ভারতের গুজরাটে ও ফিলিস্তীনের জেনিন উদ্বাস্ত্ত শিবিরের মুসলিম জনগোষ্ঠী ইতিহাসের বর্বরতম নিষ্ঠুরতার শিকার হ’ল। আধুনিক মিডিয়া এই দুই জনপদে মনুষ্যরূপী পশুদের অবিশ্বাস্য হিংস্রতার বিস্তারিত রেকর্ড জগদ্বাসীর সম্মুখে উদ্ভাসিত করে দিল। নির্যাতিত ও নিষ্পিষ্ট
উত্তর : পূরণ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। বিদ্বানগণ বলেন, মানতের মধ্যে বিবেচ্য বিষয় হ’ল নিয়ত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/৮৬)।প্রশ্নকারী : মাসঊদ, কুমিল্লা।
উত্তর : যথাযথ খাদ্য ও পানীয় দেওয়ার শর্তে বাড়িতে খাঁচার ভিতরে পাখি পালন করা জায়েয (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৯/৩৮১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৫১১)। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) সর্বাধিক সদাচারী ছিলেন। আমার একটা ভাই ছিল; তাকে আবূ উমায়ের বলে ডাকা
উত্তর : একটি হাদীছে বিনয় ও নম্রতার কথা বলা হয়েছে যা অন্তরের ইলমের সাথে সম্পর্কিত (ত্বাবারাণী কাবীর ৭/৩৫৪, শাদ্দাদ বিন আউস কর্তৃক বর্ণিত হাদীছ মওকূফ) এবং অপর হাদীছে আমানতের কথা বলা হয়েছে যা আমল ও আখলাকের সাথে সম্পর্কিত (মুছান্নাফ ই
শামসুদ্দীন জুয়েল (২৫)। মৃত্যুর দিকে দ্রুত ধাবমান ডুবন্ত এক তরতাযা যুবক। চাঁদাবাজ পুলিশের তাড়া খেয়ে সচ্ছল ঘরের শিক্ষিত এই নিরপরাধ যুবকটি দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটে পালাতে গিয়ে পড়ে যায় ড্রেনে। তার সাথী কিরণের পকেট থেকে পুলিশ পঞ্চাশ টাকা হাতিয়ে নিয়ে
উত্তর : হারাম ও দুর্গন্ধযুক্ত বস্ত্ত দ্বারা হালাল প্রাণীর খাদ্য তৈরি করা সমীচীন নয়। তবে হালাল প্রাণীর বিষ্ঠা মৌলিক ভাবে নাপাক না হওয়ায় এগুলো দ্বারা বিশেষ প্রক্রিয়ায় অন্য প্রাণী বা মাছের খাদ্য বানানোতে দোষ নেই (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ; ও
উত্তর : শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদীছটিকে মওকূফ হিসাবে হাসান বলেছেন। কারণ এ ব্যাপারে এক ডজনের অধিক ছাহাবী ও তাবেঈ থেকে বর্ণনা এসেছে (ইরওয়া হা/৫০০-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। তবে এটি আলবানী (রহঃ)-এর ব্যক্তিগত গবেষণা। আর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বহু বিদ্বান
উত্তর : এরূপ কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে মূসা (আঃ) তার দলবল নিয়ে যখন নদী অতিক্রম করে চলে যান। তারা আর মিসরে ফিরে আসেননি। বরং ফিলিস্তীনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন এবং রাস্তায় মূর্তিপূজক সম্প্রদায়ের সাথে সাক্ষাৎ হয়। এরই মধ্যে আল্লাহ তা‘আলা চল্লিশ দিন
উত্তর : এ বক্তব্য ভিত্তিহীন। এ মর্মে যেসব বক্তব্য সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে, তা বিভ্রান্ত ছূফীদের কল্পিত বক্তব্য। কুরআন ও হাদীছে এর কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না।প্রশ্নকারী : সাঈদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বামী-স্ত্রীকে এক সাথে গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজ স্ত্রীর সাথে একই পাত্র থেকে পানি তুলে গোসল করেছেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি ও নবী করীম (ছাঃ) একই পাত্রের পানি নিয়ে
উত্তর : মৃত্যু যন্ত্রণা শুরু হয়ে যাওয়ার পর তওবা করলে কোন উপকারে আসবে না। তবে তার পূর্ব পর্যন্ত কোন ব্যক্তি তওবা করলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন। যেমন তিনি বলেন, আল্লাহ তো কেবল তওবা কবুল করেন ঐসব ব্যক্তিদের, যারা মন্দ কর্ম করে অজ্ঞতাবশে। অতঃপর দ্
যে সময়ের কথা বলছি, তখন আমি জীবনের চল্লিশটি বসন্ত অতিক্রম করেছি। ভাল-মন্দ বোঝার যথেষ্ট বয়স আমার হয়েছিল। দিনে দিনে দুর্বলতাময় পৌঢ়ত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। ভুলগুলো শুধরিয়ে জীবনটাকে নির্মল জান্নাতের উপযোগী করে শুভ্রতায় সাজিয়ে তুলছিলাম। তবুও আমার অবসাদগ
ভূমিকা : আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারাই, যারা ঈমানদার। আর প্রকৃত ঈমানদার তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অন্য সবকিছু থেকে বেশী ভালবাসে। ধন-সম্পদ, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতি, এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও রাসূল (ছাঃ)-কে অধিক ভালবাসে। তবে তাঁকে ভালবাসার অর্থ ত
عَنْ شَقِيقٍ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ: كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا لَبِسَتْكُمْ فِتْنَةٌ يَهْرَمُ فِيهَا الْكَبِيرُ، وَيَرْبُو فِيهَا الصَّغِيرُ، وَيَتَّخِذُهَا النَّاسُ سُنَّةً، فَإِذَا غُيِّرَتْ قَالُوا: غُيِّرَتِ السُّنَّةُ. قَالُوا: وَمَتَى ذَلِكَ يَا
উত্তর : সন্তানের পরিচিতি নিশ্চিতের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি বা ডিএনএ টেস্টের সহায়তা নেওয়া যাবে। কারণ সন্তানের পরিচিতির বিষয়টি একমাত্র মাতা নিশ্চিত করতে পারে। আবার কোন নারী একাধিক ব্যক্তির সাথে একই সময়ে মিলিত হয়ে থাকলে সেও সন্তানের পরিচিতি নিশ্চিত ক
উত্তর : যাবে। আত্মীয়-স্বজনকে সাধ্যমত সহায়তা করবে। স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন দরিদ্র হ’লে তাদেরও সহায়তা করার চেষ্টা করবে। এক্ষণে নিজ আত্মীয়-স্বজনকে দান করার কারণে স্ত্রীর অসন্তুষ্ট হওয়াটা সমীচীন নয়। এরপরেও অসন্তুষ্ট হ’লে তাকে না জানিয়ে আত্মীয়-স্বজনকে স
উত্তর : উক্ত বক্তব্য মূলত শিষ্টাচারমূলক। কেননা কুরআন, হাদীছসহ যে কোন কিতাব বা বই খুলে রেখে চলে যাওয়া আদবের খেলাফ। অতএব বই পড়ার পর তা বন্ধ করে আদব রক্ষা করবে। আর বই খুলে রাখার সাথে শয়তানের পড়ে নেওয়ার কোন সম্পর্ক নেই (হাকীম তিরমিযী, নাওয়াদিরু
উত্তর : কেবল পিতা-মাতাই নয়, যেকোন বিবদমান দুই পক্ষের মাঝে সংশোধনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন করার জন্য (বানিয়ে) ভাল কথা পৌঁছে দেয় অথবা ভাল কথা বলে
উত্তর : মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কবীরা গোনাহ। এর মাধ্যমে সে নিজে যেমন তার পরকাল হারায়, তেমনি অন্যের ক্ষতি করে বাড়তি গোনাহগার হয়। অতএব একজন পুলিশের জন্য কর্তব্য হবে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান থেকে আবশ্যিকভাবে বিরত থাকা। যদি মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়ার কারণে
উত্তর : মিথ্যা ও প্রতারণা না থাকার শর্তে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করা জায়েয এবং এ কাজে পারিশ্রমিক নেওয়াও জায়েয। বেতনের বিনিময়ে শ্রমিক কোম্পানীর কাছে শ্রম বিক্রি করে থাকে। আর শ্রমিক সরবরাহ করাও একধরনের বেচাকেনা। এই ধরনের চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী
উত্তর : সর্বাবস্থায় পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে যদিও তারা সন্তানের প্রতি যুলুম করেন (ইসরা ১৭/২৩)। পিতা তার ভাল-মন্দ কর্মের জন্য দায়ী হবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত’ (আবূদাঊদ, নাসাঈ
উত্তর : ঋণ পরিশোধের নিমিত্তে যাকাতের অর্থ গ্রহণ করা যায় (তওবা ৯/৬০; নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২১০; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/২৩৪)। এক্ষণে যদি ব্যক্তি প্রকৃতই যাকাতের হকদার হয় এবং ঋণ পরিশোধের কোন অবলম্বন না থাকে, তাহ’লে স্বীয় ঋণ পরিশোধে উক্ত যাকাত
উত্তর : এমন কাজে সহায়তা করা যাবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা যেমন অশ্লীলতার নিকটবর্তী হ’তে নিষেধ করেছেন, তেমনি সহায়তা করতেও নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা গুনাহ ও সীমালংঘনের কাজে একে অপরকে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। অতএব উক্ত কোম্প
ভূমিকা :সবার কাছে সফল জীবনের চিত্রটা এক রকম নয়। অধিকাংশের কাছেই একটি ভাল বাড়ি, ভাল গাড়ি, উন্নত জীবন ব্যবস্থা, দামী খাবার-দাবারের সমাহার সফল জীবন। অনেকের কাছে আবার দরিদ্র অবস্থায় শুধুমাত্র ইবাদত করে জীবন পার করে দেয়াই সফলতা। আহাল-পরিবারের হক ঠিকমত আদা
পূর্ব ১ ।(১৬) অনুধাবন করে কুরআন তেলাওয়াত করা :সার্বিক জীবনে রহমত ও বরকত লাভ করার এবং হেদায়াতের তাওফীক্ব লাভ করার প্রধান মাধ্যমে হ’ল পবিত্র কুরআন। কুরআন হ’ল মানবজীবনের সংবিধান। কুরআনকে যত মযবূতভাবে ধারণ করা হবে, হেদায়াত ও নাজাতের পথ ততই নিষ্কণ্টক ও মস
পৃথিবীতে এযাবত মৌলিকভাবে দু’টি শাসনব্যবস্থা দেখা গিয়েছে। রাজতন্ত্র ও খেলাফত। দু’টির মধ্যে দু’টি আদর্শের প্রতিফলন রয়েছে। রাজতন্ত্রে রাজার ইচ্ছাই চূড়ান্ত। তাঁর হাতেই থাকে সার্বভৌমত্বের চাবিকাঠি। যেমন বিগত যুগে নমরূদ, ফেরাঊন ও সর্বযুগে তাদের অনুসারী শাস
উত্তর : পবিত্র সম্পদ থেকেই দান করা কর্তব্য (বাক্বারাহ ২/২৬৭)। তবে কেউ যদি হারাম উপার্জন থেকে স্বেচ্ছায় দান করে, তবে তা গ্রহণ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৭)। হারাম উপার্জনের জন্য দাতা দায়ী হবেন, গ্
উত্তর : যাদের পিতৃ পরিচয় অজ্ঞাত তারা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইসলামী আইনে নিজ পিতার স্থানে অন্য কাউকে পিতা হিসাবে পরিচয় দেয়া বৈধ নয়। অতএব পালক পুত্রকে নিজ পুত্র হিসাবে কোন দলীলে উপস্থাপন করা যাবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজ
উত্তর : একমাত্র শারঈ কারণ ব্যতীত স্বামীর নির্জনবাসের আহবানকে প্রত্যাখান করা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সেই আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! কোন স্বামী তার স্ত্রীকে নিজ বিছানার দিকে আহবান করার পর সে আসতে অস্বীকার করলে যিনি আকাশে আছেন
উত্তর : এক্ষেত্রে কিছুই করার প্রয়োজন নেই। প্রথমতঃ সাধারণ অবস্থায় অমুসলিমদের সালাম দেওয়ার মাধ্যমে দো‘আ করা যাবে না (ছহীহাহ হা/৭০৪; মিশকাত হা/৪৬৩৫)। দ্বিতীয়তঃ কোন অমুসলিম মুসলমানকে সালাম দিলে ‘ওয়া আলাইকা’ বলে উত্তর দিবে (বুখারী
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করা হয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং তাদেরকে ‘মুমিনদের মা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন (আহযাব ৩৩/০৬)। কিন্তু তাদের কন্যাদের ‘মা’ বলে সম্বোধন করা সমীচীন নয়। কারণ এই পরিভাষাটি রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণের জ
উত্তর : পিতা-মাতার অন্য কোন আর্থিক উৎস থাকলে সন্তান ঋণ পরিশোধকে অগ্রাধিকার দিবে। কারণ ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তা ব্যক্তির সাথে ঝুলন্ত থাকে। আর পিতা-মাতার অন্য কোন উৎস না থাকলে পিতা-মাতার প্রতি খরচ করাকে অগ্রাধিকার দিবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, 
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)(১০) আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা :নিকটাত্মীয়তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে যাবতীয় কল্যাণের তাওফীক্ব অর্জিত হয়। একজন মানুষের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হ’ল তার পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন, খালা-ফুফু, চাচা-মামা প্র
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব দুনিয়া সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী :আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে ওহীর বার্তাসহ প্রেরণ করেছেন। তিনি আসমানী জ্ঞানের বাইরে কোনকিছুই ব
উত্তর : নিজে পড়ার জন্য ফটোকপি করা জায়েয। তবে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে কপি প্রিন্ট করা জায়েয নয় (ওছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৯/১৭৮)। কারণ এতে মূল প্রকাশক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে পারে। আর ইসলামের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে কেউ অপরের দ্বারা ক্ষতি
উত্তর : স্বামী ইসলাম গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর সাথে তার বিবাহবন্ধন ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তালাকে রাজঈ হয়ে গেছে। কেননা কোন মুসলিমের সাথে কাফির ব্যক্তির বিবাহ হারাম (বাক্বারাহ ২/২২১)। অতএব এমতাবস্থায় স্ত্রী থেকে আলাদা থাকতে হবে। এক্ষণে স্ত্র
উত্তর : এটা প্রতারণা হবে। কারণ মায়ের পণ্য কেনার সাথে নিজে লাভবান হওয়ার বিষয়টি মায়ের অজানা। ব্যবসা করতে হ’লে নিজের অর্থ দিয়ে ক্রয় করে মালিকানা সাব্যস্ত হওয়ার পর অধিক মূল্যে বিক্রয় করতে হবে (বুখারী হা/২১৩৫; মিশকাত হা/২৮৭০)। অতএব উক্ত কাজ থেকে
উত্তর : মাসিক আত-তাহরীকসহ ইসলামী বইপত্র কুরআন ও হাদীছ সম্বলিত, সেজন্য এসব যত্রতত্র বিক্রয় করা যাবে না। বরং পাঠের জন্য অন্য মুসলমানদের মাঝে বিতরণ করা যেতে পারে। এতে ছওয়াব হবে। আর যদি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায় তাহ’লে মাটিতে পুঁতে দিতে পারে বা আগুনে
