উত্তর : নাপাক পানি পরিশোধনের মাধ্যমে পানি তার পূর্ণ বৈশিষ্ট্য তথা রং, স্বাদ, ঘ্রাণ, পুষ্টিগুণ ইত্যাদি ফিরে পেলে তা পবিত্র হয়ে যাবে এবং উক্ত পানি পান করা বা তাদ্বারা ওযূ করা জায়েয হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৯৫-৯৭)।প্রশ্নকারী : মাহমূদু
উত্তর : বায়ুর চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করলে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে বায়ুর চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করা সমীচীন নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হ’লে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’ (মুসলিম হা/৫৬০; মিশকাত হা/১০৫৭)। বায়ুর অ
উত্তর : গোসল ফরযের ভিত্তি হচ্ছে বীর্যপাত হওয়া। এক্ষণে কাপড় ভেজা দেখলে গোসল ফরয হবে অন্যথায় ফরয হবে না। সে নারী হৌক বা পুরুষ হৌক। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, যে স্বপ্নদোষের কথা স্মরণ করতে পারছে না, অথচ তা
উত্তর : হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) একদিন গোত্রের আবর্জনা ফেলার স্থানে আসলেন এবং সেখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করলেন। অতঃপর পানি আনতে বললেন। আমি তাঁকে পানি এনে দিলে তিনি ওযূ করলেন (বুখারী হা/২২৪; মিশকাত হা/৩৬৪)। অতএব বসার পরিবেশ না থাকলে বা জ
উত্তর : সাদা স্রাব বের হওয়ার কারণে ওযূ ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কোন পুরুষের মযী বের হ’লে ওযূ ভঙ্গ হয়। ছালাতরত অবস্থায় সাদাস্রাব অনুভব করলে ছালাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর লজ্জাস্থান ধৌত করে ওযূ করবে এবং পুনরায় ছালাত আদায় করবে। তবে এটি যদি কারো নিয়মিত ব্যাধি হ
উত্তর : কোন ব্যক্তি নাপাক অবস্থায় মারা গেলে তার জন্য একটি গোসলই যথেষ্ট (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/১২৩; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৩৪৫)। যেমন বদরের যুদ্ধে হানযালা (রাঃ) নাপাক অবস্থায় শহীদ হ’লে ফেরেশতাগণ একটি গোসলই দিয়েছিলেন (ছহীহাহ হা/৩২৬; ইরওয়া হা/
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি সুন্নাহসম্মত হয়নি। বরং ঋতুবতী অথবা অপবিত্র ব্যক্তি মারা গেলে তার জন্য শুধু একবার গোসলই যথেষ্ট হবে (বাহূতী, কাশ্শাফুল ক্বেনা‘ ২/৮৭)। যেমন হানযালা (রাঃ) ওহোদের যুদ্ধে নাপাক অবস্থায় শহীদ হ’লে ফেরেশতাগণ তাঁকে একবারই গোসল দেন
উত্তর : বিছানা ধুয়ে ফেলা ভাল, তবে আবশ্যক নয়। রাসূল (ছাঃ)-এর কাপড়ে বীর্য লেগে শুঁকিয়ে গেলে আয়েশা (রাঃ) নখ দিয়ে খুঁটে ফেলতেন। অতঃপর তিনি ঐ কাপড়েই ছালাত আদায় করতেন (মুসলিম হা/২৮৮; মিশকাত হা/৪৯৫)। এজন্য অধিকাংশ ছাহাবী ও সালাফে ছালেহীন বীর্য লাগ
উত্তর : যেসব মহিলা জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে যেতে চান তাদের জন্য গোসল করা সুন্নাত। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষ এবং নারীর যে কেউ জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে আসবে সে যেন গোসল করে’ (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১৭৫২)। তিনি বলেন, হে মুসলিমগণ! জুম‘আ
উত্তর : এতে কোন সমস্যা নেই। তবে যদি স্পষ্ট কোন নাপাকি বহন করে আর তা কাপড়ে বা পোষাকে দৃশ্যমান হয় তাহ’লে তা ধুয়ে ফেলতে হবে (আত-তাজ ওয়াল ইক্বলীল ১/২০৬,২১৬; যাকারিয়া আনছারী, আসনাইল মাতালিব ১/১৪)।প্রশ্নকারী :ছিয়াম শিকদার, চিতলমারী, বাগেরহাট।
