উত্তর : ইবাদত কিংবা বরকত মনে করে কবরের উপরে গাছ লাগানো বিদ‘আত। কারণ রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম কোন কবরের উপর বৃক্ষ রোপণ করেননি। তবে কবরস্থানের ফাঁকা জায়গায় বৃক্ষ থাকলে বা মুছল্লীদের ছায়ার জন্য বৃক্ষ রোপণ করলে তাতে দোষ নেই। তাছাড়া কবরস্থানের ব
উত্তর : জায়েয হবে। কিন্তু তাকে পরিবর্তনের সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা তাদের অবাধ্যতার আশংকা কর, তাহ’লে তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের বিছানা পৃথক করে দাও এবং (প্রয়োজনে) প্রহার কর’ (নিসা ৪/৩৪)। এতেও সমাধান না হ’লে সর্বশেষ পদক্
উত্তর : প্রথমত : যেকোন মাধ্যমে লাশ স্থলভাগে নিয়ে যাবে এবং সেখানে দাফন করার চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে বরফ ব্যবহার করে লাশ অক্ষত রেখে স্থলভাগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে এবং কবরস্থ করার ব্যবস্থা করবে। দ্বিতীয়ত : যদি স্থলভাগে নিয়ে যাওয়
উত্তর : যতদিন মানুষ জানবে যে, উক্ত স্থানে কবর আছে ততদিন বাড়ি বা মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। কারণ উক্ত জায়গার জন্য মাইয়েতই অধিক হকদার (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/৩০৩; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/২১২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২২১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব
উত্তর : যদি একটি কবর হয় এবং সেটি কেবল সিঁড়ির অংশে পড়ে তাহ’লে কবরের অংশটুকু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর কবরের অংশটুক আলাদা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখবে। আর যদি কবর একাধিক থাকে তাহ’লে যে অঞ্চল জুড়ে কবর আছে সে অঞ্চলের ভবন ভেঙ্গে ফেলতে হবে। কারণ
উত্তর : লাশ বা কবরের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়া গেলে সেখানে মসজিদ নির্মাণ বা ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/৩০৩; মারদাভী, আল-ইনছাফ ২/৩৮৭)। তবে কবর থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হ’লে তার উপর কোনভাবেই মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : এটা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর। কেননা যদি মৃত ব্যক্তি পুণ্যবান হয়, তবে তোমরা ‘ভাল’-কে দ্রুত কবরে সমর্পণ কর। আর যদি অন্যরূপ হয়, তাহ’লে ‘মন্দ’-কে দ্রুত তোমাদের কঁাধ থেকে নামিয়ে দাও’ (মুত
উত্তর : কবরের পাশে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। শায়েখ বিন বায (রহঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির জন্য কবরের পাশে বা যে কোন স্থানে গিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করা বিদ‘আত (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/৩৩৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/৪৩)। কবরস্থানে গিয়ে সূরা ইয়াসীন পাঠের ফযীলত
উত্তর : কবরস্থানে চাষাবাদ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় এরূপ রীতি ছিল না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৪০৭)। প্রশ্নকারী : যয়নাল আবেদীন, উত্তর দিনাজপুর, ভারত।
উত্তর: ছাদাক্বা দুই প্রকারের। (১) ঐ যাকাত, যা হকদার ব্যতীত অন্যদের জন্য হারাম। চাই সে শিক্ষক হৌক বা ছাত্র হৌক। তবে যাকাতের হকদার তার যাকাতের সম্পদ থেকে কোন ধনীকে দাওয়াত করে খাওয়ালে তাতে দোষ নেই। যেমন বারীরা (রাঃ)-এর যাকাতের অংশ থেকে রাসূল (ছাঃ)
উত্তর : প্রথমতঃ কবরস্থান চাষাবাদের জায়গা নয়। দ্বিতীয়ত: কবরস্থানকে বাগানের সদৃশ সুসজ্জিত করা মূলত: ইহূদী-নাছারাদের কাজ, যার বিরোধিতা করা আবশ্যক। তৃতীয়ত: কবরস্থানে ছায়াদার বৃক্ষরোপণ বা ফুলগাছ লাগানোর নযীর সালাফে ছালেহীন থেকে পাওয়া যায় না। এজন্য আজ