উত্তর : যাবে। কারণ দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরযে আইন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩/৩২৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; ছহীহুত তারগীব হা/৭২)।
উত্তর : প্রকৃতিগতভাবে পুরুষ কোনভাবে নারী হ’তে পারে না। আবার নারী কখনো পুরুষ হ’তে পারে না। কেউ পুরুষ হয়ে নারীর ভান করার চেষ্টা করলে সেটা হারাম হবে। প্রথমতঃ এটা সৃষ্টির পরিবর্তন, যা আল্লাহ তা‘আলা হারাম করেছেন (নিসা ৪/১১৯)। দ্বি
ভূমিকা :তাওফীক্ব যাবতীয় কল্যাণের উৎস। দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হওয়ার মূল চালিকা শক্তি। তাওফীক্ব ছাড়া বান্দা নেক আমলে আত্মনিয়োগ করতে পারে না। আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক কাজের জন্য সক্ষমতা অর্জন করতে পারে না। ঈমানের পথে অবিচল থাকতে পারে না। অপরদিকে তাওফীক্ব থেক
ভূমিকা‘ইসরা’ অর্থ রাত্রিকালীন ভ্রমণ। ‘মি‘রাজ’ অর্থ উর্ধারোহনের বাহন। মক্কার মাসজিদুল হারাম থেকে যেরুযালেমের বায়তুল মুক্বাদ্দাস পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর রাত্রিকালীন সফরকে ‘ইসরা’ বলে এবং বায়তুল মুক্বাদ্দাস থেকে সপ্তাকাশ ভ্রমণ ও আল্লাহ্র দীদার লাভ প
উত্তর : মাথার চুল, নখ ইত্যাদি মাটির নীচে পুঁতে ফেলা উত্তম বলে কিছু কিছু বিদ্বান অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু এটি যরূরী নয় (নববী, আল-মাজমূ‘ ১/২৯০; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৬৬)। ইবনে ওমর (রাঃ) সহ একাধিক ছাহাবীর আমল থেকে পুঁতে ফেলার প্রমাণ পাওয়া য
পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।ইমাম মালেক বিন আনাস (রহঃ)-এর মাইমাম মালেক বিন আনাস (রহঃ)-এর মায়ের নাম আলেয়া বিনতে শুরাইক। তার পিতার নাম শুরাইক বিন আব্দুর রহমান বিন শুরাইক। তিনি বনু আযদ গোত্রের মানুষ ছিলেন।ইলমের ওযন বুঝা, আলেমদের মর্যাদা অনু
উত্তর : উক্ত মর্মে প্রচলিত বর্ণনাটি সঠিক নয়। তবে ডান দিক থেকে যেকোন ভালো কাজ করা মুস্তাহাব। কারণ নবী করীম (ছাঃ) জুতা পরা, চুল আঁচড়ানো এবং পবিত্রতা অর্জন করা তথা প্রত্যেক কাজই ডান দিক থেকে শুরু করতে ভালবাসতেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪০০)।প্রশ্নকা
উত্তর : মাইয়েত যতদিন বেহুঁশ বা জ্ঞানহীন অবস্থায় ছিলেন, ততদিন তিনি ছালাত ও ছিয়ামের বিধান থেকে মুক্তি পাবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তিন ধরনের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে- (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্ত
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি একটি হীন ক্লেশকর কাজ। এর দ্বারা মানুষ তার চেহারাকেই ক্লান্ত করে ফেলে। তবে শাসকের নিকট কিছু চাওয়া বা এমন অবস্থায় চাওয়া, যখন কোন গত্যন্তর নেই, তাহ’লে
উত্তর : যমযমের পানির সাথে অন্য পানি মিশানো দোষণীয় নয়। তবে অন্যকে মিশ্রিত পানি পান করালে বা হাদিয়া দিলে তাকে সেটা জানাতে হবে। নইলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হ’তে পারে। আর যমযমের পানির সাথে অন্য পানি মিশালে এর গুণগত মান অবশিষ্ট থাকে কি-না তা বৈজ্ঞানিকভ
১. মালেক বিন দীনার (রহঃ) বলেন,كفى بالمرء خيانة أن يكون أميناً للخونة، وكفى بالمرء شراً أن لا يكون صالحاً ويقع بالصالحين، ‘কোন ব্যক্তির খেয়ানতকারী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে খেয়ানতকারীর রক্ষক হবে। আর কোন মানুষের নিকৃষ্ট হওয়ার জন্য এতটুকুই
মহিমান্বিত আল-কুরআন হ’ল দুনিয়ার জ্ঞানের মূল উৎস। আল-কুরআনের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একটি আয়াতে অনেকগুলো তত্ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আল-কুরআনের প্রতিটি আয়াতের প্রতিটি শব্দের তাৎপর্য রয়েছে। তেমনি এক আয়াত সম্পর্কে নিম্নে আলোকপাত করা হ’ল। আল্লাহ বলেন,لَق
উত্তর : শারঈ পর্দার বিধান মেনে মহিলারাও ব্যবসা করতে পারে এবং ব্যবসায় স্বামীকে সহযোগিতা করতে পারবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৮/১০৭)।প্রশ্নকারী : মাসঊদ, ভোলাহাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর : সর্বাবস্থায় নেক আমল করতে হবে এবং তাক্বদীরের ভালো-মন্দের উপর বিশ্বাস করতে হবে। কারণ তাক্বদীরে বিশ্বাস না করলে মানুষ যেকোন ব্যর্থতায় অস্থির হয়ে পড়ে। কিন্তু মুমিন কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না। সে কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের ব্যাপা
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিমদের কাছে জমি বিক্রয়ে বাধা নেই (বুখারী হা/২০৯৬; মুসলিম হা/১৬০৩)। তবে যদি জানা যায় যে, এই জমি ক্রয় করে অমুসলিমরা শিরক করবে বা মূর্তিপূজা করবে, অথবা ভবিষ্যতে নিজের জন্য দ্বীন পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে, তাহ’লে তাদের নিকট
উত্তর : ভাই তার বোনকে বয়োজ্যেষ্ঠ হিসাবে শাসন বা নছীহত করতে পারবে। বিশেষত পিতা-মাতার অবর্তমানে বা তাদের অনুমতিক্রমে ভাই তার বোনকে আদব শিক্ষা দেওয়ার জন্য শাসন করতে পারে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১০/২১-২২)। উল্লেখ্য যে, শাসনের নামে শারীরিক নির্
গীবত একটি ভয়াবহ কবীরা গুনাহ। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য গীবত বা পরিন্দা হারাম করেছেন। কারণ গীবতের মাধ্যমে অপর ভাইয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। তবে কতিপয় ক্ষেত্রে গীবত হারাম নয়। ইমাম হায়তামী (রহঃ) বলেন, নিরুপায় হয়ে গেলে বেঁচে থাকার তাকীদে যেমন সাময়িকভা
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে সাধারণভাবে শয়তান মানব দেহের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে তাকে ধোঁকা দিয়ে থাকে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠবে, সে যেন নাকে পানি দিয়ে তিনবার নাক ঝেড়ে নেয়। কেননা শয়তান তার নাকের ভ
উত্তর : খুৎবার সময় অনুবাদ চলবে না (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৮১; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১৯/১৭৮-৮০)। খুৎবা ও ফরয ছালাত শেষে খুৎবার অনুবাদ করা যেতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/২৫৩; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ০৮/০২)।প্রশ্নকারী :&nb
গীবত দুরারোগ্য ব্যাধির ন্যায়। গীবতের রোগ মরণ ব্যাধি ক্যান্সার অপেক্ষাও ভয়াবহ। ক্যান্সার মানুষের শরীর নিঃশে^ষ করে দেয়, আর গীবত কর্মফল ধ্বংস করে দেয়। দুনিয়াতে তাকে অপদস্থ করে এবং পরকালে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে। অথচ আমরা নিত্যদিন গীবত করার মাধ্যমে আমাদের
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে রাশিফল নির্ণয় করা নিষিদ্ধ। গণককে বিশ্বাস করলে বা তার কথা সত্য বলে মেনে নিলে আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। হাফছা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার ৪০ দিনের ছালাত কবুল হ
উত্তর : দাড়ি মুন্ডন করা ফাসেকী কাজ। কেউ দাড়ি মুন্ডল করলে সে গুনাহগার হবে। তবে দাড়ি মুন্ডন ইসলাম থেকে বের করে দেয় না। সেজন্য দাড়ি মুন্ডনকারীকে সালাম দিতে বাধা নেই (ওছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১৬৫/১২)।প্রশ্নকারী : আব্দুল লতীফ, কলারোয়া,
উত্তর: পিতার গায়ে হাত তোলা ধ্বংসাত্মক কবীরা গুনাহ। পিতা-মাতা অন্যায় করলেও তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবে। এক্ষণে সন্তানের কর্তব্য হ’ল পূর্ণ অনুতপ্ত হয়ে পিতার নিকট ক্ষমা চেয়ে নেওয়া এবং তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করা। আর পিতার উচিৎ হবে সন্
উত্তর : উক্ত মর্মে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে বর্ণনাটির সনদ জাল। অতএব এই ধরনের ভিত্তিহীন কথা রাসূল (ছাঃ)-এর দিকে সম্পৃক্ত করা যাবে না (মুসনাদে আবী ইয়া‘লা হা/৩৬৭৮; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১৭৫৬০; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৩/২৪৮)। তাছাড়া এটি ছহীহ হাদ
উত্তর : কুরআন বা হাদীছে এমন রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল বর্ণিত হয়নি। বরং এজন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হ’তে হবে। পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে নিম্নোক্ত দো‘আটি পাঠ করবে, যে দো‘আটি আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আঃ)-কে মুখের জড়তা দূর হ
উত্তর : মসজিদের মাইক আযানের জন্য ব্যবহৃত হবে অন্য কাজে নয়। তাছাড়া হারানো সম্পদ খোঁজার জন্য মসজিদের মাইক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ (মুসলিম হা/৫৬৮)। তবে বিশেষ সামাজিক প্রয়োজনে যেমন গ্রামে ডাকাত পড়লে, আগুন লাগলে বা শিশু হারিয়ে গেলে তার নিরাপত্তার জন
উত্তর : এটা ঠিক হবে না। কারণ মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। এই মানত ভঙ্গের জন্য আল্লাহ তার অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে দিবেন এবং পরকালে তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন (তওবাহ ৯/৭৫-৭৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য নযর মানে, সে যেন (তা
সংঘাতপূর্ণ দুনিয়ায় সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চলতে যেসব গুণাবলী মানুষকে সর্বাধিক চর্চা ও লালন করতে হয় তন্মধ্যে ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা অন্যতম। কেননা প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু না কিছু ভুল-ত্রুটি বিদ্যমান। এমতাবস্থায় একে অপরের প্রতি ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু হ’ল
মানবদেহে ষড়রিপু হ’ল কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য। এর মধ্যে ‘মদ’ হ’ল হিংসা, গর্ব ও অহংকার। জীবনে চলার পথে ষড়রিপু আমাদের সার্বক্ষণিক সাথী। এগুলি ডাক্তারের আলমারিতে রক্ষিত ‘পয়জন’ (Poison)-এর বোতলের মত। দেহের মধ্যে লুক্কায়িত উপরোক্ত ৬টি আগুনের মধ্য
উত্তর : যিনি দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করতে সক্ষম, কিন্তু বসতে অক্ষম, তিনি দাঁড়িয়েই ছালাত আদায় করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দন্ডায়মান হও’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)। তিনি রুকূ ও সিজদা দাঁড়ানো অবস্থাতেই ইশারায় আদায় করবেন। রুকূতে সা
উত্তর : প্রাপ্ত বয়স্ক ভাই-বোন একই বিছানায় অবস্থান করবে না। কারণ এতে বড় পাপ সংঘটিত হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হ’লে তাদেরকে ছালাত শিক্ষা দাও এবং দশ বছর হ’লে তার (ছালাতের) উপর তাদেরকে প্রহার কর এবং তাদের বিছানা পৃথক
উত্তর : স্ত্রী নিজের নিরাপত্তার জন্য তার স্বামীর নির্যাতনের কথা পিতা-মাতা বা নিকটতম অভিভাবকদের জানাতে পারবে। এটা গীবতের মধ্যে গণ্য হবে না। আসমা বিনতে আবুবকর (রাঃ) তার স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হ’লে তিনি পিতা আবুবকর (রাঃ)-কে অভিযোগ করেন। অভিযোগ শুন
উত্তর : এই ধরনের বাক্য তিন প্রকারের অর্থ বহন করে। (১) ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সংবাদ দেওয়া। এটা শিরক। কারণ ভবিষ্যতের বিষয় আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না (হূদ ১১/১২৩; আলে ইমরান ৩/১৭৯)। (২) লক্ষণ দেখে বা দূরদৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে কোন কথা বলা। এটা শিরক
উত্তর : মাইয়েতের সম্পত্তি থাকলে তার সম্পত্তি থেকেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ওয়ারিছগণ উক্ত সম্পদ থেকে ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব পালন না করলে চরম গুনাহগার হবেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা সম্পত্তি বণ্টনের পূর্বে ঋণ পরিশোধ ও অছিয়ত পূরণকে অপরিহার্য করে দিয়েছেন (
উত্তর : রোগীর আত্মীয়রা রোগীরা অধিকতর কল্যাণের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিবে। যদি তার জীবনের প্রত্যাশা ও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহ’লে অবশ্যই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিবে। উল্লেখ্য যে, রোগী বা মাইয়েতের সকল অছিয়ত বাস্তবায়ন করা আবশ্যক নয় (বিন বায, মা
উত্তর : ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে অতিরিক্ত সময়ে বাড়তি ইনকাম করা যেতে পারে। তবে অফিসের মূল কাজ ব্যাহত করে কোন কাজ করা যাবে না। আর অফিসের জিনিসপত্র ব্যবহারের কারণে অফিসকে অবশ্যই নির্ধারিত খরচ ও সার্ভিস চার্জ প্রদান করবে। এতে কোন অপরাধ হ
উত্তর : আল-ফি‘আতুল বাগিয়াহ বা ‘বিদ্রোহী দল’ বলতে হাদীছে কী বুঝানো হয়েছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমরা একটা একটা করে কাঁচা ইট বহন করছিলাম আর ‘আম্মার দু’টো করে কাঁচা ইট বহন করছিলেন। নবী করীম (ছাঃ) তা দেখে তাঁর দেহ হ’তে