উত্তর : স্বপ্নদোষ হ’লে কেবল গোসল ফরয হয়। আর যে পোষাকে বীর্য লেগে যায় কেবল সেটা ধুয়ে নিবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/১৪৬)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, কোন পুরুষ লোক (ঘুম থেকে জেগে শুক্রের) আর্দ্রতা পেল, অথচ স্বপ্নদোষের কথ
উত্তর : পুনরায় আদায় করতে হবে না। কারণ ছালাত আদায়ের সময় উক্ত অপবিত্রতা সম্পর্কে তার জানা ছিল না। রাসূল (ছাঃ) নাপাক জুতা পরে ছালাত আদায় করছিলেন। যখন জিব্রীল (আঃ) তাকে অবহিত করলেন তাঁর জুতার নাপাকী সম্পর্কে, তখন তিনি জুতা খুলে ফেলে দিলেও ছালাত পুনর
উত্তর : প্রত্যেক মুমিনের জন্য কর্তব্য হ’ল চল্লিশ দিনের মধ্যে নাভীর নীচের লোমসহ সর্বপ্রকার নির্দেশিত ফিৎরাতসমূহ অপসারণ করা (মুসলিম হা/২৫৮; মিশকাত হা/৪৪২২)। চল্লিশ দিনের পরও এগুলো রেখে দেওয়া সুন্নাত বিরোধী কাজ। তাছাড়া দীর্ঘ দিন এগুলো কর্তন বা
উত্তর : ধুলা-বালি বা ঘাস-পাতা ইত্যাদি পানিতে পড়ার কারণে পানি নাপাক হয় না; যতক্ষণ না এর রং, গন্ধ বা স্বাদের পরিবর্তন হয়। সেজন্য পানি অপবিত্র হওয়ার নিশ্চিত প্রমাণ না পেলে সে পানি দিয়েই ওযূ করে ছালাত আদায় করবে (মুগনী ১/২৫; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতা
উত্তর : যেকোন সম্মানজনক এবং ভালো কাজে রাসূল (ছাঃ) ডান হাত এবং ডান পা এবং ছোট কাজে বাম হাত ও বাম পা ব্যবহার করতেন (আবুদাউদ হা/৩২; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৯১২)। যেমন ওযূ, গোসল, লেনদেন, খাবার গ্রহণ, মুছাফাহা, মসজিদে প্রবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডান হাত ও
উত্তর : কতিপয় বিদ্বান ওযূর অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করাকে মুস্তাহাব বলেছেন (আল-মাওসূ‘আতিুল ফিকহিয়া ৪৩/৩৭৮)। কারণ আলী (রাঃ) একদিন যোহরের ছালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে কূফা মসজিদের চত্বরে বসে পড়লেন। অবশেষে আছরের ছালাত আ
উত্তর : লজ্জাস্থান থেকে হালকা পানি বের হওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ। সুতরাং ওযূ করার পর কারো লজ্জাস্থান থেকে কোন তরল পদার্থ বের হ’লে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় সে ছালাত ছেড়ে দিয়ে লজ্জাস্থান ধুয়ে পুনরায় ওযূ করবে এবং কাপড়ের উপরে পানির ছিটা দিয়ে ছালাত আ
উত্তর : কেউ অপবিত্র অবস্থায় ছালাত আদায় করলে তার ছালাত হবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, পাক-পবিত্রতা ছাড়া ছালাত এবং হারাম ধন-সম্পদের দান-খয়রাত কবূল হয় না (মুসলিম হা/২২৪; মিশকাত হা/৩০১)। তিনি আরো বলেন, যার ওযূ ছুটে গেছে তার ছালাত কবূল হয় না যতক
উত্তর : পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট হবে। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা দেখেন এবং তাঁকে সেটা অবহিত করেন। তখন আয়েশা (রাঃ) বললেন, তার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ছি
উত্তর : সুন্নাত হচ্ছে দ্বিতীয়বার মিলনের পূর্বে ওযূ করে নেওয়া। কারণ এতে মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায় (ছহীহুল জামে‘ হা/২৬৩)। তবে ওযূ বা গোসল না করলেও কোন বাধা নেই (ত্বাহাবী, শরহু মা‘আনিল আছার হা/৭৮৯)। সুতরাং ওযূ ছাড়া মিলন করার পর গর্ভে সন
উত্তর : যদি ওয়াক্তের মধ্যে অবতরণ করে গোসল করে ছালাত আদায়ের সুযোগ থাকে, তাহ’লে তাই করবে। নইলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (নিসা ৪/৪৩; আবুদাঊদ হা/৩৩৪; ইরওয়া হা/১৫৪)।প্রশ্নকারী : ছাদিকুল ইসলাম, মোহনপুর, রাজশাহী্
