহীহ লিগায়রিহী বা হাসান পর্যায়ের হাদীছ বলেছেন (ছহীহাহ হা/২৬৬৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। অনুরূপভাবে ইবনু কাছীর ও হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) হাদীছটিকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন (আল-বিদায়াহ ১/৯
উত্তর : অন্যূন সাত বছর জেল খাটার পর বাদশাহর এক স্বপ্নের ব্যাখ্যা দানের পুরস্কার স্বরূপ তাঁর মুক্তি হয়। পরে তিনি বাদশাহর অর্থ ও রাজস্ব মন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং বাদশাহর আনুকূল্যে তিনিই হন সমগ্র মিসরের একচ্ছত্র শাসক। ইতিমধ্যে ‘আযীযে মিছর’ ক্বিৎফীর
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ (ইবনু মাজাহ হা/৭৩৮; ইবনু হিববান হা/১৬১৮; ছহীহুত তারগীব হা/২৭১)। কোন বর্ণনায় এসেছে যে, ‘যে ব্যক্তি পাখির ডিম দেওয়ার বাসার ন্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন’ (আহমাদ হ
উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। কারণ কোন সূত্র দ্বারা প্রমাণিত নয় যে, তিনি কোন হাদীছের কিতাব সংকলন করেছেন। মূলতঃ তিনি মুহাদ্দিছ ছিলেন না বরং ফক্বীহ ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) ফিক্বহের ক্ষেত্রে আবু হানীফা (রহঃ)-এর দক্ষতার ভূয়স
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট উম্মতের দরূদ ও সালাম পৌঁছানো হয় (নাসাঈ; মিশকাত হা/৯২৪)। এখানে সালাম অর্থ দো‘আ। চাই তা কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হৌক বা দূর থেকে হৌক। দ্বিতীয়তঃ বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে বারযাখী জীবনের অন্তর্ভুক্ত। যেখানে মানুষের হায়াত বা মঊ
উত্তর : উক্ত গ্রন্থদ্বয়ের লেখক হ’লেন, হাফেয জালালুদ্দীন আব্দুর রহমান বিন আবুবকর সৈয়ূতী (রহঃ) (৮৪৯-৯১১ হিঃ)। তিনি তাফসীর, ফিক্বহ, হাদীছ, উছূল, ইতিহাস, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রায় ছয়শ’ গ্রন্থ রচনা করেছেন। অধিক গ্রন্থ রচনার জন্য তাঁকে ‘ইবনুল কুত
১. হযরত ওমর ফারূক (রাঃ) বলেন, تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ وَتَعَلَّمُوا لِلْعِلْمِ السَّكِينَةَ وَالْحِلْمَ وَتَوَاضَعُوا لِمَنْ تُعَلِّمُونَ، وَلْيَتَوَاضَعْ لَكُمْ مَنْ تُعَلِّمُونَ وَلَا تَكُونُوا مِنْ جَبَابِرَةِ الْعُلَمَاءِ، وَلَا يَقُمْ عِلْمُكُمْ م
উত্তর : ছহীহ ও হাসান সনদে বর্ণিত হাদীছদ্বয় পরস্পর বিরোধী হ’লে সমন্বয় সাধন করতে হবে। যদি সমন্বয় করা সম্ভব না হয় তাহ’লে ছহীহ সনদে বর্ণিত হাদীছকে প্রাধান্য দিতে হবে (নববী, আত-তাকরীব ওয়াত-তায়সীর ২৯ পৃ., হাফেয ইবনু হাজার, নুযহাতুন নযর ৭৮, ২১০ পৃ.)।