উত্তর : নাপাক প্রাণীর গোবর যমীনে ফেলে রাখলে তার বিধান পরিবর্তন হয়ে যায়। সে হিসাবে শূকরের গোবর ব্যবহারে দোষ নেই। তবে অনেক বিদ্বান তা অপসন্দ করেছেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৪৪৮; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৫/৬৬৪)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রায্য
উত্তর : যমযমের পানিসহ যেকোন পানাহার বসে করাই সুন্নাত। হাদীছে দাঁড়িয়ে পান করার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে (মুসলিম হা/২০২৪; মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭)। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দাঁড়িয়ে পানকারী ব্যক্তি যদি জানতো এতে কি ক্ষতি রয়েছে, তাহ’লে সে
উত্তর : একান্ত বাধ্যগত না হ’লে প্রচলিত ময়না তদন্ত জায়েয নয়। কেননা মুসলিম মাইয়েতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অত্যাবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা জীবিত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গার ন্যায় (আবুদাউদ হা/৩২০৭; মিশকাত হা/১৭১৪)। জাবের (রা
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী মানুষের রিযিক লিখে রেখেছেন। প্রতিটি মানুষের রিযিক নির্দিষ্ট। সেগুলো সে পাবেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা তোমাদের রিযিক আসতে বিলম্ব হচ্ছে এমন মনে করো না। কারণ কোন বান্দাহ ততক্ষণ পর্যন্ত মারা যাবে না যতক্ষণ না
উত্তর : বিশুদ্ধ মতে কাট-ছাঁট করা যাবে না। কেননা বৃদ্ধাবস্থাতেও রাসূল (ছাঃ)-এর ঠোটের নিম্নভাগে উক্ত লোম ছিল। যার কিছু অংশ সাদা ছিল (বুখারী হা/৩৫৪৫-৪৬)। জনৈক ব্যক্তি নিম্ন ঠোটের নীচের চুল কাটা অবস্থায় ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ)-এর নিকট সাক্ষ্য
উত্তর: সাধারণভাবে অমুসলিমরা হালাল কোন খাবার হাদিয়া হিসাবে প্রদান করলে তা গ্রহণে দোষ নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, ইক্বতিযাউ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ১/২৫১)। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করে
উত্তর : কারো মধ্যে স্পষ্ট কুফরী দেখা গেলে এবং তাকে সতর্ক করার পরও কুফরীর উপর অটল থাকলে তাকে কাফের বলা যাবে (বুখারী হা/৩০০৭, ২৬৬১, ৬১০৬; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৩/৩০৬)। তবে একজন নিরপরাধ মুমিনকে কুফরীর অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যার সমতুল্য
উত্তর : কুচকাওয়াজে হোক বা যেখানেই হোক বাদ্যযন্ত্র সর্বাবস্থায় হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লোক অজ্ঞতাবশে বাজে কথা ক্রয় করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য এবং আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি
উত্তর : এমতাবস্থায় মাকে পারস্পরিক সুন্দর আচরণের গুরুত্ব বুঝাতে হবে। কোনভাবেই তাকে বুঝানো না গেলে পৃথকভাবে সংসার করবে এবং সে অবস্থাতেও ধৈর্যধারণ করবে। আর সর্বাবস্থায় মায়ের সাথে সদাচরণ করবে। পারতপক্ষে কোন কষ্ট দিবে না (লোকমান ৩১/১৫)। রাসূল (ছ
উত্তর : শারঈভাবে শাস্তিযোগ্য যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। বরং তাকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিবে। রাষ্ট্র শারঈ বিধান অনুযায়ী তার উপর হদ্দ কায়েম করবে। আল্লাহ বলেন, চোর পুরুষ হৌক বা নারী হৌক তার হাত কেটে দাও তার কৃতকর্মের শ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। কোন সন্তান, ধন-সম্পদ বা কারো কোন নে‘মত প্রাপ্তিতে ‘বারাকাল্লাহু লাকা’ বা ‘মা-শাআল্লাহ লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বা ‘হাযা মিন ফাযলি রাববী’ পাঠ করবে (ইবনু কাছীর ৫/১৪৩, ৬/১৭২, সূরা নমল ২
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল। এর সনদে আবু ইয়াহইয়া আল-কাত্ত্বাত ও সুওয়াইদ বিন সাঈদ নামে দু’জন যঈফ রাবী রয়েছে (আলবানী, যঈফাহ হা/৪০৯)।প্রশ্নকারী : ইলিয়াস হোসাইন, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।
উত্তর : যদি মুসলিম সন্তান পরবর্তীতে কাফের বা মুরতাদ হয়ে যায়, তাহ’লে সে ইসলামী বিধান মতে পিতা-মাতাসহ তার মুসলিম আত্মীয়দের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবে। আর কাফের কোন মুসলিমের মীরাছ পাবে না (বুখারী হা/৬৭৬৪; মুসলিম হা/১৬১৪; মিশকাত হা/৩০৪৩)। তবে মুরতাদ
উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে পিতা এবং ছেলের মাঝে বৈপরিত্য দেখা দিলে ছেলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। কারণ ছেলের বিবাহের জন্য অভিভাবকের অনুমোদন শর্ত নয়। তবে সর্বাবস্থায় পিতা-মাতার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবে এবং পিতার বিরোধিতার যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ থাক
উত্তর : উক্ত কথার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। বরং এগুলো হিন্দুদের থেকে আসা কুসংস্কার। বরং সন্ধ্যার সময় ইফতার গ্রহণ করার বিধান রয়েছে। যা সারা বছর চলতে থাকে। অতএব উক্ত কথা ভিত্তিহীন।প্রশ্নকারী : আহমাদ, গাযীপুর।
উত্তর : সন্তানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হারাম। একদিন রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে একজন ছাহাবী বসে ছিলেন। তার পুত্র সন্তানটি আগমন করলে সে চুমু দিয়ে নিজের কোলে বসাল। একটু পরে তার কন্যা সন্তানটি আসলে তাকে পাশে বসিয়ে দিল। এটি দেখে রাসূল (ছাঃ) বললেন, ত
উত্তর : চুল বিক্রয়যোগ্য বস্ত্ত নয়। কারণ চুল দেহেরই একটি অংশ। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা আদম সন্তানকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি’ (ইসরা ১৭/৭০)। তাই এটি জায়েয হবে না যে, এভাবে মানব দেহের কোন অংশ অপদস্থ ও অপমানিত হৌক’ (আল-ইনাইয়া শারহুল হেদায়া ৬/৪২৫; আল-মাওসূ‘আতুল ফ
উত্তর : প্রথমেই তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে এবং তার মাল-সামান তার কাছে পৌঁছে দিবে বা তার কাছে ব্যবহারের অনুমতি নিবে। যদি যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, তাহ’লে তার জন্য এক বছর অপেক্ষা করবে। যদি এক বছরের মধ্যে তার সন্ধান পাওয়া না যায়, তাহ’লে তার জিনিসপ
উত্তর : লাভ ভোগ করার প্রচলিত নিয়মে বন্ধক রাখা যাবে না। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ (মুগনী ৪/২৫০; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৫০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/১৭৬-৭৭)। ছাহাবীগণ এমন ঋণ নিষেধ করতেন, যা লাভ নিয়ে আসে (ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)। তবে অর্
উত্তর : দুধ মা সাব্যস্ত হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত রয়েছে। প্রথমতঃ দুধ পান করার বয়সে দুধ পান করাতে হবে (বুখারী হা/২৬৪৭; মিশকাত হা/৩১৬৮)। দ্বিতীয়তঃ পৃথক পৃথক সময়ে পাঁচবার দুধ পান করাতে হবে (মুসলিম হা/১৪৫১; মিশকাত হা/৩১৬৭; আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/১১২-১১৩)। রাসূল
উত্তর : ওযূতে ঘাড় মাসাহ করা সুন্নাতও নয়, মুস্তাহাবও নয়। কারণ এর স্বপক্ষে কোন ছহীহ দলীল নেই (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/১০২)। আবূদাঊদে এ সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ (আবূদাঊদ হা/১৩২, সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৯-এর আলোচনা দ্রঃ)। ইমাম নববী (রহঃ)
উত্তর : এ মর্মে দায়লামী তার মুসনাদুল ফিরদাউসে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। যা মওযূ‘ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৪৯)।প্রশ্নকারী : জাহাঙ্গীর আলম, মোহনপুর, রাজশাহী।
উত্তর : যে কোন অন্যায় কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, যদি নিশ্চিত অনুমান করা যায় যে, উক্ত প
উত্তর : ইয়াতীমের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যয় নির্বাহের দায়িত্ব নিবেন দাদা। তবে পিতা মৃত্যুকালে কারো ব্যাপারে অছিয়ত করে গেলে সে-ই ইয়াতীমের সম্পদ দেখা-শুনা করবে। যদি দাদা না থাকে বা পিতা কারো ব্যাপারে অছিয়ত করে না যান, তাহ’লে স্থানীয় জনপ্রতিন
উত্তর : লাভ ভোগ করার প্রচলিত নিয়মে জমি বন্ধক রাখা যাবে না। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/২৫০; আল-মুদাওয়ান্নাহ ৪/১৪৯; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৫০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/১৭৬-৭৭)। ছাহাবীগণ এমন ঋণ নিষেধ করতেন, যা মুনা
উত্তর : আল্লাহর নাম বা আয়াত বিশিষ্ট বই-পত্র বা পুরাতন কাগজগুলো পুড়িয়ে ফেলা জায়েয। বরং পদদলিত বা অপমানিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সেগুলো দ্রুত পুড়িয়ে ফেলাই কর্তব্য। ওছমান (রাঃ) কুরআন সংকলন করার পর ছিন্ন কপিগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন (
উত্তর : ‘ফিক্বহ’ অর্থ বুঝ। পারিভাষিক অর্থে কুরআন ও সুন্নাহর সঠিক বুঝ। আর এ ব্যাপারে ছাহাবায়ে কেরামের বুঝই সর্বাগ্রগণ্য। কারণ তাঁরাই ‘অহি’ নাযিলের প্রত্যক্ষ সাক্ষী এবং রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক তার প্রয়োগ ও ব্যাখ্যার যথার্থ অনুসারী ও বর্ণনাকারী। আল্ল
উত্তর : কুরআন বা হাদীছে বর্ণিত দো‘আর অর্থ না জেনেও কেউ দো‘আ করলে আললাহ তার নিয়ত ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে দো‘আ কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ দো‘আর উৎস থাকে হৃদয়ে। আর জিহবা তার অনুগামী (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/৪৮৯)। তবে অর্থ বুঝে দো‘আ করলে তা মানসিক&nbs
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। কারণ মৃত্যুর পরে তার আমল বন্ধ হয়ে গেলেও তার জন্য কিছু নেক আমল আছে, যেগুলির ছওয়াব মাইয়েত পেতে থাকেন। জনৈকা মহিলা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন। তিনি এভাবে মারা না গেলে ছাদাক্বা ও দান করে যেতেন।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । (২) তরীকা সঠিক হওয়া :ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত হ’ল ইবাদত সম্পাদনের পদ্ধতি সঠিক হওয়া তথা আল্লাহ ও তদীয় রাসূল প্রদর্শিত পদ্ধতি অনুযায়ী হওয়া। অন্যথায় ইবাদত কবুল হয় না। আল্লাহ বলেন,قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالً
১. ইবনুল জাওযী (রহঃ) বলেন,رَأَيْتُ كَثِيْرًا مِّنَ النَّاسِ يَتَحَرَّزُوْنَ مِنْ رَشَاشِ نَجَاسَةٍ، وَلَا يَتَحَاشَوْنَ مِنْ غِيْبَةٍ! وَيَكْثُرُوْنَ مِنَ الصَّدَقَةِ، وَلَا يُبَالُوْنَ بِمُعَامَلاَتِ الرِّبَا! وَيَتَهَجَّدُوْنَ بِاللَّيْلِ، وَيُؤَخّ
আত্মপ্রশংসা মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। সুযোগ পেলেই আমরা আত্মপ্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যাই। নিজের অর্জন, গুণাগুণ, কর্মতৎপরতা নিয়ে আত্মতুষ্টির ঢেকুর তুলি। সাধারণ মানুষ তো বটেই অনেক দ্বীনদার-পরহেযগার বা দাঈ ইলাল্লাহর মাঝেও ইখলাছ বিনষ্টকারী ও আমল বিধ্বংসী
ভূমিকা : বৃক্ষ ও প্রাণীকুল একে অপরের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাণীদের বেঁচে থাকার প্রধান ও মূল উপকরণ হ’ল অক্সিজেন, যা বৃক্ষ থেকেই উৎপন্ন ও নির্গত হয়। প্রত্যেক নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে প্রাণীজগৎ কার্বনডাই অক্সাইড বর্জন করে। এটি এক ধরনের বিষাক্ত পদার্
ভূমিকা :মানুষের দৈহিক ইবাদত তিন ভাগে বিভক্ত। অন্তরের ইবাদত, মৌখিক ইবাদত এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইবাদত। অনেকে ইবাদত বলতে শুধু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মৌখিক ইবাদতকেই বুঝে থাকেন। কিন্তু অন্তরের ইবাদত সম্পর্কে তারা উদাসীন থাকেন। অথচ অন্তরের ইবাদতের উপর ভি
ভূমিকা :যারা বিদ্যার অধিকারী এবং যারা বিদ্যার অধিকারী নয় তারা উভয়ে সমান নয়। যারা বিদ্যার অধিকারী তারা উচ্চ মর্যাদার অধিকারী। বিদ্যা ও প্রজ্ঞার অধিকারী যারা তারা প্রভূত কল্যাণ লাভ করেন। আমল শুরুর আগে দরকার তৎসম্পর্কিত বিদ্যা। ধর্মীয়, দৈহিক, মানসিক, আর
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,ثَلاَثٌ مُنْجِيَاتٌ وَثَلاَثٌ مُهْلِكَاتٌ- فَأَمَّا الْمُنْجِيَاتُ : فَتَقْوَى اللهِ فِي السِّرِّ وَالْعَلاَنِيَةِ، وَالْقَوْلُ بِالْحَقِّ فِي الرِضَا وَالسَّخَطِ، وَالْقَصْدُ فِي الْغِنَى وَا
উত্তর : নখ লম্বা রাখা যাবে না। এটি নবীগণের সুন্নাতের বিরোধী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মানুষের স্বভাবগত আমল হ’ল ৫টি (১) নাভির নীচের লোম ছাফ করা (২) খাৎনা করা (৩) গোফ ছেঁটে ফেলা (৪) বগলের লোম ছাফ করা (৫) নখ কাটা (বুখারী হা/১২৫৭)। অনেকে বগলের লোম
উত্তর : ইসলামী আদালত কর্তৃক উক্ত দন্ড কার্যকর হ’লে পরকালীন শাস্তির জন্য তা কাফফারা হয়ে যাবে (বুখারী হা/১৮; মুসলিম হা/১৭০৯; মিশকাত হা/১৮)।প্রশ্নকারী : রূহুল আমীন, ফরিদপুর।