উত্তর : প্রথমতঃ মাসিক অবস্থায় স্ত্রী মিলন হারাম। কেউ যদি অজ্ঞতাবশত কিংবা ভুলক্রমে এরূপ করে, তবে তাকে তওবা করতে হবে (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৩; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১/৫৭১)। আর কেউ জ্ঞাতসারে করলে তাকে তওবার সাথে সাথে কাফফারা প্রদান করতে হবে। আর
উত্তর: সাধারণভাবে লজ্জাস্থানে স্পর্শে ওযূ ও ছালাত নষ্ট হয় না (আবুদাঊদ হা/১৮২; মিশকাত হা/৩২০)। যে সকল হাদীছে লজ্জাস্থান স্পর্শে ওযূ নষ্ট হবে বা ওযূ করা আবশ্যক হবে বলা হয়েছে (আবুদাঊদ হা/১৮১; মিশকাত হা/৩১৯)। তার ব্যাখ্যা হ’ল, উত্তেজনার সা
উত্তর : ওযূ অবস্থায় মোযা পরিধানের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ ওযূ অবস্থাতে মোযা খুললে ওযূ ভঙ্গ হয় না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২১/১৭৯,২১৫; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১৭৯)। প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ রোহান, মান্দা, নওগাঁ।
উত্তর : এতে গোসল করতে হবে না। বরং ধূয়ে ফেলে ওযূ করতে হবে। তবে কারো যদি নিয়মিত এটা হয়, এমনকি ছালাতের সময়ও রক্ত বের হয় তাহ’লে তার বিধান মুস্তাহাযা নারীর বিধানের ন্যায়। অর্থাৎ ওযূ করে মলদ্বারে তুলা দিয়ে ছালাত শুরু করবে। এর মধ্যে রক্ত বের হ’লে ছালাত
উত্তর : স্ত্রীর হায়েয বন্ধ হওয়ার পরে গোসল বা তায়াম্মুম না করা পর্যন্ত তার সাথে দৈহিক মিলন করা যাবে না। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের নিকটবর্তী হয়ো না পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত। অতঃপর যখন তারা ভালভাবে পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নি
উত্তর : এক্ষেত্রে দু’টি বিষয় লক্ষণীয়। ১. নিজহাতে ব্যবহারকালে মলদ্বারের অভ্যন্তরে হাত প্রবেশ করানো যাবে না। নতুবা ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা যে ব্যক্তি লজ্জাস্থান স্পর্শ করবে তার ওযূ নষ্ট হবে (নাসাঈ হা/৪৪৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৫৫৫; ইবনু কুদামাহ,
উত্তর : এক্ষেত্রে দু’টি পদ্ধতিই শরী‘আত সম্মত। কেউ চাইলে পুরো ওযূ করে গোসল করবে (বুখারী হা/২৭২; নাসাঈ হা/৪২০)। আবার কেউ চাইলে ওযূর অন্যান্য অঙ্গ ধৈত করে গোসল করে নিবে এবং অবশেষে পা ধৌত করবে (বুখারী হা/২৪৯; মুসলিম হা/৩১৭)। এক্ষেত্রে যদি
উত্তর : যাবে। প্রবল শীতের কারণে শারীরিক অসুস্থতা বা রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলে ওযূর পরিবর্তে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করা যাবে (আবুদাঊদ হা/৩৩৭; মিশকাত হা/৫৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৩৬২-৬৩)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, ‘যাতুস সালাসিল’ যুদ্ধে শীতের
উত্তর : এমতবস্থায় ছালাত পুনরায় পড়তে হবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২২/১৮৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৭/৩০২; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২/৮)। কারণ রাসূল (ছাঃ) অজ্ঞাতসারে নাপাক জুতা পায়ে পরে ছালাত আদায় করছিলেন। জিব্রাঈল (
উত্তর : যে সকল পাখির গোশত খাওয়া হালাল সে সকল পাখির পায়খানা কাপড়ে লেগে থাকলে সে পোষাকে ছালাত আদায় করা যাবে। তবে সম্ভবপর তা মুছে ফেলবে কিংবা ধুয়ে ফেলবে। আর যে সকল পাখির গোশত হারাম সে সকল পাখি বা প্রাণীর পেশাব বা পায়খানাও নাপাক। এ সকল প্রাণীর পায়খা
উত্তর : সাধারণভাবে স্বপ্নের কথা স্মরণ থাক বা না থাক, ঘুম থেকে উঠে কাপড় ভেজা দেখলে গোসল ফরয হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, যে স্বপ্নদোষের কথা স্মরণ করতে পারছে না, অথচ তার কাপড় (বীর্যপাতের কারণে) ভিজা মন