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে কবরের দু’টি পদ্ধতি চালু আছে। ১. লাহাদ তথা বগলী কবর, যা নবী করীম (ছাঃ)-এর কবর ছিল। ২. শাক্ক বা ছাদ কবর, যা বালিমাটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (মুসলিম হা/৯৬৬; মিশকাত হা/১৬৯৩)। অতএব মাটি বুঝে যে কোন পদ্ধতির কবর দেওয়া যাবে।প্রশ্
উত্তর: কবর যিয়ারত মৃত্যুকে স্মরণ করার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। কিন্তু যে সকল ইবাদতের ব্যাপারে হাদীছে সময়, কাল বা স্থান নির্ধারণ করা হয়নি সেগুলো পালন করার ক্ষেত্রে নিয়ম বানিয়ে নেওয়া যাবে না। বরং মাঝে মধ্যে কবর যিয়ারত করবে এবং আত্মীয়-স্বজনের জন্য দো
উত্তর : এটি নিষিদ্ধ। কেননা কবরবাসী শুনতে পায় না। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি শুনাতে পারো না কোন মৃত ব্যক্তিকে’ (নামল ২৭/৮০)। আর ‘তুমি শুনাতে পারো না কোন কবরবাসীকে’ (ফাত্বির ৩৫/২২)। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘তেলাওয়াতের উদ্দেশ্যে হ’
উত্তর : মৃত ব্যক্তির জন্য কবরের পাশে নিয়মিত বা অনিয়মিত কোনভাবেই কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি শুনাতে পারো না কোন মৃতকে...’ (নমল ২৭/৮০)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন আমলের প্রমাণ পাওয়া যায় না। ইবনু তায়মিয়াহ
উত্তর : সন্তানের পাপের ভার পিতা-মাতাকে বহন করতে হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল (ছাঃ) বলেন, সাবধান! অপরাধী তার অপরাধের দ্বারা নিজেকেই দায়বদ্ধ করে। পিতার অপরাধে পুত্রকে এবং পুত্রের অ
উত্তর : কবরস্থানের যে অংশে কবর রয়েছে সেখানে ফসলাদী আবাদ করা ও গাছ লাগানো ঠিক নয়। কারণ তা কবরের অবমাননার মধ্যে পড়ে যায় (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৬১ ‘জানাজা’ অধ্যায়)। তবে যে স্থানে কবর হয়নি বা বহু পুরাতন হওয়ায় যদি কোন চিহ্ন না থাকে তবে এমন জায়গ
উত্তর : মুসলিম মাইয়েতকে মুসলিম কবরস্থানে দাফন করায় কোন বাধা নেই। কারণ বারযাখী জীবনের সুখ বা দুঃখের বিষয়টি ব্যক্তির আমলের উপর নির্ভরশীল (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১/৩৩৭)। উল্লেখ্য যে, ‘তোমরা সৎ ব্যক্তিদের পাশে মৃতদের দাফন কর। কেননা জীবিত অসৎ
উত্তর : লাশের সাথে এমন অসম্মানজনক আচরণ করা গর্হিত অপরাধ। শারঈ কারণ ব্যতীত কবর খনন করে লাশ উঠানো বা কবর স্থানান্তর করা জায়েয নয়। এতে লাশের প্রতি অসম্মান করা হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, লাশের হাড্ডি ভাঙ্গা জীবিতের হাড্ডি ভাঙ্গার সমান (মুওয়াত্ত্বা, আবুদ
উত্তর : এ ব্যাপারে শারঈ কোন নির্দেশনা নেই। তবে সর্বাবস্থায় মাইয়েতের জন্য ছাদাক্বা করা যায়। কারণ ছাদাক্বার মাধ্যমে মাইয়েত কবরে উপকৃত হয় (বুখারী হা/১৩৮৮, ২৭৫৬; মুসলিম হা/১০০৪)। আর কেউ খারাপ বা দুশ্চিন্তাযুক্ত স্বপ্ন দেখলে বাম দিকে তিনবার থুক মারবে,
উত্তর : নিজের মালিকানাধীন জায়গায় নিজের জন্য কবরের জায়গা নির্ধারণ করায় কোন দোষ নেই। যেমন আয়েশা (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে তার কবরের স্থান নির্ধারণ করেছিলেন, যা তিনি পরবর্তীতে ওমর (রাঃ)-কে প্রদান করেন (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৭৮)। তবে মৃত্যুক
উত্তর : লাশকে ডান কাতে শোয়ানো এবং ক্বিবলামুখী করে রাখা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমাদের মৃত ও জীবিত সবার ক্বিবলা কা‘বা (আবুদাউদ হা/২৮৭৫; ইরওয়া হা/৬৯০)। ইবনু হাযম (রহঃ) বলেন, এই আমল রাসূল (ছাঃ)-এর যুগ থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলে আসছে (মুহাল্লা ৫/১৭১,