উত্তর : না। একথা সঠিক নয়। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আহমাদ হা/৮৭০২, সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৯৯-এর আলোচনা দ্রঃ)। আশূরার ছিয়াম ফেরাঊনের কবল থেকে নাজাতে মূসা (আঃ)-এর শুকরিয়া হিসাবে মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদী শরী‘আতে পালিত হয় (বুখারী হা/৪৭৩৭; মুসলিম হা/১১৩০)।
উত্তর : প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা, কমিটি গঠন, যৌথ হিসাব খুলে ও ছক নির্ধারণ করে দ্বীনী খেদমতের উদ্দেশ্যে অর্থ আদায় করা যায়। তবে যাকাতের টাকা জমা রাখা যাবে না। কারণ এর নির্ধারিত খাত রয়েছে।প্রশ্নকারী : ইউনুস আকন্দ, ক্যান্টনমেন্ট, রাজ
উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি বানোয়াট বা জাল (আলবানী, যঈফাহ হা/৩১১৩; যঈফুল জামে‘ হা/১৬৮২)।প্রশ্নকারী : আবেদ আলী, বিরামপুর, দিনাজপুর।
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দ
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানুষের জন্ম হ’তে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী শরী‘আত তথা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দিক নির্দেশনা দিয়েছে। মুমিনের সার্বিক জীবন গড়ে উঠবে তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতকে কেন্দ্র করে। প্রতিটি মানব শিশুর জন্মই
ইবাদতের স্তরসমূহ :ইবাদতের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যথা- ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাব। এর মধ্যে কিছু উম্মতের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আর কিছু দলীলের ভিত্তিতে নির্ণীত। এভাবে স্তরের ভিন্নতা শরী‘আত প্রণেতার সম্বোধন, নির্দেশিত বিষয় কাজে বাস্তবায়ন এবং বর্জনীয় বিষয়
উত্তর : বিবাহের উদ্দেশ্যে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতিক্রমে কেবলমাত্র পাত্র তার প্রস্তাবিত পাত্রীকে দেখতে পারে। পাত্র ব্যতীত কোন গায়ের মাহরাম পুরুষ পাত্রী দেখতে পারবে না। তবে পরিবেশ বা আনুসঙ্গিক বিষয় সমূহ দেখার জন্য অভিভাবকগণ খোঁজ-খবর নিতে পারবেন এ
উত্তর : গোঁফ ছাঁটাই সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দশটি বিষয় হ’ল স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। তার মধ্যে গোঁফ ছাঁটা অন্যতম’ (মুসলিম হা/২৬১; মিশকাত হা/৩৭৯ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়)। আর চল্লিশ দিনের অধিক গোঁফ না ছেঁটে রাখা যাবে না (মুসলিম হা/
উত্তর : যদি পিতামাতা কোন পাপের সূচনা করে যান এবং সন্তানেরা সেই পাপকর্ম করতে থাকে তাহ’লে সেই পাপের বোঝা পিতামাতাকে বহন করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন ওরা পূর্ণমাত্রায় বহন করবে ওদের পাপভার এবং তাদের পাপভার যাদেরকে ওরা অজ্ঞতাবশে বিভ্রান্
উত্তর : মোবাইল এ্যাপস বা টেলিভিশনের রেকর্ডকৃত আযান শ্রবণকালে আযানের জওয়াব দিতে হবে না। কেননা এগুলো মৌলিক আযান নয়। বরং সরাসরি আযান শোনার সময়ই কেবল জওয়াব দিতে হবে। আর একাধিক আযান শোনার ক্ষেত্রে যেকোন একটি আযানের জওয়াব দিলেই যথেষ্ঠ হবে (উছায়মীন,
উত্তর : বিশ্রামের জন্য ব্যবস্থা করা কল্যাণের কাজ। ওমর (রাঃ) মসজিদে নববীর সামনে লোকদের খোশগল্প করার জন্য একটি বারান্দা নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি অনর্থক কথা, কবিতা পাঠ কিংবা উচ্চ স্বরে কথা বলতে চায়, সে যেন ঐ স্থানে চলে যায়’
উত্তর : হাদীছটির অর্থ হ’ল- দুনিয়া তার অধিবাসীকে আল্লাহ থেকে বিমুখ করে রাখে। তাই দুনিয়াকে অভিশপ্ত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর مَلْعُونٌ مَا فِيهَا অর্থ যারা আল্লাহর যিকর থেকে বিমুখ তারাও অভিশপ্ত। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ মান্য করে, নিষেধ বর্জন ক
উত্তর : গোপনীয়তা পরিহার করে গ্রুপে মেয়েদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। তবে সর্বাবস্থায় হৃদয়ের তাক্বওয়া ও ইসলামী পর্দা বজায় রাখতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/২২৬)।প্রশ্নকারীঃ ক্বামারুয্যামান, ঢাকা।
উত্তর : ত্বাগূত শব্দের অর্থ শয়তান, মূর্তি, প্রতিমা। আল্লাহ ও রাসূল (ছাঃ)-কে বাদ দিয়ে অন্য কারো নিকট থেকে ফায়ছালা গ্রহণ করা বা কারো প্রতি অন্ধ আনুগত্য প্রদর্শন করাই ত্বাগূত। এক কথায় আল্লাহ ব্যতীত অন্য যে কাউকে মা‘বূদ বা উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করা
ভূমিকা :মানব জীবনে ইবাদতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কেননা আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে ইহকালীন জীবন যেমন সুন্দর ও সুচারুরূপে পরিচালিত হয়, পরকালীন জীবন তেমনি মঙ্গলময় হয়। আবার ইবাদত না করলে যেমন আল্লাহর
উত্তর : এখানে দু’টি বিষয় লক্ষণীয়। প্রথমতঃ কেউ যদি দুনিয়ার জীবনকে তুচ্ছ মনে করে এবং পরকালীন জীবনকে স্থায়ী মনে করে এমন কথা বলে তাহ’লে তাতে কোন দোষ নেই। কারণ দুনিয়ার জীবন অস্থায়ী। আল্লাহ বলেন, বস্ত্ততঃ পার্থিব জীবন ধোঁকার উপকরণ ছাড়া কিছুই নয়’ (আলে ইমরান
উত্তর : তারীখে ইস্ফাহান ও শারফু আছহাবিল হাদীছসহ কিছু গ্রন্থে উক্ত মর্মে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। ঐ বর্ণনাটি ‘জাল’ (তাহযীবুল কামাল ১৪/৩০; লিসানুল মীযান, রাবী নং ১৪৫৮)।প্রশ্নকারী : আশিকুল ইসলাম, গঙ্গাচড়া, রংপুর।
উত্তর : শিক্ষার্থীরা অপরাধ করলে প্রথমে তাদের বুঝাতে হবে এবং ভৎর্সনা করতে হবে। এরপর শাস্তির ভয় দেখাতে হবে। এতেও সংশোধন না হ’লে মৃদুভাবে প্রহার করা যেতে পারে। তবে যখম হয় এমনভাবে প্রহার করা যাবে না এবং মুখে মারা যাবে না। সর্বাবস্থায় শাস্তির উদ্দ
উত্তর : যেকোন ভাল কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা মুস্তাহাব। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) জুতা পরা, চুল আঁচড়ানো এবং পবিত্রতা অর্জন করা তথা প্রত্যেক কাজই ডান দিক থেকে শুরু করতে ভালবাসতেন (বুখারী হা/১৬৮, ৫৯২৬; মিশকাত হা/৪০০)। ছাহাবায়ে কেরাম ভালো কা
উত্তর : আয়াতুল কুরসীসহ রাতে ঘুমের সময় পঠিতব্য যিকর গুলো দিনে ঘুমানোর পূর্বেও পাঠ করা যায়। তবে রাতে ঘুমানোর পূর্বে পাঠ করলেই যথেষ্ট হবে (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ, ক্লিপ নং ৫; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৭/৩৯৬)।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ *বিল্ল
উত্তর : খতম তারাবীহ হৌক বা সূরা তারাবীহ হৌক এতে ইমামতির সম্মানী গ্রহণ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা যেসব জিনিসের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকো, তাদের মধ্যে কিতাবুল্লাহ (আল্লাহর কিতাব) অধিকতর উপযোগী’ (বুখারী হা/৫৭৩৭; মিশকাত হা/২৯৮৫)। তবে এ
উত্তর : সন্তান হিসাবে জন্মদাতা পিতা-মাতার সম্পত্তি যথারীতি পেয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান (নিসা ৪/১১)। আর ইসলামী শরী‘আতের আলোক
উত্তর : এরূপ বলা ঠিক নয়; বরং বলতে হবে ‘আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুন’। কারণ মানুষ নিজে নিজে ভাল থাকতে পারে না আল্লাহর রহমত ব্যতীত। তবে কেউ বললে তাতে শিরক বা অনুরূপ গুনাহ হবে না। কেননা এটি সংবাদবাচক বাক্য। এর দ্বারা সাধারণতঃ দো‘আই উদ্দেশ্য থাকে (উছা
উত্তর : সম্পদ রক্ষার জন্য সমাজে প্রচলিত আইন মেনে যাবতীয় বৈধ পন্থা অবলম্বন করবে। প্রয়োজনে কোর্টে মামলা করতে হবে। কোনভাবেই প্রতিকার না পেলে ধৈর্যধারণ করতে হবে এবং আল্লাহ্র উপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহ চাইলে আরো বহু উপার্জনের পথ উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। আল
উত্তর : দুধ পান করানোর কারণে দুধ মা মাহরাম সাব্যস্ত হন এবং আত্মীয়তার হক লাভের অধিকারী হন। তবে এর দ্বারা তিনি প্রকৃত মায়ের মত অধিকার অর্জন করেন না এবং প্রকৃত মায়ের মত দুধ মায়ের প্রতি খরচ করা বা খেদমত করাও আবশ্যিক নয়; বরং মুস্তাহাব।প্রশ্নকারী :
উত্তর : টাক দূর করার জন্য মাথার অন্য অংশের চুল টাকের স্থলে স্থাপন করা জায়েয। কারণ এটি সৃষ্টির পরিবর্তন নয়। বরং এটি পরিবর্তিত রূপকে আসল রূপে ফিরিয়ে আনার সমতুল্য (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/০৭,১৭/২৩)।প্রশ্নকারী : আসাদুয্যামান, গান্দাইল, সিরাজগঞ্জ
উত্তর : হাদীছের ভাষায় বুঝা যায় ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত মাইয়েত কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাবে না। বরং সে ঋণের সাথে ঝুলন্ত থাকে এবং তার উপর কবরের আযাব হ’তে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে যদি মৃতের নিকটাত্মীয় বা অন্য কোন ব্যক্তি ঋণদাতার নিকট থেকে সময় নেন এবং
উত্তর : নেশাদার দ্রব্য গ্রহণ করা হারাম এবং এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর (আ‘রাফ ৭/১৫৭)। তবে এগুলো পান করে বা গ্রহণ করে কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে না। সেজন্য এগুলো আত্মহত্যা হিসাবে গণ্য হবে না (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৪/১৯৪)।প্রশ্নকার
উত্তর : অর্থ উপার্জন ও শিক্ষা দু’টিই প্রয়োজন। সেজন্য এমন উৎস থেকে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করবে, যেখানে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি শিক্ষা অর্জনও করা যায়। এমন উৎস না পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করবে এবং পিতা-মাতার আদেশ পালন করে বৈধ উৎস থে
উত্তর : চিকিৎসার সুবিধার্থে একান্ত বাধ্যগত অবস্থায় অন্তর পবিত্র রেখে মহিলাদের শরীরে হাত দিলে কোন গুনাহ হবে না। তবে চেষ্টা থাকতে হবে যাতে মহিলা চিকিৎসকরাই মহিলাদের চিকিৎসা করে। সুযোগ ও পরিবেশ না থাকলে যরূরী অবস্থায় পুরুষ চিকিৎসকরা মহিলাদের চিক
উত্তর : প্রশাসনিক কোন দায়িত্ব পালন বা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে চাকুরী করা মৌলিকভাবে বৈধ। তবে যে সব অপরাধের শাস্তি ইসলামী শরী‘আত অনুযায়ী প্রদান করা যাচ্ছে না, সে জন্য দায়ী থাকবেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলগণ, যাদের হাতে ক্ষমতা আছে। তাছাড়া অধিকাংশ বিচার
উত্তর : হাদিয়া ফেরত দেওয়া সমীচীন নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা দাওয়াত দানকারীর ডাকে সাড়া দিয়ো, উপহারাদি ফেরত দিও না এবং মুসলিমদেরকে প্রহার করো না’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১৫৭; আহমাদ হা/৩৮৩৮, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি চাওয়া বা
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং সর্বাবস্থায় পুরুষদের জন্য স্বর্ণের গহনা ব্যবহার করা হারাম। চাই তা সফরে হৌক বা বাড়ীতে হৌক। রাসূল (ছাঃ) একদা ডান হাতে রেশম এবং বাম হাতে সোনা ধরলেন, অতঃপর বললেন, ‘আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এ দু’টি বস্ত্ত হারাম’
একজন পিতা যিনি তার জীবন-যৌবনে অশ্লীলতা পরিহার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন, সেই কষ্টকর জীবনে কিভাবে তিনি প্রকৃত সুখ পেয়েছিলেন? আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ে প্রিয় সন্তানের প্রতি পিতার মূল্যবান নছীহত।প্রিয় সন্তান,আমি সারাটি জীবন সুখ সুখ করে ক
১. আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,رَكْعَتَانِ مُقْتَصِدَتَانِ فِي تَفَكُّرٍ، خَيْرٌ مِنْ قِيَامِ لَيْلَةٍ وَالْقَلْبُ سَاهٍ، ‘অমনোযোগী মনে সারারাত ক্বিয়ামুল লায়ল আদায় করার চেয়ে চিন্তা-ভাবনাসহ দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করা উত্তম’।[1]২. মুহাম্মাদ ইবনে কা
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।দ্বীনের পথে ত্যাগ স্বীকার করার উপায়১. ঈমান তাযা রাখা :মযবূত ঈমান আল্লাহর পথে ত্যাগ স্বীকারের মূল হাতিয়ার। ঈমান তাযা না থাকলে আল্লাহর পথে যে কোন ধরনের কষ্ট স্বীকারে বান্দা অপারগ হয়ে যায়। ঈমানী দুর্বলতা ব্য
প্রতিষেধক মূলক ঝাড়ফুঁক ও দো‘আ :আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ مَا لَقِيتُ مِنْ عَقْرَبٍ لَدَغَتْنِى الْبَارِحَةَ قَالَ أَمَا لَوْ قُلْتَ حِيْنَ أَمْسَيْتَ أَعُوْذُ ب
দুই : কোন আমলকে সৎ আমল বলা যায় না এবং তা কবুলও হয় না, তাতে আল্লাহর জন্য ইখলাছ এবং রাসূলের সুন্নাতের পূর্ব অনুসরণ ব্যতীত :আল্লাহর কিতাবে দৃষ্টিনিবদ্ধকারী ব্যক্তি এমন অনেক আয়াত পাবেন যেখানে আল্লাহ তা‘আলা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন যে, কবুলযোগ্য আমল হ’ল
উত্তর : প্রথমতঃ এই হাদীছে মুমিন বান্দারা যে আল্লাহর অলী বা বন্ধু, তা বর্ণিত হয়েছে। যারা এসকল বান্দার সাথে শত্রুতা পোষণ করে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতেই ব্যবস্থা নেন। দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর নৈকট্য লাভের যে সকল মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে ফরয ই