উত্তর : অধিকাংশ বিদ্বানের মতে, সাদাস্রাব অপবিত্র নয়। তবে এটি বের হ’লে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে এবং ছালাতের জন্য পুনরায় ওযূ করতে হবে। আর মযীর মতই সাদাস্রাব কাপড়ে বা শরীরে লেগে থাকলে ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক নয়। বরং সে পোষাক পরেই ছালাত আদায় করা যাবে (ইবনু
উত্তর : হায়েয ও নিফাস অবস্থায় স্ত্রী মিলন করা হারাম। নিফাসের জন্য সর্বোচ্চ চল্লিশদিন অপেক্ষা করতে হবে (আবুদাউদ হা/৩১১; ইরওয়া হা/২১১)। তবে চল্লিশ দিনের পূর্বে কেউ পবিত্র হয়ে গেলে তার উপর ছালাত ও ফরয ছিয়াম আবশ্যক হয়ে যাবে এবং স্বামীর সাথে নির
উত্তর : ওযূ অবস্থায় সালাম দেওয়া ও সালামের জওয়াব দেওয়া জায়েয। তবে ওযূ শেষে জওয়াব দেওয়া উত্তম (আবুদাউদ হা/১৭; মিশকাত হা/৪৬৭; ছহীহাহ হা/ ৮৩৪; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/১৫৫)।প্রশ্নকারী : শাহীন হোসাইন, চরফ্যাশন, ভোলা।
উত্তর : উক্ত ছালাতগুলি পুনরায় ক্বাযা আদায় করতে হবে। কারণ অপবিত্র অবস্থার ছালাত আল্লাহ কবুল করেন না (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৭৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১২/১৪৭; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)। উল্লেখ্য যে, পূর্বসময়ে অজ্ঞতা বা না জানার কারণে
উত্তর : হায়েয ও নিফাসওয়ালী নারীদের জন্য বিশুদ্ধ মতে কুরআন তেলাওয়াত যেমন জায়েয, তেমনি লেখাও জায়েয (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/২০৯)।প্রশ্নকারী : রেযাউল করীম, খলীফাপাড়া, রংপুর।
উত্তর : এজন্য কাপড় হৌক বা শরীর হৌক অপবিত্র স্থান ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৯১)। উল্লেখ্য যে, পেশাব থেকে পবিত্রতার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ কবরের অধিকাংশ আযাব পেশাবের কারণেই হয়ে থাকে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পেশাব
উত্তর : উক্ত ছালাতগুলো পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ অপবিত্র অবস্থার ছালাত আল্লাহ কবুল করেন না (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৭৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১২/১৪৭; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)। উল্লেখ্য যে, অজ্ঞতা বা না জানার কারণে কেউ যদি অগণিত
উত্তর : যাবে। কেননা যবেহের জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়। তবে অবশ্যই ‘বিসমিল্লাহ’ বলে যবেহ করবে (বুখারী হা/৫৫০১; নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৭৪; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১১/৬১)।প্রশ্নকারী : সজীব হোসাইন, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।[শুধু ‘হোসাইন’ নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : পেশাবে সিক্ত বিছানা ভালোভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর তাতে শয়ন করলে কাপড় বা দেহ নাপাক হবে না (ছালেহ ফাওযান, আল-মুনতাক্বা ৪৮/১৮; ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ১/১৯৪)। কিন্তু নাপাক বিছানায় শুয়ে ঘেমে গেলে এবং পেশাবযুক্ত বিছানাকে সিক্ত করলে দেহ নাপাক হবে (হা