উত্তর : এ বিষয়ে কোন দলীল পাওয়া যায় না। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তিকে নিজ অবস্থায় (গোঁফ ও নখসহ) রেখে দেওয়াই আমার নিকট পসন্দনীয় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/১৬৯-৭০)। ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, ‘এগুলি কাটা আমার নিকট অপসন্দনীয়। বরং আমি মনে করি, যারা এটা করে তার
উত্তর : কবরে যতদিন মুমিনের লাশের কোন অংশ বাকী থাকবে, ততদিন তাকে সম্মান করতে হবে। কোন সাধারণ অজুহাতে কবরের সম্মান হানিকর কোন কিছু করা যাবে না (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০১; আলবানী, তালখীছ ৯১ পৃ.; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘কবর ও লাশ বিষয়ে’ জ্ঞাতব্য ২৪৩ পৃ.)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ওহোদের শহীদদের কবরে মাথার দিক থেকে পায়ের দিকে তিনবার মাটি ছড়িয়ে দিয়েছেন (ইবনু মাজাহ হা/১৫৬৫; ইরওয়া হা/৭৫১, সনদ ছহীহ)। অতঃপর তিন অঞ্জলী বা তিন মুষ্ঠি দু’ধরনের বর্ণনাই এসেছে, যার দু’টিই যঈফ (আলোচনা দ্রষ্টব্য : ইরওয়া হা/৭৫১)। অতএব যা
উত্তর : দাফন শেষে মাইয়েতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। হযরত ওছমান (রাঃ) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে দাফন শেষে নবী কারীম (ছাঃ) সেখানে দাঁড়াতেন এবং উপস্থিত লোকদেরকে বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং ঈমানের উপর দৃঢ় থাকা
উত্তরঃ জানাযা ব্যতীত অন্য যা কিছু করা হবে, তা বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে। জাহেলী যুগে মৃতের জন্য শোক প্রকাশ ও বেশী করে কান্নাকাটির জন্য ভাড়াটিয়া লোক পাওয়া যেত। যে মৃতের জন্য যতবেশী লোক কাঁদতো, সে মৃত ব্যক্তি তত বেশী সম্মানিত বলে গণ্য হ’ত। ইসলাম এ
উত্তরঃ যরূরী কারণে এক কবরে একাধিক লাশ রাখা যায়। নবী করীম (ছাঃ) ওহোদ যুদ্ধে শহীদ হওয়া ছাহাবীগণের একাধিক লাশ এক এক কবরে রেখেছিলেন (বুখারী হা/১৬০ ও ১৬৯)।
উত্তরঃ কবরস্থানের উপর ঘর-বাড়ি, টয়লেট নির্মাণ করে বসবাস করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তির আগুনের টুকরার উপরে বসা এবং সে টুকরাটা তার কাপড়কে পুড়িয়ে তার চামড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া তার জন্য বেশী উত্তম হবে কবরের উপর বসা
উত্তর : লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় বিনা ওযরে কাঁধ পরিবর্তন করা যাবে না এবং করার সময় ‘আল্লাহ রাববী’ ও ‘মুহাম্মাদ নবী’ বলার কোন শারঈ বিধান নেই। বরং এটা কুসংস্কার মাত্র। ছাহাবী ও তাবেঈগণ এরূপ করতেন না।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। দুনিয়ায়ী আমলের ভাল-মন্দের ফলাফল কবর থেকেই শুরু হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় কবরবাসীকে তার জান্নাত অথবা জাহানণামের ঠিকানা দেখানো হয়। ক্বিয়ামত পর্যন্ত এই রূপ হতে থাকবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বুখারী হা/
উত্তর : মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কুলখানী, চেহলাম, কুরআন খানি, কবরস্থানে গিয়ে বিভিন্ন সূরা পাঠ করা, কুরআন বখশানো সবই কুসংস্কার ও বিদ‘আত। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এধরনের কোন প্রথা প্রমাণিত নয় (বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), পৃঃ ১৯৪
উত্তরঃ যেতে পারে। কারণ মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত করা জায়েয, যদি না তারা সেখানে গিয়ে সরবে কান্নাকাটি করেন। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান ইবনু আবী বাক্র-এর কবর যিয়ারত করেছেন। তাকে বলা হ’ল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেননি। তিন