উত্তর : উক্ত ঘটনা তাফসীরে ইবনু কাছীর, কুরতুবীসহ বেশ কিছু হাদীছ গ্রন্থে রয়েছে। তবে এর সনদ যঈফ বরং জাল (মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১৭০৭৫; যঈফাহ হা/৪৮৪৩)।প্রশ্নকারী : রেযওয়ান, বগুড়া।
উত্তর : কেউ ভুল করে কিছু দিলে তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে এবং তা ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় অতিরিক্ত সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করার জন্য ক্বিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে (মুজাদালাহ ৫৮/৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি তার কোন ভাইয়ের সম্মান
উত্তর : কোন বাধা নেই। নাপাক অবস্থায় ঘুম থেকে উঠে শুধু সাহারী খাওয়ার সময় অবশিষ্ট থাকলে বিনা গোসলেই সাহারী খাবে। অতঃপর গোসল করে ফজরের ছালাত আদায় করবে। তবে সাহারী খাওয়ার সুযোগ নেই এমন সময় ঘুম ভাঙলে গোসল করে ছালাত (ফজর) আদায় করে মনে মনে ছিয়ামের ন
উত্তরঃ রামাযান মাসে শয়তানের পায়ে শিকল দেয়া থাকে, রহমতের দরজা খোলা থাকে, জান্নাতের দরজা খোলা থাকে, জাহান্নামের দরজা বন্ধ থাকে (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৫৬)। এর মাধ্যমে মূলতঃ বান্দার প্রতি আল্লাহর অসীম রহমত ও দয়াকে বুঝানো হয়েছে এবং রামাযান মাসের বি
উত্তর : পিতা সন্তানের কোন দেখাশুনা বা ভরণ-পোষণ না দিলে তার জবাবদিহিতা আল্লাহর দরবারে তিনিই করবেন। তবে এ কারণে সন্তান তার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবে না। পিতা পাপ করলে এর জন্য সন্তান দায়ী নয়; আবার সন্তান পাপ করলে তার জন্য পিতা দায়ী নন। আল্লাহ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) অধিক বিনয় প্রকাশের জন্য মাটিতে বসে খেতেন। যেমন তিনি বলেন, আমি খাই যেভাবে গোলাম খায়। আমি বসি যেভাবে গোলাম বসে (শারহুস সুন্নাহ; মিশকাত হা/৫৮৩৬; ছহীহাহ হা/৫৪৪)। তিনি জনৈক ব্যক্তিকে বলেন, আমি হেলান দিয়ে খাবার গ্রহণ করি না (বুখারী হা/৫
উত্তর : হারাম সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর হারাম সম্পত্তি জনকল্যাণ মূলক কাজে খরচ করে দিলে বাকী সম্পত্তি হালাল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, অতঃপর যার নিকটে তার প্রভুর পক্ষ থেকে উপদেশ এসে গেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তার জন্য পিছনের সব গোনাহ মাফ। তার
উত্তর : এতে যদি কোম্পানীর অনুমোদন থাকে, তাহলে জায়েয। নইলে প্রতারণার শামিল হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম হা/১০১; মিশকাত হা/৩৫২০)। প্রশ্নকারী : রাক্বীবুল ইসলাম, বেনাপোল, যশোর।
উত্তর : তেলাওয়াতের সিজদা দেওয়া কর্তব্য। তবে এটি ফরয নয়। যদি কেউ এটা না করে, তবে কোন ক্ষতি নেই (বুখারী হা/১০৭২, ৭৭; তিরমিযী হা/৫৭৬)। এক্ষণে ছালাতে ইমাম সূরা ‘আলাক্ব পাঠ করলে সূরা শেষে তেলাওয়াতের সিজদা দিয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন। অতঃপর রুকূ করে ছালাত শেষে
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩।ত্যাগ স্বীকারের পথে বাধা সমূহদ্বীনের পথ মূলতঃ সফলতার পথ। আল্লাহর দেওয়া অভ্রান্ত সত্যের পথ। যে পথের শেষ ঠিকানা জান্নাত। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন নবীর যুগেই এপথ সহজ ছিল না। বরং এ পথে চলতে গিয়ে নবী-রাসূল ও তাঁদের অনুসারীগণ না
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এদিন সর্ব
গত ফেব্রুয়ারী’২২ সংখ্যায় (২৭/১৮৭) প্রশ্নোত্তরে ভুলক্রমে ‘দ্বিতীয় মা মৃতের স্ত্রী হিসাবে এবং সন্তান না থাকায় এক-চতুর্থাংশ পাওয়ার পর বাকী সম্পত্তি চার ভাই সমানভাবে পেয়ে যাবে’ বলা হয়েছে। বরং সঠিক উত্তর হ’ল, ‘মৃতের ১ম স্ত্রীর সন্তান থাকায় ২য়
উত্তর : যদি কোন ঘরে সম্মানের জন্য বা সৌন্দর্যের ছবি রাখা হয় বা টাঙানো থাকে, তাহ’লে উক্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করবে না (বুখারী হা/৩২২৬; মুসলিম হা/২১০৬)। তবে অপ্রদর্শিত কিংবা অবহেলিত স্থানে যেমন বইয়ের ভিতরে, বিছানার চাদরে, বালিশের কাভারে বা বসা
উত্তর : এমতাবস্থায় প্রথমতঃ সম্ভাব্য সকল উপায়ে প্রাপককে খুঁজে বের করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের অবর্তমানে তাদের ওয়ারিছদের নিকট তা পৌঁছে দিতে হবে। দ্বিতীয়তঃ কোনভাবেই তাদের খুঁজে না পেলে তাদের নামে উক্ত সম্পদ ছাদাক্বা করে দিল
উত্তর : তিনি যতজনের সাথে সাক্ষাৎ করবেন, সম্ভব হ’লে ততজনকে সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। নবী করীম (ছাঃ)-কে প্রশ্ন করা হ’ল উত্তম ইসলাম কোনটি? জবাবে তিনি বললেন, অন্যকে খাদ্য খাওয়ানো এবং পরিচিত অপরিচিত সকলকে সালাম দেওয়া (বুখারী হা/১২; মিশকাত হা/৪৬২৯)। আ
উত্তর : পিতা-মাতার সাথে সর্বাবস্থায় সুসম্পর্ক রাখাই ইসলামের নির্দেশ। আল্লাহর পরই পিতা-মাতার হক আদায় করা যরূরী। এমনকি পিতা-মাতা কাফের হ’লেও তাদের সম্মান ও আনুগত্য করতে হবে; যদি না তারা শিরক, কুফরী বা অন্যায়ের আদেশ দেন (আনকাবূত ২৯/৮)। সুতরাং তা
উত্তর : এ ধরনের অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনা গীবত হিসাবে গণ্য হবে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) তাঁর উম্মতকে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘আমার উম্মতের অধিকাংশ মানুষ তার যবানের কারণে জাহান্নামে যাবে’ (তিরমিযী হা/২০০৪; ছহীহুত তারগীব হা/১৭২৩)
পারমানবিক শক্তিধর রাষ্ট্র চীন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সীমান্ত ও আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতে বাংলাদেশ অনেকটা নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকলেও ভারত ও মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইনের কারণে সামাজিক বিস্ফোরণের প্র
উত্তর : ওয়ায মাহফিলের জন্য দান ধনী-গরীব সবাই গ্রহণ করতে বা খেতে পারে। সেখানে মসজিদ কমিটির সদস্যসহ আম জনতা উক্ত খাবার গ্রহণ করলে তাতে বাধা নেই। কেননা সেটি হাদিয়ার অন্তর্ভুক্ত (নববী, আল-মাজমূ’ ৬/২৩৬; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/২৭৬; আযীমাবাদী, আওনুল মা
উত্তর : অভাব-অনটন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে একদিকে যেমন পরীক্ষা অন্যদিকে অভাবীদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি জান্নাতে উঁকি মেরে দেখলাম যে, এর অধিকাংশ অধিবাসী হ’ল গরীব-মিসকীন’ (বুখারী হা/৩২৪১; মিশকাত হা/৫২৩৪)। তিনি বলেন, ‘দরিদ্ররা
উত্তর : মিশনারীদের উক্ত দাবী ভিত্তিহীন। কেননা সূরা আলে ইমরানের উক্ত আয়াতদ্বয়ে বলা হয়েছে, কুরআন তার পূর্ববর্তী ইলাহী কিতাব সমূহের সত্যায়নকারী। যা স্ব স্ব যুগের জন্য হেদায়াত গ্রন্থ ছিল। কুরআন আসার পরে পূর্বের গ্রন্থ সমূহের হুকুম রহিত হয়ে গেছে।
উত্তর : যখনই উক্ত নারীর কথা স্মরণ করিয়ে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিবে তখনই বাম দিকে তিনবার থুক মারবে ও ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে (মুসলিম হা/২২০৩; মিশকাত হা/৭৭)। আল্লাহ বলেন, শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহ’লে আল্লাহর
উত্তর : মাংস শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত (মন+স) থেকে। এর অর্থ, ‘জীবদেহের অভ্যন্তরস্থ হাড় এবং চামড়ার মধ্যবর্তী নরম ও কোমল অংশ, গোশত’ (আধুনিক বাংলা অভিধান পৃ. ১০৯৫ পৃ., ব্যবহারিক বাংলা অভিধান পৃ. ৯৬৮)। সুতরাং মাংসকে মাংশ তথা হিন্দুদের মায়ের (গরুর) অংশ মন
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি রাষ্ট্র বা সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত হ’লে তা করা যাবে। দাঊদ ও সুলায়মান (আঃ) বকরী কর্তৃক ফসলের ক্ষতি সাধিত হ’লে জরিমানা করে সমাধান করেন (আম্বিয়া ২১/৭৮; বুখারী ২৩/৩৯৩)।প্রশ্নকারী : আমীনুর রহমানদুপচাঁচিয়া, বগুড়া।
উত্তর : যেকোন উপায়েই হৌক কোন নারীর নিজের বুকের দুধ কোন শিশুকে খাওয়ানো হ’লে এবং দু’টি শর্ত পূরণ হ’লে শিশুটি তার দুধ সন্তান হিসাবে গণ্য হবে। (১) দু’বছরের মধ্যে দুধ পান করতে হবে (বাক্বারাহ ২/২৩৩; দারাকুৎনী হা/৪৪১৩, ৪৩৬৫)। (২) বিশুদ্ধ মতে, অন্ততঃ প
উত্তর : সুন্নাত হ’ল যেখানে মারা যাবে সেখানেই লাশ দাফন করা। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে এমন সুন্নাতই চালু রয়েছে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৩৮০; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ২/৩১)। এক্ষণে যদি কেউ কোন অমুসলিম দেশে মারা যায় এবং সেখানে মুসলমানদের পৃথক গো
উত্তর : সাধারণভাবে আইনী সহায়তা কোন নাজায়েয পেশা নয়। তবে সেখানে সর্বদা সত্যকে বিজয়ী করা, যুলুমের প্রতিরোধ করা এবং মানুষকে তার হক ফেরত দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। যাতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত না হয় এবং অপরাধী ছাড়া না পায়। আল্লাহ বলে
১. ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন,جمع النبى بَين تقوى الله وَحسن الْخلق لِأَن تقوى الله يصلح مَا بَين العَبْد وَبَين ربه وَحسن الْخلق يصلح مَا بَينه وَبَين خلقه فتقوى الله توجب لَهُ محبَّة الله وَحسن الْخلق يَدْعُو إِلَى محبته، ‘নবী (ছাঃ) আল্লাহভীতি ও উ
ত্যাগ স্বীকারের উপকারিতা৪. সম্মান ও মর্যাদা বুলন্দ হয় :পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হ’তে চায়। কিন্তু মর্যাদামন্ডিত কোন মহৎ কর্ম ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দুঃখ-কষ্ট ছাড়া সফল হয় না। পথ দীর্ঘ দেখে পথিক যদি তার যাত্রা বন্ধ রাখে অথবা কিছুদূর গি
তালাক শব্দের অর্থ বিচ্ছিন্ন হওয়া, বন্ধন মুক্ত হওয়া ইত্যাদি। পরিভাষায় তালাক অর্থ ‘বিবাহের বাঁধন খুলে দেওয়া’ বা বিবাহের শক্ত বন্ধন খুলে দেওয়া। অর্থাৎ স্বামী কর্তৃক তার স্ত্রীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়া। জীবনে বিপর্যয় থেকে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে রক্
উত্তর : চুল ও দাড়িতে মেহেদী ব্যবহার করা মুস্তাহাব (আওনুল মা‘বুদ ১১/১৭২; তোহফাতুল আহওয়াযী ৫/৩৫৪; নায়লুল আওতার ১/১৫২)। মক্কা বিজয়ের দিন আবুবকরের পিতা আবু কুহাফার মাথার চুল ও দাড়ি কাশফুলের মত সাদা দেখে রাসূল (ছাঃ) বলেছিলেন, এই সাদাকে পরিবর্তন কর এবং
উত্তর : সন্তানের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করা সমীচীন নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নিজেদের জন্য বদ দো‘আ করো না, নিজ সন্তানদের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করো না এবং নিজেদের অর্থ-সম্পদের ব্যাপারে বদ দো‘আ করো না, যাতে তোমরা এমন এক সময়ে না পৌঁছে যাও, যে সময় দো
উত্তর : কেউ উপকার করলে তার প্রতিদানে ‘জাযাকাল্লাহ’ বলা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কাউকে অনুগ্রহ করা হ’লে সে যদি অনুগ্রহকারীকে বলে, ‘জাযাকাল্লাহু খায়রান’ (আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দিন) তবে সে উপযুক্ত ও পরিপূর্ণ প্রশংসা করল (তিরমিযী হা/
উত্তর : আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই ছালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত (নিসা ৪/১০৩)। অতএব নির্ধারিত সময়েই ছালাত আদায় করতে হবে। কেউ ইচ্ছা করে সময়ের পূর্বে ছালাত আদায় করলে তা বাতিল হয়ে যাবে এবং গুনাহগার হবে (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ২/৯৬)।
উত্তর : প্রাণীর ছবি নেই এমন কক্ষে ছালাত আদায় করার চেষ্টা করবে এবং ছবি অপসারণ করার জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নছীহত করবে। সম্ভব না হ’লে উক্ত কক্ষেই সিজদার স্থানে দৃষ্টি রেখে ছালাত আদায় করবে। এমন বাধ্যগত পরিস্থিতিতে সেখানে ছালাত আদায় হয়ে যাবে
উত্তর : বিদ‘আতীর আমল বিনষ্টের ব্যাপারে বিদ্বানগণ বিশদ আলোচনা করেছেন, যার সারমর্ম হচ্ছে, বিদ‘আতযুক্ত আমল সমূহ সরাসরি বিনষ্ট হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪০) এবং ভবিষ্যতের অন্যান্য আমল সমূহের ফরযিয়াত আদায় হ’লেও ইবাদতের বিপরীতে বর্ণিত ফযীলতসমূহ থে
উত্তর : পূর্বের কোন কোন নবীর যুগে সম্মানের উদ্দেশ্যে সিজদা করা জায়েয থাকলেও শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/১৮৫৩; ছহীহাহ হা/৩৪৯০; আবুদাঊদ হা/২১৪০; মিশকাত হা/৩২৭০; ছহীহুত তারগীব হা/১৯৩৬)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) সিজদা
উত্তর : অমুসলিম নারীদের থেকে ততটুকু পর্দা করবে যতটুকু মাহরাম আত্মীয়দের থেকে করা হয়। যেমন সে তার মুখমন্ডল, মাথা, হাত-পা মাহরামের সামনে প্রকাশ করতে পারে তেমনি অমুসলিম নারীদের সামনেও প্রকাশ করতে পারে (উছায়মীন, ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ১/৪১৭, ২/৫৮
উত্তর : চোখে চশমা থাকাকালীন নাক ও কপাল মাটিতে স্পর্শ করিয়ে সিজদা করা সম্ভব হ’লে চশমা পরে সিজদা দেওয়ায় কোন দোষ নেই। তবে চশমা কপাল ও নাক মাটিতে স্পর্শ করাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে চশমা খুলে ছালাত আদায় করবে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১৮৬)। কারণ র
ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজনীয়তা কেন?জান্নাতের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। এই পথ বড়ই দুর্গম ও কণ্টকাকীর্ণ। এ পথে চলতে গেলে বাধা আসে। কষ্ট পেতে হয়, বিষময় কাঁটার আঘাত সহ্য করতে হয়। নবী-রাসূল, ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের আলোকিত জীবনের দিকে তাকালে এটা সহজেই উপ
দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা তাদের মৌলিক মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত। অথচ বর্তমানে আমাদের মত অনেকেরই মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত। বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে- ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা। ৪১। (১) আইন, জনশৃঙখলা ও নৈতিকতা সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগর
উত্তর : তালাক প্রদানের মূল অধিকার স্বামীর। আল্লাহ বলেন, হে নবী! যখন তোমরা স্ত্রীদের তালাক দাও, তখন তাদেরকে ইদ্দত অনুযায়ী তালাক দাও (তালাক ৬৫/১)। কিন্তু স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিলে এবং সে তালাককে বেছে নিলে তা কার্যকর হয়ে যাবে (মুগনী
উত্তর : স্ত্রী স্বামীকে আলাদা করার কোন অধিকার রাখে না। বরং স্বামী যালেম হ’লে স্ত্রী ‘খোলা’ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় স্বামী সর্বদা স্ত্রীর সাথে সুন্দর আচরণ করবে এবং স্ত্রীও স্বামীর আনুগত্য করে চলবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন
উত্তর : উক্ত বুঝ পুরোপুরি ভুল। কারণ ‘কালিমাতুল্লাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহর আদেশ বাচক শব্দ ‘কুন’ যার অর্থ ‘হও’ আর তাতেই হয়ে যায়। অর্থাৎ ঈসা (আঃ) যেহেতু পিতা বিহীন এই পৃথিবীতে এসেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই ‘কুন’ শব্দ ব্যব
উত্তর: পরিত্যক্ত সন্তান লালন-পালন করা ইয়াতীম পালন অপেক্ষা অধিক ছওয়াবের কাজ। কিন্তু পালিত সন্তান পালক পিতা-মাতার পরিচয়ে পরিচিত হ’তে পারবে না যদিও তাদের পিতৃপরিচয় জানা না যায় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/২৫৫)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তাদেরকে তাদের পিত
ভূমিকা :চিরসবুজ-সজীব যৌবনে উদ্দীপ্ত থাকতে চায় প্রতিটি মানুষ। কিন্তু মানুষের জন্য এটি অসাধ্য ও অসম্ভব। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবর্তন আসে তারুণ্যে-যৌবনে। প্রৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্য উঁকিঝুঁকি দেয় ক্রমে ক্রমে। ঘনকালো চুলের রং বদলাতে থাকে ধীরে ধীরে। একটি-দু’টি করে
প্রশ্নকারী : কাদেরুল ইসলাম, রংপুর।উত্তর : পাকা চুল উঠানো যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল তুলে ফেলো না। কেননা পাকা চুল হ’ল মুসলমানের জ্যোতি। কোন মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লিখেন, একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন
উত্তর : সমালোচনার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পালন করা কর্তব্য। যেমন- (১) নিয়ত বিশুদ্ধ থাকা : অর্থাৎ সমালোচনা হবে স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার জন্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুমিন তাঁর ভাইয়ের জন্য আয়নাস্বরূপ। সে তা
উত্তর : পরিবারের জন্য ব্যয় করাই হ’ল মূল কর্তব্য। এব্যাপারে শরী‘আতের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ছাহাবীকে খরচ করার পদ্ধতি বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘এ অর্থ তুমি প্রথমে তোমার নিজের জন্য ব্যয় কর। তারপর যদি কিছু বাকী থাকে তাহ’লে তোমার পরিবার
উত্তর : হিন্দুদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া জায়েয। তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে, যেমন- (১) তাদের যবেহকৃত প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না। মূলতঃ মূর্তিপূজক, নাস্তিক প্রমুখ যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে যবেহ করে, তাদের যবেহকৃত পশু খাও
উত্তরঃ ইক্বামতের উত্তর দিতে হবে। কারণ আযান ও ইক্বামত দু’টিকেই হাদীছে আযান বলা হয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৬২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মুওয়াযযিন যা বলে তোমরাও অনুরূপ বল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭; আলোচনা দ্রঃ আলবানী, মিশকাত হা/৬৭০-এর টীকা)। অতএ
উত্তরঃ সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিষিদ্ধ। কেননা রূযীর মালিক আল্লাহ। আল্লাহ বলেন, ‘দারিদ্রে্যর ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানকে হত্যা কর না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই খাদ্য প্রদান করে থাকি’ (ইসরা ৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা প্র
উত্তরঃ এরূপ বলা উচিত নয়। বরং বলতে হবে ‘আল্লাহর রহমতে অতঃপর আপনাদের দো‘আয় ভাল আছি’। এখানে ‘অতঃপর’ শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ (ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/২১১৭; ছহীহ বুখারী হা/৬৬৫৩, ‘শপথ ও মানত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭; মিশকাত হা/১৮৭৮)। তবে শুধু ‘আল-হামদুলিল্লাহ্’
শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’ বলে প্রচলিত আছে। শবেবরাত শব্দটি ফারসী। যার অর্থ হ’ল অংশ বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। শবেবরাতকে উপলক্ষ করে আমাদের সমাজে যা কিছু করা হয় তার প্রমাণ হিসাবে সূরা দুখানের ৩নং আয়াত পেশ করা হয়। এই
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :সুবিশাল সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হ’ল মানুষ। পৃথিবীর সকল মানুষ এক আদমের সন্তান। মহান আল্লাহ বলেন,يَا أََيُّهَا النَّاسُ اتَّقُواْ رَبَّكُمُ ا
উত্তরঃ ইন্স্যুরেন্স শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ (১) ইন্স্যুরেন্সের মধ্যে সূদ বিদ্যমান। এতে জমা টাকার বিনিময়ে অধিক টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। (২) ইন্স্যুরেন্স জুয়ার উপরে প্রতিষ্ঠিত। এতে হয় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লাভবান হয়, অথবা জমাকারী লাভবান হয়। তবে
উত্তরঃ মুছল্লীর জন্য সূরা ফাতিহা পাঠের পর অন্য একটি সূরা বা কুরআনের কিছু অংশ তেলাওয়াত করা সুন্নাত (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪২)। ইবনু আববাস (রাঃ) সূরা ফাতেহা পাঠের পর প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা বাক্বারার একটি আয়াত তেলাওয়াত করতেন (দারাকুৎনী হা/১২৬৪, সনদ হাসান)।
প্রত্যেক মানুষের স্বভাবগত মৌলিক অধিকারকেই মানবাধিকার বলা হয়। যেমন জান-মাল-ইযযত, খাদ্য-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সর্বোপরি স্বাধীন ও সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। মানবাধিকার সর্বদা পরস্পর সম্পর্কিত। তা কখনোই এককভাবে অর্জিত হয় না
উত্তর : وَسِيْلَةٌ শব্দটি একবচন বহু বচনে وَسَائِلُ অর্থ নৈকট্য, নৈকট্যের উপায়। অসীলা এমন ইবাদত যা আল্লাহর নিকট পৌঁছিয়ে দেয়। অর্থাৎ ইবাদতের মাধ্যমে নৈকট্য লাভ করা (লোগাতুল কুরআন)। অসীলা দুই প্রকার (১) সিদ্ধ অসীলা। যেমন- (ক) আ
উত্তর : সূদ প্রদান করা হলে সেই পরিমাণ সূদ বর্জন করতে হবে। আর যদি গ্রহণ করতেই হয় তাহ’লে সূদের টাকাগুলো সামাজিক কাজে ব্যয় করতে হবে।
উত্তর : কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের। চৌদ্দশ’ হিজরীর প্রথম দিকে গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীর (১৮৩৫-১৯০৮) মাধ্যমে মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইংরেজদের সহযোগিতায় এ সম্প্রদায় জন্মলাভ করে (পৃঃ ১১৮-২২)। গোলাম আহমাদ প্রথমে নিজেকে মুজাদ্দিদ ও ইমা
উত্তর : এ নিয়ম জাহেলী যুগে চালু থাকলেও ইসলাম একে নিষিদ্ধ করেছে (আহযাব ৪ ও ৫ নং আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)। যে কেউ নেকীর উদ্দেশ্যে ইয়াতীম বা দরিদ্র সন্তানকে লালন-পালন করতে পারে। তবে সে যখন থেকে বুঝতে শিখবে তখন তাকে জানিয়ে দিতে হবে যে, লালন-পালন
উত্তর : কর্য গ্রহীতা স্বেচ্ছায় বেশী দিলেও তা গ্রহণ করা যাবে না। কারণ কর্যের লাভ গ্রহণ করা সূদ। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ছাহাবীগণ কর্যের লাভ অপসন্দ করতেন এবং যে কর্য লাভ নিয়ে আসে তা নিষেধ করতেন (বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/১৩৯৭)। কর্য হবে স্রেফ
প্রাণকেন্দ্র ও সর্ববৃহৎ তিলোত্তমা মহানগরী ঢাকার যানজট পরিস্থিতি এমন ভয়াবহতার ঘুর্ণাবর্তে আবর্তিত হচ্ছে যে, একান্ত বাধ্য না হ’লে কোন সুস্থ বিবেকমান মানুষ এখন আর ঢাকায় যেতে চাচ্ছে না। সেদিনের সবুজে ঘেরা গাছ-গাছালী আর পাখ-পাখালির সুমধুর কলকাকলিত
উত্তর : ইসলামী আক্বীদা-আমল ও সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার এবং শারঈ বিধানকে সহজভাবে তুলে ধরার জন্য গল্প, উপন্যাস বা কল্পকাহিনী রচনা করা যায়, যা মূলতঃ মিথ্যার পর্যায়ভুক্ত নয় বরং বাস্তবতা অনুধাবনের জন্য উপমা, উদাহরণ বা সাদৃশ্য হিসাবে পরিগণিত হয়। কারণ রাসূল (
উত্তর : এরূপ বাড়ীতে বসবাস করা উচিৎ নয়। কারণ জাদু দ্বারা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাসূল (ছাঃ)-কেও জাদু করে রোগাক্রান্ত করে দেওয়া হয়েছিল। পরে সূরা নাস-ফালাক নাযিল হলে এর মাধ্যমে চিকিৎসা নিলে তিনি সুস্থ হন (সূরা নাস ও ফালাক্বের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। তাছাড়া কো
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ছুরাদ পাখি, ব্যাঙ, পিঁপড়া ও হুদহুদ পাখি মারতে নিষেধ করেছেন (আবুদাউদ হা/৫২৬৭ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৪১৪৫; ছহীহুত তারগীব হা/২৯৯০)। তবে মানুষকে কষ্টদানকারী পিঁপড়া মারা বৈধ (ফাৎহুল বারী ৬/৩৫৮১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব; উছায়মীন, ম
উত্তর : অনতিবিলম্বে বিবাহ বিচ্ছেদ করে আলাদা হয়ে যেতে হবে। কারণ দুধ বোন নিজ বোনের সমতুল্য। রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে তার দুধ বোনের বিয়ে দিতে চাইলে তিনি বলেন ‘দুধ পানের সম্পর্ক দ্বারা ঐসব লোক হারাম হয়ে যায় যারা রক্ত সম্পর্ক দ্বারা হারাম হয়’ (বুখারী হা/২৬৪৫;
উত্তর : উক্ত ছালাত নারীদের জন্যও মুস্তাহাব। কারণ ইসলামের কোন বিধান যদি কোন হাদীছ দ্বারা বিশেষ কোন শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট না হয় তাহ’লে উক্ত বিধান সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হয় (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৩/২৭)।প্রশ্নকারী : নাজমুল হুদা
উত্তর : সেক্ষেত্রে প্রশংসিত ব্যক্তি নিম্নের দো‘আটি পাঠ করতে পারেন।-اللَّهُمَّ لَا تُؤَاخِذْنِيْ بِمَا يَقُولُوْنَ وَاغْفِرْ لِيْ مَا لاَ يَعْلَمُوْنَ (আল্লাহুম্মা লা তুআখিযনী বিমা ইয়াকূলূন, ওয়াগফিরলী মা লা ইয়া‘লামূন)। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তারা যা
উত্তর : গোসল করে পবিত্র হওয়ার পূর্বে হায়েযা স্ত্রীর সাথে সহবাস করা সিদ্ধ নয়। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা ভালভাবে পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নিকট গমন কর’ (বাক্বারাহ ২/২
উত্তর : ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য ব্যাধি অতি কষ্টদায়ক হওয়ায় এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদেরকে শহীদ হিসাবে গণ্য করেছেন কোন কোন বিদ্বান। তারা পেটের রোগের উপর ভিত্তি করে এদেরকে শহীদ হিসাবে গণ্য করেছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি পেটের পী
উত্তর : কবরে মাইয়েতকে শোয়ানোর পূর্বে সালাম দেওয়ার বিধান নেই। রাসূল (ছাঃ) বা পূর্ববর্তী কোন সালাফ থেকে এ ব্যাপারে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। সুতরাং মাইয়েতকে কবরে শোয়ানোর পূর্বে তাকে সালাম নয়, বরং তার জন্য দো‘আ করা মুস্তাহাব। কারণ এসময় মানুষ দো‘আ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।(ঙ) পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান : মুসলমানরা পরস্পরের মান-ইয্যতের নিরাপত্তা বিধান, দুঃখ-কষ্টে অংশগ্রহণ, গঠনমূলক সম
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যেভাবে এক্বামতের শব্দগুলো শিক্ষা দিয়েছেন সেভাবেই বলতে হবে। উক্ত মতপার্থক্যের প্রশ্নই আসে না। যেমন-اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، حَى
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাড়ি ছাটতেন এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। ছহীহ বুখারীতে থাকার প্রশ্নই আসে না। বরং উম্মতের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা হ’ল, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর’ (মুত্তাফাক্ব আলা