উত্তর : ওযুর পরে সন্দেহ দূরীকরণের জন্য লজ্জাস্থান বরাবর পানি ছিটানো নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য মুস্তাহাব (আহমাদ হা/১৭৫১৫; মিশকাত হা/৩৬৬; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/১১২)।প্রশ্নকারীঃ রফীকুল ইসলাম,পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর : যে সকল পাখির গোশত খাওয়া হালাল সে সকল প্রাণীর মলমূত্র অপবিত্র নয়। সুতরাং এ সকল প্রাণীর বিষ্ঠা কাপড়ে লেগে গেলে তাতে ছালাত আদায় করা যাবে। তবে বিষ্ঠা লেগে গেলে কাপড় ধুয়ে ফেলা কিংবা পানি ছিটিয়ে দেওয়া কর্তব্য। অপরদিকে যে সকল পাখির গোশত খাওয়
উত্তর : কান মাসাহ করার পরিমাপ ও পদ্ধতি সম্পর্কে ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) কানের ভিতরাংশ নিজের দুই শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ও উপরিভাগ বৃদ্ধাঙগুলি দ্বারা মাসাহ করেছেন (নাসাঈ হা/১০২; মিশকাত হা/৪১৩)। অর্থাৎ ভেজা হাতের শাহাদাত অঙ্গুলী কানের
উত্তর : বীর্য কাপড় থেকে তুলে ফেলবে বা ধুয়ে ফেলবে। চিহ্ন দেখা না গেলে পানি ছিটিয়ে দিবে। এটাই যথেষ্ট হবে। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা দেখেন এবং তাঁ
উত্তর : সিজদায়ে তেলাওয়াতের ন্যায় এখানেও একটি সিজদা হবে এবং এই সিজদাতে ওযূ বা ক্বিবলা শর্ত নয়। অতএব ঋতু অবস্থায় এই সিজদা দেওয়া এবং দো‘আ পাঠ করায় কোন দোষ নেই (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৫৫ পৃ.; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/২২৪;)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে
উত্তর : মানবদেহের অবাঞ্ছিত লোম ৪০ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করা সুন্নাত (বুখারী হা/৫৮৯০; মিশকাত হা/৩৭৯)। অতএব তা ৪০ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করা কর্তব্য (মুসলিম হা/২৫৮; মিশকাত হা/৪৪২২)। তবে কেউ কোন কারণে সময়মত পরিষ্কার করতে না পারলে তা ইবাদত কবুলের জন্য প্রতি
উত্তর : মসজিদের নীচে সেফটি ট্যাঙ্ক বা টয়লেটের পাইপ দেওয়াতে কোন বাধা নেই। তবে অবশ্যই মসজিদের পবিত্রতা নিশ্চিত করতে হবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো রাখতে হবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৫৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘
উত্তর : পেশাব বা পায়খানার চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করলে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হ’লে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’ (মুসলিম হা/৫৬০; মিশকাত হা/১০৫৭)। এছাড়া এর ফলে ছালাতে খুশূ-খুযূ থাকে না। অতএব এম
উত্তর : শরীর ভেজা অবস্থায় স্মরণ হ’লে শুকনো স্থান ভেজা হাত দ্বারা মাসাহ করবে। আর পরে মনে হ’লে কিছুই করতে হবে না। কারণ এটি শয়তানের ওয়াসওয়াসা হ’তে পারে (ইবনু রজব, আল-কাওয়ায়েদ ৩৪০ পৃ.; ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ২/৫০)।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ নাব
উত্তর : স্ত্রী সহবাসে কেবল গোসল করা ফরয। কাপড় ধোয়া ফরয নয়। পোষাক পরিধান করে সহবাস করলে পোষাক নাপাক হয় না। এমনকি কাপড়ে বীর্য লেগে গেলেও কাপড় নাপাক হয় না। বরং কাপড়ে বীর্য লেগে গেলে উক্ত স্থান ধুয়ে বা ঘষে বীর্য তুলে ফেলবে এবং তাতে ছালাত আদায় করব
উত্তর : এক্ষেত্রে তায়াম্মুম করা যাবে না। বরং কোন ওযূখানায় বা কোন বাড়িতে পর্দার পরিবেশ খুঁজে নিয়ে ওযূ করে ছালাত আদায় করবে। কোনভাবেই ব্যবস্থা না করা গেলে বাধ্যগত অবস্থায় তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৫/১৩১ পৃ.)।