উত্তর : এগুলো সবই বিদ‘আতী প্রথা। এতে মৃত ব্যক্তির কোন উপকার হয় না। মীলাদ মাহফিল ও চল্লিশা পালন সম্পূর্ণরূপে শরী‘আত বিরোধী কর্ম। যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
উত্তর : দেয়া যাবে। তবে কবরস্থানে কবর দেওয়াই ভাল (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০০)। পিতা-মাতার পাশে কবর দেওয়ার কোন ফযীলত আছে বলে জানা যায় না। তবে ওমর ফারূক (রাঃ) রাসূলের পাশে কবরস্থ হওয়ার জন্য আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট যে আবেদন করেছিলেন, তার কার
উত্তর : যে ব্যক্তি পূর্ব রাতে স্ত্রী সহবাস করেছে তার জন্য কোন নারীকে কবরে নামানো সমীচীন নয়; তবে নিষিদ্ধও নয়। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর কন্যার কবরের পার্শ্বে উপস্থিত হন। তিনি সেখানে বসেন। আমি দেখতে পেলাম, তাঁর চোখ হ’তে অশ্রু ঝরছে। অতঃপর
উত্তর : কবরগুলি অতি প্রাচীন হ’লে এবং সেগুলিতে মৃত ব্যক্তিদের কোন চিহ্ন না মিললে সেখানে কবর দেওয়া যাবে। কবর খোড়ার পর যদি কোন হাড়-হাড্ডি পাওয়া যায় তাহ’লে সেগুলো কবরের এক পাশে রেখেই নতুন লাশ দাফন করবে (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ১২৬)।
উত্তর : বহু দিনের পুরাতন বা প্রাচীন কবরস্থান যেখানে আর কবর দেওয়া হয়নি সে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে। তবে অল্প দিনের কবরের উপর মসজিদ তৈরি করা যাবে না। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় কর
উত্তর : ঈদগাহের সামনে দিয়ে যদি প্রাচীর থাকে অথবা কবর যদি দূরে পৃথক জমিতে থাকে, তাহ’লে ছালাত হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কবরের উপর বসো না এবং কবরের দিকে ছালাত আদায় কর না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৮)।
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ইবনু মাজাহতে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু হাদীছটি যঈফ। এর সনদে হাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান নামে একজন রাবী আছেন, যিনি সকল মুহাদ্দিছের ঐকমত্যে যঈফ (ইবনে মাজাহ হা/১৫৫৩)।
উত্তর : কবরের আযাব সত্য (আন‘আম ৯৩, মুমিন ৪৬)। যা অসংখ্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী, মিশকাত হা/১২৬, আহমাদ, মিশকাত হা/১৬৩০, সনদ ছহীহ)। রাসূল (ছাঃ) সবসময় কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতে বলেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৪০)। এক্ষণে কবরের আযাব শারীরিকভাবে
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। কেননা এক কবরে একাধিক ব্যক্তির দাফন হ’তে পারে। তাছাড়া প্রত্যেকের হিসাব পৃথক হবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বীয় কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে। কেউ কারু বোঝা বহন করবে না। অতঃপর তোমরা সবাই তোমাদের প্রতিপালকে
উত্তর : এর সমাধান সুরা ফাতিরে ঐ আয়াতের প্রথমাংশে রয়েছে : আল্লাহ তা‘আলা বলেন: إِنَّ اللَّهَ يُسْمِعُ مَنْ يَشَاءُ وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ ‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে শ্রবণ করান। কিন্তু তুমি কবরবাসীকে শুনাতে সক্ষম নও (ফাতি
উত্তর : কবর পাকা করা ও সুসজ্জিত করা নিষেধ। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিষেধ করেছেন, কবরে চুনকাম করতে, এর উপর লিখতে এবং একে পায়ে পদদলিত করতে (তিরমিযী হা/১০৫২ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৭০৯)। আর এই নির্দেশের কারণে রাসূল (ছাঃ)-এর মূল কবর পাকা কর