উত্তর : সালাম দেওয়া যাবে। উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা একটি মজলিসের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, যেখানে মুসলিম, মুশরিক, মূর্তিপূজারী ও ইহুদীরা ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদেরকে সালাম দিলেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৩৯ ‘শিষ্ট
উত্তর : পাগড়ী ব্যবহার করা কারো জন্যই সুন্নাত নয়। এটি হ’ল দেশ ও অঞ্চল ভিত্তিক আদত বা অভ্যাস। রসূল (ছাঃ) পাগড়ী পরেছিলেন এ কারণে যে, পাগড়ী পরিধান করা ছিল তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের অভ্যাসগত পোষাক। সে সময়ের আরব মুসলিম ও অমুসলিম সকলে পাগড়ী পরত। তিনি
উত্তর : বলার অপেক্ষা রাখে না ঈদে মীলাদুন্নবী একটি সুস্পষ্ট বিদ‘আত, যা ৬০৫ মতান্তরে ৬২৫ হিজরীতে ইরাকে প্রথম চালু হয়। তাই এ দিনকে উপলক্ষ করে যা কিছুই করা হোক না কেন তা বিদ‘আতী আমল হিসাবে গণ্য হবে (লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ৫৭২৩)। রাসূল (ছাঃ)-এর জী
উত্তর : দাড়ি কাটা-ছাটা জায়েয নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা গোঁফ ছোট কর, দাড়িকে ছেড়ে দাও এবং মুশরিকদের বিরোধিতা কর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। তিরমিযীর বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাড়ির বর্ধিত অংশ ছাটতেন মর্মে আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর
উত্তর : পা ধরে সালাম বা কদমবুসি করা শরী‘আত সম্মত নয়। আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন তার কোন ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি
উত্তর : ছহীহ হাদীছের বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায় দাজ্জাল শেষ যামানার কোন আদম সন্তানের ঔরসজাত হবে। সে খোরাসান থেকে বের হবে (ছহীহ তিরমিযী হা/২২৩৭; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৪০৭২)। সে একজন কাফের, তার কোন সন্তান থাকবে না এবং সে মক্কা এবং মদীনায় প্রবেশ করতে সক্ষম হব
উত্তর : অকারণে কোন প্রাণী হত্যা বা গাছপালা বিনষ্ট করা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে মানুষের অপকার বা ক্ষতি সাধন করে এমন প্রাণী, গাছপালা নিধনে কোন বাধা নেই। যেমন রাসূল (ছাঃ) সাপ নিধনকে উম্মতের জন্য সিদ্ধ করেছেন। কেননা তা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। রাসূল (ছাঃ
উত্তর : চিল্লা প্রথার প্রমাণে কোন হাদীছ নেই। এগুলি কপোলকল্পিত পদ্ধতি। এর ভিত্তি হচ্ছে মাওলানা ইলিয়াসের স্বপ্নের উপর। যেমন তিনি বলেন, এই তাবলীগের নিয়ম আমার নিকটে স্বপ্নে প্রকাশিত হয় (আব্দুর রহমান উমরী, তাবলীগী জামা‘আত (নয়াদিল্লী : দারুল কিতাব, ১
উত্তর : মহিলাকে পুরুষে বা পুরুষকে মহিলায় রূপান্তর করা সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার শামিল যা নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর ধর্ম, যার উপরে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই’ (রূম ৩০/৩০)। এটি শয়তানের কাজ। কারণ সে আল্লাহকে ব
উত্তর : অমুসলিম আত্মীয়-স্বজনের সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবে, যদি তারা দ্বীন পালনে বাধা না দেয়। আল্লাহ বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায়বিচার করতে আল
আলো এমন এক উপাদান যার সাহায্যে অন্ধকারে পথ চলা যায়। আলোর যেমন ভিন্নতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা। আলো প্রকাশ্য হ’তে পারে আবার অপ্রকাশ্যও হ’তে পারে। সর্বপ্রকারের আলোই উপকারী। এই আলো মূলতঃ ঈমানের আলো, যে আলোর মাধ্যমে মুমিন সঠিক পথে পরিচালিত
‘আশরাফুল মাখলূকাত’ এই বাক্যাংশটি ইসলামী পরিভাষা তথা আরবী ভাষার শব্দ বিধায় উচ্চারণ-নিষিদ্ধ নামের মতো যারা মনে করেন, তারাও ‘মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব’ কথাটা অস্বীকার করেন না। মানুষ কেন শ্রেষ্ঠ জীব, তাদের শিং এবং চারটি পা নেই বলে? অবশ্য তা নয়। ম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করে জান্নাতে স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে দুনিয়াতে নামিয়ে দিলেন। আর শয়তানকে মানুষের শত্রু হিসাবে পাঠিয়ে দিলেন। শয়তান আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ
উত্তর : মসজিদে উক্ত পদ্ধতি চালু করা ঠিক নয়। কারণ কোন ব্যক্তি যদি ছালাত পড়তে থাকে আর জামা‘আতের সময় হয়ে যায় তাহলে সে হাদীছের নির্দেশ মোতাবেক ছালাত ছেড়ে দিয়ে জামা‘আতে শরীক হবে ((মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৮)। এতে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ ছালাতের নেকী পেয়ে যাবে (
উত্তর : আযানের জওয়াব দেওয়া মুস্তাহাব (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৩০৯; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/১৯৬; আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ৩৪০ পৃ.)। এ সময়ে মাইক বাজানো বা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থেকে আযানের জওয়াব দেওয়া উত্তম (সামারকান্দী, তোহফাতুল ফুকাহা ১/১১৭)। তবে
উত্তর : কালো ব্যতীত অন্য যে কোন রঙ চুলে ব্যবহার করা জায়েয। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তা বিজাতীয়দের অনুকরণে না হয় এবং কাফির-মুশরিকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হয় (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/১৬৮)। প্রশ্নকারী : ছাকিবুর রহমান, নিউ ট
বছর ঘুরে আবার এসেছে মে মাস। শ্রমিকের অধিকার আদায় আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসের ১ তারিখ সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ (International Workers Day) হিসাবে। এ দিবসটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক,
উত্তর : প্রজেক্টরের মাধ্যমে মহিলারা বক্তার বক্তব্য দেখতে ও শ্রবণ করতে পারে। ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পুরুষদের নিকট ঈদের খুৎবা প্রদান করার পর মহিলাদের নিকট গমন করেন এবং তাদেরকে ওয়ায-নছীহত করেন ও ছাদাক্বা দিতে বলেন।
উত্তর : সুন্নাতী পোষাক কোনটি তা নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। কারণ সবদেশের আবহাওয়া ও পোষাক এক হওয়ার কথা নয়। তবে ইসলাম পোষাকের যে মূলনীতির কথা বলেছে লম্বা জামা ও টুপি সেই মূলনীতির মধ্যে পড়ে যায়। তাছাড়া মাথা ঢাকা বা টুপি পরা বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য (বুখ
উত্তর : ক্বিবলার দিকে পা রেখে ঘুমানোতে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। কিবলাকে সামনে রেখে কিংবা পেছনে রেখে টয়লেটের বাইরে খোলা স্থানে পেশাব-পায়খানা করতে নিষেধ করা হয়েছে (বুখারী হা/৩৯৪; মিশকাত হা/৩৩৪-৩৫)।
মে ২০০৬ (৯/৮ সংখ্যা) ‘দরসে কুরআন’ কলামে আমাদের শিরোনাম ছিল ‘জাতিসংঘের সংবিধান হৌক ইসলাম’। আজ আমরা সম্পাদকীয়তে বলছি ‘বাংলাদেশের সংবিধান হৌক ইসলাম’। কেন বলছি? শুনুন তাহ’লে-সংবিধান হ’ল একটি জাতি ও রাষ্ট্রের আয়না স্বরূপ। যার মধ্যে তাকালে পুরা দেশ
আমি স্বাধীনতা চাইআমি আমার কথাগুলি প্রাণ খুলে বলতে চাইআমি আমার ভাষার স্বকীয়তা চাইআমি আমার ধর্মীয় স্বাধীনতা চাইআমি আমার বাঁচার অধিকার চাইআমি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাইআমি মিথ্যা মামলাকারীর শাস্তি চাইআমি আমার জান-মাল ও ইয্যতের নিরাপত্তা চাইআমি আমা
উত্তর : মৃত প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না। কারণ এটি হারাম (মায়েদাহ ৫/৩)। তবে দুর্ঘটনার পর জীবিত থাকলে তাকে যবেহ করে খাওয়া যাবে। হালাল প্রাণীর বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ বলেন, হিংস্র জন্তুতে খাওয়া পশু, তবে যা তোমরা যবেহ দ্বারা হালাল করেছ, তা ব্যতীত&nbs
উত্তর : ইয়া রাসূল বা ইয়া নবী কেবল রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা যাবে। চাওয়া, প্রার্থনা বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে এই আহবান করা যাবে না। কারণ তিনি এখন মৃত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১/১২৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব)। আর আ
উত্তর : দানকৃত সম্পদ হস্তান্তর করার পূর্বে নিয়ত পরিবর্তন করা যাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৮৭; বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ২/২৯৮)। তবে হস্তান্তর হয়ে গেলে নিয়ত পরিবর্তন করা যাবে না (ফাৎহুল বারী ৫/২৩৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, দান করে
পর্ব ১ ।হক খুঁজে পাওয়া যেমন সহজ নয়, তেমনি হকের উপরে টিকে থাকাও সহজ নয়। হকের উপরে টিকে থাকার জন্য কতিপয় করণীয় রয়েছে। যেগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-১. শারঈ ইলম অর্জন করা :শারঈ জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে একজন মানুষ যথার্থ মুত্তাক্বী হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন,إِن
উত্তর : বর্ণনাটি ইমাম ত্বাবারাণী (রহঃ) স্বীয় ‘আল-মু‘জামুল আওসাত্ব’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন (হা/১০২৮)। তবে বর্ণনাটি যঈফ। এর উপর আমল করা যাবে না (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৩৪৯)।
উত্তর : এগুলো বিজাতীয় রীতি। মুসলিম সমাজে যার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আর বিজাতীয় রীতির অনুসরণ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৯৪)।
উত্তর : আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি মন্দ কাজে সুফারিশ করবে, সে ব্যক্তি তার অংশ পাবে (নিসা ৪/৮৫)। অতএব এখানে হকদারকে বঞ্চিত করার জন্য সুফারিশকারী এবং ঘুষ গ্রহণকারী উভয়েই পাপ করেছে। অতএব তারা উভয়েই গুনাহ্গার এবং যুলুমকারী হিসাবে গণ্য হবে। যে স্থানের
উত্তর : মিসওয়াকের অর্থ হলো এমন নরম ডাল, যা দ্বারা মিসওয়াক করা হয়। খেজুর গাছের কাঁচা ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা সুন্নাত মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে আরাক গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা ভাল (আহমাদ হা/৩৯৯১, সনদ হাসান; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭৫০)।
উত্তর : সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোন প্রাণীর ছবি তোলা এবং তা টাঙানো বা স্থাপন করা হারাম। কারণ এগুলি মূর্তিপূজার শামিল। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক ছবি নির্মাতা জাহান্নামী (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪৯৮, ‘ছবিসমূহ’ অনুচ্ছেদ)। তবে
উত্তর : মুসলিমদের যেকোন চুক্তি বৈধ শর্তের উপর লিখিত হওয়া আবশ্যক এবং সে চুক্তি উভয়েই ভঙ্গ করবে না মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া উচিত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৮৭৭)। বাড়ীর মালিক ও ভাড়াটিয়াকে অবশ্যই তাদের চুক্তিতে আরোপিত বৈধ শর্ত মেনে চলতে হবে। এ ক্
উত্তর : প্রথম কারণ হল, উক্ত বাক্যগুলি দরূদ নয়। ২য় কারণ হ’ল এটি শিরক মিশ্রিত। এখানে বলা হয়েছে, ‘উচ্চতা তার পূর্ণতায় পৌঁছে গেছে’। অথচ এটি কেবল আল্লাহর জন্য খাছ। ৩য় কারণ, এখানে রাসূল (ছাঃ)-কে নূরের তৈরী কল্পনা করা হয়েছে, যাঁর দেহের আলোকচ্ছটায় অন
উত্তর : আঘাত করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বললে বা যবহ করার পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ বললে খাওয়া যাবে। নিয়ম হল, বিসমিল্লাহ বলে তীর নিক্ষেপ করা এবং এমন অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা যদ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় (মায়েদাহ ২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে অস্ত্র রক্ত প্রবাহি
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সালামের পরে মুছাফাহা করা সালামের পূর্ণতা (আদাবুল মুদরাদ হা/৯৬৮, সনদ ছহীহ)। অতএব বিদায়ের সময়েও মুছাফাহা করা সালামের পূর্ণতা হিসাবে গণ্য হবে। রাসূল (ছাঃ) যখন কাউকে বিদায় দিতেন তখন ঐ ব্যক্তি হাত না ছাড়া পর্যন্ত আল্লাহ
উত্তর : গর্হিত কোন অন্যায়ের কারণে যদি স্রেফ আল্লাহ্র জন্য সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে থাকে, তাহলে তার ইবাদতের উপর গোনাহের কোন প্রভাব পড়বে না (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩০; বায়হাক্বী শু‘আব, মিশকাত হা/৫০১৪)। আর যদি অন্য কারণে বা বিদ্বেষমূলক হয়ে থাকে, তাহলে পরিণাম অত্যন
উত্তর : নারী বা পুরুষের জন্য অপারেশনের মাধ্যমে স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব গ্রহণ করা হারাম (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৯/৩১১; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৩/২০০; ওয়াহবাতুয যুহায়লী, আল-ফিক্বহুল ইসলামী ৪/১৯৮)। কেবল যদি নারীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তাহ’লে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্