উত্তর : ওযূর পর জরায়ুর রাস্তা দিয়ে বাতাস বের হ’লে বিশুদ্ধ মতে ওযূ ভেঙ্গে যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৪; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/১২৫)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, স্পষ্টভাবে বায়ূর শব্দ বা গন্ধ না পেলে ওযূ করতে হবে না (ইবনু মাজাহ হা/৫১৫; মিশকাত হা/৩১০; ছহীহুল জ
উত্তর : গুনাহগার হ’তে হবে। বরং কষ্টসাধ্য হ’লে গরম পানি করে গোসল করবে এবং সময়ের মধ্যে ফজরের ছালাত আদায় করবে। আর অসুস্থতার ভয় থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (আবুদাঊদ হা/৩৩৪, ৩৩৬; মিশকাত হা/৫৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৩৬২; ইবনু কুদামা, মুগনী ১/১৮৯-
উত্তর : পূর্বের ভুল পদ্ধতিতে করা ওযূ ও গোসলের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইবে এবং সঠিক নিয়মে ওযূ-গোসল করে ইবাদত করবে। এটাই তার জন্য যথেষ্ট হবে। কেননা ছালাতে ভুলকারী ব্যক্তিকে রাসূল (ছাঃ) চলমান ছালাতকে সঠিকভাবে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু পূর
উত্তর : এ বিষয়ে স্পষ্ট দলীল না থাকলেও বিদ্বানগণ একমত যে, পায়ুপথ দিয়ে যা কিছু বের হবে তাতে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/২৩০)। অতএব কৃমি, নুড়ি, চুল, গোশতের টুকরা বা অনুরূপ কিছু সবই অপবিত্র হিসাবে গণ্য হবে। এর উপরেই ফৎওয়া দিয়েছেন সুফিয়ান
উত্তর : এটি উক্ত নারীর হায়েযের নিয়মিত সময়সীমার উপর নির্ভর করবে। সাধারণভাবে যে সময় হায়েয হওয়ার কথা, সেসময় রক্তস্রাব শুরু হ’লে সেটি হায়েয হিসাবে গণ্য হবে। আর যদি রক্তস্রাব অনিয়মিত হয় তাহ’লে তা ইস্তিহাযা হিসাবে গণ্য হবে। সাধারণত নিফাস বন্ধ হওয়ার
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় ফজরের ছালাত পর্যন্ত ফরয গোসল বিলম্ব করা যাবে। তবে এসময় ওযূ করে নেওয়া মুস্তাহাব। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন নাপাক থাকতেন তখন কিছু খাওয়া অথবা ঘুমানোর ইচ্ছা করলে ওযূ করে নিতেন (মুসলিম হা/৩০৫; মিশকাত হা/৪৫৩)। ও
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কারো মযী বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে তাকে ওযূ করে পুনরায় পুরো ছালাত আদায় করতে হবে। আর ছালাতের পর বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে না। আর ধৌত করার পরে মযী বের হ’লেও তাতে ওযূ নষ্ট হবে।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, মযী বের হ’লে তোমার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে এবং ছালাতের ওযূর ন্যায় ওযূ করবে (আবুদাঊদ হা/২১১; নাসাঈ হা/৪৩৫)। তিনি আরও বলেন, ‘কাপড়ের যে স্থানে মযীর নিদর্শন দেখবে, হাতে পানি নিয়ে ঐ স্থানে ছিটিয়ে দিবে, যেন সেখানে পানি পৌঁছে যায় (আব
উত্তরঃ মুস্তাহাব ও সাধারণ গোসলের সময় প্রথমে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে সমস্ত দেহে পানি ঢালবে কিংবা পুকুর, খাল, নদীতে গোসলের ক্ষেত্রে ডুব দিবে। উল্লেখ্য যে, নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দার মধ্যে গোসল করা আবশ্যক (আবূদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৭)।
উত্তরঃ কোন শরী‘আত সম্মত কারণে গোসল করতে অপারগ হ’লে অথবা গোসল করার মত পানি না থাকলে যদি ওযূ করার সমান পানি থাকে তাহ’লে ওযূই করবে। আর যদি মোটেও পানি না থাকে তাহ’লে শুধু তায়াম্মুম করবে। আয়াতের বিধানটি পানি না থাকার ক্ষেত্রে। আর আয়াতে শুধুমাত্র গ
উত্তরঃ যেসব কারণে ওযূ নষ্ট হয় হাঁটুর উপর কাপড় উঠে যাওয়া তার অন্তর্ভুক্ত নয় (দ্রঃ মিশকাত, ‘যার ফলে ওযূ ওয়াজিব হয়’ অনুচ্ছেদ হা/৩০০-৩৩৩)।