উত্তর : উক্ত মসজিদে ছালাত হবে না। মসজিদ স্থানান্তর করতে হবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কবরের দিকে মুখ করে ছালাত আদায় কর না এবং কবরের উপর ছালাত আদায় কর না (সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০১৬)। তবে কবরস্থানের জন্য পৃথক প্রাচীর দিয়ে
উত্তর : মৃত্যুর পরে তার রূহ যেখানে থাকবে সেখানেই প্রশ্নোত্তর হবে। সেখানেই সে আযাব অথবা শান্তি পাবে। সেটি মাটির কবরে হ’তে পারে কিংবা অন্যত্র, যা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর এখতিয়ারে। এটি ঈমান বিল গায়েবের অন্তর্ভুক্ত। যে জগতের খবরাখবর ইহজগতে কোনভাবে অ
প্রশ্নকারী : শাকিল আহমাদ, মহেশপুর, ঝিনাইদহ।উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। তবে কবর সংরক্ষণের জন্য দেওয়া প্রাচীর যতদিন কবর হেফাযতের জন্য স্থায়ী থাকবে ততদিন সেগুলি ব্যবহার করা সমীচীন নয়। আর তা ভেঙ্গে গেলে পরিত্যক্ত বস্ত্ত ব্যবহারে কোন বাধা
মৃত্যুর পরে মানুষকে কবরে রাখা হয়। বিভিন্ন কারণে মানুষকে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়। তন্মধ্যে মিথ্যা বলা, কুরআন তেলাওয়াত পরিহার করা, সূদ খাওয়া ও যেনা-ব্যাভিচার করা অন্যতম। এ প্রসঙ্গেই নিম্নোক্ত হাদীছ।-সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,
উত্তর: এগুলি সুন্নাত বিরোধী কাজ। বিনা প্রয়োজনে বহনকারী পরিবর্তনের কোন বিধান নেই। তবে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারে। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দু’টি কবরের উপরে যে খেজুরের দু’টি কাঁচা চেরা ডাল পুঁতেছিলেন, সেটা ছিল তাঁর জন্য ‘খাছ’। তাঁর বা কোন ছাহ
উত্তর : মৃতকে গোসল দেওয়া ওয়াজিব। এক্ষণে গোসল দেওয়ার সময় হাত দ্বারা স্পর্শ করার কারণে শরীর ঝলসানো চামড়া খসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে কেবল মাইয়েতের দেহে পানি ঢেলে দেবে। এতেও ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে তায়াম্মুম করাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/১৭৮; হায়তামী, তোহফ
উত্তর : গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর থাকলে ব্যক্তিবিশেষের কবরকে কেন্দ্র করে চারপার্শ্বে প্রাচীর দেওয়া যাবে না (আলবানী, তাহযীরুস সাজেদ ৮৯ পৃ.)। তবে কবরস্থানে সীমানা প্রাচীর না থাকলে কিংবা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কবরের চারপাশে বাঁশ দিয়ে ঘেরা যাবে বা প্রাচীর দ
উত্তর : শারঈ প্রয়োজন ব্যতীত কবর স্থানান্তর করা জায়েয নয় (বুখারী হা/১৩৫১-৪২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২৪/৩০৩; নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/২৭৩)। প্রশ্নানুযায়ী কবর স্থানান্তরের পেছনে শারঈ কোন ওযর আছে বলে মনে হয় না। এক্ষণে যদি এতে দুনিয়াবী উদ্দেশ্য থাকে,
উত্তর : জুতা পায়ে দিয়ে কবরস্থানে যাওয়া নাজায়েয নয় (বুখারী হা/১৩৭৪, মুসলিম হা/২৮৭০, মিশকাত হা/১২৬)। তবে জমহূর বিদ্বানগণ বিনা প্রয়োজনে কবরস্থানে জুতা পরিধান করাকে সুন্নাতের খেলাফ বলেছেন এবং ময়লা-আবর্জনা না থাকলে পারতপক্ষে জুতা খুলে প্রবেশ করাই উত
উত্তর : মৃতব্যক্তির দাফনের পর কবরস্থানে দাঁড়িয়ে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দো‘আ করার কোন দলীল নেই। অতএব এরূপ আমল বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্ত (বিন বায, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব ১৪/১৩৯; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২০৪, ১৩/৩৪০; উছায়মীন, ফাতাওয়াল জানায়েয ২৬৬ পৃ.)। সম্মিলিতভা