উত্তর : না, নির্ধারিত ৯৯টি নাম নয়; বরং বিদ্বানগণ পবিত্র কুরআন ও হাদীছ সমূহ থেকে আল্লাহর দুই শতাধিক গুণবাচক বা ‘ছিফাতী’ নাম সাব্যস্ত করেছেন (তাফসীর কুরতুবী)। এগুলিকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। তন্মধ্যে যেকোন ৯৯টি নাম যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমান ও আনুগত্
পর্ব ১ । শেষ পর্ব । মুমিনের দুনিয়াবী জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বরং তা কণ্টকাকীর্ণ। তার সামনে থাকে শত বাধার দুর্ভেদ্য প্রাচীর। তা জয় করে তাকে জান্নাতের পথে এগিয়ে যেতে হয়, বাঁচার চেষ্টা করতে হয় জাহান্নাম থেকে। তাই দুনিয়াবী জীবনের শত বাধা বিঘ্নকে
‘একবার কল্পনা করুন তো, আপনার দেহের নিম্নাংশ ধসে পড়া দেয়ালের নিচে। থেঁতলে গেছে। কিছুতেই বের হ’তে পারছেন না। কোন রকমে বেঁচে আছেন। ঐ অবস্থায়ই আপনি সন্তানের বের হয়ে থাকা হাতটি দেখছেন’। এ চিত্র নিশ্চয়ই আপনার কল্পনায়ও ঠাঁই পাবে না। চিন্তাধারা অন্যদিকে ঘুরি
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়েই তাকে বাস করতে হয়। সমাজে একে অপরের সহযোগী হয়ে জীবনের পথ চলতে হয়। তাই সামাজিক জীবনে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানবতার দ্বীন ইসলাম এ ব্যাপারে বিস্তারিত বিধি-বিধান বর্ণনা করেছে।ইসলাম যেমনিভাবে ব্যক্তিগ
আল্লাহ বলেন, তিনিই সেই সত্তা, যিনি স্বীয় রাসূলকে হেদায়াত (কুরআন) ও সত্যদ্বীন (ইসলাম) সহ প্রেরণ করেছেন, যেন তাকে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করে দেন। যদিও মুশরিকরা তা অপসন্দ করে’ (তওবা ৩৩; ছফ ৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খেলাফতে রাশেদাহর যুগে ইসলামের ধর্
ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎকারীর পরিণতি :ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎকারীর শাস্তি অত্যন্ত মর্মান্তিক। দুনিয়াতে ক্ষমতার দাপটে ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করা সম্ভব হ’লেও পরকালে ঐ ব্যক্তির বাঁচার কোন উপায় থাকবে না। অন্যান্য পাপীদের ন্যায় সেও বাম হাতে আমলনামা পেয়ে সেদিন
উত্তর : কুরআন ও হাদীছে নমরূদ কিভাবে মারা গেছে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে তাফসীর ও ইতিহাসের গ্রন্থসমূহে পাওয়া যায় যে, মশা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল (কুরতুবী, ইবনু কাছীর, বাক্বারাহ ২৫৯-এর তাফসীর দ্রঃ)। তবে এ সবই ইসরাঈলী বর্ণন
[দিনাজপুরের কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. আফতাব আহমদ রহমানী (১৯২৬-১৯৮৪) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগ (১৯৬২) এবং আরবী বিভাগের (১৯৭৮) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক ‘তর্জুম
রামাযানের প্রথম রাত্রিতেই আল্লাহ বান্দাদের উদ্দেশ্যে ডেকে বলেন, হে কল্যাণের অভিযাত্রী এগিয়ে চল! হে অকল্যাণের অভিসারী থেমে যাও’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)। প্রতি রাত্রির শেষ প্রহরে নিম্ন আকাশে নেমে আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের প্রতি অনুরূপভাবে সারা বছর দরদভরা আহ
উত্তর : আরবরা কোথাও যাত্রার প্রাক্কালে বা কোন কাজের পূর্বে পাখি উড়িয়ে তার শুভাশুভ লক্ষণ নির্ণয় করত। পাখি ডান দিকে গেলে শুভ মনে করে সে কাজে নেমে পড়ত। আর বামে গেলে অশুভ মনে করে তা হ’তে বিরত থাকত। একেই ‘শুভলক্ষণ’ বা ‘কুলক্ষণ’ বলা হয়। এ সম্পর্কে
উত্তর : ইসলামী শরী‘আত অনুযায়ী আমীর বা ইমাম যতদিন স্বীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হবেন, ততদিন পালন করে যাবেন। তবে রাষ্ট্রের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মজলিসে শূরা যখন তাকে এ দায়িত্বের জন্য অক্ষম মনে করবে, তখন তাকে অব্যাহতি দিবে। রাসূল
[বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) ইলমে হাদীছে অপরিসীম অবদান রাখার পাশাপাশি বিশুদ্ধ ইসলামের আলোকে মুসলিম জাতিকে সঠিক পথের দিশা দানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর প্রদান করেছেন। এলাহী জ্
إِنَّ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُوا عَنْهَا لاَ تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَلَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِينَ- (الأعراف 40)-‘নিশ্চয়ই যারা আমাদের আয়া
The urging came from the UN Secretary General, António Guterres. He has already been praised everywhere for making the right call at the right time. In his call last Saturday on July 18, 2020, warning everyone against the growing inequality around th
মানুষ অসুস্থ হ’লে অনেক সময় ভেঙ্গে পড়ে। এমনকি অনেকে পানাহার ছেড়ে দেয়; নিজের তাক্বদীরের প্রতি দোষারোপ করে। কিন্তু এগুলি কোন মুমিনের কাজ নয়। বরং এ অবস্থায় ধৈর্যধারণ করে আরোগ্যের জন্য আল্লাহর কাছে দো‘আ করা এবং সাধ্যমত চিকিৎসা করানো কর্তব্য। এ প্রবন্ধে রো
উত্তর : যে কোন নেককার মৃত মুসলিম ব্যক্তির নামের শেষে ‘রহেমাহুল্লাহ’ (আল্লাহ তার প্রতি দয়া করুন) এবং জীবিত ব্যক্তির নামের পরে ‘হাফিযাহুল্লাহ’ (আল্লাহ তাকে হেফাযত করুন) যোগ করতে কোন বাধা নেই। এটি বান্দার জন্য অপর বান্দার দো‘আ। রাসূল (ছাঃ) বিভিন
উত্তর : মন্দ স্বপ্ন দেখলে করণীয় হ’ল; ১. ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে বাম দিকে ৩ বার থুক মারা, ২. তিন বার আ‘ঊযুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম বলা ৩. পার্শ্ব পরিবর্তন করা এবং এই খারাপ স্বপ্নের কথা কারো নিকটে প্রকাশ না করা (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত
উক্ত তাকীদ এসেছে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে। সঠিক সময়ে সঠিক আহবান জানানোর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তিনি সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছেন। গত ১৮ই জুলাই ২০২০ শনিবারে তিনি তাঁর আহবানে বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া অসমতার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করে
জান-মাল-ইযযতের নিরাপত্তা, খাদ্য-পানীয়-চিকিৎসা-বাসস্থান ও স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা এবং সর্বোপরি অধিকতর উন্নত জীবন যাপনের জন্য রাষ্ট্র গঠিত হয়। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এর কোনটাই কি খুঁজে পাওয়া যাবে? রাস্তায় বের হ’লে বোমাবাজ ও চাঁদাবাজদের আতং
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।২৬. মুমিনদের ক্ষয়ক্ষতিতে উল্লসিত হওয়া :মুমিনদের যে কোন ক্ষয়ক্ষতিতে উল্লসিত হওয়া মুনাফিকদের খুবই নীচ স্বভাব। তারা মুমিনদের শত্রু ভাবে বলেই এমনটা হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ
উত্তর : ছাহাবী আবু ত্বালহা আনছারী (রাঃ)-এর নেতৃত্বে একদল ছাহাবী তাঁর জন্য ‘লাহাদ’ কবর খনন করেন (আহমাদ হা/৩৯, ১২৪৩৮; ইবনু মাজাহ হা/১৫৫৭, আল-বিদায়াহ ৫/২৬৭)।রায়হান ইউসুফ ছিয়াম,বগুড়া।
উত্তর : এগুলি নিতান্তই নীতি-বহির্ভূত কাজ। শরী‘আতের বিষয়বস্ত্তসমূহ নিয়ে এরূপ করা খেল-তামাশার শামিল। যা আখেরাতে চরম শাস্তিযোগ্য অপরাধ (লোকমান ৩১/৬)। বরং এভাবে টাকার চ্যালেঞ্জ দেওয়া জুয়ার পর্যায়ভুক্ত কাজ, যা হারাম (মায়েদাহ ৫/৯০)। অতএব এসব থেকে দূরে থা
উত্তর : বর্ণনা অনুযায়ী নিশ্চিতভাবে বুঝা যায়, উভয়ের সম্মতিতে এ কাজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হ’ল উভয়কে পাথর মেরে হত্যা করা। এক্ষণে রাষ্ট্রে ইসলামী আইন জারি না থাকায় তা সম্ভব নয়। অতএব এক্ষেত্রে স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে। নইলে স্বামী ‘দাইয়ূছ’
২০০৫ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারীতে চার দলীয় জোট সরকারের ঐতিহাসিক মিথ্যাচারে আমরা আদৌ বিচলিত ও ভীত ছিলাম না। কারণ আমাদের মনে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস ছিল যে, ‘আমরা হকের ওপরে আছি। মহান আল্লাহর ইচ্ছাতেই আমরা ঈমানী পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি। যার ফল আমরা পরবর্
তাহরীক বলে কথাসোনামণিদের।পাতা ভরা থাকে খবরদেশ-বিদেশের।প্রবন্ধ থাকে লেখাছহীহ শুদ্ধ ভাবে।প্রশ্নোত্তরের টাটকা জবাব,তাহরীক পড়লে পাবে।পত্রিকা জগতে আত-তাহরীক-এরবিকল্প যে নাই,প্রতি মাসে তাই আমিতাহরীক পড়ি ভাই।তাহরীক আমার প্রিয় বন্ধুসদা সত্য ছহীহ বলে।এমন বন্ধ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা : তাতারদের ইতিহাসে আমাদের জন্য বহু শিক্ষা রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তাদের কাহিনীতে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ রয়েছে’ (ইউসূফ ১২/১১১)। তিনি আরো
২২. পিতামাতার সাথে সদাচরণ করা :পিতা-মাতার মাধ্যমে মানুষ দুনিয়াতে আসে। তাই তাদের প্রতি সদাচরণ করা প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্য করণীয়। এটা আল্লাহর নিকটে সর্বাধিক পসন্দনীয় আমলও বটে। এর বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-ক
উত্তর : মুসলিম স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্যই আরবীতে সুন্দর অর্থবহ নাম রাখা আবশ্যিক। রাসূল (ছাঃ) মন্দ নাম পরিবর্তন করে দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৭৭৪; ছহীহাহ হা/২০৭-৯)। অমুসলিমদের সাথে সামঞ্জস্যশীল ও শিরক-বিদ‘আতযুক্ত নাম বা ডাকনাম রাখা যাবে না। তাছাড়া
১৯৯৬ সালে ত্রিশ বছর মেয়াদী গঙ্গা চুক্তি স্বাক্ষরের পর এই প্রথম বাংলাদেশ সর্বনিম্ন পানি পেয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কা বাঁধ পেরিয়ে এত কম পানি আর কখনই বাংলাদেশ পায়নি। পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২১ থেকে ৩১শে মার্চ ঐ দশদিনে ভারত বাংলাদেশকে মাত্র ১৫
উত্তর : সাহারীর জন্য আযান দেওয়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় বিলাল (রাঃ) সাহারীর আযান দিতেন এবং আব্দুল্লাহ ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) ফজরের আযান দিতেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা বিলালের আযান শুনে খাও, যতক্ষণ না ইবনু উম্মে মাকতূম
দু’দিনেরই তরে মোরা সাজাই খেলা ঘর,হাত বদলের মাঝে তাহার সময় হ’ল পার।সখ ও সুখের নাইকো ইতি মনের মত করে,ভিতর-বাহির সাজাই যে তার সারা জীবন ধরে।টাইলস, বার্নিস, লাইট, ফিটিং, এয়ারকন্ডিশন,কোটি টাকা ব্যয়ে শেষে হয়নি সমাধান।সাধ-সাধনার বাড়ীটি মোর হোক না গগনজোড়া,ভু
পৃথিবী এবং সূর্য আপন আপন কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। এই ঘূর্ণনের ফলে আবর্তিত হয় দিন ও রাত; পরিলক্ষিত হয় ঋতুবৈচিত্র্য। এই ঋতুবৈচিত্র্যের কারণে পৃথিবীর সর্বত্র সর্বদা দিন-রাত্রি সমান হয় না। এর পেছনে কারণ হিসাবে কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা যায়। যেমন, পৃথিবীর আহ্ন
উত্তর : উক্ত আমল হাদীছসম্মত। তবে কেবল বয়সে বৃদ্ধ ও সম্মানী নয় বরং ধর্মীয় বিষয়াদি সম্পর্কে জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যক্তিগণই ইমামের পিছনে ও নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়াবেন (মুসলিম হা/৪৩২; মিশকাত হা/১০৮৯)। এর কারণ হ’ল তাঁরা যেন ইমামের ভুলের ক্ষেত্রে তাকে সতর্ক
নেকাবের বিরুদ্ধে মিসরের পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপিত হ’তে যাচ্ছে। নারীদের মুখ ঢেকে রাখে, এমন পোশাক পাবলিক প্লেসে পরা নিষিদ্ধ করতে আইনের খসড়া তৈরী করা হয়েছে। মিসরের পার্লামেন্টে নতুন এই আইনটি পাস হ’লে পাবলিক প্লেস ও সরকারী প্রতিষ্ঠানে নেকাব পরে যাওয়
উত্তর : এটা পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছে। বেলাল (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা তিনি ফজরের আযান দেওয়ার জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আসলেন। তাকে বলা হ’ল যে, তিনি ঘুমিয়ে আছেন। তখন বেলাল (রাঃ) বললেন,الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ (ঘুম থেকে ছালাত উত্তম)। অতঃপর এই শব্দাব
উত্তর : সঠিক জামা‘আত খুঁজে নিয়ে নিজ থেকে তার আমীরের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করা এবং তা মেনে চলাই মুমিন নারী-পুরুষের কর্তব্য। এজন্য অঞ্চল বা দেশ শর্ত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জামা‘আবদ্ধ জীবন হ’ল রহমত এবং বিচ্ছিন্ন জীবন হ’ল আযাব (আহমাদ, ছহীহাহ হা/৬
উত্তর : ‘মাছ সমূদ্রের কিনারায় চলে আসত’- একথা সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে জিন, মানুষ, পাখি, চতুষ্পদ জন্তু সমূহ দাউদ (আঃ)-এর তেলাওয়াত শুনার জন্য একত্রিত হ’ত বলে সূত্রবিহীনভাবে বর্ণিত হয়েছে (কাশফুল বায়ান ৩/৪১৬; তাফসীরুল কাবী