উত্তরঃ খাওয়া যাবে। নাপাক অবস্থায় থাকাটা খাদ্য নাপাক হওয়ার প্রমাণ বহন করে না।
উত্তরঃ হাদীছে এ ব্যাপারে তিনটি পরিভাষা উল্লেখিত হয়েছে (১) ‘আহফুশ শাওয়ারিবা’ অর্থাৎ তোমরা গোঁফ বেশী করে কাটো (২) ‘ক্বাছছুশ শাওয়ারিবা’ তোমরা গোঁফ ছাঁটো (৩) আনহিকুশ শাওয়ারিবা -তোমরা গোঁফ ছোট করো (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২০ ও ৪৪২১)। অতএব গ
উত্তরঃ ঢেলা-কুলুখ নিয়ে চল্লিশ কদম হাঁটা ও কাশি দেওয়া মর্মে শরী‘আতে কোন বিধান নেই। এগুলো বাড়াবাড়ি মাত্র। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ পানি এবং ঢেলা এক সঙ্গে ব্যবহার করেননি। কারো সন্দেহ হ’লে ওযূ শেষে লজ্জাস্থান বরাবর কাপড়ে পানি ছিটিয়ে দিবে। (আবু
উত্তর : ওযূ না করে গোসল করলে ঐ গোসলের পর ছালাত আদায় করা যাবে না। কারণ ছালাতের জন্য ওযূ শর্ত। আর ওযূর জন্য নিয়ত শর্ত। সুতরাং এজন্য গোসলের পূর্বে ওযূ করে নিতে হবে (নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৫)।
উত্তরঃ নির্জনে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা যায়। মূসা (আঃ) এবং আইয়ূব (আঃ) বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করতেন (বুখারী হা/২৭৮, ২৭৯)। তবে বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় গোসল করা উত্তম। নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘লজ্জা করার ব্যাপারে মানুষের চেয়ে আল্লাহই অধিকতর হকদার’ (বুখারী, তরজ
উত্তর : এমতাবস্থায় ছালাত সিদ্ধ হবে (ফাতাওয়া আশ-শাবকাতুল ইসলামিয়া ১১/১৫৪৭)।প্রশ্নকারী : আব্দুল বারী, রাজশাহী।
উত্তর : রং, স্বাদ ও গন্ধ বিনষ্ট হ’লে সে পানি নাপাক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘জাল্লালাহ’ অর্থাৎ ময়লা-আবর্জনা ভক্ষণকারী প্রাণীর গোশত খেতে ও তার দুধ পান করতে এবং তার পিঠে আরোহন করতে নিষেধ করেছেন’ (আবুদাঊদ হা/৩৭৮৬; তিরমিযী হা/১৮২৫; নাসাঈ হা/৪৪৬০)। অন্য
উত্তর : মোযার উপরে মাসাহ করা সুন্নাত (বুখারী হা/১০৬; মুসলিম হা/২৭৪; মিশকাত হা/৫১৮)। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, মোযার উপর মাসাহ করার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে ৪০টি হাদীছ রয়েছে (শায়খ উছায়মীন, বুহূছুন ওয়া ফাতাওয়া ফিল মাসাহ আলাল খুফফাই
উত্তর : তার উক্ত ছিয়াম শুদ্ধ হবে। কেননা তখনও রক্ত দেখা যায়নি (শায়খ উছায়মীন, সুয়ালান ফিল হায়েয ওয়ান নিফাস, পৃঃ ১০)।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কুলুখ ও পানি একত্রে ব্যবহার করেছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় না। তিনি কখনো কেবল পানি ব্যবহার করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৪২, ৩৬০ ‘টয়লেটের শিষ্টাচার’ অনুচ্ছেদ)। কখনো বেজোড় সংখ্যক কুলুখ ব্যবহার করেছেন (বুখারী হ
উত্তর : প্রবল ধারণার ভিত্তিতে যদি পেশাব কাপড়ের কোন অংশে লেগেছে তা চিহ্নিত করা যায়, তাহ’লে উক্ত স্থান ধুয়ে নিতে হবে। আর স্থান চিহ্নিত করা সম্ভব না হ’লে অনুমান করে ধুয়ে নিবে বা পানি ছিটিয়ে দিবে। এতেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ (ইবনু মাজাহ হা/৪৬৪; আল-ম
উত্তর : যে সকল প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল সেগুলোর পেশাব-পায়খানা নাপাক নয়। সুতরাং কাপড়ে এ সব প্রাণীর মলমূত্র লাগলেও তা পরিধান করে ছালাত আদায় করা বৈধ। আনাস (রাঃ) বলেন, উরায়না গোত্রের কিছু নওমুসলিম মদীনায় অবস্থানকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূল (ছাঃ) তা
উত্তর : শুধু পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করলেই পবিত্রতা অর্জিত হবে। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন পায়খানায় প্রবেশ করার ইচ্ছা পোষণ করতেন, তখন আমি ও আরেকটি ছেলে পানি ভর্তি পাত্র এবং একটা বর্শা নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা
উত্তর : ওযূর পরে যে দো‘আগুলো পাঠ করা হয়, তায়াম্মুমের পরেও সে দো‘আগুলো পাঠ করতে হয়। কারণ তায়াম্মুম হ’ল ওযূর স্থলাভিষিক্ত (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/২৩৪)।প্রশ্নকারী : আব্দুল হালীম, ভূগরইল, রাজশাহী।
উত্তর : নাপাক অবস্থা দু’প্রকারের (ক) পেশাব-পায়খানা করার কারণে নাপাক হওয়া (খ) স্ত্রী সহবাসে বা অন্য কোন উপায়ে বীর্যপাত হওয়ার কারণে নাপাক হওয়া। প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় অবস্থায় কুরআন মাজীদ স্পর্শ ছাড়া পড়া যায় (তিরমিযী ১/১৪৬; আহমাদ হা/৬৩৯, ৮৭২; বুখারী,
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।১৮তম দলীল : আমরা গোশত, পোষাক ও খাদ্য ক্রয়ের সময় তা হালাল হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস না করেই শুধুমাত্র মালিকের কথার উপর ভিত্তি করে ক্রয় করে থাকি, যার বৈধতা ইজমায়ে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং ইবাদতের যাবতীয় নিয়ম-পদ্ধতি অহী মারফত জানিয়ে দিয়েছেন, যা কুরআন ও
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।ওযূর ফযীলতপবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ওযূ। এর অনেক ফযীলত রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হ’ল।-(ক) ওযূ ঈমা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।তায়াম্মুম সম্পর্কিত মাসআলাالتيمم -এর শাব্দিক অর্থ- القصد অর্থাৎ ইচ্ছা করা।التيمم -এর পারিভাষিক অর্থ- আল্লাহ তা‘আলার
উত্তর : যে অংশে প্রস্রাব লাগবে শুধুমাত্র সে অংশটুকু ধুয়ে ছালাত আদায় করতে হবে। জামা পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। আর যদি ধোয়া সম্ভব না হয়, তাহ’লে উক্ত ছালাতের ওয়াক্তের মধ্যেই পোষাক পরিবর্তন করতে হবে। সম্ভব না হ’লে উক্ত পোষাকেই ছালাত আদায় করতে হবে
উত্তর : কাঁচা পেঁয়াজ বা রসুন খাওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ নয়। বরং এগুলো খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এর দুর্গন্ধে মুছল্লী এবং ফেরেশতা উভয়েই কষ্ট পায় (মুসলিম হা/৫৬৪)। তবে রান্না করে খেলে অথবা মুখ পরিষ্কার করে দুর্গন্ধ দূর করে মসজিদে গেলে কোন দো
উত্তর : যাবে। তবে পবিত্র অবস্থায় আযান দেওয়াই উত্তম (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৯৯, ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৬/৬৭)। ‘ওযূ ব্যতীত কেউ আযান দিবে না’ বলে যে হাদীছটি তিরমিযীতে বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ (তিরমিযী হা/২০০)।
উত্তর : ব্যাঙের পেশাব নাপাক। কারণ যেসব প্রাণীর গোশত হারাম তার পেশাবও হারাম। অতএব ব্যাঙের পেশাব কাপড়ে লাগলে তা ধুয়ে ছাফ করতে হবে (ইবনু হাজার হায়তামী, তোহফাতুল মুহতাজ ১/৩১৭)।প্রশ্নকারী : ডা. আলফায আলী, নওগাঁ।
উত্তর : সদ্যজাত শিশুর শরীরে লেগে থাকা পানি পবিত্র। অতএব তার দেহে ও মাথায় থাকা পানি কাপড়ে লেগে গেলে কাপড় অপবিত্র হবে না। তবে সতর্কতাস্বরূপ ধুয়ে নেয়াই উত্তম (ঊছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২১৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ ৪২/১১৫)।প্রশ্নকারী : ফারহান